তোমার হাতটি ধরে পর্ব-১৩

0
820

#তোমার_হাতটি_ধরে
#পর্ব_১৩
#Jechi_Jahan

আমি আর জোবান হাসপাতালে প্রবেশ করি।উনি আমাকে ওনার একটা পরিচিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। আমি বুঝতে পারছি না উনি আমাকে ডাক্তারের কাছে কেনো আনছেন।উনি কি কিছু টের পেয়ে গেলেন নাকি।উনার পরিচিত ডাক্তারটা মেয়ে।

ডাক্তার-আরে জোবান তুমি??

জোবান-হুম,,,কেমন আছো??

ডাক্তার-আমি ভালো আছি,,,তুমি কেমন আছো???

জোবান-আমিও ভালো আছি।

ডাক্তার-তা এখানে কি করে??

জোবান-একজনকে দেখাতে এসেছি।

ডাক্তার-কাকে??

জোবান-একে।(আমাকে দেখিয়ে)

ডাক্তার-ওহহ,,,কি হয় ও তোমার??

জোবান-আ আমার ওয়াইফ।

ডাক্তার-তুমি বিয়ে করেছো??(অবাক হয়ে)

জোবান-হুম,,,

ডাক্তার-অবশেষে (মুচকি হেসে)নযাক গে ওর সমস্যা কি??

জোবান-বলো,,,(আমার হাত ধরে)

আমি-ডাক্তার আমার কোনো সমস্যাই নেই।

ডাক্তার-তাহলে???

জোবান- ও তোকে বলবেনা,,,আমিই বলছি।ওর নাকি মাঝে মাঝেই শরীর খারাপ লাগে।আর এই কথাটা বলে বহুবার ভার্সিটি থেকে চলে এসেছে।

ডাক্তার-আচ্ছা আমি ওর সাথে একটু একা কথা বলি।ও হয়তো তোমার সামনে বলতে চাইছেনা।তো তুমি একটু বাইরে যাও।

জোবান-ওকে।(বলে বাইরে চলে গেলো)

ডাক্তার-হাই,,,আমি শুভা।(হাত বাড়িয়ে)

আমি-আমি শিশির।(হাত মিলিয়ে)

শুভা-আমাকে তুমি তোমার ফ্রেন্ড ভাবতে পারো।যেহেতু আমি জোবানেরও ফ্রেন্ড।

আমি-জ্বি।

শুভা-শুনো,,,তুমি ভয় পেয়োনা।তোমার সমস্যা কোথায় তুমি সেটা আমাকে বলো।

আমি-আমার কোনো সমস্যা নেই আপু।

শুভা-আচ্ছা,,,তোমাদের বিয়ে হয়েছে কতদিন হল?

আমি-পাঁচ মাস হয়ে গেছে।

শুভা-ওহহ।

আমি-আপু,,,আমার না কোনো সমস্যা নেই।এমনে মাঝে মাঝেই শরীর দুর্ভল হয়ে যায়।তো ওনারা ভাবে কি না কি।

শুভা-আচ্ছা শিশির,,,তুমি বিয়ের পরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করিয়ে ছিলে??

আমি-না।

শুভা-সত্যি বলছো তো??

আমি-হুম।(মাথা নিচু করে)

শুভা-শিশির,,,আমি কিন্তু বলেছি আমাকে ফ্রেন্ড হিসেবে সব কিছু বলতে।

আমি-আমি সত্যি করাইনি।

শুভা-তাহলে এটা শিওর,,,যে প্রেগন্যান্সির জন্য তোমার শরীল খারাপ হয় না।

আমি-হুম।

শুভা-আচ্ছা এখন একটা প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাও।

আমি-না আপু তার দরকার নেই।

শুভা-কেনো???

আমি-কারন রিপোর্ট নেগেটিভই আসবে।

শুভা-তুমি কি করে বুঝলে??

আমি-(শিট কি বলে ফেললাম)আরে পাঁচ মাসের মধ্যে আমি কিভাবে প্রেগন্যান্ট হবো।

শুভা-(কিছুক্ষণ চুপ থেকে) শিশির,,তুমি কি পিল খাও???

আমি-না তো।

শুভা-তুমি পিল খাও,,,আর এ জন্য তোমার শরীল খারাপ হয়।

আমি-আপু এটা ওনাকে বলবেন না প্লিজ।

শুভা-তুমি পিল কেনো খাচ্ছো??

আমি-পিল মেয়েরা কেনো খায়??

শুভা-তুমি কি বাচ্চা চাওনা?

আমি-আপু,,,আমি এটা বলতে পারবোনা।সরি!!!!

শুভা-তাহলে আমি জোবানকে কি বলবো??

আমি-কিছু একটা বলে দাও বাট এটা বলোনা।প্লিজ আপু আমি তোমাকে বিশ্বাস করে বলেছি।

শুভা-আচ্ছা।(বলে জোবানকে ফোন দিলো)

জোবান-হ্যালো।

শুভা-হুম,,আসো।

জোবান-ওকে।(বলে ফোন কেটে দিলো)

শুভা-জোবান আসছে নরমাল থাকো।

আমি-হুম।

জোবান-হুম,,কি সমস্যা ওর??

শুভা-তোমার বউয়ের এত চিন্তা কিসের??

জোবান-মানে??

শুভা-তোমার বউ সারাক্ষণ কিসব নিয়ে টেনশন করে,খাওয়া দাওয়া কম করে আর যেটা আসল কথা রাতে ঘুমায় না।এসবের জন্য ওর শরীল খারাপ করছে।

জোবান-ওহ,,তো এখন কি করবো??

শুভা-আমি কিছু ঔষুধ লিখে দিচ্ছি ওগুলা খাইয়ে দিয়ো।

জোবান-ওকে।

শুভা-আর জোবান,,,ওর একটু খেয়াল রেখো।

জোবান-হুম।

শুভা-তো শিশির,,,তাহলে আরেকদিন দেখা হবে।

আমি-জ্বি।

জোবান-আচ্ছা আসি।(বলে আমায় নিয়ে বের হল)

আমি আর জোবান গাড়িতে বসে আছি।অনেক ক্ষণ ধরে গাড়ী চলছে কিন্তু আমার ভার্সিটিতেই গাড়ী আসছে না।বেশ কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম এটা আমার ভার্সিটিতে যাওয়ার রাস্তা না।

আমি-শুনুন।

জোবান-কি??(ফোন টিপতে টিপতে)

আমি-এটা তো আমার ভার্সিটিতে যাওয়ার রাস্তা না।

জোবান-তো??

আমি-মানে আমরা এখন কোথায় যাচ্ছি??

জোবান-আমরা এখন বাসর করতে যাচ্ছি।

আমি-কি??

জোবান-অবাক হওয়ার কি আছে।

আমি-আপনি মাত্র কি বললেন।

জোবান-স্টুপিড,,আমরা এখন অফিসে যাচ্ছি।

আমি-অফিস তো আপনার আমাকে কেনো নিচ্ছন?

জোবান-কারণ এখন তুমি ভার্সিটিতে যাবে না।

আমি-তো আমি অফিসে কেনো যাবো??

জোবান-আমি এখন তোমাকে বাড়ী পৌঁছে দিতে পারবোনা তাই।

আমি-তাহলে ভার্সিটিতে দিয়ে আসুন।

জোবান-চুপ,,,আর একটা কথা বললে থাপ্পড় দিব।

আমি এবার আর ভয়ে কোনো কথা বললাম না।কিছুক্ষণ পর আমি আর উনি অফিসে পৌঁছালাম।অফিসের সবাই ওনাকে সালাম দিচ্ছে।ইস অফিস এর সবাই ওনাকে কত সম্মান করে।আর এই বুড়া আমাকে একটু স্নেহ ও করেনা।উনি সোজা ওনার রুমে চলে গেলেন।আমিও ওনার পিছে পিছে গেলাম।

জোবান-দাঁড়িয়ে আছো কেনো???

আমি-তো কি করবো??

জোবান-বসো।

আমি-ওহ।(বলে একটা চেয়ারে বসলাম)

জোবান-কি খাবে??

আমি-কিছু না।

জোবান-শিশির,,,(রেগে)

আমি-কি??

জোবান-আমি এখন খাবার অর্ডার দিবো আর তুমি আমার সামনে বসে বসে খাবে।

আমি-আরে আমি নাস্তা করে এসেছি।

জোবান-চুপ,,,(বলে কাওকে ফোন দিলো)হ্যাঁ শুনো আমার রুমে একটা পিৎজা,একটা বার্গার আর একটা Soft drink পাঠিয়ে দাও।

ওপাশে-ঠিক আছে স্যার।

আমি-এটা আপনার পেট নাকি পুকুর।

জোবান-মানে??(ব্রু কুঁচকে)

আমি-মানে এত গুলা খাবার আপনি একা খাবেন।

জোবান-এগুলা আমার জন্য না তো।

আমি-তাহলে??

জোবান-তোমার জন্য।(বলে হেসে দিলো)

আমি অবাক হয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে আছি।আমাকে কি এতই পেটুক মনে হয় যে এতগুলা খাবার আমি একা খাবো।কিছুক্ষণ পর একটা লোক খাবারগুলো দিয়ে যায়।

জোবান-খাও।

আমি-হুম।(বলে পিৎজার এক টুকরো নিয়ে খেতে লাগলাম।পিৎজা টা শেষ করে একটু soft drink খেয়ে বসে রইলাম)

জোবান-ওই…

আমি-হুম।

জোবান-এগুলা খাচ্ছো না কেনো??

আমি-আর খাবোনা।

জোবান-বাপের টাকায় আসেনি এগুলা,,,খাও।

আমি-(এভাবে বলতে পারলো)খেতে ইচ্ছে না করলে কি করবো।

জোবান-ইচ্ছে করছে না তাই না,,,ওয়েট।(বলে উনি আমার কাছে এসে খাবার গুলো জোর করে খাওয়াতে লাগলো।আমার মুখটা পুরো ফুলে গেছে খাবারে।হঠাৎ দরজায় নক পরে।)

পিএ-স্যার,,,

জোবান-ইয়েস।

পিএ-স্যার ক্লাইন্ট রা এসে গেছে।

জোবান-ওকে,,,আমি আসছি।

পিএ-ওকে স্যার।

জোবান-কালকের মিটিং আজকে করছি।তোমার এই সো কোল্ড অসুস্থতার জন্য।

আমি-উমম,,,(মুখে খাবার তাই কথা বলতে পারছি না)

জোবান-চুপ,,,আমি এসে যেনো দেখি খাবার শেষ হয়েছে।(বলে চলে গেলো)

আমি বহু কষ্টে খাবারগুলো গিললাম।গালে ব্যাথা হয়ে গেছে এতক্ষণ রাখায়।আমি আবার চেয়ারে বসে রইলাম।খুব বোরিং লাগছিলো তাই ফোনটা বের করে গেম খেলতে লাগলাম।হঠাৎ কেও একজন দরজার সামনে এসে নক করলো।

—May I come in sir soory mam….

আমি-ইয়েস কাম ইন।(ছেলটাকে দেখে বললাম)

ছেলেটা-সরি আমি মনে হয় ভুল রুমে এসেছি।

আমি-জোবান রহমানের কাছে এসেছেন??

ছেলেটা-জ্বি।

আমি-তাহলে আপনি ঠিক রুমেই এসেছেন।জোবান একটা মিটিং এ গেছে।

ছেলেটা-ওহ,,,আসলে আমি ওনাকে একটা খাম দিতে এসেছি।

আমি-ওহ,,,আচ্ছা আমাকে দিন।

ছেলেটা-নাহ,,,আমি আপনাকে দিতে পারবোনা।

আমি-কেনো??

ছেলেটা-আসলে আগে যতবারই খাম নিয়ে এসেছি ততবারই জোবান রহমানের হাতে দিয়েছি।

আমি-আরো আগেও এমন খাম এনেছেন??

ছেলেটা-আরো আগে বলতে তিন মাস না সাড়ে তিন মাস আগেই প্রথম ওনার কাছে খাম এনেছিলাম।তারপর দুইবার এনেছিলাম আর আজ সহ টোটাল চার বার।

আমি-আপনি দেন খাম এগুলা??

ছেলেটা-না,,আমাকে আরেকজন দেয় আর আমি ওনার কাছে এনে দিই কিন্তু এখন তো উনি নেই।

আমি-আচ্ছা আপনি আমাকে দিন আমি ওনাকে দিয়ে দিবো উনি কিছুক্ষণ পরে আসবে।

ছেলেটা-আচ্ছা আপনি ওনার কে???

আমি-ওনার স্ত্রী।

ছেলেটা-ওহ,,তাহলে তো আপনাকে দিলেও হয়।

আমি-তাই তো।

ছেলেটা-এই নিন।(খামটা দিয়ে)

আমি-ধন্যবাদ।

ছেলেটা-আচ্ছা আমি আজ আসি।

আমি-হুম।

ছেলেটা চলে যাওয়ার পর আমি খামটা নিয়ে চেয়ারে বসি।খামটা এপিঠ ওপিঠ করে দেখতে লাগি।খামটার ভেতর কি আছে তা দেখতে মন চাইলো।আমি এবার খামটা খুলে দেখলাম।খামটাতে একটা চিঠি আর কয়েকটা ছবি।ছবিগুলো দেখে আমার মরার দসা।ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে আমি আর একটা ছেলে এক অপরকে জরিয়ে ধরে আছি।আরেকটা তে দেখা যাচ্ছে ছেলেটা আমার মাথায় ফুল গুজে দিচ্ছে।এরকম আরো ছবি আছে কিন্তু আশ্চর্যের কথা হলো একটা ছবিতেও ছেলেটার মুখ ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না।
আমার হঠাৎ মনে হলো আমার ছেলেটার কাছে যেতে হবে।কারণ একমাত্র ও বলতে পারবে এগুলা কে পাঠিয়েছে ওকে দিয়ে।আমি আর কিছু না ভেবে ব্যাগে চিঠি আর ছবিগুলো রেখে দৌঁড়ে বের হয়ে যাই।

——————

অজানা-খামটা দিয়ে এসেছো???

ছেলেটা-জ্বি,,,

অজানা-খুলে দেখেছে তো???

ছেলেটা-তা তো জানিনা।

অজানা-মানে??

ছেলেটা-আমি তো খামটা ওনার হাতে দিইনি।

অজানা-তাহলে??

ছেলেটা-আমি খামটা ওনার স্ত্রীকে দিয়েছি।

অজানা-কি,,,স্ত্রী??

ছেলেটা-জ্বি,,,উনি বলেছেন ওনার স্বামী আসলে ওনাকে দিয়ে দিবেন।

অজানা-ওই ভেবেচিন্তে বলছো তো???

ছেলেটা-জ্বি,,,মেয়েটা নিজেই বলেছে।

অজানা-আচ্ছা ওই লোকটার বউ কি এই মেয়েটার মত।(শিশিরের একটা ছবি দেখিয়ে)

ছেলেটা-জ্বি,,,এই মেয়েটা।কিন্তু আপনি এত প্রশ্ন করছেন কেনো??

অজানা-ইউ ইস্টুপিট।(রেগে)

ছেলেটা-কি হয়েছে স্যার।

অজানা-তুমি ওই মেয়েটার হাতে কেনো দিলে??

ছেলেটা-মেয়েটা তো ওনার স্ত্রী,,,দিলে কি হয়েছে??

অজানা-কি হয়েছে মানে,,,আগে যতবার দিয়েছো ততবার তো জোবানের হাতেই দিয়েছো।তো আজ কেনো ওই মেয়েটাকে দিতে গেলে।

ছেলেটা-স্যার মেয়েটা একবার ওনার স্বামীকে খামটা দিলেই তো হয়।

অজানা-মেয়েটা যদি খামটা খুলে ফেলে তাহলে বুঝতে পারছো কি হবে।

ছেলেটা-স্যার খামটাতে এমন কিই বা আছে যে দেখলে অঘটন ঘটে যাবে।

অজানা-ওই,,,তুমি আমার চোখের সামনে থেকে যাও।

ছেলেটা-ঠিক আছে সন্ধ্যায় দেখা হবে।(বলে চলে গেলো)

অজানা-শিশির জোবানের স্ত্রী কিন্তু এটা এতদিন আমাদেরকে বললো না কেনো???তবে যাই হোক না বলে তুমি অনেক বড় ভুল করেছো।আর এর শাস্তি তুমি কালকে পাবে।(বলে সেও চলে গেলো)

আমি অফিসের বাইরে এসে ছেলেটাকে কোথাও পেলাম না।আমার মনে একটুও শান্তি লাগছেনা।আমি এবার বুঝতে পেরেছি জোবান কেনো আমার সাথে এমন করে।কেও একজন ওনাকে এসব দেখিয়ে আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে।আর উনিও এসব বিশ্বাস করে আমার সাথে এমন করছে।আমার ইচ্ছে করছে এগুলো কারোর সাথে শেয়ার করি।হঠাৎ লিনার কথা মাথায় আসতেই আমি একটা রিকশা ভাড়া করে ভার্সিটির দিকে রওনা দিলাম।ভার্সিটির সামনে এসে ভাড়া মিটিয়ে যেই ভার্সিটিতে ডুকতে যাবো ওমনি আশিকের সামনে পরে যাই।আশিক ও ভার্সিটিতে ডুকছিলো আমিও ভার্সিটিতে ঢুকছিলাম।কিন্তু আশিক আমার দিকে কেমন রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।ওর এমন করে তাকিয়ে থাকার মানে বুঝিনি।

আশিক-I have never seen a liar like you in my life.But I will punish you for tha lie you told.(এটুকু বলে সে হনহনিয়ে ভার্সিটির ভেতর চলে গেলো)

আমি-আজব তো,,,কি মিথ্যা বললাম আমি যে আমাকে শাস্তি দিবে।

আর কিছু না ভেবে আমি লিনার কাছে চলে গেলাম।গিয়ে দেখলাম লিনা বসে বসে ফোন টিপছে।যতটুকু আমি জানি এখন ক্লাস চলছে কিন্তু লিনা এখানে কেনো বসে আছে।আমি দৌঁড়ে গিয়ে লিনা পাশে বসে পরলাম।আমার এমন হঠাৎ করে আসায় লিনা একটু চমকে গেলো।

লিনা-কিরে,,,তুই কবে আসলি??

আমি-মাত্র,,,কিন্তু তুই ক্লাস না করে এখানে কি করছিস??

লিনা-ক্লাস হচ্ছে না।

আমি-তাহলে বাকিরা কই??

লিনা-ওরা চলে গেছে।

আমি-তো তুই বসে আছিস যে??

লিনা-এমনে।

আমি-এমনে আবার মানুষ বসেও থাকে।

লিনা-১ মিনিট,,,তুই না ভাইয়ার সাথে ছিলি।তো এখানে এলি কিভাবে??

আমি-সে অনেক কথা,,,আগে শুন।

লিনা-তুই বল।

আমি এবার লিনাকে সব বলতে শুরু করলাম।জোবানের হঠাৎ করে পরিবর্তন,আমার সাথে কথা না বলা,এসব চিঠি আর ছবির ব্যাপারে সব বললাম।আমি এসব বলার পর ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ও কেমন ছলছল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

-চলবে