#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা : মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ১৮
অভিদ, রায়হান, তুষার, নিরব পার্টি শেষে বেড়িয়ে আসলো। এবার আগের থেকেও দ্বিগুণ ভির রয়েছে। গার্ডরা কোনোরকমে ওদের নিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে স্টার্ট দেয়।
আখিল গাড়িতে বসে রাগে ফুসফুস করছে। তার কোম্পানি এখন টপ ২ তে রয়েছে সেই বিষয়ে খুশি হলেও অভিদের বলা প্রত্যেকটা শব্দ যেন ওর গায়ে কাটার মতো বিঁধেছে।
আখিল রাগে রি রি করতে করতে বলে
” রুহির, অভিদের প্রত্যেকটা সেকেন্ডের খবর আমার চাই। দরকার পরলে ওদের বাড়িতে গুপ্তচর পাঠাও। ”
আশিক আমতা আমতা করে বলে
” বাট স্যার !! অভিদ রায়জাদা যদি জানতে পারে তাহলে কি হবে ??”
আখিল আশিকের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর ভাবে বলে
” এমন ভাবেই পাঠাবে যাতে জানতে না পারে। বুঝেছো ??” আশিক মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলে।
অভিদরা বাড়ির সামনে পৌছতেই গার্ডরা গাড়ি খুলে দেয়। অভিদ, রায়হান, তুষার তিনজন হাসি মুখে গাড়ি বের হয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে। গার্ড কলিংবেল বাজাতেই সার্ভেন্ট এসে দরজা খুলে দেয়। অভিদ, রায়হান, তুষার ভেতরে ঢুকে ড্রইংরুমের দিকে তাকাতেই তিনজনের চোখ বড় বড় হয়ে যায়।
ড্রইংরুমের যাচ্ছে তা অবস্থা। ফ্লোরে অনেক গুলো চকলেটের প্যাকেট, চিপসের প্যাকেট পড়ে আছে, আইসক্রিম বক্স কয়েকটা ফ্লোরে আর কয়েকটা টেবিলের উপর। সোফার কুশনের অবস্থাও খারাপ। কুশন গুলো ছিড়ে ভেতরের তুলে ফ্লোরে পড়ে আছে। কয়েকটা কুশন ছেড়া হয়নি এখনও বেচে আছে তবে নিচে পড়ে আছে।
পপকর্ন ফ্লোরে, টেবিলে, সোফায় সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। টিভিতে কার্টুন চলছে। রুহি আর অনি দুই সোফায় দুজন গুটিসুটি মেরে বাচ্চাদের মতো ঘুমিয়ে আছে। রুহি একটা কুশন দিয়ে মুখ ডেকে রেখেছে, অনি একটা কুশন বুকের উপর রেখে সেটা জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে।
রায়হান বিস্ময় নিয়ে বলে
” ভাই !! এটা কি দেখছি আমি ?? এরা দুজন ড্রইংরুমটা কে কি করেছে !! আল্লাহ !! ”
অভিদ চিৎকার করে সব সার্ভেন্টকে ডাকে। অভিদের চিৎকার শুনে সবাই একদৌড়ে অভিদের সামনে এসে মাথা নিচু করে এক লাইনে দাঁড়িয়ে পরে। অভিদ গম্ভীর গলায় বলে
” এই অবস্থা কেন ড্রইংরুমের ?? তোমাদের কি এমনি এমনি রেখেছি ?? এসব পরিষ্কার করবে কে ?? ”
একজন সার্ভেন্ট ভয়ে কাপতে কাপতে বলে
” স্যার আমরা পরিষ্কার করতে গিয়েছিলাম কিন্তু ম্যামরা বলেছে তারা নিজেরা পরিষ্কর দের পরিষ্কার করে নেবে। আমরা অনেকবার বলেছিলাম আমরা করবো কিন্তু ম্যাম আমাদের ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমাদের পরিষ্কার করতে দেয়নি আর একটু আগে ওনারা ঘুমিয়ে পরেছে।”
অভিদ একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেললো। আজকে একটা ভালো দিন তাই রাগলো না। রায়হান আর তুষার মুখ টিপে হাসছে। রায়হান সার্ভেন্টকে বলে
” ঠিকাছে যাও যার যার কাজে যাও আর সব পরিষ্কার করো। ” সার্ভেন্টরা মাথা মেড়ে চলে যায়।
অভিদ সোফার কাছে এসে কোমড়ে হাত দিয়ে দুজনের দিকে তাকায়। অভিদ রায়হানকে বলে
” ওই অনিকে রুমে দিয়ে আয় ”
রায়হান মেয়েদের মতো ভেংচি কেটে অনিকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে যায়। তুষার অভিদের এওয়ার্ডটা নিয়ে অভিদের স্টাডি রুমে রেখে নিজের রুমে চলে যায়। অভিদ রুহিকে কোলে উঠিয়ে নিয়ে রুমে পা বাড়ায়।
রুহিকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে ব্ল্যাংকেট দিতেই রুহি ব্ল্যাংকেট জড়িয়ে নিজেকে ডেকে শুয়ে পরে। অভিদ হালকা হেসে ফ্রেশ হতে চলে যায়।
ফ্রেশ হয়ে এসে রুহির পাশে শুয়ে পড়ে।
অভিদ একঘন্টা রেস্ট করে নেয়। রাত ১২টা বাজে। অভিদ রুহির দিকে তাকিয়ে দেখে রুহি ঘুমিয়ে আছে। অভিদ রুহির ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। রুহির ঘুমন্ত মুখটা সবসময়ই অভির পছন্দ। শুধু পছন্দ না অতি প্রিয়। তাকিয়ে থাকতে থাকতেই কিছু সময় পার হয়ে গেলো। অভিদ আস্তে আস্তে রুহিকে ডাকতে থাকে। কয়েকবার ডাকতেই রুহি ঘুম ঘুম চোখে অভির দিকে একবার তাকিয়ে আবার হাই তুলে ঘুমিয়ে পড়ে। কয়েক সেকেন্ড যেতেই রুহি লাফিয়ে উঠে বসে অভিদের দিকে তাকায়।
রুহি অবাক হয়ে বলে
” আপনি কখন এসেছেন ?? আমাকে ডাকবেন তো নাকি ??”
অভিদ কপালে পড়ে থাকা চুল গুলো হাত দিয়ে পেছনে ঠেলে খাটে হেলান দিয়ে বলে
” কিভাবে বলবো ?? তুমি আর অনি বিশ্বতাণ্ডব করে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরেছিলে। ডাকবো কি করে ”
রুহি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো। অভিদের কথার মানে বুঝতে পারেনি। একটু ভাবতেই কথার মানে বুঝতে সক্ষম হলো। জিভে কামড় দিয়ে তড়িঘড়ি ভাবে বলে
” সরি আমি মানে আমরা মুভি, কার্টুন দেখতে দেখতে এই অবস্থা হয়েছে। ”
অভিদ বিছানা থেকে নেমে বলে
” ঠিকাছে এখন চলো ডিনার করতে যেতে হবে। ”
রুহি ওয়াসরুমের দিকে যেতে যেতে বলে
” আপনি জান আমি আসছি ফ্রেশ হয়ে। ” বলে ওয়াসরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়।
অভিদ হুম বলে রুম থেকে বেড়িয়ে নিচে চলে আসে।
নিচে নামতেই দেখে অনি তার রুম থেকে ঘুমে ঢলতে ঢলতে বের হচ্ছে। অভি বিরক্ত হয়ে বলে
” অনি !! ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে হয় তো নাকি। যাও ফ্রেশ হয়ে এসো এখন ডিনার করবে ” অনি হাই তুলে আবার রুমের দিকে চলে যায়। অভিদ রায়হান আর তুষারকে ডাকতেই দুজন এসে টেবিলে বসে। কিছুক্ষণ পরে রুহি আর অনি আসতেই সবাই খাওয়া শুরু করে।
খাওয়া শেষ করে সবাই যার যার রুমে চলে যায়।
সকালে রুহি ঘুম থেকে উঠে দেখে অভিদ পাশে নেই। অভিদ আগেই ঘুম থেকে উঠে পরেছে ভেবে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে যায়। নিচে গিয়ে রুহি অবাক হয়ে যায়।
ড্রইংরুমে অনেক মানুষ। দেখে সবাইকে গার্ড মনে হচ্ছে। অভিদ তাদের সাথে কথা বলছে। আর তুষার হাতে খাতা নিয়ে কিছু লোক বাইরে থেকে অনেক জিনিস আনছে সেগুলো দেখছে। দেখে মনে হচ্ছে মূলত ডেকোরেশনের মাল। আর রায়হান একটা লোকের সাথে কথা বলছে।
রুহি সোফায় বসা অনির পাশে গিয়ে বসে পড়ে। সামনের সোফায় একজন মেয়ে বসে আছে আর অনির সামনেদ টেবিলে অনেক লেহেঙ্গা, গাউন রয়েছে। অনি একটা একটা করে দেখছে। রুহি অনির কানে ফিসফিস করে বলে
” আজকে সকাল সকাল এখানে এতো লোক কেনো ?? আর তুমি কিসের জন্য ড্রেস দেখছো ” অনি রুহির কথা শুনে হেসে দেয়।
রুহির মতো ফিসফিস করেই বলে
” আজকে বাড়িতে পার্টি আছে সেটার জন্য এতো লোক। মেজো (রায়হান) ভাইয়া ডেকোরেশনের অফিসের ম্যানেজারের সাথে কথা বলছে। কিভাবে কি করতে হবে সেটা বলছে আর তুষ (তুষার) ভাইয়া সব জিনিস ঠিক আছে কিনা সেটার লিস্ট দেখছে। আর ভাইয়া নতুন গার্ডদের সাথে কথা বলছে। ”
রুহি মুখ ফুলিয়ে বলে
” আজকে পার্টি আছে সেটা তো বললো না আমায়। আচ্ছা কিসের পার্টি ??”
অনি খুশি হয়ে উৎফুল্ল কন্ঠে বলে
” আরে ভাবি কালকে যে ভাইয়া এওয়ার্ড আর ডিল পেয়েছে সেটার জন্যই পার্টি।এটা প্রতি বছরই হয় তবে আমি তো কয়েকবছর ধরে ছিলাম না তাই আজকে একটু এক্সাইটেড। আর এসব ড্রেস তারজন্যই দেখছি ” রুহি এবার বুঝতে পারে এতো কিসের আয়োজন। অনি আবার ড্রেস দেখতে থাকে। রুহিও অনিকে হেল্প করতে থাকে।
অভিদ কথা শেষ করে দেখে রুহি অনির সাথে বসে ড্রেস দেখছে।রুহিকে এখানে দেখে অভিদের মাথা রাগ চড়া দিয়ে বসলো। অভিদ রুহির সামনে গিয়ে রেগে বলে
” তুমি এখানে বসে আছো কেনো ?? যাও ব্রেকফাস্ট করে এসো।”
রুহি অভিদের দিকে না তাকিয়ে ড্রেস দেখতে দেখতে বলে
” পরে ব্রেকফাস্ট করবো ” রুহির কথায় অভিদ আরও গেলো। অভিদ রুহির হাত চেপে ধরে সেখান থেকে উঠিয়ে টেনে এনে নিয়ে যেতে থাকে। রুহি অবাক হয়ে জোড়ে বলে
” আরে আরে কি করছেন আমি বলেছি তো পরে করে নেবো। প্লিজ ”
অভিদ ধমক দিয়ে বলে
” চুপ !! ১০ টা বাজে আর কতো পরে ব্রেকফাস্ট করবে। চুপচাপ খেতে বসবে নাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। ” অভিদ টেবিলের কাছে এনে রুহিকে চেয়ার টেনে বসিয়ে দেয়। রুহি মুখ বাকিয়ে ব্রেকফাস্ট করতে থাকে।
অভিদ রুহিকে খেতে বসিয়ে অনির কাছে এসে একটা ড্রেস হাতে নেয়। ড্রেসটা অভিদ আগে থেকেই দেখেছে রুহির জন্য। অভিদ অনির হাতে লেহেঙ্গাটা দিয়ে বলে
” এই নে এটা রুহির জন্য। এটা রুহিকে দিবি ”
অনি লেহেঙ্গা পুরোটা খুলে হা করে তাকিয়ে থাকে। অনি অবাক হয়ে বলে
” ওয়াও ভাইয়া লেহেঙ্গাটা খুব সুন্দর। তোমার পছন্দ তো অনেক ভালো !! আচ্ছা আমাকেও একটা সিলেক্ট করে দাও। আমার একটাও পছন্দ হচ্ছে না। ” অনির গোমরা মুখ দেখে অভিদ হালকা হাসে। কয়েকটা ড্রেস দেখে একটা সুন্দর লেহেঙ্গা বের করে অনির হাতে দেয়। অনি গালে হাত দিয়ে হা করে বলে
” টুরু ভাইয়ায়ায়া। অনেক সুন্দর লেহেঙ্গা। আমার একঘণ্টা ধরে পছন্দ হচ্ছে না আর তুমি ১ মিনিটেই পছন্দ করে দিয়েছো। লাভ ইউ ভাইয়া।”
অভিদ মুচকি হেসে অনিকে জড়িয়ে ধরে।
রায়হান এসে অভিদকে বলে
” অভিদ এদিকে আয় কথা আছে।” অভিদ অনিকে ছেড়ে রায়হানের কাছে এসে বলে
” কি হয়েছে ?? ” রায়হান ঢোক গিলে বলে
” মানে.. আবার ড্রাগস পাচার করা হচ্ছে। খান কোম্পানিরই পুরাতন আরেকটা গোডাউনে বিভিন্ন প্রোডাক্টের নিচে ড্রাগস রাখা হচ্ছে যাতে কেউ বুঝতে না পারে। এখনও মিস্টার খান জানে না ”
অভিদ গম্ভীর গলায় বললো
” চল গোডাউনে যাবো ” রায়হান মাথা নেড়ে বের হয়ে যায়। অভিদ রুহির কাছে গিয়ে দেখে রুহি এখনও আস্তে আস্তে খাচ্ছে। অভিদ হালকা ধমক দিয়ে বলে
” রুহি !! তাড়াতাড়ি খাও। ঝিমিয়ে খাচ্ছো কেনো। আমি বাইরে যাচ্ছি। তুষার আছে তুষারকে বলে যাচ্ছি আমি। যদি ৫ মিনিটে খাবার শেষ না করো তাহলে আমি এসে কি করবো দেখবে, বুঝেছো ??”
রুহি মাথা নেড়ে খাওয়া শুরু করে। অভিদ তুষার অনিকে বলে বেড়িয়ে যায়।
রুহি তাড়াহুড়ো করে দুই মিনিটে খাওয়া শেষ করলো। হাত ধুয়ে আবার অনির কাছে গিয়ে বসলো। অনি রুহিকে দেখে অভিদের দেওয়া লেহেঙ্গাটা রুহির হাতে দিলো। রুহি ভ্রু কুচকে বলে
” কি হয়েছে এটা আমাকে দিয়েছো কেনো?? ”
অনি নিকের লেহেঙ্গা হাতে নিয়ে বলে
” এটা তোমার জন্য ভাইয়া পছন্দ করেছে আর আমার জন্য এটা। আজকে আমরা দুজন এই দুইটা পরবো। ” রুহি মুচকি হাসি দিয়ে লেহেঙ্গার দিকে তাকালো। লেহেঙ্গাটা অনেক সুন্দর দেখে রুহি খুশি হয়ে গেলো। অনি তার রুমে চলে গেলো। রুহি নিজের লেহেঙ্গা পাশে রেখে ড্রেস গুলো থেকে অভিদের জন্য মেচিং আর সুন্দর একটা শেরওয়ানী নিয়ে রুমে চলে আসে। রুমে এসে দেখে একজন ছেলে সার্ভেন্ট কাজ করছে।
রুহি না বলে লেহেঙ্গা আর শেরওয়ানী টা আলমারিতে রেখে বিছানায় বসে মিশুকে ফোন করে কথা বলতে থাকে।
অভিদের গাড়ি খান কোম্পানির গোডাউনের সামনে দাঁড়িয়েছে। অভিদ, রায়হান, গার্ডরা সবাই গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে গোডাউনের ভেতর ঢুকে গেলো। অভিদ ভেতরে ঢুকতেই দেখতে পেলো সব লোকেরা বক্সের ভেতরে ড্রাগস রেখে তার উপর কোম্পানির মাল গুলো রাখছে। অভিদ রেগে গান বের করে বক্সে গুলি ছুড়তে লাগলো। সব লোক গুলো হঠাৎ আওয়াজ শুনে আতকে উঠলো। লোক গুলো একেক জন অভিদকে দেখে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে পালানোর জন্য। গার্ডরা এসে সবাইকে ধরে মারতে লাগলো।
রায়হান একটা লোকের কলার ধরে চেচিয়ে বলে
” বল কোথায় তোদের বস ?? ডাক তাকে। ”
লোক টা হাত জোড় করে মিনতি স্বরে বলে
” প্লিজ স্যার ছেড়ে দিন আমাদের আমি বলছি কোথায় বস। বস ভেতরের রুমে কারো সাথে দরকারি কথা বলছে। আমাকে ছেড়েদিন আমি আপনাকে বলেছি তো”
রায়হান কলার ছেড়ে একটা! থাপ্পড় মেরে বলে
” যা বেরো এখান থেকে ” লোকটা দৌড়ে বেড়য়ে গেলো।
অভিদ গোডাউনের ভেতরের রুমে গিয়ে দেখে সেখানের দরজা চাপানো ভেতর থেকে গলার আওয়াজও আসছে। অভিদ নিঃশব্দে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে লোকটা পেছনে দাঁড়িয়ে রইলো। লোকটা কাউকে ফোনে বলে
” স্যার আপনার দেওয়া সব মাল সেল হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু ডেলিভারি করা বাকি সেটাও আমি কয়েকদিনের মধ্যে হয়ে যাবে। স্যার আপনি নতুন মাল পাঠিয়ে দিন আর আমাদের সেলারিও পাঠিয়ে দেবেন প্লিজ ” লোকটা ওপরপাশের উত্তর শুনে ফোন কেটে দিলো। লোকটা পাছনে ঘুরার সাথে সাথে অভিদ কপাল আর বুক বরাবর গুলি করে, অভিদ লোকটাকে ধরে রুমের বাইরে নিয়ে এসে আরও তিনটা গুলি করে সারাজীবনের জন্য চোখ বন্ধ করিয়ে দেয়।
অভিদ, রায়হান গার্ডরা কাজ সব শেষ করে গোডাউন থেকে বেড়িয়ে পরে। গাড়িতে উঠে অভিদকে কিছু নিয়ে ভাবতে দেখে রায়হান বলে
” কিরে কি ভাবছিস তুই ”
অভিদ রায়হানের কথায় উত্তর দেয় না। কিছুক্ষণ পর বলে
” আমার মনে হচ্ছে এই লোকদের উপরে কেউ একজন আছে। যে ওদের বস। নাহলে খান কোম্পানিতেই দুই দুইবার ড্রাগস পাচারের লোক পাওয়া যেতো না। মনে হচ্ছে দুজনই একজনেরই লোক। আর সে বড় কোনো খেলোয়াড়। এন্ড বাইরের কান্ট্রিরও কেউ হতে পারে। তুই খোজ খবর নেওয়া শুরু কর। ”
রায়হান সামনের দিকে তাকিয়ে বলে
” হতেই পারে। আমি দেখছি, সব খোজ নিচ্ছি। ”
রায়হাম, অভিদ বাড়িতে ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে আবার কাজে লেগে পরে। সন্ধ্যার আগেই সব কাজ শেষ হয়ে যায়। অভিদরা সবাই তৈরি হতে চলে যায়।
চলবে…