যদি তুমি জানতে পর্ব-৪+৫

0
365

#যদি_তুমি_জানতে
#ইসরাত_জাহান_তানজিলা
#পর্ব_4
-‘আংকেল এবাসায় থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি কালকেই বাসা ছেড়ে দিবো।’
তুরানের কথায় অবাক হয়ে আজিজ চৌধুরী তুরানের দিকে তাকায়। অবাক হবারই কথা! কত অনুরোধ করার পর আজিজ চৌধুরী তুরান কে বাসা ভাড়া দিয়েছে। নয়ত এমন ব্যাচেলর ছেলেকে কে ই বা বাসা ভাড়া দিবে?একটু থেমে তুরান আবার বলল,
-‘পুরো মাসের ভাড়া দিয়ে দিবো। এখন তো মাসের অর্ধেক।’
-‘তা তুমি এত অনুরোধ করে বাসা ভাড়া নিলে,এখন আবার ছেড়ে দিতে চাচ্ছো?’
-‘আসলে আমার একটু প্রবলেম হচ্ছে এখানে।’
-‘তোমার প্রবলেম সলভ করার জন্য তো আমি আছি। এখানে তোমার কি প্রবলেম হচ্ছে সেটা তুমি আমায় বলবে না?’
পর্দা আড়ালে দুই’টা কৌতূহলি চোখ দেখা যাচ্ছে। যে নিজেকে আড়াল রেখে আজিজ চৌধুরী আর তুরানের কথা শুনছে। তুরান আড় চোখে দেখে বুঝলো রুপা ছাড়া আর কে!
তুরান কে নিরুত্তর দেখে আজিজ চৌধুরী আবার বলল,
-‘কি প্রবলেম তোমার বলো? রুপার কারনে কোন সমস্যা হচ্ছে? ও কি তোমায় কোন রকম ডিস্টার্ব করছে?’
হ্যাঁ বলতে গিয়েও থেমে যায় তুরান । রুপা যতই যা করুক,রুপার প্রতি আলাদা টান কাজ করে তুরানের। মেয়েটা অবুঝ প্রকৃতির! ওর ঘাড়ে দোষ না দেওয়াই ভালো।
ইতস্তত বোধ করছে তুরান। হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তাড়াহুড়া ভাব নিয়ে বলল,
-‘আংকেল আমার বেরুতে হবে এখন।আসছি! পরে কথা বলবো আপনার সাথে!’
আজিজ চৌধুরীর ফ্ল্যাট থেকে বেড়িয়ে পরলো তুরান। লম্বা একটা নিঃশ্বাস ছাড়লো। একদম বেয়াক্কেল হয়ে গেলো যেন! কেন বাসা ছাড়বে তার উপযুক্ত কারন দাঁড় করিয়ে আজিজ চৌধুরীর কাছে যাওয়া উচিত ছিলো! এভাবে হুট করে গেলো। রুপার দোষ দিতে গিয়েও বিবেকে বাধা দিলো। মেয়েটা একটু অদ্ভুধ টাইপের। কেমন সহজ-সরল,মায়া-মায়া চেহেরা।
ভেবে চিন্তে একটা অজুহাত বের করে না হয় বাসা ছাড়ার কথা বলবে। কাঁধের উপর কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে পিছনে ফিরে তাকায় তুরান। চাপা কন্ঠে বলল,
-‘রুপা।’
রুপার চোখ গুলো ভেজা।কাঁদছে মেয়েটা। কেন কাঁদছে বুঝতে পারছে না তুরান।
-‘কি হয়েছে? এখানে আসছো কেন?’
আচমকা তুরান কে জড়িয়ে ধরে রুপা।
-‘আপনি এখান থেকে যাবেন না প্লীজ! বাবা-মা তাহলে আমায় দোষ দিবে! আজিজ চৌধুরী আমায় এ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবে।’
কারেন্টে শক খাওয়ার মত কেঁপে উঠে তুরান। এভাবে কাউকে জড়িয়ে ধরা যায় জানা ছিলো না তুরানের। নিজেকে সামলিয়ে বলল,
-‘আরে এভাবে জড়িয়ে ধরেছো কেন? ছাড়ো,ছাড়ো। কেউ দেখে ফেললে বাজে ভাব্বে।’
রুপা কান্না ভেজা কন্ঠে বলল,
-‘ছাড়বো না। আগে বলেন যাবেন না । আমি আপনার শার্ট,প্যান্ট ফেরত দিয়ে দিবো।’
রুপার স্পর্শে অদ্ভুধ শিহরন অনুভব করছে তুরান। মেয়েটার মাঝে সংকোচ বোধ নেই? থাকলে কি এভাবে কাউকে জড়িয়ে ধরে?
-‘না যাবো না। ছাড়ো এবার।’
তুরান কে ছেড়ে দেয় রুপা। চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। তুরান একটা চেয়ার টেনে বলল,
-‘বসো এখানে।’
রুপা এক বার তুরানের দিকে তাকিয়ে বাধ্য মেয়ের মত বসল।তুরান রুপার পাশে একটা চেয়ার নিয়ে বসলো।
-‘এখানে বসতে হলে কান্না থামাতে হবে।’
চোখের জল মুছতে মুছতে রুপা বলল,
-‘আপনি যদি বাবার কাছে আমার নাম বলতেন তাহলে আম্মুকে কথা শুনাতো খুব। তারপরও বুঝে গেছে হয়ত আমি আপনায় ডিস্টার্ব করছি তাই আপনি চলে যেতে চাচ্ছেন।’
-‘সে জন্যই বলি নি।’
তুরানের মাথায় ব্যান্ডেজ করা। রুপা তুরানের কপালের দিকে তাকিয়ে বলল,
-‘ আমি ইচ্ছা করে গ্লাস মারি নি।’
-‘তো কিভাবে মেরেছো?’
-‘জানি নি।’
তুরান একটু চুপ থেকে বলল,
-‘আচ্ছা তুমি তোমার বাবা-মায়ের কাছে থাকো না কেন?’
-‘তো আমি কার কাছে থাকি?’
-‘আজব! সাহেলা আন্টি তো তোমার খালা। আই মিন তুমি তোমার খালার কাছে কেন থাকো?’
-‘না, না উনি আমার মা। আরেক টা ডাইনি মহিলা আছে সে বলে আমি নাকি তার মেয়ে। কিন্তু আমার মনে হয় আমি সাহেলা আম্মুর মেয়ে।’
ফিক করে হেসে দেয় তুরান। সাহেলা আম্মুর মেয়ে! কি আজব কথা!
-‘তোমার আম্মু কে সেটা তুমি বলতে পারো না? এক জন বললেই হলো নাকি!’
-‘হ্যাঁ পারি তো বলতে। আপনার সাহেলা আন্টিই আমার আম্মু ।’
ধুর! হিসেব মিলাতে পারছে না তুরান। এই মেয়ের মেন্টালিটি প্রবলেম আছে।
-‘তুমি যদি আমায় আর কোন রকম ডিস্টার্ব করো আমি কিন্তু চলে যাবো । এটা তোমার লাস্ট চান্স।’
মাথা ঝাঁকিয়ে রুপা বলল,
-‘আচ্ছা ।’
চলবে…

#যদি_তুমি_জানতে
#ইসরাত_জাহান_তানজিলা
#পর্ব_5
দুপুরে রোদের ভিতর পায়ে হেঁটে ভার্সিটি থেকে ফিরছে তুরান। বেশ তাড়াতাড়ি হাঁটছে! রোদে মাথা ঝিমঝিম করছে। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ছেলে তুরান। বাবা-মা খুব কষ্ট করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছে। অবশ্য এখন টিউশনির টাকায়ই চলে যায় তুরানে। তবুও সব সময় হিসেব থাকে কিভাবে টাকা বাচানো যায়। ভার্সিটি থেকে পায়ে হেঁটে বাসায় আসলে ত্রিশ টাকা বেচে যায় । জীবনে সাকসেস হতে হলে এই টুকু কষ্ট তো করতেই হয়! তিন বোন এক ভাইয়ের মাঝে তুরানই বড়। বোন তিন জন তুরানের ছোট। টানাপোঁড়নের সংসারে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয় তুরানের বাবার।
ছোট্ট একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে তুরান। দুপুর বেলা রাস্তা পুরো ফাঁকা। এলোমেলো পায়ে তাড়াতাড়ি হেঁটে চলে আসলো বাসায়। বাসায় এসে কিছুক্ষন রেস্ট নিলো। আজকে রাঁধতে ইচ্ছা করছে না মোটেও। কলেজ লাইফ থেকে ম্যাচে থাকত তুরান। মাঝে মাঝে বুয়ায় অনুপস্থিতে রান্না করতে করতে এখন পাক্কা রাঁধুনী হয়ে গেছে! যদিও রাঁধুনী শব্দটা শুধু মেয়েদের সাথেই যায়।
রান্নার উদ্দেশ্য শোয়া থেকে উঠে ক্লান্তির জন্য আর রাঁধতে ইচ্ছে হলো না। আবার শুয়ে পরলো।
কলিং বেলের শব্দে ঘুমানো আর হলো কোথায়? খুব বেশী বিরক্ত নিয়ে দরজা খুলল তুরান।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে রুপা। হাতে এক প্লেট পোলাউ আর মাংস। রুপার দিকে জিজ্ঞাসা সূচক দৃষ্টিতে তাকালো তুরান।
মুচকি হেসে রুপা বলল,
-‘আপনার জন্য এনেছি।’
-‘সাহেলা আন্টি পাঠিয়েছেন?’
কোন উত্তর দেয় না রুপা। রুমে ঢুকে টেবিলের কাছে প্লেট টা রেখে বলল,
-‘নেন,নেন খেয়ে উদ্ধার করেন আমায়।’
অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তুরান । এখন একদম স্বাভাবিক মনে হচ্ছে রুপাকে। কালো রঙের একটা থ্রী পিচ পরা রুপা। চুল গুলো বেনী গাঁথা ,হাঁটু ছোঁয়াচে। ঠোঁটের নিচের তিলটা স্পষ্ট হয়ে আছে। বেশী পরিপাটি মনে হচ্ছে!
মনে মনে খুশি হয়েছে তুরান । রান্না করতে ইচ্ছা করছিলো না, এমন সময় যদি কেউ খাবার পাঠায়! অদ্ভুধ রকমের ভালো লাগে।
তুরান রুপার দিকে তাকিয়ে বলল,
-‘আমার শার্ট,প্যান্ট নিতে আসো নি তো আবার খাবার দেওয়ার বাহানায়?’
হেসে দেয় রুপা। হাসিটা স্বচ্ছ।
-‘না ,না শার্ট ,প্যান্ট তো ছাদ থেকেই নেওয়া যায়। তার জন্য কি রুমে আসার প্রয়োজন আছে?’
তুরান একটু ভেবে বলল,
-‘তাইতো।’
-‘আপনার সে দিনের প্যান্টটা দিয়ে দিবো। আলখল্লার মত ঢিলা হয়। শার্ট রেখে দিবো।’
বলেই তুরানের দিকে উত্তরের আশায় তাকায় রুপা।
তুরান মাথা নেড়ে বলল,
-‘আচ্ছা।’
হঠাৎ মুখ গম্ভীর করে রুপা বলল,
-‘সেদিন আপনার গায়ে গ্লাস মেরেছি,সে জন্য আম্মু আমায় থাপ্পর দিয়েছে। ভালোই করেছে তাই না? ভুল করলে তো সবাই মারবে।’
রুপার কথা গুলো কেমন যেন বাচ্চা টাইপ লাগছে তুরানের কাছে। এখন যেন একদম ইন্নসেন্ট রুপা!
বেশ মজা পাচ্ছে তুরান। বলে,
-‘হ্যাঁ মারবেই তো।’
-‘সে কি আপনি খাচ্ছেন না?’
তুরান খাবার মুখে নিলো । রুপা একটা চেয়ার টেনে তুরানের কাছে বসলো।
-‘আম্মু হাতের রান্না খুব মজা তাই না?’
খাবার মুখে দিতে দিতে তুরান বলল,
-‘হুম অসাধারন।’
-‘আপনি একাই খাবেন?’
খাবার মুখে দিতে গিয়েও থেমে যায় তুরান। হেসে বলে,
-‘তুমি খেয়ে আসো নি?’
-‘আরে বাবা আমি কখন খেলাম? আমি তো আমার খাবার আপনার জন্য নিয়ে আসলাম।’
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় তুরান। লজ্জাও পেয়েছে বেশ!
-‘তোমার খাবার তুমি আমার জন্য এনেছো কেন? আমি তো ভাবছি সাহেলা আন্টি পাঠিয়েছে। এখন তো আমি ভাত ,মাংস মেখে ফেলেছি। তুমি কি খাবে?’
-‘না,না আপনি খান। কিন্তু আমি আপনার সামনে বসে আছি আমায় একটু সাধা কি উচিত ছিলো না?’
অস্বস্তিকর অবস্থায় পরে যায় তুরান । ইচ্ছে করছে আধ খাওয়া ভাত আর মাংস ফেরত দিয়ে দিতে।
-‘আমি তোমায় সাধবো কিভাবে? ভাত তো এক প্লেটই এনেছো? আচ্ছা তুমি আমার জন্য ভাত আনতে গেলে কেন!আজব।’
রুপা হেসে বলল,
-‘আপনার সাথে ভাব জমাতে। না ,না ভাত ফেরত নিবো কেন? আপনি খেয়ে নিন।’
এখন আর ভাত গলা দিয়ে নামছে না তুরানের। রুপা মিটিমিটি হাসছে।
-‘লজ্জা পেয়েছেন বুঝি?’
কথা বলছে না তুরান । কিছুক্ষন চুপ থেকে গম্ভীর গলায় বলে,
-‘তোমার মাথায় কি প্রবলেম আছে? তোমার খাবার তুমি আমার জন্য এনেছো কেন?’
-‘বললাম তো ভাব জমাতে।’
একা একা বিড়বিড় করে বকছে তুরান।
রুপা চেয়ারটা টেনে তুরানের আর একটু কাছে গিয়ে বলল,
-‘একা খেতে লজ্জা পাচ্ছেন এখন? আচ্ছা_ আচ্ছা! আপনিও খান,আমায়ও দেন।’
-‘তোমার খাবার তুমি পুরো টা নিয়ে যাও।’
রুপা হাঁ করে বলল,
-‘দেন খাইয়ে দেন।’
নিঃসংকোচ আবেদন! রীতিমত অবাক হয়ে যায় তুরান। এভাবে অপরিচিত এক জন মানুষের সাথে এমন বিহেভ কিভাবে করা যায় ভেবে পায় না? আর রুপা চাচ্ছে টা কি? না… রুপার এসব পাগলামী কোন চাওয়া-পাওয়া খুঁজে লাভ নেই । বড্ড বাচ্চা টাইপের মেয়েটা ।খাম-খেয়ালির বশত করছে এসব।
তুরান কে নিরুত্তর দেখে রুপা আবার বলল,
-‘কি হলো দিচ্ছেন না কেন?’
-‘তুমি বাসায় যেয়ে খেয়ে নিও।’
চোখ লাল করে রুপা বলে,
-‘কেউ যদি আমার কথা না শুনে তাহলে আমার মাথা ব্যাথা হয়। কাঁদতে ইচ্ছা হয়। আপনি কি চান আমি পাগলামী করি?’
কি ধরনের ব্লাকমেইল এগুলো? তুরান এবার রেগে গিয়ে বলল,
-‘তোমার খাবার তুমি নিয়ে যাও। দ্যান বাসায় গিয়ে পাগলামী করো।’
মুখ গম্ভীর করে ফেলে রুপা। চোখ ছলছল করছে। আর একটু হলেই কেঁদে দিবে।
-‘আমার মুখে কি ময়লা আছে? খাইয়ে দিলে কি পাপ হবে?’
-‘দেখো রুপা তুমি বাচ্চা মেয়ে। তুমি এসব বুঝবে না। আমার রুমে তোমায় কেউ দেখলে বাজে বলবে। প্লীজ তুমি যাও।’
চেঁচিয়ে উঠে রুপা।
-‘যাবো না আমি।’
চেয়ায় ধরে শক্ত করে বসে। যেন কেউ রুম থেকে বের করতে না পারে।
-‘রুপা তুমি ভালো ব্রেনের ডাক্তার দেখাও।’
-‘ব্রেন কি?’
কথা বলে না তুরান। এলিয়েন মনে হচ্ছে রুপাকে।
-‘আপনি যদি আমায় খাইয়ে না দেন তাহলে আমি কাঁদবো,চিৎকার করবো।’
মেজাজ খারাপ হচ্ছে তুরানের।
-‘এই মেয়ে পাগল পেয়েছো তুমি আমায়? বের হও আমার রুম থেকে।’
তুরান রুপার হাত ধরে বের করে দিতে চাইলে চেয়ারের হাতল ধরে আরও শক্ত হয়ে বসে রুপা।
এমন পাগলামী মানুষ করে? ফুঁফিয়ে কেঁদে দেয় রুপা। বাচ্চা দের মত ঠোঁট বাঁকা করে কাঁদছে।
তুরান মহা বিপদে পরেছে যেন! এমন বিপদে আল্লাহ যেন কাউকে না ফেলে।
তুরান চরম বিরক্ত নিয়ে বলল,
-‘হাঁ করো খাইয়ে দিচ্ছে ।’
চোখের পানি মুছে রুপা হেসে বলল,
-‘উঁহু! এভাবে বললে খাবো না । মিষ্টি করে বলেন।’
তুরান রাগ চেপে বলল,
-‘রুপা শয়তান বেটি খেয়ে উদ্ধার কর আমায়।’
উচ্চশব্দে হেসে দেয় রুপা। হাসতে হাসতে বলে,
-‘বেটি কি?’
তুরান কোন কথা বলে না। প্লেটের বাদ বাকী পোলাউ রুপাকে খাইয়ে দিয়ে প্লেট টা রুপার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,
-‘আর কখনো আমার রুমের ধারে কাছে আসবে না ।
ভেংচি কেটে রুপা বলল,
-‘সে পরে দেখা যাবে ।’
ইস! ভাব জমাতে আসছে উনি! বদের হাড্ডি।রুপার বিষয়টা একটু আধটু ভাবাচ্ছে তুরান কে। রুপা এমন অদ্ভুধ কেন?
চলবে..