মেঘ বলেছে তুমি আমার পর্ব-০৩

0
257

#মেঘ_বলেছে_তুমি_আমার❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ০৩
_______________

‘ তুমি এই বিয়েতে রাজি তো অহনা?’

খুব সাবলীল গলায় কথাটা বলে উঠল আহিয়ান অহনাকে। আর আহিয়ানের কথা শুনে অহনা চুপ করে রইলো কিছু বললো না। অহনার নীরবতায় আহিয়ান বেশ হতাশ হলো। পুনরায় আবার বললো,

‘ কি হলো তুমি কথা বলছো না কেন? তোমার কি আমায় পছন্দ হয় নি অহনা?’

অহনা এবার মুখ খুললো। নীরব স্বরে বললো,

‘ আপনাকে পছন্দ না হওয়ার কোনো কারণ তো দেখছি না।’

আহিয়ান খুশি হলো। বললো,

‘ তাহলে তুমি বিয়েটাতেও রাজি অহনা।’

অহনা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলতে লাগলো,

‘ জীবনে এমন কিছু সময় থাকে যখন আমরা চেয়েও কিছু বলতে পারি না। আবার এমনটাও বলা যায় আমাদের বলতে দেওয়া হয় না। মেয়ে মানুষ তো এদের মতামতের কি খুব দরকার আছে বলুন।’

আহিয়ান খুব চমকালো অহনার কথা শুনে। চিন্তিত হয়ে বললো,

‘ তুমি কি কারো ওপর অভিমান করে আছো অহনা?’

‘ না অভিমান করবো কেন মেয়ে মানুষদের সেসব করারও অধিকার কম আছে আহিয়ান। আপনায় বিয়ে করতে আমার সমস্যা নেই? কেননা সমস্যা তখনই হতো যখন এই মুহূর্তে আমার জীবনে কেউ থাকতো কিন্তু এমনটা নেই। তাই বিয়েতে রাজি না হওয়ারও কোনো কারণ দেখছি না।’

আহিয়ান কি বলবে বুঝতে পারছে না। নীরবতা চললো দুজনের মাঝে। আহিয়ানও চুপ রইলো আর অহনাও মাঝখানে শুধু শোনা গেল দুজনের নিঃশ্বাসের শব্দ।’

_____

ড্রয়িংরুমে সোফার ওপর বসে আছে নীলয়। মোবাইল দেখছে সে আর তার সামনেই বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য ব্যাগ গোছাচ্ছে নীলয়ের মা। আজ রাতের ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশ যাবে। নীলয় বেশ বিরক্ত এসবে তাও মুখখানা এমন যেন সে খুব খুশি আর এক্সাইটেড। নীলয়ের মা ব্যাগ গোছাতে গোছাতে ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘ তুই যেগুলো নিবি সেগুলো বিছানার উপর বের রাখ আমি গুছিয়ে দিচ্ছি।’

উত্তরে মোবাইলের দিকে তাকিয়েই জবাব দিলো নীলয়,

‘ তোমায় কিছু করতে হবে না মম আমি নিজেই গুছিয়ে নিবো।’

‘ তুই পারবি?’

‘ এটা কেমন কথা মম পারবো না কেন?’ এর আগে আমি ব্যাগ গুছাইনি নাকি।’

‘ তা ঠিক আছে। একটু তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নে রাতেই কিন্তু ফ্লাইট।’

নীলয় ঘড়ি দেখলো ঘড়িতে এখন দুপুর দুটো বাজে। তাদের ফ্লাইট সেই রাতে এখনো অনেক সময়। নীলয় ঘড়ির টাইমটা দেখেই বললো,

‘ মম এখন কেবল দুপুর দুটো বাজে এখনো অনেক সময় আছে ব্যাগ গোছানোর।’

‘ তুই কিন্তু প্রতিবার এমনই করিস তারপর আমাদের বের হতে লেট হয়। তাই জলদি যা রুমে গিয়ে নিজের জিনিসপত্রগুলো গুছিয়ে নে।’

নীলয় এবার বের বিরক্ত হয়ে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। বললো,

‘ তুমিও না মম।’

বলেই আর না দাঁড়িয়ে ছুটে গেল নিজ রুমের উদ্দেশ্যে। আর নীলয়ের যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে নীলয়ের মা হাসলেন। এহেম সময় সদর দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকলো নীলয়ের বাবা। মুখে তার মিষ্টি হাসি। ফাইনালি অনেকগুলো বছর পর তারা তাদের দেশে যাচ্ছেন। সেই কাঁদা মাটির ঘ্রাণ নিতে। গ্রাম বাংলার কথা মনে উঠলেই ভিতর থেকে এক অন্যরকম প্রশান্তি ফিল করেন নীলয়ের বাবা। অনেকগুলো বছর কেটে গেল সেই দেশিও মাটির ঘ্রাণ আর নাকে আসে না। বাবা মায়ের কবরখানাও দেখা হয় না। নীলয়দের ভিটে বাড়িতে কেউ থাকে না প্রায় বছর চারেক আগে বাড়িটা বিক্রি করে দেয় নীলয়ের বাবা বিক্রি করতে চান নি কিন্তু ওইসময় পরিস্থিতিটাই এমন ছিল যে বাধ্য হয়ে বিক্রি করাই লাগলো। এর আগেও অহনার বড় চাচার দুই মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত হয়ে ছিল কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে একবারও যাওয়া হয় নি। কিন্তু এবার তৃতীয় বিয়েতে যাচ্ছেন। বেশ ভালো লাগছে আফজাল হোসেনের। কতটুকু কি আগের মতো আছে কে জানে? নিশ্চয়ই অনেককিছু বদলে গেছে।’
____

ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত দশটা বাজে। ডাইনিং টেবিলে বসে ডিনার সারছিল অহনার পুরো পরিবার। অহনাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি অহনার বাপ চাচারা মিলে তিন ভাই আর দুই বোন। দুই বোনকেই বিয়ে দিয়েছেন। অহনারা আর অহনারা দুই চাচা মানে তারা তিন ভাই একসাথে থাকেন। অহনার বাপ চাচারা বিভিন্ন কাজে লিপ্ত আছেন। ধানের ক্ষেত, ফলমূল চাষ, মুরগী আর হাসের খামার, মাছের চাষসহ নানা পদের কাজ করেন তারা। সংক্ষিপ্তে বলতে গেলে তারা কৃষিকাজ করেই নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন।’

অহনার বড় চাচা মোশারেফ উদ্দিন। ওনার দুই মেয়ে ছিল লিলি আর বুশরা দুজনকেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। এরপর অহনার বাবা ওনারও দুই মেয়ে অহনা আর নীলা। অহনা অর্নাস সেকেন্ড ইয়ার আর নীলা সেভেনে পড়ে। শেষের জন আলতাব উদ্দিন ওনার দুই ছেলে কোনো মেয়ে নেই। ছেলে হিসেবে এই দুই ছেলেই ধরতে গেলে পুরো পরিবারের চোখের মণি। বড় ছেলের নাম আহির, আর ছোট জন জহির। আহির ইন্টারে পড়ছে আর ছোট জন নীলার সাথে সেভেনে পড়ে। এছাড়াও অহনার দাদা দাদিও আছে। সব মিলিয়ে পুরো হুল্লোড় করা ফ্যামিলি। সবাই মিলেমিশে থাকে একসাথে।”

হঠাৎই খাওয়ার মাঝে অহনার বাবা বললেন,

‘ কাল আফজালরা আসবে বাবা? সকালে আমি আর আলতাব স্টেশনে গিয়ে নিয়ে আসবো। বড় ভাইয়া ততক্ষণ এদিকের কাজগুলো দেখবে।’

উত্তরে অহনার দাদাও বললো,

‘ হুম তাই করিস ভালো করেছিস বিয়ের দু’সপ্তাহ আগেই ওদের আসতে বলেছিস একবার আসুক শুধু কান একদম ছিঁড়ে দিবো দেখিস।’

দাদার কথা শুনে সবাই হাসলো। অহনাও খানিকটা হাসলো। অহনা তার বড় চাচাকে কিছু ভাত দিয়ে বললো,

‘ আর একটু দিবো তোমায়?’

‘ না আর লাগবে না।’

অহনা শুনলো সরে গেল ওখান থেকে। মোশারেফ অহনার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘ শরীফ, লিলি বুশরাকেও আসতে বলেছিস তো।’

‘ হুম ভাইয়া বলেছি বললো তো কাল পরশুর মধ্যে আসবে।’

‘ আচ্ছা চাচ্চু বিয়ে তো সেই দু’সপ্তাহ পর সবাইকে এত দ্রুত দ্রুত ডাকছো কেন (আহির)

আহিরের কথা শুনে অহনার বাবা মুচকি হেঁসে বললো,

‘ বিয়ে তো ধরতে গেলে একদিন হবে কিন্তু আনন্দটা দীর্ঘ দিনের চাই। যতই হোক এই অহনার বিয়ের পর আর খুব শীঘ্রই কারো বিয়ে পড়বে না। আর তাছাড়া সবাই মিলে একসাথে কাজ করার মজাটাই আলাদা পুরো বাড়িটা দেখবি আনন্দে ভরে যাবে।’

শরীফের কথা শুনে সবাই খুশি হলেন। তারপর হাসি মুখে সবাই ডিনার সারলেন। কাল সকালে গিয়ে প্রায় দুপুরের দিকে নীলয়রা আসবে। বহুবছর পর আবার তারা চার ভাই যেন এক হবে। নীলয়ের বাবা সম্পর্কে এ পরিবারের কেউ না হলেও অহনা দাদু বাপচাচারা তাকে এই পরিবারের একজন মানুষই মনে করেন। দূরত্বটা বহুবছরের হলেও সম্পর্কের গভীরতা একটুও কমে নি তাদের।’

____

নিকষকালো অন্ধকারে ঘেরা চারপাশ। আকাশটায় কালো মেঘেরা ভাসছে। চার নাম্বার সারির উইন্ডো সিটে বসে আছে নীলয়। তার আগের সারিতে বসে আছে তার বাবা মা। নীলয় চোখ বুঝিয়ে নিলো। আপাতত তেমন কিছু ভাবলো না। যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও যাচ্ছে তো, নীলয় এই প্রথম তার অপছন্দের একটা কাজ করে বসলো। যদিও বিয়ে তার অপছন্দ হলেও বাংলাদেশ খারাপ না। তার তেমন কিছু মনে নেই বাংলাদেশ সম্পর্কে। যাক এবার না হয় একবার ঘুরেই আসুক বাংলাদেশ। দেখেই আসুক গ্রামীণ প্রকৃতি। ভেজা মাটির গন্ধ, পাখিদের কলরব, মাঝিদের নৌকার ঝলকানি আরো কত কি?’
এ রকম নানা কিছু ভাবতে ভাবতেই ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো নীলয়। পরে ঘুম ভাঙল তার বাবার ডাকে যখন সে অলরেডি বাংলাদেশের বুকে পা রেখে ফেলেছে।’

অহনাদের বাড়িতে ছোটখাটো হুড়িহুড়ো পড়েছে নীলয়রা এসে পড়েছে সিলেটের স্টেশনে। আর এক দেড় ঘন্টার মাঝেই এসে পড়বে তারা। ছোট্ট কিছু কথা গল্পে ব্যবহারকৃত গ্রামের নামটি বরিশালে থাকলেও সিলেট রূপে দেখানো হলো। এছাড়া পরিবর্তি পর্বগুলোতে যে প্রকৃতির বর্ননা দেওয়া হবে সেগুলোকে কেউ আবার বাস্তবে নিবেন না। পুরো গল্পটাই কাল্পনিক। তার সাথে প্রকৃতির বর্ণনাগুলোতেও থাকবে কাল্পনিকতা তবে টুকিটাকি মিল থাকলেও থাকতে পারে তবে অধিকাংশই কাল্পনিক থাকবে।’

অহনার মা নীলাকে ডাকলেন নীলয় আর ওর বাবার মায়ের জন্য উপরের দুটো রুম রাখা হয়েছিল যা গুছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নীলাকে। অহনার মা চেঁচিয়ে ডাকলেন নীলাকে বললেন,

‘ নীলা উপরের রুম দুটো পরিষ্কার হয়েছে তো ওনারা কিন্তু এলো বলো।’

নীলা আচমকাই চমকে উঠলো। কারন নীলয়ের বাবা মায়ের রুমটা সে গুছিয়ে রাখলেও নীলয়ের রুমটা গোছাতে ভুলে গেছে। কিন্তু এই কথাটা এখন মাকে বললে মা তো পিঠে খুন্তি ভাঙবে। নীলা কাঁপা কাঁপা স্বরে বললো,

‘ হা মা হয়ে গেছে তুমি চিন্তা করো না।’

‘ হুম ঠিক আছে যদি কোনো গড়মিল করিস তাহলে কিন্তু পিঠের চামড়া আর আস্তো রাখবো না।’

‘ হা ঠিক আছে, ঠিক আছে।’

বলেই সে দৌড়ে ছুটলো নীলা অহনার রুমে। অহনা তখন বই পড়ছিল। নীলা দৌড়ে এসে অহনার হাত থেকে বইটা নিয়ে বললো,

‘ আপু তাড়াতাড়ি চল।’

নীলার হঠাৎ হতভম্ব হওয়া কণ্ঠ শুনে অহনা অবাক হয়ে বললো,

‘ কোথায় যাবো?’

নীলা সময় নিলো না দ্রুত অহনার হাত ধরে দৌড়াতে দৌড়াতে বললো,

‘ নীলয় ভাইয়ার রুমটা পরিষ্কার করতে হবে আপু। আমি ভুলে গেছিলাম। ওদিকে ওনারা প্রায় এসে পড়েছে। চল না দুজন একসাথে রুমটা পরিষ্কার করে নেই মা জানলে আমায় আর আস্তো রাখবে না।’

‘ তোর এত ভোলা মন কেন বলবি আমায়?’

‘ প্লিজ আপু এখন চিল্লাস না আগে রুমটা পরিষ্কার করি তারপর সব শুনবো।’

অহনা কিছু বললো না ছুটলো নীলার পিছন পিছন। তারপর দ্রুত নীলয়ের রুমটায় ঢুকে পরিষ্কার করতে লাগলো দুজন। পুরো রুমটায় ধূলোতে জমে আছে। অহনা কোমড়ে ওড়না বেঁধে দ্রুত রুম ঝাড় দিতে লাগলো, রুমে জানালা খুলে দিলো মুহূর্তেই। রুমের জানালা খুলতেই এক ঝাঁক কবুতর ছুটে গেল দূরে। রুমটার অবস্থা বেশ খারাপ অহনা খানিকটা রাগান্বিত হয়ে বললো,

‘ তুই এমন কেন নীলা? সবসময় গন্ডগোল করিস আরো আগে মনে করতে পারলি না।’

‘ সরি আপু।’

অহনা আর কিছু বললো না।’
___

অহনাদের বাড়ির সামনে এসে থামলো একটা গাড়ি সেই গাড়ি থেকে নামলো নীলয়, নীলয়ের মা বাবা, অহনার বাবা আর ছোট চাচা। নীলয় পুরো জায়গাটায় চোখ বুলালো মেচমেচে ধুলো উড়ছে।’

অতঃপর আস্তে আস্তে নীলয় পা রাখলো অহনাদের বাড়ির ভিতর। নীলয়দের দেখেই সবাই দ্রুত গেল তাদের সামনে কুশল বিনিময় করলো। ওদেরকে সামনের মোড়ায় বসিয়ে শরবত দেওয়া হলো নীলয় নিলো। না চাইতেও হাত মুখ না ধুয়েই শরবত খেল সে। অহনার মা বললেন,

‘ তুমি কত বড় হয়ে গেছো নীলয়। সেই তুমি যখন পুঁচকে ছিলে তখন দেখেছিলাম।’

উত্তরে শুধু হাল্কা হেঁসে বলে নীলয়,

‘ আমি একটু ফ্রেশ হতে চাই আমার রুমটা যদি,

আর বলা লাগলো না দ্রুত অহনার ছোট চাচি বললো,

‘ হুম একটু দাঁড়াও?’

এই বলে তিনি ডাকলেন জহিরকে। জহিরও দৌড়ে এসে বললো,

‘ জি মা ডাকছিলে,

‘ হুম তোমার নীলয় ভাইয়াকে উপরের একদম কর্নারের রুমটায় নিয়ে যাও।’

‘ আচ্ছা মা।’

নীলয় উঠে দাঁড়ালো বাবা মাকে তেমন পাত্তা না দিয়ে সে এগিয়ে গেল জহিরের সাথে সাথে।’

অন্যদিকে,

নীলা উপর থেকে দেখলো নীলয় ভাইয়া এদিকেই আসছে। নীলা দ্রুত ভিতরে ঢুকে বললো,

‘ আপু চল জলদি নীলয় ভাইয়া রুমে আসছে।’

‘ হুম হয়ে গেছে চল।’

‘ হুম দ্রুত আসো বলেই দ্রুত ছুটে গেল নীলা।’

নীলয়ের রুম পরিষ্কার করা কমপ্লিট অহনা বেরিয়ে আসতে যাবে হঠাৎই উপরের টিনের ছাউনিটায় কিছু ময়লা দেখলো। অহনা না চাইতেও খাটের ওপর একটা টুল রেখে সেটা সরাতে লাগলো। সময় বেশি লাগবে না ভেবেই দ্রুত দ্রুত হাত চালাতে লাগলো অহনা।
.
জহির কতদূর এসেই হাতের ইশারায় নীলয়কে তার রুমটা দেখিয়ে বললো,

‘ ওই কর্নারের রুমটাই তোমার নীলয় ভাইয়া।’

‘ ঠিক আছে তুমি যাও,

বলতেই জহির চলে গেল। নীলয়ও বেশি না ভেবে একা একা হেঁটে এগিয়ে যেতে লাগলো তার রুমটার দিকে।’

#চলবে…..

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। আর গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে]

#TanjiL_Mim♥️