#তোমাতেই_সীমাবদ্ধ
#পার্টঃ16
#Mishmi_muntaha_moon
আন্টির কথা শুনে অবাক হলাম।চলে গেছে মানে কি?আমি কিছুটা অবাক প্রকাশ করেই বললাম–চলে গেছে মানে। আরিশ ভাইয়ার তো আগামী সপ্তাহ বিয়ে তাহলে??আর আপনারা তো বলেছিলেন উনি রাজি।
আন্টি কিছুটা দুঃখী ভাব করে বলল
–আমিতো ভাবলাম ইতির মতো মেয়েকে বয়ে করতে না চাওয়ার কোনো কারণই নেই।আর তাছাড়া আরিশ পছন্দও করে তাই তো আমি সব পাক্কা ভেবেছিলাম।কাল রাতে ইতি আর ওর বিয়ের কথা বলতে রেগে বাহিরে চলে যায় কিছুক্ষন পর কোথা থেকে এসে একেবারে ব্যাগ ট্যাগ প্যাক করে চলে গেলো।এখন এইটাই বুঝতে পারছি না যে ইতির সাথে বিয়ের কথা বলায় রাগলো নাকি বাহির থেকে কারো উপর রাগ করে।
আন্টির কথা শুনে চিন্তায় পরে গেলাম।তাহলে কি ভাইয়া ইতি আপু আর উনার বিয়ের কোনো খবর জানতই না উফ আর আমি আরিশ ভাইয়ার সাথে কোনো কথায় বললাম না আর শুনলামও না উনার কথা সোজা ইগনোর।
–আমি তোর জন্য পেয়ারা কেটে নিয়ে আসছি বস তুই।
আন্টি উঠে রান্নাঘরের দিকে যেতে নিতেই আমি তারাতারি করে আন্টিকে বললাম
–না আন্টি আমি চলে যাবো এখন এইসব কাটার দরকার নেই।
–কেনো মাত্রই তো এলি।
–নাহ আরিশ ভাইয়ার সাথে কিছু কাজ ছিলো এখন উনি তো নেই।আমি বিকেলে আসবো।
বলে চলে গেলাম।র বিয়ে পোস্টপোন্ড করলে চলবে না।আর বিয়ে পোস্টপোন্ড করলে চলবে না।বাড়িতে এসে সোফায় বসলাম।আম্মুও কারো সাথে মোবাইলে কথা বলে চিন্তিত হয়ে আমার পাশে বসলো।একই ভাবে আপুও বিপরীত সোফায় বসে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আম্মুর দিকে তাকিয়ে রইলো।আম্মু কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল
–নাহিদের পরিবাররা এই সপ্তাহের মধ্যেই চাচ্ছে বিয়েটা হোক।
আম্মুর কথা শুনে আমি ভ্রু কুচকে বললাম
–কিন্তু উনারা এতো তাড়া দিচ্ছে কেনো বিয়ের জন্য?
আমার কথা শুনে আপু মৃদু কন্ঠে বলল
–ঠিকই তো এখন আরিশ ভাইয়ার বিয়ের জন্য তো আমার বিয়েটা আটকিয়ে রাখা যাবে না।আর আরিশ ভাইয়া বিয়ে করবে কি করবে না তাও তো আমরা কেউ জানিনা হয়তো করবে না বলেই চলে গেছে তাই বলে আমার বিয়েটা কি হবে না?আপুর কথা শুনে আম্মু দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে উনাত রুমে চলে গেলো।আমিও সোফা থেকে ব্যাগ তুলে রুমে যেতে যেতে বললাম
–আপু তুই তো বিয়ে করার জন্য পাগলই হয়ে যাচ্ছিস!
আমার কথা শুনে আপু আমার পিছে পিছে রুমে আসলো।
আমি ব্যাগ টেবিলে রেখে বিছানায় বসতেই আপু আমার সামনে এসে দারালো।
–আমি একদমই পাগল হচ্ছি না বিয়ের জন্য।কিন্তু উনারা আরিশ ভাইয়ার জন্য আমার বিয়েটা থামিয়ে রেখেছে যেখানে ফেক্ট হলো আরিশ ভাইয়াই সব ছেড়ে ছুড়ে চলে গেছে তাহলে আমার বিয়ে পোস্টপোন্ড করলে তো চলবে না।আমি একনজর আপুর দিকে তাকিয়ে আপুর হাত টেনে আমার পাশে বসালাম তারপর এক গাল টেনে দিয়ে বললাম
–আচ্ছা এতো টেনশন নিস প্রেশার উঠে যাবে।আম্মুকে আমি বলবো।
আপু আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল
–তুই আবারো আমার মজা নিচ্ছিস??
আপুর কথা শুনে হেসে ফেললাম।
–আমি কোথায় মজা করছি।
আপু আমার কাধে একটা চড় বসিয়ে মোবাইল নিয়ে বারান্দায় গেলো।আর আমি বসে ভাবতে লাগলাম।
আন্টির কথা গুলো মনে আসতেই আবারো স্ট্রেস হতে লাগলো।নিজের উপরই রাগ লাগছে কেনো যে কাল আরশ ভাইয়ার কথা শুনলাম না।
আবারো মনে চিন্তা এলো আরিশ ভাইয়া অবশ্য দু এক দিনের মধ্যে চলে আসবে।
এইটা ভেবে স্বস্তির শ্বাস নিলাম।তারপর উঠে ওয়াশরুমে গেলাম শাওয়ার নিয়ে।মাগরিবের আজান পরতেই বাড়ি পুরো খালি হলো। কিছুক্ষন আগেই নাহিদ ভাইয়ার মা বাবা আর হয়তো উনার চাচা হবে উনারা এসেছিলো আর আন্টি আংকেল আর আমার চাচা উনারা গেলো।আপুর বিয়ের ব্যাপারে গম্ভীর আলোচনা চলেছে।আমাদেত ফেমিলির অনেক রিকুয়েস্টে ১ মাস পর বিয়ে হবে বলেই সিদ্ধান্ত নিলো।
আপুর ভাড় মুখ দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ছাদে গেলাম।
১ মাস পরের বিয়ের তারিখ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আপুর পছন্দ হয় নি হয়তো।হবেও কি করে এতো বছর প্রেম করে ফাইনালি বিয়ে হতে চলেছিলো তাও আবার পিছিয়ে গেলো, আরিশ ভাইয়ার
জন্য।
চলবে…….
(ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)