রাগী ম্যাম পর্ব-০১

#রাগী_ম্যাম

মা খাবার কই

রান্না হচ্ছে (মা)

আমার আজ পরিক্ষা আছে

তো

তারাতাড়ি যেতে হবে

গিয়ে কি করবি সেইতো ফেলে করবি। লজ্জা করেনা
বারবার পরিক্ষা দিতে

ধুর ভালোলাগা

(এই বলে বেরিয়ে আসলাম কলেজে যেতে যেতে আপনাদের আমার পরিচয় দি কেমন আমার নাম রফিকুল ইসলাম রাফি চার বার এইচএসসি দিয়ে ছি একবারো পাস করতে পারি নি পারব কি করে পড়াশোনা করিনা আমাদের কিকি সাবজেক্ট তাই জানি না প্রতি দিন কলেজ জানি ক্লাস করিনা ক্যাম্পাসে বসে সিগারেট টানি স্যারেরাও আমাকে চিনে ফেলেছে আমি এ কলেজ ছারসিনা যারা আমার জুনিয়র তারা সবাই ভার্সিটির ছাত্র আর আমি বিশ্ব বিখ্যাত বখাতে আর জারা আমার সাথে ছিল তার কেউ চাকরি করে কেউ বিয়ে ও করে ফেলেছে। প্রথম দুই বছর আমাকে বাবা মার ছিল কিন্তূ তারপর থেকে মারেওনি। জানে আমি ফেল করব আমাকে মেরে কি হবে সেই হাতে ব্যাথা পাবে। আমার কি আমার বাবা বড়লোক পাঁচটা আরদ আছে ঢাকাতে আমারা দুই ভাই বোন আর আমি আর আমার ছোট বোন আছে সেও আমার সাথে এইচএসসি দেবে ভালো না দুই ভাই বোন মিলে পরিক্ষা দেবে আমার বোনের নাম মিলি পড়াশোনায় ভালো কলেজের টপার আর আমি ফাজলামিতে টপার মনে হয় এবারেও পারবনা
আমার বোন পরিক্ষা দেবে বলে কি জতনো আমিওতো পরিক্ষা দেব আমার দিকে খেয়াল নেই কারো আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে বাইরে চলে আসলাম রেস্টুরেন্টে থেকে খাওয়া-দাওয়া করে কলেজ গেলাম পরিক্ষার হলে গিয়ে নিজের সিট খুঁজে বসে পরলাম আমার বোন ও আসল তার সিট খুঁজেছে দেখলাম আমার পাসে বসল আমাকে এখনো খেয়াল করেনি)

এইটা তোর সিট ‍(আমি‍)

হ্যা (অবাক হয়ে) (মিলি)

ও।একটু দেখাস কেমন

না

কেন

তুই পড়াশোনা করবিনা আর আমি তোকে দেখাব

আমার মিষ্টি আপু। আমি তোর বড় ভাই না পিলিজ

আচ্ছা তাহলে আমাকে গিফট দিতে হবে

ওকে
(মনে মনে ভাবলাম এবার আমি মনে হয় পাস করবো কারন আমার কলেজের টপার আমার পাশে তার উপর আমার বোন। মনে আর আনন্দ ধরে না। পরিক্ষা দিচ্ছি আমার চার জন বন্ধু আছে আমার মোতোই তারা দুবার দিয়ে ছে এবার দিলে তিনবার আর আমি চার বার হবে। আমার জন্যই তারা ইচ্ছে করে ফেল করেছে এমনিতেও পাস করতে পারতোনা। আমি আমার বোনের খাতা দেখে লিখলাম তারপর তাদের কাছে পাচ করলাম। এভাবেই সব পরিক্ষা দিলাম।আজ আমাদের রেজাল্ট দেবে কলেজে গেলাম। আমার বোন A+ পেয়েছে। আমি মোটামুটি পাস করেছি এই অনেক আমার বোন্ধু গুলাও পাস। আজ বাড়ি তে সবাই শক পেয়েছে কার আমি পাস করসি। তারপর ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম আমার বোনও একঐ ভার্সিটিতে আমার বন্ধু গুলাও ।আজ ভার্সিটিতে প্রথম দিন গেটাপ তেটাপ নিয়ে গেলাম ভার্সিটিতে ঢুকতেই যা ভাবছেন তা না বড় ভাই দের ডাক সেখানে মিলি ও আছে কান্না করছে)

এই শোন (বড় ভাই)

জি বলুন (ভদ্রভাবে বল্লাম প্রথম তো)

নতুন

জি

তাহলে সালাম দে

(সালাম দিলাম)

শোন ওকে প্রপোজ কর (বোনকে দেখিয়ে। বোন দেখি কাঁদছে। এটা বলার সাথে সাথে ঠাসসসস ঠাসসসস করে লাগিয়ে দিলাম বড় ভাই র গালে সাথে সাথে ঐ পাসে দিয়ে পরল গাল ফেটে রক্ত বের হলো)

তোর এতো বড় সাহস আমাকে মারলি (বড় ভাই)

‍(এই বলে আমাকে মারতে আসল দিলাম ঘুসি মনে হয় হার ভেঙ্গে গেছে।তার পর তার বন্ধুরা আসলো মারতে তাদের কে উরা ধুরা দিলাম সব কটাকে )

ও আমার বোন ওর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করিস তাহলে খুব খারাপ হবেহ (আমি)

ওরা তোর সাথে কি করেছে

কিছুনা ভাইয়া শুধু হাত ধরেছে তাই ভয়ে কান্না করেছি (বোন)

তার পর ক্লাস খুঁজে বেঞ্চে বসে পরলাম। ফাস্ট বেঞ্চ ও না লাস্ট ওনা যেখানে ফ্যন তার নিচে।প্রথম দিনতো তাই ক্লস করলাম।এভাবেই কেটে গেলো দুই মাস এর ভিতর বই ধরিও নাই একদিনো।আর আমার বাড়িতে অবস্থা ধুইনা পাতার মোতো থাকলে ভালো না থাকলেও চলে😁😁😁। আমরা আমি সারা দিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারা রাত করে বাসায় আসা এইসব নিয়ে ই ছিলাম আর ছিল ফ্রি ফায়ার গেম।এইভাবে চলছিল। একদিন ভার্সিটির গেট দিয়ে ঢুকছিলাম পাস দিয়ে একটা গাড়ি হন দিল পাশে সাইডে সরে গেলাম। গাড়ি পার্ক করাতেই গাড়ি থেকে একটা পড়ী নামল।এই প্রথম ক্রাস নামক বস্তূ খেলাম।তার পর তার কাছে গিয়ে সারাসরি তাকে প্রোপজ করলাম।আমাকে জিজ্ঞেস করল

নাম কি (মেয়েটি রাখি মুডে)

রাফি

কোন ইয়ার

ফাস্ট ইয়ার

আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখল মনে হয় বিশ্বাস করতে পারেনি। তার পর চলে গেল। আমিও কি মনে করে জেন ক্লাসে গেলাম। তার পর প্রস্নিপল ক্লাসে আসল সাথে মেয়েটি ও আছে ভাবলাম আমাদের ইয়ারে। তারপর প্রস্নিপল জা বলল

এই তোমাদের নতুন টিচার তোমাদের একাউন্টিং এর ক্লাস নেবেন (প্রস্নিপল)

আমিতো অবাক।এই বলে প্রিস্মিপল ক্লাস থেকে চলে গেলেন

আমার নাম অধারা আহম্মেদ অথই। তোমরা আমাকে অথই ম্যাম বলে ডাকতে পার

তার পর সেবার নাম জিজ্ঞাসা করসে আমার কাছে এল নাম জিজ্ঞাসা করল

তোমার নাম কি (অথই)
আমি এক ধ্যনে তাকিয়ে রয়েছি কি সুন্দর দেখতে জেন কোনো অপস্মরি

এইজে মিস্টার (অথই)

জি জি ম্যাম (অথই এর দাকে ধোন কাটল)

নাম কি

কার

তোমার

তখন তো বললাম

কখন মনে নেই

শয়তান একটা (মনে মনে) রাফি

তার পর ম্যাম ক্লাস করা ছিলেন আর আমি ক্লাসে মন না দিয়ে ম্যাম কে দেখতে ব্যাস্ত ছিলাম।ম্যাম তা বুঝতে পেরে বার বার আমার দিকে রাগী লুকে তাকাচ্ছিল।আর অস্তি বোধ কর ছিল।
ক্লাস শেষে ম্যাম চলে গেল।তারপর বন্ধুদের বললাম আর বন্ধু কি আপনারা তো জানেন

দোস্ত ক্রাস খাইসি (আমি)

কার উপর (সোহেল)

ম্যামের উপর

কি ‍(মাসুদ)

হু রে দোস্ত

ট্রিট কই (সবাই একসাথে)

কিসের ট্রিট

এইজে তুমি ক্রাস খাইস (রানা)

তো এই জন্য ট্রিট।আগে সেটিং করিয়ে দে তারপর।কোনো কথা শুনলেই ট্রিট দে

ওকে (সবাই একসাথে)

ছুটির পর গেট দিয়ে বেরতেই ম্যম তার গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে।আমি তার কাছে গিয়ে

আমার উত্তর পাইনি কিন্তূক (আমি)

কিসের (ম্যাম)

ঐযে সাকালের

আমি তোমার ম্যাম হই বুঝলে (রেগে গিয়ে বলল)

পরের দিন আবার প্রপোজ করলাম কিন্তু ‌এবার চর দিল

ফের জদি অসভ্যতামি করেছে প্রিস্নিপাল কে বলব (ম্যাম)

কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি (আমি)

সে কিছু না বলে চলে গেল ।আর প্রিস্নিপালকে বলেও লাভ নাই কার প্রিস্নিপাল আমাকে খুব ভালবাসে নিজের ছেলের মতো

চলবে।