#ডিভোর্স
পর্বঃ ১১
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার
।
পরের দিন সকাল
বেলা….
।
সারা রাত যে পরিমাণ
বৃষ্টি হইছে তাতে
রাস্তা ঘাটে অনেকটাই
পানি লেগে আছে…
।
স্নেহাঃ এই উঠো…
উঠো বলছি…
।
সাঈদঃ কী হয়ছে হুম এত
সকাল সকাল ডাকছো
কেনো…
।
স্নেহাঃ রাতে আমার
ঘুম নষ্ট করে এখন নিজে
আমার করে ঘুমানো
হচ্ছে..
।
সাঈদঃ তো আমি কী
তোমাক ঘুমাতে বারণ
করছি..
।
স্নেহাঃ হুম ৮ঃ৩০ বাজে
এখন..
।
সাঈদঃ কীহ সাড়ে আট
টা বেজে গেছে
।
স্নেহাঃ হুম..
।
সাঈদঃ একটু আগে ডাক
দিবা না..
।
স্নেহাঃ এখনি উঠতে
চাইছিলে না আর একটু
আগে ডাক দিলা উঠতা
এই কথাটা বিশ্বাস করা
যায়…
।
সাঈদঃ হুম যায়…
।
তার পর বিছানা থেকে
উঠে বাথরুম থেকে
ফ্রেশ হয়ে নিচে
আসলাম…
।
নিচে আসতেই দেখলাম
মায়া আগেই এসে বসে
আছে…
।
সাঈদঃ good morning
maya..
।
মায়াঃ good morning…
।
সাঈদঃ এত তাড়াতাড়ি
উঠে পড়ছো যে..
।
মায়াঃ আমার আবার
একটু সকালে উঠার
অভ্যাস আছে…
।
সাঈদঃ হুম সকালে উঠা
টা স্বাস্থের জন্য
উপকার…
।
মায়াঃ আপু কোথায়
আমাকে আবার চলে
যেতে হবে…
।
সাঈদঃ এত সকাল
সকাল..
।
মায়াঃ জ্বী গাড়ি
পাইতে অনেক দেরি
হবে..
।
সাঈদঃ তুমি গাড়িতে
যাবে কেনো আমাদের
গাড়ির ড্রাইভার টা
গিয়ে তোমাকে রেখে
আসবে…
।
মায়াঃ তার কোনো
দরকার হবে না…
।
সাঈদঃ সেটা তোমার
না ভাবলেও চলবে
একবারে খেয়ে দেয়ে
তার পর যাবা…
।
স্নেহাঃ ফ্রেশ হয়ে
নিচে আসতেই…
।
সাঈদঃ চলে আসছে
তোমার আপু ..
।
মায়াঃ আপু দেখো না
দুলাভাই আমাকে এখন
যেতেই দিচ্ছে না…
।
স্নেহাঃ এখনি তুই
কোথায় যাবি হুম…
।
একবারে বিকেল এ
যাবি…
।
মায়াঃ আপু তুমিও
তোমার থেকে দুলাভাই
অনেক ভালো
।
স্নেহাঃ কেনো
।
মায়াঃ দুলাভাই তো
আমাক নাস্তা করে তার
পর যেতে বলছে তুমি
বলছো বিকেল এ যেতে
।
স্নেহাঃ ও বললেই হবে
তুই বিকেল এ যাবি
এটাই ফাইনাল এ বিষয়ে
আর একটাও কথা বলবি
না…
।
সাঈদঃ হয়ে গেলো…
।
স্নেহাঃ কী…
।
সাঈদঃ কিছু না..
।
তার পর হালকা নাস্তা
করে…
।
সাঈদঃ আচ্ছা মায়া
তোমার কোন রং পছন্দ..
।
মায়াঃ সাদা বেগুনী
আর টিয়া .
।
সাঈদঃ ও…
।
তোমার আপুর তো আবার
নীল আর লাল রং খুব
পছন্দ…
।
মায়াঃ হুম জানি…
।
সাঈদঃ রেডি হয়ে
আসো একটু মার্কেট এ
যাবো…
।
মায়াঃ কেনো…
।
সাঈদঃ রেডি হয়ে
আসো তার পর সব
জানতে পারবা…
।
।
সাঈদঃ তুমি আবার হা
করে দাড়িয়ে আছেো
কেনো তুমিও গিয়ে
রেডি হয়ে আসো..
।
স্নেহাঃ কেনো..
।
সাঈদঃ সব কথার উওর
জানতে হয় না যাও
গিয়ে কাপড় চেনজ করে
আসো..
।
স্নেহাঃ আচ্ছা ঠিক
আছে
।
উপরে এসে কাপড় চেনজ
করে নিচে আসলাম…
।
সাঈদঃ এই খানে ১৫
হাজার টাকা আছে
মায়াকে নিয়ে শপিং
মলে গিয়ে ওর যে ড্রেস
গুলো ভালো লাগবে
কিনে দিও…
।
স্নেহাঃ আমি নিবো
না…
।
সাঈদঃ রাতে আমি
তোমাক নিয়ে যাবো
আচ্ছা ড্রাইভার গাড়ি
নিয়ে বাইরে দাড়িয়ে
আছে তাড়াতাড়ি গিয়ে
শপিং করে চলে
আসবা…
।
স্নেহাঃ আচ্ছা…
।
।
।
তার পর দুই বোন মিলে
ইচ্ছে মতো শপিং
করলাম…
।
টোটাল ১৩ হাজার দুইশো
টাকা মার্কেট করলাম
…
।
এর পর বাসায় ফিরে
আসলাম বাসায় এসে…
।
মায়াঃ এসবের কী
দরকার ছিলো হুম..
।
স্নেহাঃ ছিলো সেটা
তুই বুজবি না…
।
।
এই নাও…
।
সাঈদঃ কী…
।
স্নেহাঃ টাকা গুলো…
।
সাঈদঃ আমি কী করবো
এই টাকা গুলো তুমি
তোমার কাছে রেখে
দাও…
।
স্নেহাঃ আমি কী
করবো টাকা গুলো…
।
সাঈদঃ বিপদে কাজে
লাগবে..।
।
স্নেহাঃ তুমি থাকতে
আমার আবার বিপদ
আসবে কোথা থেকে..
।
আমার টাকার প্রয়োজন
হলে চেয়ে নিবো
তোমার কাছ থেকে
এগুলো তোমার কাছে
রেখে দাও…
।
।
সাঈদঃ জীবনে প্রথম
বার এমন মেয়েকে
দেখলাম যার টাকার
প্রতি বিন্দু মাএও লোভ
নেই এমন একটা
মেয়েকে নিজের বউ
হিসাবে পাওয়া অনেক
ভাগ্যর বেপার…
।
।
দুপুর বেলা খাওয়া
দাওয়া করে মায়াকে
বিদায় দিলাম…
।
।
স্নেহাঃ বিকেল বেলা
গেলে কী হতো…
।
সাঈদঃ অনেক তো জোর
করলাম থাকার জন্য
কিন্তু সে তো থাকবেই
না কাউকে জোর করে
রাখাটা ঠিক না..
।
স্নেহাঃ হয়তো বা ..
।
সাঈদঃ তুমি গিয়ে
রেস্ট নাও আমি একটু
বাইরে যাবো..
।
স্নেহাঃ দুপুর বেলা
কোথায় যাবা…
।
সাঈদঃ অফিসের কিছু
কাজ আছে.
।
স্নেহাঃ না গেলে হয়
না…
।
সাঈদঃ না….
।
আচ্ছা এখান তাহলে
আমি আসি তুমি কিন্তু
গিয়ে ঘুমাবা এখন
ভালো মেয়ের মতো…
।
স্নেহাঃ আচ্ছা
।
সাঈদঃ আসি তাহলে
উম্মাহ
।
তার পর বাসা থেকে
বেড়িয়ে পড়লাম হঠাৎ
রাস্তায় তানিশার
সাথে দেখা…
।
।
তানিশাঃ পাচটা
মিনিট কথা বলা যাবে
।
সাঈদঃ আপনার সঙ্গে
আমার কোন কথা
থাকতে পারে বলে মনে
হয় না…
।
তবুও বলেন..
।
।
তানিশাঃ একটা সত্যি
কথা বলবেন আপনি
এখনো আমাক
ভালোবাসেন তাই না
আমি ও আপনাকে এখনো
অনেক ভালোবাসি
আমি কী আপনার
লাইফে ফিরে আসতে
পারি…
।
সাঈদঃ কথাটা শেষ
হতে না হতেই কষিয়ে
গালে একটা থাপ্পর
বসিয়ে দিলাম…
।
রাস্তার মানুষ জন গুলো
আমার দিকে তাকিয়ে
আছে..
।
থাকুক তাতে আমার
কী…
।
সাঈদঃ এই কথাটা যদি
দ্বিতীয় বার বলছেন
তাহলে চলন্ত গাড়ির
নিচে ফেলে দিবো
আপনাকে ভালোবাসবো
আমি হা হা হা…
।
।
ঘৃণা করি আপনাকে যে
কী না টাকার জন্য
নিজের স্বামীকে
ছেড়ে চলে যায় তাকে
আবার আমি
ভালোবাসবো…
।
কীসের অভাব ছিলো
আমার তিন বেলা পেট
ভরে খেতে তো পারতে
কোন দিন কী না খেয়ে
ছিলেন আরে এসব কথা
এখন বলে লাভ কী…
।
।
যা বলছেন আর যেনো
কোন দিন না শুনি
স্নেহা শুনলে কষ্ট
পাবে…
।
আপনি তো টাকার জন্য
ছেড়ে গেছিলেন আর
স্নেহা আমার কাছে
আসছিলো আমার টাকা
ছিলো না বলে….
।
।
আপনার মতো টাকার
প্রতি ওর বিন্দু মাএ
লোভ নেই …
।
।
কথাটা শেষ হতে না
হতেই…
।
নীলঃ রাস্তা দিয়ে
যাওয়ার সময় সব শুনে
ফেলছি…
নিজেকে কন্ট্রোল না
করতে পেরে শরীরের
যতটা শক্তি ছিলো
সেটা দিয়ে দুই গালে
দুটো থাপড় বসিয়ে
দিলাম….
।
।
চলবে..