মেঘের উল্টোপিঠ পর্ব-১১

0
759

#মেঘের_উল্টোপিঠ
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
[পর্ব-১১]

‘ অভ্র ভাইয়ার প্রসঙ্গে তোমাকে যেনো আর কখনো কথা বলতে না দেখি দোল। আর ভাবীর সামনে বা ভাবীকে ভাইয়া সম্মন্ধে কিছু জিজ্ঞেস করবে না। ‘

পূর্বের রাশভারী কন্ঠ! থমথমে চেহারায় রাগান্বিত আভাসটা স্পষ্টত খেয়াল করা যাচ্ছে। নিশ্চুপ হয়ে যাই! তাহলে আমার সন্দেহটাই ঠিক। অভ্র ভাইয়াকে নিয়ে কিছু একটদ হয়েছে। মামনিকে অভ্র ভাইয়ার সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করলে তিনি এড়িয়ে যান, ভাবীও একই আর এখন পূর্ব! আসল কারণটা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে অন্তরাল। ছটফটে কন্ঠে বলি,

‘ কিন্তু বলবেন তো! অ..’

পূর্ব তার হাতের আঙুল আমার ওষ্ঠাধরের ওপর চেপে ধরে। ঘাড় কাত করে কথা বলতে নিষেধ করলেন তিনি। ওষ্ঠ দ্বারা অধর আঁকড়ে নিয়ে ফিচেল কন্ঠে বললেন,

‘ বলেছিনা আমি একবার? ভাইয়া সম্পর্কে একটা কথাও হবেনা! হুহ্? রুমে গিয়ে পড়তে বসো। ‘

পূর্বের কড়া দৃষ্টি উপেক্ষা করে আমার আর দ্বিতীয় কোনো কিছু বলার সাহস হলো না। নিঃশব্দে রুমে এসে বই নিয়ে সোফায় বসে পড়ি। তবে পড়ার প্রতি মনোযোগ টা আসছে না। পূর্ব কখনোই আমার পানে কড়া দৃষ্টি দেননি! আজ কি হলো? অভ্র ভাইয়ার বিষয়টা তবে কি খুব জটিল? এ বিষয় কার কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাবো আমি? কৌতূহল, খানিক অভিমান, সবকিছু মিলিয়ে পড়ায় আর টু মনোযোগ আনতে পারলাম না। বই রেখে সোফায় মাথা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি! পূর্ব নিশ্চিত রাগ করবে পড়া ছেড়ে ঘুমিয়ে যাওয়াতে। করলে করুক! আমার কি?

.

আঁখিজোড়া বন্ধ করার কিয়ৎক্ষন পর পূর্ব রুমে আসলেন। চক্ষুপল্লব বদ্ধ থাকলেও স্পষ্টত অনুভব করতে পারলাম তার দৃষ্টি আমাতে নিবদ্ধ। যখন কেও আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে তখন আঁখি যুগল বদ্ধ থাকলেও তা অনুভব করা যায় স্নায়ু কোষ দ্বারা! পদধ্বনির শব্দ কর্ণগোচর হলো খানিক বাদে। ঠিক আমার সামনে এসে শব্দের উৎস থেমে যায়! পূর্ব যে আমার সামনে দাঁড়িয়ে তা বুঝতে বেগ পেতে হলো না। কিয়ৎ পর তিনি বিরক্তিমাখা সুরে বললেন,

‘ পড়তে বসতে বলেছি আর এই মেয়ে ঘুমোচ্ছে। ফাজিল মেয়ে! কোনোদিন যদি ঠিকঠাক এই মেয়ে আমার কথা শুনতো..! ‘

আফসোসের সুরে শেষোক্ত বক্তব্য পেশ করে পূর্ব মৌন রূপ ধারণ করলেন। অতঃপর অনুভূত হলো আমার পায়ের গোড়ালির বেশ খানিকটা ওপরে বলিষ্ঠ এক হাত, পিঠের নিচে আরেক হাত! মাথা গিয়ে ঠেকলো আমার পূর্বের বক্ষঃস্থলের সাথে। শূন্যে ভাসছি পুরোপুরি! পূর্বের আকস্মিক কান্ডে ভিষণ রাগ হলেও দাঁত কিড়মিড় করে সেভাবেই চুপ হয়ে রইলাম! আঁখিপল্লব খোলা দায়! খুলবো না! পূর্বের সাথে কথা বলার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার নেই।

পূর্ব দ্রুত গতীতে হেঁটে আমায় বেডে শুইয়ে দেন। মুখশ্রীর সামনে এসে থাকা চুলগুলোকে আলগোছে কানের পিঠে গুঁজে দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। নিঃশব্দতা! আলত করে আঁখিজোড়া খুলতেই দৃশ্যমান হলো পূর্ব রুমের লাইট বন্ধ করার জন্য সুইচের দিকে যাচ্ছেন। পুরো দৃশ্য দেখে চটপট আঁখিপল্লব আগের ন্যায় করে ফেললাম! খানিক বাদে পূর্ব এসে আমার পাশে ব্যাবধান বজায় রেখে শুয়ে পড়লেন। তবে ভিন্নতা স্বরূপ দেখা মিললো সে তার ডান হাত দ্বারা আমার একহাত আঁকড়ে নিয়েছেন। শিউরে উঠে ‘ আমি ঘুমে আছি ‘ এমন ভান করে হাত সরাতে নিলে কাজ হলোনা।

_____________

৬ দিন পর পর পরিক্ষা! সব পরিক্ষা শেষে আজ শেষোক্ত পরিক্ষা ছিলো। এক্সাম হল থেকে বের হয়ে রিকশা ধরে নিজেদের বাসায় চলে আসি। পূর্বকে জানানো হয়নি তবে এহসানকে বলে এসেছি। আজ পরিক্ষা দিতে আসার আগ সময়ে মামনি, ভাবীকে বলা হয়েছে আমি এক্সাম শেষ করেই নিজেদের বাসায় চলে যাবো। পূর্ব শুনেছিলেন কথাটি। তবে সে নিশ্চুপ ছিলেন। যেনো অনুভূতিহীন মানব সে! মামনি যাওয়ার অনুমতি দিলেও তার মুখশ্রী ছিলো বিষন্নকার!

রিকশায় বসে আমারও কেমন পেইন ফিল হচ্ছিলো।যেনো অতীব মূল্যবান কিছু ফেলে আমি চলে এসেছি। পরবর্তীতে নিজেকে সামাল দেয়ার প্রয়াসে আশেপাশ দেখায় ব্যাস্ত করি আঁখিজোড়া কে। ইশ! কি মুশকিল! বাসার কাছে যতো এগোচ্ছি, খারাপ লাগাটা ঠিক ততভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে।
বাসায় পা রাখতেই আম্মুর অশ্রুসিক্ত আঁখিপল্লব দেখে রাগ লাগলো! তবে আম্মুকে বুঝিয়েও লাভ হলো না। ভাইয়া এগিয়ে এসে মাথার পেছনে আলত হাতে থাপ্পড় দিয়ে বলল,

‘ পিচ্চি বড় হয়ে গেছে আম্মু। ও এখন একাই থাকতে পারে। কান্নাকাটি থামাও! ‘

ভাইয়া, আম্মুর সাথে কথার তালে মক্ত থাকার ক্ষনকালে ড্রইং রুমে সরু দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে দৃশ্যমান হলো আপুর পাংশুটে মুখশ্রী। অদ্ভুত চাহনি দিয়ে তাকিয়ে আছে। স্বাভাবিক হয়ে আপুর পাশে গিয়ে বসতেই আপু চট করে বলল,

‘ এতোদিন পূর্বের সাথে থেকেছিস। কেমন কেটেছে দিনকাল? তোরা কি ক্লোজ হয়েছিলি?পূর্ব কি তোকে স্পর্শ করেছে?’

আপুর কথায় বিষ্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকাই তার পানে। আমার সামনে বসে থাকা ব্যাক্তিটি কি আদও আমার বোন? এমন লাগামহীন কথা! উদ্ভট প্রশ্ন! আমি কড়া কন্ঠে বলি,

‘ এটা কেমন প্রশ্ন আপু? তোমার মাথা ঠিক আছে? এসব কি বলছো? বলার আগে তো তোমার কন্ঠনালী কাঁপা উচিত ছিলো। বিবেকে বাঁধেনি এমন কথা বলতে? ভাগ্যিস তুমি আমার বড় বোন। নয়তো এখনি তোমার গালে আমার হাতের চড় পরতে বেশিক্ষণ সময় লাগতো না। ‘

আপুর মধ্যে পরিবর্তন দেখা গেলো না। আমার কড়া কন্ঠে তার মাঝে খানিক পরিবর্তনও হলোনা। বরঞ্চ সে আগের সুরে বলল,

‘ তোর ভালোর জন্যই জিজ্ঞেস করছি দোলপাখি! তুই পূর্বের সাথে সংসার করিস না বোন। ও একটা পাগল। তোর জীবন ধ্বংস করে দিবে। তুই ফ্যামিলিকে বলে পূর্বকে ডির্ভোস দিয়ে দে! তোকে আরো ভালো জায়গায় বিয়ে দিবো আমরা। ‘

রাগ দমন হলোনা আর! বেশ জোরেসোরে আপুর গালে দুটো থাপ্পড় দিয়ে ক্ষ্যান্ত হই আমি। আম্মু, ভাইয়া ভেতরে চলে গিয়েছিলো ততক্ষণে। আপু বিষ্ময়কর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছে আমার পানে! হয়তো আশা করেনি আমি তাকে থাপ্পড় মারবো। পরিশেষে উঁচু কন্ঠে বলি,

‘ আমার হ্যাজবেন্ড কেমন তা আমি বুঝবো আপু। তোমাকে জ্ঞান দেয়ার দরকার নেই। আমার পারসোনাল লাইফে বাম হাত ঢোকানোর তোমার কোনো প্রয়োজন নেই। পূর্ব তোমার প্রাক্তন ছিলো বলে যা ইচ্ছে তাই বলবে আর আমি তা সহ্য করবো তা ভেবোনা। পূর্বকে নিয়ে একটা বাজে কথা বললে আমি তোমায় ছাড় দিবোনা! পূর্ব কেমন? এটলিষ্ট তোমায় নেশাখোর স্বামীর থেকে হাজার গুনে ভালো সে। মানুষকে সম্মান দিতে জানে। আগলে রাখতে জানে! ফারদার যেনো পূর্ব নামটা তোমার মুখে না শুনি। ‘

রুমে এসে শব্দ করে দরজা লাগিয়ে মাটি ঘেঁষে বসে পড়ি। রাগে রীতিমতো আঁখি জোড়া দিয়ে অজস্র নোনাজল গড়িয়ে পড়ছে। এলোমেলো পায়ে বেডে গিয়ে শরীর এলিয়ে দিতেই ঘুম নেমে আসে চক্ষুতে।

________

সন্ধ্যার রঙিন প্রহর! রাঙা আকাশে পাখির দলেরা অবিন্যস্ত রূপে উড়ছে নিজেদের বাসস্থানে ফেরার তাগিদে! হিম শীতল হাওয়া এসে একগাছি চুল মুখশ্রী সম্মুখে এসে আছড়ে পড়ে। গাঢ় ঘুম ভেঙে আড়মোড়া ভেঙে আঁখিপল্লব উন্মুক্ত করা মাত্রই দেখা মিললো অনাকাঙ্ক্ষিত এক ব্যাক্তির। পূর্ব দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে আমার পানে গভীরতর দৃষ্টি দিয়ে আছেন। তার এবং আমার মধ্যিকার দূরত্ব কিয়ৎ পরিমাণ! লাফ দিয়ে উঠে বসে হতভম্ব হয়ে বলি,

‘ আপনি এখানে? হাউ?’

পূর্ব ঠোঁট বাকিয়ে বললেন, ‘ কিভাবে মানে কি? দরজা দিয়ে এসেছি। ‘

‘ দরজা তো আমি লাগানো ছিলো। ‘

‘ লাগানো ছিলো! লক করা না। ষ্টুপিড! ‘

বিমূঢ় হয়ে আশপাশে অবলোকন করে চটজলদি ন ওড়নাটা নিজের সাথে আষ্টেপৃষ্টে মিশিয়ে নিয়ে ফোঁস করে শ্বাস ফেলি। হুট করে এই লোককে দেখায় হৃদপিন্ড অস্বাভাবিক গতীতে লাফাচ্ছে। লম্বা শ্বাস টেনে তার প্রতি দৃষ্টি ফেলে বললাম,

‘ এখানে এসেছেন যে?কোনো দরকার? ‘

পূর্ব তার ডান ভ্রু উঁচু করে বললেন, ‘কেনো? দরকার ছাড়া আসা নিষেধ নাকি?’

থতমত খেয়ে ফিচেল কন্ঠে বলি, ‘ আরে নাহ্! আমি এটা কখন বললাম?’

পূর্ব তার গুটনো হাতজোড়া তুলতুলে বিছনার ওপর স্থাপন করলেন। মাথা খানিকটা আমার মুখশ্রীর প্রতি ঝুঁকিয়ে নিয়ে রাশভারী কন্ঠে বললেন,

‘ বলে আসতে এতো দ্বিধা কিসের তোমার? অলওয়েজ না বলে এখানে – সেখানে চলে যাও! তোমার এই বিহেভটা আমার বড্ড বিরক্তির কারণ। কবে যেনো কন্ট্রোললেস হয়ে ঠা-স করে থাপ্পড় লাগিয়ে বসবো তোমাকে। ‘

কন্ঠের খাদ নামিয়ে বিড়বিড় করে বলি, ‘ হ্যা মারবেনই তো! এই মার দেয়া ছাড়া আপনি আর কি পারেন? বিয়ের পর থেকে যতসব উদ্ভট অত্যাচারের সাথে পরিচিত হতে হচ্ছে শুধুমাত্র আপনার কারণেই।’

চিবুক হতে মাথা তুলে পূর্ণ দৃষ্টি পূর্বের দিকে স্থির করতে দৃশ্যমান হলো তার উষ্কখুষ্ক চুল, অগোছালো শার্ট, কিয়ৎ রক্তিম আঁখিজোড়া। তার মুখ শুকিয়ে একটুখানি প্রায়। পূর্বের অবস্থা দেখে কিঞ্চিৎ অবাক হই। তার এই অবস্থার জন্য দায়ী কে? হয়তোবা দায়িত্ব! আজ তার রোগী দেখার যেমন প্রেশার ছিলো তেমনই অপারেশন করার সংখ্যাও ছিলো লম্বা। এহসানের থেকে এতটুকুই জেনেছিলাম। কোনো বিরতি নেই! সব একটানা! তাই তাকে না বলে চলে এসেছিলাম। এতো সময় তার জন্য অপেক্ষা করা সম্ভব নাকি?

অন্তরালের বার্তা আদান – প্রদান শেষে নম্র কন্ঠে বলি,

‘ খেয়ে আসেননি তো আপনি! যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। আমি আম্মুকে খাবার দিতে বলি। ‘

পূর্ব ঠোঁট বাকিয়ে বললেন, ‘ তুমি জানলে কি করে খাইনি?’

‘ আজকে আপনার রোগী দেখা এবং অপারেশন করার সংখ্যা বেশি ছিলো। অবসরের নূনতম টাইম ছিলোনা! তার কারণেই না জানিয়ে এসেছিলাম আপনাকে। আর এই ব্যাস্ত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত খাওয়ার সময় পাননি। বাসায় গিয়েছেন বলে মনে হচ্ছেনা। হসপিটাল থেকে সোজা আমাদের বাসায় এসেছেন না? ‘

পূর্ব বসা থেকে জরতা কাটিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। শার্ট ঠিক করে নিয়ে রাশভারী কন্ঠে বললেন,

‘ খাবার দিতে বলার দরকার নেই। আজ আমরা রেষ্টুরেন্ট যাচ্ছি সবাই। ভাবী, সায়ান, মা, তোমার আম্মু, আর তোমার বড় বোন! সবাই যাচ্ছে। তার জন্য এখানে আসা। মা, ভাবী পৌঁছে গিয়েছে রেষ্টুরেন্টে। তোমাদের নিতে করতে এসেছি আমি। রেডি হয়ে এসো। আমি সায়ানের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসছি। ‘

পূর্ব কথা শেষে চলে যান। আমি আঁড়চোখে সেদিকে পরখ করে নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম।

.

রুম থেকে বাহিরে আসতেই পূর্ব আর ভাইয়াকে দেখা গেলো সোফায় বসে কথা বলছে। আপু তাদের থেকে কিয়ৎ দূরে দাঁড়িয়ে। আপুকে দেখা মাত্র সকালের ঘটনা মনে পড়লো। নিজেকে ধাতস্থ করে পূর্ব আর ভাইয়ার কাছে গিয়ে বলি,

‘ চলুন! আমি রেডি। ‘

আম্মু পাশেই দাঁড়ানো ছিলো। পূর্ব আমার কথা শ্রবণ করে উঠে দাঁড়ালেন। স্পষ্টত খেয়াল হলো তিনি আঁড়চোখে বারংবার আমার দিকে তাকাচ্ছেন।সেদিকে পরোয়া না করে আমু আপুর পানে দৃষ্টি ফেলি! সে উদ্ভটতর ভাবে তাকিয়ে আছে। গাড়িতে পূর্বের পাশে আপু বসতে নিলে আমি চটপট আপুকে থামিয়ে দিয়ে পূর্বের পাশে বসলাম। ম্লান হেঁসে বলি,

‘ তুমি ভাইয়ার পাশে বসো না আপু। তোমার তো ফ্রন্টসিটে বসতে ভালো লাগেনা। ‘

আপু কৃত্রিম হাসলেন! বুঝলাম রেগে গিয়েছে তবে পরিবেশ হিসেবে স্বাভাবিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করলেন। রেষ্টুরেন্টে পৌঁছে মামনি, ভাবীর সাথে কুশল বিনিময় করার পর নিজ স্থানে বসতেই খেয়াল হলো চারপাশে আপু নেই! ওয়াশরুমের নাম করে উঠে গিয়ে আপু যেদিকে গিয়েছে সেখানে আসতেই কর্ণগোচর হলো আপুর ফিসফিস কন্ঠ!ফিসফিসিয়ে সে ফোনে বলছেন,

‘ পূর্বের থেকে দোলকে সরানো মুশকিল। দোলা পছন্দ করা শুরু করেছে মেবি পূর্বকে। পূর্বকে নিয়ে নেগেটিভ কথা বলায় আজ ও আমায় দু’টো থাপ্পড় মেরেছে। আমার দ্বারা আর সম্ভব না আর। তুমি অন্য উপায় দেখো। এই প্লানটা ফ্লপ হয়েছে। ‘

চলবে…

[রি – চেইক করা হয়নি। ]