#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা :মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ৪৯
তবে কিছুই করতে পারলো না কারণ রায়হান মাফিয়ার বন্ধু তাই অভিদের মাথায় কি চলছে সেটা সহজেই ধরে ফেলতে পারে। সবাই রায়হানকে রাত ১টা পর্যন্ত বসিয়ে রেখে আর রাখতে পারলো না। রায়হান সবাইকে ফেলে কোনো রকমে পালিয়ে রুমে চলে গেলো। রুমে ঢুকে দুই কোমড়ে হাত রেখে নিশ্বাস নিতে থাকে।
নিজেকে ঠিক করে সোজা হয়ে দাঁড়াল। চারপাশে তাকিয়ে দেখে রুমটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। অভিদ নিজের হাতে সাজিয়েছে সাথে সবাই একটু আকটু হেল্পও করেছে। খাটের মাঝখানে মিশু বসে আছে। রায়হান বুকে থু থু দিয়ে মিশুর দিকে এগিয়ে গেলো।
মিশু ঘোমটার নিচ দিয়ে রায়হানকে এগিয়ে আসতে দেখে বারবার ঢোক গিলছে। ভয়ে ঘেমে একাকার যাচ্ছে। রায়হান মিশুর সামনে বসে মিশুর ঘোমটা খুলে মিশুকে মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকে। মিশু মাথা নিচু করে হাত কচলাচ্ছে। রায়হান মিশুর অবস্থা বুঝতে পেরে বলে
” তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি ক্লান্ত। তুমি গিয় অজু করে এসো নামাজ পরে নেবো।” মিশু হাফ ছেড়ে মাথা নেড়ে দ্রুত বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ায়। ওয়াসরুমে গিয়ে অজু করে এসে দুজন এক সাথে নামাজ পরে নেয়। মিশু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সব গয়না খুলে কাপড় নিয়ে ওয়াসরুমে দৌড় দেয়। রায়হান মিশুর এমন ছটফটানি দেখে ঠোট চেপে হাসলো। কিছুক্ষণ পরে মিশু শাড়ি চেঞ্জ করে আসলো। রায়হান মিশুকে দেখে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। মুগ্ধ চোখে লাল শাড়ি পড়া মিশুর দিকে তাকিয়ে থাকে। রায়হান ধীর পায়ে মিশুর সামনে গিয়ে দাঁড়াল। মিশু মাথা নিচু করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। রায়হান মিশুর কাছে এসে মিশুর কোমড় জড়িয়ে মিশুকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। রায়হান এই প্রথম মিশুর এতো কাছে আসলো। মিশু রায়হানের প্রথম ছোঁয়া পেয়ে বরফের মতো জমে গেলো। রায়হান মিশুর থুতনি ধরে মুখ উঁচু করে নিজের মুখটা এগিয়ে নিয়ে ধীর গলায় বলে
” তোমার এই মুগ্ধকর রুপে আমি অন্য জগতে হারিয়ে গিয়েছি। এতোদিন এই দিনটার অপেক্ষা করছিলাম। কবে তোমাকে নিজের করে পাবো !! দেখো আজকে পেয়েও গিয়েছি। আজকে থেকে তুমি আমার হয়ে গিয়েছো। তোমার ওই ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে যেতে চাই। দেবে সেই ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে নিতে ??” মিশু লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে রায়হানের বুকে ঝাঁপিয়ে পরে। রায়হান মুচকি হেসে মিশুকে কোলে তুলে নেয়।
রুহি এক ঘন্টা ধরে অভিদকে খুঁজে বেড়াচ্ছে কিন্তু কোথাও পাওয়ার নাম নেই। কোথায় গিয়েছে সেটাও বুঝতে পারছে না। রুহি বিরক্ত হয়ে বিড়বিড় করে বলে
” রাত ২ টা বেজে যাচ্ছে আর ওনার দেখাই নেই। গেলো কোথায় ??” রুহি রেগে রুমে চলে যেতে নিলেই পায়ে ব্যাথা অনুভব করলো। রুহি ব্যাথায় তাড়াতাড়ি ছাদের সিড়ির কাছে বসে পরলো। রুহি সেখানে বসেই অভিদের ফোনে ট্রাই করতে থাকে। কয়েকবার রিং হওয়ার পরও অভিদ কল রিসিভ করলো না। রুহি আর ফোন না দিয়ে পাশে মোবাইল রেখে বসে থাকে। কিছুক্ষণ পরে ছাদ থেকে হাসাহাসির আওয়াজ আসতে থাকে আর পায়ের শব্দও শোনা যায়। রুহি পেছনে ঘার ঘুড়িয়ে তাকিয়ে থাকে কে আসছে সেটা দেখার জন্য। সবাই নিচে নামতেই দেখতে পেলো অভিদ, তুষার, আখিল, আশিক আর তুষারের কিছু কাজিন ভাইরা নিচে নামছে। অভিদ হাসতে হাসতে নামার সময় রুহিকে দেখতে পেলো। রুহিকে দেখে অভিদের হাসি বন্ধ হয়ে গেলো কারণ রুহি তীক্ষ্ণ নজরে ওকে দেখছে। রুহিকে এখানে বসে থাকতে দেখে অবাকও হলো।অভিদ কথা শেষ করে সবাইকে গুড নাইট বলে। সবাই গুড নাইট বলে সেখান থেকে চলে গেলো নিচে। অভিদ গিয়ে রুহির পাশে বসতেই রুহি তীক্ষ্ণ গলায় বলে
” কোথায় ছিলেন আপনি ?? আপনাকে কতো গুলো ফোন দিয়েছি হিসেব আছে ?? একবারও দেখেছেন??” অভিদ দ্রুত হাতে পকেট থেকে ফোন বার করে দেখে রুহির ৪০+ কল। অভিদ দুই কানে হাত রেখে অসহায়ের মতো বলে
” সরি পাখি !! আমি সবার সাথে গল্প করছিলাম তো তাই দেখিনি আর আমার ফোন সাইলেন্ড ছিলো। সত্যি বলছি আমি।” রুহি অভিদকে দেখে ফিকফিক করে হেসে দিলো। অভিদও রুহির হাসি দেখে হালকা হাসলো। হঠাৎ অভিদ বলে
” এখানে বসে আছো কেনো ?? ” রুহি হাসি থামিয়ে বলে
” আপনাকে খুঁজতে খুঁজতে একটু পায়ে ব্যাথা করছিলো তাই এখানে বসেছিলাম।” অভিদ অস্থির হয়ে রুহির সামনে গিয়ে হাটু গেড়ে বসে রুহির পা ধরতে গেলেই রুহি পা সরিয়ে নিয়ে বলে
” আরে পা ধরতে হবে না। সারাদিন হাটাহাটি করেছি তাই পা ব্যাথা করছে। রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে। রুমে চলুন।” অভিদ ঠিকাছে বলে রুহিকে কোলে তুলে রুমের দিকে পা বাড়ায়।
রুহিকে বিছানায় বসিয়ে বলে
” মেডিসিন খেয়েছো ??” রুহি মাথা নেড়ে বলে
” নাহ ভুলে গিয়েছিলাম।” অভিদ তাড়াতাড়ি করে রুহির সব মেডিসিন খাইয়ে দিলো। ফ্রেশ হয়ে এসে রুহিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দুজন ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেলো। সবাই ব্রেকফাস্ট শেষ করে বসে গল্প করতে থাকে আর অভিদ অফিসের কিছু ইম্পরট্যান্ট কাজ করতে থাকে। সাড়ে নয়টার পরে রায়হান রুম থেকে বেড়িয়ে ব্রেকফাস্ট করতে আসে। রায়হানকে দেখে সবাই মজা করতে থাকে। অভিদ এইকদিন এইসবে মেতে থাকলেও আজকে অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। কিছুক্ষণ পরে মিশু আসলো। মিশুকে দেখে সব মেয়েরা মজা করতে থাকে।
দুপুরের রিসিপশন পার্টিও খুব সুষ্ঠুভাবে পূরণ হলো।
দেখতে দেখতে আরো কয়েক দিন কেটে। সবাই সবার ব্যাস্ততা নিয়ে কাটায়। অভিদ, রায়হান তুষার অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকে আর রুহি, মিশু, অনি ভার্সিটি শেষ করে বাসায়ই থাকে। আখিলও তার অফিস নিয়ে, নিলা, রাইমা তাদের পড়াশোনা নিয়ে। নিলা ভার্সিটি থেকে ফিরেই তুষারের সাথে কথা বলতে বসে পরে। এইভাবেই চলছে। অভিদের ফুপা, ফুপিও চলে গিয়েছে। প্রতিদিন তাদের সাথে সবার কথা হয়। আজকে সকাল থেকে অভিদ,রায়হান তাড়াহুড়ায় কাজ করছে। রুহি কিছুই বুঝতে পারছে না কি হয়েছে। রুহি ব্রেকফাস্ট করে এসে দেখে অভিদ অফিসের পোশাক পরে রেডি হয়ে গিয়েছে। রুহি অভিদকে দেখে অবাক হয়ে বলে
” আপনি এখনই কোথায় যাচ্ছেন ?? আর আজকে সকাল থেকেই তাড়াহুড়োয় কাজ করছেন সব। আপনি তো প্রতিদিন আমাকে নিয়ে বের হন তাহলে ??” অভিদ তার হাতের ঘড়ি পরে চুলে হাত বুলাতে বুলাতে রুহির সামনে এসে বলে
” আজকে একটু ব্যস্ত আমরা। শোনো তোমরা সাবধানে ভার্সিটিতে যাবে। আমি আর রায়হান এখনই বেড়িয়ে পরবো।” রুহি মাথা নেড়ে ঠিকাছে বলে। অভিদ বেড়িয়ে যাওয়ার আগে রুহির কপালে চুমু দিয়ে যায়। রুহি কপালে হাত রেখে হেসে দেয়।
অভিদ, রায়হান তাদের গোডাউনে এসেছে। আজকেও গোডাউনের অন্ধকার রুমে দুজন ছেলে বাধা অবস্থায় পরে আছে। অভিদ, রায়হান ভেতরে এসেই দুজনকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে থাকে। অভিদ মারতে মারতে চেঁচিয়ে বলে
” পুরুষত্ব দেখাতে চাস ?? পুরুষত্ব !! তোদের এই পুরুষত্ব বিয়ে করে বউকে গিয়ে দেখা। অন্য মেয়েদের জীবন নষ্ট করিস কেনো ??” ছেলে দুটো বারবার চিৎকার করে বলছে ছেড়ে দিতে।
রায়হান পাশের ছেলেটাকে মারতে মারতে বলে
” এই পর্যন্ত তোরা দুজন ৯ টা মেয়েকে রেপ করে জীবন নষ্ট করেছিস। তোদের কি সহজে ছেড়ে দেওয়া যায় ??” অভিদ, রায়হান দুজনকে মেড়ে ক্লান্ত হয়ে গেলো। অভিদ গার্ডের কাছে গিয়ে গম্ভীর গলায় বলে
” ওই গুলো নিয়ে এসো !!” গার্ডরা মাথা নেড়ে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন গার্ড দুইটা পাত্রে ফুটন্ত অগ্নির লাভা নিয়ে আসে। আর দুইটা ইনজেকশন নিয়ে আসে। অভিদ কনুয়ের উপর শার্টের দুই হাতা গুটিয়ে ইনজেকশন হাতে নেয়। চোয়াল শক্ত করে একটা ছেলের কাছে এগিয়ে যায়। ছেলেটা ভয় নিয়ে অভিদের হাতের দিকে তাকিয়ে আছে। অভিদ ছেলেটার তাকানোর মানে বুঝতে পেরে বাকা হেসে বলে
” এটা দিলে তোদের কোমড় থেকে পা পর্যন্ত পুরোটা শরীরের অংশ অবশ হয়ে যাবে আর ভেতরের সব কিছু আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যেতে থাকবে।” অভিদ ছেলেটাকে ইনজেকশন দেওয়ার কিছু মুহূর্ত পর থেকে ছেলেটা চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। রায়হান পাশের ছেলেটাকেও সেই ইনজেকশন দেয়। অভিদ, রায়হান দুজনের চিৎকার শুনে অট্টহাসিতে মেতে উঠে। অভিদ, রায়হান গার্ডদের হাত থেকে সেই লাভার পাত্রটি হাতে নেয়। পাত্র দুটি মোটা মোটা কাপড় দিয়ে পেচানো তবুও গরমের কারণে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। অভিদ আর রায়হান ছেলে দুটির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ওরা চিৎকার করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। দুজন অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে আর চোখের পানি ফেলছে। দুজন এতো বছর কতো কতো অপরাধ করেছে সেটা এই মৃত্যুর রাস্তায় এসে বুঝতে পারছে। অভিদ, রায়হান তাদের হাতের আগুন দুজনের গায়ে ঢেলে দেয়। দুজনের শক্তি না থাকলেও চিৎকার করে ছটফট করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে দুজন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলো। অভিদ গার্ডদের সামনে গিয়ে বলে
” ওদের আস্তানার সামনে ফেলে দিয়ে এসো দুজনকে।” বলে রায়হানকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো অফিসের উদ্দেশ্যে।
রুহি, মিশু, অনি, নিলা চারজন ভার্সিটির ক্লাস শেষে আশেপাশে ঘুরলো। মিশু, নিলা, অনি ঠিক করলো কফিক্যান্টিনে যাবে। রুহি নাকচ করে বলে
” আমার ভালো লাগছে না আমি বাড়ি চলে যাবো।” নিলা রুহিকে আটকে বলে
” আরে রুহি তোর খাওয়া লাগবে না শুধু বসে থাকবি চল।” রুহি ক্লান্ত স্বরে বলে
” নারে আমার পা ব্যাথা করছে তোরা যা আমি বাড়ি চলে যাচ্ছি।” মিশু ব্যস্ত হয়ে বলে
” বেশি ব্যাথা করছে ?? তাহলে ভাইয়াকে ফোন করবো।” রুহি ব্যস্ত হয়ে বলে
” আরে ওনাকে ফোন দেওয়ার কি আছে ?? পা ব্যাথাই তো ঠিক হয়ে যাবে আর ওনারও তো কাজ আছে নাকি ?? সারাদিন কি আমার কাছে বসে থাকবে ??” অনি বিরক্ত মুখ করে বলে
” উফফ ভাবি কি সব বলো তুমি ?? দরকার পরলে তো বসেই থাকবে। আচ্ছা তুমি গাড়ি নিয়ে যাও। আমি ড্রাইভার আংকেল কে বলে অন্য গাড়ি আনিয়ে নিচ্ছি।” রুহি মাথা নেড়ে ওদের থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে বসে পরে। কয়েকজন গার্ড রুহির পেছনের গাড়িতে আসতে থাকে। আর কয়েকজন মিশুদের কাছে রয়ে যায়। রুহির গাড়ি কিছুক্ষণ চলা পর হঠাৎ করে থেমে গেলো। রুহি ড্রাইভার কে বলে
” কি হয়েছে কাকা ??” ড্রাইভার কাকা বলে
” সামনে দুইটা গাড়ি এসে পরেছে হঠাৎ। ” ড্রাইভার গাড়ির হর্ন দিতে থাকে কিমতু গাড়ি দুটো জাগয়া থেকে সরছে না। গার্ডরা বেড়িয়ে সামনের গাড়ির কাছে যায়। সেই গাড়ি দুটো থেকে কয়েকজন গুন্ডা টাইপ ছেলে বেড়িয়ে এসে গার্ডদের সাথে শুধু মারামারি শুরু করে। রুহি অবাক হয়ে গেলো ঝামেলা দেখে। রুহি ভয় পেয়ে ড্রাইভারে কে বলে।
” কাকা অন্য রাস্তা থাকলে সেখান দিয়ে নিয়ে চলুন।” ড্রাইভার মাথা নেড়ে গাড়ি ঘুরাতে নেয় কিন্তু তার আগেই একটা দাড়ি ওয়ালা লোক এসে গাড়ির সামনের কাচে হকিস্টিক দিয়ে বাড়ি দিয়ে কাচ ভেঙে ফেলে। রুহি ভয় পেয়ে কানে হাত দিয়ে চিৎকার করে হঠে। ড্রাইভার গাড়ি থেকে না নেমে গাড়ি ঘুরাতে শুরু করে। সেই লোকটা বাইরে থেকে ড্রাইভারের মাথা বারি মারে। ড্রাইভার মাথা হাত দিয়ে গাড়ি থামিয়ে ফেলে। লোকটা রুহির পাশে এসে গাড়ি খুলে রুহির দিকে ঝুকে তাকায়। রুহি ভয় পেয়ে গাড়ির সাথে ঘেষে বসে পরে। লোকটা ভেতরে ঢুকে রুহির মুখে একটা রুমাল চেপে ধরে। রুহি কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি করে অজ্ঞান হয়ে গেলো। লোকটা রুহিকে নিয়ে পেছনের রাস্তার দিকে চলে যায় গার্ডরা মারামারির মাঝে থাকায় এসব দেখতে পায়নি। তবে একজন খেয়াল করে সবাইকে বলতেই তারা সেই ছেলেদের ছেড়ে ড্রাইভারের কাছে আসে। একজন গার্ড অভিদকে ফোন লাগায়।
অভিদ মাত্র মিটিং থেকে বেড়িয়ে ক্লাইন্টটের সাথে কথা বলতে বলতে বের হচ্ছিলো। এরমাঝেই অভিদের ফোন আসে। অভিদ ক্লাইন্টটের দিকে তাকিয়ে
” exuse me.” বলে ফোন রিসিভ করে। গার্ড অভিদকে সব বলে। অভিদ সব শুনে চিৎকার করে বলে
” ইউ ফুল রুহির যদি কিছু হয় না !! তোমাদের আমি ছাড়বো না বলে দিলাম। রুহিকে না দেখে ওদের সাথে ফাইট করতে যাওয়ার কি দরকার ছিলো তোমাদের ??” গার্ড ভয়ে ভয়ে বলে
” স্যার আমরা ওদের গাড়ি সরানোর জন্য বলতে গিয়েছিলাম কিন্তু ওরা কারণ ছাড়াই ফাইট করতে শুরু করে।” অভিদ রেগে বলে
” ড্রাইভার কে হসপিটালে নিয়ে যাও আর রুহিকে খোঁজো। আমি এখুনি আসছি।” বলে ফোন রেখে দেয়। রায়হান অভিদের কাছে এসে বলে
” রুহির কি হয়েছে ??” অভিদ কপালের আঙুল ঘষতে ঘষতে বলে
” রুহিকে ওই সিহাব প্ল্যান করে কিডন্যাপ করেছে।” রায়হান মৃদু চিৎকার করে বলে উঠে
” হোয়াট ??” অভিদ মাথা নেড়ে বলে
” হুম। চল রুহিকে খুঁজে বের করতে হবে।” অভিদ রায়হানকে নিয়ে বেড়িয়ে পরলো।
সিহাব রুহিকে নিয়ে তার নতুন গোপন আস্তানায় চলে আসে। রুহিকে রেখে মুখ থেকে সব নকল দাড়ি খুলে ফেলে। সিহাব ওই ছেলেদের বলেছিলো গার্ডদের সাথে অকারণেই মারামারি শুরু করে ব্যস্ত রাখার জন্য।আর সিহাব এই ফাকে রুহিকে নিয়ে আসবে। সেভাবেই সিহাব রুহিকে নিয়ে এসেছে।
চলেব…wait for next part….