শুধু তোমারই জন্য পর্ব-৫৩

0
803

#শুধু_তোমারই_জন্য
#পর্ব_৫৩
#Ornisha_Sathi

আনিতাকে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে কাঁদতে দেখে আহিয়ান তড়িঘড়ি করে আনিতার পাশে গিয়ে বসে। আহিয়ান আনিতার হাতটা ধরতেই আনিতা আহিয়ানের দিকে তাকায়। আহিয়ান আনিতার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে,

–“আরে পাগলী কাঁদছো কেন? তুমি জানো না তোমার চোখের পানি আমি একদম সহ্য করতে পারি না।”

–“শেষ বারের মতো আপনার বুকে মাথা রেখে একটু কাঁদতে দিবেন?”

–“শে্ শেষ বারে ম্ মতো মানে? ক্ কি বলছো তুমি?”

–“ন্ না ক্ কিছু না।”

–“তোমার কিচ্ছু হবে না লক্ষীটি। তুমি একদম সুস্থ হয়ে যাবে। ডক্টর বলেছে তো আমায়। তুমি কেঁদোনা প্লিজ। তুমি কান্না করলে কিন্তু এখন আমিও কাঁদবো।”

–“আর কাঁদছি না তো আমি। এই তো দেখুন আমি হাসছি।”

এই বলে আনিতা চোখের পানি মুছে মলিন হাসলো। আহিয়ান আনিতার আগাগোড়া স্ক্যান করে বলে,

–“এভাবে খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার তাই না? এখন একটু কষ্ট হবে কিন্তু পরে সবটা ঠিক হয়ে যাবে। খুব তাড়াতাড়ি তুমি সুস্থ হয়ে যাবে। তোমাকে সুস্থ হতে হবে অন্তত নিজের জন্য। নিজের জন্যও না হলে আমার জন্য তো তোমাকে সুস্থ হতেই হবে। বাঁচতে হবে তোমায়। শুধু আমার জন্য তোমাকে বাঁচতে হবে।”

–“বিশ্বাস করুন আমি বাঁচতে চাই। বাঁচতে চাই আমি। আমার যে আপনার সাথে সংসার করা বাকী। আপনাকে নিয়ে দেখা অনেক স্বপ্ন পূরণ করা বাকী এখনো। প্লিজ বাঁচিয়ে নিন না আমায়। বাঁচতে চাই আমি। আমি আপনার সাথে জনম জনম বাঁচতে চাই। প্লিজ আহিয়ান প্লিজ আমাকে বাঁচিয়ে নিন না।”

–“তো্ তোমার কিচ্ছু হ্ হবে না। বললাম তো আমি। তুমি বাঁচবে, তুমি আমার সাথে সারাজীবন বেঁচে থাকবে। কিচ্ছু হবে না তোমার। তোমার কিচ্ছু হতে দিবো না আমি।”

–“একটা কথা বলবো?”

–“বলো না। বলো। অনুমতি নিচ্ছো কেন? তোমার যা ইচ্ছে বলো আমাকে।”

–“আমি যদি কখনো না থাকি তাহলে___”

–“না থাকি মানে? না থাকি মানে কি? তুমি থাকবে। থাকতে হবে তোমায়। আমার সাথে থাকবে তুমি।”

–“আমার কথাটা শুনুন আগে___”

–“ইউ নো আনি তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। তোমার কিছু হলে আমিও শেষ হয়ে যাবো। সুতরাং নিজের খারাপটা ভুলেও ভেবো না। তোমার লাইফের সাথে কিন্তু আমার লাইফটাও এখন জড়িয়ে আছে।”

–“আহিয়ান আমি ভালোবাসি আপনাকে।”

–“হ্যাঁ জানি তো। এই পিচ্চিটা আমার জন্য কি কি না করেছে একসময়। সেসব কি আমি ভুলে গিয়েছি? ভুলিনি তো। তুমি যে আমাকে কতটা ভালোবাসো তা আমি খুব ভালো করে জানি আনি।”

–“একটা রিকুয়েষ্ট করবো আপনাকে?”

–“হুম।”

–“আমি যখন ন্ না থ্ থাকবো তখন আ্ আপনি খু্ খুব ভা্ ভালো একটা মে্ মেয়ে দেখে বি্ বিয়ে করে নিবে নিবেন প্লিজ।”

–“আনিতায়ায়া। এসব তুমি কি বলছো তুমি নিজে বুঝে বলছো তো?”

–“ব্ বলুন না রাখবেন আমার কথাটা। আর হ্যা আমি না থাকলে আপনি একটুও কাঁদবেন না। আপনার চোখের পানি দেখতে পারবো না আমি। আপনি কাঁদলে যে আমি ওপারে গিয়েও ভালো থাকবো না আহিয়ান।”

–“বললাম তো তোমার কিছু হবে না আনিতা৷ কেন এসব আজেবাজে কথা বলছো তুমি?”

–“শেষ বারের মতো আমাকে একটু বুকে টেনে নিবেন আহিয়ান?”

লাস্টের এই কথাগুলো বলার সময় আনিতার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছিলো। কথা বলতে পারছিলো না ভালো করে। কথাগুলো টেনে টেনে বলছিলো। কেবিনের বাইরে থেকে কাঁচের দরজা দিয়ে আনিতার এমন অবস্থা দেখে আনিতার আম্মু চিৎকার করে কেঁদে উঠছে। আনিতার দাদু জ্ঞান হারাচ্ছে বারবার। অনিমাও ওর আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে চলছে অঝরে। সেখানে উপস্থিত সকলেই কাঁদছে। তাদের অতি আদরের আনিতার এমন করুন অবস্থা দেখে। যে মেয়েটা কিনা তার বাবা মায়ের অতি আদরের রাজকন্যা ছিলো। আদরের ছোট্ট বোনের জান ছিলো। তার পরিবারের সকলের প্রান ছিলো। ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যমণি ছিলো। বিয়ের পর স্বামীর ঘরে গিয়েও শাশুড়ী ভাসুর জা ননদ আর ছোট্ট মেয়ে নুজাইরাহ এর প্রান ছিলো সেই মেয়েটার আজ এমন অবস্থা। চোখের সামনে নিজেদের চোখের মণির এমন অবস্থা যে কাউকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম।

আহিয়ান আনিতাকে বুকে টেনে নিলো। আনিতার ব্যান্ডেজ করা মাথায় আর কপালে আলতো করে চুমু খেলো আহিয়ান। আনিতাকে বুকে টেনে নিয়ে আহিয়ান নিজেও কেঁদে দিলো। আহিয়ানের এমন মনে হচ্ছে, ওর কলিজাটা টেনে কেউ নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ও কিছুই করতে পারছে না। আনিতা প্রচন্ড কষ্টের সাথেই টেনে টেনে বলল,

–“কখনো কোনো ভুল করে থাকলে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন প্লিজ। আর হ্যাঁ প্লিজ আপনার জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েন না। ভালো একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিবেন৷ আপনার ভালোতেই আমি ভালো থাকবো। ওপার থেকে যখন আমি দেখবো আমাকে ছাড়াও আপনি ভালো আছেন তখন আমার থেকে বেশি খুশি আর কেউ হবে না।”

–“পারবো না তোমাকে ছাড়া ভালো থাকতে। আমার ভালো থাকার কারন শুধুমাত্র তুমি। #শুধু_তোমারই_জন্য আমি ভালো থাকবো। আর তুমি বার বার এসব কেন বলছো? বললাম তো তোমার কিছু হবে না। তুমি একদম ঠিক হয়ে যাবে।”

–“আমার আব্বু আম্মু আর বোনকে নিজের পরিবারের মতো আগলে রাখবেন প্লিজ। উনাদের বুঝতে দিয়েন না যে তাদের মেয়ে আর নেই দুনিয়াতে। অনিমার বোন আর নেই বেঁচে। প্লিজ আপনি আমার শূন্যতা ওদের কখনো বুঝতে দিবেন না। আমার দাদুকে তার নাতনীহারার কষ্টটা যেন কখনো ছুতে না পারে প্লিজ।”

–“আনিতা তোমার কিচ্ছু হবে না ট্রাস্ট মি। আমরা সবাই একসাথে ভালো থাকবো। সব্বাই একসাথে থাকবো।”

–“ভা্ ভালোবাসি আ্ আহিয়ান।”

–“আমিও খুউব বেশি ভালোবাসি তোমাকে।”

হঠাৎ আহিয়ান খেয়াল করলো আনিতা খুব জোরে শ্বাস টানছে। কিছু একটা বলতে চেয়েও বলতে পারছে না ও। আহিয়ান আনিতাকে বুক থেকে সরিয়ে ওর দু গালে হাত রেখে বলে,

–“আনিতা? এই আনিতা কি হয়েছে তোমার? তুমি এরকম করছো কেন?”

—–

–“ডক্টর, ডক্টর।”

আহিয়ান চিৎকার করে ডক্টরকে ডাকে। আহিয়ানের চিৎকারে বাইরে থেকে আনিতার আম্মু বোন দাদু ওরা সকলেই কেবিনে প্রবেশ করে। আনিতার অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে৷ পরপর জোরে জোরে দুটো শ্বাস নিয়ে সেখানেই থেমে যায় আনিতার হৃদস্পন্দন। আনিতার এমন নিস্তেজ ভাব বুঝতে পরে সঙ্গে সঙ্গেই আহিয়ান একটা চিৎকার করে উঠে। ডক্টর এসে আনিতাকে দেখে বলে,

–“শি ইজ নো মোর।”

এই একটা মাত্র কথা শুনার সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত সকলের চারিপাশ থমকে যায়৷ স্তব্ধ হয়ে যায় সবকিছু। কান্নার রোল পড়ে যায় সেখানে। সবাইকে কাঁদিয়ে আনিতা কি সুন্দর নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। আহিয়ান আনিতাকে ঝাকিয়ে চিৎকার করে বলে,

–“এই আনিতা উঠো না। তুমি মজা করছো আমার সাথে তাই না? তুমি জানো তোমার কিছু হলে আমিও শেষ হয়ে যাবো। এটা জেনেও তুমি আমার সাথে মজা করছো তাই না? আনিতা উঠো না। আমি যে আর পারছি না। আনিতা একবার বলো না ভালোবাসি। আর একটাবার প্লিজ। আমি তোমাকে হারিয়ে থাকতে পারবো না আনিতা। তুমি আমার সাথে কথা বলবে না তাই তো? আমি কিন্তু এখন আবারো মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করবো। আবারো অনেক অনেক মেয়ের সাথে কথা বলবো। তবুও উঠবে না? ওকে আমি তাহলে সত্যি সত্যি যাচ্ছি কিন্তু অন্য মেয়েদের কাছে। আনিতা উঠো না। আর ঝগড়া করবো না তোমার সাথে প্লিজ এবার তো কথা বলো। আনিতা এই আনিতা। উঠো না।”

এরকম নানান ধরনের আহাজারি করছে আহিয়ান। বাকী সবাইও কান্নায় ভেঙে পড়েছে। আহিয়ান ওর আম্মুর সামনে গিয়ে বলে,

–“আম্মু ও আম্মু আনিতা আমার সাথে কথা বলছে না। ওকে বলো না আমার সাথে একটু কথা বলতে। ও কি জানে না ওর সাথে কথা না বলে আমি থাকতে পারি না।”

আহিয়ানের আম্মু কিছু না বলে চুপচাপ আঁচলে মুখ গুজে কান্না করছে। আহিয়ানের আম্মু কিছু বলছে না বলে আহিয়ান আনিতার আম্মুর সামনে দাঁড়িয়ে বলে,

–“আম্মু আপনি আপনার মেয়েকে বলুন না আমার সাথে কথা বলতে। আপনার কথা আপনার মেয়ে ঠিক শুনবে। প্লিজ ওকে বলুন না উঠতে। আমার ডাকে ওকে সারা দিতে বলুন প্লিজ আম্মু।”

আনিতার আম্মুও আঁচলে মুখ গুজে কাঁদছে। আহিয়ান সবার থেকে দূরে সরে চিৎকার করে বলে,

–“কি হয়েছে কি? তোমারা সবাই এভাবে কাঁদছো কেন? আমার আনিতার কিচ্ছু হয়নি তো। ও ফিরবে। ও ঠিক ফিরবে।”

এই বলে আহিয়ান আবার আনিতার কাছে গিয়ে ওকে ডাকতে শুরু করে। আহিয়ানের এমন পাগলামী তে সবাই আরো বেশি ভেঙে পড়ছে। আহিয়ানকে রাতুল আর আরহান সামলানোর চেষ্টা করছে। আহিয়ান কিছুতেই কিছু বুঝতে চাইছে না। ও বার বার একটা কথাই বলে যাচ্ছে ‘আনিতা বেঁচে আছে আনিতার কিচ্ছু হয়নি।’ আহিয়ান অনিমার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। অনিমার দু গাল ধরে বলে,

–“অনিমা? এই অনিমা তুমিও কাঁদছো? তুমিও অন্যসবার মতো বিশ্বাস করছো যে তোমার আপু আর নেই? অনিমা সকলে মিথ্যে বলছে। আমি বলছি তোমাকে তোমার আপুর কিচ্ছু হয়নি। ও ঠিক আমাদের মাঝে আবার ফিরবে দেখে নিও তুমি।”

–“ভাইয়া আপুকে এনে দিননা প্লিজ। ওকে ছাড়া যে আমার দিন ভালো যায় না। এখন থেকে আমি কার সাথে ঝগড়া মারামারি করবো? কার কাছে এটা ওটা খাওয়ার বায়না ধরবো? কে আমার সব শখ আহ্লাদ পূরণ করবে? আমি আমার আপুকে চাই ভাইয়া আপুকে এনে দিন প্লিজ।”

–“হ্যাঁ ফিরবে। তোমার আপু ফিরবে। ও আমাদের সবাইকে এভাবে কাঁদিয়ে চলে যেতে পারে না।”

তন্ময় এসে আহিয়ানকে ওর নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে বলে,

–“আহিয়ান কেন বুঝতে চাইছিস না আনিতা আর বেঁচে নেই। মারা গেছে ও। আমরা হাজার চাইলেও আর ও আমাদের মাঝে ফিরতে পারবে না।”

–“মিথ্যা বলছিস তোরা। আমার আনিতা বেঁচে আছে। ও আমাকে ছেড়ে এভাবে যেতে পারে না।”

আহিয়ান আনিতার কাছে গিয়ে আবারো ওকে ঝাকাতে শুরু করে। বারবার আনিতা আনিতা বলে চিৎকার করতে থাকে আহিয়ান। কিন্তু আনিতা সে তো খুব নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। কারো ডাকে সারা দিচ্ছে না। আপন মনে ঘুমিয়ে যাচ্ছে। এদিকে যে এতগুলো মানুষ ওর শোকে পাগল হয়ে যাচ্ছে সেদিকে একদম ই ধ্যান নেই ওর। ও তো ওর মতোই উপরওয়ালার ডাকে সারা দিয়েছে। অন্যকারো কান্নায় ওর কি যায় আসে?

বর্তমান__

এইটুকু বলেই শুভ থামলো। আরাধ্যার চোখ বেয়ে অঝোরে পানি পড়ছে। শুভও কাঁদছে তার প্রিয় বন্ধুর কথা মনে করে। কতটা কষ্টদায়ক ছিলো সে সময়গুলো। কতটা যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়েছে সে সময় সবাইকে। আরাধ্যা সে সময়ে নিজে ওখানে না থেকেও সচক্ষে না দেখেও ওর বুক ফেঁটে যাচ্ছে দম বন্ধ হয়ে আসছে শুধুমাত্র শুভর মুখ থেকে এই কথা গুলো শুনে। তাহলে শুভর এখন ঠিক কেমন লাগছে? সেসময় তো শুভ সেখানে ছিলো। নিজের চোখে সবটা দেখেছে। শুভরও নিশ্চয়ই ভীষন রকমের কষ্ট হচ্ছে।

সত্যিকারের ভালোবাসা গুলো কেন এভাবে কাঁদায়? কেন ওদের ভালোবাসা পূর্নতা পেয়েও দিনশেষে অপূর্ণই রয়ে গেলো? কেন দুটো ভালোবাসার মানুষ সারাজীবন একসাথে থাকতে পারলো না। কেন বিয়ের সাত/আট মাসের মাথায় আলাদা হতে হলো দুজনকে? আরাধ্যা প্রথম দিকে যখন আহিয়ান আর আনিতার কথা শুনছিলো তখন ও খুব করে চাইছিলো ওর ভালোবাসার জীবনটাও যেন আহিয়ান আর আনিতার মতো হয়। কিন্তু আরাধ্যা এখন খুব করে চাইছে ওর ভালোবাসাময় জীবনটা যেন আর যাই হোক আহিয়ান আর আনিতার মতো না হয়। আহিয়ান আনিতার মতো এতটা কষ্ট যাতে আর কারো না হয়। আর কেউ যাতে তার ভালোবাসার মানুষটাকে এভাবে না হারায়। আর কেউ যাতে কোনোদিনও এই কষ্ট না পায়।

হঠাৎ করেই আরাধ্যার আহিয়ানের কথা মনে পড়ে গেলো। আচ্ছা আহিয়ানের কি খবর এখন? ও ভালো আছে তো? স্বাভাবিক জীবনে নিজেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিলো তো? আনিতার কথা রেখে সত্যিই কি অন্যকাউকে বিয়ে করেছে ও? অন্যকাউকে নিয়ে কি ভালো আছে ও? আচ্ছা আহিয়ান কি এখনো মনে রেখেছে আনিতাকে? নাকি অন্যকাউকে নিয়ে বেশ ভালোই আছে? আহিয়ান তো আনিতাকে প্রচন্ডরকম ভালোবাসতো। তাহলে আনিতার জায়গা কি আদেও অন্যকাউকে দিতে পেরেছে?



চলবে।