LoVe Effect part-13+14

0
610

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 13

🍁🍁🍁

নীরঃ ছাড়ুন বলছি খারাপ হচ্ছে কিন্তু সব জায়গা জোড় ভালো লাগে না ছাড়ুন

নীর রাগান্বিত কন্ঠে কথাগুলো বলে সায়নের দিকে কটমট করে তাকায় সায়ন আর এক সেকেন্ড বিলম্ব না করে নীর কে ঠুপ করে কোলে তুলে নেয় আচমকা এমন হওয়ায় নীর ঘাবড়ে সায়নের পাঞ্জাবির কলার খামছে ধরে চোখ বড় বড় করে সায়নের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সায়ন একটা গা জ্বালানো হাসি দিয়ে নীরকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করে। ড্রয়িংরুমে সবার দিকে চোখ যেতেই সায়ন সবাই কে ক্রস করে শ্রাবণীর কাছে যায় শ্রাবণী এখনো মুখে হাত দিয়ে সায়ন আর নীরের দিকে তাকিয়ে আছে সায়ন গলা ঝেড়ে নীর কে উদ্দেশ্য করে বলে

সায়নঃ নামবে নাকি এই হ্যান্ডসাম ছেলের কোলে উঠে নামতে মন চাইছে না

সায়নের এমন আধ্যাত্নিক কথা শুনে নীরের মেজাজ ঠুঙ্গে চড়ে যায় একটা মানুষ কিভাবে ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টায় সায়ন কে না দেখলে নীর জানতোই না সায়ন স্লান হেসে নীরকে নামিয়ে হাত-পা ঝেড়ে ক্লান্তির সুরে বলে

সায়নঃ দেখতে তো পাতলু কিন্তু ওজন এমন মোটুর মতো কেনো দেখে মন হয় ফু দিলে উড়ে যাবে আর আমি সামান্য এতোটুকু এনেই শেষ একটু কম খেতে পারো না

নীরঃ দেখুন একদম ফালতু কথা বলবেন না আমার ওজন বয়স অনুযারী ঠিক আছে আর আমি কি আপনার কোলে উঠার জন্য মরে যাচ্ছিলাম সারাদিন গুন্ডাগিরি করেন কেনো রাত-বিরেতে একটা অবিবাহিত মেয়ের বাসায় গিয়ে এভাবে তুলে আনলেন যদি এলাকার কেউ দেখে থাকে কি জল ঘোলা হবে ভাবতে পারছে

সায়নঃ আরে দম নাও নয়তো তোমার হিটলার বাবা আবার বলবে আমি তোমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মে*রে দিয়েছি

নীরঃ দেখুন একদম আমার বাবাই কে নিয়ে এসব বলবেন না

সায়নঃ এই শুনো একটু কম রাগো এতো রাগ কিসের বললাম তো ভুল হয়েছিলো তার জন্য এত্তো রাগ বাপু মেয়ে তো এটুকুনি আর রাগ পুরো সাত আসমান

নীরঃ এক্সকিউজ মি হু আর ইউ যে আমি আপনার উপর রাগ করবো

সায়নঃ আম ইউর বেস্টফেন্ডের ভাই

নীরঃ সো ভাই ভাইয়ের মতোই থাকুন বয়ফ্রেন্ডের ভাব নেন কেনো

সায়নঃ এই শুনো তোমার মতো বাঘিনীর লেডি হিটলারের বয়ফ্রেন্ড হবার জন্য এই সায়ন বসে নেই ওকে

নীরঃ জানি জানি

সায়নঃ এই ঝগড়া থামাও তো হুদাই ঝগড়া করে

নীরঃ আমি বেহুদা ঝগড়া করছি আপনি কোন সাহসে আমার বিনা পারমিশনে আমার রুমে ঢুকে আমাকে ছিনতাই করলেন কোন জন্মে ছিনতাইকারী ছিলেন বলুন তো অভি ভাইয়া আয়াত ভাইয়া কেউ তো আপনার মতো না আপনি কোন আকাশ থেকে টপকালেন

সায়নঃ সবাই তো আর সায়ন না

নীরঃ ভাগ্যিস নয়তো এলাকার মেয়ে রা শান্তি পেতো না

সায়নঃ ওয়াট ডু ইউ মিন

শ্রাবনীঃ উফফস স্টপপপপপপ ( চেঁচিয়ে)

শ্রাবনীর চেঁচানোতে সবাই হুশে ফিরে এতোক্ষণ নীর আর সায়নের ঝগড়া দেখে সবাই অন্য এক জগতে চলে গিয়েছিলো আয়াত অভি সায়নের কাছে যায় শ্রাবণী নীরকে জড়িয়ে ধরে হেসে বলে

শ্রাবনীঃ ওয়াও ছোড়দা ইউ আর গ্রেট লাভ ইউ

নীরঃ যেমন ভাই তেমন বোন ছাড় বলছি

সায়নঃ তুই খুশি তো

শ্রাবনীঃ অন্নেককক

সায়নঃ যাক বাবা এতোক্ষণে শান্তি পেলাম

নীর রাগে নাক ফুলিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে এশা আর রিহি নীরের পাশে দাঁড়িয়ে বলে

রিহিঃ বোনের বেস্টফ্রেন্ড কে এভাবে তুলে আনলে কবে জানি বউ নিয়ে হাজির হও সেদিন হয়তো আমরা হক্কা পাবো

সায়নঃ ধ্যাত ক্রাশভাবী

অভিঃ আচ্ছা যা বাদ দে এসব এবার আয় আর একটু পরই অনুষ্ঠান শুরু হবে আর নীর আমরা সায়নের হয়ে আবারও সরি বলছি তোমাকে

নীরঃ বড়দা অন্যের পাপের শাস্তি আপনারা কেনো পাবেন আপনাদের উপর আমার কোনো রাগ নেয়

সায়নঃ আমার উপর আছে ( ভ্রু কুঁচকে)

নীরঃ আপনি জাস্ট চুপ থাকুন আর জানেন না আপনি আমার জন্মগত শত্রু আর শত্রুর উপর রাগ ক্ষোভ আক্রোশ সব থাকে আপনার উপর ও অলওয়েজ আমার এসব আছে

সায়নঃ হ্যাঁ হ্যাঁ এমন ভাবে বলছো তোমার উপর আমার ভালোবাসা উতলে পড়ছে

নীরঃ ভুলেও ভাবি না কারণ আপনার ভালোবাসা পাওয়ার থেকে এসিড দিয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়া ভালো আপনার ভালোবাসা হলো এসিডের মতো যেটা আমার কোনোকালেই সহ্য হয় না আপনি আর এসিড হলে সমার্থক শব্দ

নীরের কথা শুনে সবাই শব্দ করে হেঁসে দেয় সায়ন রাগান্বিত দৃষ্টিতে নীরের দিকে তাকায় নীর ভেংচি কেটে শ্রাবনীকে নিয়ে ওর রুমে চলে যায়। আচমকা জানভি এসে সায়নকে টেনে একপাশে নিয়ে যায় সায়ন জানভির পেছন পেছন তিয়াসরা ও যায় জানভি সায়নকে নিজের সামনে দাঁড় করিয়ে কাটকাট গলায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়

জানভিঃ এসবের মানে কি সায়ন

সায়নঃ কোনসব

জানভিঃ আমি কি বলছি তুই বুঝতে পারছিস তবুও কেনো নাটক করছিস

জানভির কথায় সায়ন জানভির হাত ধরে বলে

নীর শ্রাবনী আরো কয়েকজন মেয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছে আর হাসছে অন্যপাশে মাহির শুভ আদিত্য রা ভদ্র ছেলের মতো দাঁড়িয়ে আছে উহু ভদ্রলোক সাজার ও কারণ আছে কারণ টা হলো মাহিরদের সামনেই মাহিরের মা-বাবা দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ মাহিরের বাবা বলে উঠে

মাহিরের বাবাঃ মেয়েটা কি কিউট তাই না

মাহিরের আম্মুঃ কে

মাহিরের বাবাঃ আরে সায়নের বোন শ্রাবণী

মাহিরের মাঃ হুমম ঠিক বলেছো অনেক মায়াবী মুখটা আমার তো ভারী পছন্দ হয়েছে

মাহিরের বাবাঃ ওদিকে চলো

মাহিরের বাবা যেতেই মাহির ভেংচি কেটে বলে

মাহিরঃ কত মায়াবী আর ভালো এটা একদিন সামনে থাকলেই বুঝতে পারবে

আদিত্যঃ তোর এতো জ্বলে কেনো

মাহিরঃ আমার জ্বলবে কেনো এটাকে মায়াবী আর কিউট বললো বাস্তবে তো পুরো নিমপাতার রস

শুভঃ টেস্ট করেছিস নাকি ( ভ্রু কুঁচকে)

মাহিরঃ উহু ওকে টেস্ট করলে ডায়াবেটিস হবে পেটে ভয়ানক সমস্যা দেখ দেবে তাই টেস্ট করার শখ নেই টেস্ট করতে গিয়ে ভবিষ্য হারাতে হবে আশা করি বুঝতেই পারছিস কি বলতে চাইছি

মাহির মুচকি হেসে মাথা চুলকাতে চুলকাতে সামনের দিকে চলে যায় তখনই সামনে দিয়ে একজন ওয়েটার কোক নিয়ে যাচ্ছিলো একপাশ দিয়ে মাহির আসছিলো আদিত্যদের দিকে তাকিয়ে আর অন্যপাশ দিয়ে শ্রাবনী আসছিলো মাঝখান দিয়ে ওয়েটার শ্রাবনী আর মাহিরের সাথে ধাক্কা লেগে ওয়েটার হাতের কোক মাহির আর শ্রাবনীর উপর পড়ে যায় কয়েক মুহুর্তে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় মাহির আর শ্রাবনী দুজনই দু’জনের দিকে বেক্কলের মতো তাকিয়ে আছে সায়ন অভি আয়াত এসে বলে

আয়াতঃ মাহির শ্রাবনী ঠিক আছিস তোরা কোথাও লাগেনি তো

মাহিরঃ না ভাইয়া

সায়নঃ বনু

শ্রাবনীঃ হুমম ঠিক আছি বাট ড্রেস টা

অভিঃ উপরে গিয়ে পাল্টে আয়

সায়নঃ মাহির তুমি আমার সাথে এসো আমার একটা ড্রেস আপাতত পড়ো

শ্রাবনীঃ নাহহহহ

আয়াতঃ কেনো

শ্রাবনীঃ উনাকে আমি তোদের কারোর ড্রেস পড়তে দেবো না

সায়নঃ তাহলে ও পড়বে কি

শ্রাবনীঃ বাবার পাঞ্জাবি পড়তে বল

মাহিরঃ কিহহ পাঞ্জাবি আঙ্কেলের

শ্রাবনীঃ জ্বিহহহ

অভিঃ বুড়ি এমন করছিস কেনো বাবার পাঞ্জাবি ওর অনেক ঢিল হবে

শ্রাবনীঃ তাহলে ড্রেস ছাড়া থাকুক

সায়নঃ বনু এমন করে না

শ্রাবনীঃ নাহ মানে নাহ পাঞ্জাবি পড়ুন নয়তো বাদ দেন

অগত্যা শ্রাবনীর সাথে পেরে না উঠে মাহিরকে সায়নের বাবার পাঞ্জাবিই পড়তে বাধ্য হতে হলো মাহির শ্রাবনীর দিকে একটি ঝুঁকে ফিসফিস করে বলে,,,,

মাহিরঃ এই দিন দি না মিস হিটলার লেডি আরো দিন আসবে সেদিন দেখে নেবো

প্রতিত্তোরে শ্রাবণী একটা টেডি স্মাইল দিয়ে চলে যায় চেঞ্জ করতে। প্রায় বিশ মিনিট পর মাহির শ্রাবনীর বাবার পাঞ্জাবি পড়ে বের হয় বেশ ঢিল হয়েছে হাতা লম্বা বডিও লম্বা মাহির পাঞ্জাবির হাতা ফোল্ড করে নেয় মাহিরের অবস্থা দেখে আদিত্য আর শুভ মুখ টিপে হাসে নীর ঠোঁট চেপে হাসি আটকায় শ্রাবনী মিটিমিটি হাসে সায়নরা ইনোসেন্ট ফেস করে মাহিরের দিকে তাকায় বিনিময়ে মাহির একটা হাসি উপহার দেয়। মাহির আদিত্যদের কাছে গিয়ে বলে

মাহিরঃ এবার বুঝলি তো কেনো বলেছিলাম ওকে টেস্ট করার শখ নাই সামান্য এতোটুকুতেই এই হাল করলো যদি অন্যকিছু করতাম তাহলে মনে হয় আমাকে আন্ডার প্যান্ট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতো এটা পড়তে হবে এই মেয়ের দ্বারা সব সম্ভব

শুভঃ বাট যায় বল ইউ আর লুকিং এ কিউট জোকার

মাহিরঃ থাপ্পড় খাবি শালা

আদিত্যঃ আমাদের মেরে কি লাভ পারলে উনাকে কিছু কর

মাহিরঃ ওয়েট ওকে একটু রাগিয়ে আসি

শুভঃ হুমমম এটা তো জাস্ট বাহানা আমরা কি বুঝি না কেনো যাচ্ছো

মাহির কিছু না বলে শ্রাবণী দের কাছে চলে যায় মাহিরকে দেখে নীর শ্রাবনীর দিকে তাকায় শ্রাবনী মাহিরের দিকে তাকিয়ে টেডি স্মাইল দিয়ে বলে

শ্রাবনীঃ আহ পাঞ্জাবিতে আপনাকে এত্তো জগন্য লাগে

মাহিরঃ হুমম গো বাই দ্যা ওয়ে এতো নাটক না করলেও পারতে

শ্রাবনীঃ মানে

মাহিরঃ আমাকে চুপিচুপি এসে বলে দিতে তুমি শাড়ী পড়বে তাই আমাকে পাঞ্জাবি পড়তে হবে তাহলেই আমি পড়তাম তুমি তো জানো তোমার কোনো কথা আমি ফেলতে পারি না জানননন

শ্রাবনীঃ ওয়াটটট

মাহিরঃ ফিল হটি নটি টাইপ জান পাখি বাইদ্যা ওয়ে ইউ আর লুকিং সো পেত্নি টাইপ

শ্রাবনীঃ আপনাকে

মাহিরঃ কি করবে গগগো

শ্রাবনীঃ ধ্যাততত

মাহিরঃ আহারে আমার লক্ষ্মী সোনা টা রাগ করেছে রাগ কলে না মেলা থেকে তকলেট এনে দেবো কেমন

শ্রাবনী কে কিছু বলতে না দিয়ে মাহির সিটি বাজিয়ে চলে যায় মাহির যেতেই নীর শব্দ করে হেঁসে দেয় শ্রাবনী নীরের দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকায় তবুও নীরের হাসি থামছে না।

____________________

প্রভাতের আলো চোখে মুখে উপচে পড়তেই নীরের ঘুম ভেঙে যায় নীর বেড থেকে উঠে এলোমেলো চুলে বারান্দায় চলে যায় বারান্দায় দাঁড়াতেই শীতল হাওয়া এসে নীরের অঙ্গ ছুঁয়ে যায় শিহরণে নীর চোখ বুঁজে নেয় কাছ থেকে ভেসে আসলো নাম না জানা এক পাখির ডাক। ইট পাথরের শহরে এটাই এক সমস্যা কখন কোন পাখি কোথ থেকে ডাকে তা বুঝা বেজায় মুশকিল নীর আর কিছুক্ষণ বারান্দায় প্রকৃতি বিলাশ করে রুমে গিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে যায়।

ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে আছে নীর আর শ্রাবনী শ্রাবনীর জন্মদিনের আজ একমাস দশদিন পাড় হলো নীর বসে বসে আনমনে কিছু ভেবে যাচ্ছে শ্রাবনী সন্দিহান দৃষ্টিতে নীরের দিকে তাকিয়ে আছে শেষমেশ বিরক্ত হয়ে বললো

শ্রাবনীঃ কি হয়েছে বলবি এমন থম মেরে বসে আছিস কেনো

নীর কাঁদো কাঁদো ফেস করে শ্রাবণীর দিকে তাকায়

মাহিরঃ বুঝলাম তোর কেইস অনেক জটিল

মাহিরের কথায় শুভ’র হুশ ফিরে শুভ অসহায় ফেস নিয়ে মাহিরের দিকে তাকিয়ে বলে

শুভঃ কিছু একটা কর নয়তো আইডিয়া দে প্লিজ

আদিত্যঃ আমি বলি কি তুই আজ যে টাইমে যেতে বলেছে যা দ্যান তুই সব বলিস আমরা ও আছি তোর সাথে

মাহিরঃ হুমম আমার ও এটাই মনে হয়

শুভঃ ঠিক আছে চারটায় লেকপাড়ে ওয়েট করিস

মাহিরঃ টেনশন নিস না সব ঠিক হয়ে যাবে

নীরের কথা শুনে শ্রাবণী চেচিয়ে বলে

শ্রাবনীঃ ওয়াট কিন্তু এতো তাড়া কিসের

নীরঃ জানি না

শ্রাবনীঃ কি করবি

নীরঃ যা করার তাই করতে হবে

শ্রাবনীঃ মানে তুই রাজি

নীরঃ শ্রাবণী আমি কিছু জানি না আমার ভালো লাগছে না কিছু

নীর আবার আনমোনা হয়ে যায় শ্রাবণী নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করতে থাকে কিন্তু কিছুতেই কিছু হবে বলে মনে হয় না

(কাল ধামাকা দিমু আর আর নাই)

চলবে,,,,

( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ)

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 14

🍁🍁🍁

রেস্টুরেন্টে পাত্রর সাথে মিট করতে এসে শুভ কে দেখে নীরের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা নীর ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে সামনের টেবিলে বসা চার যুবকের দিকে তাকিয়ে আছে সামনের চারজন ও নীরকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় শ্রাবনী হতভম্ব হয়ে নীরকে হাল্কা ধাক্কা দেয় শ্রাবনীর ধাক্কায় নীর হুশে ফিরে নীর চারজনের দিকে তাকিয়ে শুভকে উদ্দেশ্য করে বলে

নীরঃ আ আপনি আ আমার উডবি

শুভঃ তু তুমি আমার উডবি

নীর আর শুভ দুজন দু’জনের দিকে অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে আছে আজ সকালে ভার্সিটি আসার সময় নীরের বাবা হঠাৎ করে বলেছিলো নীরের জন্য বিয়ে ঠিক করেছে ছেলে খুব ভালো আজ বিকেলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে ব্যস নীর কে আর কিছু বলার না দিয়েই নীরের বাবা চলে যায় তাই নীর এসেছিলো ছেলের সাথে দেখা করে বিয়ে ভাঙ্গতেশুভ’র বেলায় ও সেইম কিন্তু এমন কিছু হবে নীর শুভ কেউই ভাবেনি। শুভ মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে পড়ে নীর হতভম্ব হয়ে সবার দিকে চোখ বুলায় মাহির আদিত্য এখনো চোখ বড় বড় করে নীরের দিকে তাকিয়ে আছে পাশেই সায়ন ভ্রু কুঁচকে নীরের দিকে তাকিয়ে আছে ওদের সাথে সায়নকে দেখে নীর কিছুটা অবাক হয় তবুও ততটা মাথা ঘামায় না শ্রাবনী সায়নকে উদ্দেশ্য করে বলে

শ্রাবনীঃ ছোড়দা তুই কি করছিস এখানে

সায়নঃ এই রেস্টুরেন্টেই কিছু ক্লাইন্ট নিয়ে লাঞ্চে এসেছিলাম দ্যান কিছু ইম্পর্ট্যান্ট ফাইল চেক করে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম তখনই মাহিররা ভেতরে ঢুকলো আর বললো শুভর মেয়ে দেখতে আসছে আমাকে থাকতে বললো আমার ও তেমন কাজ ছিলো না তাই থেকে গেলাম বাট এমন সারপ্রাইজ পাবো ভাবিনি

শুভঃ ইম্পসিবল আমি এ বিয়ে করবো না

নীরঃ আমি ও করবো না বাই দ্যা মেডিকেল কলেজের বিশ্বরোড আপনার না জিএফ আছে

শুভঃ হুমমম

নীরঃ তাহলে মেয়ে দেখতে আসলেন কেনো

শুভঃ আব্বু বললো তাই

নীরঃ বাহ রে বাহ আব্বু বললো আর চলে আসলেন আব্বুকে বললেই হতো আপনার অন্য মেয়ে পছন্দ

শুভঃ মরে গেলেও পারবো না আব্বুর মুখের উপর কথা বলতে

শ্রাবনীঃ তো এখন কি করবেন নীরকেই বিয়ে করবেন

শুভ & নীরঃ নাহহহ

দুজনই একসাথে চেচিয়ে নাহ বলাতে শ্রাবণীরা সবাই কিছুটা ঘাবড়ে যায় আদিত্য দাঁত কেলিয়ে বলে

আদিত্যঃ আমি অলওয়েজ ফিল্মে দেখে আসতাম নায়ক-নায়িকাদের জীবনের ফাস্ট টাইম ঝগড়া থাকে আর লাস্ট টাইম থাকে রোমান্স ভরপুর এখন কি তোদের ক্ষেত্রে ও তেমন হবে

শুভঃ একদম চুপ ফাজিল

নীর চেয়ারে বসে পড়ে সবাই একসাথে বসে ভাবতে থাকে কি করবে শ্রাবণী সায়নের দিকে একপলক তাকিয়ে দেখে সায়ন নির্বিকার বসে আছে চোখে-মুখে কোনো চিন্তার রেশ নেয় একদম নর্মাল ফোনে চোখ বিঁধিয়ে কিছু একটা করছে আর মিটিমিটি হাসছে হয়তো জানভির সাথে টেক্সট করছে এটা ভেবেই শ্রাবনী একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। হঠাৎ নীরের ফোন বেজে উঠে নীর এখনো অন্য ধ্যানে আছে সবাই নীরের দিকে তাকায় নীর একদৃষ্টিতে টেবিলে থাকা ফ্লাওয়ার টবের দিকে তাকিয়ে কিছু ভেবে যাচ্ছে শ্রাবনী নীর কে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে

শ্রাবনীঃ বেস্টু তোর ফোন বাজছে

নীরঃ হুমম

শ্রাবনীঃ ফোন রিসিভ করেছি নে কথা বল

নীরঃ হুমমম

শ্রাবনীঃ নে ফোন ধর আঙ্কেল কল দিয়েছে

নীরঃ হুমমম

শ্রাবনী নীরের এক উত্তর পেয়ে বিরক্ত হয়ে ফোন লাউড স্পিকারে দেয় ফোনের ওপাশ থেকে নীরের বাবা বলে উঠে

নীরের বাবাঃ ছেলে পছন্দ হয়েছে তোমার

নীরঃ হুমম ( আনমনে)

নীরের বাবাঃ আলহামদুলিল্লাহ আমি জানতাম আচ্ছা বাসায় চলে যাও তাড়াতাড়ি এখন রাখছি

নীরঃ হুমম

নীরের বাবা ফোন কেটে দেয় নীরের উত্তর পেয়ে সবার চোখ ছানাবড়া শ্রাবণী চেচিয়ে বলে

শ্রাবনীঃ তুই বিয়ে তে রাজি

শ্রাবনীর চেঁচানো তে নীরের হুশ ফিরে নীর হকচকিয়ে শ্রাবনীর দিকে তাকায় মাহির অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে নীরের দিকে তাকিয়ে বলে

মাহিরঃ তুমি সত্যিই রাজি শুভকে তোমার পছন্দ হয়েছে

নীরঃ কিসব বলছেন আমি কখন বললাম আমি রাজি

আদিত্যঃ মাত্রই তো তোমার বাবা কে বললে

নীরঃ কিহহ ( অবাক হয়ে)

সায়নঃ শুভ সময় থাকতে বলছি এই মেয়েকে বিয়ে করে জীবন শেষ করো না জীবন এসিড বানিয়ে ছাড়বে

সায়নের কথায় নীর কটমট দৃষ্টিতে সায়নের দিকে তাকায় শুভ বিরক্তি নিয়ে বলে

শুভঃ দেখো আমি অন্য একজন কে ভালোবাসি এটা তুমি ও জানো তাহলে কেনো রাজি হলে বেহুদাই থার্ড পার্সন হচ্ছো কেনো

শুভ’র কথায় নীর রেগে টেবিলে চাপড় মেরে বলে

নীরঃ আমাকে যেভাবে গলা উঁচু করে বললেন নিজের বাবা কে গিয়ে বলুন সাহস থাকলে আজাইরা জায়গায় রাগ দেখাবেন না আপনার রাগে আমার কি আশ্চর্য আমি আপনাকে বিয়ে করতে মরে যাচ্ছি দুনিয়ায় ছেলের অভাব নাকি এতোই যখন বীরপুরুষ প্রেমিক তো যান না গিয়ে নিজের বাবা কে বলুন কি ভাবেন আপনারা ছেলেরা নিজেদের এজন্যই আপনাদের ছেলেদের আমার জাস্ট সহ্য হয় না ফালতু পাবলিক

নীরের কথায় শুভ দমে যায় মাহির রা সবাই কিছিটা ভয় পেয়ে যায় শ্রাবণী নীরের সামনে পানির গ্লাস এগিয়ে বলে

শ্রাবনীঃ কুল ডাউন বেবি কুল ডাউন এতো হাইপায় হচ্ছিস কেনো

নীর শ্রাবনীর হাত থেকে পানি নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে গ্লাস রেখে কয়েক টা শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে শুভর দিকে তাকিয়ে বলে

নীরঃ বিয়ে টা হচ্ছে পারলে নিজে থেকে বিয়ে টা ভাঙ্গুন নয়তো আমাকেই বিয়ে করুন আমি বিয়ে ভাঙ্গছি না এটা মাথায় রাখবেন ওহ হুম তাই বলে ভাববেন না আই এম ইন লাভ উইদ ইউ ইট’স নট রাইট সো সব আপনার হাতে যদি রাহা আপুকে সত্যি ভালোবেসে থাকেন তাহলে নিজের ভালোবাসার প্রমাণ দিতে বিয়ে টা ভেঙে দেখান আমি বিয়েটা ভাঙছি না এটা সিউর গুড বাই নেক্সট ডে দেখা হচ্ছে হাফ উডবি হাসবেন্ড

নীর শ্রাবনীর হাত ধরে চলে যায় শুভ অসহায় দৃষ্টিতে মাহিরদের দিকে তাকায় মাহিররা শুভ দৃষ্টি দেখে মাথা নামিয়ে নেয় সায়ন মুচকি হেসে বলে

সায়নঃ বিয়ে টা করতেই পারো নীর মেয়ে হিসেবে ভালো জীবনসঙ্গী হিসেবে একদম পারফেক্ট

শুভঃ সায়ন ভাইয়া আমি ও জানি নীর নিঃসন্দেহে একজন ভালো মেয়ে এটা ওর স্বভাব দেখেই বোঝা যায় কিন্তু ওকে বিয়ে করলে ওর জীবন টা নষ্ট হবে আমার কাছ থেকে কখনো স্ত্রীর মর্যাদা পাবে না আমি রাহাকে নিজের জীবনের থেকে ও বেশি ভালোবাসি কিন্তু আব্বুকে আমি রাহার কথা বলতে পারবো না

সায়ন কিছু না বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে

দুপুর বেলায় শুভ্র রঙে রাঙায়িত অন্তরীক্ষ ধূসর বর্ণের পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে রোদের প্রখর তাপে প্রকৃতির নাজেহাল অবস্থা সেই সাথে রোবটরূপী মানব-মানবীর বেহাল দশা। নীর আর শুভ’র বিয়ে ঠিক হয়েছে দুপরিবারের সম্মতে শুভ ওর বাবাকে রাহার কথা বলতে চেয়ে প্রতিবার ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে ও পারেনি ওর আব্বুর খুশির মধ্যে একরাশ বেদনা ঢেলে দিতে দুই মাস পরই নীর আর শুভর বিয়ে ঠিক হয়েছে হাতে এখনো এক মাস বিশ দিন বাকি। ভার্সিটির মাঠে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছিলো নীর পাশে শ্রাবনী বসে বসে ফোন টিপছে নীর শ্রাবনীর দিকে একপলক তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আকাশের দিকে তাকায় তখনই ওখানে মাহিররা আসে শুভ’র মুখ টা চুপসে আছে শুভ কে দেখলে নীরের এখন তাচ্ছিল্যের হাসি পায় নীর আগে থেকে ভালোবাসা টালোবাসায় বিশ্বাসী ছিলো না শুভ’র করা কাজে ভালোবাসা শব্দ টাতেই ঘেন্না ধরে গেছে। মাহির শ্রাবনী কে ঠেস দিয়ে বলে

মা-ও কেমন বেস্টফ্রেন্ড তুমি হুম তোমার বান্ধবীর জীবনটা এভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে তুমি বসে বসে ফোনে বিএফের সাথে চ্যাট করছো

শ্রাবনী ফোন ব্যাগে রেখে টেডি স্মাইল দিয়ে বলে

শ্রাবনীঃ এক্সকিউজ শুভ ভাইয়া আপনার থেকে হাজার গুন ভালো তাই বেস্টুকে নিয়ে কোনো টেনশনই নেই আমার শুভ ভাইয়া আর যাই হোক আমার বেস্টু কে পাচার করে দেবে না আপনার মতো

মাহিরঃ ওয়াট ডু ইউ মিন টু সে

শ্রাবনীঃ আই মিন টু সে আপনি নিজেই জানেন না কয়টা বড় আজ অবধি পাচার করছেন

মাহিরঃ কার বউ পাচার করলাম ( অবাক হয়ে)

শ্রাবনীঃ আপনার

মাহিরঃ আমি কবে বিয়ে করলাম

শ্রাবনীঃ ভাব ধরে লাভ নেই ওই দিন ও আপনার বারো নাম্বার বউয়ের সাথে আমার দেখা হইছে কি যেনো নাম হুমম রিদিমা ওকে পাচার করে বিশ কোটি টাকা ইনকাম করছেন আমি সব জানি বুঝলেন আপনাকে তো পুলিশে দেওয়া উচিত

মাহিরঃ এনি প্রুফ

শ্রাবনীঃ হুমম অনেক প্রুফ আছে

নীরঃ আহ শ্রাবনী থাম তো আজ ও ঝগড়া করছিস কাল থেকে তো কেউই কাউকে দেখতে পারবি না এই দু’সপ্তাহে তো মনে হয় ঝগড়া করতে না পেরে সুইসাইড এটেন্ড করবি

মাহিরঃ আরে হুমম ভুলেই তো গেছি কাল থেকে তো ১৪ দিনের জন্য ভার্সিটি অফ ( মুড অফ করে)

আদিত্যঃ কি ব্যথা বুকে বুঝায় কাকে হয়ে গেলো ভার্সিটি বন্ধ

উপস্থিত সবাই বুঝতে বেগ পেতে হলো না গান টা মাহির কে উদ্দেশ্য করেই গাওয়া হয়েছে নীর হেসে দেয় তারপর বলে

নীরঃ পারফেক্ট গান বাট আমাকে এখন বাড়ি যেতে হবে আবার চৌদ্দ দিন পর দেখা হচ্ছে বাই অল

শুভঃ বিয়ে টা তুমি সত্যিই করছো

শুভর কথায় নীরের পা আটকে যায় নীর শুভর দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলে,

নীরঃ প্রথমত আমি ভালোবাসায় কোনোকালেই বিশ্বাসী ছিলাম না দ্বিতীয়ত এই মুহুর্তে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে আমার ছিলো বিশেষ করে আপনাকে বিয়ে এটা আমার মাইন্ডেও কখনো আসেনি তৃতীয়ত আমি আমার বাবাইয়ের কথা ফেলতে পারিনা চতুর্থ রিলেশনশিপে আপনি আছেন আমি নয় সো বিয়ে আটকানো টা আপনার দায়িত্ব আপনার চিন্তা আমার না আপনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ এমন ছেলে সব মেয়েই তার লাইফে চাই আমিও চাই কিন্তু সেটা আপনাকে না এখন অপশন দুইটা আপনার কাছে হয় বিয়ে ভাঙ্গবেন নয়তো বিয়ে করবেন এন্সার পেয়ে গেছেন এখন আসি

শুভঃ দাঁড়াও

নীরঃ জ্বি বলুন

শুভঃ তুমি যেমন তোমার বাবার কথা রাখতে চাও আমিও চাই আমি আমার আব্বুর মুখের উপর চাইলেই বলতে পারি আমি তোমাকে বিয়ে করবো না তখন আব্বু আমাকে জিজ্ঞেস করবে বিয়ে না করার একটা রিজন দিতে আমি চাইলেই বানিয়ে বলতে পারতাম অনেককিছু তোমার নামে কিন্তু এটা আমার মানসিকতা না তুমি বলে গেলে আমার মতো লাইফ পার্টনার সবাই চাই এখন আমি ও বলছি তোমার মতো মেয়ে ও সব ছেলে চাই কিন্তু আমি তোমাকে নয় রাহা কে চাই কিন্তু দুভার্গ্যবশত আমি আমার আব্বুকে রিলেশনের কথা টা বলতে পারবো না যার ফলস্বরূপ তোমাকেই বিয়ে করতে হবে। ঘরে থাকবে এক নারী মনে থাকবে অন্য নারী সহ্য করতে পারবে নিজের স্বামীর মনে অন্য নারীর ভালোবাসা

নীর তাচ্ছিল্যের হেসে বলে

নীরঃ আপনাকে আমি স্বামী হিসেবে কোনোকালে ভাবিনি আর ভবিষ্যতে ভাববো ও না তাই আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোনো দরকার আছে বলে মনে হয় না

শুভ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে নীর হেসে চলে যায় শ্রাবণী ও বাই দিয়ে চলে যায়

মাহিরঃ শুভ তুই আঙ্কেল কে বলে দে

শুভঃ তুই তো জানিস আব্বুকে আমি কতটা ভয় পাই

আদিত্যঃ রাহাকে হারানোর ভয় নেই তোর

শুভঃ আছে

মাহিরঃ তাহলে আঙ্কেল কে বল নীরকে জোড় করে লাভ নেই একটা কথা মাথায় রাখিস মেয়েরা সবসময় অসহায় বিশেষ করে নিজেদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত টায় মেয়ে রা নিতে পারে না তাহলে তুই কোন ভিত্তি তে নীরকে ফোর্স করছিস

শুভঃ আমার মাথা কাজ করছে না আমি কি করবো বুঝতে পারছি না

আদিত্যঃ ঠান্ডা মাথায় ভাব তাহলেই হয়

________________

ড্রয়িংরুমে মুখ ঘোমড়া করে বসে আছে শ্রাবনী এখনো সায়নরা বাড়ি ফিরে নি এদিকে শ্রাবনী আজ একবারো চকলেট খায়নি বলে পেটের ভেতর পূর্ব চকলেট গুলো নতুন চকলেট কে হাঁক ছেড়ে ডাকছে কিন্তু অভিদের আসার নামই নেই।

এশাঃ বুড়ি কি হয়েছে তোর

শ্রাবনীঃ বউমণি আমি চকলেট খাবো কিন্তু দেখো তোমার শ্বশুর বর দেবর কেউ এখনো আসছে না

রিহিঃ এসে যাবে দশ টা বাজতে চলল

শ্রাবনীর মাঃ এখন এই অসময় তোর চকলেট খেতে মন চাইছে রাতের খাবার খাবি না

শ্রাবনীঃ চকলেট আর রাতের খাবার এক নাকি মা

শ্রাবনীর মাঃ তোকে নিয়ে আর পারি না আল্লাহ মাবুদ ভালো জানে তোর কপালে কোন ছেলে আছে

শ্রাবনীঃ তোমার মেয়ে যেমন কিউট তার বর ও কিউট হবে বুঝলে

মাহিরের বাবাঃ বুঝলি মাহির বয়স তো তোর কম হলো না দুদিন পর বুড়ো হবি বিয়েসাদী কর এবার

হঠাৎ নিজের বাবার মুখে এমন কথা শুনে মাহির ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় মাহির আমতা আমতা করে বলে

মাহিরঃ মা মানে

মাহিরের বাবাঃ মানে হলো তোর জন্য আমার একটা মেয়েকে ভারী পছন্দ হয়েছে

মাহিরঃ আমি এখনই বিয়ে টিয়ে করবো না বাবা

মাহিরের বাবাঃ আগে শোন তো কোন মেয়ের কথা বলছি আরে সায়নের বোন আছে না শ্রাবণী ওকে আমার আর তোর মা’র ভারী মনে ধরেছে ভাবছি ওর বাড়ি বিয়ের আলাপ পাঠাবো

মাহিরঃ নাহহহহহহহহহহ

(ডিংকা চিকা ডিংকা চিংকা)

চলবে