হৃদয় জুড়ে তার ছায়া পর্ব-০১

0
375

#হৃদয়_জুড়ে_তার_ছায়া
#সূচনা_পর্ব
#আদওয়া_ইবশার

দিনের শেষ প্রহর। তেজীয়মান সূর্যটা পশ্চিম আকাশে হেলে গিয়ে ডুবি ডুবি ভাব। নাম না জানা কিছু পাখির দল কলরব তুলে উড়ে যাচ্ছে মাথার উপর দিয়ে। ছাদের কার্নিশ ঘেষে দাঁড়িয়ে দুজন মানব-মানবী অবলোকন করে যাচ্ছে শেষ বিকেলের অপার্থিব সৌন্দর্য। নিরবতার জাল ছিড়ে হঠাৎ ছেলেটা পাশে দাড়ানো অষ্টাদশীকে প্রশ্ন করল,

‘ভালোবাসো আমায়?’

‘হ্যাঁ।’

‘কতটুকু?’

‘যতটুকু ভালোবাসার পর আপনাকে না পেলে আমি সর্বহারা হয়ে মৃ’ত্যু’কে আলিঙ্গন করতেও দুইবার ভেবে দেখবনা। ঠিক ততোটুকুই ভালোবাসি আপনাকে।’

উত্তর শুনে চমৎকার করে হাসল ছেলেটা। কিছুক্ষণ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থেকে হাসি মুখেই বলল,

-” এটা তোমার ভালোবাসা না। স্রেফ মোহ। আর এই যে কথা গুলো বললে ! এগুলো সবটা আবেগের বসে বলেছো। ভালোবাসা কখনও কাওকে ম’র’তে শেখায় না। ভালোবাসা বাঁচতে শেখায়। কেউ কাওকে ভালোবেসে নিঃস্ব হয়না। যে ভালোবাসতে জানে, তার বিশাল একটা হৃদয় থাকে। যে হৃদয়ের গভীরে ভালোবাসার মানুষটাকে না পাওয়ার পরও তার জন্য আজন্মকাল ভালোবাসা বেঁচে থাকে। প্রকৃতপক্ষে যে মানুষটা ভালোবাসে, সে কখনও বলেনা ভালোবাসা পাওয়ার মাঝে সুখ। বরং বলে “ভালোবাসার মানুষটা আমার না হোক। সে সুখে থাক আজীবন। আমি না হয় দূর থেকেই তার হাসি-খুশী মুখটা দেখে নিজেকে সুখী রাখব।” যে ভালোবাসায় স্বার্থ লুকিয়ে থাকে। সে ভালোবাসা কখনও পূর্ণতা পায়না। আগে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে শেখো মেয়ে। তার পর না হয় ভালোবাসার দাবি নিয়ে সামনে এসো। তোমার বয়সটা আমি অনেক আগেই পার করে এসেছি। এই বয়সটাই আবেগের। জীবনের সবথেকে তি’ক্ত জিনিসটাও তোমার কাছে এখন মধুর মনে হবে। আবেগের বসবর্তী হয়ে যদি এই তি’ক্ত জিনিসটাকেই মধু ভেবে পান করে ফেলো, পরবর্তীতে কিন্তু সেই মধুই বি’ষ হয়ে হৃদয়টাকে পঁ’চিয়ে ফেলবে। তাই বলছি, এখনো সময় আছে।ঐসব আবেগ দূরে রেখে মনের কথা না শুনে ম’স্তিষ্ক’কে প্রাধান্য দাও। বিনিময়ে জীবনে অনেক ভালো কিছু পাবে।’

ছেলেটার এতো গুলো কথা মেয়েটা যেন শুনলোই না। অধৈর্য্য হয়ে ছেলেটার দিকে দু-কদম এগিয়ে এসে বলে,

‘আবেগ, মোহ-মায়া এসব কিছুই বুঝতে চাই না আমি। আমি শুধু বুঝি আপনাকে ভালোবাসি আমি। পাগলের মতোই ভালোবাসি আপনাকে। আমার জীবনের প্রথম পুরুষ আপনি। যার নামেই এই হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসো উজাড় করে দিয়েছি। মৃ’ত্যু’র আগ পযর্ন্ত এই এক আপনার মাঝেই আস’ক্ত থাকব। শেষ নিঃশ্বাস পযর্ন্ত বলে যাব ভালোবাসি। তবুও কি আমার প্রতি আপনার একটুও মায়া হবেনা নাহিদ ভাই? আপনি তো এমন হৃদয়হীন ছিলেন না। তাহলে এখন কেন এমন হয়ে গেলেন? কেন আমাকে প্রতিনিয়ত এতো ক’ষ্ট দিচ্ছেন? আপনি জানেন নাহিদ ভাই, কত রাত ধরে ঠিক মতো ঘুমাতে পারিনা আমি! বুকের ভিতর যে কি অসহ্য য’ন্ত্রনা! সইতে পারিনা আমি আর।মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি আপনার ভালোবাসা না পাওয়ার তৃ’ষ্ণা নিয়েই মরে যাচ্ছি আমি। একটুও কি দয়া হয় না আমার জন্য আপনার?”

মেয়েটার কন্ঠে শেষের কথা গুলো বড্ড করুণ শুনালো। তবুও নাহিদ নামক পা’ষা’ণ হৃদয়ের পুরুষটার একটুও ভাবান্তর হলনা। নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে মেয়েটাকে বলল,

‘নিচে যাও পালক। আজান দিবে একটু পর।’

নিরবে অশ্রু ঝরে পরছে পালকের গাল বেয়ে। একটু যদি মন খুলে চিৎকার করে কাঁদতে পারত, তাহলে হয়তো বুকের ভিতরের য’ন্ত্রনাটা একটু হলেও কমতো। কিন্তু মন খুলে কান্না করার’ও যে অধিকার নেই তার। সে তো মস্ত বড় এক অপরাধি। ভুল মানুষকে ভালোবাসার মতো জ’ঘ’ন্য এক অপরাধ করেছে সে। যার কারণে চাইলেও সে মনের দুঃখ গুলো কারো কাছে মুখ ফুটে বলতে পারে না। না পারে কারো বুকে মাথা রেখে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে মনটাকে একটু হালকা করতে। ঠোঁট চেপে কান্না আটকানোর বৃথা চেষ্টা করে পাশে দাড়ানো নি’ষ্ঠুর মানুষটার দিকে তাকাল পালক। যে এই মুহূর্তে বেমালুম পালকের কথা ভুলে গিয়ে সিগারেটের ধোয়ায় নিজের হৃদয় পো’ড়াতে ব্যস্ত। এক মুহূর্তের জন্য সিগারেটের ধোয়ার প্রতি বড্ড হিং’সে জ’ন্মালো পালকের। ইশ, ধোয়া গুলোর কি ভাগ্য! অনায়াসে তার নি’ষ্ঠুর প্রেমিক পুরুষটার হৃদয় ছুতে পারছে। আর সে এতো এতো ভালোবাসার পরও মানুষটার বুকে মাথা রেখে এক মুহূর্ত কান্না করার অধিকারটুকু’ও পাচ্ছেনা। বারকয়েক ভেজা চোখের পলক ঝাপটে আকুতি ভরা কন্ঠে বলে,

‘আপনার বুকে একটু মাথা রাখতে দিবেন নাহিদ ভাই?’

‘এমন আবদার আর কখনো করো না মেয়ে। সইতে পারবেনা এ হৃদয়ের উত্তাপ। পু’ড়ে যাবে একদম।’

তাচ্ছিল্য ভরে কিছুটা হাসল পালক। সে জানতো, এমন কিছু একটা উত্তর এই পাবে। তবুও বেহায়া মনের লো’ভ সামলাতে না পেরে আবদারটা করেছিল। বিনিময়ে পূণরায় প্রত্যা’খ্যা’ন পেল,

‘ঐ হৃদয়ের উত্তাপে আমি পু’ড়ে যাব ভেবে ভয় পেয়ে ঠাই দিতে চাচ্ছে না, না কি অন্য ভয়ে? ভাবছেন পাথুরে হৃদয়টা না আবার আমার অল্প ছোঁয়া পেয়েই গলে গিয়ে আমাকে ভালোবাসতে শুরু করে দেয়।’

এবার বুঝি একটু বিরক্ত হলো নাহিদ। চোখ-মুখ সামান্য কুঁচকে আধ-খাওয়া সিগারেটটা নিচে ফেলে পায়ে পিষে পালকের দিকে তাকিয়ে বলল,

‘বড্ড বেশি কথা বলো তুমি মেয়ে। এতো কথা আমার একদম পছন্দ নই।তমি কি চাও তোমার জন্য এখন এই বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেই আমি?’

সহসা আৎকে ওঠল পালক। বাড়িতে আসা বন্ধ করে দিলে তো মানুষটাকে বছরেও চোখের দেখা টুকু দেখতে পাবেনা সে।এমনিতেই তো তার ভালোবাসা না পাওয়ার য’ন্ত্র’নায় হৃদয়টা প্রতিনিয়ত ছটফট করে মরছে পালকের।এখন যদি আবার চোখের দেখাটাও না দেখতে পায়, তাহলে তো চোখের তৃ’ষ্ণা মনের তৃ’ষ্ণা দুটোর য’ন্ত্র’নায় একেবারে নিঃশে’ষ হয়ে যাবে সে।শুকনো ঢোক গিলে গলাটা ভিজিয়ে কোনো মতে বলে,

‘চলে যাচ্ছি আমি। আমার জন্য আপনার এই বাড়িতে আসা বন্ধ হোক আমি চাই না। অন্তত আমার মায়ের মুখের মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও এটা করবেন না দয়া করে।’

আর এক মুহূর্ত’ও দাড়াল না পালক। এক ছুটে নেমে গেল ছাদ থেকে।সেদিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে বুক ফুরিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ল নাহিদ। পূণরায় উদাস চোখে আকাশের পানে তাকিয়ে নিজ মনে বিরবির করে বলল,

‘ভালোবাসা বড্ড ভ’য়ং’কর। এই ভালোবাসা নামক বি’ষ একবার যে পান করে তার হৃদয় একেবারে পু’ড়ে ছায় হয়ে যায়।মৃ’ত্যু হয় সকল অনুভূতির। সেই পু’ড়ে যাওয়া মৃ’ত হৃদয়টা কি দ্বিতীয়বার কখনো কাওকে ভালোবাসতে পারে?পারে না। শুধু পারে কিছু সাদা-কালো স্মৃতি নিয়ে এই নশ্বর পৃথিবীতে জীবন্ত লা’শ হয়ে বেঁচে থাকতে। যে বেঁচে থাকার মধ্যে কোনো স্বাদ নেই।আনন্দ নেই। না থাকে নিজেকে ভালো রাখার এক বিন্দু তাড়না। বি’চ্ছে’দের য’ন্ত্র’নায় ভারি হওয়া এই পৃথিবীতে ভালোবাসা বারন।’

গোধূলি লগ্ন পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে ধরণীতে। দূর-দূরান্তের মসজিদ গুলো থেকে আজানের ধ্বনি ভেবে আসছে। মস্ত আকাশের বুকে সন্ধ্যা তারাটা ঝলঝল করছে। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে কি যেন একটা ভেবে মুচকি হাসল নাহিদ। অস্পষ্ট ভাবে কিছু একটা উচ্চারণ করে বড় বড় কদম ফেলে হাঁটা ধরল সৃষ্টিকর্তার ডাকে সারা দিতে। নিচে নেমে মূল ফটক পেরনোর সময় পেছন থেকে ভেসে এলো এক নারী কন্ঠ,

‘নামাজ শেষে আবার পালিয়ে যেওনা যেন। অনেক শখ করে রাতের রান্না করছি। অল্প হলেও মুখে দিয়ে আমার কষ্টটা স্বার্থেক করে যেও।’

পেছনে ফিরে মানুষটাকে দেখার প্রয়োজন বোধ করল না নাহিদ। ঐভাবে থেকেই মাথাটা একপাশে হালকা নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়ে চলে গেল।নামাজ শেষে বাধ্য ছেলের মতো আবারও বাড়িতে ফিরে এলো। ড্রয়িং রুমে চায়ের আসর জমিয়েছে বাবা-মেয়ে মিলে।চায়ের কাপে চুমুক দেবার ফাকে ফাকে নজরুল সাহেব একমাত্র মেয়ের সাথে মনের সুখে গল্প করছেন। মনযোগি ছাত্রীর মতোই বাবার প্রতিটা কথা নিরব হয়ে শুনে যাচ্ছে পালক। এর মাঝেই ড্রয়িং রুমে তৃতীয় কারো আভাস পেয়ে বাবা-মেয়ে দুজনেই ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। নির্লিপ্ত ভাবে ধীর পায়ে তাদের দিকেই এগিয়ে আসছে নাহিদ। শান্ত ভঙ্গিতে সিঙ্গেল সোফাটায় বসে পরে। সাথে সাথেই ওঠে দাড়ায় পাালক। কাওকে কিছু না বলেই চলে যায় নিজের রুমে। সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই নাহিদের। শীতল কন্ঠে রান্না ঘরের দিকে দৃষ্টি রেখে বলল,

‘আমাকে একটু তাড়াতাড়ি যেতে হবে। কাজ আছে। রান্না শেষ হলে খেতে দিন।’

হাতে এক কাপ চা নিয়ে নাদিদের দিকেই এগিয়ে আসছিলেন রওশন আরা। তার এতো তাড়া দেখে সামান্য বিরক্তি নিয়ে প্রশ্ন করলেন,

‘এখন আবার তোমার কি কাজ?অফিস শেষ করেই তো এখানে আসলে।’

‘বিদেশী কয়েকজন ক্লায়েন্ট আসবে। ওনাদের রিসিভ করে আনার দায়িত্ব পরেছে আমি সহ আরও দুই-তিন জনের উপর।’

‘তাহলে চা টা কি এখন খাবে?’

জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে জানতে চাইল রওশন আরা। সেদিকে এক পলক তাকিয়ে উঠে পরল নাহিদ। আড়মোড়া ভেঙে বলে,

‘না। ভাত দিন।’

আর এক মুহূর্ত দাড়ায় না রওশন আরা। ব্যস্ত পায়ে এগিয়ে যায় রান্নাঘরের দিকে। একটু দেরি হলে আবার না খেয়েই চলে যাবে অসম্ভব রকমের ত্যাড়া স্বভাবের ছেলেটা। দ্রুত হাতে সমস্ত কিছু ডাইনিং এ এনে সাজিয়ে রাখলেন। ডাকার আগেই নাহিদ এসে একটা প্লেট নিয়ে অল্প একটু ভাত নিজ হাতে বেড়ে নিয়েই বসে পরল। তাকে আর কোনো কিছুতে হাত লাগানোর সুযোগ না দিয়েই রওশন আরা প্লেটে তরকারি তুলে দিলেন। কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের তরকারি। এক পলক দেখেই নাহিদের শান্ত হৃদয়টাতে অশান্ত এক ঝড়ের সৃষ্টি হলো। বুকটা কেমন জ্বা’লা’পো’ড়া করছে তার। শ্বাস নিতে গিয়েও মনে হলো একটু ক’ষ্ট হচ্ছে। চোখ তুলে তাকিয়ে দেখল রওশন আরা তার দিকেই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। না খেয়ে ওঠে গেলে মানুষটা ক’ষ্ট পাবে। সেটা ভেবেই নিজের ভিতরে চলা ঝড়টাকে সঙ্গে নিয়েই এলোমেলো ম’স্তি’ষ্কে খাবারে হাত দিল। কোনো মতে দুই লোকমা খেয়ে ওঠে গেল। সাথে সাথেই রওশন আরা বলে ওঠল,

‘একি! দুই লোকমা খেয়েই ওঠে যাচ্ছো কেন? তোমার পছন্দ দেখেই চিংড়ি মাছ রান্না করলাম। এখন তুমিই না খেয়ে ওঠে যাচ্ছো। তরকারি ভালো হয় নি?’

‘তেল বেশি হয়েছে মনে হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে আমার।’

কথাটা শুনেই চোখ-মুখ কুঁচকে ফেললেন রওশন আরা। বিরক্ত প্রকাশ করে বললেন,

‘তেল বেশি হয়েছে বলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে অযথা এমন বাহানা দিও না। অফিস টাইম বাদে সময়টুকুতে কয় প্যাকেট সিগারেট শেষ করো? নিজের চেহারার দিকে একবার তাকিয়ে দেখেছো কি হাল করেছো? যে হারে সিগারেট খাও কেউ দেখে বলবে, তোমার মতো চেইন স্মোকার একটা ছেলে ফার্মাসিস্ট? আমার তো সন্দেহ হয়,অফিস টাইমটা কিভাবে সিগারেট ছাড়া পার করো তুমি।’

‘যতটা ভাবছেন এতো বেশি খাই না। আসছি, ভালো থাকবেন।’

রওশন আরা’কে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে আর কারো দিকে না তাকিয়ে দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে গেল বাড়ি থেকে। ড্রয়িং রুমে বসে সব কিছুই নিরব হয়ে দেখে গেছেন নজরুল সাহেব। নাহিদ চোখের আড়াল হতেই নিজ স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন,

‘দেখছো তো দিন দিন কত বড় বে’য়া’দব হচ্ছে?এর মতো বে’য়া’দব ছেলে আমি আমার জীবনে দ্বিতীয়টা দেখি নি। যতো সময় যাচ্ছে ততই যেন তার বে’য়া’দবি বেড়েই চলছে। কেমন শিক্ষিত ছেলে সে? আমি যে তার গুরুজন সেটা মানে কখনো? সালাম তো দূরের কথা। মুখ তুলে একবার তাকিয়েও দেখে না। মানলাম আমি না হয় তার অপছন্দের। কিন্তু তুমি তো না কি খুব পছন্দের। খুব না কি সম্মান করে তোমাকে! এই সেই সম্মানের নমুনা? সম্মানই যদি করতো, তাহলে তোমার মুখে সিগারেট খাওয়ার কথা শুনে এভাবে নি’র্ল’জ্জের মতো এতো বেশি খায় না বলতে পারত? ভদ্র ছেলে হলে কখনো মুখ তুলেই তাকাতো না। উত্তর দিতো দূরের কথা।’

চলবে….