you are only mine Part-17

0
7471

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)

#Maishara_Jahan
Part………….17

মুন চোখ খুলে তাকায়। আরাব মুনকে ছেড়ে দিয়ে, আলমারি থেকে একটা গেনজি আর প্যান্ট নিয়ে চলে যায়।মুন শুধু আরাবের যাওয়া দেখে। কিছু ক্ষন পরে মুনে হুশশ ফিরে।

মুন,,,,,,, আমি যেটা চাইছি মানে,, আমি কি চাই হুমম। বিলাই একটা।

সকালে,,,,,,,,,,

মুন ঘুম থেকে উঠে দেখে ৯ টা বেঝে গেছে। সে ঘুম ঘুম চোখে বিছানে থেকে উঠে রুম থেকে বের হয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে হালকা চোখ বন্ধ করে হাঁটতে থাকে আর মা মা করে ডাকতে থাকে।

মুন,,,,,, মা মা, একটু চা করে দাও না। মা

মুন এভাবে ঘুম ঘুম চোখে যেতে যেতে আরাবের সাথে ধাক্কা খায়৷ মুন বিরক্তি ভাব নিয়ে তাকায়, দেখে আরাব পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

মুন,,,,,,, সকাল সকাল আপনি আমার বাসায় কি করেন। (ঘুম ঘুম চোখে)

আরাব,,,,,,,,, মেম একটু আশেপাশে তাকিয়ে দেখেন পিল্জ।

,,,,,,, কেনো আশেপাশে কি আছে। ( আশেপাশে তাকিয়ে) একি আমি কোথায়, আপনি কি আমাকে কিটনাপ করে নিয়ে এসেছেন নাকি।

,,,,,,,, কিটনাপ করে না বিয়ে করে নিয়ে এসেছি, এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে নাকি।

মুন কিছু ক্ষন আরাবের দিকে তাকিয়ে থাকে, তারপর তার মনে পড়ে।

মুন,,,,,,,,, আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম,,, ও নো কেও আমাকে এভাবে দেখে ফেললো নাতো, নতুন বউ গেনজি, প্লাজো পড়ে হাঁটছে, কি বলবে। (ভয়ে)

,,,,,,,, দেখেছে তো

,,,,,,,,, কে দেখেছে ( কান্নার ভাব নিয়ে)

,,,,,,,, কেনো আমি দেখেছি।

,,,,,,, আরে দূরর আপনি দেখলে সমস্যা নেয়।

,,,,,,,,, (মুনের কমরে ধরে নিজের দিকে টান দিয়ে বলে) তার মানে তোমাকে দেখার অনুমতি দিয়ে দিয়েছো আমাকে। (মুনের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে)

,,,,,,,,,, কি করছেন কি আপনি হুমম, ছাড়েন আমাকে কেও দেখে ফেলবে।

,,,,,,,,, (আরো শক্ত করে ধরে) ওও আমি ধরেছি এটাতে কোনো সমস্যা নেয়, কেও দেখে ফেলবে এটাতে ভয়, that’s good.

,,,,,,, আপনি সব কিছু নিজের মতো ভাববেন না।

তখনি কেও উপরে আসার শব্দ পায়, মুন তাড়াতাড়ি আরাবকে নিজের থেকে দূরে করার চেষ্টা করে কিন্তু পারেনা আরাব শক্ত করে ধরে রেখেছে।

মুন,,,,,,,,, ছাড়েন আমাকে, কেও দেখে ফেললে কি হবে। (আস্তে আস্তে)

,,,,,,,, কি হবে ভাববে নিজের বউয়ের সাথে রোমান্স করছি।

,,,,,,ছিঃ ছিঃ এটা ভাবলে আপনার লজ্জা করবে না।

,,,,,,,,, লজ্জার কি আছে, নিজের বউয়ের সাথে করছি অন্য কারো সাথে তো আর না।

,,,,,,,,,,,, আল্লাহ পিল্জ ছাড়েন।

,,,,,,, ওকে ছেড়ে দিবো, শুধু এটা বলো আরাব you are best .

,,,,,,,,, কখনো বলবো না।

,,,,,,, ওকে আমিও ছাড়বো না।

আওয়াজটা আরো গভীর হয়ে গেছে, মনে হয় এখনি উপরে চলে আসবে।

মুন,,,,,, আল্লাহ,, ওকে ওকে you are best. ছাড়ুন।

আরাব ছেড়ে দেয়, ছাড়া পেতেই মুন উড়া ধুড়া দৌড় দেয়। এক দৌড়ে রুমে৷ আরাব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে। পিছনে তাকিয়ে দেখে সার্বেন্ট এসেছে। আরাব রুমের দরজা টুকা দিয়ে বলে,,

আরাব,,,,,, মেম তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আসুন।

মুন একটা কমলা কালার জর্জেট শাড়ী পড়ে নিচে যায়। নিচে অনেক আত্মীয় সজনের সাথে, আরাব, ফারহান, রিমান আর রিমিও বসে আছে৷

রিমি,,,,,,,, গুড মর্নিং ভাবী।

মুন,,,,,,, গুড মর্নিং।

ফারহান,,,,,,, এখন একটু আরাম করে নাও, পড়ে আর সুযোগ নাও পেতে পারো।

মুন,,,,,,, কেনো।

রিমি,,,,,,,,, আরে ভাবি একটু পর থেকে মানুষ আসা শুরু করবে তোমাকে দেখার জন্য। তাদের সাথে বসে তাদের পকপক শুনতে হবে৷

মুন,,,,,,, ইশশ এসব আমার ভালো লাগে না।

আরাব,,,,,,,, ভালো না লাগলেও কিছু করার নেয়। তাড়াতাড়ি চা টা খেয়ে, নাস্তা করে নাও, পড়ে সুযোগ না-ও পেতে পারো।

মুন,,,,,,,, হুমম ঠিক (তাড়াতাড়ি খেতে থাকে)

আরাব,,,,,,,, রিমান তুই এতো চুপ কেনো।

রিমান,,,,,,, না,, আমি ভাবছি রুমটা কিভাবে সাজাবো রাতে।

আরাব,,,,,,,, থাক তুই চুপ থাক, তোর কিছু বলা লাগবে না।

রিমান,,,,,,, আচ্ছা মুন তোমার কি ফুল সবচেয়ে বেশি পছন্দ।

মুন,,,,,,,, বেলি ফুল।

রিমান,,,,,,,, এটা হবে না, অন্য ফুলের নাম বলো।

মুন,,,,,, সাদা গোলাপ, লাল গোলাপ। কেনো।

রিমান,,,,,, সেটা পড়ে জানলেও হবে।

রিমি,,,,,,,,, আমারো সাদা গোলাপ, লাল গোলাপ অনেক পছন্দ, আমাদের মিল আছে।

ফারহান,,,,,,,,, আমি আমাদের বাসর ঘরটা সাদা লাল গোলাপ দিয়ে সাজাবো। (রিমির কানে কানে)

রিমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে আবার অন্য দিকে নজর দেয়।

একটু পর মানুষ আসা শুরু করে, একে একে মুনকে দেখে যাচ্ছে আর কতো কথা বলছে। মুন শুধু চুপচাপ বসে হুমম, হ্যাঁ করছে।

। আজো সবাই বিজি ছিলো কারন আজ ছেলেদের এখানে সবার খাওয়া দাওয়া করানো হবে। মেহমান এসে খেয়ে যাবে, বাহিরে পেন্ডেল লাগানো হয়। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।

মুন অন্য রুমে বসে আছে, ভাবিদের সাথে।

ভাবি, ১,,,,, কিরে বল মুনকে যে, আজ ওর কি কি করতে হবে। (লজ্জা পেয়ে)

ভাবি,২,,,,,, না আমার লজ্জা করে, আপনি বলেন।

ভাবি,৩,,,,,,দাঁড়া আমি বলছি।

মুন,,,,,,,,,(আল্লাহ ওরা এখান থেকে যায় না কেনো,, এমন ভাব করছে যেনো আমি বাচ্চা কিছুই বুঝিনা। আরে আমাকে কিছু বলার দরকার নেয়, কেনো আমাকে বিরক্ত করছে এরা)

ভাবিরা একটু বলছে, একটু লজ্জা পাচ্ছে, হাসাছে।

মুন,,,,,,,,,(আরে ভাই আমি সব বুঝি, এসব বলে আমাকে কেনে বিরক্ত করছেন, ভালো লাগে না)

ভাবিরা,,,,,,,,,, সব যেমন যেমন বলেছি ঠিক তেমন তেমন করবে, আর ভয় পাবে না। সব ভালো করে বুঝেছো তো।

মুন,,,,,,,, ধন্যবাদ ভাবি, আপনারা না থাকলে আমার কি হতো, আমি তো কিছু জানতেই পারতাম না। আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ (আমাকে এতো ক্ষন বিরক্ত করার জন্য)

ভাবিরা,,,,,,,, এটা তো আমাদের দায়িত্ব,, ভাবিরাই তো সব বুঝিয়ে দেয়।

এবার সবাই তাদের বাসর ঘরে কি হয়েছে সে গুলো বলতে শুরু করে।

মুন,,,,,,,,(এদের কি খেয়ে দেয়ে কোনো কাজ নেয়, নাকি)

,,,,,,,,,,,

ফারহান, রিমান, রিমি, মাহুয়া আরাবের রুম সাজাচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,, I love you jan. ( একটা লাল গোলাপ ফুল দিয়ে)

ফারহান রিমানের হাত থেকে ফুলটা নিয়ে, ছিঁড়ে বিছানায় ছড়িয়ে দেয়। রিমান ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে।

ফারহান,,,,,, সাদা চাদরে লাল গোলাপ সুন্দর লাগছে।

রিমান,,,,,,,,,, ফুলের কি অভাব ছিলো। আমার ভালোবাসাকে এভাবে টুকরো টুকরো করে দিলি।

ফারহান,,,,,,,,, আর ফুল কোথায় সব তো লাগিয়ে দিয়েছি।

রিমান,,,,,,, একটু রিমির দিকে তাকা,,দেখ চুন্নি কতো গুলো ফুল নিয়ে বসে আছে। সেটার দিকে নজর গেলো না৷

ফারহান,,,,,, আরে এগুলো আমি ওকে ভালোবেসে দিয়েছি।

রিমান,,,,,,, আমিও ভালোবেসেই দিচ্ছিলাম।

মাহুয়া,,,,,,, আচ্ছা বাদ দাও একটা ফুলি তো।

রিমান,,,,,,,,, তুমি বললে তাই ছেড়ে দিলাম। মাহুয়া চলো আমরা একটু আলাদা কথা বলি।

রিমি,,,,,,,,, মাহুয়া ভাবি আমার সাথে যাবে, মুন ভাবিকে সাজানো হচ্ছে, সেখানে যাবো।

রিমি,,,,,, চলো ভাবি।

মাহুয়া,,,,,,, চলো৷

রিমান,,,,,, ফারহান চল আমরাও আরাবের মনে সাহস ভরে আসি।

ফারহান,,,,,,, চল ভাই।

ফারহান আর রিমান,, আরাবের কাছে যায়। গিয়ে দেখে আরাব লেপটপে কাজ করছে।

রিমান,,,,,,, লেপটপে কি দেখছিসরে (আরাবকে খুঁচা মেরে)

আরাব,,,,,, দেখছিস না কাজ করছি।

ফারহান,,,,,, আজকের দিন ও বলে কেও কাজ করে। একটু পড়ে তোর বউ সেজেগুজে বসে থাকবে, আর তুই কাজ করছিস৷

আরাব,,,,,,,, তো কি করবো।

রিমান,,,,,,, আরে কি করবি, কিভাবে করবি সেটাই ভাব।

আরাব,,,,, ওদের এতো মাথা ব্যাথা কেনো সেটাই আমি বুঝি না।

ফারহান,,,,,,,,, বন্ধুর মান সম্মানের প্রশ্ন মাথা ব্যাথা তো থাকবেই।

রিমান,,,,,,,,, আজ ঝুকে যাবি না, কারন আজ ঝুঁকে গেলে সারা জীবন ঝুঁকেই থাকতে হবে। তুই আজ বুঝিয়ে দিবি যে, তুই বাঘ, বিড়াল না।

আরাব,,,,,,,, তোদের কথা আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।

ফারহান,,,,,,, আরে রাখ লেপটপ আর যা সাওয়ার নিয়ে রেডি হয়ে আয়।

আরাব,,,,,,, আমার মাথার চুল এখনো ভেজা দেখিস না। আমি গোসল করে ফেলেছি।

রিমান,,,,,, ও রেডি হয়ে বসেই আছিস, তাহলে এমন ভাব নিলে কেনো।

ফারহান,,,,,,,, আরে আমরা কি বলছি, ও আগে থেকেই সব ভেবে রেখেছে। আমাদের সামনে একটু ঢং করলো আরকি৷ দেখ লেপটপে হয়তো কাজের জায়গা অন্য কিছু করছে।

আরাব,,,,,,,,, হয়েছে তোদের,, এবার দয়া করে এখান থেকে যা।

রিমান,,,,,,,, কেনো একা রুমে কি করবি, ঐ ফারহান আমরা কোথাও যাবো না বস এখানে।

আরাব,,,,,,, তাহলে বসে থাক।

,,,,,,,

মুনকে হালকা গোলাপী জর্জেট শাড়ি পড়ানো হয়। ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক। আর চোখে আইলেনার, আর চুল গুলো হালকা ভাবে খোঁপা করা। সবাই মুনে বাসর ঘরে বসায়। মুন রুমটা বেশ ভালো করে দেখে। বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।

মুন,,,(রিমান তাহলে এজন্য আমাকে ফুলের কথা জিজ্ঞেস করেছিলো)

মাহুয়া,,,,,,,,,, মুন ভাবি কেমন ফিল হচ্ছে এখন।

রিমি,,,,,,,, ভাইয়া আসবে একটু পড়েই। তুমি বসো, আমরা আসছি।

মুন,,,,,,(এবার সত্যি সত্যি ভয় করছে) না যেও না তোমরা।

রিমি,,,,,,, আমরা এখন যাবো না, দরজার সামনে দাঁড়াবো, ভাইয়ার থেকে ঘর সাজানোর টাকা নিতে হবে না।

রিমি, মাহুয়া আরো কিছু ভাবি দরজার সামনে দাঁড়ায়। রিমান আর ফারহান, আরাবকে নিয়ে আসে, এসে ভিতরে যাওয়ার জায়গা পাচ্ছে না।

রিমান,,,,,,,,, আরে ঢুকতে দেয় না কেনো এরা।

রিমি,,,,,,,, রুমে ঢুকার জন্য টাকা লাগবে।

ফারহান,,,,,,,, কেনো।

রিমি,,,,,,,, ঘর সাজানোর টাকা।

রিমান,,,,,,,,,, আব্বে ঘর তো আমরা সাজালাম তোরা তো বসে ছিলি।

মাহুয়া,,,,,,,,, কি বলতে চাও আমরা কোনো কাজ করিনি৷ (চোখ দেখিয়ে)

রিমান,,,,,,,, সব কাজ তোমরাই করেছো,, আরাব টাকাটা দিয়ে দে।

আরাব,,,,,,, আমার কাছে এখন কোনো টাকা নেয়,, সব ভিতরে।

ফারহান,,,,,,,, ঠিক আছে ভিতরে যেতে দাও আরাবকে সে টাকা বের করে দিয়ে দিবে।

রিমি,,,,,,, আমাদের কি গাধা মনে হয়। টাকা ছাড়া ভিতরে ডুকতে দেওয়া যাবে না।

আরাব,,,,,,,, আরে তোরা দিয়ে টাকা টা, আমার কাছে এখন নেয়।

রিমান আর ফারহান টাকা বের করে দে ওদের।

রিমান,,,,,,,, এটা ভালো, ঘর ও সাজালাম আমরা টাকাও দিলাম আমরা।

ফারহান,,,,,,,, এবার কি আমরা ভিতরে যেতে পারি।

মাহুয়া,,,,,,, আপনারা ভিতরে যাবেন কেনো শুধু আরাব ভাইয়া যাবে।

আরাব,,,,,,, ঠিক আছে সরো সবাই।

সবাই বাহিরে আসে আরাব ভিতরে যায়।

রিমান+ফারহান,,,,,,,,ওলদাবেস্ট।

রিমান,,,,,,,,, আর শুন আরেকটা কথা,,

আরাব মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দেয়।

রিমান,,,,,,,, এতো বড়ো অপমান, শালা কুত্তা।

মুন বিছানার চাদর খামছে ধরে বসে আছে। কি করবে, কি বলবে বুঝতে পারছে না।

মুন,,,,,,,(এমন একটা পরিবেশে, দুজনে একা, কেমন কেমন জানি লাগছে, মনে হচ্ছে,, না না কিছু মনে হচ্ছে না। মুন দুর্বল হলে চলবে না। যদি জোর করে তাহলে, আমিও কম না হুহহ)

আরাব এসে বিছানায় বসে,মুনের দিকে তাকায়, দেখে বুঝা যাচ্ছে ভয়ে আছে। আরাব মুশকি হাসে।

আরাব,,,,,,, তুমি কি আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছো নাকি।

,,,,,,,, হেহহ আপনাকে ভয় পাওয়ার কি আছে। আমি কেনো আপনাকে দেখে ভয় পাবো।

,,,,,,,,,, সত্যি আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছো না।

,,,,,,,,, হুহহ এই মুন কাওকে দেখে ভয় পায় না, আর আপনাকে তো একদমি না।

,,,,,,,আচ্ছা।

আরাব একদমে মুনের কাছে চলে যায়, মুন বিছানায় শুয়ে পড়ে আরাব মুনের মুখের কাছে যায়। মুনের ভয়ে আত্মা শুকিয়ে যায়।

,,,,,, ক ক কি করছেন।

,,,,,,,,, এখন ভয় লাগছে।

,,,,,, ন ন না

আরাব মুনের আরো কাছে চলে যায়।

মুন,,,,,,,, দেখুন ভালো হবে না কিন্তু,, সরে জান নাহলে আমি কিন্তু

,,,,,, কি করবে।

,,,,,,, চি চিৎকার করবো।

,,,,,,,,,, চিৎকার করো, কোনো সমস্যা নেয়,আজ তোমাকে কেও বাঁচাতে আসবে না। তুমি চিৎকার করলে সবাই অন্য কিছুই মনে করবে। তারপর সকালে সবাইকে মুখ দেখাবে কি করে সেটাও ভেবে নিয়ো।

,,,,,,,,,, আপনি এমন।

,,,,,,,, আমি এমনি। এখন বলো কি করবো।

,,,,,,, আমি জানও আপনার ইচ্ছা।

,,,,,,তাই নাকি,আমার ইচ্ছে অনেক কিছু করার (দুষ্টু হাসি দিয়ে)

মুন আরাবকে ধাক্কা দেয়, আরাবের হাত ছুটে গিয়ে মুনের সাথে মিশে যায়। আরাব মুনের উপর পড়ে যায়। মুনের পুরো শরীর কেঁপে উঠে। আরাব মাথা উঠায়, অনেক কাছে দুজন, দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনের নিশ্বাস ভাড়ি হয়ে আসছে। আরাব মুনের ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে, এদিকে এগিয়ে আসছে,

তখনি বিছানার পাশে রাখা মোবাইল বেঝে উঠে। মুন আর আরাব সে দিকে তাকায়। আরাব তাড়াতাড়ি মুনের উপর থেকে উঠে যায়, মুনও ঠিক করে বসে।

আরাব ফোন রিসিভ করে।

আরাব,,,,,, হ্যালো কে।

,,,,,, আমি রিমান,, কি করোস এখন।

,,,,,,,, ঢোল বাজায়, আয় নাচতে আয়।

বলে ফোন রেখে দেয়।

মুন আরাবের হাতে বালিশ ধরিয়ে দেয়।

মুন,,,,, গিয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পরুন।

আরাব,,,,,,,, আমি কেনো সোফায় ঘুমাবো। এটা আমার রুম আমার বেড।

মুন,,,,,,, আমি আপনার সাথে বেড শিয়ার করতে পারবো না।

আরাব,,,,,,,, আমারো কোনো শক নেয়,, চুপচাপ তুমি গিয়ে সোফায় শুয়ে পড়ো।

,,,,,,,, আমার সোফায় শুয়ে অভ্যাস নেয়।

,,,,,,, তো অভ্যাস করে ফেলো, যাও গিয়ে ঘুমাও।

,,,,,,, আমি যাবো না, এখানেই ঘুমাবো, আপনার প্রবলেম হবে সোফায় যান (বিছায় শুয়ে)

আরাব ও বিছানার অন্য পাশে শুয়ে বলে,,,,আমারো কোনো প্রবলেম নেয়।

মুন,,,,,,,(একি আমি তো ভাবলাম ও রাগ করে সোফায় চলে যাবে, এখন তো দেখি এখানেই শুয়ে পড়লো) আপনার বিছানায় কোলবালিশ নেয়।

,,,,,,,, না,, আর চিন্তা করার কোনো দরকার নেয়,আমার ঘুমে হাত পা ছড়াছড়ির কোনো অভ্যাস নেয়, আমি আমার সাইডেই থাকবো।

মুন,,,,,,,(আমি আমার কথা ভাবছি,আমার শুয়ার স্টাইল ভালো না, ঘুমায় এক দিকে উঠি আরেক দিক হয়ে)

আরাব চোখ বন্ধ করে আছে, আবার ফোন আসে, অজানা নাম্বার থেকে। আরাব উঠায়।

,,,,,হ্যালো।

ফারহান,,,,,,,,, কিরে তুই ফোন নিয়ে কি করিস, এই রাতে কেও ফোন টিপে।আচ্ছা কি করছিস এখন।

আরাব,,,,,,, এটাই চিন্তা করছি কাল সকালে কাকে আগে পিটামু, তোকে না রিমান কে। ফোন রাখ।

আরাব ফোন সুইচ অফ করে শুয়ে পড়ে।

,,,,,,,

রিমান,,,,,,,, চলো মাহু আমি তোমাকে বাসায় ছেড়ে দিয়ে আসি।

মাহুয়া,,,,,,, হুমম চলো।

রিমান,,,,,,, রিমি সোজা বাসায় যাবি৷ (ফারহানের দিকে তাকিয়ে)

ফারহান,,,,,,, আর কোথায় যাবে।

রিমান,,,,, সেটাই বলছি আর কোথাও যাতে না যায়।
চলো মাহুয়া।

রিমান মাহুয়াকে নিয়ে বেড়িয়ে যায়। আর ফারহান রিমিকে নিয়ে ছাদে চলে যায়।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,