#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….16
আরাব,,,,,,, (কথাটা তো ঠিক,, সারা জীবন যেহেতু তোমাকে নিয়েই কাটাতে হবে তাহলে,,,,,, আমার হাত থেকে তোমাকে কে বাঁচায় মিস পকপক আমিও দেখবো)
সবাই বেরিয়ে পড়ে। আরাবের সাথে দুবন্ধুই বসে আছে।
আরাব,,,,,,,, একটা কথা বল, এখান থেকে মাত্র ১০ মিনিট ও লাগে না যেতে, তাহলে গাড়ি সাজানো কি দরকার ছিলো। তাও আবার এতো গর্জিয়াছ করে।
রিমান,,,,,,,,, এক কাজ করতি, তাহলে হেঁটেই চলে যেতি,গাড়ির কি দরকার ছিলো।
ফারহান,,,,,,,,, এতো বড়ো ব্যবসাহীর ছেলে হেঁটে বিয়ে করতে যাবে,এটা কেমন দেখাবে। তাছাড়া এখানে মিডিয়ার অভাব নেয়।
আরাব,,,,,,, একটা প্রশ্নের তোরা সোজা ভাবে উত্তর দিতে পারিস না।
রিমান,,,,,,,,,, না,,, সবাই নামো বিয়ের বাড়ি এসে গেছি।
গাড়ি থেকে নেমে, কতো ক্ষন গান বাঝনা হলো। ভিতরে ঢুকতে গেলাম শালিরা গেইট আটকে ধরেছে। ৩০ হাজার না দিলে ঢুকতে দিবে না। ফারহান, রিমান আর আমার কিছু ভাই বোনেরা দাঁড়িয়ে তর্ক করছে।
আরাব,,,,,,,, ভাই যা চাচ্ছে দিয়ে দেনা।
রিমান,,,,,,, চুপ বেটা, যা চাই তাই যদি দিয়ে দেয়,তাহলে মজা কিভাবে হবে। এই ঝগড়ার মধ্যে ও মজা আছে।
আরাব,,,,,,,(আরে আমার মজারে, বিজ্জতি তো আমার হচ্ছে, সবাই আমাকে কিপটা বলছে)
অনেক তর্ক বিতর্কের পর ঝামেলা গেলো। ভিতরে ঢুকে বসলাম।
মুন,,,,,,,(সবাই আমাকে একা রেখে চলে গেলো, ইশশ আমারো গিয়ে গেইট ধরতে মন চাচ্ছে, ফ্রিতে টাকা পেতে ভালোই লাগে।)
মুন আয়নার সামনে দাঁড়ায়। দাঁড়িয়ে কয়েকটা পোজ দেয়।
মুন,,,,,,,,, হায় কতো সুন্দর লাগছে আমাকে, আমি নিজেকে দেখেই ক্রাস খেলাম। করো কু নজর যাতে না লাগে,মাশাল্লাহ। সবার নজর আমার দিকেই থাকবে। নিজের রুপের জলকে নিজেই না জ্বলে যায়। অনেক হয়েছে মুন,কেও দেখলে পাগল ভাববে।
মুন চুপচাপ গিয়ে নিজের পজিশনে বসে যায়। কিছু ক্ষন পরে বোনেরা এসে তাকে নিয়ে যায়। মুনের মাথার উপরে ফুলের ঝালড় বানিয়ে ধরে রেখেছে চারজন লোক। মুন যাচ্ছে সাথে লোক গুলোও।
মুন,,,,,,,(রানী রানী ফিল হচ্ছে)
মুন লাল গোল্ডেন কালার লেহেঙ্গা পড়েছে। শরীর ভরা গহনা, মুন হেঁসে হেঁসে আসছে।
আরাব,,,,,,,, (মেয়েটা আসলেই অনেক সুন্দর লাগছে, একদম আমার ড্রিম গার্লের মতো)
এই সময় গান বাঝানো হয়,, মেরে সাইয়া সুপার স্টার,, রিমি চিল্লিয়ে বলে,,
রিমি,,,,,,,, মুন ভাবি কি দেখছো,, ডান্স করো।
রিমি বলতে দেড়ি হয়৷ মুনের নাচ শুরু করতে দেড়ি হয় না। কি সুন্দর নেচে নেচে আসছে৷ আরাব অভাক হয়ে দেখছে। মুন আবার আরাবের কাছে এসে তার চার পাশে ঘুরেও নেচেছে। আরাব শুধু মুনকেই দেখছিলো।
গান বাঝনা শেষ হলে, মুন আর আরাবকে সামনা সামনি বসানো হয়, তাদের মাঝখানে পাতলা একটা সাদা কাপড় দেওয়া শুধু। দুজন দুজনকে দেখতে পারছে। আরাব মুনের দিকে তাকায়,মুন ও তাকায়, দুজনার চোখে চোখ পড়লে আরাব চোখ টিপ মারে। মুন চোখ বড় বড় করে আশে পাশে তাকায়।
দুজনের বিয়ে শুরু হয়ে যায়, কাজি কালেমা পড়ছে। কালেমা শেষে আরাবকে কবুল বলতে বলা হয়। ফারহান আর রিমান আরাবের পাশে বসে শুধু কবুল বল কবুল করে যাচ্ছে।
আরাব,,,,,, আমার আগে দেখা যায়, তোরা বলে দিচ্ছিস।
আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে তিন বার কবুল বলে। মুনকে কবুল বলতে বললে চুপ করে থাকে।
মুন,,,,,,, (এতো তাড়াতাড়ি কবুল বললে মানুষ কি ভাববে, একটু পড়ে বলি।)
কাজি আরেক বার কবুল বলতে বলে,এবার আরাব রাগী দৃষ্টিতে মুনের দিকে তাকায়।
মুন,,,,,(ভাবছিলাম এবার কবুল বলবো কিন্তু আরাব আমার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে, এখন যদি আমি কবুল বলি তাহলে ও ভাববে আমি ওর ভয়ে কবুল বলেছি, না আরেকটু পর বলি)
কাজি আরো দুবার বলার পড়ে কবুল বলে মুন। আরাব মুনের দিকে এক ব্রু উঠিয়ে, এমন কেনো করলো, মাথা নাড়িয়ে ইশারা করে। মুন ডোন্ট কেয়ার বুঝিয়ে, ঠোঁট বেকিয়ে ইশারা করলো।
তারপর তাদের একসাথে বসানো হয়। আইনি ভাবে বিয়ে দেওয়ার জন্য। মেরেজ সার্টিফিকেটে সাইন করার জন্য বলা হয়। প্রথমে মুন করে, পড়ে আরাবকে সাইন করার জন্য দেওয়া হলে, আরাব কলম নিয়ে নাচাচ্ছে। সাইন করছে না, সবাই আরাবকে বার বার বলছে তাও করছে৷ মুন বিরক্তি ভাবে তাকিয়ে আছে।
মুন,,,,,,,,(নিজের সাইন ভুলে গেলো নাকি)
কিছু ক্ষন পড়ে আরাব সাইন করে। মুন তাকে ইশারা দিয়ে জিজ্ঞেস করলে সেও ঠোঁট বেকিয়ে দেয়।
মুন,,,,,,,,,(শয়তান)
রিমান,,,,,,,, এদের তো বিয়ের আসরেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে, বাকি জীবন কি করবো। (ফারহানের কানের কাছে)
ফারহান,,,,,,,,, আল্লাহ জানে।
রিমান,,,,,,,, আমার কাছে একটা আইডিয়া আছে।
ফারহান,,,,,,,, কি আইডিয়া।
রিমান,,,,,,,,, আমরা প্রথম দু তিন দিন ওয়েট করবো, যদি ওদের মধ্যে কিছু না হয়, তখন একটা ডোস খায়িয়ে দিমু৷
ফারহান,,,,,,,,, কি ডোস৷
রিমান ফারহানের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে একটা চোখ টিপ দেয়।
সবাইকে খাবার দেওয়া হয়, মুন আর আরাবকে একটা বড়ো পেল্টে খেতে দেওয়া হয়। দুজনকে এক প্লেটে দেওয়া হয়৷ দুজন ঠিক মতো খেতে পারছে না কারন কেমেরাটা একদম তাদের সামনেই ধরা হয়। মুনকে আরাবকে খায়িয়ে দিতে বলে।
সামনে ক্যামেরা, আশেপাশে মানুষ না ও করতে পারছে না। মুন এক লোকমা নিয়ে আরাবকে খায়িয়ে দেয়, আরাব মুশকি হেঁসে মুনের দিকে তাকিয়ে থাকে।
আরাবকে বললে, আরাব এক লোকমা মুনকে খাওয়াতে নেয় মুন আরাবের আঙুলে কামড় বসিয়ে দেয়। মুনকে আবার খাওয়াতে বলে। এবার আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে ভিলেনের মতে একটা হাসি দেয়। মুন ভয়ে ভয়ে আরাবের মুখে খাবার তুলে দেয়।
আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে দেখে মুখটা ছোট করে আছে, আরাব খাবারটা মুখে নিয়ে মুনের হাতে কিস করে দেয়। আর কেও বুঝতে পারুক আর না পারোক মুন ঠিকি বুঝতে পারে। মুন আরাবের দিকে তাকালে আরাব হেঁসে হেঁসে মুনের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে।
রিমান,,,,,,,, আজকে তোমাকে দেখে মনে যাচ্ছে তোমাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি।
মাহুয়া,,,,,,,, আচ্ছা, আর কি মনে যাচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,, ইশশ মনে তো অনেক কিছু যাচ্ছে কিন্তু এখানে ভিড় অনেক। তুমি বললে আমরা নির্জন জায়গা যেতে পারি।
মাহুয়া,,,,,,,, ইশশ শখ কতো।
রিমান,,,,,,,,, মাহু আই লাভ ইউ।
মাহুয়া,,,,,, হুমম
রিমান,,,,,,,, কিসের হুমম,, তুমিও বলো, তুমি কালকেও বলোনি। কালকে তোমাকে আমি আই লাভ ইউ বলতে বলেছিলাম কিস করতে না। এখন যদি না বলো তাহলে এবার আমি কিস করবো।
মাহুয়া,,,,,,, সবার সামনে কিস করার সাহস আছে।
রিমান,,,,,,, এক কাজ করি, সাহসটা দেখিয়েই দিয়। বলবা নাকি,,(মাহুয়ার দিকে এসিয়ে,ভিলেনের মতো হাসি দিয়ে)
মাহুয়া,,,,,,, এখানে কিন্তু অনেক মানুষ আছে(পিছিয়ে)
রিমান,,,,,,, I Don’t care. বলবা নাকি বলবা না (মাহুয়ার দিকে এগিয়ে)
মাহুয়া,,,,,,, অনেক মিডিয়ার লোক আছে, এই ভিডিও কিন্তু ভাইরাল হয়ে যাবে।
রিমান,,,,,,,, I Don’t care. Do you love me. (রিমান মাহুয়ার অনেক কাছে চলে যায়, নিজের ঠোঁট মাহুয়ার দিকে বাড়াতে থাকে)
মাহুয়া,,,,,,,,,, yes,,I love you.
আরাব হেঁসে সরে যায় আর বলে,,, that’s my girl.
একটা ছেলে রিমির নাম জিজ্ঞেস করছে। ফারহান সেখানে আসে।
ফারহান,,,,,,, রিমি তুই এখানে কেনো।
,,,,,,,,, আপনি কে
রিমি,,,,,,,,, he is my boyfriend.
ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে আছে।
,,,,,,,, ওও সরি।
বলে চলে যায়।
ফারহান,,,,,,,,, তুই এখন কি বললি।
রিমি,,,,,, কেনো ভুল কিছু বললাম।
ফারহান,,,,,,,, একদমি না,,কিন্তু একথা যদি তোর বাবা মা জানতে পারে তখন।
রিমি,,,,,,,,, জানলে জানোক,, কেনো ভয় পান নাকি।
ফারহান,,,,,, সেটা পায় না,, যদি তোর বিয়ে অন্য কোথাও ঠিক করে দেয়।
রিমি,,,,,,,, তাহলে পালিয়ে বিয়ে করে নিবো,, আমার অনেক ইচ্ছে পালিয়ে বিয়ে করার। কেনো বিয়ে করবেন না আমাকে।
ফারহান,,,,,,,, তুই বললে তোকে এখনি উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করতে পারবো। কিন্তু এক জায়গা সমস্যা আছে।
রিমি,,,,,,,, কোন জায়গা।
ফারহান,,,,,,, সবচেয়ে বড় সমস্যা, তোর ভাই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, তার মধ্যে সে একজন নাম করা সিঙ্গার। এখন যদি তার বোন পালিয়ে যায়। তাহলে তার কতো বদনাম হবে। আর এটা আমি বন্ধু হয়ে হতে দিতে পারবো না।
রিমি,,,,,,,,,, আচ্ছা একটা কথা, তোমার কাছে কে বড়ো আমি নাকি তোমার বন্ধুত্ব।
ফারহান,,,,,,, (লম্বা একটা নিশ্বাস ফেলে) মিথ্যা বলবো না, আমি তোকে অনেক ভালোবাসি। আর যদি কোনো দিন তোর আর বন্ধুর মাঝে যেকোনো একজনকে বাছাই করতে হয় তাহলে আমি বন্ধুকেই করবো।
রিমি,,,,,,,, (হালকা হেসে) আমি জানতাম তোমার উত্তর এটাই হবে।
ফারহান,,,,,,,,, খারাপ লাগছে।
রিমি,,,,,,, খারাপ না ভয় লাগছে। আমি সবচেয়ে আমার ভাইকে বেশি ভালোবাসি আর তুমিও। যদি কোনো দিন এই ভালোবাসা আমাদের মাঝখানে এসে যায় তখন কি হবে ভাবছি।
ফারহান,,,,,,, এসব ভেবে লাভ, এমন কিছু হবে না। আমরা শুধু শুধু নিজের মন নষ্ট করছি। যেটা কোনো দিন হওয়ার না সেটা ভাবছি। আর রিমান তো জানেই আমাদের বিষয়ে।
রিমি,,,,,,, হেহহ জানে কবে বললা।
ফারহান,,,,,,,, তকে বলার আগে,, ঠিক কতো বছর হয়েছে মনে নেয়৷
রিমি,,,,,,,, ভাইয়া কিছু বলে নি।
ফারহান,,,,,,, ভালোবাসি এটা জানার পরে তো কিছু বলেনি, শুধু কি,,,,
রিমি,,,,,,, শুধু কি,,
ফারহান,,,,,,,, না কিছু না,,,
বিয়ে সুন্দর ভাবে হয়ে গেছে এখন যাওয়ার পালা। শালিরা আবার আটকিয়েছে, জুতা চুরি করে আবার টাকা আবদার করছে।
ফারহান,,,,,,,, সুন্দর মেয়েরা চোর ও হয় জানতাম না।
রিমি ফারহানের দিকে কটমট করে তাকায়,ফারহান চুপ হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,, বিয়েতে আর কারো লাভ হোক আর না হোক শালিরা ইচ্ছে মতে টাকা রোজগার করে।
ফারহান,,,,,,, এখন কতো টাকা লাগবে।
,,,,,,, পুরো ২০ হাজার।,
ফারহান ,,,,,,,, ঠিক আছে, জুতো তোমরা রেখে দাও।
,,,,,,, জামাই খালি পায়ে যাবে, কেমন দেখাবে।
রিমান,,,,,, আমি জানতাম এমন কিছু হবে, তাই আগেই ব্যবস্থা করে রেখেছি।
,,,,,,, কিসের ব্যবস্থা।
রিমান,,,,,,,, সুমন নিয়ে আয়।
সুমন একটা বক্স আনে, সেখানে নতুন জুতো ছিলো, সেটা বের করে আরাবকে পড়িয়ে দেয়।
,,,,,,, এটা কিন্তু ঠিক না।
রিমান,,,,,,,, তোমরা চুরি করতে পারলে আমরা এটা কেনো পারবো না। এক কাজ করো জুতোর ফ্রেম বানিয়ে তোমাদের কাছে রেখে দাও।
সবাই মন খারাপ করে ফেলে,,
আরাব টাকা বের করে দিয়ে দেয়, সবাই খুশি হয়ে যায়।
আরাব,,,,,,, এটা মুনের পক্ষ থেকে বিয়ের ট্রিট হিসেবে রাখো।
রিমান,,,,,,,, আমাদের ট্রিটটাও কিন্তু বাকি আছে মনে রাখিস (রাগী ভাবে)
আরাব,,,,,,,, বিয়ে কিন্তু তদের ও হবে মনে রাখিস।
এখন বিদায়ের পালা, সবাই কান্না কাটি করছে। কিছু কিছু আত্মীয় তো এমন ভাবে কান্না করছে যে, বুঝায় যাচ্ছে না কান্না করছে নাকি গান গায়ছে। কিন্তু আমার কেনো কান্না আসছে না।সবাই আমাকে ধরে কান্না করছে এখন যদি আমি কান্না না করি তাহলে কেমন দেখায়৷ এতো দুঃখের কথা মনে করছি কিন্তু আমার কোনো দুঃখের কথা মনেই পড়ছে না। আচ্ছা চোখ দিয়ে পানি না আসোক, কান্নার ভাব নিয়ে মুখ দিয়ে আওয়াজ করলেই হবে।
মুন ঠিক তেমনি করে কান্নার ভাব নিয়ে মুখ দিয়ে শুধু আওয়াজ করে কান্নার৷ এমন করে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে বসে। আরাব ও বসে। ফরহান গাড়ি চালাতে বসে ড্রাইভারকে বার করে, আর রিমান সামনে বসে। শুধু তাদের কথা শুনার জন্য।
আরাব,,,,,,,, তোরা এ গাড়িতে কি করছ।
রিমান,,,,,,,,,, কেনো কোনো সমস্যা আছে।
আরাব,,,,,,,, না সমস্যা নেয়।
গাড়ি চালু করতেই, মুন একদম স্বাভাবিক হয়ে যায়। কান্না থামিয়ে দেয়, এটা দেখে তিনজন বেশ অভাক হয়।
আরাব,,,,,,,,,, এই তুমি কি কান্নার অভিনয় করলে না এতো ক্ষন।
মুন,,,,,, হুমম,,,এতো চেষ্টা করছি কিন্তু কান্না আসছেই না। আর আমি এটা বুঝলাম এখান থেকে এখানে আমার শশুর বাড়ি। হেঁটেই যাওয়া যাবে,তাহলে এতো কান্নার করার কি আছে।
রিমান,,,,,,, কিন্তু তোমার আত্মীয়রা অনেক কষ্ট পেয়েছে কিভাবে কান্না করছিলো।
মুন,,,,,,, আরে ওদের তো আমি চিনিই না, এক দুবার দেখেছিলাম হয়তো। যাও একটু কান্না আসছিলো ওদের কান্না দেখে তাও চলে গেছে। সত্যি বলতে আমার অনেক হাসি পাচ্ছিলো (হাসতে হাসতে)
ওর কথা শুনে সবাই হাসতে থাকে। একটু পড়েই বাসার সামনে চলে আসে। ওদের অনেক সুন্দর স্বাগতম করা হয়। আরাব আর মুন গাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ির সামনে যাচ্ছে, চারপাশে ফুলছিটানো হচ্ছে ওদের উপর। দরজার সামনে যেতেই ফারহান বলে,
ফারহান,,,,,, আরাব তোর বউকে কোলে করে ভিতরে নিয়ে যা।
ফারহানের বলতে দেড়ি আরাবের কোলে নিতে দেড়ি করে না। মুন অভাক হয়ে যায়। আরাব কোলে করে মুনকে ভিতরে নিয়ে যায়। হল রুমে নিয়ে নামায়।
আরাব,,,,,,,, দেখে বুঝা যায় না যে তুমি এতো ভাড়ি।
মুন,,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি, আমি মোটেও ভাড়ি না,, আমার লেহেঙ্গাটা ভাড়ি।
আরাব,,,,,,,,, থাক বিচারা লেহেঙ্গার দোষ দিয়ে লাভ নেয়।
রাত অনেক হয়েছে তাই মুনকে অন্য রুমে নিয়ে যেতে লাগলে মুন ইচ্ছে করে আরাবের রুমে যায়।
আরাব,,,,,,,,, এখনি এক সাথে থাকার ইচ্ছে আছে না (দুষ্টু নজরে তাকিয়ে)
মুন ইশারা দেয়,আরাব তাকিয়ে দেখে সবাই দাঁড়িয়ে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। আরাব এখন খেয়াল করে, একটু লজ্জাও পায়।
মুন,,,,,,,,, মা আমি এই রুমে থাকবো, অন্য রুমে আমার থাকতে ইচ্ছে করছে না। তুমি আরাবকে বলো না অন্য রুমে যেতে।
আরাব,,,,,,,, আমি কেনো যাবো আমি যাবো না।
কে শুনে কার কথা আরাবকে ধাক্কিয়ে অন্য রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মুন,,,,,,, (এখন শুধু আপনার রুম কবজায় করেছি, আগে আগে দেখুন কি হয় হুহহ)
বেশ অনেক ক্ষন পর আরাব তার রুমে নক না করেই ঢুকে যায়। গিয়ে দেখে মুন তার সব গহনা খুলে ফেলেছে। মাথার গোমটাটাও নেয়। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভিন্ন পোজ দিচ্ছে।
আরাব,,,,,,(দিন দিন মেয়েটার দিকে আমি এট্রাকটিভ হচ্ছি)
মুন খেয়াল করে আরাব দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
মুন,,,,,, কারো রুমে আসতে হলে নক করে আসতে হয় জানেন না।
আরাব,,,,,,,, এটা আমার রুম আমার বউ, আমি কেনো অনুমতি নিয়ে আসবো। (মুনের কাছে গিয়ে)
মুন,,,,,,,, আমি বিয়েটা কিন্তু নিজের ইচ্ছেই করি নি।
,,,,,,,,,,, কিন্তু তোমায় দেখে তো তেমন মনে হচ্ছেছিলো না, বেশ আনন্দ করে নাচছিলে। (মুনের দিকে ঝুঁকে)
,,,,,,, আরে বিয়ে তো এক বারি হয়, বার বার তো হয় না, এখন যদি আমি মুখ গুমরা করে বসে থাকি তাহলে বিয়ের ভিডিও ভালো হবে না। আমার বাচ্চা, নাতি হলে তাদের কি দেখাতে হবে না।
,,,,,,,, কি আবার বলো, কাদের দেখাবে।
,,,,,,,, আরে আমার বাচ্চা আর নাতনিদের। (এটা বলে আবার চুপ হয়ে যায়)
,,,,,,,, আমাদের বাচ্চা তো তখন হবে যখন (মুনের দিকে অন্য রকম ভাবে তাকিয়ে)
মুন সাথে সাথে তার দুহাত দিয়ে সামনে ধরে।
মুন,,,,,,, এটা তো মু মু মুখ থেকে বেড়িয়ে গেছে।
,,,,,,,,, সত্যিটা বলো যে, তোমার আমার কাছে আসার পুরো ইচ্ছে আসছে (মুনের মুখের কাছে এসে)
,,,,,,, ম ম মোটেও না। (নিচের দিকে ঝুঁকে)
,,,,,,,, সত্যি (আরো কাছে এসে)
মুন আরো নিচের দিকে যেতে নিলে পড়ে যেতে নেয়, আরাব ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে। আরাব মুনের ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে। আরাব ক্রমশ মুনের ঠোঁটের দিকে এগিয়ে আসছে। মুন চোখ বন্ধ করে ফেলে।
আরাব মুনকে কিস করতে গিয়ও করে না। মুনের দিকে তাকিয়ে হেসে বলে,,,, তুমি যেটা চাইছো আমি করি, সেটা আমি করবো না। (নাক টেনে)
মুন চোখ খুলে তাকায়। আরাব মুনকে ছেড়ে দিয়ে, আলমারি থেকে একটা গেনজি আর প্যান্ট নিয়ে চলে যায়।মুন শুধু আরাবের যাওয়া দেখে। কিছু ক্ষন পরে মুনে হুশশ ফিরে।
মুন,,,,,,, আমি যেটা চাইছি মানে,, আমি কি চাই হুমম। বিলাই একটা।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,