শ্রাবণ কিংবা ফাগুন একটুখানি বর্ষণ পর্ব-০৬

0
316

#শ্রাবণ_কিংবা_ফাগুন_একটুখানি_বর্ষণ
প্রভা আফরিন
[৬]

বৃষ্টিমুখর দিন টুকটুকির ভীষণ পছন্দ। আকাশের সুখকর কান্না দেখতে দেখতে তার দুই চোখে ঘোর লেগে যায়। মুগ্ধতা ছড়ায় প্রতিটি লোমকূপে। এমন কুসুমকোমল, স্নিগ্ধশীতল আহবহাওয়ায় সাধারণত মানুষের মাঝে আলস্য জেকে বসে। বাড়িতে থাকতে ইচ্ছে হয়। ঘুমাতে বা বই পড়তে ভালো লাগে। টুকটুকির তনু মনে বৃষ্টি এক প্রলয়ের বার্তা নিয়ে আসে। তার বাধনহারা হতে ইচ্ছে হয়। কিছুতেই মনটা ঘরে টেকে না। টুকটুকি বৃষ্টিকে দেখে প্রেমিকরূপে। যে তার শীতল বুক মেলে দুহাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওকে আলিঙ্গন করতে। টুকটুকির মন পা’গলা হাওয়ার মতো ছুটে যেতে চায়। নিবিড় হতে চায় তরল হাতের স্নিগ্ধ বাধনে। প্রেমিক পুরুষের উষ্ণ বুকে যেমন প্রেয়সীর সমস্ত আবেগের নিরব বিসর্জন, তদ্রুপ বর্ষণ রাজার প্রণয় লেপ্টানো শীতল বুকে পা’গলাটে প্রেমিকার আগ্রা’সী সমর্পণ।

এখন অবশ্য টুকটুকি সর্বদা বর্ষণ রাজার প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিতে পারে না। শরীরটা তার পা’গলাটে মনকে সহ্য করতে পারে না। ঠান্ডার ছোঁয়া লাগতেই টনসিল ফুলে যায়। গলা ব্যথা হয়। এতে রাজা মাঝে মাঝে ভীষণ অভিমান করে বসে। সেই রাগ ভাঙাতে কোনো এক অবেলায় নূপুরের রিনিঝিনি শব্দ তুলে নিজেকে ভাসিয়ে নেমে পড়ে ভিজতে। টুকটুকির ইচ্ছে করে কোনো এক প্রবল হাওয়ায় মত্ত বর্ষাদুপুরে বর্ষণ রাজার সঙ্গে কৃষ্ণচূড়ার তলায় ভেজা আচল বিছিয়ে বসবে। কখনো সুখের উল্লাসে ঝমঝমিয়ে, কখনো লজ্জায় নুইয়ে ঝিরিঝিরি, আবার কখনো অভিমানে টুপটাপ হয়ে ঝরবে তাদের প্রণয়ালাপ। সাধ জাগে রাজার সঙ্গে পিচঢালা পথে ছুটে বেড়াতে, কাদায় মেখে জলকেলি করতে।
কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে যখন রাস্তায় বেরোয় তখন সকল মুগ্ধতা মনের জানালা ভেঙে পালায়। সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকার রাস্তাঘাট ঘোলা পানিতে ছেয়ে যায়। কিছু কিছু স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সে যে কী ভোগান্তি! রিক্সাওয়ালাদের তখন ভাবই আলাদা। যেন এক একজন মন্ত্রীসভায় গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ফেলে এসে যাত্রীদের দয়া করছে। আকাশে মেঘ গর্জন করলেই চল্লিশ টাকার রিক্সা ভাড়া এক লাফে আশিটাকা বনে যায়। অফিস টাইমে একশ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত চেয়ে বসে। টুকটুকির তখন এক মুহূর্তের জন্য ইকরি হতে ইচ্ছে করে। কলার টেনে, মুখ খিঁচিয়ে বলতে ইচ্ছে হয়,
“চাপায় চোপায় দিমু। ভাড়া ডাবল দিলে কী তোর রিক্সা উড়োজাহাজ হইয়া যাইব?”
ইকরি এ ধরনের আচরণ করলে টুকটুকি প্রথম প্রথম দয়া দেখিয়ে বলত,
“থাক না। ভেজা রাস্তায় বেচারার প্যাডেল ঘোরাতে কষ্ট হবে। দিয়ে দে দশ-বিশ টাকা বেশি।”
ইকরি তখন রেগে বলত,
“বলদি কোনহানের! বাপের টেকায় চলো দেইখ্যা টেকার মায়া বুঝো না। ঠইক্কা শিখবি তুই।”
টুকটুকি ঠকে শিখেছে। ভাড়া নিয়ে এখন বেশ তর্কও করতে জানে। সবটাই ইকরির অবদান।

আজ টুকটুকি সিএনজি নিয়েছে। কাকতালীয়ভাবে একই সিএনজিতে উঠল নিশীথ। তাকে দেখে টুকটুকির মুখটা থমথমে হয়ে গেল। নিশীথের মাঝে বিশেষ ভাবান্তর দেখা গেল না। শুধু গম্ভীর চোখজোড়া আরেকটু গম্ভীরতা পেয়েছে। সে স্বাভাবিকভাবেই টুকটুকির পাশে বসল। সিএনজি চলতে শুরু করেছে। ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটায় মুখে ওপর এলোমেলো উড়ছে টুকটুকির চুল। ইয়েলো থেকে কেনা লাইম কালার কূর্তিটা বৃষ্টির ছাঁটে অল্পবিস্তর ভেজা। পরিচিত, স্বল্প পরিচিত মানুষ একে অপরের থেকে মুখ ফিরিয়ে পাশাপাশি বসে ভ্রমণ করাটা কতটা অসৌজন্যের টুকটুকি জানে না। তবে পাত্তা সে দেবে না এটুকু নিশ্চিত। এখনো তার বুকের ভেতর সেই বিয়ের দিনের উপেক্ষাটা সুক্ষ্ম কাটার মতো বিঁ’ধে আছে। প্রথম দর্শনে অসামাজিকতা, দ্বিতীয় দেখায় অপমান করে চূড়ান্ত অ’সভ্যতার পরিচয় দিয়েছে এই লোক। অথচ এখন এমন ভাব করে বসেছে যেন ভাজা মাছটা উলটে খাওয়া তো দূর মাছের গন্ধই শোকেনি জীবনে।

টুকটুকি আরেকটু বেঁকে বসে নিবিষ্ট চোখে বাইরের ক্রমাগত পেছনে ছোটা পথ-ঘাট দেখছিল। হুট করে গম্ভীর কণ্ঠের মালিক শব্দ করল,
“এক্সকিউজ মি ম্যাডাম!”

কথাটা স্পষ্টই টুকটুকির কর্ণকুহর ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে। টুকটুকি সাড়া দিল না। ঠোঁটে সুক্ষ্মভাবে খেলে গেল এক দাম্ভিক হাসি। দেবে না পাত্তা। শোধবোধ। কিন্তু পরের কথাটা তাকে মুখ ঘোরাতে বাধ্য করল,
“কানে কালা নাকি?”

টুকটুকি বি’স্ফো’রিত দৃষ্টিতে চেয়ে বলল,
“কী বললেন আপনি?”
নিশীথ দৃষ্টি খাটো করে বলল,
“এই কথাটাও শোনেননি? কানে নির্ঘাত সমস্যা আছে।”
“শুনব না কেন? অবশ্যই শুনেছি। সমস্যা আমার কানে নয় আপনার স্বভাবে আছে।”
নিশীথ আকাশ থেকে পড়ল। জবাব দিল,
“আশ্চর্য! আপনার সমস্যাটা কী? পায়ে পাড়া দিয়ে ঝ’গড়া করতে চাইছেন?”
“ওহ হ্যালো! আমি নই আপনিই আমায় খোঁ’চাতে এসেছেন আগে। ঝ’গড়ার শখ আমার নয় আপনার হয়েছে।”
নিশীথ শ্লেষের সঙ্গে একটু নাটকীয় ভঙ্গিতে বলল,
“আপনার সঙ্গে কথা বলতে আমি ম’রে যাচ্ছি না ম্যাডাম। বরং আপনার ঘোড়ার লেজের মতো চুল আমার নাকে-মুখে এসে বাড়ি খাচ্ছে। কৃপা করে যেন সরান তাই ডেকেছি।”

টুকটুকির মুখটা ছোটো হয়ে গেল। তার পনিটেইল করা হতচ্ছাড়া চুল যে এমন লজ্জায় ফেলে দেবে কে জানত? কিন্তু এই মুহূর্তে নিজের ভুল স্বীকার করে নত হওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে জাগল না তার৷ এই লোকের সামনে তো নয়ই। টুকটুকি চুল গোছাতে গোছাতে বলল,
“হ্যাঁ সামান্য চুল গায়ে লাগায় তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইউজ করলে এইসব বিষয় ফেইস করার ধৈর্যও রাখতে হবে।”

নিশীথ বিচিত্র ভঙ্গিতে তাকায়। চোয়াল শক্ত করে, ব্যাঙ্গাত্মক সুর টেনে বলে ওঠে,
“যার মাঝে ভদ্রভাবে কথা বলার নুন্যতম ধৈর্য নেই সে কিনা অন্যকে ধৈর্যের জ্ঞান দিচ্ছে!”
“আপনি কিন্তু আমায় অপমান করছেন।”
“প্রশংসা করার কিছু পেলাম না তো।”

সিএনজিতে ড্রাইভার সহ চারজন মানুষ উপস্থিত। পেছনে নিশীথ ও টুকটুকি এবং সামনে ড্রাইভার ও এক রাশভারী প্যাসেঞ্জার। ঝ’গড়া, চ্যাচামেচিতে ক্রমশ লোকটার টাক পড়া আধহাত কপালে বিরক্তির উদ্রেক হচ্ছিল। এ পর্যায়ে বলে উঠল,
“আরে মিয়া পাইছেনটা কী আপনারা? ঝ’গড়া করতে মনে চাইলে নেমে করেন। বাড়িতে বউয়ের ভ্যাজরভ্যাজর বাইরেও পাবলিকের ক্যাচরক্যাচর। শান্তি নাই দুনিয়াতে।”
টুকটুকিও সমান তেজে বলে,
“এতই যখন শান্তি খুঁজবেন তো রিজার্ভ গাড়ি নিলেন না কেন? কারো চুলে সমস্যা, কারো কথায়। আপনাদের জন্য কি মেয়েরা রাস্তায় নামতে পারবে না?”

নিশীথ বিস্ময়বিমূঢ় দৃষ্টি হানে ওর প্রতি। বলে,
“বাহ! কোথাকার কথা কোথায় টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, ম্যাডাম? নিজে যেচে ঝগড়া করে এখন নারীবাদীত্ব দেখানো হচ্ছে? এবার বুঝতে পারছি সমস্যা আপনার কানে নয়, সমস্যা আসলে আপনার মাথায়।”
রাগে, দুঃখে, অপমানে টুকটুকির চোখ ছলছল করে ওঠে। নিশীথ ড্রাইভারকে নির্দেশ দেয়,
“এই মামা সাইডে রাখেন।”
সে ভাড়া মিটিয়ে হনহনিয়ে হেঁটে চলে যায়। ফেলে যায় একটা অবজ্ঞার হীন দৃষ্টি।
_________________

আনন্দ দিঘির পাশে দেখা হওয়ার কথা থাকলেও সকলের দেখা হলো মুক্তমঞ্চ লেকের ধারে। মেয়েটি নাকি এখানেই আসবে অনুভবের সঙ্গে দেখা করতে। দিগন্ত, অনুভব ও টুকটুকি আগেই সেখানে পৌঁছে গেছে। নন্দিনীর কোনো খোঁজ নেই। দিগন্ত ঘড়ি দেখে বলল,
“আমি উত্তরা থেকে চলে আসছি আর এই মেয়ে প্রীতিলতা হল থেকে আসতে পারল না? এত অলস হয়েও এই মেয়ে কী করে এতগুলো বয়ফ্রেন্ড পালে বুঝি না।”

নন্দিনী এলো আরো মিনিট পাঁচেক বাদে। তাকে দেখেই সকলের কপালে সমান্তরাল রেখা উদিত হয়। মাথার ওপর এখন চড়া রোদ। লেক থেকে ভেসে আসছে মৃদুমন্দ হাওয়া। নন্দিনীর পরনে কালো শার্ট, কালো জিন্স, কালো হিল। লিপস্টিকের রঙটাও কালো। চোখে মোটা করে কাজল টেনেছে। কানেও পরেছে কালো টপ। অর্থাৎ তার উজ্জ্বল তামাটে ত্বক ব্যতীত মাথার চুল থেকে পায়ের জুতো সব কালো। প্রতি মাসেই দুই-তিনবার সে মাথা থেকে পা অবদি কালো পোশাকে সেজে ‘ব্ল্যাক ব্রেকাপ ডে’ পালন করে। অর্থাৎ যেদিন সে ব্রেকাপ করে, তার পরের দিন প্রাক্তনের স্মরণে কালো পোশাকে সেজে ব্ল্যাক ব্রেকাপ ডে পালন করে। সে বন্ধুদের কাছে পৌঁছাতেই দিগন্ত বলে উঠল,
“দোস্ত, তোরে কাউয়ার মতো লাগতাছে।”

নন্দিনী দিগন্তের বাহুতে সজোরে থা’প্প’ড় দিয়ে বলে,
“ফ’ই’ন্নি’র পোলা।”
দিগন্ত রেগেমেগে নন্দিনীর বাহুতে চি’ম’টি কে’টে দ্রুত সরে যায়। নন্দিনী তাড়া করে না। ঠোঁট বেঁকিয়ে ছড়া কা’টে,
“চি’ম’টি দিলি ক্যা
দুক্কু পাইলাম ক্যা
মাচার তলে বাইয়া ব্যঙ
তোর নানির চাইর ঠ্যাং।”

টুকটুকি, অনুভব একযোগে হেসে ওঠে। দিগন্ত আর্তনাদ করে ওঠে,
“তুই আমার নানিকে নিয়ে বাজে কথা বললি?”
নন্দিনী কপাল চাপড়ে বলল,
“লও ঠ্যালা। তোর নানির লগে আমার কীসের লেনাদেনা? এইডা আমাগো গ্রামে ব্যবহৃত একটা ছড়া। বাচ্চাকালে একজন আরেকজনরে কইয়া ক্ষ্যা’পাইতাম।”
“এমন জঘন্য ছড়া বলতি তোরা?” দিগন্ত মুখ কুচকে বলে।
“ওলেলে বাবুতা। তোমার শহরের মতোন চার দেয়ালে বন্দি বোরিং শৈশব আমাগো ছিল না বুচ্ছো। আমরা মাঠে-ঘাটে, বনে-বাদারে কানামাছি, বউচি, কুতকুত, সাত চাড়া, জুতাচোর খেইল্যা বড়ো হইছি। এইসব বুলি যে কত্ত মজার তুই কেমনে বুঝবি ভো’দাই কোনহানের।”
“তোকে কে বলেছে আমার শৈশব চার দেয়ালে বন্দি কেটেছে? আমি ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেটবল খেলেছি। সাইক্লিং, রেসিং, সুইমিং সব করেছি। আমার ট্রফি গুনতে গিয়ে তোর মুখ ব্যথা হয়ে যাবে।”

“হুদাই তোরে ভো’দাই কইছি? আমি কইলাম মনের আনন্দে খেলার কথা আর তুই কইলি প্রতিযোগিতার কথা। দুইডা এক হইলো? তুই সব খেলছিস জিততে, মনের সুখে না। আর আমরা আউলা বাতাসে বাউলা হইয়া খেলতে খেলতে দিনক্ষণ ভুইলা যাইতাম। সন্ধ্যা গড়াইয়া বাড়িত ফিরা মায়ের হাতের দুম-দাম পি’টা’নি খাইতাম। তাও খেলার আকর্ষণ ছুটত না। ওই মজা তুই বুঝবি? জীবনে মাটিতে গড়াগড়ি করছোস?”
দিগন্তের মুখটা গম্ভীর হয়ে গেল। নন্দিনী অনুভবকে দেখে বলল,
“আরেহ তুই দেখি আজকে মাঞ্জা মে’রে আসছিস।”
অনুভব লাজুক হওয়ার চেষ্টা করে হাসে। বলে,
“ও শাড়ি পরবে। তাই ভাবলাম পাঞ্জাবি পরি।”
“ওওওও!” ওরা তিনজন সমস্বরে চ্যাচিয়ে ওঠে। দিগন্ত বলে,
“এরই মাঝে ‘ও’ হয়ে গেল? আগে দেখাসাক্ষাৎ কর ঠিকমতো।”
অনুভব টুকটুকির মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,
“কিরে? তুই এমন চুপ মে’রে আছিস কেন?”
টুকটুকি আজকের আড্ডায় কিছুটা মৌন। সকালের ঘটনাটা এখনো মনের মাঝে গুম হয়ে আছে। বলল,
“পরে বলব। আগে তোর কাঙ্ক্ষিত রমনীকে দেখি।”

ঠিক তখনই লেকের ধার ঘেঁষে একটি গোলাপি শাড়ি পরা খাটোমতো মেয়েকে হেঁটে আসতে দেখা গেল। অনুভবের চোখের তারা ঝকমকিয়ে ওঠে। বন্ধুদের রেখে এগিয়ে যায় মেয়েটির দিকে। দুজন দুজনকে দেখেই চিনে ফেলল। অনুভব মুচকি হেসে বলল,
“ভালো আছো পায়েল?”
মেয়েটি কানের পিঠে চুল গুজে মিষ্টি করে হাসল। বলল,
“জি। আপনি?”
“তোমাকে দেখে ভালো হয়ে গেলাম। চলো হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি।”
দুজনে পাশাপাশি হাঁটতে লাগল। একসময় দুজনের হাতে আলতো করে স্পর্শও লেগে গেল। দূর থেকে তা দেখে দিগন্ত বলল,
“সুপার ফাস্ট! এদের বোধহয় হয়েই যাবে।”
নন্দিনী শাণিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। মেয়েটিকে সে কোথায় যেন দেখেছে মনে হচ্ছে।

চলবে…