হোম পলিটিক্স পর্ব-০১

0
706

#হোম_পলিটিক্স

#পর্ব_১
#আফসানানীতু

নিজের রুমে ঢুকেই রুমনকে তার বিছানায় হাত-পা ছড়িয়ে ব্যাঙের মতো শুয়ে থাকতে দেখে মেজাজটা খারাপ হয়ে যায় নাফিসার। একে তো এই কড়কড়ে রোদের মধ্যে ভরদুপুরের ট্রাফিক জ্যাম সামলে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরাটাই এক ঝক্কি। তার উপর বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে যে নিজের বিছানায় একটু আরাম করে শোবে তাও এই বাঁদরটার জ্বালায় সম্ভব হয় না।

– রু, তুই আমার রুমে কী করছিস?
– কি করি দেখো না? শুয়ে শুয়ে কার্টুন দেখি।
রুমন হাতের মোবাইল থেকে চোখ না সরিয়েই জবাব দেয়।
– তোকে না আমি বলেছি আমি বাসায় না থাকলে আমার ঘরে আসবি না।
– তোমার ঘর বলে এখন আর কিছু নাই বুঝলা?এই রুম এখন থেকে আমারও।
– তোরও মানে?
– মানে আম্মা বলছে এখন থেকে এই রুমে আমিও তোমার সঙ্গে থাকবো।
– এহ, বললেই হল! তুই রিফাতের ঘরে থাকবি, ওইটা তোদের দুইজনের রুম।
– আমি এত কিছু বুঝিনা, আমাকে যে রুমে ঘুমাতে বলছে সেই রুমেই এখন থেকে আমি কার্টুন দেখবো। এখন যাও তো এখান থেকে, শান্তিমত একটু কার্টুন দেখতে দাও। বেশি ক্যাচক্যাচ করলে কিন্তু…
কথা শেষ না করেই রুমন উপুড় হয়ে তেলাপোকার মত বিছানার চাদরে হাত পা দিয়ে আঁকিবুকি আঁকে।রুমন ভালো করেই জানে কোঁচকানো বিছানার চাদর নাফিসা একদম পছন্দ করে না আর সেজন্যই তাকে রাগাতে সে এমনটা করে।
নাফিসাও কম যায় না, কাঁধের কলেজ ব্যাগটা এক হাতে ছুঁড়ে ফেলে রেখে এসে ভাইয়ের পিঠে বসিয়ে দেয় দুম করে একটা কি*ল। সঙ্গে সঙ্গে রুমন আকাশ বাতাস ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করে দেয় যাকে কান্না না বলে তীক্ষ্ণ চিৎকার বলাই ভালো।
এদিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ওদের মা সালেহা দৌড়ে আসেন।
– কিরে, তোরা এমন বস্তি বাড়ির মতো চেঁচামেচি করছিস কেন?
– আম্মা নাফুদি আমারে মারছে।
– মারছে মানে!
সালেহা বেগম অবিশ্বাস ভরা দৃষ্টি নিয়ে মেয়ের দিকে তাকান।
– তুই ওই দুধের বাচ্চাটার গায়ে হাত তুলছিস?
– হ্যাঁ তুলছি! ও আমার বিছানা নষ্ট করতেছে দেখোনা? আর ওরে কোন অ্যাঙ্গেল থেকে দুধের বাচ্চা লাগে তোমার? ওতো চেহারা সুরতে পুরাই একটা কুমিরের বাচ্চা, যে তোমারে আর আব্বারে দেখলে মটকা মেরে পরে থাকে আর বাকি সময় যত কামড় খামচি আমারে আর রিফাতরে দেয়।
– মাঝে মাঝে না আমার তোর কথায় আর কাজে অবাক লাগে নাফিসা! সামান্য একটু বিছানার চাদর কুঁচকানোর জন্য তুই ওরে মারবি?
– এটা কোন সামান্য ব্যাপার না আম্মা! আগে তুমি বলো, তুমি নাকি বলছো ও এখন থেকে আমার সঙ্গে থাকবে?
– হ্যাঁ, বলছি তো সমস্যা কী?
– তুমি জানো না সমস্যা কি!
– না, জানি না! তাছাড়া তোর সঙ্গে এখন থেকে থাকবে এমন কথা বলিনি, বলছি রিফাতের পরীক্ষা চলতেছে তাই রুমন পরীক্ষার কয়দিন তোর সঙ্গে থাকুক। ওর পরীক্ষা শেষ হলে রুমন আবার রিফাতের সঙ্গে ঘুমাবে। – অসম্ভব! এই খাটাশটারে আমি আমার সঙ্গে একরাতও রাখবো না। তুমি জানো না ও রাতে হিসু করে দেয় বিছানায়?
-ইহ, আমি বিছানায় কি সব সময় হিসু করি? মাঝে মাঝে যখন নিশি ভুতে কাতুকুতু দেয় তখন করে দেই। রুমন বড় বোনের কথার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
– খবরদার রু! বড়দের কথার মাঝে কথা বলবি না, তাইলে কিন্তু মুখে স্টেপলার মেরে দিব।
রুমন তার জবাবে কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু তার আগেই সালেহা হুংকার দিয়ে ওঠেন,
– দুইজনেই চুপ থাক বলছি। বিছানায় হিসু করলে তোর এত সমস্যা কিসের, চাদর তো ধুব আমি তাই না? তুই মাঝখানে কোলবালিশ দিয়া কয়দিন ওর সাথে ঘুমা। ছোট ভাইয়ের পরীক্ষা সামনে তার জন্য এতোটুকু স্যাক্রিফাইস তুই করতে পারবি না?
– কেন করবো? আমার পরীক্ষার সময় ওরা কি সেক্রিফাইস করছে আমার জন্য যে আমারে এখন এই মুতুইন্না বাদুড়ের সাথে শুতে হবে?
– ছি নাফিসা! বড় হইতেছিস আর মুখের ভাষার এই অবস্থা হইতেছে কেন তোর? আমি যেমনে বলি তেমনেই থাকতে হবে বুঝলি? বেশি ঝামেলা করলে পুরাই বাসা থেকে আউট করে দেবো কিন্তু।
– তা দেও না! কবে থেকে বলতেছি কথা তো শোনো না। বলতেছি তো আমারে একটা বিয়ে দিয়ে দাও, আমি এই বাসা থেকে চলে যাই। আর কিছু না হোক কমসেকম নিজের তো একটা পার্সোনাল বেডরুম হবে।

সালেহা মেয়ের মুখে এমন নির্লজ্জ প্রস্তাব শুনে কি জবাব দেবেন বুঝে পাননা। মেয়েটা দিন দিন বড় হচ্ছে আর যেন অবুঝ হচ্ছে। বড়দের সামনে কোন মেয়ে নিজের মুখে এমন কথা বলতে পারে!
ওদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ততক্ষণে ওদের দাদি খোদেজা বিবিও চলে এসেছিলেন। সালেহা চুপ হয়ে গেলেও তিনি থেমে থাকেন না। ছেলের বউকে ডিঙিয়ে তারস্বরে নাতনিকে বলেন,
– ছি ছি, আস্তাগফিরুল্লাহ! নিজের মুখে তুই নিজের বিয়ার কথা কস তোর শরম করে না নাফিসা?

যদিও নাফিসা বুঝে পায়না নিজের একটা বেডরুমের জন্য একটা বিয়েই তো সে করতে চেয়েছে তাতে এমন কি অপরাধ হয়েছে যে বড়রা তাকে এভাবে ছি ছি করছে। তবে সে কথা বাড়ায় না কেননা তার দাদীর সঙ্গে কথা বাড়ানোর মানে আরো আধা ঘন্টা কথার প্যাঁচে পড়ে যাওয়া। তাই সে টাওয়েল কাঁধে তড়িঘড়ি বাথরুমে গিয়ে দরজা আটকে দেয়।

***
– দোস্ত, আমারে একটু ভর্তা দে না।
পিয়া হাত বাড়িয়ে নাফিসার ভর্তার কাপটা থেকে একটু ভর্তা খেতে যেতেই নাফিসা সঙ্গে সঙ্গে ভর্তা ধরা হাতটা পেছনে লুকিয়ে ফেলে।
– তুই সেদিন আমারে বার্গার দিছিলি?
– কেমনে দিমু দোস্ত, আমি জাফরের সঙ্গে বার্গার খাইতে গেছিলাম।
– তো কি হইছে? বয়ফ্রেন্ডের সাথে বার্গার খাইয়া তো কলেজে ঢুকছিলি, ঢোকার সময় আমার জন্য একটা নিয়ে আসতে পারলি না? আর আজকে আসছিস ভর্তা খাইতে!
– নাফু, তোর না সত্যি সত্যি মাথাটা খারাপ! কোথায় বিশ টাকার ভর্তা আর কোথায় দুইশ টাকার বার্গার! দুইটা কি এক পাল্লায় যায়?
– খুব যায়! বন্ধুত্ব রাখতে গেলে দুই টাকা আর দশ টাকা ম্যাটার করে না, সব সমান।
– তার চেয়ে তোরে সুন্দর একটা বুদ্ধি দেই। তুইও একটা প্রেম করে ফেল, তাইলে দেখবি শুধু বার্গার কেন পিজ্জা নাচোস সবই খাইতে পারবি।, মানে বয়ফ্রেন্ড তোরে খাওয়াবে নিজ থেকে।
পিয়া সামান্য ভর্তার আশায় তাকে আগডুম বাগডুম বুদ্ধি দিচ্ছে বুঝতে পেরে নাফিসা ঠোঁট টিপে হাসে।
– আমি কি তোর মত ফকিন্নি নাকি যে পিৎজা বার্গার খাওয়ার জন্য প্রেম করবো? আর তাছাড়া প্রেম ফ্রেমের মধ্যে আমি নাই। প্রেম মানেই বিরাট ঝামেলা! প্রেম করলে প্রেমিক আজকে হাত ধরতে চাবে তো কালকে চু*মু খাইতে চাবে। তারপরে যদি ওই ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে না হয়! ছি ছি… পর পুরুষের সঙ্গে এসব করলে আল্লাহ আমারে দোযখে ফেলবে না তারপর? তার চেয়ে আমি বিয়েই করব একবারে। ইস্, আম্মারে যে বারবার বলতেছি বিয়ে দিয়ে দিতে, আম্মা কিছুতেই ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিতেছে না! কি করি বলতো?

– হুর…এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করে কি করবি?
– তাড়াতাড়িই তো করতে হবে চান্দু! এইচএসসি পরীক্ষার আর মাত্র চার মাস বাকি, এদিকে আমার পড়াশোনার যে অবস্থা ফেল করব নিশ্চিত! তার চেয়ে এর আগে আগে যদি একটা বিয়ে হয়ে যায় তাহলে আর পরীক্ষা দিতে হবে না। আমি সব দিক থেকে বেঁচে যাব!
– বুঝলাম পাস করবি না, কিন্তু তার জন্য বিয়ে করতে হবে?
– অবশ্যই বিয়ে করতে হবে! বিয়ে করলে সবাই বলবে বেচারি সংসার করতে গিয়ে পড়ালেখা বাদ দিছে, ব্যাপারটার মধ্যে অন্যরকম একটা মানবিক ব্যাপার-স্যাপার কাজ করবে। কিন্তু যদি ফেল করি সবাই আমারে ফেলটু বলবে না? তাছাড়া ভবিষ্যতে আমার ছেলে-মেয়েও তো আমাকে ফেল্টু বলে ক্ষ্যাপাবে, তাই না?
– দোস্ত, তুই আসলেই না একটা চিজ বটে! তোর চার মাস পর পরীক্ষা সেইটা নিয়া টেনশন নাই অথচ বিয়া আর বাচ্চা নিয়া কত লম্বা লম্বা চিন্তা কইরা রাখছিস!

নাফিসা পিয়ার কথার কোন জবাব দেয় না বরং নিজের প্রতিভায় গর্বিত চিত্তে ভর্তা খাওয়ায় মনোনিবেশ করে।

***
আজ ক্লাস শুরু হবার কথা দশটায়। রুটিনের বাইরে ক্লাসের সময় হওয়ার কারণেই নাফিসার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। বাড়ি থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে তার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যায়। বাড়ির সামনের রাস্তা পুরো ফাঁকা! একটা খালি রিক্সাও নেই কাছে পিঠে। খানিক বাদে একটা রিক্সাকে এদিকে আসতে দেখে নাফিসা চিৎকার করে ওঠে,
– মামা,যাবেন?
কিন্তু একি! তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে আরেকটি পুরুষ কণ্ঠও শোনা যায়, যার প্রস্তাবও সেই একই! নাফিসা পাশে তাকিয়ে দেখে ফর্সা গোল গাল চেহারার উনত্রিশ ত্রিশ বছর বয়সের একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। পরনে করা ইস্ত্রি করা প্যান্ট শার্ট আর গলায় টুকটুকে লাল একটা টাই, সবমিলিয়ে ছেলেটাকে এক কথায় ফুল বাবুর মত দেখাচ্ছে।
রিক্সাওয়ালা কিছুটা এগিয়ে এসে জানতে চায়,
– কই যাইবেন?
আবারো ছেলেটা তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলে ওঠে,
– ফার্মগেট।
রিক্সাওয়ালা সম্মতি সূচক মাথা নাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নাফিসা কিছু বলার আগেই ছেলেটা এক লাফে রিক্সায় উঠে বসে। এদিকে রিক্সাওয়ালা নাফিসার দিকে তাকিয়ে থাকে, সে হয়তো ভেবেছে ওরা দুইজন একই সঙ্গে যাবে।
ছেলেটা তাড়া দেয়,
– কোথায়, চলুন?
রিক্সাওয়ালা নাফিসার ওঠার অপেক্ষায় আছে বুঝতে পেরে নাফিসা গলা চড়িয়ে ছেলেটাকে বলে,
– এই যে, আপনার কি কোন সভ্যতা বোধ নাই? দেখলেন আমি রিকশা ডাকলাম আর আপনি লাফ দিয়ে রিকশায় উঠে পড়লেন কোন বুদ্ধিতে? নামুন বলছি!
– সে কি, রিক্সা আপনি ডাকলেন কোথায়? রিকশা তো ডাকলাম আমি!
– এই খবরদার, কথা ঘুরাবেন না! আপনার পাশে দাঁড়িয়ে একটা সুন্দরী মেয়ে রিক্সা ডাকছে আর আপনি সেটা খেয়াল করেননি বলতে চান?
– সুন্দরী…
ছেলেটা আরো কিছু বলতো হয়তো কিন্তু তার আগেই নাফিসা চিৎকার করে ওঠে,
– ঢং করবেন না, কথাও ঘুরাবেন না! আমি জানি আমি সুন্দরী।
ছেলেটা নাফিসার দিকে একরাশ হতাশা নিয়ে তাকায় তারপর হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ভদ্র কণ্ঠে বলে,
– দেখুন, আমার একটু তাড়া আছে। আশেপাশে আর রিক্সাও দেখছি না। প্লিজ আমাকে যেতে দিন। আপনার সৌন্দর্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন, ভালো থাকবেন। এই মামা, রিক্সা টানো।

ছেলেটার নির্দেশে রিক্সাওয়ালা রিক্সার প্যাডেলে পা দিয়েছে কি দেয়নি নাফিসা খপ করে রিক্সার হ্যান্ডেল ধরে ফেলে। তারপর রিক্সাওয়ালাকে বলে,
– খবরদার মামা, রিক্সার প্যাডেলে চাপ দিলে ভালো হবে না বলছি। আমার হাতের নখ দেখছেন? খাম*চি দিলে খবর হয়ে যাবে।
নাফিসার হাতের সুন্দর করে ছেটে রাখা ডিম্বাকৃতির নখগুলোর দিকে রিক্সাওয়ালার মত ছেলেটারও চোখ যায়। ছেলেটা একটু নার্ভাস ভঙ্গিতে বলে,
– দেখুন, আমার একটু তাড়া আছে।
– তো আমি কি বলেছি আমার তাড়া নাই? আমারও তো তাড়া আছে। আর তাছাড়া আপনার ঠ্যাং অনেক লম্বা লম্বা দেখা যাচ্ছে, নেমে জোরে জোরে হাঁটেন দেখবেন রিক্সার আগে চলে যেতে পারবেন।
ছেলেটা এবার মিনতি ভরা কন্ঠে বলে,
– ইয়ে…আপনিও তো ফার্মগেট যাবেন, তারচেয়ে চলুন দুজন একসঙ্গে যাই।
– ইস্, সুন্দরী মেয়ে দেখলেই একসঙ্গে রিকশায় বসতে ইচ্ছা করে তাই না? ওই মিয়া, আপনার গার্লফ্রেন্ড নাই?

– দেখুন, এভাবে কথা বাড়ালেই বাড়বে। তার থেকে আপনিও রিকশায় এসে বসুন, আমি আপনাকে নামিয়ে দিয়ে আমার অফিসে চলে যাব। আপনি বললে মাঝে আমার হাতের এই ব্যাগটা রেখে দেব।
নাফিসা এবার মনে মনে ভাবে, এমনিতেই কলেজের দেরি হয়ে যাচ্ছে। রিক্সা পেতে গেলে আরো দশ পনের মিনিট নষ্ট হবে। তাছাড়া ছেলেটাকে দেখাই যাচ্ছে ফার্মের মুরগির মত নাদুসনুদুস আর ভদ্রগোছের। তাই এর সঙ্গে এক রিকশায় চড়লে মনে হয় না সে কোন অসভ্যতা করবে। অগত্যা নাফিসা রিক্সায় ওঠার পাঁয়তারা করে। তবে উঠতে উঠতে প্রচ্ছন্ন কন্ঠে ছেলেটাকে হুমকি দেয়,
– দুজনের মাঝখানে এক হাত জায়গা বাদ রাখবেন বলছি, অকারণে ক্লোজ হবার চেষ্টা করবেন না একদম!
ছেলেটা বিড়বিড় করে বলে,
– চেষ্টা করব। তবে রিক্সার সিট দুই হাতও হবে না, তার মাঝে এক হাত জায়গা রাখলে দুইজনের কাউকেই আর রিক্সায় বসতে হবে না। বরং রিক্সার হ্যান্ডেল ধরে দু’পাশে বাদুড়ের মতো ঝুলতে হবে।
ছেলেটার কথাগুলো নাফিসার কানে স্পষ্ট পৌঁছায় না। তাই সে ধমকে জানতে চায়,
– কী বললেন?
ছেলেটা একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে বলে,
– না কিছু না।

চলবে।