#অপূর্ণতা❤️
#লেখক_Ananta Sanny(স্বপ্নচোর)
#পর্ব_৩
– তোর জন্য বিয়ের সম্বোধন এসেছে। কাপড় টা ছেড়ে এই শাড়িটা পড়ে আয়।
– মা, দেখো না এই বেলী ফুল আর আইসক্রিম গুলো অনন্ত দিয়েছে।
“মেয়ের কথা শুনে বেশ কিছুটা রাগ হলো রাইসার আম্মু৷ যেই মানুষ টা আর নেই সেই মানুষ টা কে নিয়ে মাথা পাগল করে দিচ্ছে। কত করে বুঝাবে মেয়েকে।
রাইসাকে তাঁর আম্মু কিছুটা রেগে গিয়েই বললো……
– অনন্ত অনন্ত আর কত করবি? মানুষ টা মরে গেছে কেনো বুঝতে পারছিস না?
– আম্মু, এমন কথা বলবে না? আমার অনন্ত মরে নি। এই দেখো অনন্ত আমার জন্য আমার প্রিয় বেলী ফুল আর আইসক্রিম নিয়ে এসেছে।
” রাইসা তাঁর আম্মুকে বলতেই মেয়ের দিকে অবাক হয়ে তাকালো। এতোক্ষণ খেয়াল করেনি যে তাঁর মেয়ের হাতে এগুলো। বেশ অবাক হয়ে বললো…..
– এগুলো কে দিয়েছে?
– আমার অনন্ত দিয়েছে।
– অনন্ত অনন্ত করতে করতে মাথা টা পাগল করেছে। ফেলে দে এইসব স্মৃতি। কেনো মনে করে নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস।
-আম্মু, প্লিজ এমন করো না।
” মেয়ের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলেও রাইসা দৌড়ে গিয়ে ফ্লোর থেকে স্বযত্নে তুলে নেয়।
রাইসার হাত থেকে কেড়ে নিতে গিয়ে বললো….
– অনন্তর কথা ভুলে যা। আমরা আবার তোর বিয়ে দিবো।
– না, আমি বিয়ে করবো না। অনন্ত ছাড়া আমি অন্য কাউকে মেনে নিতে পারবো না।
– হয়তো তুই বিয়ে করবি না হয়ে আমাদের মরা মুখ দেখবি। তকে নিয়ে আর সমাজের মানুষের কাছে কোন কথা শুনতে চাই না। তোর জন্য আর কত অপমান সহ্য করবো? কেনো মেয়ে হয়ে জন্মে ছিলি?
” রাইসাকে কথা গুলো বলেই শাড়ির আঁচলে কান্নার মুখ লুকিয়ে চলে গেলো। রাইসা তাঁর মায়ের চলে যাওয়ার দিকে শুধু তাকিয়ে রইলো। কোন মা-বাবা চাই না তাঁর মেয়ে কষ্টে থাকুক। পনের টা দিনও পার হয়নি এর মাঝেই কানাঘুষা শুরু হয়ে যায়।
” অনেকেই অনেক কথা বলতে শুরু করে। এই অল্প বয়সেই মেয়েটা বিধবা হয়ে গেলো। এখন কি করবে? এই মেয়েকে কতদিন বসিয়ে খাওয়াবে। একটা বিয়ে দিয়ে আপদ বিদায় করলেই হয়।
” মুখ পোড়া। স্বামী টাকে অল্প বয়সেই খেয়ে ফেলেছে। এখন নতুন নাগর ধরবে।
” বিয়ের এতোদিন হয়ে গেলেও একটা বাচ্চা হলো না।
” রাইসার চারপাশের মানুষ গুলোর কথা গুলো তার কানেও আসতো। কি করলে বুঝাবে সেদিন অনন্ত কে মন থেকে কথাগুলো বলেনি। তাঁর জন্যই তো অনন্ত বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে। অনন্ত তাকে একটুও বুঝতে চেষ্টা করেনি। এতো অভিমান নিয়ে চলে গেলো।
“রাইসা মায়ের কথা শুনে আর কিছু বললো না। অনিচ্ছা সত্বেও শাড়ি পড়তে রাজি হল । কোন সন্তানই চায় না তাদের জন্য তাঁর মা -বাবা মৃত্যুর পথ বেঁচে নিবে।
– আম্মু আমি তোমাদের মরা মুখ দেখতে চাই না। অনন্ত কে হারিয়েছি। তোমাদের হারাতে চাই না।
” রাইসা কান্না করতে করতে কথাগুলো বিড়বিড় করে বলতে থাকে। টেবিলের উপর রাখা অনন্তর ছবিটার দিকে একজনর তাকিয়ে বেলী ফুল আর আইসক্রিম গুলো রেখে দিলো।
রাইসাকে তাঁর আম্মু কথা গুলো বলেই চলে যেতেই রেডি হওয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে শাড়িটা নিলো । বাসায় আনন্দ বন্যা যেনো বয়ে বেড়াচ্ছে। রাইসার মনে যে ঝড় বয়েছে তা হয়তো কেউ বুঝতেও চেষ্টা করছে না। রাইসার বার বার মনে হচ্ছে তাঁর অনন্ত বেঁচে আছে। তাঁর প্রিয় জিনিস গুলো অনন্ত ছাড়া কেউ দিতে পারে না। অনন্ত জানে শুধু, এই মনে অনন্ত ছাড়া অন্য কাউকে জায়গা দিতে পারবে না। হয়তো মৃত্যু আলাদা করতে পারবে তাঁদের দুজনকে।
রাইসা রেডি হতেই পাশের বাসার ভাবি হাসিখুশি মনে এগিয়ে আসলো রাইসাকে নিতে। রাইসাকে দেখেই বলে উঠলো…..
– বাহ! আজ তো তোমাকে দারুণ লাগছে। পছন্দ না করে যেতেই পারবে না।
“রাইসা তাঁর ভাবীর কথা শুনেই করুণ মুখে তাকিয়ে রইল। রাইসার বিষন্ন মুখ টা দেখে বুঝতে অসুবিধা হয়নি। নিজের অজান্তেই আঘাত দিয়ে ফেলেছে। রাইসার দিকে তাকিয়ে বললো…..
– সরি, আসলে আমি তোমাকে…..
-ভাবী, যেখানে সবাই বলে সেখানে তুমি আর কি বলবে? একটা মেয়ের জীবন খুব অদ্ভুত তাই না?
” রাইসাকে বলতে গেলে রাইসা থামিয়ে দিয়ে বললো। রাইসার কথা শুনে অবাক হয়ে মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। রাইসা জানালার দিকে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো……
– মেয়েদের জীবন টা যেনো প্রকৃতির খেলা। মেয়ে বড় হতেই মা-বাবার দুঃচিন্তার কারণ হয়ে যায় বিয়ে দেওয়ার জন্য। কেননা তখন ভয় হয় না জানি কেন হিংস্র নরপশুর চোখে পড়ে যায়। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর অন্য রকম। স্বামীর ছায়ার আশ্রয় থাকার ফলে অনেকেই সীমাহীন করে চলে। আর যদি স্বামী মারা যায় তাহলে সমাজের চোখে বোঝা হয়ে যায়। যেনো কোন আপদ ঘাড়ে এসে বসেছে। বিদায় করতে পারলেই বাঁচে। অনেকেই তখন সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। অনেক অদ্ভুত এই জীবন টা ভাবী। এই সমাজ টাও যেনো দুর্বিষসাহ করে তুলে।
রাইসার কথা গুলো অবাক হয়ে শুনে। সত্যিই তো, একজন মেয়ে হয়ে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারে।
রাইসাকে বেশ ভালো করেই জানে। রাইসাও চুপ হয়ে যায়। তারা দুজনে কেউ কোন কথা বলেনি। রাইসাকে কিছু বলতে গিয়েও ইসঅস্ত বোধ করে।
“রাইসাকে ড্রয়িং রুমে নিয়ে আসলে অনিচ্ছা সত্বেও আড়চোখে একবার তাকালো। সবার আগেই চোখ আটকে গেলো এক মধ্যবয়স্ক মানুষ টিকে দেখে। কে জানি মনে হচ্ছে ওনার জন্যই রাইসা কে দেখতে আসা। মাথায় চুল নেই, যাকে খাটি বাংলায় টাকলু বলে। রাইসার প্রচন্ড মন খারাপের মাঝে হাসি পেয়ে বসলো। অনেক কষ্টে হাসি দমিয়ে রাখলো।
রাইসাকে তাঁর ভাবী সেই মানুষ টির পাশে বসিয়ে দিল। রাইসা অনিচ্ছা সত্বেও বসতে বাধ্য হল। তখনি একজন মহিলা বলে উঠলো…..
– তোমার কি নাম?
মহিলার কথা শুনেই রাইসা চোখ খোলে একজন সবার দিকে তাকিয়ে রইলো। রাইসা তাঁর মায়ের দিকে করুন চোখে তাকাতেই ইশারায় বুঝিয়ে দিলো কি করতে হবে।
রাইসা নীরব মনে বললো…..
– রাইসা। পড়াশোনা অর্নাস পাস। বিবাহিত, তবে এখন এক প্রকার বিধবা বলতে পারেন। কেননো না সবাই জানে আমার স্বামী নেই,তবে আমি বিশ্বাস করি না। সমাজে স্বামী মারা গেলে সবাই বিধবা বলেই জানে। কোন সন্তান হয়নি।
” রাইসার কথা শুনেই চমকে উঠে রাইসার আম্মু। সবাই একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। রাইসার নাম জানতে চাওয়া সেই মহিলা অবাক হয়ে অবশ্য আর কিছুই জানতে চাইনি।
রাইসার আম্মু তখনি বললো…..
– রাইসা, এ কোন ধরনের বেয়াদবি?
রাইসা তাঁর মায়ের কথা শুনেই বললো…..
– কেনো মা? তারা তো সব জেনে শুনেই এসেছে। তাহলে কে আবার জানতে চাচ্ছে? আর যখন জানতে চাইবে একে একে সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তাহলে আগে বলে দেওয়া ভালো নাহ??
রাইসার আম্মু তাঁর মেয়ের কথা শুনেই বুঝতে পারলো ভিতরে ক্ষোভ জমে আছে। তাই আর কোন কথা বললো না। তখন রাইসার আব্বু কে বললো…..
– ভাইসাব, মেয়েকে আমাদের পছন্দ হয়েছে। বিয়েটা করিয়ে ফেলতে চাই। ছেলে আবার দেশের বাহিরে চলে যাবে।
রাইসা বিয়ের কথা শুনেই বুকটা ধড়ফড় করে উঠলো। অসহায়ের চোখে বাবার সাথে চোখা চোখি হতেই মেয়ের মনের অবস্থা বুঝতে পারলো। এতোক্ষণ চুপচাপ থাকলেও মেয়েকে চোখের ইশারায় অভয় দিয়ে বললো…..
– এতো তাড়াহুড়োর কি আছে? আগে তারা দুজন দুজনকে দেখুক বুঝক তারপর না হয় বিয়ের কথা ঠিক করা যাবে?
রাইসার বাবার কথা শুনেই তাঁর চাচা বলে উঠলো…..
– এতো ভাবাভাবির কি আছে? দুদিন পর তো বিয়েই দিতে হবে। এখন হয়ে গেলেই ভালো হবে।
” রাইসা মাথা নিচু করে বসে আছে। চোখের পানি গুলো নীরবে ঝড়ে যাচ্ছে। তাঁর সামনেই সবকিছু ঠিক হলো। শুধু মায়ের কথা ভেবে কোন প্রতিবাদ করতে পারেনি। মানুষ কে ইমোশনাল ব্লেক মেইল করে জঘন্য তম কাজ মনে হই আর দ্বিতীয় টা নেই।
” রাইসা সবকিছু শুনতে পেয়েও নীরব হয়ে রইল।
এখন বিয়ের আংটি পড়িয়ে রাখবে। তিন মাস পর ছেলে বিদেশ থেকে এসে বিয়ে করে আবার বিদেশে নিয়ে যাবে। এর মাঝে সব কাগজ ঠিক করে নিবে।
” রাইসার হবু শাশুড়ি বললো…..
– আমার লক্ষী বউমাকে রুমে নিয়ে যাও।
“রাইসাকে তাঁর ভাবী রুমে নিয়ে আসতেই নিজেকে সামলে রাখতে না পেরে ভাবীকে আঁকড়ে ধরে কান্না করতে থাকে। রাইসার কান্না দেখে নিজে নিজের চোখেও পানি এসে যায়।
রাইসাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই তারপর বললো……
– বিয়ের আংটি পড়ানো মানেই তো বিয়ে না। তুমি এখন নিজেকে শক্ত কর তারপর দেখা যাবে।
” রাইসা ভাবীর কথা শুনেও নিজেকে বুঝাতে পারেনি। একসময় রাইসাকে আবার ড্রয়িং রুমে নিয়ে যাওয়া হলে। তারপর বিয়ের আংটি পড়িয়ে সবাই চলে গেলো। ছেলে আলাদা কথা বলতে চাইলেও রাইসার আব্বু দেয়নি। মেয়ের মনের অবস্থা বুঝতে পারে যে। হাজার হলেও বাবা,মেয়ের কষ্ট টুকু কি করল বুঝবে না।
” সবাই চলে গেলে রাইসাকে তাঁর আব্বু ডেকে নিয়ে বললো…..
– মা রে। আমাকে ক্ষমা করে দিস। এছাড়া আমার কোন উপায় ছিলো না। সমাজের চোখ থেকে আগলে রাখার জন্যই এতটুকু করা।
” বাবার কথা শুনে হতবাক হয়ে যায়। চোখের অশ্রু গুলো মুছে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। চুপচাপ বাবার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। সেই ছোট থেকেই তাঁর জন্য সবকিছু করে যাচ্ছে।
” রাইসা মন খারাপ করে রুমের দরজা বন্ধ করে বসে আছে। অনন্তর কথা ভাবছে তখনি বেলী ফুলের মালা আর আইসক্রিমের কথা মনে পড়ে যায়। রাইসা সেগুলো হাতে নিয়ে অঝরে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
রাইসা বিড়বিড় করে বলে উঠলো…….
– অনন্ত,তুমি কোথায়? আমাকে নিয়ে যাও। এরা আমাকে তোমার থেকে আলাদা করে ফেলবে। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।
” অনন্ত চোখের পানি গুলো মাঝে চুপচাপ যাওয়ার সময়ই ফুলের টপে হোচট খেয়ে পড়ে যায়। তখনি ভিতর থেকে চিৎকার করে উঠে…..
– কে বাগানে? কে……
” অনন্ত নিঃশব্দে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রাইসার কান্না টুকু দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি৷ যে রাইসাকে কোন দিন চোখের পানি আসতে দেয় নি আর আজ নিজেকে আড়াল রেখেই এতো কষ্ট দিচ্ছে। সব রাইসার জন্য। কিছুদিন পর সবকিছুই ভূলে যাবে,তখন তাঁর রাইসা আবার হাসিখুশি থাকবে। অনন্ত যে এটাই চাই, রাইসার হাসি খুশি।
অনন্ত সেখান থেকে চলে আসে। সেই পুরানো ডাক বাংলায়। যেখানে রিমাকে শেষ বারের মতো নিথর দেহ অবস্থায় পেয়েছিলো। আজ সেখানেই আসতে হবে।
অনন্ত ফিরে এসে মুখে পানি ছিটিয়ে দিতেই জ্ঞান ফিরে আসতেই অনন্ত বলল…..
– কি রে? মেয়ে দেখলেই চুলকানি বেড়ে যায়?
– অনন্ত। তুই বেঁচে আছিস?
” অনন্ত কে দেখেই ভয় গলা শুকিয়ে যায়। অনন্ত এমন ভাবে বেঁধে রেখেছে যে নড়াচড়া করার শক্তি নেই।
রিমনের কথা শুনেই চিৎকার করে বললো….
– তুই কি ভেবেছিস মরে গেছি? তোদের মতো নরপশু কে নিজের হাতে না মারা পর্যন্ত মরবো না। কি ভেবে ছিলি দেশের বাহিরে চলে গেলে বেঁচে যাবি?
– অনন্ত,ক্ষমা করে দে। আমি ভূল করেছিলাম।
– ক্ষমা, সেদিন রিমার কি অপরাধ ছিলো? যার জন্য মেরে ফেলেছিস?
– অনন্ত আমার কোন দোষ ছিলো না। সব দোষ রিফাতের
– জানি, আর তাই খুব বেশি সময় নিবো না তোকে মারতে। সেদিন তুই রিফাতের সাথে মিলে ধর্ষন করেছিলি। তাই না….
– আমাকে ক্ষমা করে।
– যা, উপরে ক্ষমা চেয়ে নিস রিমার কাছ থেকে।
অনন্ত কথা গুলো বলেই ছুড়ি চালিয়ে দিল। এতো কথা শোনার সময় ছিলো না। রিমাকে ধর্ষন করে খুন করেছিলো। টাকা আর ক্ষমতার জোরে ঠিকই পালিয়ে বেঁচে যায়। আর এখন…… হাসতে থাকে অনন্ত। রিমা অনন্তর গার্লফ্রেন্ড ছিলো একসময়। রিমা মারা যাওয়ার পর রাইসা কে বিয়ে করে অনন্ত।
” অনন্ত খুব ঠান্ডা মাথায় খুন করে। এই দিনের অপেক্ষায় ছিলো। তাকে প্রতিশোধ নিতে হবে। আরেকটা খুন করতে হবে। তাঁর আগে রাইসাকে কথাগুলোর বলার শাস্তি দিতে হবে।
” রাইসা সবে মাত্র গোসল করে এসে কাপড় পরিবর্তন করছে তখনি রুমে এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
রাইসা প্রচন্ড ভয় পেয়ে রেগে গিয়ে বললো…..
– ছাড়েন? আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরছেন কেনো?
” রাইসার কথা শুনে ছেড়ে দেয়। রাইসা কথা শুনে একটুও লজ্জা না পেয়ে আরো গর্ব করে বললো…..
– বাহ রে! আমি আমার……………….
(চলবে)