১৬শ পর্বের পর থেকেঃ-
”নিরব সে”
#সাদিয়া_সৃষ্টি
১৭শ পর্ব
ক্যাফের একটা চেয়ারে বসে আছে জিনিয়া। উদ্দেশ্য আজ একেবারে জাবিরের সাথে শেষ দেখা করবে। সামনের নীল টেবিলের দিকেই দৃষ্টি আটকে আছে। এখানে সে আগেও এসেছিল। ৪ মাস আগে। সেদিনের পর তার জীবনটাই বদলে গিয়েছিল। ওয়াফিফের সাথে দেখা হওয়াটা তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত গুলোর মধ্যে একটি। ওয়াফিফের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে যদি পর্যবেক্ষণ করা হয় পরের সময় গুলো তাহলে দেখা যাবে জিনিয়ার জীবন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ওয়াফিফের কথা , যত্ন নেওয়া, কিংবা পরিবার মানিয়ে নেওয়ায় দেওয়া উপদেশগুলো। মাঝে মধ্যে মনে হয়েছে ওয়াফিফ নিজে অন্য কোন বাড়ির ট্রেইন্ড বউ ছিল। তার কাছে যেন সব সমস্যার সমাধান আছে। অবশ্য নিজের পরিবারকে ওয়াফিফের থেকে ভালো কেই বা চিনবে?
সামনে টেবিলে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে জিনিয়া। একটাই অপেক্ষা, ওয়াফিফের কল বা ম্যাসেজের। সে ওয়াফিফকে নিজের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ভেবেছিল। সে চেয়েছিল ওয়াফিফের সাথে কথা বলার। কিন্তু পারে নি। কোন সুযোগ ই পায় নি। আগে যখন ওয়াফিফ সব সময় ওর সাথে কথা বলত, তখনই জিনিয়া একটা কথা বলতে বেশ সময় নিত। কিন্তু এখন ওয়াফিফ বেশ ব্যস্ত মানুষ। তাকে বলবে কি বলবে না এটাই ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় পার করে ফেলেছে। ওয়াফিফের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে সে। কিন্তু একেক বার একেক সমস্যা হত, একবার পরিবারের কেউ ডাকত, তো অন্যবার কেই কল করত। কোন সময় ওয়াফিফের হাসপাতালে যেতে দেরি হয়ে যেত। তো রাতে জিনিয়া নিজেই ঘুমিয়ে পড়ত। কিন্তু কথা ঠিক মতো হত না। ”আপনাকে একটা কথা বলার ছিল।” এই টুকুতেই আটকে যেত জিনিয়া। ওয়াফিফ ও রে শুনব, পরে শুনব করে ১ সপ্তাহ পার করে দিয়েছে। কিন্তু এখনো শোনে নি। তাই জিনিয়া এখানে আসার আগে ছোট একটা ম্যসেজ পাঠিয়েছে ওয়াফিফকে।
”আমি আজ জাবিরের সাথে দেখা করতে *** ক্যাফেতে যাচ্ছি। আপনাকে অনেক বার বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারি নি। সরি। আপনাকে অনেক কিছু বলার ছিল। ”
এইটুকু লিখেও পাঠাবে কি না এই নিয়েই সে ২০- ৩০ মিনিট ভেবেছে। একবার ম্যাসেজ মুছে ফেলেছে তো আবার লিখেছে। তারপর ভুল করে চাপ লেগে যখন ম্যাসেজ চলে গেল তখন ডিলিট করার কোন সুযোগ নেই বিধায় আর কিছু ভাবে নি।
জাবিরের সাথে দেখা করার ইচ্ছা জিনিয়ার ছিল না। কিন্তু জাবির রোজ ওয়াফিফের বাড়ির সামনে এসে জিনিয়াকে ফোন করে। সব সম্পর্ক ঠিক করতে চায়। কয়েক বার জিনিয়ার বাড়িতে বেল ও বাজিয়েছে। দরজা খোলার সময় জিনিয়া খুলেছিল। তাই আর অন্য কেউ জানতে পারে নি। কিন্তু প্রতিবার ভাগ্য সাথে থাকবে না। আর এটা বেশি বাড়তে দেওয়াও উচিত না। তাই সে চেয়েছে সব কথা একদিনে শুনে শেষ করতে সব কিছু। আর কোন দেখা বা কথা হবে না। আর না জাবির বার বার দাবি করতে পারবে যে জিনিয়া তার কথা শোনে নি। অনেক ভাবার পর জিনিয়ার কাছে এটাই ঠিক লাগল। সে এর জন্য তার বান্ধবী রাইসার সাথেও কথা বলেছে। আর ঠিক করেছে সে রাইসার সাথে ক্যাফেতে যাবে। রাইসাও এখন তার পাশেই বসে আছে আর নিজের ফোন চালাচ্ছে। রাইসা বলেছিল ওদের মধ্যকার সমস্যা একদিনে কথা বলে সব শেষ করতে। জাবির যা বলতে চায় ওকে তাই বলতে দেওয়া হোক। আর তারপর সব ঠিক করতে। কিন্তু জিনিয়ার জোর করায় সেও এখানে এসেছে। রাইসা জাবির আর জিনিয়া সম্পর্কে সব ই জানে। তাই ওকে এখানে এনেছে জিনিয়া। রাইসাও কোন কাজ না পেয়ে এখন বসে বসে ফোন চালাচ্ছে।
জিনিয়া এখনো ভেবে যাচ্ছে তার এখানে আসা কি ঠিক হয়েছে কি না, তবে পাশে রাইসা বসে থাকায় তার একটু ভালো লাগছে। ভয়টা কমেছে তার।
কিছু সময়ের মধ্যে জাবির ও এসে গেল। সে এসে জিনিয়াকে দেখে যেমন খুশি হল , তেমনই রাইসাকে দেখে একটু অবাক হল। তাদের মাঝে রাইসার আসা নিয়ে কোন কথা হয় নি। অবশ্য কথা হয়েছে মাত্র ২ লাইন। যার মধ্যে জিনিয়া বলেছিল যে ওর সাথে দেখা করবে। আর জাবির ওকে বলেছিল। তারপর এই ক্যফেতেই দেখা। কিন্তু নিজের অনুভূতি প্রকাশ না করে সে সেখানে গিয়ে জিনিয়ার বরাবর সামনের চেয়ারে বসে পড়ল। আর জিজ্ঞেস করল,
–কেমন আছো তোমরা?
জিনিয়া কোন ভণিতা না করে সরাসরি জবাব দিল,
–যেটা বলতে এসেছ সেটা বল।
–এখন কি আমার সাথে কথা বলতেও তোমার ভালো লাগে না জিনিয়া।
পাশ থেকে রাইসা একটু কঠোর সুরেই উত্তর দিল,
–জাবির, যেটা বলতে এসেছিস, সেটা বলে ফেল, আমার এখনো অনেক কাজ আছে। তাই যা বলার তাই বল, কোন ফালতু কথা না।
রাইসার এমন কথায় অবাক হল না জাবির। জাবির জানে, রাইসা জিনিয়ার সব কথা জানে। জিনিয়া শুধুমাত্র রাইসাকেই সব কথা বলে। কাউকে কিছু না বলতে পারলেও। আর রাইসা আগের ৫ মাস জিনিয়ার সাথে জাবিরের কথা চিন্তা করলেও তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। রাগে তার মাথা গরম হয়ে যায়। তাই জাবির কে এখন সে একদম পছন্দ করে না। জাবিরের চেহারা দেখার ইচ্ছে তার ছিল না। এক সময় ভালো বন্ধু হলেও এখন আর নেই। কিন্তু জিনিয়াকে আবার একা সে জাবিরের কাছে পাঠাবে না। আগের বার ও সে পাঠিয়েছিল আর সেজন্য আজও নিজেকে দোষী ভাবে সে। না সে জিনিয়াকে জাবিরের সাথে কথা বলতে বলত আর না জিনিয়া আজ এই অবস্থায় থাকত। জাবিরের থেকে ওয়াফিফ অনেক বেশি ভালো এটাই মনে করে রাইসা।
–আমি নিজেকে এক্সপ্লেইন করার সুযোগ চাচ্ছিলাম জিনিয়া, এতদিন আমি কেন তোমার সাথে এমন ব্যবহার করেছিলাম, সেটাই।
–জলদি বলে ফেল, আমি তোর জন্য অপেক্ষা করতে পারব না, আর জিনিরও কাজ আছে।
রাইসার ব্যবহারে মলিন হাসল জাবির। অবশ্য এর থেকেও খারাপ ব্যবহার আশা করেছিল সে। নিজেকে শান্ত করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করল,
–এর শুরুটা হয়েছিল আমার থেকেই। আমার সাথে তরুণের একটা সমস্যা হয়েছিল অনেক আগে। কিন্তু তারপর আমি নিজেই তার সাথে সব ঠিক করে নিয়েছিলাম। আর আমরা ২ জন বন্ধু হয়ে যাই, বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু এসবই ওর অভিনয় ছিল এটা আমি জানতাম না। তোমার সাথে আমার রিলেশনের পর হঠাৎ একদিন তরুণ আমাকে তোমায় নিয়ে অনেক কথা বলে। আমাদের রিলেশন ঠিক না, কিংবা তুমি আমাকে নিয়ে সিরিয়াস না। আমার কি হয়েছিল জানি না, তবে ওর কথায় পড়ে গিয়েছিলাম। শুধু এগুলই না। আরও অনেক কথা বলেছিল। ওর কথা গুলো এমন ছিল যে প্রতিটা কথা ঠিক বলে মনে হচ্ছিল। ওর লজিক গুলো আমি কোনটাই না করতে পারছিলাম না। ওর কথা শুনে আমার মনে হচ্ছিল আমার তোমার প্রতি কোন ফিলিংস নেই। আমি নিজেই নিজের অনুভূতি নিয়ে চিন্তায় ছিলাম যে আমি নিজে কি তোমার প্রতি সিরিয়াস? এই নিয়ে আমি তরুণের সাথে আরও কথা বলি। রোজ বলতাম। আর ওর বলা প্রতিটা কথা আমার সত্যি মনে হত। নিজের দ্বারা দাঁড় করানো সব যুক্তি যেন ভুল প্রমাণিত হত। আমি যেখানে নিজেই কনফিউস ছিলাম, সেখানে তোমাকে কি করে আমার নিজের সাথে জড়াতাম, এটাই মনে করতাম। নিজের যোগ্যতায় নিজে প্রশ্ন করতাম। আমি তোমার যোগ্য কি না। কিন্তু উত্তর না পেয়ে আরও নতুন প্রশ্নের দেখা পেতাম। নিজে এক অনিশ্চয়তায় পড়েছিলাম, যার সাথে তোমাকে জড়াতে চাইছিলাম না। আমার অজান্তেই আমার মস্তিষ্ক অন্য কেউ চালাচ্ছিল। নিজের মতো করে। আমি তার কথা মতই চলছিলাম। এক সময় মনে হল তরুণ ই ঠিক। আর আমার করা সব কিছুই ভুল।
সেবার তুমি যখন বললে তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে, আমি গিয়ে প্রথমে তরুণের সাথেই কথা বলেছিলাম, ও বলেছিল তুমি মজা করছ। আমার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছিল। কি করা উচিতবুঝতে পারছিলাম না। তরুণ বলল তোমার থেকে আরও দূরে থাকতে। ও আমাকে বলল আমাকে একটা ওষুধ দিবে, যেটা আমার সব চিন্তা দূর করে দিবে। সেটাই দিত তরুণ। কিন্তু হঠাৎ করে তুমি চলে এলে। যার কারণে আমি নিজেও জানতাম না ওষুধ কোথায় আছে বা কিভাবে দিয়েছে। একসাথে থেকে সেদিন আমি তোমাকে যেই খাবার খেতে দিয়েছিলাম সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিল যে সেটা তরুণের আনা খাবার ছিল। আমিও কিছু বুঝতে পারলাম না। আর না খাওয়ার পর নিজের হুঁশে ছিলাম। তারপর সকালে তোমাকে ওই অবস্থায় দেখে নিজের উপর রাগ উঠেছিল। কিন্তু তোমাকে কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। কি হয়েছিল কিছুই মনে পড়ছিল না। আমি নিজেও সেটা জানতে অনেক দেরি করে ফেলেছিলাম।
তারপর আমার বন্ধু রবির কাছে জানতে পারলাম তরুণের এসব করার কারণ। সবাই জানত আমি তোমাকে কত ভালোবাসি। তাও ও তোমাকেই টার্গেট করেছিল। আমার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। আমার থেকে তোমাকে আলাদা করে আমাকে রোজ কষ্ট পেতে ও নিজের চোখে দেখেছি। রবি যখন সব খুলে বলল তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তোমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম প্রতি বারের মত তুমি আবার আমার সাথে কথা বলতে আসবে। কিন্তু তুমি আর এলে না। সেদিন যখন রিতিকা আপু ডাকল তখন প্রথম ধাক্কাটা খাই। জানতে পারলাম তোমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বিশ্বাস করতে পারি নি। ভেবেছিলাম আমার উপর রাগ করে এমন কথা বলছিলে তুমি। আপুকেও হয়তো তুমিই রাজি করিয়েছিলে এমন কথা বলানোর জন্য। তাই বার বার ছুটে গিয়েছি তোমার কাছে। কিন্তু সেদিন তুমি সত্যিই তোমার বরের সাথে আমার দেখা করালে। তখন বুঝতে পারছিলাম আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। আর আগের ৫ মাসে আমি তোমার পাশাপাশি নিজেকে কতটা ভুল বুঝেছিলাম। কিন্তু সব আমার হাতের বাইরে চলে এলো। তারপর আবার পরের দিন তোমার বাড়িতে গেলাম, কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম তুমি আবার নিজের শ্বশুর বাড়িতে ফিরে গিয়েছ। তারপর কি করব বুঝতে পারছিলাম না। তরুণের সাথে আর দেখা হয় নি। শুনেছিলাম ও না কি বিদেশে চলে গিয়েছে। আর ওখানেই নিজের পড়া কন্টিনিউ করবে। তাই নিজে ভালো চাকরি নিলাম, নিজের আলাদা ঘর কিনলাম। তারপর তোমাকে মানাতে আসলাম। আজও আমি তোমার অপেক্ষায় আছি জিনিয়া। আমি তখন আমার দিক দিয়ে কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ছিলাম না। আমিও পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলাম। যেখানে আমার চিন্তা ভাবনা আরেকজনের দখলে ছিল। ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছিল আমার।
বলার পর কিছুক্ষণ নিরবতায় কাটল । ২ জনেই চুপ করে সব কথা শুনেছে। জিনিয়া আজ কাঁদে নি। সে ভেবে রেখেছে, সত্য যতই খারাপ হোক না কেন, আজ সে এদের সামনে কাঁদবে না। সে ওয়াফিফকে যখন সব বলবে তখন ওয়াফিফের বুকে মাথা রেখে কাঁদবে। ওয়াফিফ ছাড়া অন্য কারো সামনে নিজেকে দুর্বল হিসেবে প্রকাশ করবে না।
তাই নিজেই বলে উঠল,
–আর কিছু বলতে চাও তুমি জাবির?
–আমি আজও তোমাকে ভালোবাসি জিনিয়া, হয়তো আগের থেকেও অনেক বেশি। আমি এখনো তোমাকে নিয়েই বাঁচার স্বপ্ন দেখি। তোমাকে ভালো ভাবে রাখার জন্য আমি নিজেকে গড়ে তুলেছি। তোমার দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্য হয়ে তোমার কাছে আবার ফিরে এসেছি। এবার ও কি ফিরিয়ে দিবে আমায়?
–রাইসা, চল, দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর জাবির, আশা করি তোমার সব কথা বলা শেষ। আমাকে আর ফোন করবে না। পারলে নিজে বিয়ে করে নিয়ে সুখে থেকো। আমি দোয়া করব তোমার সুখী জীবনের জন্য। আমি এখন অন্য কারো স্ত্রী, অন্য কারোর সাথে আমার জীবন জড়িয়ে গিয়েছে। তোমার সাথে সব আমার অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই আর বলার কিছু নেই। ভালো থেকো।
জাবির মলিন হাসল। সে ভাবতে পারে নি জিনিয়া এমন কথাও বলবে বা বলতে পারে। সে জানে তার ভালোবাসা হয়তো শেষ হয়ে যায় নি, কিন্তু জিনিয়া এখন অন্য কারো। জিনিয়ার ইচ্ছা থাকলে একটা কথা ছিল। একটা আশা ছিল। কিন্তু সেই জিনিয়াই মানা করে দিয়েছে। এখন তার করার কিছুই নেই।
রাইসা ওঠার সময় হাতের সাথে লেগে পানির গ্লাসটা তার জামার উপর পড়ে গেল। তাই সে ওদের বলে ওয়াশরুমে চলে গেল। জাবির আর জিনিয়া ওখানেই বসে রইল আর রাইসার অপেক্ষা করতে থাকল।
ওয়াফিফ আজ দুপুরেই নিজের বাড়ি ফিরছিল। যার জন্য এতো ব্যস্ততা সে আজ ফিরে যাচ্ছে। তাই তার আজ থেকে আর ব্যস্ততা নেই। খুব খারাপ লাগছে ওয়াফিফের। কিন্তু কিছি তার হাতে নেই। সে এলোমেলো কদম ফেলে হেঁটে চলেছে। মাঝে মাঝে হোঁচট খাচ্ছে। তাও নিজেকে সামলে নিয়ে সেই ভাবেই হাঁটছে। হঠাৎ সামনে চোখে পড়ল ক্যাফেতে বসে থাকা মানুষ দুটোকে। চিনতে কষ্ট হয় নি। জিনিয়া আর জাবিরকে মুখোমুখি বসে থাকতে দেখে তার অজানা রাগ উঠল। সে এতক্ষণ মন খারাপ করে থাকলেও এখন তার থেকে বেশি রাগটাই প্রকাশ পাচ্ছে তার মধ্যে। সে রেগে সেখান থেকে চলে গেল বাড়ির উদ্দেশ্যে।
রাইসা ঠিক হয়ে বের হয়ে এলো আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা না করে জিনিয়ার হাত ধরে টানতে টানতে সেখান থেকে চলে গেল।
চলবে।
[রিচেক করি নি, ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ]
Sadia Hq Sr.