হৃদকোঠোরে রেখেছি তোমায় পর্ব-০১

0
371

#হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤
#সূচনা_পর্ব
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

(১)
ভরা বিয়ের আসরে বরের বেশে নিজের হবু স্বামী কনককে অন্য একজন নারীর হাত ধরে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে “নিজের বিবাহিতা স্ত্রী বলে” দাবি করতে শুনে বধুর সাজে অপেক্ষাকৃত কণে তরুনিমা সহ উপস্থিত সবাই যেনো অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন। তরু স্তব্ধ নয়নে কনকের দিকে তাকিয়ে আছে।

কনকের মা সাবরিনা চৌধুরী কনকের সামনে এসে দাঁড়িয়ে রাগী স্বরে বললেন….

—“কনক…বাড়ি ভর্তি মেহোমানদের সামনে এমন বা*জে মজা করা বন্ধ কর। ”

—“আমি কোনো মজা করছি না মা।”

—“তুই কি ভুলে গিয়েছিস তোর বিয়ে তরুনিমার সাথে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ তোর সাথে তরুর বিয়ে হওয়ার কথা। মেয়েটা কণের সাজে ১ঘন্টা যাবৎ তোর আসার অপেক্ষায় স্টেজে বসে আছে। আর তুই কিনা হুট করে একটা অপরিচিত মেয়েকে নিয়ে এসে সবার সামনে দাঁড়িয়ে বলছিস সে তোর বিবাহিতা স্ত্রী!”

—“তোমরাই আমাকে এই কাজটা করতে বাধ্য করালে মা।”

সাবরিনা চৌধুরী অবাক স্বরে বললেন….
—“বাধ্য করেছি মানে?”

—“লন্ডনে দীর্ঘসময় ধরে থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি, আর বুঝদার বয়সে এসে অনন্যার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে অনন্যাকেই নিজের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পারফেক্ট বলে মনে করেছি। তাই বাংলাদেশে ফেরা মাত্র আমি তোমাকে আর বাবাকে বলেছিলাম আমি লন্ডনে থাকাকালীন অনন্যা নামের একজন বিদেশীনি মেয়ের সাথে রিলেশনশিপ এ জড়িয়েছি। আর আমি অনন্যাকেই বিয়ে করতে চাই। কিন্তু তোমরা ছোট থেকে তরুনিমার সাথে আমার বিয়ের কথা চূড়ান্ত করে রেখেছিলে বলে আমার বর্তমান পছন্দ-অপছন্দের কোনো ভ্যলুই ছিলো না তোমাদের কাছে। মানছি হয়তো অবুঝ বয়সে আমি তরুনিমার সাথে অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ডশিপে ছিলাম। কিন্তু তার মানে তো এই না যে , তোমরা তখন থেকেই ওর সাথে আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য কথাবার্তা চূড়ান্ত করে রাখবে! অবুঝ বয়সের পছন্দ-অপছন্দ আর বুঝদার হওয়ার পরের পছন্দ-অপছন্দের মাঝে অনেক বড় পার্থক্য থাকে। তরুনিমাকে আঘাত দেওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার ছিলো না। আমি ওর সাথেও অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তোমরা আমার সেই চেষ্টা গুলো সফল হতে দাও নি। তাই আর উপায় না পেয়ে অনন্যাকে বাংলাদেশে আসতে বললাম। গতকাল সন্ধ্যার ফ্লাইটে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে এসেছে অনন্যা। অতঃপর আমি ওকে বিয়ে করে নিয়ে আসলাম।”

কথাগুলো বলেই কনক অনন্যার হাত আরো শক্ত করে ধরলো। কনকের বলা কথাগুলো শোনার পর উপস্থিত মেহোমানদের মাঝে কানাঘুষা হওয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। সেইসময় তরুনিমার বাবা তারেক সিকদার কনকের বাবা সায়মন চৌধুরীর সামনে এসে দাঁড়িয়ে রাগী স্বরে বললেন…..

—“কনক আপনাদের কাছে ওর সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলো। কিন্তু আপনারা আমাদেরকে সে বিষয়ে কিছু না জানিয়ে বিয়ের কার্যক্রম চালিয়ে গেলেন কেনো মি.সায়মন চৌধুরী? আমার মেয়েকে কি মজার খোঁড়াক বানাবেন বলে মনে করেছিলেন আপনারা? ওকে এভাবে সকলের সামনে অপ*মানিত করার কোনো অধিকার ছিলো না আপনাদের।”

সেইসময় তরুনিমার মা তমালিকা সিকদার তারেক সিকদারের পাশে এসে দাঁড়িয়ে রাগ নিয়ে বললেন….

—“এখানে আর কথা বাড়িয়ে এক সেকেন্ড সময়ও ন*ষ্ট করো না তুমি। অনেক ভালো ভালো ঘরের ছেলেরা আমাদের মেয়েকে বিয়ে করার জন্য বসে আছে। তাই এই চৌধুরী পরিবার আমাদের মেয়েকে আর আমাদের সিকদার বংশকে মজার খোঁড়াক বানানোর চেষ্টা করলেও কখনও সফল হতে পারবে না। তরুকে নিয়ে এক্ষুণি বাসায় ফিরে চলো।”

—“ঠিক বলেছো , এখানে আর একমুহূর্তও না।”

এই বলে তারেক বিয়ের জন্য সাজানো স্টেজে উঠে তরুনিমার হাত ধরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে সামনের দিকে অগ্রসর হতে নিলেন। সেইসময় পিছন থেকে একজন বয়স্ক মহিলার কন্ঠে ‘দাড়াও’ বলা শব্দটি ভেসে আসলে তিনি ও তরু দু’জনেই সেখানে থেমে যান। উপস্থিত সকলের দৃষ্টি তখন সেই বয়স্ক মহিলার আসার পথের উপর স্থির হয়। তারেক ও তরুনিমা পিছন ফিরতেই দেখলেন চৌধুরী পরিবারের সবথেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য সাগরিকা চৌধুরী লাঠিতে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে তাদের দিকেই অগ্রসর হচ্ছেন। কিছুসময় পর সাগরিকা ওদের সামনে এসে দাঁড়ালে তারেক থমথমে স্বরে বললেন….

—“বড় মা , দয়াকরে আমাদের পথ আটকাবেন না। আপনার প্রতি আমার সম্মান আর ভালোবাসার জায়গা অনেক উর্ধে তা আপনি ও এই পরিবারের সকলেই খুব ভালো করে জানে। তবে আজ এই বিয়ের আসরে আমার একমাত্র আদরের মেয়ের যে অপ*মান হলো তা মেনে নিয়ে এখানে আর দাঁড়িয়ে থেকে লোকমুখের ঠা*ট্টা-তা*মা*শা সহ্য করার মতো ক্ষমতা আমাদের কারোর মাঝে নেই। তবে চৌধুরী পরিবারের সাথে সিকদার পরিবারের যে গভীর ভালোবাসা পূর্ণ সম্পর্ক যুগ যুগ ধরে চলে আসছে তার ভা*ঙন আজ থেকে শুরু হলো এটাও আমাকে বলতে হচ্ছে।”

সাগরিকা নিজের ডান হাত দিয়ে তরুনিমার হাত ধরে শান্ত স্বরে বললেন…..

—“ভু*ল তো করেছে আমার মেজো ছেলে-বউমা কনক দাদুভাইকে নিয়ে এতো বড় একটা সত্য লুকিয়ে রেখে তরু দিদিভাইয়ের সাথে বিয়ের কার্যক্রম চালিয়ে গিয়ে। কনক দাদুভাই নিজের পরিবারকে মানাতে ব্য*র্থ হওয়ার পর আর উপায় না পেয়ে সকলের অ*গো*চরে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে। ভালোবাসার মানুষগুলো আমাদের সবার কাছেই ভিষণ প্রিয় হয়। তাঁরা যেনো কখনও আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে না যায় আমরা তার জন্য যেকোনো ধরণের ছোট-বড় কাজ করতে পারি। তাই আজ কনক দাদুভাই যা করেছে আমার চোখে সেটা কোনো ভু*ল নয়। আর আমাদের এটাও মনে রাখা উচিত সম্পর্ক হলো একটা বই আর ভু*ল সিদ্ধান্তের কারণে সম্পর্কে সৃষ্টি হওয়া স*ম*স্যা*গুলো হলো সেই সম্পর্ক নামক বইয়ের একটা পৃষ্ঠা মাত্র। তাই যখন কোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত নিতে আমরা ভু*ল করে ফেলি তখন সেই সিদ্ধান্তের ফলে সৃষ্টি হওয়া স*ম*স্যা*র সমাধান খুঁজে বের করা উচিত আমাদের। নিজের মনের ভিতর রাগ, অভিমান, খারাপ লাগা জমিয়ে রেখে সম্পর্ক ভে*ঙ্গে ফেলা উচিত না।”

সাগরিকার বলা কথাগুলো শোনার পর তারেকের রাগ কিছুটা কমে যায়। তারেক একপলকে চৌধুরী পরিবারের বাকি সদস্যদের দেখে পরক্ষণেই তাদের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সাগরিকার উপর স্থির করে নমনীয় স্বরে প্রশ্ন করলেন….

—“আজ যেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এই সমস্যার কি আঁদেও কোনো সমাধান আছে বলে আপনার মনে হয় বড় মা?”

—“হুম আছে , অবশ্যই আছে।”

—“কি সেই সমাধান?”

—“চৌধুরী পরিবারের সাথে সিকদার পরিবারের সম্পর্ক আরো গভীর ও ভালোবাসাময় করতে হলে এই বিয়ের আসরেই তরু দিদিভাইয়ের সাথে চৌধুরী পরিবারের আরেক ছেলের বিবাহকার্য সম্পন্ন করতে হবে।”

সাগরিকার এমন কথায় উপস্থিত সকলেই অনেক অবাক হয়৷ তমালিকা তারেকের পাশে এসে দাঁড়িয়ে কিছুটা রাগ নিয়ে বললেন….

—“আপনাদের বংশের এক ছেলের সাথে আমাদের মেয়ের ছোট থেকে বিয়ের কথা ঠিক করে রেখেছিলেন আপনারা। আর আজ বিয়ের দিন সেই ছেলে তার অন্য ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করে নিয়ে এসে ভরা বিয়ের আসরে আমার মেয়ে ও আমাদের পরিবারকে একবার মজার খোঁড়াক বানিয়েছে ইতিমধ্যেই। এখন আবার সেই একই বংশের অন্য ছেলের সাথে আমাদের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন আপনি বড় মা! সেই ছেলেরও যে কোনো ভালোবাসার মানুষ নেই তারই বা কি গ্যরান্টি দিতে পারবেন আপনারা?”

তমালিকার কথা শুনে স্মিত হাসলেন সাগরিকা। অতঃপর শান্ত স্বরে বললেন….

—“কোন ছেলের কথা বলছি তা আগে জেনে নাও তমা বউমা।”

তারেক শান্ত স্বরে প্রশ্ন করলেন….
—“কার কথা বলছেন আপনি বড় মা?”

—“আমার মেজো ছেলের ছোট ছেলে রওনাক আজমাইন চৌধুরী কুশলের কথা বলছি। আমার সবথেকে ভদ্র, দায়িত্ববান, সু-বুদ্ধিসম্পন্ন নাতীর কথা বলছি। যে আমাদের পুরো শহরের গর্ব তার কথা বলছি আমি৷”

এতোসময় ধরে তরুনিমা চুপচাপ সবকিছু দেখে ও শুনে এসেছিলো। কোনোরূপ রিয়াকশন ও দেখায় নি। কিন্তু এইমূহূর্তে কনকের দাদীমার মুখে কুশলের সাথে নিজের বিবাহের কথা উঠতে দেখে তরুর চোখ যেনো কপালে উঠার উপক্রম হয়। উপস্থিত আর কেও সাগরিকার কথার কেনো প্রতিত্তুর করার পূর্বেই তরুনিমা উচ্চস্বরে বললো…..

—“অ-অ*সম্ভব….এই বিয়ে কিছুতেই হতে পারে না। আমি ঐ রাগী, এক*রো*খা, জে*দ্দী পুরুষকে বিয়ে করে নিজের জীবনকে স্বইচ্ছায় জা*হা*ন্না*মের আ*গুনে নি*ক্ষেপ করতে পারবো না। নাআআআআআ…….”

এই বলে তরুনিমা সাগরিকার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে দু’হাতে নিজের ল্যহেঙ্গার দু’পাশ তুলে ধরে কোনোদিক ফিরে না তাকিয়ে এক দৌড়ে চৌধুরী মেনশনের ভিতরে চলে যায়। উপস্থিত সকলেই অবাক দৃষ্টিতে তরুনিমার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রয়।

(২)

রুপগন্ঞ্জ গ্রামে নিজেদের বাগান বাড়ির সামনের অংশের সুইমিং পুলের পাশে বেতের সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে কুশল। কুশলের থেকে কিছুটা দূরেই দাঁড়িয়ে আছে কুশলের পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাদিক। বাগান বাড়ির আনাচে কানাচে ব*ন্দু*ক হাতে দাঁড়িয়ে আছে ২০জন গার্ড। কুশলের সামনে রাখা টি-টেবিলের পাশে আরো ৫টি সোফায় বসে আছেন গ্রামের সবদিক দেখাশোনার জন্য নির্ধারণ করা ৫ জন কর্মচারী। কর্মচারীদের মাঝে ১জন আলী নামের কর্মচারী বললেন…..

—“স্যার..এবছর চাষাবাদের ফলনের অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। ১সপ্তাহের মধ্যে সব কৃষকরা ফসল কেটে ঘরে আনতে পারবেন। আমাদের এই রূপগঞ্জ গ্রামের ৮০% ফসলে ভরপুর জমি-জমা গুলোই নদীর ধারে। কিন্তু আমাদের গ্রামের কৃষকদের দোড়-গোড়ায় একটি স*মস্যা এসে দাঁড়িয়েছে। আজই আমাদের ঠিক করা সিক্রেট কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারলাম খান সাহেব এর ছোট ছেলে মুবিন খান চৌধুরী বংশের সাথে যুগ যুগ ধরে চলে আসা শ*ত্রু*তার জন্য গ্রামের কিছু বে*কা*র, মা*দ*কা*সক্ত লোকদের মোটা টাকার লো*ভ দেখিয়ে নিজের লোক বানিয়ে নিয়েছেন। আর তাদের দিয়ে আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে বন্যার ক্ষ*তি আটকানোর জন্য আমরা নদীর ধারে যেই বাঁধ নির্মাণ করেছিলাম রাতের অন্ধকারে সেই বাঁধ ভে*ঙে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন। এই কাজে মুবিন খান ও তার লোকেরা সফল হলে এ বছর কৃষকদের অনেক বড় ক্ষ*তির সম্মুখীন হতে হবে স্যার।

কুশল ওর গর্দান সোজা রেখে নিজের দৃষ্টি সামনের দিকে স্থীর করে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বললো….

—“চৌধুরী বংশের সাথে খান বংশের যুগ যুগ ধরে চলে আসা শ*ত্রুতায় খান বংশের কা*পুরুষরা শত শত পরিকল্পনা করেছে চৌধুরী বংশকে সকলের সামনে ছোট করার জন্য। কিন্তু তাদের সব পরিকল্পনাই নিখুঁত ভাবে ভে*স্তে দিয়েছে চৌধুরী বংশের সিং*হ পুরুষরা। আমি আমার বংশের সম্মানের দিকে কাওকে কখনও একটা আঙুলও উঠাতে দিবো না। আকবর……..”

কুশলের পাশেই বসে ছিলো আকবর নামের আরেকজন কর্মচারী। আকবর সাথে সাথেই বললেন….

—“জ্বি স্যার হুকুম করুন।”

—“আস্তানা থেকে ২০০ জন গার্ড বাছাই করো। তাদের ২টি দলে ভাগ করবে। প্রত্যেকের হাতে যেনো একটি করে বন্দুক থাকে। তাদের মাঝে ৯০ জন কর্মচারীরা সারাদিন বাঁধের পাহাড়া দিবেন। আবার অন্য ৯০ জন কর্মচারীরা সারারাত বাঁধের পাহাড়া দিবেন। বাকি ২০ কর্মচারী বাঁধের আশেপাশে আড়াল হয়ে পাহাড়া দিবেন। স*ন্দেহ জনক কাওকে চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আ*টক করে আস্তানায় নিয়ে আসবে তাকে। নদীর ধারে থাকা কৃষকদের জমিজমা থেকে সকল ফসল তারা কে*টে ঘরে না আনা পর্যন্ত গার্ডরা তাদের দায়িত্ব যেনো সততার সাথে পালন করে সেই দিকে খেয়াল রাখবে তুমি। কোনো রকম ভু*ল-ভ্রা*ন্তি যেনো না হয়।”

—“ঠিক আছে স্যার।”

—“আলি, আকবর তোমরা এখন যেতে পারো।”

অতঃপর আলি আর আকবর সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে কুশলকে সালাম জানিয়ে স্থান ত্যগ করে।

ওরা স্থান ত্যগ করতেই গ্রামের স্কুলে পড়াশোনারত ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় সব রকম সুবিধা-অ*সুবিধার দিকে খেয়াল রাখা রশিদ নামের আরেকজন কর্মচারী বললেন…..

—“স্যার , গতকাল আমি স্কুলে গিয়েছিলাম ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো অ*সুবিধা হচ্ছে কিনা তা জা…….”

রশিদ পুরো কথা শেষ করার পূর্বেই বাগান বাড়ির মূল গেইট থেকে শোর*গোলের আওয়াজ ভেসে আসায় কুশল ওর হাত উঠিয়ে রশিদকে থামিয়ে দিয়ে ‘সাদিককে’ ডাক দেয়। সাদিক কুশলের হাতের ডান পার্শে এসে দাঁড়াতেই কুশল বললো….

—“গেইটের ওখানে গিয়ে দেখো কিসের শোর*গোলের আওয়াজ ভেসে আসছে।”

সাদিক দ্রুত পায়ে গেইটের কাছে চলে যায়।

চলবে ইনশাআল্লাহ…………..