মেঘের উল্টোপিঠ পর্ব-২৪

0
714

#মেঘের_উল্টোপিঠ
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
#পর্ব__২৪

সমুদ্রের পাড় ঘেঁসে হাঁটছে অরিন। বারংবার স্রোত এসে তার পোশাক ভিজিয়ে দেয়ার পর নিজ স্থান হতে বিন্দুমাত্র নড়েনি। একই স্থানে অটল সে। বিষন্ন তার অন্তরাল। কেঁদেকেটে দুনিয়া ভাসাতে ইচ্ছে করছে। ‘ সায়ান ‘ নামক ব্যাক্তিটাকে হটাৎই মেরে ফেলার অদম্য ইচ্ছা জন্ম নিয়েছে তার নিভৃতে। সে এই বিয়েতে মোটেই রাজি নয়। তার অন্তঃস্থল জুড়ে যে অন্য এক পুরুষের বসবাস। কিন্তু সেই মানব আদও তার নয় এটা কেনো যে অরিনের মস্তিষ্ক বুঝে উঠছে না তা ভেবে পায়না প্রকৃতি!

অরিন হটাৎ পদচারণ থামিয়ে কুচকুচে কালো আকাশ পানে সুক্ষ্ম দৃষ্টি ফেলে। তার আখিযুগলে ইতিমধ্যে অশ্রুসিক্ত হয়ে গিয়েছে। অভিমানী কন্ঠে বলল,

‘ আমায় আস্ত এক ভালোবাসার সংসারের স্বপ্ন দেখিয়ে কেনো অদূরে চলে গেলেন অভ্র? আমার কি দোষ? ‘

অরিনের কন্ঠ ভারী হয়ে আসে। ঠোঁট কামড়ে সে কান্না দমন করার প্রয়াস চালায়। যেই লোক তাকে, তার পবিত্র অনুভূতিকে বুঝলো না। মর্যাদা দিলো না। তার জন্য কেঁদে লাভ আছে কোনো?উহুম! একদমই না। অরিন তার হৃদমহল শান্ত করে পিছন ঘুরতেই ভীষণ চমকে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়ায়। হাত, পা রীতিমতো কাঁপা কাঁপি শুরু করেছে। সামনের ব্যাক্তিটি অরিনের পূর্ণ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মলিন হেঁসে এগোল। অরিন তৎক্ষনাৎ দু’কদম পিছিয়ে কাঁপা কন্ঠে বলল,

‘ অ..অভ্র?’

___

বিকেলের মতো একই ভাবে আবারও সুইমিং পুলে পা ডুবিয়ে মৌন রূপে বসে আছি। আমার পাশে যে একজন ব্যাক্তি সেই আধাঘন্টা থেকে আড়চোখে এক দৃষ্টিতে আমাতেই দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে আছে তা বুঝতে বেগ পেতে হলো না। আমি অন্তঃস্থলে ম্লান হাসি। কিয়ৎ লজ্জা এখনো আষ্টেপৃষ্টে জরিয়ে রেখেছে আমায়। পূর্বের বলা ‘ ভালোবাসি ‘ শব্দটা উচ্চারণ করার পর যখন আমি বেশ দ্বিধার মাঝে ভুগছিলাম তখন আমার সঙ্কোচের রেশ, দ্বিধা ঘুচিয়ে পূর্ব বললেন,

‘ আমি শুধু তোমার প্রতি আমার অনুভূতি গুলো প্রকাশ করেছি। দ্যাট’স ইট! এখন তোমাকে আমি নিশ্চয়ই বলিনি আমাকেও তোমার দিকের আমার প্রতি অনুভূতি প্রকাশ করো। তাইনা?বলেছি?বলি নি! তাহলে এতো দ্বিধার মধ্যে আছো কেনো?তুমি আমায় ভালোবাসা আর না বাসো। ভালোবাসলেও প্রকাশ করো আর না করো! তাতে আমার কিছুই যায় আসেনা স্নিগ্ধময়ী। আমি তোমাকে ভালোবাসি এতটুকুই এনাফ! তুমি সম্পূর্ণ আমার আপাতত এটলিষ্ট আমার মৃত্যুর আগ অব্দি আমি তোমায় আমার হতে মুক্তি দিচ্ছি না। মাইন্ড ইট! ‘

তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে নতজানু হয়ে কিয়ৎ হেঁসে ছিলাম শুধুমাত্র। আচ্ছা সব প্রেমিক কেনো পূর্বের মতো হয়না? পূর্বের মতো সকলে হলে অন্ততপক্ষে যারা প্রেমে পড়ে প্রেমিকের কুরুচিপূর্ণ ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যা নামক মহাপাপে লিপ্ত হয় তা হয়তো আর হতো না। পৃথিবীটা সুন্দর, স্বচ্ছ এবং পবিত্র ভালোবাসায় পরিপূর্ণতা পেতো।

লজ্জার রেশ ওষ্ঠদ্বয় দ্বারা কোনো শব্দফালি উচ্চারিত না করলেও এক ফাঁকে হুট করে পূর্বকে আলত করে জরিয়ে ধরে তার বক্ষঃস্থলের সাথে মাথা স্পর্শ করে আবার হুট করেই ছেড়ে দিয়ে সুইমিং পুলে পা ডুবিয়ে বসেছি। তার সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ব এসে পাশে বসেছেন আমার। সেই থেকে যে তিনি আঁড়চোখে পূর্ণ দৃষ্টি আমাতে দিয়ে রেখেছেন সরাননি। কিয়ৎক্ষণ বাদে আমি নিজেকে ধাতস্থ করে বললাম,

‘ বাকিরা কোথায় পূর্ব? তারা তো আমার সাথেই এসেছিলো?’

পূর্ব দৃষ্টিপাত ফিরিয়ে সামনে তাকালেন। আলত কন্ঠে বললেন,

‘ আছে আশেপাশেই হয়তো। ‘

অতঃপর ফের আগের মতোই নীরবতা। অলস ভঙ্গিতে বিশাল অনুভূতির পাহাড় নিয়ে বসে থাকা। তবে ক্ষন মাত্র একটু আলাদা কিছু হিসেবে পূর্ব হটাৎ আমার কোলে নিজের মাথা এলিয়ে দিয়ে নম্র কন্ঠে বললেন,

‘ মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দাও তো। এতদিন বেশ যন্ত্রণা দিয়েছো আমার মস্তিষ্কে। ‘

অবাকের রেশ নিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে বলে উঠি,

‘ হোয়াট? আপনার মস্তিষ্কে আমি যন্ত্রণা দিয়েছি?কিভাবে?’

‘ বিশাল যন্ত্রণা দিয়েছো! তুই মায়া দয়াহীন পাষাণ একজন ব্যাক্তি। আমার প্রতি রাতের ঘুম হারাম করে দিয়ে মাথা ব্যাথার তীব্র যন্ত্রণা দিয়েছো। রাতে ঘুমাতে নিলেই চোখের সামনে ভেসে উঠতো তোমার প্রানবন্ত হাসি! স্নিগ্ধ সৌন্দর্যে জর্জরিত মুখোশ্রী। এসব দেখে কি ঘুম আসে আর আমার?’

‘ এখানে আমার কি দোষ? আমায় ভুলে গেলেই তো পারতেন। ‘

পূর্ব কাত হয়ে ছিলেন। আমার কথন শ্রবণ করার পর সোজা হয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত দিলেন আমার মুখোশ্রীর প্রতি। আমি খানিক থতমত খাই! তিনি কন্ঠের খাদ নামিয়ে বললেন,

‘ নিজের রুহ, অস্তিত্ব আদও কি ভোলা সম্ভব?হোয়াট ডু ইউ থিংক?হাহ্?’

আমি নিশ্চুপ রইলাম। এর উত্তর’টা আসলে আমার নিকট নেই। কি বলবো?কি প্রতিত্তুর করবো? ভেবেই চুপ থাকলাম। পূর্ব’ও আমার অবস্থা বুঝতে পেরে ঘাড় কাত করে পানিতে দৃষ্টি ফেললেন। আমি কিয়ৎ বাদে হুট করে বলি,

‘ আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করার ছিলো। ঠিকঠাক উত্তর দিবেন? প্রতিবার কখনোই আমার করা প্রশ্নের উত্তর আপনি দেননি।’

পূর্ব তার দৃষ্টি অন্যত্রে স্থির রেখেই প্রতিত্তুরে বললেন,

‘ দিবো উত্তর। বলো কি বলবে?’

‘ আপনাকে যেদিন আমি প্রথম দেখি সেদিন হতেই আমার সন্দেহ ছিলো আপনি আমায় পছন্দ করতেন। ডিপলি! কয়েকদিন বাদে সেই সন্দেহ পরিস্কার হয়েছে। মেয়েদের সিক্স’থ সেন্স অনেক প্রখর ইউ নো না? এতো আগ হতেই যখন আপনি আমায় পছন্দ করতেন তাহলে আমার সাথে এরূপ ব্যাবহার, আপুর সাথে রিলেশন? এসব কেনো করলেন? ‘

পূর্ব নিরুত্তর! আমার এক হাত টেনে নিয়ে উল্টো পিঠে আলত করে চুমু খেলেন। সর্বাঙ্গ তৎক্ষনাৎ শিরশির করে উঠলো এক প্রকার। লজ্জায় চুপসে হাত ছাড়িয়ে নিতে গেলেই বাঁধা প্রদান করলেন তিনি। আমার হাত তার হাত দ্বারা মুঠোয় বন্দী করে ফিচেল কন্ঠে বললেন,

‘ দিবা, আমি কানাডায় থাকাকালীন একই মেডিকেলে পড়তাম। দিবা আমার ব্যাচমেট ছিলো।মেডিকেলে যখন প্রথম পা রাখলাম তার পর হতেই দিবা সর্বদা আমার পিছু পিছু ঘুরতো। ওর মূল উদ্দেশ্য ছিলো আমায় ওর প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওর পিছে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাবে। মেডিকেলে যেই কাজটা আমার সাথে কেও করতে পারেনি দিবা সেটা চ্যালেন্জ হিসেবে নিয়ে করতে চাইছিলো। আমি বরাবরের মতোই পাত্তা দিতাম না ওকে। কিন্তু তার মধ্যে একদিন তোমার দেখা পেলাম আমি। সম্ভবত কানাডায় তখন সায়ানের সাথে এসেছিলে ঘুরতে। দিবার সাথে তোমাকে এক পার্কে দেখেছিলাম একবার। এন্ড দ্যান! তোমায় প্রথম দেখার পর হতেই আমি পাগলপ্রায় ছিলাম। রাতে ঘুম আসতো না। ছটফট করতো মন! লাভ এট ফার্স্ট সাইট বলে একটা বাক্য আছে সেটা প্রতিফলিত হয়েছে আমার ওপর। ‘

পূর্ব কিয়ৎ থামলেন।আমি নির্বাক ভূমিকা পালন করছি আপাতত। আমার গালে তিনি তার হাত আলত করে রেখে আদুরে ভাবে গাল টেনে দিয়ে বললেন,

‘ এবার বুঝলে তুমি কতোটা সুন্দর দেখতে?কাওকে প্রথম দেখেই পছন্দ করে ফেলা কিন্তু সহজ ব্যাপার না। ‘

আমি প্রসঙ্গ পাল্টাতে আমতা আমতা করে বলি,

‘ এসব কথা রাখুন। তারপর কি হলো?’

পূর্ব মৃদু হেঁসে হাতের মুঠো শক্ত করলেন। কন্ঠে বিনম্রতা এনে বললেন,

‘ পরদিন সকালে আমি তোমাকে খোঁজার জন্য দিবা যেই এপার্টমেন্টে থাকতো সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু আমার বেড লাক! সেদিন রাতেই তুমি বাংলাদেশ ব্যাক করেছিলে। অতঃপর শুরু হয় যন্ত্রণা! আমার বুকের মাঝখানটায় বসে তুমি সর্বক্ষণ সুচালো, তীক্ষ্ণ আঘাত দিতে লাগলে আর আমি তাতে ছটফট করতাম। শেষে না পেরে দিবাকে অব্দি তোমার পরিচয় জিজ্ঞেস করেছিলাম ও কিছু বলেনি। কানাডায় কেও তোমায় চিনতো না আর না তোমার কোনো ছবি ছিলো আমার কাছে। দিবা ধূর্ত ছিলো! ও বুঝতে পেরেছিলো আমি তোমাকে পছন্দ করি। তাই যত লোক দিয়ে আমি ওর কাছে পাঠিয়ে তোমার কথা জিজ্ঞেস করতাম ও সবাইকেই উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যেতো। একদিন কফিশপে মিট করে বলল আমার সাথে রিলেশনে গেলে ও তোমার সম্পর্কে ইনফরমেশন দিবে আমায়। আমি তখন পাগল পাগল ছিলাম। ‘ হ্যা ‘ বলে দিয়েছি। দিবার ক্ষেত্রে আমার সাথে ইন রিলেশনে যাওয়াটাই বিরাট কিছু ছিলো। কারণটা মেডিকেলে কোনো মেয়ে আমার পাশ দিয়ে অব্দি হেঁটে যাওয়ার সাহস পেতো না সেখানে আমি ওর সাথে রিলেশনে আছি। এটা ওর চ্যালেন্জ জেতাতে যথেষ্ট ছিলো। তারপর ফাইনালি আমি তোমার ইনফরমেশন পাই। জানতে পারি তুমি আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে। দিবার ছোট বোন! ‘

‘ ফুয়াদ নামে ছেলেটা আপনি আমার পিছে লাগিয়েছেন না?’

পূর্ব ঠোঁট বাঁকিয়ে হেঁসে আমার নাক টেনে দিয়ে বললেন,

‘ ইন্টেলিজেন্ট! ইয়েস, যখন তোমার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ইনফরমেশন পেলাম তখন থেকেই ফুয়াদকে তোমার পিছে লাগিয়েছি। যেনো ছোট খাটো যেকোনো বিপদে পড়লে ও তোমার হেল্প করতে পারে। আর রইল দিবা! ওর সাথে ব্রেক আপ হয়েছে ১ মাস পরই। আমিই করেছি এবং দিবারও মত ছিলো। দিবার তিশানকে পছন্দ করা শুরু করেছিলো তাই আমি ব্রেক’আপ করার পর তিশানের সাথে রিলেশনে জরীয়েছে ও। দ্যাট’স ইট! সেই কয়েক বছর আগ হতে আমি তোমার ওপর সর্বদা নজর রাখতাম ফুয়াদের মাধ্যমে। তারপর ইতি টানি বাংলাদেশে এসে। বাবা আর তোমার বাবা আমাদের দু’জনের বিয়ে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলো এবং এই বিয়ের পেছনে’ও আমার হাত আছে। ‘

কথা শেষে চোখ টিপ দিলেন তিনি। আমি নিশ্চুপ। একজন ব্যাক্তি আমার অগোচরে, আমায় নিয়ে এত কিছু কার্য সম্পাদন করেছে অথচ আমার তা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই? ভালোবাসা কি কারো প্রতি এতোটা প্রখর, তীব্র আকার হতে পারে? হয়তো পারে। তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ আমার সম্মুখে থাকা মানবটি! পূর্ব তার অন্যতম এক উদাহরণ।

___

কাল ভোরেই সবাইকে ফিরে যেতে হচ্ছে। তেমন কোথাও যাওয়ার সুযোগ না হলেও সবাই সন্তুষ্ট এতে যে পূর্ব তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছে।এতে আমি এতটুকু নিশ্চিত হলাম যে, সকলে আগ হতেই জানতো পূজা আমায় ভালোবাসেন। তিনি নিশ্চিত বিষয়টা তার বন্ধুমহলকে অবগত করেছে।
তারপর তারা ভাবী। তারা ভাবী পূর্বের বড় বোন সমেত। পূর্ব কখনো ভাবীকে ‘ ভাবী ‘ বলে ডাকে না। সর্বদা আপি বলেই ডাকে! তাদের সম্পর্কটা দেবর – ভাবীর থেকে ভাই বোনের সম্পর্কে আখ্যা পায়।

কাল যেহেতু চলে যাওয়া হচ্ছে তাই আজ সবাই মিলে ‘ ঝিনুক মার্কেট ‘ এ শপিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকলে বাসার সবার জন্য কিছু কিনবে সেখান হতে তাই এই যাত্রা। ঝিনুক মার্কেটে মূলত মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীন প্রভৃতি দেশ হতে আসা বাহারি জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে এই মার্কেট।ভাবী, সামাদ ভাইয়া’সহ বাকিরা আপাতত শপিং এ ব্যাস্ত। আমি তাদের থেকে খানিক দূরে দাড়িয়ে অরিনকে খোঁজায় ব্যাস্ত। কাল রাতে যখন রুমে ফিরলাম অরিনকে দেখিনি। মাত্রাতিরিক্ত ঘুম আসায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালেও আমার পাশ খালি ছিলো।

‘ কাকে খুঁজছো?’

পূর্বের কন্ঠ। পিছন তাকাতে দৃশ্যমান হয় সে ফোন পকেটে ঢুকিয়ে এগিয়ে আসছে। আমি চিন্তিত হয়ে বলি,

‘ অরিনকে। ওকে দেখেছেন?কাল রাতেও রুমে দেখলাম না। আমি ভেবেছি ভাবীর সাথে ঘুমিয়েছে। সকালেও দেখলাম না।ভাবী বলল অরিন তার সাথে ছিলো না। ‘

‘ অরিন তো চলে গিয়েছে। সায়ান বলেনি তোমায়? অরিনের আম্মু অসুস্থ ছিলো তাই চলে গিয়েছে একা একাই সায়ানকে বলে। সায়ান যেতে চাই ছিলো ওর সাথে কিন্তু অরিন বলল ওর কাজিন নাকি এসেছে ওকে ড্রপ করতে। ‘

চিন্তা বিন্দুমাত্র কমলো না। অরিন আমায় না বলে চলে গেলো? ও তো কখনো এমন করে না তবে আজ? ভাবনা মগ্নকালীন পূর্ব ফের বললেন,

‘ শপিং করবে না? চলো ভেতরে। এখানে তো বেশি সময় থাকতে পারবো না। হোটেলে ফিরতে হবে। ‘

আমি ঘাড় কাত করে সম্মতি জানাতেই পূর্বের ফোন পুনরায় বেজে উঠলো। তিনি আমায় ভীড় ছাড়া জনমানবহীন এক স্থানে দাঁড় করিয়ে বললেন অপেক্ষা করতে। কিয়ৎক্ষণ পর। হাতে হেঁচকা টান দিয়ে আড়ালে নিয়ে যায় কেও। আমি চমকে সম্মুখে তাকিয়ে অবাকের রেশ কন্ঠে ছাপিয়ে বলি,

‘ শোভন?’

চলবে,