মাফিয়া ক্রাশ বর পর্ব-২১

0
2470

#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা : মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ২১

হঠাৎ দেখলো কারেন্ট চলে গিয়েছে। অভিদ বুঝলো না কিছুই। বাড়িতে আইপি এস থাকা সত্তেও কারেন্ট চলে গিয়েছে ব্যাপারটা সন্দেহজনক হয়ে উঠলো।

এদিকে রুহি কারেন্ট যেতে দেখে ভয় পেয়ে অভিদকে ডাকতে নিলেই পেছন থেকে কেউ মুখ চেপে ধরে। রুহি উম উম করতে করতেই পেছন থেকে হাতও চেপে ধরে রুহিকে টেনে তাড়াতাড়ি করে অন্ধকারের মাঝেই নিয়ে যেতে থাকে। রুহি চেষ্টা করেও থামাতে পারলো না। রুহির চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরলো।

অভিদ ফোনের লাইট জ্বালিয়ে রুহি যেখানে দাড়িয়ে ছিলো সেখানে আসলো। রুহিকে না দেখে ভ্রু কুচকে আসে। অভিদ অন্য সাইডে যেতে যেতে গলা ছেড়ে ডেকে উঠে
” রুহি !! রুহি !! কোথায় গেলে তুমি ?? রুহি ??” অভিদ রুহির নাম ধরে ডেকে ডেকে পুরো ছাদ দেখে নিলো কিন্তু কোথাও রুহিকে পেলো না। ভয়ে অভিদের কপাল দিয়ে ঘাম ঝরছে। কোথায় ছাদ থেকে কোথায় উধাও হয়ে গেলো বুঝতে পারছে না। অভিদ দৌড়ে রুহিকে ডাকতে ডাকতেই নিচে যেতে থাকে। নিচের সিরিতে আসতেই পুরো বাড়িতে আবার আলো চলে আসলো। অভিদ তাড়াতাড়ি করে তার রুমে গেলো রুমে গিয়েও খুজে পেলো না। তারপর নিচে আসে। ড্রইংরুমে অনি, তুষার, রায়হান বসে থাকতে দেখে। অভিদ তাদের সামনে গিয়ে ঢোক গিলে বলে
” রুহিকে দেখেছিস ?? ওকে ছাদে, রুমে কোথাও খুজে পাচ্ছি না।” তিনজন অবাক হয়ে উঠে দাঁড়ায়। অভিদকে এরকম দেখে অনেক অবাক হয়েছে সাথে অভিদের কথা শুনে আরও অবাক হয়েছে।
রায়হান অবাক হয়ে বললো
” রুহি কোথায় যাবে ?? আমরা তো এখানেই বসে ছিলা রুহিকে কোথাও যেতে দেখিনি। আর তোকে এমন লাগছে কেনো ??”

অভিদ তার চুল টেনে ধরে দাতে দাত চেপে বলে
” তাহলে কোথায় যেতে পারে রুহি ?? আর আইপি এস থাকা সত্ত্বেও আলো কারেন্ট গেলে জ্বলেনি কেনো ?? ”
তুষার চিন্তিত হয়ে বলে
” সেটা তো আমিও ভাবছিলাম !! দুদিন আগেও তো নতুন করে আইপিএস লাগিয়েছিলাম তাহলে অন হয়নি কেনো। আমার মনে কেউ অফ করেছে ফেলেছে নাহলে এমন হওয়ার কথা নয় ”

অভিদ তার পা জোড়া চালিয়ে বেড়িয়ে যেতে যেতে রায়হান আর গার্ড দের বলে আসতে।
অভিদ, রায়হানকে নিয়ে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরলো। গার্ড দের একেক রাস্তায় পাঠিয়ে দিলো।
রুহিকে খুজে বের করতে। রায়হান ভ্রু কুচকে বলে
” তুই এমন করছিস কেনো রুহি বাড়ি ছেড়ে কোথায় চলে যাবে ??”

অভিদ সামনে তাকিয়ে ড্রাইভ করতে করতে বলে
” চলে যাবে না নিয়ে গিয়েছে ওই আখিল নিয়ে গিয়েছে রুহিকে। কারেন্টের সুইচ অফ করে রুহিকে অন্ধকারের মাঝে নিয়ে গিয়েছে। রুহিকে তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করতে হবে ” অভিদের কথায় রায়হানও চিন্তাত পরে গিয়েছে। অভিদ অনেক স্পিডে গাড়ি ড্রাইভ করছে। সব রাস্তায় চেক করছে। গার্ড ফোন করে বলেছে এখনও পায়নি।

কিছুক্ষণ পরে অভিদ ড্রাইভ করতে করতে খেয়াল করলো একটা গাড়ি দেখেছে অভিদ। তাড়াতাড়ি ড্রাইভ করায় সেটা প্রথমে খেয়াল করেনি। এখন খেয়াল আসতেই গাড়িরকালার মনে করে দেখলো সেটা আখিলের গাড়ি। অভিদ গাড়ি বাকা হেসে গাড়ি ঘোরাতে থাকে। রায়হানেরও এখন খেয়াল আসলো রায়হান কিছুটা আতংকিত গলায় বলে
” অভিদ একটা গাড়ি দেখলাম মনে হলো বড় কোনো এক্সিডেন্ট করেছে। গাড়িটা থেকে ধোয়াও বের হচ্ছিলো” অভিদ ভ্রু কুচকে তাকায়। আখিলের গাড়ির কালার মনে করতে পারলেও এক্সিডেন্ট হয়েছে নাকি সেটা খেয়াল করেনি।

অভিদ আবার স্পিড বাড়িয়ে ড্রাইভ করে কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌছায়। গাড়ি থেকে বের হয়ে দৌড়ে সেই গাড়ির সামনে যায় দুজন। দেখে আখিলের গাড়ি রাস্তার গাছের সাথে বাড়ি খেয়েছে। গাড়ির অবস্থা কিছুটা খারাপ। অভিদের মনে ভয় ঢুকে গেলো। অভিদ ভয় নিয়ে বলে উঠে
” রুহির কিছু হয়নি তো ??” বলে অভিদ গাড়ির সামনে যায়। রায়হান গিয়ে আখিলকে গাড়ি থেকে বের করে। আখিলের মাথা অনেক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। অভিদ পুরো গাড়ি সার্চ করে দেখলো কিন্তু রুহিকে পেলো না। অভিদ রায়হানের কাছে এসে ভাঙা গলায় বলে
” র রুহি তো গ গাড়িতে নেই !!” রায়হান অবাক হয়ে গেলো অভিদের কথা শুনে।
রায়হান ক্ষিপ্ত সুরে বলে উঠে
” মানে কি রুহি কোথায় যাবে ?? আখিলই তো রুহিকে নিয়ে এসেছে তাহলে রুহির তো এখানেই থাকার কথা। তুই ভালো করে দেখেছিস ??”

অভিদ রেগে গাড়িতে লাথি মেরে বলে
” না নেই। কোথায় যেতে পারে রুহি ?? তুই একে নিয়ে হসপিটালে যা, আমি গার্ডদের নিহে রুহিকে খুজছি।” রায়হান কিছু বলতে গেলেই অভিদ বাধা দিয়ে বলে
” প্লিজ যা তুই। আমি এদিকটা দেখছি। ওর জ্ঞান ফিরলে আমাকে জানাবি। ” রায়হান মাথা নেড়ে তাড়াতাড়ি করে আখিলকে গাড়িতে বসিয়ে হসপিটালে রওনা দেয়। আর অভিদ গার্ডদের ফোন দিয়ে জানায় গাড়ির এক্সিডেন্টের জায়গায় আসতে আর কয়েকজনকে রায়হানের সাথে যেতে বলে।

অভিদের নিজেকে একদম অসহায় লাগছে। রুহিকে কি করে হারিয়ে ফেললো সেটা ভাবতেই নিজের উপর রাগ লাগছে। গার্ডরা আসতেই অভিদ তাদের নিয়ে রুহিকে খোজা শুরু করলো। খুঁজতে খুঁজতে পুলিশকে ইনফরম করে দিয়েছে।

রায়হান আখিলকে হসপিটালে ভর্তি করে ফেলেছে। ডক্টর আখিলের ট্রিটমেন্ট করছে এখনও। রায়হান রুহির জন্য চিন্তা করছে। কিছুক্ষণ পরে ডক্টর বের হয়। রায়হান তাকে দেখে তার কাছে গিয়ে বলে
” আখিল ঠিকাছে তো ?? জ্ঞান ফিরবে কখন ?? ”

ডক্টর সৌজন্যতার হাসি দিয়ে বলে
” ওনার অল্প ক্ষত হওয়ায় বেশি কিছু হয়নি। এখন ঠিকাছে তবে রেস্ট নিতে হবে আর ওনার জ্ঞান ফিরেছে কথা বলতে পারবেন।” বলে চলে গেলো। রায়হাম জটজলদি অভিদের নাম্বারে কল লাগায়।
অভিদ রায়হানের নাম্বার দেখে রিসিভ করে রাগি গলায় বলে
” আখিলের জ্ঞান ফিরেছে ??”
রায়হান অস্থির হয়ে বলে
” হ্যা জ্ঞান ফিরেছে, তুই স্পেশাল কেবিনে আয়। আর রুহিকে পেয়েছিস ??”
অভিদ চোখ দুটি আঙুল দিয়ে চেপে ধরে বলে
” না এখনও পাইনি। পুলিশকে ইনফরম করেছি ওরা এসে পরেছে আমি এখনি আসছি হসপিটালে ” বলে কল কেটে দেয়।
অভিদ পুলিশকে রুহির একটা ছবি দিয়ে গাড়ি নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

অভিদ ড্রাইভ করছে আর বিরবির করে বলছে
” প্লিজ রুহি ফিরে এসো। প্লিজ !! খুব ভালোবাসি। তাড়াতাড়ি ফিরে এসো আমার কাছে। আমার একদম ভালো লাগছে না তোমাকে ছাড়া। আজকে মনে হচ্ছে তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি আমি। কিন্তু তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। তুমিও তো আমাকে ভালোবাসো তাহলে প্লিজ রুহি ফিরে এসো।” অভদ মনের ভেতরে ভেঙে পরছে। আগের বার এমন মনে হয়নি কিন্তু এবার মনের মধ্যে রুহিকে হারানোর ভয় কাজ করছে।

অভিদ কোনো রকমে হসপিটালে পৌছালো। হন্তদন্ত হয়ে রায়হানের বলা কেবিনে চলে গেলো। গিয়েই আখিলের কলার চেপে ধরে। রায়হান আএ আশিক দৌড়ে আসে। রায়হান অভিদের হাত ধরে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে
” আরে কি করছিস কি। ছাড় ”
অভিদ আখিলের কলার ধরে উপরে উঠিয়ে চেচিয়ে বলে
” ছাড়বো না ওকে। বল আমার রুহি কোথায় ?? কোথায় রেখেছিস রুহিকে ?? বল কোথায় রুহি ? বল ??” আশিক আর আখিলের গার্ডরা অভিদের কাছে আসতে নিলেই আখিল হাতের ইশারায় থামিয়ে দেয়। তারপর অভিদের দিকে তাকিয়ে আখিল কিছুটা কাতর কন্ঠে বলে উঠে
” প্লিজ অভিদ ছাড় আমাকে। আমি সব বলছি তোকে।”

আখিলের কথায় অভিদ রেগে কলার ঝাড়া দিয়ে ছেড়ে দেয়। অভিদ রেগ পাশের চেয়ারে লাথি মারে। আখিল বেড থেকে নেমে অভিদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে
” আমি তোর বাড়ির কারেন্টের মেইন লাইন অফ করে ছাদ থেকে রুহিকে ধরে নিয়ে আসি। রুহিকে নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম রুহি অনেক কাঁদছিল আর চলন্ত গাড়ি থেকে নামতেও চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি রুহির হাত ধরে রেখেছিলাম। তারপর এক্সিডেন্ট সেখানে হয়েছিলো সেই রাস্তায় আসার আগেই দেখেছিলাম একটা গাড়ি আসছে আমার গাড়ির পেছনে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম গাড়িটা তোর গাড়ি কিন্তু পরে গাড়ি চালানো দেখে আর গাড়িটা লাইটের আলোতে আসাতে দেখলাম ওটা তোর গাড়ি না। গাড়িটা উল্টো পাল্টা ভাবে চলছিলো। আমার মনে হচ্ছিলো যে গাড়ি চালাচ্ছিলো সে ড্রিংক করেছিলো। আমি সেদিকে না তাকিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎ করে সেই গাড়িটা উল্টো পাল্টা ভাবে চালিয়ে আমার গাড়ির সাথে এসে আমার গাড়িকে ধাক্কা দেয় আর ভাগ্যবসত সেখানে গাছ ছিলো তাই গাড়িটা গাছের সাথে বাড়ি খায় নাহলে রাস্তার নিচে পরতো। আমিও ব্যাথা পাই আর রুহিও ব্যাথা পায়। রুহি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো। রুহির কাছে যাওয়ার জন্য আমি সিটবেল্ট খোলার চেষ্টা করতে থাকি। কিন্তু কোথা থেকে সেই গাড়ি থেকেই একটা ছেলে নেমে আসে। ঝাপসা চোখে তাকে দেখে আমি সিউর হই ছেলেটাই গাড়ি চালাচ্ছিলো আর ড্রাংক ছিলো। ছেলেটা একবার আমার কাছে আসে আবার রুহিকে দেখে রুহির কাছে গিয়ে গাড়ির ডোর খুলে রুহিকে কোলে তুলে নিয়ে এলো মেলো পায়ে তার গাড়িতে উঠিয়ে সেই রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। আমি চেষ্টা করেও গাড়ি থেকে বের হতে পারিনি তার আগেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। ”

অভিদ চিৎকার করে উঠে আবার আখিলের কলার চেপে ধরে চেচিয়ে বলে
” কোথায় চলে গিয়েছে রুহিকে নিয়ে ?? রুহির কিছু হলে আর ওকে না পেলে তোকে আমি মেরে ফেলবো।” আখিল অভিদের হাতের উপর হাত রেখে ভাঙা গলায় বলে
” বিশ্বাস কর ভাই আমি জানি না কোথায় গিয়েছে। রুহিকে আমি ভালোবাসি ওকে নিয়ে আমি বিদেশে চলে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু এমন কিছু হবে ভাবতেও পারিনি।” অভিদ ঝাড়া দিয়ে আখিলকে ছেড়ে দেয়। আখিল পেছন দিকে পরতে নিলে আশিক ধরে ফেলে।

অভিদ বেডের পাশের টেবিলটা হাত দিয়ে উল্টিয়ে ফেলে টেবিলের উপর থাকা কাচের জগ আর গ্লাস দুইটা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। অভিদ হাটু ভেঙে বসে পরে। রায়হান অভিদের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে অভিদের কাধে হাত রাখতেই অভিদ ছলছল চোখে রায়হানের দিকে তাকায়। রায়হানের মনে একটা ঝড় বয়ে গেলো অভিদকে কোনোদিন এমন চাবে দেখেনি। রায়হান অভিদকে দাড় করিয়ে বলে
” এভাবে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের রুহিকে খুঁজতে হবে চল ” অভিদ বড় একটা শ্বাস নিয়ে নিজেকে একটু ঠিক করে কেবিন থেকে বেড়িয়ে পরে সাথে রায়হান আর অভিদের গার্ডরা বেরিয়ে যায়। অভিদ যেতেই আখিল বেড়িয়ে যেতে নেয়। আশিক অবাক হয়ে বলে
” আপনি কোথায় যাচ্ছেন স্যার ?? আপনি এখনও অসুস্থ ”
আখিল গম্ভীর গলায় বলে
” আমার কারণেই আজকে রুহি হারিছে। রুহিকে আমি খুঁজতে যাচ্ছি। আর এইটুকু ক্ষততে আমার কিছু হবে না। আর তোমরাও চলো” বলে আখিলও বেরিয়ে যায়। আশিক আর গার্ডরাও যায়।

সকাল ৯টা বাজে। এখনও পর্যন্ত অভিদ, আখিল, পুলিশ কেউ রুহিকে খুঁজে পায়নি। রুহির বাড়িতে
ও সবাইকে জানানো হয়েছে। তারা খবর পেয়ে কান্না কাটি করে অস্থির হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ আগে রাতা অভিদের বাড়িতে এসেছে। অনি আর ফুপি, ফুপাকেও জানিয়েছে তারা বলেছে তারা স্পেশাল ফ্লাইটে আসার চেষ্টা করবে। রাত পার করে অভিদ, রায়হান এখন এসে বাড়ির ভেতরে ঢুকলো। অভিদের বিধ্বস্ত চেহারা দেখে রুহির মা, মিশু, অনি, নিলা, রাইমা সবাই কেঁদে উঠে। তুষার, রুহির বাবা, মামারা সবাই হতাশ হয়ে মাথা নিচু করে ফেলে।

অভিদ ক্লান্ত শরীর নিয়ে ফ্লোরে এক পা ছড়িয়ে আরেক পায়ের হাটুতে হাতের কনুই রেখে মাথায় হাত রেখে সোফায় হেলান দিয়ে বসে পরে। রায়হান অনির পাশে বসে নিচু স্বরে বলে
” কাঁদিস না রুহিকে পেয়ে যাবো ” রায়হান যে শান্তনা দিচ্ছে সেটা ঠিকই বুঝতে পারছে।তাই অনি কিছু না বলে কাঁদতে থাকে।

রুহির বাবা অভিদের দিকে তাকিয়ে অসহায় কন্ঠে বলে উঠে
” অভিদ !! তুমি আমার মেয়েকে খুঁজে বের করে আনো দয়া করে” অভিদ কিছু না বলে আগের মতোই বসে থাকে।

চলবে…