#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা :মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ৪৮
আজকে রায়হান,মিশুর গায়ের হলুদ। সবাই তৈরি হচ্ছে। রায়হান আর মিশুর হলুদ আলাদা ভাবে হচ্ছে। আগে রায়হানের হবে তারপর মিশুর হলুদ হবে। রুহি আর অভিদ, অনি, আখিল, তুষার রায়হানের হলুদ শেষ করে মিশুদের বাড়িতে যাবে
রায়হান যেতে চাইলেও ফুপি যেতে দেবে না তাকে। রুহির বাড়ির লোকেরাও মিশুদের বাড়িতে। রুহি একটা হলুদ জামদানি শাড়ি পরে মেকাপ করছে। অনি, নিলাও এই রুমেই সাজছে। দরজায় নক হতেই অনি উঠে দরজা খুলে দেয়। অভিদ অনিকে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে
” মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেনো ?? ভেতরে ঢুকতে তো দিবি নাকি ??” অনি দ্রুত দরজার সামনে থেকে সরে দাঁড়ায়। অভিদ ভেতরে ঢুকতেই অনি কোমড়ে হাত দিয়ে বলে
” ভাইয়া তোমার কি এখানে কোনো কাজ আছে ?? না থাকলে চলে যাও আমরা এখন সাজগোজ করছি।” অভিদ এক ভ্রু উঁচু করে বলে
” আমার ঘরে আসতে এখন তোর থেকে পারমিশন নেওয়া লাগবে ??” অনি আঙুল দিয়ে চুল পেচাতে পেচাতে বলে
” অবশ্যই।” অভিদ বিরক্তিকর মুখ বানিয়ে একবার পুরো রুম দেখে রুহির কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। রুহিকে শাড়ি পড়া দেখে দ্বিতীয় বারের মতো থমকে গেলো অভিদ। মুগ্ধকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুহির দিকে। রুহি নিজের মিতো সেজে যাচ্ছে অভিদকে খেয়ালই করেনি। অভিদ হুশ হারিয়ে রুহির দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে যেতে থাকে। অনি অভিদকে রুহির কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হালকা চেঁচিয়ে বলে
” ওওও ভাইয়া। আমরা এখনও তৈরি হয়নি। যাও না প্লিজ তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিচে যাবো তো !!” অনির কথা শুনে অভিদের হুশ ফিরে এলো। অস্বস্তি নিয়ে ডানে বায়ে তাকাতে লাগলো। রুহি পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে অভিদ দাঁড়িয়ে আছে। রুহি অবাক হয়ে বলে
” আপনি কখন এসেছেন ??” অভিদ উত্তর না দিয়ে গলা ঝেড়ে বলে
” তোমার কি মরার ইচ্ছে হয়েছে নাকি মার খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে ??” অভিদের এমন কথায় রুহি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো কিছুক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে অসহায় গলায় বলে
” আমি আবার কি করলাম।” অভিদ রাগি গলায় বলে
” তুমি শাড়ি পরেছো কেনো ?? শাড়িতে পা বেজে পরে গেলে আবার পায়ে ব্যাথা পাবে সেই খেয়াল আছে ?? তাড়াতাড়ি শাড়ি খুলে লেহেঙ্গা পরে নাও।” রুহি ঠোট উল্টে অভিদের দিকে তাকিয়ে বলে
” সবাই শাড়ি পরেছে আমি কি একা লেহেঙ্গা পরবো নাকি।” অভিদ ঝাঁঝাল গলায় বলে
” হ্যা একাই পরবে। পরে গেলে পায়ে ব্যাথা সবাই পাবে না একা তুমিই পাবে তাই এখনি লেহেঙ্গা পরবে। আর কথার নড়চড় হলে !! আস্ত রাখবো না। তাড়াতাড়ি লেহেঙ্গা পরে নাও আর নিচে এসো।” বলে ধুপধাপ পায়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। রুহি মুখ ফুলিয়ে শাড়ি চেঞ্জ করে লেহেঙ্গা পরে নেয়। অনি আর নিলা রুহির মুখ দেখে মিটমিটয়ে হাসছে।তৈরি হয়ে তিনজন নিচে চলে গেলো। অভিদ রুহিকে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো।
রায়হানকে নিয়ে বাড়ির বাগানের বড় স্টেজে বসানো হলো। সব গেস্টরা এসে তাদের চেয়ারে বসে পরলো। কিছুক্ষণ পরে আখিল, আশিক আর আখিলের মা, বাবা এসে পৌছালো। দুইদিন আগেই আখিলের মা – বাবা বিডিতে এসেছে রায়হানের বিয়ে উপলক্ষে। অভিদ দের স্পেশাল ইনভাইটেশন এর জন্য দুজন মানা করতে পারেনি। অভিদ,অভিদের ফুপা, ফুপি, রুহি, অনি, তুষার, নিলা সবাই ওদের ভালো ওয়েলকাম করলো। আখিলের মা-বাবার সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে হলুদের ফাংশন শুরু করে।ক্যামেরাম্যান রায়হানের ছবি তুলছে। আখিল, আখিলের মা অনি আর রুহির কাছে এসে দাঁড়াল। অনি আখিলের মাকে দেখে ভালো মেয়ে হয়ে দাঁড়িয়ে পরলো। আখিলের মা অনির থুতনি ধরে অনির মুখ দেখে হাসি মুখে বলে
” বাহ আখিল তোর বাবার পছন্দ আছে বলতে হবে। তোর জন্য একদম অপ্সরী পছন্দ করেছে। আমার তো খুব পছন্দ হয়েছে ছেলের বউ কে।” অনি লজ্জা পেয়ে আখিলের দিকে তাকিয়ে মুখ নামিয়ে ফেলে। আখিল অনির দিকেই তাকিয়ে আছে। আখিলের মা হেসে দেয় অনিকে লজ্জা পেতে দেখে। হাসতে হাসতে রুহির দিকে চোখ যেতেই থমকে গেলো। রুহির কাছে এসে হেসে বলে
” তুমিও তো দেখতে খুব মিষ্টি আর সুন্দর। আমার আরেকটা ছেলে থাকলে তোমাকে ছেলের বউ বানিয়ে নিয়ে যেতাম। তোমার তো বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তোমার নাম কি মা ??” রুহি হালকা হেসে বলে
” মিসেস রুহি রায়জাদা।” আখিলের মা হেসে রুহির গালে বুলায়।
অভিদ আর রুহি প্রথম রায়হানকে হলুদ লাগাবে তাই অভিদ এসে রুহিকে নিয়ে গেলো। রুহি আর অভিদ রায়হানকে একটু একটু করে হলুদ লাগিয়ে দেয়। তারপর তুষার আর নিলা আসে। অনি আর আখিল আসে। আখিলের মা, বাবা, আশিক পরিচিত রিলেটিভ সবাই হলুদ লাগায়। হলুদের পর্ব শেষ হতেই অভিদ, তুষার,রায়হান, আখিল, আশিক, অনি, নিলা একেক জন একেক জনকে হলুফ দিয়ে ভুত বানিয়ে দিতে থাকে। রুহি দূড়ে বসে ওদের দেখছে আর হাসছে। অভিদ সবার সাথে হলুদ খেলে সবার চোখের আড়ালে রুহির কাছে এসে পরে। রুহিকে নিয়ে একটু অন্ধকারের দিকে যেতে থাকে। রুহি হালকা রাগ দেখিয়ে
” উফফ এই অন্ধকারের মাঝে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে ??” অভিদ রুহিকে দাড় করিয়ে বলে
” এখনি দেখতে পারবে।” অভিদ রুহিকে দেয়ালে চেপে দুই পাশে হাত নিয়ে দেয়ালে ভর করে দাঁড়ায়। অভিদ তার লেপ্টে থাকা হলুদ মুখ নিয়ে রুহির দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। রুহি অন্ধকারে কিছু দেখতে না পারলেও এতোটুকু বুঝতে পারলো যে অভিদ ওর দিকে এগিয়ে আসছে। রুহি শুকনো ঢোক গিলে কাপাকাপা গালায় বলে
” আমার ভয় করছে…” পুরোটা বলার আগেই অভিদ রুহির গালে নিজের হলুদ মাখানো গাল ছুঁয়ে দেয়। রুহির নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মতো অবস্থা হয়ে গেলো। রুহি চোখ বন্ধ করে অবশ হাতে অভিদের শেরওয়ানী খামছে ধরে। অভিদ রুহির গাল ছেড়ে রুহির একপাশের চুল সরিয়ে কাধে আর গলায় গালের হলুদ মাখিয়ে দেয়। রুহি আরো জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে থাকে। অভিদ রুহির গালে চুমু দিয়ে সরে আসে। রুহি এখনও চোখ বন্ধ করে কাঁপছে। অভিদ বুঝতে পেরে ঠোট কামড়ে হেসে আবার এগিয়ে এসে রুহিকে জড়িয়ে ধরে। রুহি অভিদের পিঠে এক হাত রাখে। রুহি শান্তু হতেই অভিদ রুহিকে ছেড়ে দাঁড়িয়ে রুহির গালে স্লাইড করতে করতে ধীর গলায় বলে
” তুমি তো আমার ছোঁয়াই সহ্য করতে পারো না। তোমাকে ছোঁয়ার আগেই হাসফাস করো। এমন হলে বাচ্চার বাবা হবো কিভাবে !!” অভিদের কথা রুহি উপর আগুনে ঘি ঢালার মতো জ্বলে উঠলো। রুহি লজ্জায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। অভিদ বুঝতে পেরে শব্দ করে হেসে উঠলো। রুহি অভিদের বুকে কিল বসিয়ে দেয়। অভিদ হেসে হেসে বলে
” যাও আমার কিউটিপাই বউ। গিয়ে হলুদ মুছে নাও নাহলে আজকে আর মিশুর বাড়িতে যেতে পারবে না।” রুহি মাথা নিচু করে হালকা হেসে এক পা এগিয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসলো। অভিদের সামনে দাঁড়িয়ে নিচু স্বরে বলে
” আপনিও চলুন আমার ভয় করবে।” অভিদ মুচকি হেসে রুহির হাত ধরে অন্ধকার থেকে বেড়িয়ে এসে রুমে চলে গেলো। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে আবার নিচে চলে গেলো দুজন।
রায়হানের হলুদ পর্ব শেষ। বড়রা আর রায়হান বাদে সবাই এখন মিশুদের বাড়িতে যাবে। অভিদ রা আখিলের মা – বাবাকে আজকে জোরপূর্বক বাড়িতে রেখে দিচ্ছে। আজকে ওরা এখানেই থাকবে। অভিদ, রুহিরা সবাই বেড়িয়ে পরেছে মিশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে। এক ঘন্টা পরে মিশুর বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামলো। একে একে সবাই নেমে গেলো। ভেতর থেকে রুহির মা, মিশুর মা, রাইমা সবাই ওদের ভেতরে নিয়ে গেলো। রুহি কোথাও না গিয়ে সোজা মিশুর রুমে চলে গেলো রাইমা, নিলা আর অনিকে নিয়ে। মিশু রুহিদের দেখে খুশিতে লাফিয়ে উঠলো। রুহিকে জড়িয়ে ধরে নাচতে শুরু করে। রুহি চেঁচিয়ে বলে
” আরে আরে কি করছিস আমার পা !!” রুহির কথায় মিশু জিভ কেটে দাঁড়িয়ে গেলো। অপরাধীর মতো চেহারা করে বলে
” সরি রুহু বেবি। আসলে এতো এক্সাইটেড আমি তাই কিছু খেয়াল না করেই নাচা শুরু করেছি। ” রুহি হেসে বলে
” আচ্ছা আচ্ছা ঠিকাছে আর সরি বলতে হবে না। তুই চুপটি করে বসে থাক একটু পরে সবাই নিতে আসবে।” মিশু রুহির কথা মতো বিছানায় উঠে ঘাপটি মেরে বসে পরলো। রুহিরা পাশে বসে গল্প করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে রুহির মা এসে বলে মিশুকে নিয়ে বাইরে যেতে। রুহিরা সবাই মিশুকে নিয়ে বাইরের স্টেজে বসিয়ে দিলো। এখানেও হাসি মজা করে হলুদ পর্ব শেষ হলো। মিশুকে হলুদ দিয়ে ভুত বানিয়ে অনেক গুলো ছবি তুলে রায়হানকে পাঠিয়ে দিলো কয়েকটা। রুহিরা ফাংশন শেষ হতেই সবাই বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেড়িয়ে পরে। নিলা, রাইমা মিশুর বাড়িতে রয়ে গেলো। রুহি বলেও কাউকে নিয়ে যেতে পারলো না। বাড়ি ফিরে সবাই হালকা পাতলা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলো। রুহির আজকে অনেক হাটা হাটি হয়েছে ফাই অভিদ রুহিকে এক্সট্রা ব্যাথার পিল খাইয়ে রুহিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
আজকে রায়হান আর মিশুর বিয়ে। অভিদরা সবাই রায়হানকে তৈরি করে বের হলো কমিউনিটি সেন্টারের উদ্দেশ্যে। রায়হান গাড়িতে উঠে অস্বস্তি নিয়ে বলে
” আমার না কেমন কেমন লাগছে।” অনি গালে হাত দিয়ে বলে
” কেমন লাগছে ভাই ?? আমি এতোদিন শুনেছি বিয়েতে মেয়েদের কেমন কেমন লাগে। ভয় লাগে, অস্বস্তি লাগে, কান্না পায় ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আজকে প্রথম শুনছি আমার ভাইয়ের ও কেমন কেমন লাগে।” অনির কথা শুনে সবাই একটু হাসলো। অভিদ হালকা হেসে বলে
” বিয়ের দিন সবারই এমন লাগে। রায়হানের শুধু একার না।” সেন্টারের সামনে গাড়ি থামতেই সবাই নেমে পরে।মিশুরা সবাই আধ ঘন্টা সময়ের মতো হবে এখানে এসে পৌছেছে। গেট ধরার পর মিশুর মা, রুহির মা সবাই রায়হানকে নিয়ে ভেতরে গেলো। এই জায়গায়ই রুহি আর অভিদের বিয়ে হয়েছিলো। এই জায়গা টা খুবই সুন্দর আর সব দিক থেকেই বেস্ট তাই অভিদ রায়হানের জন্য এই সেন্টার সিলেক্ট করেছে। রুহি সব কিছু দেখতে দেখতে মিশুর কাছে এসে বসলো। মিশু মন মরা হয়ে বসে আছে। রুহি বুঝতে পেরে মিশুর গালে হাত রেখে শান্তনা দিয়ে বলে
” ভয় পাস না সব ঠিক হবে।” মিশু চুপ করে বসে রইলো। কিছুক্ষণ পরে মিশুকে নিয়ে যাওয়া হয়। রুহিদের মতো রায়হান আর মিশুর মাঝে একটা ফুলের তৈরি পর্দা রাখা হয় । বিয়ে পরানো শেষে পর্দা সরানো হয়। কবুল বলার সময় মিশু দুই হাতে তার মা আর রুহির হাত ধরে কান্না করেছে। তারপর কবুল বলে। আর রায়হান সময় না নিয়েই কবুল বলে। অভিদ রুহির পাশে এসে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে বলে
” আমার তো আবার বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে।” রুহি রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে
” তো করে ফেলুন না !! এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো ??” অভিদ খুশি হয়ে বলে
” তুমি সত্যি রাজি ?? আমজ তো ভাবলাম তুমি রাজি হবে না। চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি। ” বলে রুহির হাত ধরে এগিয়ে যেতে থাকে। রুহি অভিদকে আটকিয়ে আশ্চর্য হয়ে বলে
” আরে কাকে বিয়ে করার কথা বলছেন।” অভিদ ভ্রু কুচকে বলে
” কেনো তোমাকে !! আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে যাবো নাকি ??” রুহি মুখ ঘুরিয়ে জিভ কাটলো। রুহি ভেবেছিলো অভিদ অন্য কাউকে বিয়ে করার কথা বলেছে। রুহি হাত ধরে বলে
” নাহ আর বিয়ে করতে হবে না।” অভিদ দুঃখের নিশ্বাস ফেলে রায়হানের কাছে চলে যায় রুহিকে নিয়ে।
বিদায়ের সময় মিশু তার মা,বাবাকে ধরে অনেক কান্না করলো। সবাই কান্না করেছে বাড়ির একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে আজকে।রায়হান মিশুকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে। মিশু তখনও কান্না করে যাচ্ছে। রায়হান মিশুকে জড়িয়ে ধরে বলে
” আর কান্না করো না তোমাকে দুইদিন পর পর এখানে নিয়ে আসবো।” রায়হানের কথা শুনে মিশুর কান্না আস্তে আস্তে থেমে গেলো। মিশু আর রায়হানের বরণ করে বাড়িতে ঢোকানো হলো। মিশুকে কিছুক্ষণ ড্রইংরুমের সোফায় বসিয়ে রেখে রুমে পাঠিয়ে দিলো রেস্ট করার জন্য।
রাতে বাসরের জন্য অভিদ, তুশার, আখিল, আশিক অনেক কিছু প্লেন করলো। তবে কিছুই করতে পারলো না কারণ রায়হান মাফিয়ার বন্ধু তাই অভিদের মাথায় কি চলছে সেটা সহজেই ধরে ফেলতে পারে। সবাই রায়হানকে রাত ১টা পর্যন্ত বসিয়ে রেখে আর রাখতে পারলো না। রায়হান সবাইকে ফেলে কোনো রকমে পালিয়ে রুমে চলে গেলো।
চলেব…wait for next part….
[ ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। ]