হিয়ার মাঝে-লুকিয়ে ছিলে পর্ব-২০

0
324

উপন্যাস: হিয়ার মাঝে-লুকিয়ে ছিলে।

কলমে :চন্দ্রা।

পর্ব :২০

“পাপে ছাড়ে না বাপেরে” কথাটার সঙ্গে হয়তো গ্রামে বসাবাসকারী জনেরা বেশি পরিচিত।স্বর্গ-নরক, বেহেশত-দোজখ হয়তো মৃত্যুর ওপারে আছে।সেটা কেউ দেখে এসে বলেছে এমন প্রমাণ হয়তো নেই। কিন্তু আমিও দ্বি-মতে যাব না।অত জ্ঞান নেই আমার কিন্তু একটা কথা খুব ভালো ভাবে বলতে পারি এবং বিশ্বাস করি,

কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদূর,
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ নরক
মানুষেই তা সুরাসুর।।

কর্মফল কখনো মানুষকে ফাঁকি দেয় না সেটা হোক ভালো কিংবা খারাপ।আর খারাপ কর্ম করে করে অভ্যস্ত ব্যক্তি, সহজে সে তার কর্ম ভোলে না।পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার পরেও প্রতিশোধ স্পৃহা তার মধ্যে থেকেই যায়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি ধর্মীয় গ্রন্থ “রামায়ণ” যেটি রচনা করেছিলেন বাল্মীকি মুনি। কিন্তু এই মুনি বরের অতীত কর্ম কিন্তু একদমই ভালো ছিলো না।তিনি ছিলেন ডাকাতদের সর্দার কিন্তু নিজের মধ্যে পূণ্য জাগরিত হওয়ায় সেই গভীর পাপ ছেড়ে হয়েছিলেন পূণ্যাত্মা বাল্মীকি।অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সকল ধর্মীয় গ্রন্থ গুলো অধ্যয়ন করলে এমন নজির অনেক পাওয়া যাবে।যারা খারাপ থেকে ধর্মের কারণে এবং বিবেকের তাড়নায় এমন সৎজন হয়েছেন যে ভালোর কোনো শেষ নেই। কিন্তু সব চোরে তো আর ধর্মের কাহিনী পছন্দ করে না।তার কারণ,
বহুবছর আগে প্রদীপের বাবা যাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের একজন আইনের ফাঁক ফোকর গলে সদ্য বেরিয়ে এসেছে জেল থেকে। কিন্তু জেল খাটলে কি হবে তার ভেতরের পাপ বেড়েছে বৈ কমেনি। এতবছর পর জেল খেটে আসা লিকু সরদার দেখলো তার অতি আদরের বড়ো ছেলেটা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ফেঁসে পুলিশের গুলিতে মরেছে। কিন্তু লিকু সরদার মনে করে তার পেছনে একমাত্র হাত রয়েছে প্রভাকর রায় চৌধুরীর।বয়সের ভারে নুইয়ে পরলে কি হবে আত্মা তো আর বৃদ্ধ হয় না।আর পাপাত্মা তো সবার উর্ধ্বে।স্ত্রীকে জরিয়ে ধরে অশ্রুসিক্ত অগ্নিচোখে প্রতিজ্ঞা করলেন লিকু সরদার শত্রুর বংশ নির্বংশ করে তবে ক্ষান্ত হবেন।যোগ দিলেন রায় চৌধুরী দের বিরোধী দলের সাথে।সামনে নির্বাচন। প্রভাকর রায় চৌধুরীর একমাত্র ছেলেও এখন বাড়িতে এই সুযোগে কিছু একটা করবেই লিকু সরদার। কিন্তু পুলিশের গুলিতে যখন লিকুর ছেলে নিহত হলো তখন অনেক বর্ষীয়ান লোকেরা বলাবলি করছিলো ,লিকু নাকি কোন এক সময় দূরে কোথায় ডাকাতি করতে গিয়ে এক মায়ের সামনে তার নিরপরাধ ছেলেকে যন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে হত্যা করেছিলো।এই নাকি তার কর্মফল। কিন্তু লিকুকে বোঝাবে কে? ঘড়ের শত্রু বিভীষণ কথাটা তো আর এমনি এমনি আসেনি।লিকু সরদার এর ছোট পুত্র ইকরাম সরদার হয়েছে তেমনি।রক্ত সবসময় মানুষ কে বেইমানি শেখায় না।
কর্ম ইমান আনতেও সাহায্য করে।
রিতির তাঁতকলে কাজ করে ইকরাম সরদার।গত বছর ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলা শহরে সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ধরে পরে কিডনীতে পাথর হয়েছে।তখন ইকরামের স্ত্রী রিতির হাত পা ধরে কেঁদে পরে সাহায্যের জন্য। স্কুল,গ্রাম এবং সবার কাছ থেকে চাঁদা তুলে অবশেষে দু লক্ষ টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে আসে রিতি।সেই ইকরাম সরদারই এখন রিতির সবচেয়ে বিশ্বস্ত গুপ্তচর। নিজের ভাই বোনেরা যেখানে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো সেখানে অন্য মানুষ যদি এমন সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে কৃতজ্ঞতা বোধ আপনা আপনি এসে যায়। কোনখানে কোন আড্ডায় জুয়া খেলা হয় আর কোথায় নেশার জিনিস খেয়ে পুরুষেরা সংসারের বারোটা বাজায় রিতির কাছে সব খবর আসে আর সেগুলো রিতি রঘুনাথ এর মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে নির্মূল করার চেষ্টা করে নিজের গ্রুপ নিয়ে।
এসব ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে বহুবার না করেছে রঘুনাথ কিন্তু মেয়ে কথা শোনে না।
দেশের যুব সমাজ ধ্বংস হলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না।তাইতো এই বিপদজনক উদ্যোগ।

******
সন্ধ্যেয় আড্ডা জমেছে দোতলার বারান্দায়। মাদুর বিছিয়ে গোল হয়ে বসেছে ছেলে মেয়ে গুলো।মেলায় গিয়েছিলো ওরা। সেখান থেকে কিনে এনেছে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক তেলে ভাজা খাবার, সাথে রিতির তৈরী চা,কফি। জম্পেশ আড্ডার টপিকস হলো আগামী কাল স্কুল মাঠের বড়ো প্যান্ডেলে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাইরের নামী বেনামী কন্ঠ শিল্পী,নাট্য শিল্পীরা আসবে।তার জন্য একটা বড়ো মাপের বাজেট থাকে প্রতিবছরই।এবারো থাকছে। আগামীকাল সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,পরশু রাতে যাত্রাপালার মাধ্যমে এবারের পূজার সকল অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি।তো এখন আলোচনার প্রধান বিষয় হলো রিতির গান গাওয়া।সে নাকি ভারী সুন্দর গান গাইতে পারে শুনেছে অখিলেশ।তারই তোষামোদ চলছে।রিতি রাজি হয়নি কোনোমতেই।অহনা নাচবে অনুষ্ঠানে কথা দিয়েছে।
কথা বার্তা চলাকালীন রিতির ফোনে ম্যাসেজ এলো টুং টুং শব্দে।। বিরূপাক্ষ সোফায় বসে ফোন স্ক্রল করছিলো কিন্তু নজর ছিলো রিতর দিকে।সে সুবাদেই দেখলো ম্যাসেজ ওপেন করতেই রিতির ফর্সা মুখটা ক্যামন লালচে আভা ধারন করছে। বিরূপাক্ষ বাদে আর কেউই বিষয়টি খেয়াল করেনি।রিতি বললো সবার উদ্দেশ্যে,,
তোমরা গল্প করো আমি এলাম বলে।

তোমাকে তো এখনি ছাড়ছিনা বোনটি।আগে বলো কাল গানের শিল্পীদের লিষ্টে তোমার নামটা কি থাকছে?না হলে নো নড়ন চড়ন। অখিলেশ নাছোড়বান্দা।

বৌ মনি রাজি হয়ে যাওনা প্লিজ।বললো অহনা।

একে একে সবাই বললো যখন রিতি কোনমতে হ্যা বলে নিচে নামার সিঁড়ি ভাঙলো।

এই রিতি এই ভরসন্ধ্যায় যাস কোথায়?সুমি বললো জোরে।

আসছি বললাম না? বিরক্তি প্রকাশ করে রিতি।দ্রুত পায়ে এগিয়ে যায় মূল দরজার দিকে।সুমি বুঝতে পারে কিছু তো একটা হয়েছেই।

বিরূপাক্ষ এতক্ষণ চুপচাপ দেখছিলো ব্যাপারটা। এতক্ষণ ধরে যাকে রাজি করাতে পারেনি ,কি এমন ম্যাসেজ আসলো যে,যাওয়ার জন্যে হ্যা করে দিলো। বিরূপাক্ষ উঠে গিয়ে নিজের ঘড়ের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগল রিতি একটা পাতলা শাল মুড়ি দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে রাস্তায়। মন্দিরের সামনে বাবা, আঙ্কেল,আন্টি,মামা,আরো বেশ কয়েকজন মুরুব্বিদের আলাপ আলোচনা চলছে। বিরূপাক্ষ বুঝলো উনাদের চোখে ফাঁকি দেওয়ার জন্য এই অল্প ঠান্ডাতেও শাল জড়িয়েছে আপাদমস্তক।ভ্রুদ্বয় খানিক কুঁচকে আসে বিরূপাক্ষের। মনের মধ্যে সন্দেহ বাসা বাঁধে। কিসের জন্য এত লুকোচুরি?দেখলো রাস্তায় গিয়ে কাউকে ফোন করলো রিতি তারপর হেঁটে মিলিয়ে গেলো রাস্তার পশ্চিম দিকের অন্ধকারে।

এভাবে অন্ধকারে চলাচল কইরো না লিকু ভাই। এখন তো আর চক্ষে আগের মতোন তেজ নাই তোমার।

খ্যাক খ্যাক করে বিশ্রী ভাবে হাসে লিকু সরদার।বিড়িতে একটা টান দিয়ে কেঁশে উঠে। ধীরে ধীরে বলে,,
কস কী হারু? চোক্ষের ত্যাজ নাই বইলা কি আন্দাজ ও গ্যাছে গা?কি ভাবোস আমারে তোরা, চুল দাঁড়ি পাকছে বইলা কি শক্তি,বল ফুরাই গ্যাছে?চাপা ক্রোধ প্রকাশ পায় লিকুর কথায়। বৃদ্ধ হারুন একটু চমকে উঠে।শত হলেও এককালে ডাকাত দলের সর্দার ছিলো লিকু।সেই তেজ এখনো কিছুটা বর্তমান,,

এত চ্যাতো ক্যা ভাই?কইলাম তো তোমার ভালোর লাইগ্গাই।হাত ধরে মানানোর চেষ্টা করে হারুন।বিড়িতে শেষ টান দিয়ে ফিল্টার টা দূরে ছুড়ে মারে লিকু। বাতাসের সুমুখে তা জোনাকির আলোর মতো জ্বলজ্বল করে।
দু’জনের মধ্যে চলে শলা পরামর্শ।লিকুর মনে বাড়তে থাকে ক্রোধ আর উত্তেজনা সাথে বেড়ে চলে কুয়াশাচ্ছন্ন শারদীয়া নিশি।

রাতের গভীরতার সাথে সাথে মানুষের ও হয়তো নিদ্রা গভীর হয়েছে। চৌধুরী মহলে কোনো সাড়াশব্দ নেই।নিশুতি রাতের আঁধার ভেদ করে ভেসে আসছে মেলার মাঠ থেকে গমগমে শব্দ। বাড়ির সবাই ঘুমিয়েছে হয়তো শুধু ঘুম নেই বিরূপাক্ষের চোখে।গলা পর্যন্ত কম্বল টেনে শুয়ে আছে রিতি।আজ পালঙ্কে শুয়েছে।নিচে শুতে দেয়নি বিরূপাক্ষ। গভীর ঘুমের নিঃশ্বাস পড়ছে তার। বিরূপাক্ষ রিতির ঘুমন্ত দূর্বল মুখের দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে আছে।

তখনকার ঘটনাটা মনে পরতেই বার বার ভয়ে শিউরে উঠছে সে। হঠাৎই মনে পরলো গুরুদেবের বলা সেদিনের কথা গুলো।সবাই যখন প্রণাম শেষ করে বসলো তখন তিনি নিজের কাছে ডাকলেন বিরূপাক্ষ এবং রিতি কে।রিতির বাঁ হাত এবং বিরূপাক্ষের ডান হাতটা টেনে নিয়ে পাশাপাশি মিলিয়ে দেখলেন মিনিট পাঁচেক।তার পর অতি ধীরে শান্ত স্বরে বললেন বিরূপাক্ষ এবং রিতির উদ্দেশ্যে,দাদুভাই উপরে বসে যিনি কল কাঠি নাড়ছেন তিনি রক্ত মাংসের দেহ দিয়ে তাঁর প্রিয় মানব সৃষ্টির সময় ভাগ্যটা নিজে হাতে লিখে দেন।যা পরিবর্তন করা কখনোই মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তবে হ্যা প্রতিরোধের জন্য কিছু বিশেষ পন্থার নির্দেশ অবশ্যই দিয়েছেন।জন্ম, মৃত্যু আর বিয়ে এই তিনটি একত্রে তিনি নিজের হাতে রেখেছেন। মানুষ তো উসিলা মাত্র।বিবাহ শব্দটি শুধু মাত্র দুটি মানব-মানবীকে বৈধতা দানের উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি হয়নি দাদুভাই।বরং অনেক মহৎ,বৃহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিবাহ নামক সংস্কারের সূচনা হয়েছে।এই যে আমার দিদি ভাইকে যে তোমার জোড় হিসেবে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টিকর্তা তারো কিন্তু একটা বিশেষ উদ্দেশ্য আমি জানি,শুনতে চাও সে কথা?
উপস্থিত সবার উৎসুক দৃষ্টি ভেদ করে বিরূপাক্ষের হ্যা সূচক কথাটি শুনতে চান গুরুদেব।বিরূপাক্ষ উদ্বিগ্নতা লুকিয়ে হ্যা সূচক মাথা নাড়ে।মৃদু হাসেন গুরুদেব,,,

সে তোমাকে সর্বদা তোমার কামে সাথ দেবে,ক্রোধে নিবৃত করবে,জরা ব্যাধিতে সেবিকা হবে, দুঃখ দৈন্যে সান্তনা দেবে, শুধু নিজের হৃদয়ে তোমার আসন নয়, তোমার হৃদয়েও নিজের আসন গড়বে,সর্বপরি মহাদেব যেমন সৃষ্টিকে বাঁচাতে সমস্ত গরল পান করে নীল কন্ঠ হয়েছিলেন তেমনি তোমার মৃত্যু যন্ত্রনা নিজে ভোগ করে তোমাকে নতুন জীবন দান করবে।স্ত্রী যে মায়ের আরেকটা রূপ।এই তোমাদের ভবিষ্যত দাদুভাই।গুরুদেবের হাতে মুঠিতে বিরূপাক্ষের হাতটা ঈষৎ কেঁপে ওঠে।মৃদু হাসেন গুরুদেব,,,

ভয় পেও না দাদু ভাই। চিন্তার কোনো কারন নেই। তোমার পত্নী যেমন তোমার অকাল মৃত্যু যোগ কাটাতে পারবে তেমনি তুমিও ভালোবাসা,প্রেম,ভক্তি,সেবা, একনিষ্ঠতা দিয়ে তাকে জড়িয়ে রেখো। মরণের কি সাধ্য আছে পূন্যবানের বুক শূন্য করবে?

বিরূপাক্ষ মনে মনে ভীত হয়ে এতদিন ভেবে চলেছিল গুরুদেব এর কথা গুলো।মনে মনে ভেবে পাচ্ছেনা তার মৃত্যু যোগ খন্ডাতে পারবে কে?সে কি রিতি নাকি বনলতা?কারো অনিষ্ট সে চায়না কিন্তু অনিষ্ট যা হওয়ার তাতো হয়েই গিয়েছে।আগে জানলে কখনো বিয়েই করতো না। শুধু শুধু একটা মেয়ের জীবনের ঝুঁকি।তবে কি বিরূপাক্ষের স্ত্রী হিসেবে ঝুঁকিটা বনলতার প্রাপ্য?
না না একটা অচেনা অজানা মেয়ের অমঙ্গল চিন্তা বিরূপাক্ষ করতে পারে না।তবে কি রিতি?

নাহ্,,,
হালকা তন্দ্রা ঘোরে মৃদু চিৎকার দিয়ে আঁতকে উঠে বিরূপাক্ষ।রিতির কোনো ক্ষতি সে সইতে পারবে না।কোনো ভাবেই না।আজই তো প্রাণটা প্রায় বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো,যখন অনেক খুঁজে মোবাইলের ফ্লাসলাইটের আলোয় দেখলো গ্রামের পশ্চিম সীমান্তে ভাঙা পুরাতন ব্রিজের পাশে ধুলো বালিতে পরে রয়েছে রিতির নিথর দেহটা।হৃদপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালন যেনো মুহুর্তের জন্য থেমে গিয়েছিলো বিরূপাক্ষের।তার আগেই কয়েকজনকে দ্রুত গতিতে চলে যেতে টের পেলো নৌকায় চড়ে।নদীর জলে ছলাৎ ছলাৎ শব্দ তুলে কারা চলে গেলো সেদিকে দেখার প্রয়োজন মনে করলো না সে।ক্যানো,কি কারনে অত রাতে রিতি ওখানে গেলো এখনো তার সদুত্তর পায়নি বিরূপাক্ষ।ঐ মুহুর্তে রিতির মাথাটা নিজের কোলে তুলে শুধু একবার ফোন করেছিলো প্রদীপকে। সেখান থেকে গ্রামের ডাক্তার এর বাড়িতে নিয়ে রিতির জ্ঞান ফিরতেই তবে বাড়িতে ফিরেছে দুজনে।রিতির মুখ থেকে কোনো কথা বের করতে পারেনি বিরূপাক্ষ।ও শুধু একটাই অনুরোধ করেছে,বাড়িতে যেনো এই দূর্ঘটনার কথাটা কেউ না জানে। বিরূপাক্ষ কথা দিয়েছে কেউ জানবে না।ঘাড়ে শক্ত কিছু একটা দিয়ে আঘাত করায় জ্ঞান হারিয়েছিলো এখন ঠিক আছে জেনে নিশ্চিন্ত বিরূপাক্ষ।তবে এই গভীর রহস্যের উদঘাটন না করে শান্তি নেই তার।

চলবে,,,,,,

ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। ভালো থাকবেন সবাই।