শহর জুড়ে আলোর মেলা পর্ব-০৯

0
263

#শহর_জুড়ে_আলোর_মেলা
কলমে:লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব:৯

শ্রাবণ ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসে কুহেলীকে দেখে অবাক হলোনা। কিছু মানুষ নিজের স্বভাবের বিড়ম্বনাতে ম*রে,কুহেলীর অবস্থা তাই। আলো বিরক্ত। ক্ষতস্থানে চিনচিন করে যন্ত্রণা করছে। বেচারীর জ্বর আসতে শুরু করেছে। শ্রাবণ ওর দিকে চেয়ে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে একটা চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলল,

> কি ব্যাপার কুহেলী মাথার ভুত এখনো নামেনি ? তা আমার বউয়ের মগজ ধোলাই শেষ?বুঝলে আলো ও হচ্ছে আমার ছোটবেলার বন্ধু। ওর বিশ্বাস আমি ওকে ভালোবাসি। আমাকে বিয়ে করতে চাইছে। তোমার মতামত কি?

আলো কুহেলীর দিকে চেয়ে উত্তর দিলো,

> দেখতে ঠিকঠাক কিন্তু যথেষ্ট মিথ্যাবাদী। তাছাড়া শুনেছি নিজের বাচ্চার হ*ত্যা*রকারী। এহেন মেয়েকে জীবনসঙ্গিনী করা সত্যিই রিস্ক। এখন আপনি ভেবে দেখুন দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে উনাকে গ্রহণ করবেন কিনা। কিছুক্ষণ আগে উনি অনুনয় করে বলছিলেন আমি যেনো আপনাকে ছেড়ে চলে যায়। আপনারা দুজন দুজনাকে ভীষণ ভালোবাসেন। কাহিনী সত্যি?

শ্রাবণ খাবার প্লেট আলোর দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বলল,

> মিথ্যা বলা ওর মুদ্রা দোষ। মাথা বিগড়ে গেছে। ওর আর্মি বাপ আছে না? তার সঙ্গে একদিন তোমাকে আলাপ করিয়ে দিব,হেব্বি জিনিস। মেয়ে আসমানে লা*থি দিলেও দোষ খুঁজবে না বরং বাহবা দিয়ে ওরে তোল্লায় দিয়ে গোল্লায় যাওয়ার রাস্তা তৈরী করে দিবেন। মেয়েতো দেখছো? পুরো আগুন, বাপের মতো গুণ পাইছে।

শ্রাবণের মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ। তবুও ওষ্ঠে হাসি রেখে মিষ্টি মিষ্টি করে বেশ কিছু তিক্ত কথা শুনিয়ে দিলো। কুহেলীর চোখে পানি। বাইরের মানুষের সামনে অপমানিত হতে হচ্ছে সেটা ওর ইগোতে লাগছে। তাই নাক টেনে বলল,

> বাবাকে নিয়ে একটাও বাজে কথা বলবি না। যা ভুল করার আমি করেছি। বলতে হলে আমাকে বল। অযথা বাবাকে কেনো টানছিস? তুই বুকে হাত রেখে বলতো এই মেয়েকে তুই মেনে নিয়েছিস? ওকে ভালোবাসিস বল? শুধুমাত্র আঙ্কেলের জন্য কেনো নিজের ভালোলাগা ত্যাগ করবি? আলোকে ছেড়ে দিয়ে দেখ ওর লাইফ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আমি ওকে উপযুক্ত অর্থ দিয়ে সাহায্য করবো। বাচ্চা একটা মেয়ে ওর পুরো জীবন পড়ে আছে। প্লিজ আমার কথা শুন। অযথা রাগারাগি গা*লা*গালি করে কি তোর বিশেষ লাভ হবে?

শ্রাবণ দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

> সত্যিই ভালো হচ্ছে না। তবে যা করার এবার পুলিশে করবে। আমাকে বাজে প্রস্তাব দেবার জন্য থানায় তোর নামে আমি মানহানির মামলা করবো তারপর তোরা বাপ মেয়ের নামে আমার চ্যানেলে রসিয়ে রিসিয়ে মারাত্মক একটা প্রতিবেদন তৈরী করবো। চমৎকার হবে না? অযথা গা*লাগালি করা সত্যি অযৌক্তিক হবে। খুব ধন্যবাদ রে এতো সুন্দর একটা বুদ্ধি দেবার জন্য।

শ্রাবণ বেশ উৎসাহী কুহেলীর নামে প্রতিবেদন তৈরী করার জন্য। মানে রিপোর্টারদের এই এক সমস্যা। হাতে ক্যামেরা আর কা*মান থাকা দুটোই সমান কথা। একটাতে জান নিবে অন্যটিতে মান। কুহেলী হতভম্ভ হলো। এতোটা ছ্যাঁচড়ামি সত্যি ওর চরিত্রের সঙ্গে যাচ্ছে না। কিন্তু ওতো এই পাঁচ বছরে মন প্রাণ দিয়ে শ্রাবণকে ভালোবেসেছে। ভেবেছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবন থেকে কিছু তিক্ত অতীত আপনা আপনি মুছে যাবে। তখন নতুন করে আবার সবটা শুরু করতে পারবে। সেই জন্য এতোদিন নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। কোনো ঝামেলা করেনি। ক্যারিয়ার তৈরী করেছে। যেভাবে শ্রাবণের বাবা চেয়েছিলো ঠিক সেভাবে। কাঙ্ক্ষিত বস্তুর কাছাকাছি এসেও পাওয়া হলো না এর চাইতে আফসোস জীবনে আর হয়না। একটুখানি মতিভ্রম কিভাবে জীবনটাকে তছনছ করে দিলো সে ও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। কুহেলী ঝাপসা চোখে বলল,

> তুই বড্ড বদলে গেছিস শ্রাবণ। আগেকার সঙ্গে এখনকার শ্রাবণের কোনো মিল নেই। আমাকে কতটা কেয়ার করতি সবটা ভুলে গেছিস। কেনো এমন হলো শ্রাবণ? তুইতো আঙ্কেলের প্রস্তাবে আমাকে গ্রহণ করতে রাজি ছিলি তবে এখন কেনো না?

কুহেলী অযথা ঘ্যানঘ্যান করছে। শ্রাবণের গলা দিয়ে খাবার নামলো না। পাশে আলো চোখ বন্ধ করে বসে আছে। মেয়েটার মুখে বিরক্তের ছাপ। শ্রাবণ পানির গ্লাসটা ঠক করে আওয়াজ করে বলল,

> তোর কথা শেষ আসতে পারিস। কিছু মানুষের চোখে আঙুল দিয়েও দেখালেও ওরা নিজের ভুল দেখতে পারেনা। তোর লজ্জা এতো কম কেন বলতো? আমি অসহায় মানুষের পাশে একবার না হাজারবার দাঁড়াতে পারি কিন্তু চরিত্রহীনার পাশে একবারও না। তুই ভুল করে ক্ষমা চাইতি আমি তোর জীবনটা গুছিয়ে দিয়ে সাহায্য করতাম। নীড়ের কি সমস্যা ছিল বলবি? ছেলেটা ডাক্তারী করছে। বিয়ে করেছে কত সুন্দর একটা বাচ্চা আছে গোছানো সংসার আছে অথচ তোর কি আছে? এখন এসেছিস আমার সংসারে আগুন লাগাতে। তুই জানিস আলোর কাছে যে বাচ্চাটা আছে ওইটা আমার বাচ্চা? এখন বল বউ বাচ্চা রেখে আমি তোকে কেন বিয়ে করতে যাব? শোন ঝামেলা না করে আঙ্কেলের পছন্দসই কাউকে বিয়ে করে উনাকে বাঁচতে দে। বেচারা তোর মুখের দিকে চেয়ে কিছু বলতে পারেনা। প্রতিমাসে আমার বাবার কাছে চুপচাপ চেকআপ করতে আসেন। হার্ট দুর্বল, পেসার চড়ে থাকে। কখন কি হয়ে যাবে তখন আফসোসের শেষ থাকবে না। বন্ধু হিসেবে আমি তোর খারাপ না বরং ভালো চাইছি। আমার বউ অসুস্থ তোর জন্য বেচারী ঠিকঠাক খেতে পযর্ন্ত পারলোনা। এবার বল আমার ঠিক তোর সঙ্গে কিরূপ ব্যবহার করা উচিত? সিনেমার মতো ভিলেন সাইড নায়িকার রোল প্লে করছিস। আমাদের একটু শান্তিতে থাকতে সাহায্য কর বোন। বউ বাচ্চা নিয়ে ভালো থাকতে দে।

শ্রাবণ অনুরোধ করলো। ইতিমধ্যে রাহিন চলে এসেছে। শ্রাবণ ওকে ইশারা করলো কুহেলীকে গাড়িতে তুলে দিতে। মেয়েটা কাঁদছে। সারাজীবন মরিচিকার পেছনে ছুটতে গিয়ে আজ আঁকড়ে ধরে বাঁচার মতো কেউ নেই। বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ। লোভের জন্য ভালোবাসার মানুষটা অন্যের হয়ে গেছে। কুহেলীর সবটা কেমন এলোমেলো লাগছে। অতিরিক্ত লোভ মানুষের ক্ষতি বয়ে আনে বিষয়টা বুঝতে অনেক দেরী হয়ে গেলো। রাহিন ওকে গাড়িতে তুলে দিয়ে ফিরে আসলো। মুখটা ভার করে বলল,

> এক সময় কুহেলীকে ভীষণ ভালো লাগতো। ভাবতাম এই সুন্দর মেয়েটা যদি আমার হতো কত ভালোই না হতো।

শ্রাবণ রোলে কামড় দিয়ে বলল,

> এখনো সুযোগ আছে তুই চাইলে আমি কথা বলতে পারি। বলবো?
> খেপেছিস? ফ্যানটাসি আমার মধ্যে যেটুকু ছিল রিপোর্টার হয়ে সব কেঁটে গেছে। চারদিকে যতসব কাণ্ড ঘটছে আর আমি যেচে পড়ে বিপদ ঘাড়ে করবো? সুন্দরী লাগবে না। কথায় বলে না জাতের মেয়ে কালোও ভালো?

শ্রাবণ খাওয়া শেষ করলো। আলো তেমন কিছু খেলোনা। বারবার বাসা থেকে ফোন দিচ্ছে। লিমা বেগমের কেমন এক বোনের পরিবার আসছে আলোকে দেখতে। শ্রাবণ আলোর হাতটা টেনে উঠিয়ে নিয়ে বলল,

> হাঁটতে পারবে? কোলে নিতে বলোনা ভাইরাল হয়ে যাব। লোকেরা আমাকে ট্যাগ দিয়ে দিয়ে ছবি পোষ্ট করবে। হাত ধরে হাটার চেষ্টা করো।

আলো মুখ ঘুরিয়ে বলল,

> আমি খোড়া হয়ে যায়নি। পা যথেষ্ট ভালো আছে। আপনি বরং মেয়েদের প্যানপ্যানানি শুনেন।
আলো ঝাড়ি দিয়ে সামনে এগিয়ে গেলো। শ্রাবণ হতভম্ভ হলো। এই মেয়ে ওকে ঝাড়ি দিচ্ছে কতো সাহস? ভয় নেই একটুও। শ্রাবণ দৌড়ে ওর পিছু নিলো। চিন্তা হলো আলো হঠাৎ রেগে গেলো কেনো? কুহেলীর কথা শুনে? কিন্তু তখন তো বেশ ভালো ব্যবহার করেছিলো? মেয়ে চালাক আছে। বাইরের মানুষের কাছে একরকম আর ওর নিকট আরেক।
****
বিয়ের পরে আলোকে আর শাড়ি পরতে হয়নি। সাদা রঙের থ্রিপিচ পরে ইশাকে কোলে নিয়ে ডাইনিং রুমে বসে আছে। ইশার শরীর এখন পুরোপুরি ভালো। কয়েকদিনে চেহারাতে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। মেয়েটাকে লাল রঙের ড্রেসে পুতুলের মতো লাগে। শ্রাবণ আলোকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। লিমা বেগমের চাচাতো বোন সেতারা বেগম,উনার দুই মেয়ে আর স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে সত্যি জানার পরেও অপবাদ দেওয়া মিথ্যাটা প্রচার করতে এবং খোঁচাতে পছন্দ করেন। এই ভদ্রমহিলাও ঠিক তেমন। আলোকে দেখে বললেন,

> লিমা তোর ছেলে কিন্তু কাজের কাজ করেছে। লেট করে বিয়ে করেছে বলে একবারে আসল ফসল নিয়ে হাজির। দেশে মেয়ের অভাব ছিল? আমার মেয়ে কাঞ্চনের জন্য কতভাবে বললাম রাজি হলিনা এখন বাচ্চাসহ বউ নিয়ে হাজির। মেয়ের পরিবারের অবস্থাও শুনেছি ভালো না। বাচ্চাটার বাপের নামটাতো জানতে? নাকি জানোনা?

আলোর শরীর জ্বলে উঠলো। নতুন বউ মুখে মুখে উত্তর করলে কেমন হয়? তবুও কিছু বলতে চাইলো তার আগেই তুলি পাশ থেকে বলল,

> খালামনি বাচ্চাটা সম্পর্কে তোমাকে কতবার করে বললাম তবুও তোমার মন থেকে সন্দেহ দূর হলো না? বাচ্চা থাকলেও বা কী? তোমার বাড়িতে তো আর যাচ্ছে না। তুমি খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি যাও। ভাইয়া শুনলে নিজ দায়িত্বে তোমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিবে।

ভদ্রমহিলা চুল করলেন। শ্রাবণ জানলে কেলেঙ্কারি বাঁধবে। আলো কৃতজ্ঞ এই পরিবারের প্রতি। কতটা আগলে রেখেছে ভেবে আনন্দ হচ্ছে।

বিয়ের অনুষ্ঠানে বর মহাশয় মুখ অর্ধেক ঢেকে বসে আছে। সামনে নানারকম খাবারের সমাহার। শ্রাবণ আর রাহিন এসেছিল বিশেষ এক কাজে। হঠাৎ ওদের এক কর্মি জামালের সঙ্গে দেখা। ছেলেটার ফুপাতো বোনের বিয়ে। ওদেরকে জোর করে ভেতরে নিয়ে গিয়ে বরের পাশের একটা ছিটে বসতে দিলো। হঠাৎ বরের মুখটা দেখে শ্রাবণ অবাক। খানিকটা চিৎকার করে বলল,

> আরে হাবিব যে? বাহ বিয়ে করছো বুঝি?

পাশ থেকে জামাল চাপা কণ্ঠে বলল,

> উনাকে চিনেন স্যার?

> চিনবো না আবার? আমার বউয়ের একমাত্র দুলাভাই। বউ বাচ্চা রেখে কোন এক মেয়ের সঙ্গে জানিনা কি করেছিল তারপর গভীর রাতে স্ত্রীকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়ে এক প্রকার হ*ত্যা করেছে।

হাবিবের গলা শুকিয়ে আসছে। বাসা থেকে ওর আবারও বিয়ের ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া কতদিন আর এভাবে ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরবে? একটা সংসার হওয়া জরুরি। কিন্তু এখন কি হবে? এদেরকে অর্ধেক কথা গোপর রেখে বিয়ে করতে এসেছিল। বলেছে বউ কোন এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।ছেলে সরকারি ইন্জিনিয়ার। শেষের কথাটা আংশিকভাবে সত্যি। হাবিব বেসরকারী কোম্পানিতে জব করতো। এখন করে না। কথাগুলো ভবে ও মুখ বাড়িয়ে ফিসফিস করে বলল,

> ভাই কিসের শত্রুতা আপনার সঙ্গে আমার? প্লিজ আমার বিয়েটা ভেঙে দিবেন না। আমি কৃতজ্ঞ থাকবো।

শ্রাবণ পেছনে ঘুরে ওর মতোই ফিসফিস করে উত্তর দিলো,
> আমাকে বাসর ঘর থেকে মাঝরাতে বাইরে বের করে আমার নতুন বউয়ের নামে একগাদা আজেবাজে কথা শুনিয়েছিলে। আমাকে বোরিং বানিয়ে তবে ছেড়েছিলে ওটা বুঝি বন্ধুর মতো কাজ ছিল ? খুব মজা না?

বিয়ে বাড়িতে চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়ে গেছে। মেয়ের আগের বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল যৌতুকের জন্য। ছেলে নেশাখোর,কাজকর্ম করেনা। এবার ভেবেছিল ভালো পরিবারে বিয়ে হচ্ছে। সকল কষ্টের অবসান ঘটতে চলেছে। কিন্তু তেমন কিছুই না। ছেলের নামে এতগুলো রিপোর্ট আছে শোনার পর মেয়ের বাবা এই বিয়ে দিবেন না। পনেরো মিনিটে বিয়ের ধফারফা। হাবিবের গালে কয়েকটা থা*প্পর ড়েছে। উত্তেজিত জনতা দেখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হল। রাহিন বলল,

> এভাবে বিয়েটা ভেঙে কি ঠিক হলো?

শ্রাবণ গাড়িতে উঠতে উঠতে উত্তর দিলো,

> ওর পাপের শাস্তি এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে? সবে শুরু,অপেক্ষা কর সামনে কি কি হয়।
**
ইদানিং প্রচণ্ড হু*ম*কির কল আসছে। চারজন আসামী পালিয়ে আছে। একজন ইন্ডিয়া পালিয়েছে। শ্রাবণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। আলোকে বাড়িতে রাখা মুশকিল। ওর জন্য শ্রাবণের পুরো পরিবার হু*ম*কির মুখে। সন্ত্রাসীরা বলেছে হয় আলোকে ছাড়তে হবে নয়তো শ্রাবণের বোন নয়তো বাবা যাকে পাবে তাকে গু*লি করবে প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ নিয়ে কঠিন প্রতি*শোধ নিবে। আলো আর নিজের পরিবারকে সুরক্ষীত রাখতে এই মূহুর্তে শ্রাবণ কি করবে?

চলবে