শহরজুড়ে বিষন্নতা পর্ব-০২

0
224

#শহরজুড়ে_বিষন্নতা
সাদিয়া মেহরুজ .

২.
তমসাচ্ছন্ন রজনী। আঁধারের বুকে ডুবে রয়েছে শহর। বাতাবরণে বইছে তখন হিমেল হাওয়া। সমীরে সোঁদা মাটির গন্ধ। আচানক জোড়াল হাওয়া দ্রুত গতীতে ছুটে এসে মেহতিশার গা স্পর্শ করলো। বাকরুদ্ধ হয়ে থাকা মেহতিশার তখন হুঁশ এলো। সে ছিটকে দূরে সরে দাঁড়াল। মুখোশ্রীতে দেখা দিলো তার কিয়ৎ ক্রোধের লেশ! চোখের দৃষ্টি কঠিন করে মেহতিশা শক্ত গলায় বলল,

-” আশ্চর্য তো! আপনি আমাকে স্পর্শ করলেন কোন সাহসে? ”

ছেলেটা তখনও ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে। তার ভীষণ রাগ লাগছে। যে রাগের প্রকোপে একজন পর – নারীকে চ ড় মা রা র আকাঙ্খা জাগে ঠিক সেরকম রাগ চেপে বসেছে তার মস্তিষ্কে। সে চিবিয়ে বলে উঠলো,

-” আপনি এই বাড়িতে কেন? ”

-” আমি অবশ্যই আপনাকে উত্তর দিতে বাধ্য নই। ”

-” আমার বাবার বাড়িতে দাঁড়িয়ে আমাকেই বলছেন আমাকে উত্তর দিতে বাধ্য নন? স্ট্রেঞ্জ! ”

মেহতিশা আচমকা স্তব্ধ নয়নে তাকাল। অজানা আশ”ঙ্কা, ভ য়ে অন্তঃকরণ হীম হয়ে আসতে চাইল তার। কাঠ কাঠ দৃষ্টিপাত এবার কিছুটা নড়বড়ে হয়ে এলো। এই ছেলেটা সালমা ওয়াজিদের ছেলে?ছেলেটা বোধহয় ধৈর্যহারা হয়ে উঠল। গলার স্বর নিম্ন থেকে উচ্চে পৌঁছাল। প্রায় চেঁচিয়েই জিজ্ঞেস করলো,

-” এই মেয়ে, কথা বলছেন না কেন? আপনি এখানে কি করছেন? ”

মেহতিশা উত্তর দিতে নিচ্ছিল। আচানক এক ভারী কন্ঠ তাকে থামিয়ে দিলো। পিছন থেকে কেও ছেলেটাকে ডাকলো,

-” সারতাজ, তুমি আবারও মধ্যরাতে এখানে এসেছ। ”

মেহতিশা পেছনে তাকাল। সালমা ওয়াজিদ দাড়িয়ে সিঁড়ির একদম নিকটে। সারতাজ সরু চোখে তাকাল মায়ের দিকে। মেহতিশাকে দরজার সামনে রেখেই সে লম্বা লম্বা পা ফেলে মায়ের নিকট পৌঁছে বলল,

-” এই মেয়েটা এখানে কি করছে? ”

-” ও আমার কাছের মানুষ।তাই সে এখানে। তুমি যদি আজ রাতে বাসায় থাকার উদ্দেশ্যে এসে থাকো তাহলে নিজের রুমে যাও। ”

সারতাজ অপমানিত বোধ করলো। যদিও মায়ের উক্ত ব্যবহারই তার স্বাভাবিক ব্যবহার তবুও বাহিরের এক মেয়ের সামনে তার মা কখনো এভাবে কথা বলতে পারে এটা সে ভাবেনি। এক নজর আশেপাশে তাকিয়ে সে যে পথে এসেছিল সে পথ দিয়েই বাড়ির বাহিরে চলে গেল। যাওয়ার পূর্বে সদর দরজা এতোটাই জোড়ে লাগিয়ে গেল যে দরজার পাশে থাকা ফ্লাওয়ার ভেসটা মাটিতে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল নিমিষেই।

সালমা ওয়াজিদ সামনে এগোলেন। দরজা লাগিয়ে মেহতিশার নিকট পৌঁছে বললেন,

-” এতো রাতে উঠেছিস যে? দরজা খুলতে বুঝি? ”

মেহতিশা কন্ঠের খাদ নামিয়ে বলল,

-” জি আন্টি। ”

-” ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলো তোর। যা ঘরে যা! ও আর আসবে না। আর রাতে হাজারটা কলিংবেল কেও দিলেও আর কক্ষণো খুলবি না। ঠিক আছে? ”

মেহতিশা মাথা নাড়ল। সালমা ওয়াজিদ তার মাথায় হাত বুলিয়ে নিজের ঘরে চললেন।মেহতিশা সেদিকে তাকাল একবার। তার মাত্র ঘটে যাওয়া ঘটনাটা মাথায় ঢুকলো না। তবে এতটুকু নিশ্চিত সে, সারতাজের সাথে যে এ পরিবারের তেমন একটা ভালো সম্পর্ক নেই।

সারতাজের সাথে মেহতিশার প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল এক অঝোর শ্রাবণে। সেদিন ভীষণ বৃষ্টি হচ্ছিল। মেহতিশা তখন সবেমাত্র অনার্ষ ১ম বর্ষের ছাত্রী। ঝুম শ্রাবণে সেদিন টিউশনি করিয়ে দ্রুত পদে বাড়ি ফিরছিলো সে। তবে মাঝে পথে বৃষ্টির তোড় এতোটাই বৃদ্ধি পেল যে হাঁটা আর সম্ভব হলো না। সে তৎক্ষনাৎ আশ্রয় নিল এক পার্কের ছাউনিতে। ছাউনিতে তখন হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ। সড়ক তখন বিরান। হাতের ছাতা বন্ধ করে মেহতিশা জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়াল। কিয়ৎক্ষণ পর তার মনে হলো তাকে কেও দেখছে গভীর ভাবে। সে চট জলদি পাশে তাকাল। তৎক্ষনাৎ যে দৃশ্য সে দেখল তা দর্শন করে সে যারপরনাই রেগে গেল! এক অচেনা ছেলে তার ছবি তুলছে। ছেলেটা আর কেও নয় বরং সারতাজ ছিলো।

-” আপনি বিনা অনুমতিতে আমার ছবি তুলছেন কেন? ”

মাছরাঙা পাখিটা সবেমাত্র নিজের শিকার ধরতে নেমেছিল। সারতাজ ক্যামেরার ফোকাস সেদিকে রেখে যেই না ছবিটা ক্লিক করতে যাবে তখনই ভেসে এলো এক প্রতীবাদী নারী কন্ঠ! সারতাজের ফোকাস সরে গেল। সে ভীষণ ভীষণ বিরক্তি নিয়ে চোখের সামনে থেকে ক্যামেরা সরিয়ে নিল। চক্ষু সম্মুখে ক্রোধান্বিত রমনী দেখে সে প্রশ্ন করলো,

-” সরি ম্যাডাম, কি বললেন? ”

মেহতিশা দ্বিগুণ রাগ নিয়ে শুধালো,

-“ন্যাকামি করেন? বোঝেন না, না? আপনি আমার ছবি তুলছিলেন কোন সাহসে? ”

সারতাজ হালকা হেঁসে বলল,

-” সরি ম্যাডাম আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। আমি আপনার ছবি তুলতে যাবো কেন খামোখা? ”

-” খামোখা তুলতে যাবেন কেন? আপনার মতো পুরুষদের কাজই তো অযথা ফালতু কাজকর্ম করে নারীদের বিবৃত করা। বিরক্ত করা! ”

-” ম্যাডাম আপনি কিন্তু অযথা তর্ক জড়াচ্ছেন। আমি আপনার ছবি তুলিনি বরং আপনার ঠিক পিছে থাকা মাছরাঙার শিকার করার মূর্হত ক্যাপচার করছিলাম। বিশ্বাস নাহলে দেখুন। ”

সারতাজ মেহতিশার সামনে ক্যামেরা ধরল। ক্যামেরায় থাকা একের পর এক ছবিগুলো দেখাতে লাগল। তবে মাঝে এক অল্প বয়সী মেয়ের একটা ছবি চলে এলো যার পোশাক অনেকটা মেহতিশার পরে থাকা পোশাকের সাথে মিল রয়েছে। একটু খেয়াল করে মেয়েটার মুখোশ্রী যেই না দেখতে নিবে অমনি ক্যামেরা বন্ধ হয়ে গেলো। বিধিবাম! বিপদ যখন আসে তখন সবদিক দিয়েই আসে। উক্ত মেয়েটার মুখোশ্রী না দেখে মেহতিশা ধরেই নিল এটা সেই ছিলো। সারতাজ যে এতো করে বোঝালো এটা সে না তবুও মেয়েটা বুঝলে তো! লহমায় আশপাশে হাজির হলো উৎসুক বাঙালি। হুজুগে মেতে থাকা কয়েকজন মানুষও মেহতিশার সাথে তাল মিলিয়ে সারতাজকে এক চোট কথা শুনিয়ে দিল। অসহায় সারতাজ সেদিন দাঁতে দাঁত চেপে সব সহ্য করে গেল। আর কিই বা করার আছে? ইশশ! কেন যে সে মাছরাঙার ছবিটা তুলতে গেল। তার আফসোস হচ্ছে! ভীষণ রকমের আফসোস! মেহতিশার পাশে ঠিক পিছনের পুকুরটায় বসে ছিল মাছরাঙা। ওখানে দাঁড়িয়ে ছাড়া আর কোনো উপায়ও ছিল না ছবি তোলার। সারতাজ তাই তো বাধ্য হয়ে এমনটা করলো।

তারপর বেশ কয়েকদিন পার হলো। সারতাজ মেহতিশাকে খুঁজেছিল নিজেকে নির্দোষ দাবি করার জন্য। তবে সে পেলোনা মেয়েটাকে। একদিন জরুরি কাজে যমুনা ফিউচার পার্কের ওদিকে যেতেই তার দর্শন মিলল মেহতিশার। ক্যামেরাটা তার সাথেই ছিল। সারতাজ ছুটল সেদিকে। মেহতিশার সামনে দাঁড়াতেই মেয়েটা খিটখিটে মেজাজ নিয়ে তাকে বলল,

-” আপনি আবার? আবার এসেছেন আমার সামনে, বে হা য়া লোক তো! ”

সারতাজ সেদিন দাঁতে দাঁত চেপে তার শুভ্র রাঙা মুখোশ্রী রক্তিম করে বলেছিল,

-“আগে এগুলো দেখুন। তারপর আমাকে বে হা য়া বলবেন ম্যাডাম। ”

সেদিন নিজেকে মেহতিশার সম্মুখে নির্দোষ প্রমান করতে সক্ষম হয়েছিল সারতাজ। মেহতিশার অনুশোচনায় দগ্ধ চেহারাটা দর্শন করে সে আর কোনো বাক্য ব্যায় না করে চলে এসেছিল। একজন মানুষকে শাস্তি দিতে তাকে অনুশোচনায় ভোগানোর মতো কঠোর শাস্তি আর দ্বিতীয়টি হয় না। এরপর ক’দিন, মেহতিশা ক্ষমাপ্রার্থনা করে একটা চিঠি লিখেছিল সারতাজকে। সারতাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। খবর নিয়ে জানার পরই সে চিঠিটা লিখলো। তারপর এক মাধ্যমে পাঠিয়ে দিলো সারতাজের নিকট। মাস পেরুলো, বছর পেরুলো চিঠির কোনো উত্তর নেই। সারতাজেরও আর হদিস নেই। মেহতিশাও ব্যাপারটা প্রায় ভুলেই বসল।

_

সকাল হতেই মেহতিশাকে ছন্নছাড়া দেখাল। কি করবে? কোথায় যাবে? কিভাবে একটা কাজের ব্যাবস্থা করবে তা ভেবে ভেবে তার গলা শুকিয়ে এলো। শুষ্ক চোখজোড়ায় পানি এসে জমলো। ছোট বোনের চিন্তায় বুকের ভেতরটা হাহাকার করে উঠল! সে এইচএসসি পাশ। অনার্স ২য় বর্ষ অব্দি পড়ার সুযোগ পেয়েছিল যা কোনো কাজেরই না। ভবিষ্যতের চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে উঠল তার অন্তঃকরণ।মেহজা তখনো নিশ্চিতে ঘুমোচ্ছে। মেহতিশা বোনের দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকল কেবল। তখনি দরজায় টোকা পড়ল। মেহতিশা উঠে দাঁড়িয়ে এগোল। দরজা খোলার পরই তার দর্শন মিললো সালমা ওয়াজিদের। মেহতিশা ভীষণ লজ্জা পেল! আজ তার এ বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা অথচ সকাল দশটা বেজে গেল তবুও সে বে হা য়ার মতো ঠায় পড়ে আছে এ বাড়িতে।

-” আন্টি আমি এক্ষুণি চলে যাচ্ছি। আসলে মেহজা এখনো ঘুম থেকে উঠেনি তো তাই দেরী হলো। ”

সালমা ওয়াজিদ থমথমে গলায় বললেন,

-” আমি কি তোকে চলে যেতে বলেছি মেহতিশা?”

মেহতিশা মাথা তুলল। আমতা আমতা করে কিছু বলতে নিতেই সালমা তাকে থামাল। হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো পাশের লাইব্রেরি রুমে। অতঃপর নম্র কন্ঠে বলা শুরু করলো,

-” এখন তুই কোনো কথা বলবি না। আমি যা যা জিজ্ঞেস করবো তার সঠিক উত্তর দিবি শুধু। বল তো মা, তুই এতদিন কোথায় ছিলি? কাল রাতেই বা তোকে কেন আমার বাড়িতে আশ্রয় নিতে আসতে হলো? ”

মেহতিশা তার বি ষ ন্ন দৃষ্টিপাত ভূমিতে ফেলে রেখেছে। শেষ বিকেলের পড়ন্ত রৌদ্দুরের মতো তার মুখোশ্রী হয়েছে ফিকে। সে ভেতরে কথা সাজাল। ইচ্ছে করেই নিজের বিয়ের ব্যাপারটা চাপা রেখে বলতে লাগল,

-” আমি এতদিন আমার ফুপুর বাসায় ছিলাম। কিন্তু ফুপু আর আমাদের দুই বোনের ভরনপোষণ নিতে পারছিলেন না। আর আমরাই বা কতদিন ওনার ঘাড়ে চেপে বসে থাকতাম? তাই চলে এসেছি অস্থির হয়ে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি ছোট্ট খাটো একটা চাকরি করে মেহজাকে বড় করে তুলবো। আমার পড়াশোনাটা তো আর হলো না। মেহজাকেই নাহয় মানুষ করি। ”

-” কি চাকরি করবি ভেবেছিস? ”

-” নাহ আন্টি। ”

সালমা এবার অনুরোধের সুরে বললেন,

-” মা তাহলে তুই আমার কাছে থাক চাকরি না হওয়া পর্যন্ত। ভাবিস না আমি তোকে দয়া করছি। ভেবে নিস ঋণ পরিশোধ করছি। তোর মায়ের কাছে আমি অনেক ঋণীরে মা। ”

মেহতিশা কৌতূহল নিয়ে প্রশ্ন করলো, ” কিভাবে? ”

-” ঐ বিষয়ে পরে কথা হবে। এখন আমার কথাটা শোন? ”

-” কিন্তু আন্টি আমি এখানে থাকতে চাচ্ছিনা। ভাগ্য আমাকে একটা লড়াইয়ের সামনে দাঁড় করিয়েছে, আমি এই লড়াইটা একা হাতেই লড়তে চাই। আমার বিশ্বাস আমি ঠিকই জয়ী হবো, আমি এই পরিস্থিতি থেকে নিশ্চয়ই বের হতে পারবো চেষ্টা করলে। ”

-” বুঝলাম! তোকে এমনি ফ্রী থাকতে দিচ্ছি বলে তুই থাকতে চাচ্ছিস না তাইনা? তাহলে তুই এক কাজ করো। বাসার টুকিটাকি কাজে আমাকে সাহায্য কর। আমি তোকে এর বিনিময়ে পারিশ্রমিক দিব। থাকার জায়গা দিব। মনে কর এটাই তোর চাকরি। যখন তুই তোর মন মতো কাজ পাবি তখন নাহয় চলে যাস। এবার রাজি হয়ে যা মেহতিশা।”

মেহতিশা মৌন রইল কিয়ৎক্ষণ। শেষে বহু চিন্তা করে সে রাজি হলো সালমা ওয়াজিদের দেয়া প্রস্তাবে।

_

পৌষ মাসের এক দুপুরবেলা।মেহতিশা দূর্বল পায়ে তখন ফুটপাত ধরে হাঁটছে। ঢাকায় শীত যেনো এবার একটু বেশিই! শীতের প্রকোপে দাঁতে দাঁত লেগে আসছে তার। মেহতিশা মাত্রাতিরিক্ত শীতকে পাত্তা দিল না। সে চিন্তিত! আজ এক সপ্তাহ ধরে চাকরির সন্ধানে এদিক সেদিক ছুটছে কিন্তু দেশে যে পরিমাণ শিক্ষিত বেকারের হার বাড়ছে সেখানে তার মতো এইচএসসি পাশ করা মেয়ের অতি নগন্য এক চাকরি পাওয়াও দুর্লভ। মেহতিশার বর্তমান দিন গুলো কাটছে চক্ষুলজ্জায়। সালমা ওয়াজিদের বাড়িতে থাকতে তার কি পরিমাণ যে লজ্জা লাগছে তা বলার বাহিরে। সালমা ওয়াজিদ তাকে তেমন কাজও করতে দিচ্ছেন না। এতে মেহতিশা একপ্রকার ধরেই নিয়েছে ভদ্রমহিলা তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করছে। অথচ মেহতিশা এক চিরন্তন সত্যের ব্যাপারে এখনো অবগত নয়।

টিএসসি পৌঁছাতেই মেহতিশার আকস্মিক সাক্ষাৎ হলো সারতাজের সঙ্গে। তারা দু’জন চলার পথে কি করে যেন সামনাসামনি পড়ে গেল। মেহতিশা বিব্রত হয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিতেই সারতাজ এক তিক্ত কথা পেশ করলো। সেই তিক্ত কথা শ্রবণ করা মাত্র মেহতিশা পাথরের ন্যায় নিস্তব্ধতা ধারণ করলো। ভীষণ অ প মানে তার সর্বাঙ্গ কেঁপে কেঁপে উঠল।

চলবে~