যদি দেখার ইচ্ছে হয় পর্ব-০৯

0
130

#যদি_দেখার_ইচ্ছে_হয়
#আফসানা_মিমি
|পর্ব: নয় |

বর্তমানে সংসার মিষ্টির। লায়লা বেগমের হাতে কিছুই যেন নেই। এই নিয়ে লায়লা বেগমের রাগটাও বেশি। এত বছরের সংসার কি না একটা মেয়ে এসে নিয়ে যাবে! তা সে মেনে নিবে না। সময় সাপেক্ষে সেও জয়ী হবে। মিষ্টিকে মোল্লা বাড়ির ত্রি সীমানায়ও রখবে না সে। কথাগুলো লায়লা বেগম বসার ঘরে বসে বসে ভাবছিল। মিষ্টিকে নিয়ে নাজিমউদ্দীন কিছুক্ষণ আগেই বাহিরে বের হয়েছেন। যেহেতু এখন মধ্যাহ্নভোজের সময়! রান্নাটা লায়লা বেগমরই করতে হবে। পানের বাটা পাশে রেখে কলির নাম ধরে হাঁক ছাড়েন তিনি। কলি তখন সাজতে ব্যস্ত ছিল। নাজিমউদ্দীনের সাথে মিষ্টিকে বের হতে দেখেই তার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চাপে। পাকের ঘরে কলিকে সাজা অবস্থায় দেখতে পেয়ে লায়লা বেগম ভ্রু যুগল কুঁচকে নেয়। প্রশ্ন ছুঁড়ে, “ অসময়ে সাজতে বসলি কেন? কোথায় যাবি?”

লায়লা বেগমকে অন্তিকের কথা বলে নিজের বিপদ ডেকে আনতে চায়না কলি। অগত্যা সে মিথ্যা বলে, “ এমনিতেই ছবি তুলতাম। কি বলবে, বলো!”

লায়লা বেগম কথাটা বিশ্বাস করলেন না যা তার ভোঁতা মুখশ্রী দেখেই বুঝা যাচ্ছে। কপাল কুঁচকে বলে,” আমাকে হাতে হাতে সাহায্য কর।”

কলি না চাওয়া সত্বেও মায়ের পাশে বসে। এটা ওটা এগিয়ে দিতে দিতে বলে, “ মা, ঐ বদমায়েশ মেয়েকে বি’ষ খাইয়ে মে’রে ফেললে কেমন হবে?”

লায়লা বেগম ভাবুক নয়নে তাকিয়ে উত্তর দেয়,“ বুদ্ধিটা খারাপ না। তবে সময় আসুক, কেন যেন মনে হচ্ছে এই মেয়ের মৃত্যু আমার মাধ্যমেই হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বি’ষ খাইয়েই আপদ বিদায় করব।”

কলি মায়ের কথায় খুশি হয়। এই আপদ বিদায় হলে তো তারও লাভ! অন্তিককে সে নিজের করে নিতে পারবে। মায়ের রাগে আরেকটু লবন ছিটিয়ে দিতে সুর টেনে কলি বলতে শুরু করে,“ তুমি ঐ মেয়ের সাথে পারবে কী? আমাদের কোনো পরিকল্পনাই তো তার উপর কাজ করে না। মেয়েটা কীভাবে যেন বুঝে যায়। মনে হয় ঐ মেয়ে মানুষ না, দেখলে না! বলা নেই, কথা নেই কীভাবে দাদা একদিনেই মেয়ের সন্ধান পেয়ে একেবারে বিয়ে করিয়ে নিয়ে আসছে! আমার মনে হয় এই মেয়ে কোনো ভুতপ্রেত হবে হয়তো!”

কলির কথায় লায়লা রামধমক দেয়। ভূতপ্রেতকে ভয় পায় সে। দিনেও ভূতের গল্প শুনতে পারে না। রাতে অদ্ভুৎ স্বপ্ন আসে তার, শরীর ঘেমে মন্দ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যায়। মায়ের ধমকে কলি হাতের কাজে মনোযোগ দেয়। সে মনে মনে মহা খুশি মিষ্টি চলে গেলেই সে ছক্কা মারবে।

——————-

ব্যস্তময় শহরে পা বাড়ালেই রাস্তাঘাটে যানবাহনের লাইন দেখতে পাওয়া যায়। রিকশার প্যাটার্ন ঘুরানো যানে আরোহন করতে প্রত্যেক তরুণ তরুণীরা আরামবোধ করে। নাজিমউদ্দীন মিষ্টি রিকশায় চড়ে শহরে ঘুরছে। রিকশার প্যাটার্ন ঘুরানোর শব্দে নাজিমউদ্দীনের মনে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। মনে হচ্ছে তিনি তার তরুণ বয়সে চলে গিয়েছেন। তখন রিকশা নতুন পথে অবতরণ করলেও প্রেয়সীর মন রাখার জন্য কতো শতবার চড়েছেন হিসাবে নাই।

“ কী দাদা, পুরোনো দিনে ফিরে গেলে নাকি? নাকি পাশে এতো সুন্দরী রমণীকে দেখে যুবক মনে করছো নিজেকে?”

মিষ্টির মিষ্ট কথায় নাজিমউদ্দীন হু হা করে হাসতে থাকেন। বুঝাই যাচ্ছে তিনার মেজাজ আজ ফুরফুরে। মিষ্টির কথার জবাবে বলেন, “ নাজমারে নিয়া কতো রিকশায় ঘুরছি! মেলায় গিয়া চুরি লিপস্টিক কিনা দিছি! আজ বহু বছর পর মনে পড়লো পুরানো দিনের কথা।”

“ পুরোনো সেই দিনের কথা গানটার কথা মনে পড়ে গেলো দাদা! চলো একসাথে গাই।”

নাজিমউদ্দীনও মিষ্টির তালে তাল মিলিয়ে গাইতে শুরু করেন,
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়!……

টিনের বেড়ায় বেষ্টিত একটি ছোটখাটো হোটেলে দুইজন দুপুরের খাবার খেতে এসেছে। মিষ্টি এদিকসেদিক তাকিয়ে দেখছিল।নাজিমউদ্দীন তখন জিজ্ঞেস করে, “ সস্তা হোটেল দেইখা খারাপ লাগছে?”

মিষ্টি মাথা নাড়িয়ে না বোধক ইশারা করে বলে, “ খারাপ লাগবে কেন? আমি কী ন্যাকা নায়িকা যে হেলেদুলে বলব, ছিহ্ এটা কেমন জায়গায় নিয়ে এলে? শুনে দাদা, আমি বাঙালি নারী। যেমন রাঁধতে জানি তেমন সবদিক সামলাতেও জানি।”

নাজিমউদ্দীন পূর্বের ন্যায় আবারও উচ্চ আওয়াজে হাসতে থাকেন। মিষ্টির বুদ্ধিমত্তা দেখে নিজের উপর গর্ব হয় তার! তার রাজস্বে মিষ্টির মতো পরিপূর্ণ কেউ হতে পারবে না। সেই পারবে মোল্লা বাড়ির সকল বিপদের মোকাবিলা করতে।

মন্টু নামের একজন যুবক এসে খাবার দিয়ে যায়। চার পদের ভর্তা সাথে শিং মাছের ঝোল। খাওয়ার এক ফাঁকে মিষ্টির উদ্দেশ্যে নাজিমউদ্দীন বলে ওঠেন, “ নাজমা দেখতে কেমন হয়েছে রে!”

কথাটা জিজ্ঞেস করার সময় নাজিমউদ্দীনের চেহারার চঞ্চলতা মিষ্টির দৃষ্টিতে এড়ায়নি। সে ভাতের লোকমা চিবোতে চিবোতে প্রত্ত্যুত্তরে দুষ্টু স্বরে বলে,“ দেখো তো! প্রেমিকার হাল অবস্থা জানার কতো তাড়া বুড়ো দাদার।তোমার ললনা দিনে দিনে যুবতী হচ্ছে গো!”

“ বল না মিষ্টি, নাজমার মাথার চুল কয়টা সাদা হয়েছে?”

“ আমি গুনে দেখেছি নাকি?”

প্রেয়সীর বেলায় সকল বীরপুরুষই যেন ভেজা বিড়াল। দাদার চিকচিক করা আঁখিদ্বয় মিষ্টির চোখ এড়ায়নি সে নাজিমউদ্দীনকে আর অপেক্ষায় রাখতে চাচ্ছে না তাই ভনিতা ছাড়াই বলতে শুরু করে, “ জোয়ান বয়সে দাদী যেমন সুন্দরী ছিল তেমনই এখনও আছে। মাথার চুল সামান্য সাদা হয়ে গেছে যা মেহেদীর আবরণে সদা ঢেকে থাকে।”

নাজিমউদ্দীন চোখ বন্ধ করে যেন যুবতী নাজমার সাথে বৃদ্ধ নাজমার প্রতিচ্ছবি অন্তরে একে ফেলেছেন। তা দেখে মিষ্টি মুখ ফসকে বলেই ফেলে, “ দাদীকে যখন এতোই ভালোবাসতে, তবে কেন ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করে নিয়েছিলে?”

মুহূর্তের মধ্যে নাজিমউদ্দীনের চোখের রং পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে বলতে শুরু করেন, “ আমি কাউকে ধোঁকা দেইনি। আমাকে তোমার দাদী ধোঁকা দিয়েছিল। মিথ্যা মরীচিকার পিছনে কতো ঘুরবে বলো? আমি তার জীবনে কিছুই ছিলাম না। মোহো ছিলাম যা একসময় ফুরিয়ে গিয়েছিল।”

মিষ্টি দেখতে পায় ব্যাপারটা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে তাই কথা ঘুরানোর জন্য বলে,“ তোমার নাতী তো আমার দিওয়ানা হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। কিন্তু চাচীর ভয়ে হাত ছুঁয়েও দেখে না। চাচীর ঘরে কী যেন একটা কাগজ আছে।আমার মনে হচ্ছে সেখানেই অন্তুর জীবনের বিশেষ কিছু লুকানো আছে।”

নাজিমউদ্দীন শান্ত হোন। চোখে মুখে চিন্তার ভাব এনে বলেন, “ কী হতে পারে?”

মিষ্টিও তাই ভাবছে কী হতে পারে? এ বাড়ির সকল মানুষের মধ্যে রহস্য লুকিয়ে আছে। মিষ্টি নাজিমউদ্দীনের উদ্দেশ্যে বলে, “ আমার কথা তুমি কীভাবে জানলে? দাদীর সাথে কথা হতো?”

“ ছয় মাসে একটা করে চিঠি পাঠাতাম। সেখানেই আমাদের জীবনের ছোট ছোট ঘটনা খুলে বলতাম।অন্তিকের মুখ দেখে বুঝতে পারতাম, ছেলেটা মা ছাড়া ভালো নেই। এই কথা জানালে তোর কথা বলে নাজমা। আমি আর দেরী করিনি অন্তিককের বউ হিসাবে ঘরে নিয়ে আসি।”

মিষ্টি মুচকি হাসে। মনে মনে বলে, “ তুমি আমাকে অন্তুর কাছে না আনলে আমি নিজেই চলে আসতাম দাদা!”

বিকালে বাদাম বুট খেতে খেতে দাদা নাতনি ঘরে ফিরে আসে। মিষ্টির হাতে অনেকগুলো ব্যাগ যা নাজিমউদ্দীন কিনে দিয়েছে। বিয়ের পর মিষ্টিকে সাধারণত মোল্লা বাড়ি থেকে বিশেষ কিছু কিনে দেয়া হয়নি। মেয়েটার তা নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। সে মন চিত্তকে প্রশান্ত রেখে মোল্লা বাড়ির সামলে নিতে ব্যস্ত থাকে।
——————–

সন্ধ্যা নাগাত অন্তিক বাড়ি ফিরে আসে। তার হাতে চারটা শপিং ব্যাগ। মিষ্টির পরিধানের জন্য কিছু সুতি জামা এনেছে সে। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে নিতেই কলির সামনে পড়ে অন্তিক। সাথে সাথে কপাল কুঁচকে নেয় সে। পাশ কে’টে চলে যেতে নিলে কলি পথ আটকায়। অন্তিকের হাতের ব্যাগের দিকে দৃষ্টি ফেলে বলে,“ আমার জন্য এনেছো বুঝি! আমি জানতাম তুমি আমার কথাই ভাবো। তুমি আমাকেই ভালোবাসো। ঐ মেয়ে তো দুই দিনের। আজ আছে কাল নাই। আমি সবসময় তোমার পাশে আছি।”

আকস্মিক অন্তিকের মেজাজ কেন যেন চড়া হয়ে গেল। সে কলিকে রামধমক দিয়ে বলল, “ তোর জন্য আনবো কেন? আমার বউয়ের জন্য এনেছি। তোর মতো খারাপ মেয়ের জন্য অন্তিক কাটাও আনবে না।”

কলি অন্তিকের কথা শুনে না। নির্লজ্জের মতো অন্তিকের হাত থেকে ব্যাগ কেড়ে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকে ভিতরে কী আছে দেখার জন্য। অন্তিক হাত বাড়িয়ে কিছু বলতে যাবে তখনই কোথায় থেকে মিষ্টি চলে আসে। কলির হাত মুচড়ে শপিং ব্যাগ কেড়ে নিয়ে রাগান্বিত স্বরে বলে,“ ব্যাগ দাতা ও ব্যাগের বস্ত্র দুটোই আমার। পরেরবার কোনো রাক্ষসী যদি ফিরেও তাকায় তো চোখ দুটো তুলে ফেলে আচার বানিয়ে রাস্তার কুকুরদের খাওয়াবো।”

কলিকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মিষ্টি অন্তিকেরহাত ধরে ঘরে চলে আসে। কলি সেখানে দাঁড়িয়েই রেগে কিড়মিড় করে বলে,” আজকের পর তো অন্তিককে আমার চাই ই চাই। তোকে সুখী হতে দিব না অসভ্য মেয়ে।”

ঘরে ফিরে মিষ্টি অন্তিকের গলা চেপে ধরে। রেগেমেগে সে অস্থির। কলিকে আরো কয়েকটি কথা বলে আসলে শান্তি পেত সে। বাহিরে রাগ দেখাতে না পেরে ঘরে দেখাচ্ছে। অন্তিকের গলা চেপে ধরে বলে,“ ছোট বোনকে ছোট বোনের নজরে দেখা যায় না?”

মিষ্টিকে অন্তিকের কাছে মজাদার খাবার মনে হচ্ছে। যাকে একটু টেস্ট করলে মন্দ হবে না। মিষ্টির কোমর চেপে বিছানায় শুইয়ে দেয় অন্তিক। মিষ্টির শরীরের উপর কিছুটা ভর ছেড়ে দিয়ে বলে, “ এতো ঝাঁঝ! একটু চেকে দেখতে হচ্ছে যে! তা কোথায় থেকে শুরু করব, ঠোঁট থেকে নাকি নাভির দুই ইঞ্চি উপর থেকে!”

মিষ্টি অন্তিকের দুষ্ট কথায় চোখ বন্ধ করে নেয়। অন্তিক তা দেখে বলে, “ আমার বাঘিনী আমার কাছে এলেই চুপসে যায় কেন? আদর কী কম হয়ে যাচ্ছে? ”

মিষ্টি অন্তিকের গলায় হাত রেখে মুখের কাছাকাছি এনে উত্তর দেয়, ঘরের বাঘের সামনে বাঘিনীর শক্তি দেখাতে নেই। যদি বাঘ ভয়ে পালিয়ে যায়!”

অন্তিক হেসে মিষ্টির নাকের ডগায় কামড় বসিয়ে বলে, “ তাই না! তাহলে তো বাঘের শক্তি দেখাতেই হয়!”

কথা শেষ করে অন্তিক মিষ্টিকে সুযোগ দেয় না। নিজের ঠোঁট জোড়া মিষ্টির ঠোঁটে ছুঁয়ে দেয়। দিনে দিনে মিষ্টি তার অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। অন্তিকের ইচ্ছে করে মিষ্টির মাঝে নিজেকে বিলীন করে দিতে। মন প্রাণ উজাড় করে ভালেবাসতে। সে ভালেবাসবে, মিষ্টিকে সে সময় দিচ্ছে। একজন নারী বিয়ের পর স্বামীকে অত্যাচারী হিসাবে নয় বন্ধু হিসাবে চায়।অন্তিক মিষ্টির কাছাকাছি থেকে তার বন্ধু হতে চায়। অনেক সময় নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মিষ্টিকে আদর করে বসে। যেই আদর মিষ্টির নামের মতো মিষ্টি আদর।
দীর্ঘ সময়ের লম্বা চুম্বনের পর অন্তিক মিষ্টিকে ছেড়ে দেয়। মিষ্টিকে জড়িয়ে ধরে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলে, “ আজ এতটুকুই বউ, এরচেয়ে বেশি কিছু চাইলে আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলব।”

মিষ্টি নিরুত্তর। অন্তিকের বুকের সাথে মিশে হৃদপিণ্ডের আওয়াজ শুনে যাচ্ছে শুধু সে।

———————

রাতের খাবার তৈরী করছে মিষ্টি। হাতের কাজ প্রায় শেষ। কিছুক্ষণ পর সবাইকে খেতে ডাকবে। এমন সময় প্রধান ফটকের কড়া নড়ে ওঠে। আসছি বলে মিষ্টি এগিয়ে গেলেও দরজা অন্তিক এসে খুলে দেয়। আগন্তুককে দেখে অন্তিক জড়িয়ে ধরে। আগন্তুক ভীষণ খুশি। সে মিষ্টির দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বলে, “ আরে মিষ্টি, তুমি এখানে?”

লে, নতুন আপদ হাজির।

চলবে…………