#শ্রাবন_মেঘের_বর্ষন🍁
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম
#পর্ব:১৯ (শেষ)
—-“আমরা তোমার বিয়ে ঠিক করেছি রিক….
“বাসার ভিতর ঢোকার সাথে সাথেই কথাটা বলে উঠল রিকের মা রিককে’!!রিক তার মায়ের মুখে এমন কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে বললোঃ
—-“এসব কি বলছো তুমি মা…
—-“তোমার মা ঠিকই বলছে রিক আমরা মেয়েকে দেখে এসেছি এখন তুমি কাল বিকেলে গিয়ে দেখে এসো…(রিকের বাবা)
—-“কিন্তু খালু এইভাবে হুট করে রিকের বিয়ে কেন ঠিক করলে তোমরা?
“নাফিয়ার কথা শুনে রিকের মা বলে উঠলঃ
—-“আমরা শুধু রিকের বিয়ে ঠিক করি নি…
“খালামনির কথা শুনে নাফিয়া অবাক হয়ে বললোঃ
—-“মানে…
“এমন সময় বাসার ভিতর ঢুকলো নাফিয়ার বাবা’!!উনি নাফিয়ার দিকে এগিয়ে এসে বললোঃ
—-“আমরা তোমারও বিয়ে ঠিক করেছি নাফিয়া…
“সাথে সাথে মাথায় বাজ ভেঙে পরলো নাফিয়ার’!!হতভম্ব হয়ে বললো সেঃ
—-“এসব কি বলছো তোমরা হুট করে এভাবে বিয়ে ঠিক করার মানে কি…
—-“মানে একটাই তোমার আর রিকের বিয়েটা আমরা একসাথে একই দিনে দিয়ে দিব…
—-“কিন্তু কেন?
—-“এত প্রশ্ন না করে কাল বিকেলে তুমি আর রিক একসাথে কোনো এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা করে আসবে ওদের সাথে….
—-“কিন্তু বাবা…
—-“কোনো কিন্তু নয় নাফিয়া…
“নাফিয়া আর কিছু বলতে পারলো রাগে ক্ষোভে হন হন করে রুমে চলে গেল সে’!!নাফিয়াকে যেতে দেখে রিকও চললো ওর পিছন পিছন….!’ওঁরা যেতেই নাফিয়ার আম্মু বলে উঠলঃ
—-“এটা কি ঠিক হলো বলে দিলেই পারতে…
—-“বলার কি আছে কাল তো দেখা হচ্ছেই…(নাফিয়ার বাবা)
—-“হুম তা ঠিক,আচ্ছা বুবু রিকের পছন্দ হবে তো…
—-“দেখাই যাক না কাল কি হয়…(রিকের মা)
—-“ঠিক আছে…..
!!
“নিজের রুমে পায়চারী করছে নাফিয়া আর রিক চুপচাপ বসে বসে নাফিয়ার কান্ড দেখছে’!!নাফিয়া পায়চারী করছে আর বলছেঃ
—-“এটা কি হলো রিক হুট করে তোর আমার বিয়ে কেন ঠিক করলো এঁরা, আর আমাদের পাত্র পাত্রীও বা কে?এখন কি করবো রিক এ বিয়ে আমি কিছুতেই করবো না’,তুই তো জানিস আমি তিহানকে ভালোবাসি এখন কি করবো রিক…
“একদিকে তোর বিয়ে, আমার বিয়ে আবার মিতুরও বিয়ে এখন এই তিনটে বিয়ে কিভাবে ভাঙবো বল’!!আমার মাথা কাজ করছে না, তারওপর ওই তিহানও ফোন তুলছে না আমার…
—-“আরে তুই শান্ত হ কিছু একটা ব্যবস্থা ঠিক হবে দেখিস,আর আমরা তো কাল যাচ্ছি না ওদের সাথে দেখা করতে তখন সরাসরি না হয় ওদের বলে দিবো এ বিয়েটা যাতে না করতে….
—-“কিন্তু ওঁরা যদি না মানে….
—-“না মানলে পালিয়ে যাবো…
—–“কি…😳😳
“এমন সময় ফোন বাজলো নাফিয়ার উপরে মিতুর নাম দেখে চটজলদি ফোনটা তুললো সে’!!মিতু কিছু বলার আগেই নাফিয়া বলে উঠলঃ
—-“ওরে দোস্ত কিছু কর আমারও বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে…
—-“কি….
—-“কি কমু দুঃখের কথা বোইন একসাথে এত বিয়ে কেমনে খামু…
—-“কি তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি…
“নাফিয়া আর কিছু বলার আগেই মিতু ফোনটা কেটে দিল’!!কারন তার বাবা আসছে তার রুমে….
_______________________
“পরের দিন বিকেলে গাড়ি করে একটা রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে রিক আর নাফিয়া’!!কারন নাফিয়ার পাত্র আর রিকের পাত্রী দুজনেই একি রেস্টুরেন্টে আসছে’!!অস্থির হয়ে বসে আছে নাফিয়া’!!কি হবে না হবে কিছু বুঝতে পারছে না সে’!!তারওপর কাল রাত থেকে তিহানের ফোন বন্ধ যার জন্য তিহানকে কিছু বলতেও পারছে না নাফিয়া’!!আর রাত্রির বাচ্চাও ফোনটা তুলছে না’!!একরাশ রাগ ক্ষোভ আর টেনশন নিয়ে অস্থির হয়ে বসে আছে নাফিয়া’!!মনে মনে ভেবেছে নাফিয়া পাত্রের সাথে দেখা হলেই সে বলে দিবে তার বিএফ আছে এই বিয়েটা যেন সে না করে…..
“কে জানে কি হবে ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে নাফিয়ার’!!
“বেশ কিছুক্ষন পর……
“রিক আর নাফিয়ার গাড়ি এসে থামলো একটা বড় রেস্টুরেন্টের সামনে’!!আস্তে আস্তে রিক আর নাফিয়া গাড়ি থেকে নামলো’!!নাফিয়া রিকের হাত ধরে বললঃ
—-“দোস্ত এখন কি হবে…
—-“আরে টেনশন নিস না আমি আছি তো….
—-“আচ্ছা দোস্ত…
“আস্তে আস্তে রিক আর নাফিয়া ঢুকলো রেস্টুরেন্টের ভিতর পুরো রেস্টুরেন্টই ফাঁকা’!!শুধু একটা মেয়ে ছাড়া’!!যা দেখে অবাক হয় রিক আর নাফিয়া’!!কিন্তু ওরা বুঝে গেছে ওই মেয়েটাই রিকের পাত্রী’!!রিক আর নাফিয়া আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল মেয়েটার দিকে’!!হর্ঠাৎই রিক বলে উঠলঃ
—-“আচ্ছা মেয়েটার নাম কি রে…
“রিকের কথা শুনে চোখ রসগোল্লা হয়ে গেল নাফিয়ার কারন তাঁরা এটা জিজ্ঞেসই করে নি তাদের পাত্র পাত্রীর নাম কি….
—-“আমি কি জানি….
—-“হায় রে তাহলে এখন কি করবো…
—-“আব্বে আগে যা তো গিয়ে দেখ মেয়েটা কে?
“বলেই ধাক্কা দিয়ে রিককে পাঠিয়ে দেয় মেয়েটার সামনে’!!নাফিয়ার ধাক্কাতে রিক এসে পড়ে একদম টেবিলের সামনে’!!
—-“সরি মিস…
“বলেই যেই না রিক তাকালো মেয়েটার দিকে সাথে সাথে চোখ তার রসগোল্লা’!!কারন মেয়েটা আর কেউ নয় আমাদের মিতু’!!রিক কি রিয়েকশন দিবে ভুলে গেছে’!!রিক অবাক হয়ে বললোঃ
—-“তুমি….
—-“আপনি…
—-“এর মানে তোমার সাথেই আমার ওহ নো আমি তো ভাবতেই পারছি না…
“খুশি হয়ে যায় রিক’!!
“এদিকে রিককে এতটা খুশি হতে দেখে অবাক হয় নাফিয়া’!!
—-“ব্যাপারটা কি হলো রিক কি মেয়েটা দেখে টাসকি খেয়ে গেল নাকি…
“এমন সময় পিছন ঘুরে তাকালো মিতু!পরনে তার ওয়াইড জর্জেট চুড়িদার!”নাফিয়া তো মিতুকে দেখেই চোখ বড় বড় হয়ে গেল’!!দৌড়ে ওর সামনে গিয়ে বললোঃ
—-“তুই….
—-“হুম আমি…
—-“এর মানে তোর সাথেই রিকের ওহ মাই গড এটা কেমনে হলো….
—-“আমি কি জানি,তবে বাবা বলেছিল ওনার বন্ধুর ছেলের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে এর মানে রিকই বাবার বন্ধুর ছেলে…
—-“ওহ এটা তো খুব ভালো কথা কংগ্রেস বোইন…
—-“আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না…(রিক)
“রিকের কথা শুনে মিতু জোরে একটা চিমটি কাটলো রিকের হাতে সাথে সাথে চেঁচিয়ে উঠল রিক’!!
—-“এবার বিশ্বাস হলো…(মিতু)
—-“হুম হইছে…
—-“তাইলে কি এখন দুজন চুটিয়ে প্রেম করো!’কিন্তু আমার জন গেল কই…
—-“নাফিয়া উপরে আছে…(মিতু)
—-“তুই দেখছিস…
—-“হুম…
—-“কেমন দেখতে রে যতই সুন্দর হোক আমি কিন্তু তিহানরে ছাড়া আর কাউরে বিয়ে করবো না,তোদের মতো আমার টাও মীরাক্কেল হলেই তো হতো রে…
—-“হুম বুঝতে পারছি আগে যা তো উপরে…
—-“যাবো বলছিস….
—-“হুম যা…
—-“ঠিক আছে তোরা থাক আমি যাই…
—-“হুম যা….
“তারপর নাফিয়া এক পা এক পা এগিয়ে গেল উপরে….
“আর নাফিয়া যেতেই মিতু রিককে জড়িয়ে ধরে বললঃ
—-“আমি কিন্তু আপনাকে ভালোবাসি….
“মুচকি হাসে রিক’!!তারপর সেও মিতুকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ
—-“আমিও ভালোবাসি….
“খুশি মনে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রইলো’!!
||
“একটা ব্লাক শার্ট পড়ে উল্টো দিক মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে একটা ছেলে’!!নাফিয়া পা টিপে চলে যায় ছেলেটার সামনে তারপর বলে উঠলঃ
—-“আই এম সো সরি একটু লেট হয়ে গেছে আমার…
“ছেলেটি চুপ!’
—-“দেখুন আমি আপনাকে কিছু কথা বলতে চাই সেটা হলো আপনি প্লিজ এই বিয়েটা করবেন না আসলে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে নাম তিহান যাকে আমি খুব ভালোবাসি তাই প্লিজ আপনি এ বিয়েটা কর….
“আর কিছু বলার আগেই ছেলেটি পিছন ঘুরে তাকালো’ নাফিয়ার দিকে’!!নাফিয়া ছেলেটির মুখ দেখে অটোমেটিক হা হয়ে গেছে’!!কারন ছেলেটি আর কেউ নয় আমাদের তিহান’!!নাফিয়া অবাক হয়ে বললোঃ
—-“তুমি….
—-“হুম আমি…
—-“কাল থেকে তোমার খোঁজ নেই কেন তুমি জানো কাল কতবার ফোন করেছি তোমায় আমি ফোনটা বন্ধ করে রেখেছিলে কেন…
—-“আরে আমি কি জানি কাল বাসায় ঢুকতেই হর্ঠাৎই আম্মু এসে বললো ওনারা নাকি আমার বিয়ে ঠিক করেছে,তারওপর রাত্রিও আমার ফোন নিয়ে গেছিলো আর দেয় নি….
—-“কি….
”এতক্ষণ পর নাফিয়ার মাথায় ঢুকলো কেন বাড়ির সবাই হুট করে তার বিয়ে ঠিক করেছে এর মানে বাড়ির সবাই তার জন্য তিহানকেই ভাবতেই খুশি লাগছে নাফিয়ার’!!কিন্তু এতকিছু করলো কে….
“হর্ঠাৎই কি ভেবে নাফিয়া তার ফোনটা হাতে নিয়ে কল করলো রাত্রির নাম্বারে’!!প্রথম কলেই ফোন তুললো রাত্রি’!!নাফিয়া কিছু বলার আগেই রাত্রি বলে উঠলঃ
—-“আমি জানতাম তুই আমায় কল করবি….
—-“তার মানে তুই….
—-“কেমন লাগলো সারপ্রাইজটা দোস্ত….
—-“এতসব তুই কি করে করলি….
—–“আসলে সেদিন বিকেলে আমি আব্বু আম্মু আর আঙ্কেল আন্টি মানে তোর বাবা মাকে একসাথে ডেকে সবটা বলে দিয়েছি’!!আর ওনারাও মেনে নিয়েছে তাই তোদের জন্য এই ছোট্ট সারপ্রাইজ কেমন দিলাম…
—-“ওরে দোস্ত তোর মতো একটা ননদ থাকলে আমার আর কি চাই জিও, উম্মাহ উম্মাহ উম্মাহ…..
—-“হইছে হইছে আর বলতে হবে না এখন তুই আর ভাইয়া প্রেম আলাপ কর রাখছি আমি…
“বলেই ফোনটা কেটে দেয় রাত্রি’!!নাফিয়া তো খুশি হয়ে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে তিহানকে’!!
—-“উড়ে জামাই আমি তো ভাবতেই পারি নি এমন কিছু একটা হবে…..
“বলেই তিহানের গালে চুমু দিয়ে বসে নাফিয়া’!!
“এদিকে নাফিয়ার কাজে শকট তিহান….
“কিছুক্ষন পর কি হলো তা নাফিয়া বুঝতে পেরে ঠোঁট কামড়ায়’!!তারপর দুজন একসাথে হেঁসে দিলো…
“বাহিরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির বইছে এক কথায় বললে “শ্রাবণ মেঘের বর্ষন” হচ্ছে…
“যার প্রতিটি ফোঁটায় বইছে নাফিয়া তিহান, রিক মিতুর হৃদয়ে এক অফুরন্ত ভালোবাসার ছোঁয়া….🌸
__________________________________________
______________________
!!
“মাঝখানে কাটলো ৩০ দিন ১২ ঘন্টা……..
“আজকে নাফিয়া তিহান আর রিক মিতুর বিয়ে’!!একটা বড় ক্লাব বুক করা হয়েছে ওদের জন্য’!!পুরো ক্লাবটাই খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে’!!সাথে সাজানো হয়েছে নাফিয়া আর মিতুকেও’!!আজকে নাফিয়া লাল রঙের কাতান কাপড়ের লেহেঙ্গা শাড়ি পড়েছে, চুলগুলো খোলা,সাথে গা ভর্তি গহনা,আর ভাড়ি মেকাপ এক কথায় অসাধারণ সুন্দর লাগছে তাঁকে…..!আর আমাদের তিহান পড়েছে সাদা রঙের সেরোয়ানি, চুলগুলো বরাবরের মতো খুব সুন্দর করে সাজানো,হাতে ঘড়ি অল্প সাজেই অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে’!!
“আর আমাদের আরেক জুটির মিতু পড়েছে নীল রঙের কাতান কাপড়ের লেহেঙ্গা শাড়ি, চুলগুলো খোপা করে ফুল দিয়ে সাজানো,সাথে গা ভর্তি গহনা,আর ভাড়ি মেকাপ এক কথায় তাকেও অসম্ভব সুন্দর লাগছে…..!আর আমাদের রিক পড়েছে ব্লাক রঙের সেরোয়ানি, চুলগুলো খুব সুন্দর করে সাজানো,হাতে ঘড়ি ব্যস এতটুকুতেই খুব সুন্দর লাগছে তাকে!’
.
.
.
“একটা গোল্ডেন কালারের জর্জেট লেহেঙ্গা সাথে সুন্দরভাবে সেজেগুজে হাতে অনেকগুলো ফুলের পাপড়ি নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছে রাত্রি’!!হর্ঠাৎই লেহেঙ্গায় পা বেজে পড়ে যেতে নেয় রাত্রি সাথে সাথে একটা ছেলে এসে ধরে ফেললো রাত্রিকে’!!রাত্রির হাতে থাকা সব ফুলের পাপড়িগুলো ছিঁটকে পড়ে গেল ওদের গায়ে’!!ঘটনাটা হুট করে হয়ে যাওয়াতে কেউ কিছুই বুঝতে পারলো না’!!হা হয়ে তাকিয়ে আছে রাত্রি ছেলেটির দিকে’!!কিছুক্ষন পর ছেলেটি বলে উঠলঃ
—-“আপনি ঠিক আছেন তো….
—-“হুম থ্যাংক ইউ…
—-“আপনাকে খুব চেনা চেনা লাগছে কোথায় দেখেছি বলুন তো….
“তারপর কিছুক্ষন ভেবেই ছেলেটি বলে উঠলঃ
—-“ওহ আপনি তো সেদিনের শপিং মলের সেই মেয়েটি আমার ঘড়ি আপনি নিয়েছিলেন….
“রীতিমতো দুজনেই অবাক বিষয়টায়’!!রাত্রি অবাক হয়ে বললোঃ
—-“আপনি এখানে কোন পক্ষে আপনি…
—-“আমি ছেলে পক্ষ….
—-“আপনি তিহান ভাইয়ার ফ্রেন্ড কিন্তু আগে তো দেখি নি…
—-“আপনার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে তিহান নয় আমি রিকের ফ্রেন্ড….
—-“ওহ…
—–“হুম তা এতো ফুল নিয়ে যাচ্ছেন কোথায়….
—-“আসলে আমার দুই বেস্টির বিয়ে আজ তাই দুজনের বাসর সাজাতে যাচ্ছি….
—-“ওহ আপনি চাইলি আমি কিন্তু আপনাকে হেল্প করতে পারি…
—-“সেটার আর দরকার নেই রুম সাজানো হয়ে গেছে জাস্ট এই ফুলগুলো দেওয়ার ছিল কিন্তু ফুলগুলো তো সব পড়ে গেছে, ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না আই ইউল মেনেজ আর ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে বাঁচানোর জন্য….
—-“ম্যানশন নট…
—-“ঠিক আছে পড়ে দেখা হবে….
“বলেই যেই না রাত্রি যেতে নিবে সাথে সাথে বলে উঠল ছেলেটিঃ
—-“এক মিনিট…
“থেমে যায় রাত্রি তারপর বললো সেঃ
—-“হুম বলুন…
—-“আপনার নামটা…
“মুচকি হেঁসে বললো রাত্রিঃ
—-“রাত্রি আর আপনার…
“খুশি হয় ছেলেটি তারপর মুচকি হেঁসে বলে সেঃ
—-“আমি জিসান….
“তারপর চলে যায় দুজনেই দু’দিকে!’
_________________
“তেমন কোনো ঝামেলা ছাড়াই কাজী বিয়ে পড়াচ্ছে নাফিয়া, তিহান আর রিক মিতুর!’আজকে সবাই খুশি এমনকি রিয়াও,কারন সে বুঝে গেছে সবসময় নিজের জন্য অন্যের ক্ষতি করতে নেই কারন এতে না সে খুশি হতো আর না তিহান…..! তাই যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে, তার জন্যও কেউ না কেউ আছে যে তাকে খুব ভালোবাসবে, আর এটার জন্য প্রয়োজন শুধু একটু অপেক্ষার,যেটা করতে রাজি রিয়া….
“কবুল বলার মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হলো নাফিয়া তিহান আর রিক মিতুর’!!আর এই বিয়ে নামক পবিএ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েই নতুনভাবে নতুন জীবন শুরু করবে তিহান নাফিয়া আর রিক মিতু!’🤗💖
“হর্ঠাৎই রাত্রি বলে উঠলঃ
—-“এটা কি হলো আমার দুই বেস্টিরই বিয়ে হয়ে গেল এখন আমার কি হবে…
“রাত্রির কথা শুনে রাত্রির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিসান বলে উঠলঃ
—-“আপনি চাইলে আমরাও কিন্তু বিয়েটা করে ফেলতে পারি….
“জিসানের কথা শুনে মুচকি হাসলো রাত্রি সাথে জিসানও!’
“হয়তো এই হাসির মাঝেই নতুন ভাবে তৈরি হবে এক নতুন ভালোবাসার গল্প!’🤗💖
“হয়তো আবারো নতুন ছন্দে ঘটবে এক ”শ্রাবণ মেঘের বর্ষন”…. 🍁
“সমাপ্ত….🌹🌹
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আশা করি গল্পটা সবার ভালো লেগেছে’!!কার কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে কিন্তু’!!হুট করেই গল্পটা শুরু করেছিলাম আবার হুট করেই শেষ করে দিয়েছি’!!আর এই হুটহাট জিনিসটা করতে আমার খুব ভালো লাগে তাই শেষ করে দিলাম’!!
“আবারো দেখা হবে নতুন গল্প নিয়ে ততদিন সবাই সুস্থ থাকো ভালো থাকো]
~ আল্লাহ হাফেজ…💖
#TanjiL_Mim♥️