রোদের পর বৃষ্টি পর্ব-০৩+০৪

0
790

#রোদের_পর_বৃষ্টি
লেখকঃ আবির খান
পর্বঃ ০৩+০৪

জারিফ নাদিয়াকে নিয়ে যাচ্ছে। নাদিয়া জানে না ওরা কোথায় যাচ্ছে৷ ও শুধু জানে ওরা কফি খেতে যাচ্ছে। এদিকে জারিফ গাড়ি চালাতে চালাতে নাদিয়াকে আড় চোখে দেখছে। ওকে যতবার দেখে শুধু দেখতেই ইচ্ছা করে জারিফের। আর সে সাথে কামুকতাটাও কেন জানি অনেক বেড়ে যায়। আজকের সারপ্রাইজটা নাদিয়াকে জারিফের অনেক কাছে নিয়ে আসবে। জারিফ ওদের লোকদের ম্যাসেজ করে দিয়েছে সব। তারা রেডি। কাটা দিয়ে কাটা তুলবে জারিফ। নাদিয়া কেমন মেয়ে সেটা ওর জানা। তাই ওকে ভোগ করতে হলে ওর মতোই হতে হবে। হঠাৎই জারিফ গাড়ি থামায়। আর বলে,

– আসুন কফি খাবেন।

নাদিয়া কিছুটা অবাক হয়। ও জারিফের সাথে গাড়ি থেকে নামে। নেমে দেখে একটা ছোট্ট চায়ের দোকান মেইন রোডের সাথে। নাদিয়া বেশ অবাক হয়। ও অবাক দৃষ্টিতে জারিফের দিকে তাকায়। জারিফ হাসি দিয়ে ওর কাছে এসে বলে,

– আপনাকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় গেলে আপনি আরাম পাবেন না। তাই আমার পরিচিত এই মামার কাছে কফি খেতে নিয়ে আসলাম। রোড সাইড নেচারাল কফি চা। সে খুব ভালো বাংলা কফি চা বানায়। খেয়ে অনেক মজা পাবেন। হাহা।

নাদিয়া পুরো অবাক। আবার বেশ খুশীও। সত্যি ওর বিলাসিতা মোটেও পছন্দ না। ও হেসে দিয়ে বলে,

~ আপনি সত্যি অসাধারণ। আমরা ফ্রেন্ডরা মিলে এভাবে রাস্তার ধারে সবাই মিলে চা খাই। আমার খুব প্রিয়। কিন্তু আপনি বুঝলেন কীভাবে?

– একটা সিক্রেট বলি?

~ জ্বী বলুন।

– আমারও প্রিয় এভাবে রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে চা খাওয়া। সত্যিই বেশ মজাই লাগে কিন্তু তাই না?

~ হ্যাঁ অনেক।

– আজ মজার পরিমাণ আরো অনেকটা বেড়ে যাবে।

~ কেন? কেন?

– এই যে সাথে একজন অপরূপ সুন্দরী যে আছে।

নাদিয়া খুব লজ্জা পায়। মুখখানায় গোলাপি আভা পেয়েছে লজ্জায়। ও লজ্জায় মুখ লুকাতে চাচ্ছে। জারিফ অপলক দৃষ্টিতে নাদিয়াকে দেখছে। দমকা হাওয়া এসে নাদিয়ার চুলগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে। গোলাপি ঠোঁট এর কোণায় তিলটা যেন চিকচিক করছে। আর জারিফকে বলছে, আমাকে ছুঁয়ে দেও। জারিফ নিজেকে অনেক কষ্টে সংযত রেখে প্ল্যান অনুযায়ী বলে,

– আসুন মামার স্পেশাল কফি চা খাই।

~ জ্বী জ্বী চলুন।

ওরা বেঞ্চে একসাথে বসে। পাশাপাশিই। জারিফ কফি চা চায়। চা চেয়ে জারিফ যেই বেঞ্চে হাত রাখে অমনি হাতটা নাদিয়ার হাতের উপর পড়ে৷ নাদিয়া যেন ৫১২ ভোল্টের সক খায় মুহূর্তেই। তড়িৎ গতিতে হাত সরিয়ে নেয়। হার্টবিটও কেমন জানি বেড়ে গিয়েছে ওর। জারিফ হাসি দিয়ে বলে,

– সরি খেয়াল করিনি।

~ না না সমস্যা নেই। আসলে আমি ছেলেদের সাথে তেমন মিশি না। কিন্তু আপনি আজ কফি খাওয়াতে চাইলেন তাই আসলাম। নাহলে আমি তেমন মিশি না কারো সাথে। কিছু মনে করবেন না আমার আচরণে।

– আরে না না। আপনি সুন্দরীর পাশাপাশি লক্ষ্ণী একটা মেয়েও বটে।

~ হিহি। হ্যাঁ আমার মাও বলে।

জারিফ মনে মনে ভাবছে,”একে পটাতে অনেক দূর যেতে হবে। এর মন জয় না করলে একে পাওয়া যাবে না। জারিফ ধৈর্য্য ধর। নাদিয়া বেবি তোমাকে একবার পেয়ে নি আমার কাছে। তারপর বুঝবা আমি কি।”

এর মধ্যে ওদের কফি চা রেডি হয়ে যায়। জারিফ নাদিয়াকে এককাপ দেয় আর নিজে এককাপ নেয়। দুজনে একসাথে এক চুমুক খায়। নাদিয়া বলে উঠে,

~ ওয়াও! সত্যিই আমার খাওয়া বেস্ট কফি চা এটা।
– দেখেছেন? জানতাম আমি। আমারও ভালো লাগে খুব…আপনাকে।
~ কিছু বললেন?
– না না। বললাম কফি চা’টা আপনার মতোই বেশ মিষ্টি।
~ আপনিও না। শুধু লজ্জা দেন।
– হাহা। আপনাকে লজ্জাসিক্ততায় খুব মায়াবী লাগে। আরও অনেক বেশী অপরূপা লাগে।
~ আগে কবি ছিলেন নাকি?
– না না। তবে সুন্দরী মেয়ে দেখলে ছেলেরা এমনিই কবি হয়ে যায়।
~ আপনার চেয়ে কমই আছি। আপনি যে হ্যান্ডসাম। মাশাল্লাহ। ভার্সিটির সবাই হা করেছিল।
– তাহলে তো সবার মধ্যে আপনিও আছেন। হুম। হাহা।

নাদিয়া লজ্জায় পড়ে যায়। জারিফ তো মিথ্যা বলে নি। ও সত্যি অবাক হয়ে ছিল বাকিদের মতো। এতো সুন্দর জারিফ। নাদিয়া কফি খেতে খেতে জারিফকে দেখছে। ওর কাছে সব কিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। শহরের সবচেয়ে বড় ক্রাশ ওর সাথে বসে আছে। ওর পাশেই। নাদিয়ার মনে কেমন জানি এক অন্যরকম ভালো লাগা হচ্ছে। হঠাৎই একজন বৃদ্ধ লোক এসে জারিফের সামনে হাত পেতে কান্না করতে করতে বলে,

– বাবা একটু সাহায্য করবা? আমার বাসায় খাওন নাই। বউ পোলা না খাইয়া আছে। একটু সাহায্য করো।

নাদিয়ার খুব খারাপ লাগছে। ও জারিফের দিকে তাকিয়ে দেখে, জারিফ ওর পকেট থেকে একটা চেক বই বের করে। তারপর কলম নিয়ে কি যেন লিখে লোকটার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,

– চাচা এখানে ৫০০০০ টাকা আছে। যেকোন ব্যাংকে জমা দিলেই টাকা পেয়ে যাবেন। আর এটা আমার কার্ড। আরো লাগলে বলবেন।

লোকটা জারিফের হাত ধরে কেঁদে দেয়। অনেক ধন্যবাদ দেয়। নাদিয়ার চোখ ছলছল করছে এ দৃশ্য দেখে। লোকটা চলে গেলে নাদিয়া জারিফকে বলে,

~ সত্যিই আপনার মতো ভালো মানুষরা আজও আছে? আমার যেন বিশ্বাসই হয় না। এতো গুলো টাকা দিয়ে দিলেন?

– টাকা হলো হাতের ময়লা। এই আছে তো এই নাই। সো যার প্রয়োজন তাকে দেওয়াটাই শ্রেয়।

নাদিয়া মুগ্ধ হয়ে জারিফের দিকে তাকিয়ে আছে। কেন জানি জারিফকে এখন খুব ভালো লাগছে নাদিয়ার। ওর মন বলছে, এই লোকটা যদি আমার আপন কেউ হতো। এদিকে জারিফ মুচকি হাসছে কি যেন ভেবে। জারিফের এই রহস্যময় মুচকি হাসি নাদিয়ার খুব ভালো লাগে। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি।

– চলুন আপনাকে বাসায় দিয়ে আসি।

~ আচ্ছা।

নাদিয়াকে গাড়িতে বসিয়ে জারিফও গাড়িতে উঠে ওকে নিয়ে যাচ্ছে। জারিফ আজ অনেক খুশী। কারণ সবকিছু ওর প্ল্যান অনুযায়ীই হয়েছে। নাদিয়ার কাছে ও এখন খুব ভালো একটা ছেলে। কিন্তু জারিফ জানে ও কি। নাদিয়াকে ভোগ করার ইচ্ছাটা দিন দিন প্রখর হচ্ছে। ওর মন চাচ্ছে জোর করেই ওর সবটা কেড়ে নেক। কিন্তু এটা ওর ভালো লাগে না কেন জানি। তবে জারিফ বুঝতে পারছে আর বেশী দিন লাগবে না নাদিয়াকে পটাতে৷ কারণ নাদিয়ার চোখগুলো বলে দিচ্ছে নাদিয়া অলরেডি পটে বসে আছে। এবার জাস্ট ওর মনের মধ্যে বাসা বানাতে হবে। এসব ভেবে জারিফ আরো এক্সাইটেড হয়ে যাচ্ছে। গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিয়ে সো করে চলে আসে নাদিয়ার বাসার সামনে। ওরা নামে। নাদিয়া বাই বলে চলে যেতে নিলে জারিফ বলে,

– মিস নাদিয়া…
~ জ্বী বলুন।
– আপনার কাছে একটা জিনিস চাইতে পারি? যদি কিছু মনে না করেন?
~ জ্বী জ্বী অবশ্যই।
– আপনার নাম্বারটা পেতে পারি?

নাদিয়া পুরো অবাক। জারিফ যে নিজ থেকে ওর কাছে নাম্বার চাইবে এটা অবিশ্বাস্য ছিলো। নাদিয়া অনেক খুশী হয়। তাও সেটা জারিফকে বুঝতে না দিয়ে একটু ভাব নিয়ে বলে,

~ ডিস্টার্ব করবেন না তো?(মজা করে)

জারিফ বাকরুদ্ধ হয়ে যায় নাদিয়ার কথা শুনে। অপ্রস্তুত সিচুয়েশনে পড়ে যায়। জারিফ আস্তে করে বলে উঠে,

– আচ্ছা থাক লাগবে না। আসি।
~ আরে আরে দাঁড়ান দাঁড়ান। সরি সরি। আমি মজা করেছি। আপনি চাইলে আমাকে ডিস্টার্ব করতে পারবেন। কারণ আপনি কল দিলে আমি কখনো ডিস্টার্বই হবোই না। একটু মজা করেছি। সরিইই।
– আপনিও না।
~ নাম্বারটা নিন এবার। বাব্বাহ! কি রাগ আপনার। চলেই তো যাচ্ছিলেন।
– হাহা। জ্বী বলুন।
~ ০১৯২…..
– ওটা আমার নাম্বার৷ পরে কথা হবে। টাটা।
~ টাটা।

জারিফ নাদিয়ার নাম্বার নিয়ে চলে আসে। এদিকে নাদিয়া খুব খুশী। জারিফের মতো একজনের কাছ থেকে ও এত এটেনশন পাচ্ছে। ওর যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না। ও দ্রুত বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঈশিতাকে কল দিয়ে সব বলে। ঈশিতা বলে,

~ দোস্ত আমার কি মনে হয় জানিস?
~ কি দোস্ত?
~ জারিফ ভাইয়া মনে হয় তোকে পছন্দ করে ফেলছে।
~ যাহ! কি যে বলিস না। তার জিএফও তো থাকতে পারে। এত্তো হ্যান্ডসাম একটা ছেলে।
~ যদি না থাকে? তোকে যদি প্রপোজ করে তখন কি করবি?

নাদিয়া ঈশিতার কথা শুনে স্বপ্ন দেখছে সে দৃশ্যগুলোর। মিটমিট করে হাসছে নাদিয়া। ওদিকে ঈশিতা বলে উঠে,

~ কিরে কই হারালি? বল কি করবি?

~ যাহ! আমার লজ্জা লাগে না। দেখ যেয়ে আমার থেকে কত সুন্দরী মেয়ে তার জন্য পাগল।

অন্যদিকে,

~ কিরে নওরিন তোর মন খারাপ কেন? চুপচাপ থাকিস শুধু।
~ এমনি দোস্ত ভালো লাগছে না।
~ ওও। সব ঠিক আছে তো?
~ হ্যাঁ। আচ্ছা আমি আসি দোস্ত। কাজ আছে।
~ ক্লাস করবি না?
~ না ভালো লাগছে না।
~ ওকে যা।

নওরিন ওর বান্ধবীকে বিদায় দিয়ে নিচে এসে পুরো অবাক। নওরিন দৌঁড়ে এসে জারিফের সামনে দাঁড়ায়। আর অবাক হয়ে বলে,

~ তুমি! এখানে? হাউ?

– গাড়িতে উঠো। ঘুরতে যাবো।

নওরিন খুব খুশী হয়ে যায়। জারিফকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা করছে ওর৷ কিন্তু সবার সামনে পারছে না। জারিফ নওরিনকে নিয়ে ৩০০ ফিটে চলে আসে। এসময়টায় এখানে কেউ থাকে না। গাড়ি থামিয়ে ওরা বাইরে আসে। নওরিন গাড়ি থেকে বের হয়েই জারিফের কাছে এসে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আর বলে,

~ আমি জানতাম তুমি আবার আমার কাছে আসবে। আমি ভালবাসি তোমাকে। শুধু তোমাকে।

জারিফও নওরিনকে জড়িয়ে ধরে আছে৷ নওরিন মুখ তুলে জারিফের দিকে তাকায়। জারিফ ওর দুহাত দিয়ে নওরিনের গাল দুটো ধরে আছে। নওরিন জারিফকে জড়িয়ে ধরে আছে। জারিফ কিছু বলে না। দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। নওরিনের ঠোঁটগুলো কাঁপছে। জারিফ সেদিকেই তাকিয়ে আছে। নওরিন আস্তে করে ওর চোখ বন্ধ করে ফেলে। এদিকে জারিফের মনে হচ্ছে ও নাদিয়ে ধরে আছে। নওরিনকে নাদিয়া মনে করে ওর নেশা আরো বেড়ে যায়। জারিফ আর কিছু না ভেবে নওরিনের নরম ঠোঁটটার আরো একবার স্বাদ নিতে শুরু করে। দুজন মাতাল হয়ে যাচ্ছে। অনেকটা সময় পর জারিফ নওরিনকে ছাড়ে। কিন্তু এবার ওর নওরিনের শরীর চাই।

– চলো। ক্লাবে যাই।
~ এখন?
– হ্যাঁ এখন?
~ আমাকে অাবার ছাড়বে নাতো?
– জানি না। গাড়িতে উঠো।

অবলা নওরিন এটা বুঝে না যে জারিফ শুধু ওর শরীরটাই চায়। নওরিন আবারও জারিফকে হারানোর ভয়ে ওর সব কিছুতে রাজি হয়ে নিজেকে সপে দেয়। জারিফ ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে নওরিনকে নিয়ে মেতে থাকে। নওরিন জারিফকে কাছে পেয়ে অনেক খুশী। কিন্তু জারিফের মনে শুধু নাদিয়া।

এরপর টানা দুদিন জারিফ নওরিনকে নিয়েই ছিল। এটা সম্পূর্ণ ওর ইচ্ছাতেই। কারণ নাদিয়ার কাছ থেকে দূরে সরে নওরিনকে নিয়ে থাকতে চেয়েছিলো। কিন্তু জারিফ কোন ভাবেই নাদিয়াকে ভুলতে পারে না। এবং নওরিনের কাছ থেকে প্রথম দিনের মতো স্বাদ পাচ্ছে না। শুধু চাহিদা মেটাতে নওরিনকে ব্যবহার করে যাচ্ছে জারিফ। কিন্তু নওরিন খুব খুশী জারিফকে পেয়ে। জারিফের মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ও এবার সিদ্ধান্ত নেয় যেভাবে হোক নাদিয়াকে ও ভোগ করবেই। নাহলে ও শান্ত হবে না। তাই,

– নওরিন বেবি…

~ হুম বেনি বলো।

– আমি কদিনের শুটিংয়ের জন্য বাইরে যাবো। সো আমাদের মিট হবে না। তুমি কষ্ট পেয়েও না কেমন?

নওরিনের মন খুব খারাপ হয়। তাও জারিফকে জড়িয়ে ধরে বলে,

~ আচ্ছা। এসে আমাকে জানিও। আর কল দিও কিন্তু।

– আচ্ছা সময় পেলেই দিব।

~ আচ্ছা।

জারিফ শেষবারের মতো নওরিনের শরীরটা ভোগ করে চলে আসে৷ ওর আর নওরিনকে চাই না। ওর শুধু নাদিয়াকে চাই। নাদিয়াকে দেখার পর থেকে ওর কিছুই ভালো লাগে না। কেমন এক অন্যরকম অনুভূতি নাদিয়াকে নিয়ে ওর মধ্যে কাজ করে। মেয়েটার ভিতরে বেশ অন্যরকম একটা ভাব আছে। জারিফ আবার নিজেকে গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়ে নাদিয়ার বাসার দিকে। আজ কিছু একটা করতে হবে।

এদিকে নাদিয়া জারিফের জন্য মন খারাপ করে আছে৷ নাম্বার নিয়ে কোন কল টল দেয় নি। মেয়েটা কষ্ট পেয়েছে খুব। এই কষ্ট পাওয়ার কারণ ওর অজানা। নাদিয়া মন খারাপ করে বাসা থেকে বের হলো ভার্সিটির উদ্দেশ্য। নাদিয়া দেখে সেই পরিচিত কালো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। নাদিয়া ভালো করে তাকিয়ে দেখে জারিফ। জারিফ ওর দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে। নাদিয়ার আজ খুব রাগ হচ্ছে। ও জারিফকে দেখেও না দেখার ভান করে রিকশার খোঁজে চলে যেতে নিলে জারিফ নাদিয়ার হাত ধরে টান মেরে ওর কাছে এনে ওর গাড়িতে বসিয়ে দেয়। নাদিয়া মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। জারিফের কেন জানি ভালো লাগছে এভাবে দেখে ওকে। জারিফ নাদিয়াকে নিয়ে সকাল সকাল ওর পছন্দের একটা জায়গায় নিয়ে যায়। আজ জারিফ কিছু একটা করবে নাদিয়ার সাথে। যা হয়তো নাদিয়া কল্পনাও করে নি। জারিফ গাড়ি থামায়। আর…

চলবে…

(গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক।)

সবার ভালো সাড়া চাই। কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। লাইক কমেন্ট করে সাথে থাকবেন সবসময়।

আগের পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে।

ধন্যবাদ

#রোদের_পর_বৃষ্টি
লেখকঃ আবির খান
পর্বঃ ০৪

জারিফ গাড়ি থামায়। ও নাদিয়াকে নিয়ে ওর পছন্দের একটা জায়গায় এসেছে। নাদিয়া গাল ফুলিয়ে গাড়িতেই বসে আছে। জারিফ মুচকি হেসে গাড়ি থেকে নামে। কিন্তু নাদিয়া সেই বসেই আছে। জারিফ ঘুরে নাদিয়ার পাশে এসে গাড়ির দরজা খুলে নাদিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। নাদিয়া এক নজর রাগী ভাবে জারিফকে দেখে আবার মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। জারিফ বলে,

– এই যে মিস বাইরে আসেন। কথা আছে।

~ না কোন নাই আপনার সাথে। আপনি খুব পঁচা। আমাকে তো ভুলে গিয়েছেন। তো আজ আবার কেন মনে পড়লো? কেন এখানে নিয়ে এসেছেন? আমাকে বাসায় দিয়ে আসেন। (অভিমানী কণ্ঠে)

– আগে বাইরে বের হন। দেন সব বলছি।

~ না আমি বের হবো না।

– ওকে আমি বের করছি তাহলে।

জারিফ মুহূর্তেই নাদিয়াকে কোলে তুলে বাইরে নিয়ে আসে। নাদিয়া আশ্চর্য হয়ে যায়। আর বলে,

~ আরে আরে কি করছেন? ছাড়ুন আমাকে। পড়ে যাবো। ছাড়ুন।

এদিকে প্রথম নাদিয়াকে স্পর্শ করেছে জারিফ। ওর শক্ত হাতের উপর নাদিয়ার পুরো নরম শরীরটা। সে যেন এক অন্যরকম অনুভূতি জারিফের কাছে। জারিফ নাদিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। নাদিয়া এখন লজ্জা পাচ্ছে খুব। ও জারিফের দিকে তাকাতে পারছে না। ও আস্তে করে লজ্জাসিক্ত কণ্ঠে বলে,

~ আমাকে নামিয়ে দিন।

– আচ্ছা।

জারিফ আস্তে করে নাদিয়াকে নামিয়ে দেয়। নাদিয়া নেমে অভিমান করে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে অন্যদিকে ফিরে তাকিয়ে আছে। জারিফ জানে ওকে এখন কি করতে হবে।

– এই যে মিস আপনি এতো রাগ করে আছেন কেন?

~ আপনি আমাকে কোলে নিয়েছেন তাই।

– আয়ায়া! সেটা তো মাত্র নিয়েছি। এর আগ থেকেই তো ব্যাঙের মতো মুখ ফুলিয়ে ছিলেন।

জারিফের কথা শুনে নাদিয়া আরও রেগে আগুন হয়ে যায়। জারিফকে তেড়ে এসে বলে,

~ কিহহ! আমি ব্যাঙের মতো মুখ ফুলাই? আপনি এটা বলতে পারলেন? আপনি অনেক পঁচা পঁচা পঁচা।

– হাহা। এই যে এখনো তো ফুলিয়ে আছেন। খুব মিষ্টি লাগে কিন্তু।

~ আমি কিন্তু কান্না করবো৷

– আচ্ছা কান্না করতে হবে। বলুন এই অভিমানের কারণ কি? সব কিছুর উত্তর দিব।

~ আমার কোন অভিমান নেই৷ কীসের জন্য কার জন্য অভিমান করবো? কেউ নাম্বার নিয়ে আর কল দেয় নি। এতোদিনের জন্য পুরো গায়েব। তার জন্য অভিমান করবো আমি? মোটেও না। একটুও না।

জারিফ বুঝতে পারছে নাদিয়া ওর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। ও তো এটাই চাচ্ছিলো। জারিফের রাস্তা এখন সম্পূর্ণ ক্লিয়ার। জারিফ আস্তে আস্তে নাদিয়ার কাছে যায়। ওকে ধরে ওর দিকে ঘুরায়। নাদিয়া অবাক হয়ে যাচ্ছে। আর বোঝার চেষ্টা করছে যে জারিফ কি করতে যাচ্ছে।

জারিফ নাদিয়ার গাল দুটো ধরে চোখে চোখ রাখে৷ নাদিয়ার হৃদস্পন্দন ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে। জীবনে প্রথম কোন ছেলে এভাবে ওকে স্পর্শ করেছে। কিছুটা আনইজি লাগছে ওর। বাট জারিফের মতো মনমাতানো কেউ হওয়ায় সেটা লজ্জায় পরিণত হচ্ছে। নাদিয়া লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে। ঠোঁটগুলো শুকিয়ে আসছে। নিজের মধ্যে কেমন এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। ওরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। জারিফ সেই মুচকি হাসিটা দেয়। নাদিয়ার নরম মিষ্টি ঠোঁটের কোণায়ও মৃদু হাসির রেখা ফুটে ওঠে সে হাসি দেখে। জারিফ এবার আস্তে করে বলে,

– সরি। একটা কাজে বিজি ছিলাম। তাই কল দিতে পারিনি। প্লিজ মাফ করে দেন।

নাদিয়া খুব লজ্জা পায়। কারণ ওর রাগ অভিমান করাটা নেহাৎ মূল্যহীন। তারপরও জারিফের ওকে মানানো খুব ভালো লাগছে। ও অবাক নয়নে জারিফকে দেখছে। কতো সুন্দর জারিফের চোখ। নাদিয়া বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে না। ও নিচে তাকিয়ে আস্তে করে বলে,

~ ইটস ওকে। আমি কিছু মনে করি নি।

– থ্যাঙ্কিউ।

এবার জারিফ নাদিয়ার গাল ছেড়ে ওর হাত দুটো ধরে আর বলে,

– আপনাকে একটা কথা বলতে চাই।

নাদিয়ার বুকের ভিতরটা ধুকপুক ধুকপুক করছে। ও ভাবছে ঈশিতার কথা কি সত্যি হতে যাচ্ছে। জারিফ আবার বলে,

– আমার জীবনে এই কথাটা আমি কখনো কাউকে বলি নি। কিন্তু আজ আপনাকে বলতে চাই।

নাদিয়া যেন পাথর হয়ে গিয়েছে। হার্টবিট বেড়েই চলছে। আশপাশটা কেমন স্তব্ধ হয়ে আছে। শুধু দমকা হাওয়া এসে মুখে লাগছে। একগুচ্ছ নীরবতা নেমে এসেছে ওদের মাঝে। থমথমে পরিবেশ। জারিফ নাদিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে নাদিয়া অস্থির হয়ে জারিফের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর মন শুধু ভিতর থেকে বলছে, “কি বলতে চায় জারিফ? কি?” নাদিয়ার খুব অস্থির হয়ে গিয়েছে। বলছে না কেন জারিফ কি বলতে যায়। নাদিয়া আর না পেরে বলে উঠে,

~ বলুন কি বলতে চান। আমি শুনবো। বলুন।

জারিফ মুচকি হাসে। নাদিয়ার কপালের উপর পড়ে থাকা চুলগুলো আস্তে করে ওর কানের পিছনে গুজে দেয় জারিফ। নাদিয়া পাগল হয়ে যাচ্ছে। জারিফ আবার নাদিয়ার হাত দুটো ধরে। জারিফ যেই কিছু বলতে যাবে ওমনি ওদের মাঝের নীরবতা ভেঙে নাদিয়ার ফোনটা হঠাৎ বেজে ওঠে। নাদিয়া রীতিমতো কেঁপে উঠে। ও কোন কিছু না ভেবেই দ্রুত ব্যাগ থেকে ফোন বের করে রিসিফ করে। কিন্তু এই কলটা কোন নরমাল কল ছিল না। এই কলটা নিয়ে এসেছে একটা দুঃসংবাদ। কলটা কেটে গেলে নাদিয়া জোরে কান্না করতে করতে চিৎকার দিয়ে বলে উঠে,

~ বাবায়ায়ায়া….

জারিফ থমকে যায়। ও হতভম্ব হয়ে গিয়েছে মুহূর্তেই। সাথে অস্থির ও। নাদিয়া সেখানেই বসে পড়ে। জারিফ অস্থির হয়ে নাদিয়াকে ধরে বলে,

– কি হয়েছে নাদিয়া? আমাকে বলো কি হয়েছে?

~ বাবা মনে হয় স্ট্রোক করেছে। আল্লাহ আমার বাবা। বাবায়ায়ায়া….

– এখন কই?

~ বাসায়।

– দ্রুত গাড়িতে উঠো। কিচ্ছু হবে না।

জারিফ নাদিয়াকে নিয়ে দ্রুত ওর বাসার দিকে চলে আসে। আসার পথে এম্বুল্যান্সকে খবর করে দেয়। ওরাও পৌঁছায় সাথে এম্বুল্যান্স ও। নাদিয়া আর নাদিয়ার মা শুধু কান্না করছে। জারিফ নিজ দায়িত্বে দ্রুত নাদিয়ার বাবাকে ঢাকার সবচেয়ে বড় হাসপাতালে নিয়ে আসে। এবং আইসিইউ তে নিয়ে যাওয়া হয়৷ নাদিয়া আর নাদিয়ার মা খুব ভেঙে পড়েছে। জারিফ তাদের কাছে এসে বলে,

– প্লিজ আপনারা কান্না করবেন না। আঙ্কেলের কিচ্ছু হবে না। সব বড় বড় ডাক্তাররা ভিতরে আছেন। আঙ্কেল দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।

নাদিয়ার মা বলেন,

~ তোমাকে চিনি না বাবা। কিন্তু তুমি ফেরেস্তার মতো আমাদের সাহায্য করছো। হাজার ধন্যবাদ দিলেও কম হবে।

– ও কিছু না আন্টি।

নাদিয়া কান্না করতে করতে জারিফের দিকে তাকিয়ে আছে। জারিফও নাদিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। ও ইশারায় নাদিয়াকে ভরসা দিচ্ছে। নাদিয়া আর নাদিয়ার মা আল্লাহকে ডাকছে মনে মনে। তিনি ছাড়া কেউ ওর বাবাকে সুস্থ করতে পারবেন না।

অনেকটা সময় পার হয়। ডাক্তাররা বাইরে বেরিয়ে আসেন। জারিফ খুব চিন্তার মধ্যে ছিল। ডাক্তার বাইরে আসলে ওরা তিন জনই ডাক্তারের কাছে এগিয়ে যায়। জারিফ বলে উঠে,

– ডক্টর আঙ্কেল কেমন আছেন?

– সত্যি বলতে আর কিছুক্ষণ দেরী হলে ওনাকে হয়তো বাঁচানোই যেতো। কারণ উনি স্ট্রোক করেছিলেন। তাও সব আল্লাহর ইচ্ছা। সময় মতো নিয়ে আসায় আমরা আমাদের বেস্ট ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। উনি এখন আউট অফ ডেঞ্জার। এখনো জ্ঞান ফিরে নি। জ্ঞান আসলে দেখা করতে পারবেন।

– থ্যাঙ্কিউ ইউ ডক্টর।

– ওয়েলকাম।

ডাক্তার চলে গেলে নাদিয়ার মা জারিফের কাছে এসে ওর মাথা হাত বুলিয়ে দিয়ে কান্না করতে করতে বলেন,

~ বাবা সত্যি তুমি খুব ভালো। তোমার মতো একটা ছেলে হয় না। আমাদের পরিবারটাকে তুমি বাচিঁয়েছো। আমরা সবাই পথে বসতাম যদি ওর বাবার কিছু হতো। আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুক বাবা। অসংখ্য ধন্যবাদ।

– আন্টি আর কান্না কইরেন না। আঙ্কেল ভালো আছে। মায়ের চোখে অশ্রু মানায় না।

~ আচ্ছা কান্না করবো না। এই যে মুছে ফেলেছি।

– থ্যাঙ্কিউ।

জারিফের কেমন জানি লাগছে। আজ ওর মা বেঁচে থাকলে হয়তো ও এতো খারাপ হতো না। জীবনে প্রথম আজ ভালো একটা কাজ করেছে ও। বাকি জীবন তো ড্রাগস আর মেয়ে নিয়েই কাটিয়ে এসেছে। জারিফ সবার আড়ালে গিয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে কেউ নেই। হঠাৎ ও ওর কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ পায়। ঘুরে তাকিয়ে দেখে নাদিয়া। নাদিয়া জারিফকে দেখে বলে উঠে,

~ একি আপনি কাঁদছেন?

জারিফ দ্রুত চোখ মুছে বলে,

– না না ও কিছু না। আঙ্কেল কেমন আছে?

~ এখন ভালো। মা বাবার কাছে আছে। একটা কথা বলি?

– বলো।

~ আপনাকে একটু জড়িয়ে ধরি?

জারিফ নাদিয়ার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে। নাদিয়া বুঝতে পারে জারিফের সম্মতি আছে। নাদিয়া একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করে জারিফকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়। জীবনে প্রথম আজ কোন নারীর স্পর্শে জারিফের উত্তেজনা হয়নি। বরং চোখ ফেটে কান্না আসছে। নাদিয়া কান্না করতে করতে বলছে,

~ খুব ভয় পেয়েছিলাম। বাবা আমাদের সব। আজ আপনি না থাকলে হয়তো বাবাকে হারাতে হতো। নিজের জীবনটা দিয়ে দিলেও আপনার এই ঋণ কখনো শোধ হবে না। আপনি সত্যি খুব ভালো একজন মানুষ।

জারিফ এই “ভালো মানুষ” শব্দটা কেন যেন আর নিতে পারছে না। ওর বুক চিড়ে যাচ্ছে এই শব্দটা শুনে। কারণ ও জানে ও কতটা খারাপ। জারিফের দম বন্ধ হয়ে আসছে। ও এই সব কিছু থেকে মুক্তি চায়।

৩/৪ দিন পর নাদিয়ার বাবাকে রিলিজ দেওয়া হয়। নাদিয়ার বাবা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। ওরা বাসায় চলে আসে। সবাই খুশী হলেও নাদিয়ার মুখ অন্ধকার। বাসায় আসার পর থেকে জারিফের কোন খবর নেই। যতবারই ও কল দেয় নাম্বার বন্ধ। নাদিয়া কিছু বুঝতে পারছে না জারিফের কি হয়েছে। এভাবে টানা ১০ দিন চলে যায়। জারিফ যেন উধাও। নাদিয়া আর পারে না। অনলাইন থেকে জারিফের নিজের বাসার ঠিকানা বের করে নাদিয়া চলে যায় সেখানে। নাদিয়া এখন জারিফের বাসার সামনে।

– কাকে চাই ম্যাম?

~ উনি কি বাসায় আছেন?

– কে?

~ জারিফ খান।

– জ্বী ম্যাম।

~ আমি একটু ওনার সাথে দেখা করবো। গত ১০ দিন ধরে ওনার কোন খবর নেই। ফোন ও বন্ধ।

– আপনি ওনার কাছের কেউ?

~ কিছুটা।

– ম্যাম সত্যি স্যার ভালো নেই। আমরাও খুব চিন্তায় আছি। আপনি ওর সাথে যান। এই ওনাকে স্যারের কাছে নিয়ে যাও। ম্যাম দেখুন না স্যারের কি হয়েছে।

নাদিয়া জারিফের লোকের সাথে বাসার ভিতরে জারিফের কাছে যাচ্ছে। ওর খুব ভয় আর চিন্তা হচ্ছে। কি হয়েছে জারিফের? ঠিক আছে তো জারিফ? নাদিয়া এসব ভেবে খুব চিন্তিত হচ্ছে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। ও জানে না ওর জন্য সামনে কতো বড় এক সত্যি অপেক্ষা করছে।

– ম্যাম স্যার ভিতরে আছেন। আপনি যেতে পারেন।আমি আসি।

লোকটা চলে যায়। নাদিয়া বুঝতে পারছে না জারিফের কি হয়েছে। নাদিয়া আস্তে করে দরজা ঠেলে ভিতরে যায়। নাদিয়া ভিতরে ঢুকে দেখে…

চলবে…

সবার ভালো সাড়া চাই। কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।

আগের ও পরবর্তী পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে।