সাত পাকে বাঁধা পর্ব-১৪ এবং শেষ পর্ব

0
3121

#সাত_পাকে_বাঁধা
#অধির_রায়
অন্তিম পর্ব

নিয়তি ঘুমিয়ে পড়লেও নির্বণের চোখে ঘুম নেই৷ নির্বণ চিন্তায় পড়ে যায় যদি স্বার্থ কিছু বলে দেয়। তখন কি হবে? নির্বণ এখন তার মা বাবাকে ফোন করে জানাতেও পারবে না৷ নির্বণের মাথায় অটোমেটিকভাবে বুদ্ধি চলে আসে৷

নির্বণ ভাবতে থাকে “ফোন দিতে পারব না সমস্যা কি? আমি তাদের ট্যাক্স করতে পারব। ফোনে আমার মনের ভাব সম্পুর্ন রূপে প্রকাশ করতে পারব না৷ সকলেই ইমোশনাল হয়ে পড়বে৷”

সকল চিন্তা ধারণা এক পাশে রেখে টেক্স করা শুরু করে দেয়৷ টেক্সে লেখা ” প্রথমে আমার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনো।জানি তোমরা অনেক হার্ট হবে৷ তবে তোমাদের অনেক শক্ত থাকতে হবে৷ এই মেসেজ তোমরা দেখার পর মেসেজ লক করে রাখবে। নয়ত বা টেক্স রিমুভ করে দিবে৷”
আমি জানি আজ তোমাদেরকে স্বার্থ খরব দিবে আমি মৃত। আমি তার কাছে মৃত এটা তার কাছে প্রমাণ আছে৷ সে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি করতে চায়৷ সেজন্য আমাকে এই নাটক করতে হলো। তার মুখোশ সবার সামনে নিয়ে আসার জন্য তোমরা সকলেই আমার পাশে থাকবে৷ দোল উৎসবে আমি সঠিক সময়ে এন্টি নিব৷ তোমরা তার কাথায় কোন কান দিবে না৷ যদি আমাকে মৃত বলে ঘোষণা করে তোমরা তাকে জানিয়ে দিবে নির্বণ আমাদের ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে এক মাসের জন্য দেশের বাহিরে গেছে৷ আমাদের ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে৷ তাই তোমরা কেউ স্বার্থের কথা বিশ্বাস করছো না৷ তেমনি আজ তার কাছ থেকে সব কিছু কেঁড়ে নিব৷ সেও বুঝতে পারবে কেঁড়ে নিলে কেমনটা লাগে৷ তার বিরুদ্ধে অলরেডি পুলিশকে ইনফর্ম করা হয়েছে। সে নিয়ে তোমাদের কোন চিন্তা করতে হবে না।

তোমাদের আমি এত কিছু বলতে চায় না যতটুকু বলছি একটু মাথা খাঁটিয়ে বুঝার চেষ্টা কর৷ তাহলে তোমরা এই সমস্যার সমাধান খোঁজে পাবে৷ প্লিজ চোখ কান খোলা রেখে সাবধানে থাকবে।
ইতি
নির্বণ চৌধুরী

নির্বণ টেক্সটা তার মা, বাবা, নিয়তিকে সেন্ট করল৷ চোখে মুখে জলের ছিঁড়া দিয়ে দ্বার খোলতেই প্রার্থ এসে হাজির৷

— প্রার্থকে চিন্তিত অবস্থায় দেখে “কি হয়েছে তোর?” তুই ঠিক আছিস তো? তোকে চিন্তিত কেন দেখাচ্ছে।

— “স্বার্থ,, স্বার্থ” আর কোন কথা মুখ থেকে বের হচ্ছে না৷ শুধু কথা আটকে পড়ছে।

নির্বণ প্রার্থকে রুমে নিয়ে এসে এক গ্লাস জল খেতে দেয়। নির্বণ ভাবতে থাকে ” প্রার্থ কোন কিছুতেই ভয় পায় না৷ আজ সে প্রার্থ এত ভয় পেয়ে আছে কেন?” “আমাকে জানতেই হবে; ”

— “তুই ঠিক আছিস তো?” নির্বণ প্রার্থের কাঁধে হাত রেখে বলে উঠে।

— প্রার্থ নিজেকে শান্ত করে ” আমি যা বলবো তা তোকে মেনে নিয়ে শক্ত হাতে যুদ্ধ করতে হবে?”

— কি এমন কথা?

— স্বার্থ আমাদের ফোন করে জানিয়েছে সে আমাদেরকে দোল উৎসবে ইনবাইট করবে৷

— সেটা ভালো কথা? তোরা দোল উৎসবে থাকতে পারবি আমারই ভালো হবে৷

— কিন্তু কেন ইনবাইট করেছে সেটা জানবি না৷

— কেন?

— দোলের পর যখন তোর মা বাবা আবির মাখা অবস্থায় থাকবে তখন তাদেরকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে। এতে করে নিয়তি একা হয়ে যাবে। স্বার্থ এসব কাজ করেছে শুধু নিয়তিকে নিজের করে পাওয়ার জন্য।

— “কি” যেন নির্বণ আকাশ থেকে পড়ে।

— তবে আমাদের কাছে একটা সুযোগ আছে?

— কি সুযোগ? প্লিজ তারাতাড়ি বল৷ আমি কিছুতেই আমার মা বাবাকে ছাড়তে পারব না৷ না পারব ছাড়তে নিয়তিকে৷ নিয়তিকে আমি খুব ভালোবাসি।

— হুম আমি তোদের ভালোবাসার কথা জানি৷ তবে আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে৷ আমরা তার সাথে ডিল করব তার জন্য এগ্রিমেন্টে তার সাইন লাগবে। আর এই সাইনে তুই তোর সমস্ত প্রোপার্টি ফিরিতে পেতে পারিস৷ এগ্রিমেন্টের সাথে তোর বাড়ির দলিলও থাকবে৷ আমি জানি সে নিয়তিকে পাওয়ার জন্য খুব এক্সাইটেড তাই সব কিছু চেক করবে না৷ পা পড়েই সাইন করে দিবে৷

— তোর যা মনে চায় তাই কর? প্লিক আমার পরিবারের কোন ক্ষতি করবি না। একটা অনুরোধই তোর কাছে

— তোর পরিবার মানে আমার নিজের পরিবার। আমার মা বাবা নেই৷ কোনদিন মা বাবার আদর পায়নি। তোর মা বাবা আমার মা বাবা হয়ে আমাকে ভালোবাসা দিয়ে পরিপূর্ণ করেছে। তাদের আমি অনিষ্ট করব এটা আমি ভাবতেও পারি না৷

প্রার্থের কথাগুলো নির্বণের হৃদয় ছুয়ে যায়। নির্বণ ভালোবাসার টানে প্রার্থকে হ্যাক করে। বহু বছর পর দুই বন্ধর আত্নার মিলন হলো৷ দুই জনের চোখে জল। এই জল আনন্দের জল।যেখানে ভালোবাসা অবিরাম।


নিয়তি সকাল সকাল নির্বণের মেসেজ পেয়ে খুব খুশি৷ খুব খুশি মনে মেসেজটা অন করে নিজের হৃদয় ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। দূরে ছোটে যায় নির্বণের মা বাবার রুমে।

রুমে প্রবেশ করেই দ্বার বন্ধ করে দেয়৷

— “নিয়তি কি হয়েছে তোমার? ” তুমি ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছো কেন?” নির্বণের বাবা চা ট্রি টেবিলে রেখে বলে।

নির্বণের বাবার এমন কথা শুনে নির্বণের মা আলমারি খোলা রেখেই নিয়তির পাশে এসে দাঁড়ায়। নির্বণের মা আলমারিতে তাদের কিছু পুরোনো ডকুমেন্টস খোঁজতেছিল।

— নিয়তির শ্বাশুড়ি নিয়তিকে অভয় দিয়ে ” কি হয়েছে তোমার?”

— আপনারা প্লিজ আপনাদের ফোনটা চেক দেন৷

— কেন কি হয়েছে? (নির্বণের বাবা)

— নির্বণ আপনাদের কোন টেক্স করেছে কিনা প্লিজ তারাতাড়ি দেখেন৷

— ওঁকে দেখছি৷ নির্বণের বাবা নিজের ফোন হাতে নিয়ে দেখে নির্বণের টেক্স। যেটা নিয়তির ফোনে সেটা নির্বণের বাবার ফোনেও ইভেন তার মায়ের ফোনেও।

— এসব কি বাবা? প্লিজ আমার কাছ থেকে কিছু লুকাবেন না৷

— হুম তোমার কাছ থেকে কিছু লুকাবো না৷ এসব সত্যি। (নির্বণের মা)

— নির্বণের বাবা বলে উঠে আমি বলছি ” স্বার্থ আমাদের ঠকিয়ে আমাদের বাড়ি, গাড়ি কোম্পানি সব নিজের নামে করে নিয়েছে। সে আমাদের পথের ভিক্ষারী বানাতে চায়৷

— কিন্তু কেন? তার এসব করে কি লাভ? (নিয়তি)

— জানি না৷ তবে নির্বণ যা বলেছে আমাদের তাই করতে হবে৷ এসব কথা যেন ঘরের বাহিরে না যায়৷ (নির্বণের বাবা)

— বাবা আপনাদের সমস্যা মানে আমার সমস্যা। আমি কি কখনো আপনাদের ক্ষতি হতে পারি৷ চিন্তা করবেন না৷ আমি কিভাবে সব সমাধান করি। কিছুতেই ওই স্বার্থকে সফল হতে দিব না৷

— না মা তুমি এখন আর এসবে নিজেকে জড়িয়ে ফেলো না৷ আমি চায় না আমাদের সবার ক্ষতি করুক স্বার্থ।(নয়ন তারা)

— দেখে যান৷ আমি আপনাদের কোন ক্ষতি হতে দিব না৷

নিয়তির আর কিছু না বলে হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। ঠিক তখনই স্বার্থ অফিসে বের হবার জন্য বের হয়৷

নিয়তিকে দেখেই স্বার্থ বলে উঠে ” কোথায় যাওয়া হচ্ছে এভাবে?” নিয়তির চারদিকে রাউন্ড করে৷

— নিয়তি অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ” আপনাকে বলছি আপনি আমার পিছনে ঘুর ঘুর করবেন না৷ ”

— স্বার্থ মুচকি হেঁসে ” কি করব তোমাকে দেখলে আমার এই অবুঝ মনটা ঠিক থাকে না৷ ”

–চোখ পাকিয়ে নিয়তি কিছু বলতে নিবে তখনই মনে পড়ে যায় মেসেজের কথা৷ সময়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে ” আপনাকে একটা সুযোগ দিতে পারি।”

— অবাক হয়ে ” তুমি সত্যি বলছে!” আমি কথা দিচ্ছি তোমার সব শর্ত মেনে নিব।

— আমি আপনাকে কোন শর্ত দিচ্ছি না৷ আমি শুধু এটা বলতে চায়ছি আমি দোল খেলতে খুব ভালোবাসি। কিন্তু নির্বণ কাজে আটকে গেছে। অফিসের একজন বলে দিয়েছে নির্বণ কাজের জন্য কাউকে না বলে দেশের বাহিরে চলে গেছে।

— নিয়তি তোমার ভালোবাসা দেশের বাহিরে নয় দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে৷ তাকে দুনিয়া থেকে চলে যেতে আমি সাহায্য করেছি৷ (মনে মনে)

আমি জানতাম তুই কিছু করেছিস? তুই ভাবছিস আমি গাঁধা। তোকে আমি উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এমন করছি। আমার ফাঁদে পা দিয়ে বড় ভুল করে ফেললি। আমি তোর ভালো চায়না আমি তোর অনিষ্ট চায়৷ (মনে মনে)

স্বার্থ যেন বুঝতে না পারে তাই নিয়তি স্বার্থের দু’কাঁধে নিজের দু হাত রেখে ” কি হলো কোথায় হারিয়ে গেলেন?”

স্বার্থ নিয়তিকে এত কাছে আসতে দেখে মনে মনে পাগল হয়ে যাচ্ছে। খুশির কারণে স্বার্থের মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে৷

স্বার্থ আমতা আমতা করে ” তুমি আমাকে? ”

— হুম আমি আপনার সাথে দোল খেলবো৷ আজ রাতে তারাতাড়ি ফিরে আসবেন৷ আপনার সাথে বসে দোলের উৎসব নিয়ে আলোচনা করব।

— মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে রেখে ” ওঁকে ”

নিয়তি আর কোন কথা না বাড়িয়ে নিজের রুমে চলে যায়৷ স্বার্থ টেট্যাং ট্যাং করে অফিসে চলে যায়।



প্রার্থ স্বার্থের জন্য অপেক্ষা করছে স্বার্থের কেবিনে। কানে ব্লুটুথ লাগানো৷ যা কথা হবে তাদের মাঝে সব কিছু শুনতে পাবে নির্বণ৷

— আমি আপনার সব কাজ করে দিতে রাজি। কিন্তু? (প্রার্থ)

— কিন্তু কি? (স্বার্থ)

— আমাদের মাঝে চুক্তির উপর বৃত্তি হয়েছে৷ কিন্তু লিখিত কোন ডকুমেন্টস নাই৷ সেজন্য আমি এই কাজ করতে রাজি না৷

— ডকুমেন্টস দিয়ে কি করবেন? আপনি আপনার টাকা পেয়ে যাবেন৷

— আমি মানুষকে স্বর্গে পাঠিয়ে দেয়৷ আমার জীবন হাতে নিয়ে অন্যকে খুন করি৷ সেই মুহুর্তে যদি আমি মারা যায়৷ তখন কোথায় পাব এসব টাকা৷ আমার ফ্যামিলি টাকা পেয়ে মারাও যেতে পারে।

— হুম বুঝগে পেরেছি আপনার কথা৷ আমি ডকুমেন্টস সাইন করতে রাজি৷ তবে

— তবে কি?

— আমার কাছেও এক কপি থাকবে৷

— ওঁকে।

প্রার্থ সুব চালাকির সাথে এগ্রিমেন্টের নিচে বাড়ির দলিল রাখে। কিন্তু স্বার্থও তেমন গাধা না৷ এক এক করে সব পড়ে যাচ্ছে। দুই পেজ পড়ার পর স্বার্থ বিশ্বাস করে নেয় সব ঠিক আছে। আর কিছু না দেখে অনবরত সাইন করে দেয়৷

প্রার্থ চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করে যাচ্ছে৷ যেন কিছুতেই দলিল স্বার্থের চোখে না পড়ে৷

— হ্যালো মি. আমি সব গুলোতে সাইন করে দিয়েছি৷ আমার কাছে এক কপি রেখে বাকিগুলো নিয়ে যান৷

–ওঁকে

প্রার্থ এগ্রিমেন্ট সব গুলো স্বার্থকে দিয়ে যায়। প্রার্থ শুধু দলিল নিয়ে যায়। প্রার্থ ওয়েট না করে তারাতাড়ি চলে যায় এটা বলে যে এসব কাজে কারো সামনে যেন ধরা পড়তে না হয়৷

স্বার্থ টেবিলের উপর রাখা মাছের একুরিয়ামের দিকে দৃষ্টি দিয়ে মনে মনে ” নির্বণ তোর সব কিছু নিজের করে নিয়েছি৷ কাল নিয়তিকেও নিজের করে নিব। নিয়তি বুঝতেই পারবে না কিভাবে আমি তার হয়ে গেছি।”

শেষাংশ

দোল উৎসবে মেতে উঠেছে চৌধুরী বাড়ি৷ বাড়িতে অনেক অতিথি এসেছে। সকলে রঙে রঙে রঙিন হয়ে আছে। কিন্তু মুখ গোমড়া করে রুমে বসে আছে নিয়তি। সে ভেবেছে নির্বণ তাকে এসে প্রথম রং লাগাবে৷ কিন্তু এখনো নির্বণ আসলো না৷ মন খারাপ করে দোলের পোশাক খোলতে নিলেই নির্বণ রুমে প্রবেশ করে নিয়তিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।

— যান আপনার সাথে কোন কথা নেই৷ আমি খুব রেগে আছি৷ দূর হন এখান থেকে। আপনি একটা রোহিঙ্গা। (নিয়তি)

— ঘাড়ে নাক ঘষে ” আমার বউটা আমার উপর খুব রাগ করেছে। আজ রাতে সব রাগ নিজের করে নিব৷

— আমি কিন্তু এখন চিৎকার করব৷ বেরিয়ে যান এখাব থেকে।

— ওমন করো কেন? তুমি তো জানোই আমি স্বার্থের মুখোস খোলার জন্য এমন করেছি৷

— আচ্ছা এভাবের জন্য ক্ষমা করে দিলাম।

নির্বণ নিজের গালে রং লাগিয়ে সেই গাল দিয়ে নিয়তির গালে রং লাগিয়ে দেয়৷ নির্বণের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি নিয়তির গালে লাগতেই নিয়তি নির্বণ জড়িয়ে ধরে৷

— এভাবে জড়িয়ে ধরলে আমি নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে পারব না৷

— আমি,,

নিয়তি কিছু বলতে নিবেই তার আগে দরজায় স্বার্থ টুকা দেয়৷

— আপনি ওয়াশরুমে চলে যান৷ আমিও বসে নেই আমিও স্বার্থকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেছি৷

— তুমি কি করেছো তার সাথে।

— আপনি তা দেখতে পাবেন৷ তারাতাড়ি যান৷

নির্বণ বাধ্য হয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়।নিয়তি দ্বার খোলতেই স্বার্থ রুমে প্রবেশ করে দেখে নিয়তির গালে আবির৷

— তুমি আবির লাগিয়ে ফেলেছো? (স্বার্থ)

— আমি লাগাতে চায়নি মা লাগিয়ে দিয়েছে।

— নিচে চল একটা এনাউন্সমেন্ট করার বাকি আছে

— ওঁকে

স্বার্থ নিয়তির হাত ধরে নিচে নিয়ে যায়।

স্বার্থ সকলের সামনে বলে উঠে ” হ্যালো গাইস আমি একটা এই দোলের দিনে একটা সু খবর দিতে চায়।

সকলের হাত তালি দিয়ে কিসের সু খবর?

— আমি নির্জন চৌধুরী স্বার্থ নিয়তিকে বিয়ে করতে যাচ্ছি অতি দ্রুত৷

বিয়ের কথা শুনে নিয়তি এক কদম পিছিয়ে যায়।

— কারণ নির্বণের শেষ ইচ্ছা ছিল আমি যেন নিয়তিকে দেখে রাখি৷ নির্বণ আমাদের মাঝে আর নাই৷ বলেই দুই ফোঁটা জল ফেলে৷

নির্বণ হাত তালি দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে “বাহ বাহ!” মি. স্বার্থ তোমার লোক আমাকে মারেনি বরং তারাই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে৷

নির্বণের পিছু পিছু প্রার্থও নেমে আসে৷

— মি. স্বার্থ নির্বণকে আমি মারবো হাহাহা৷ আমি আর নির্বণ খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড। আপনাকে এখন কে বাঁচাবে। পুলিশ আপনার জন্য বাহিরে অপেক্ষা করছে৷ আর এই দলিল যা আপনি নিজ হাতে সব কিছু নির্বণের নামে লিখে দিয়েছেন৷

নির্বণ সকলের সাননে একটা ভিডিও ক্লিপ দেখায় যা স্বার্থের সকল অপকর্মের প্রমাণ। পুলিশ টানতে টানতে নিয়ে যায় স্বার্থকে। সাথে পিসি মনিকেও।

দোল উৎসবে সত্যের জয় হয়৷ মেতে উঠে সবাই নতুন করে দোল উৎসবে৷

স্বার্থ বলে উঠে

“মনে মনে দু জনে৷
হৃদয়ের বাঁধনে
প্রিয়া তুমি আমার
সাত পাকে বাঁধা ”
#সাত_পাকে_বাঁধা

________________সমাপ্ত____________________

ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷

১.সিজন- ২ আসবে না৷

২. আপনাদের উৎসাহ পেলে গল্প লিখে যাব৷

৩. মূল কথা আমি কোনদিন গল্প রিচেক দিতে পারিনি৷ তাই জানি না আমার গল্প কেমন৷ এখন কথা দিচ্ছি আপনারা যদি সাথে থাকেন প্রত্যেকটি এপিসোড রিচেক দিয়ে পোস্ট করব৷