সে আমার মায়াবতী পর্ব-০৯

0
480

#সে_আমার_মায়াবতী
#লেখনিতে_ঈশা_ইসলাম
#পর্ব_৯
বিকেল বেলা খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে মায়ার সাথে গল্প করার এক পর্যায় সামিয়া আপুর কল পেয়ে চমকে উঠি, কারন আমার জানামতে আপু এই টাইমে আমাকে কল করে না,, আমি সময় বিলম্ব না করেই ফোন কানে নিতেই আপু ফুপিয়ে কেঁদে বলে উঠলো,

–তুই কোথায় ঈশা, বা বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে, তু তুই তো জানিস আমি সায়ন কে কতটা ভালোবাসি, ও এখন বি-ডির বাহিরে গিয়েছে বিসন্যস ট্রিপে, আমি কি করবো, বল না কি করবো।

কথাগুলো বলতে বলতেই ডুকরে কেঁদে উঠলো, আমি অবাক হয়ে গিয়েছি কারন আমার জানামতে চাচ্চু এমন হুট করেই কোন সিদ্ধান্ত নেয় না, তাহলে আজ কি হলো, আমি কিছুই না ভেবে আপুকে বললাম,

— আপু তুমি একটুও কেঁদো না, আ আমি আসছি, যত দ্রুত সম্ভব আসছি,

বলেই ফোন কেটে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্দ্যেশে পা বাড়াতেই দেখি তুবা, মায়া সহ বাড়ির সবাই আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে, ওদের চাহনি দেখে আমি অপ্রুস্তত হয়ে বলে উঠলাম।

— আসলে আমাকে একটু বাড়িতে যেতে হবে, আমার আপুই ফোন করেছে,

আমার সাথে তুবাও উঠে পরলো , সাথে তাল মিলিয়ে বলে উঠলো,

— আজ যাই আনটি, অন্যদিন আবার আসবো।

আনটি আমাদের কথায় মন খারাপ করে বললো,

— তোমাদের খুব মিস করবো মামুনিরা, কথা দাও আবার আসবে,

আমি আনটি কে একপাশ থেকে জরিয়ে ধরে বললাম,

— আপনি ইভেন আপনারা সবাই অনেক ভালো খুব ভালো, কেউ যে এত সহজে কাওকে আপন করতে পারে তা এখনে না আসলে বুঝতাম না, কথা দিচ্ছি আমরা আবার আসবো,

এর মাঝেই মায়া দুস্টু হেসে বলে ওঠলো,

— তোমাকে যদি একেবারে রেখে দেই তখন তো আর বার বার আসা যাওয়া করতে হবে না,

আমি মায়ার কথায় কেশে উঠলাম আর দেখি সবাই মুখ টিপে হাসছে, আর চোখে সবার দিকে তাকাতেই দেখলাম মি: চৌধুরী সিড়ির উপর দাঁড়িয়ে এদিকে তাকিয়ে আছে,জানি না কি ছিলো সেই চোখে আমি তাকাতেই বুকটা ধ্রিম করে উঠলো,তবুও নিজেকে সামলিয়ে বলে উঠলাম

— আনটি এবার আমাদের যেতে হবে, আসলে দেরি হচ্ছে।

– হ্যা মা সাবধানে যাও,।

আমি বের হতেই তুবা জিজ্ঞাস করা শুরু করলো, কি হয়েছে, হটাৎ এমন করলাম কেন,তাই সব কিছু খুলে বলার পর শান্ত হলো,যদিও ভাইয়া আনটি, আংকেল অনেক বার বলেছে ড্রপ করে দিবে, কিন্তু আমরাই না করে দিয়েছি, কি দরকার তাদের চিন্তায় রাখায়, যাই হোক কথা বলতে বলতে গাড়ির কাছে পৌছে গেলাম, তারপর আমি আর তুবা যার যার বাড়ির সামনে নেমে গেলাম, কোন মতে গেট পেরিয়ে আপুর ঘরের সামনে গিয়ে দেখলাম বেচারি কেঁদে কেটে চোখ মুখ লাল করে ফেলেছে, আমার খুব মায়া লাগলো তাই গিয়ে জরিয়ে ধরলাম। বলতে শুরু করলাম!

— আমার স্ট্রং আপু যে বাচ্চাদের মতো ফেচ ফেচ করে কাঁদে তাহলে কি আমার ভালো লাগবে, দেখি তাকাও আমি আছি তো চিন্তা করো না, চাচ্চু আর চাচিমার সাথে আমি কথা বলবো, তুমি বসো তো!

— আমার খুব ভয় লাগছে, যদি সায়ন কে হারিয়ে ফেলি,আমি ওকে খুব ভালোবাসি, আমি পারবো না এই বিয়ে করতে,

বলতে বলতেই কেঁদে দিলো,তাই আমি বলে ওঠলাম

–চিন্তা করো না আপু, কাল তো
শুধু দেখতে আসবে বিয়ে তো হয়ে যাচ্ছে না, আর আমি আছি তুমি এত টেনশন নিও না, আর তাছাড়াও তুমি তো বলেছো আমাকে নাকি তোমার জা বানাবে, তুমি যেই বাড়ির বউ হবে আমাকেও সেই বাড়িতে নিবে, তার বেলায় কি হ্যা, আমি কিন্তু ছাড়ছি না,

আমার কথা শুনে আপু হেসে দিয়ে বলে ওঠে,

— পাগলি একটা, আচ্ছা কাদঁবো না , তুই বল তো কাল কিভাবে কি করবি?

— সেটা কাল দেখো,আর সায়ন ভাইয়ার সাথেই তোমার বিয়ে দিবো,তুমি ভাইয়া কে ফোনে ট্রাই করো।

আমি কি করবো ভাবতে ভাবতে চাচ্চুর ঘরে রওনা দিলাম,

— আসবো চাচ্চু?

— আমার ছোট মা কবে থেকে পারমিশেন নিতে শুরু করলো,

আমি কিছু না বলে চাচ্চু কে জড়িয়ে ধরে বললাম,

— চাচ্চু আমি একটা কথা বলবো রাখবে,

— আমার মা কি বলবে বলো মা, আর আমাকে কি সে চোখে দেখে না চাচ্চুর কাছেই আছে।

চাচিমার কথায় হেসে দিয়ে এক হাতে জরিয়ে নিয়ে বললাম,।

— তুমি আমার আরেক মা ভুলবো কেন, আসলে একটা কথা বলার ছিলো,

আমি একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বলা শুরু করলাম

— আপু সায়ন নামের একটা ছেলেকে ভালোবাসে, তোমরা প্লিজ আপুকে অন্য কোথায় বিয়ে দিও না, প্লিজ চাচ্চু আমা!

— তুমি এখন যাও মা, আমি আমার মেয়ের ভালোর জন্যই এসব করছি, আর দেখলেই বিয়ে হয়ে যায় না তাই আশা করবো তুমি কিছুতেই হস্তক্ষেপ করবে না,

চাচ্চুর কথায় আমার চোখ ছলছল করে উঠলো, কারন আমাকে কখনোই এভাবে বলে না, তাই মন খারাপ করে চলে গেলাম।

— তুমি এভাবে মেয়েটার সাথে কথা বললে কেন, দেখলে তো অভিমান করলো।

— আমি এখন এভাবে না বললে মেয়েটা সারাদিন এক কথা বলতো, এসব ছেড়ে কালকের জন্য প্রিপারেশন নাও, অনেক বড় মানুষ ওনারা, খাতির যত্নে যেন ত্রুটি না হয়।

এদিকে সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারি নি, কারন আপুকে কথা তো দিলাম এবার কিভাবে কি করবো, এভাবে ভাবতে ভাবতেই সারা রাত চলে গেল।
ভোর বেলা খুব ভোরে উঠেই চাচিমা কে হেল্প করা শুরু করলাম, আম্মু আর দাদিও করছে, কিন্তু কেউই আমার সাথে কথা বলে নি, আমিও বেসি কিছু না ভেবে কাজ করতে লাগলাম, এভাবেই দুপুর ১২ টা পার হয়ে গেলো, চলে গেলাম আপুকে সাজাতে, অনেক কস্টে বুঝিয়ে বললাম কান্না না করতে কিছুই হবে না, আপুকে সুন্দর করে সাজিয়ে দিলাম শাড়ি আপুই পরেছে, কারন আমি শাড়ি পরা বা সামলানো কিছুই পারি না,
আপুকে রেডি করে নিজেও সাদা একটা ড্রেস পরে নিলাম, হালকা সেজে মাথায় কাপড় দিয়ে নিচে নামলাম,
নিচে নামতে শুনতে পেলাম বেল বাজছে তাই দাদু বলে উঠলো।

— এমন সং এর মতন না দাড়িয়ে থাইকা যা দড়জা খুল, নাকি আমার এই নাতনির কপাল খাইতে চাস,

চাচি মা কিছু বলতে যাবে তাই আমি চোখের ইশারায় না করে দড়জা খুলতে গেলাম,
দড়জা খুলে আমি হা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি কারন আমার সামনে পুরো চৌধুরি পরিবার দাঁড়িয়ে আছে, আচ্ছা আমি কি স্বপ্ন দেখছি, তাই ভেবে চোখ ডলে আবার তাকিয়ে দেখি তারাও আমার দিকে ড্যব ড্যব করে তাকিয়ে আছে, কিন্তু মি:চৌধুরীর তেমন ভাবান্তর নেই, আচ্ছা উনি কি জানতেন এটা আমাদের বাড়ি, হুট করেই মায়া এক লাফে আমাকে জড়িয়ে ধরে, আমি হালকা পিছিয়ে গেলেও সামলে নিলাম, এর মধ্যেই শুনলাম মা বলছে,

–তুমি দেখছোনা মেহমান এসেছে, মেনার্স নেই তোমার,। সরে গিয়ে জায়গা দাও ওনাদের

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম, কারন আজকে তো আপু কে দেখতে এসেছে তাহলে মিঃচৌধুরির ফ্যমিলি এখানে কেন, আপাদত এসব ভাবনা চিন্তা সাইডে রেখে সবাইকে সালাম দিয়ে ওয়েলকাম করলাম, একে একে সবাই কথা বলায় ব্যস্ত কিন্তু আমি এবার আনটির কথায় সিয়র হয়ে গেলাম ওনারাই আপুকে দেখতে এসেছে, হটাৎ মনে পরলো কালকের কথা, আচ্ছা আপুর সাথে কি মিঃচৌধুরির বিয়ের কথা বলতে এসেছে,।কোথাও একটা খারাপ লাগা জেকে বসলো,এর মধ্যেই দেখলাম, রাইসা পাগলের মতন বাহিরে আসতে নিয়ে কিছুক্ষনের মধ্যেই সেজে এসেছে, মনে হয় আপু কে না ওকে দেখতে এসেছে,কেউ বলবে এই মেয়েটা কাল বিয়ে ভেংগেছিলো বলে এত ঝামেলা করলো,,সব চিন্তা এক পাশে রেখে আপাদত সবাই কে শরবত পরিবেশন করলাম, এর মধ্যেই আপুকে ডেকে নিয়ে আসতে বললো, আমিও তাই ডাকতে গেলাম, কিন্তু মনে মনে চিন্তা করলাম মিঃচৌধুরি কে যে করেই হোক এই বিয়ে যাতে না করে রিকয়েস্ট করবো,যাই হোক। ভাবতে ভাবতে আপুকে ডাকতে গেলাম , অনেক কস্টে রাজি করিয়ে নিচে আনলাম, এর মধ্যেই দেখলাম রাইসা মিঃ চৌধুরীর সাথে লেগে ছবি তুলছে,কেন জানি আমার এসব সহ্য হয় নি। তাই আপুকে এক সাইডে বসিয়ে দিয়ে নখ কামরাচ্ছি , আজব এই লোকটার দিনের বেলাও কি চশমা পরতে হয়, এর মাঝেই শুনলাম,,

— মাশাল্লাহ মেয়ে আমাদের পছন্দ হয়েছে,অব্যশ্য ভাই আপনার এই মেয়েটাও ভারি মিস্টি আর লক্ষি,

— আপনি চিনেন ঈশা কে?

রাইসা আংকেল কে জিজ্ঞাস করার সাথে আংকেল কালকের কাটানো দিনটার কথা বলার সাথে সাথে রাইসা ক্ষুব্দ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো৷হুট করেই আপু কান্না করে দিয়ে বললো,

— আমি বিয়েটা করবো না,আ আমি একজন কে পছন্দ করি

— আমার মহারানি কি আমাকে না করে দিচ্ছে?

— মিঃ চৌধুরী আর সায়ন ভাইয়া ছাড়া আমরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম এই কথায় কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না, যত টুকু শুনেছি চাচ্চুর অফিস বস এনারা, এখন তো মনে হয় এটাই সাহিল ভাইয়া,! আপু হুট করেই কেঁদে উঠলো, বাবা হেসে বললো

— কেমন লাগলো সারপ্রাইজ মা? আমি কি আমার মায়ের অমতে বিয়ে দিতে পারি, আর ছোট মা সরি কাল বকার জন্য, আমি জানতাম তোমাকে বললে তুমি ওকে বলে দিতে।
আমি হালকা লজ্জা পেয়ে তাকাতেই দেখলাম মিঃ চৌধুরী আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো,

— ভাই আমার মনে হয় ছেলে- মেয়ে দু-টোকে আলাদা কথা বলতে দেই

— হ্যা হ্যা অব্যশই,। ঈশা যাও ওদের নিয়ে ছাদে যাও,

আমি হ্যা বলার আগেই রাইসা বলে ওঠলো হ্যা চলো, আর আরাভ চলো।

চাচ্চু খেপে উঠে কিছু বলার জন্য মুখ খোলার আগেই মিঃ চৌধুরী বলে উঠলো

–এক্সকিউজ মি,! মিস রাইসা রাইট! আই হোপ আপনি আমার নাম টা আর নিবেন না, কারন আমি আপনার অনেক বড়, আশা করছি আমার পারসোনাল লাইফ আর প্রোফেসোনাল লাইফ মিক্সিং করবেন না, গড ইট?

— হ হ্যা হ্যা, ভা ভাইয়া ( ক্রাস কে নাকি ভাইয়া বলবো। তবে তুমি যাই বলো তোমাকে তো আমার করেই ছাড়বো বাই হুক ওর কুক)

— আপু আর সায়ন ভাইয়াকে নিয়ে ছাদে যাওরার সময় ভাবছি, লোকটা কি সাংঘাতিক, সবার সামনে কিভাবে লজ্জা দিয়ে দিলো, ভাবতে ভাবতে সামনে তাকিয়ে দেখলাম এক জোরা মনের মানুষ যাদের ভালোবাসা পূর্নতা পাবে।

— কথা বলবা না, কাল থেকে আমার কি হয়েছে তোমার ধারনা আছে, এমন সারপ্রাইজ আমার চাই না, আরেকটু হলে আমি মরেই যেতাম, ( বুকে কিল দিয়ে)

— আর তুমি তোন জান বিয়ে টাই ভেংগে দিচ্ছিলে, ভাগ্যিস শশুর মসাইকে আগে থেকেই রাজি করিয়েছি, আর ঈশা যে তোমার বোন জানতাম না, কাল তো আমাদের বাসায় ছিল, এজন্যই কি হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসেছে?

— তুমি চিনলে ঈশা কে?

— সারাদিন তো ফোনেই বলতাম, ভেবেছি আসলে দেখা করিয়ে দিবো কিন্তু তুমি মানে!

— মায়ার ফ্রেন্ড ও।

— তোমার বোন আমার ফ্রেন্ড আর আমি চিনলাম না,

— আপাদত কাউকে না চিনে আমাকে চিনো সুন্দরি,

— কথা বলবো না আমি।

বলেই ভাইয়ার বুকে মুখ গুজে দিলো, আমি মুচকি হেসে ওদের একটু স্পেস দেয়ার জন্য সরতেই সিড়ি দিয়ে ভাবতে ভাবতে নামার সময় পায়ে পা বেধে পরে যাওয়ার সময় হালকা চেচিয়ে উঠলাম। কিন্তু কিছু সময় যাওয়ার পর দেখলাম ব্যথা পাই নি, আচ্ছা আমি কি মরে গিয়েছি?

— এই মেয়ে এই আমাকে তোমার না মারলে হয় না? কি আজেবাজে বকছো এসব, সারাদিন এত কিসের লাফালাফি একটু শান্তিতে থাকতে পারো না?কি হলো কথা বলছো না কেন??

হটাৎ চেনা কন্ঠে আর স্পর্শে কেপে উঠে চোখ খুললাম, কিছু বলবো মুখ খোলার আগেই বলে উঠলো।

— আর যেনো সাদা ড্রেসে তোমাকে না দেখি, যাই হোক বি রেডি! ( বাকা হেসে)

বলেই চলে গেলো। আর এদিকে আমি ভাবছি আমাকে কি বলে গেলো লোকটা আমি লাফালাফি করি, আর সাদা ড্রেস পরে আমাকে বাজে লাগে হ্যা। মোটেও না সবাই আমাকে বলে আমাকে সাদা ড্রেসেই আমাকে ভালো লাগে তাহলে কোনটা সত্যি। ভাবতে ভাবতেই মা বললো সবাইকে নিয়ে নিচে যেতে, গিয়ে দেখি ভাইয়া এখনো আপুকে জড়িয়ে ধরে আছে। আমি হালকা কাশি দিলাম, তারাতারি দু-জন ছেড়ে দিলো। আমি হেসে দিয়ে বললাম

— মা খেতে ডাকছে, তোমরা যাবে না, দেখ বিয়ে তো হবেই। তাই আপাদত আমার ক্ষিদে পেয়েছে( ঠোট ফুলিয়ে বললাম) ভাইয়া আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো।

— আমার ছোট বোনটাকে তো না চিনেই ভালোবেসেছি।

— আর আমাকে বুঝি ভুলে গিয়েছো?

হটাৎ দেখলাম তুবা তুহিন ভাইয়া দাড়িয়ে আছে, আপু বলে উঠলো

— ঈশা বিয়ে খাবি বলছিলি না? আমার পর কিন্তু এদের পালা

— আমি মোটেও বিয়ে করবো না। এই লোকটাকে

— তাই নাকি জান

বলেই তুবা কে ধাওয়া করলো আমরা হেসে দিলাম,

এর মধ্যেই শুনলাম আবির ভাইয়া এসেছে, এসেই বলতে শুরু করলো

— সবাই বউ নিয়ে এদেকে আর আমার বউ কোথায়?

— এই আপনি বিয়ে করেছেন?

— দেখেছো ভাবি বউ বলে বিয়ে করেছি কিনা!

— বয়েই গেছে আপনাকে বিয়ে করতে! হা।

হয়েছে এইবার কিন্তু আম্মু বকবে চলো সবাই, তারপর সবাই একে একে নিচে নেমে গেল, কিন্তু এত কিছুর মধ্যেই আমি খেয়াল করলাম না রাইসাকে,

— আমি জানি ঈশা ওই ফ্যমিলি তে আমি বউ হয়ে যেতে পারবো না, তাই চেস্টা করবো,তুই কি ভেবেছিস তোকে আরাভ এর মনে জায়গা নিতে দিবো? কিছুতেই না তোর ব্যবস্থা আমি করবো, আর এমন ভাবেই করবো যাতে সারাজিবন এর মতো এই বাড়ি থেকে বের করে দেয় ( সয়তানি হাসি দিয়ে)

চলবে