একটি নির্জন প্রহর চাই পর্ব-২৭+২৮

0
547

#একটি_নির্জন_প্রহর_চাই
২৭
#WriterঃMousumi_Akter
রাত আট টা বেজে দশ মিনিট।সমস্ত রুম জুড়ে পায়চারী করে বেড়াচ্ছি।কখন রোশান স্যার আসবেন আর আমি গিফটগুলি উনাকে দেখাব।উঁহ!অস্থিরতায় নাজেহাল অবস্থা আমার!জামাই-এর কসম দিয়ে এসছি গিফটের প্যাকেট খোলা নিষিদ্ধ। নিজের কসম দিলে এটা না খুলে যেতাম না।এমনিই তো আমি ধৈর্যহীনা মেয়ে তার ওপর আবার রোমান্টিক হওয়ার মেডিসিন। বারবার বাইরের দিকে উঁকি দিচ্ছি সেই ব্যাক্তির কোনো খোঁজ খবর নেই।

মেসেঞ্জারে কল বেজে উঠল;তাকিয়ে দেখি ভিডিও কল।তরীর ফেইসবুক আইডি থেকে কল এসেছে।যাক মেয়েটা তাহলে ভিডিও কল দেওয়া শিখেছে!কল টা রিসিভ করতেই রোহানের মিষ্টি মুখটা ডিসপ্লেতে ভেসে উঠল।রোহানকে হাত নাড়িয়ে হাই দিলাম।রোহানও আমাকে হাই দিয়ে বলল, ‘নতুন আম্মা আম্মুকে বলো বাড়ি যেতে।আমি পাপ্পার কাছে যাব।দাদা-দাদুর কাছে যাব।এখানে থাকব না।’
‘তুমি বাড়িতে আসবে রোহান সোনা?’
‘হ্যাঁ আম্মা।’
‘আম্মুকে ছাড়া থাকতে পারবে?’
‘আম্মুকে ছাড়া থাকব কেনো?’
‘তুমি বাড়িতে আসলে তো আম্মুকে ছেড়ে আসতে হবে।কারণ তোমার আম্মু ওখানে একটা কাজে গিয়েছে।এখন আর বাড়িতে আসতে পারবেনা।’
‘আমি বাড়ি যাব।’
‘আচ্ছা তোমার বড় পাপ্পা কাল গিয়ে নিয়ে আসবে।ঠিক আছে?’
‘ হ্যাঁ।’
তরীর কাছে রোহান ফোনটা দিয়ে দিল।তরী মলিন মুখে বসে আছে।পরনে গোলাপি রং-এর কামিজ আর কালো সালোয়ার,ওড়না।শাড়ি ছেড়ে কামিজে তরীকে বাচ্চা একটা মেয়ে লাগছে।ভ্রু নাচিয়ে বললাম,
‘হ্যালো বেবি কেমন আছো?মুখ গোমড়া কেনো?’
‘দাদু, বাবা, আম্মা,ভাইয়া,আপনি সবার জন্য খারাপ লাগছে।’
‘আর ওশান?’
‘প্লিজ ভাবি ওর কথা আমি আর ভাবতেও চাইনা।মন উঠে গিয়েছে চিরতরে।’
‘যদি বলতে হ্যাঁ খারাপ লাগছে ;দেখতে কী গা*লি দিতাম!ওখানে অসুবিধা হচ্ছে নাতো?
‘না ভাবি অন্য কোনো অসুবিধা নেই।আপনার বন্ধুর বোন খুব ভালো।আমার চুলে শ্যাম্পু করে দেয়,চুলের আগা কেটে দেয়,আমাকে মন খারাপ থাকতে দেখলেই রাগ করে।সবই ঠিক আছে।কিন্তু রোহানকে নিয়ে এখানে থাকা সম্ভব হবেনা।ও কাউকে পড়তে দেয় না।খুব বিরক্ত করে।তবে ওকে সবাই খুব ভালবাসে।’
‘তুমি ভেবোনা তরী বেবি।মেহুনা!মৃন্ময়ের বোন এমনিতেই মেসে থাকতে পারছেনা;কিন্তু পিহু একা একটা বাসা নিয়েও থাকতে পারছেনা।আমি মৃন্ময়কে বলেছি এক রুম পাওয়া যায় এমন খালি বাসা পেলে দেখতে।আমার বলতে দেরি নেই বাসা দেখা কম্পিলিট।ও এডভান্স পেমেন্ট করে দিয়েছে ২ মাসের।আমি বলেছি পরের দু’মাস আমি পেমেন্ট করে দিব।তুমি পিহুর সাথে আরামছে রোহানকে নিয়ে থাকতে পারবা।’
‘তোমার ওই বন্ধুটিও খুব ভালো।নিষেধ করে দিও রোহানের জন্য যেন এত টাকা খরচ না করে।আমার মন খারাপ বলে পিহু আমাকে আর রোহানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিল।তখন তোমার বন্ধুও এসেছিল।আমার তো অভ্যাস নেই এসব জায়গা তে ঘোরার।তুমি যে উঁচু স্যান্ডেল টা কিনে দিয়েছিলে পিহু জোর করে পরালো।ওটা পরে হাঁটতে অসুবিধা হওয়ায় আমি পড়ে যায়।তোমার বন্ধু তাড়াতাড়ি করে পাশের দোকান থেকে বরফ এনে পায়ে দিয়ে দিল।ব্যাথার ওষুধ কিনে দিল।সাথে একটা নিচু স্যান্ডেল ও কিনে দিয়েছে।ভাবি আমার খুব খারাপ লাগছিল।কেউ আমাকে অকারণে কিছু কিনে দিবে আবার আমার ছেলের জন্য টাকা খরচ করবে!প্লিজ ভাবি বলে দিও।’
‘বড়লোকের পোলা খরচ করবে করুক সমস্যা কী?আর শোনো টিউটোরিয়াল গুলা দেখছো তো?’
‘হ্যাঁ ভাবি দেখছি।’
‘তোমাকে আমি কাল মহিলা সংস্থায় ভর্তি করে দিব।ওখান থেকে ভাল ভাবে ট্রেনিং নিবে বুঝলে?আর তোমার হাইস্কুলে যাব কাল।এইটের সার্টিফিকেট আনতে।উন্মুক্ত তে ভর্তি করিয়ে দিব তোমাকে।শোনো তরী আমি যা ভেবে রেখেছি তুমি যদি চেষ্টা করো তোমার ফিউচার একদম উজ্জ্বল!’
‘আমি কী পারব ভাবি?’
‘না পারার কিছুই নেই।’
‘রান্না করে কে?’
‘ শাশুড়ি।’
‘বাবা কিছু বলছেনা?’
‘হ্যাঁ কাল উনার বড় ছেলেকে বলেছে সারাহ যদি আমাকে একটু হেল্প করতো আমার কষ্ট কম হতো।উনার বড় ছেলে বলে দিয়েছে সারাহ’র সামনে পরীক্ষা।এই মুহূর্তে ও কোনো কাজ করতে পারবেনা।’
‘এই কথা শুনে শাশুড়ি কিছু বলেনি।’
‘হুম বলেছে, একটা কাজের লোক রেখে দিতে। কিন্তু তোমার ভাইয়া বলেছে আমার পক্ষে এই মুহূর্তে কাজের লোক রাখা সম্ভবপর নয়।আমি লাখ টাকা বেতনের চাকরি করিনা আম্মা।তরীর জন্য আমাকে মাসে কম হলেও ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।নিজে বিয়ে করেছি আমার ফিউচার আছে।ওশানকে বিয়ে দিয়ে দাও।’
‘বাহ!ভাইয়া ও এভাবে কথা বলতে পারে!’
‘হুহ!বলবেনা আবার!ওই বেটা সারাহ’র জামাই।কথা তো ওভাবে বলতেই হবে।এই শোনো বাইকের হর্ণ ভেসে আসছে কানে।তোমার ভাইয়া এসেছে রাখতেছি।
‘ফোনটা কেটে দরজায় উঁকি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।উনি বাইক থেকে নেমে বাইক বারান্দায় উঠালেন।হেলমেট খুলে হাতে নিয়ে রুমে প্রবেশ করলেন।আমি দ্রুত চেয়ার টেবিলে পড়তে বসলাম।উনি যে রুমে প্রবেশ করেছেন সেটা না বুঝার ভান ধরে মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছি,সেই অভিনয় করছি খুব নিখুঁত ভাবে।উনি রুমে ঢুকেই ড্রেসিন টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ালেন।হাত থেকে ঘড়িটা খোলার সময় তা ফ্লোরে পড়ে গেল।ঝুঁকে ঘড়িটা তুললেন।আহা কী কিউট লাগে উনাকে!উনি যখন ঝুঁকে ঘড়িটা তুললেন যেন বুকের মাঝে একটা ধাক্কা মারল।মানুষ এত্তো হ্যান্ডসামও হয়!ঘড়িটা ড্রেসিন টেবিলের উপর রেখে আলমারি খুলে গেঞ্জি বের করে ওয়াশ রুমে প্রবেশ করলেন।পাঁচ মিনিট পরে পাঞ্জাবী চেঞ্জ করে কালো কলার দেওয়া গেঞ্জি সাথে কালো ট্রাউজার পরে বেরিয়ে এলেন।আমি আড়চোখে পরখ করছি সব।উনাকে বেরোতে দেখে আবার পড়ালেখায় মনোযোগ দিলাম।উনি খাটের উপর বসে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।আমি আড়চোখে সবই পরখ করছি।উনার নয়নযুগল একভাবে আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে।আমি পা দোলাচ্ছি আর পড়ছি।বেশিক্ষণ চুপচাপ থাকতে পারিনা,কাউকে সারপ্রাইজ দিব সেটাও চেপে রাখতে পারিনা।নাহ আজ চুপ করে থাকব।দেখি উনি আগে কথা বলেন কিনা!আমি কেনো কথা বলব সময়! আমিই তো উনার সাথে আগে আগে কথা বলি।উনিতো আগে কথা বলেন না।যদি এভাবেই এক জনম কেটে যায় তো যাক তবুও আমি আগে কথা বলবনা।আমার কি ঠেকা পড়ছে আগে কথা বলতে!মানুষ ঘরে ঢুকেই আগে দরজা লাগিয়ে বউকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেয় আর উনি এসে উনার মতো থাকেন।আমি আগে কথা শুরু করি তখন নিজেও শুরু করেন।কথা বলবই না।পা দুলানোর গতি বেড়ে গেলো আমার।
এরই মাঝে উনি বললেন, ‘দেখি তোমার প্রশ্নপত্র টা?’
বুকের মাঝে হাতুড়ির বাড়ির মত দুড়ুম করে উঠল।উনার দিকে ঘুরে তাকিয়ে বললাম, ‘কিসের প্রশ্ন?’
‘আজ যে এক্সাম দিলে।’
‘ওটা আনতে ভুলে গিয়েছি।’
‘রাস্তা থেকে যে বললে বাড়ি গিয়ে দিবে।’
‘বাড়ি এসে দেখি প্রশ্ন নেই।’
‘তাই?’
উনার কথা শুনে কেমন সন্দেহ লাগছে।বুঝে গেল নাকি যে আমি এক্সাম দেইনি!উনার তাকানোর ভাব তো ভাল মনে হচ্ছেনা!
‘ওভাবে তাকিয়ে কী দেখছেন?’
‘দেখছি কী সুন্দর পরীক্ষা দিয়েছো!তোমার কোচিং টিচার কে জিজ্ঞেস করলাম,উনি বলল অনেক গুলা এক্সট্রা পেজ নিয়েছো?’
সন্দেহ টা তাহলে সত্যি হলো!উনি সবটা জেনেই গিয়েছেন।আমি ঠোঁট নাড়ালাম কিছু বলতে যাব তখনই আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন,
‘থাক কিছু বলতে হবেনা।সুস্থ হয়েছে তোমার বন্ধু?’
‘হুম হয়েছে।’
‘আজ সারারাত তুমি আমার কাছে বই পড়বে।’
‘সারারাত?’
‘হুম আর পরীক্ষার আগে রাতে ফোন রাখতে পারবেনা কাছে।আমি দেখেছি তুমি ৫ মিনিট পর পর ফোন চাপো।’
‘ফোন ইজ মাই লাইফ।’
‘ফোন কারো লাইফ হয়না।এসব ছেড়ে তোমাকে বেরোতে হবে।নামাজ পড়েছো?’
‘না এখনো পড়িনি।’
‘পড়বে?’
‘হুম বাট সারাদিন পড়িনি।’
‘সব কাজের আগে নামাজ পড়বে।এটা তোমাকে মানসিক শান্তি দিবে।’
‘আচ্ছা।বাট আজ হাতে পায়ে নেইলপলিশ ছিল উঠাতে পারিনি তাই নামাজ ও পড়তে পারিনি।’
‘আমি রিমুভার নিয়ে এসছি, তোমার জন্য।সকালেই এটা খেয়াল করেছি।এরপর থেকে যখন ই নেইলপলিশ ইউজ করবে রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলবে।’
‘আচ্ছা ঠিক আছে।’
‘জিন্স তোমার ফেভারিট পোশাক?’
‘হ্যাঁ।
‘তোমাকে কিন্তু শাড়িতেই বেশি সুন্দর লাগে!জিন্স পরলেও খারাপ লাগে বলব না।বিকজ তোমাকে কোনকিছুতেই খারাপ লাগেনা।তবে শাড়িতেই বেষ্ট।সব সময় পরতে হবেনা।মাঝে মধ্য পরতে পারো।’
পরনের জিন্সের দিকে তাকিয়ে ভাবছি,উনি কি আমাকে শাড়িতে দেখতে চাইছেন!
এরপরই উনি বললেন,
‘পায়ে সুতার সাথে চারটা সাদা পাথর এটা কী পরেছো?’
‘স্টাইল এর জন্য।’
‘এক পায়ে পরতে হয় এটা?’
হ্যাঁ’
‘নূপুর পরলে বেশি সুন্দর লাগেনা?’
‘নূপুর ছিলো বাট হারিয়ে গিয়েছে।’
উনি এক জোড়া নূপুর আমার সামনে ধরে বললেন,
‘এটা পরো সুন্দর লাগবে তোমার পায়ে।’
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।বিয়ের পর এটা প্রথম গিফট উনার থেকে।আমার অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললেন,
‘পছন্দ হয়নি?’
‘ভীষণ পছন্দ হয়েছে।’
‘তাহলে পরো।’
‘আমি পরব?’
‘তাহলে কে পরিয়ে দিবে?’
‘জানিনা,কাল বন্ধু বান্ধবীদের বলব পরিয়ে দিতে।’
‘বন্ধু?’
কী অদ্ভুত ভাবে কথাটা বললেন!ভয়ংকর জেলাসি ছিল কথার টোনে।আমি মুচকি হাসলাম।
উনি হাঁটু গেড়ে নিচে বসে পড়লেন।আমার মুখের দিকে চোখ তুলে তাকালেন।কী সর্বনাশ ছিল সে চাহনিতে!উনার সাথে এটাই প্রথম আমার দারুণ কোনো অনুভূতি! উনি আমার ডান পায়ে হাত রেখে পা টা উনার হাঁটুর উপর তুললেন।ভয়ংকর কম্পন শুরু হলো শরীরে।অজানা এক শিহরণে কেঁপে উঠলাম। কেমন যেন কম্পন শুরু হলো।উনার হাতের স্পর্শতে যে ভয়ানক শিহরণ হচ্ছে উনি কি তা বুঝতে পারছে!চোখ বন্ধ করে জামা খামচে ধরে রেখেছি।চারদিকে যেন তুফান শুরু হয়েছে।শরীর অবশ প্রায়।নূপুর পরানো শেষ হলে উনি উঠে দাঁড়ালেন।আমি তখন চোখ বন্ধ করেই আছি।উনি বললেন, ‘হয়ে গিয়েছে।’
প্রিয় মানুষের দেওয়া প্রথম উপহার তাও যদি হয় নূপুর। এর থেকে বেষ্ট গিফট আর হতেই পারেনা।আমার পা দুটো এর আগে এত সুন্দর কখনোই দেখায়নি।উনার স্পর্শতে কী যাদু ছিল!আমাকে খাটের উপর বসিয়ে বললেন, তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেনো?দাও আমি নেলপালিশ তুলে দিচ্ছি।’
আমি অবাক হয়ে দেখছি উনাকে।এই শ্যামসুন্দর মানুষ টা এত সুন্দর কেনো!যাদুমন্ত্রে জড়িয়ে ফেলেছে আমায়।কী যত্নের সাথে আমার হাত পায়ের নেলপালিশ তুলে দিলেন!নুপুর তো দিলেন তাতে ঝুরি নেই কেনো।নুপুর না বাজলে সেটা কেমন নূপুর। উনাকে বললাম,
‘এর ঝুরি নেই কেনো?’
উনি গম্ভীর কন্ঠে বললেন, ‘ঝুরি দিব মানুষের কানে সেই আওয়াজ যাবে আর মানুষ তোমার পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে আর বলবে পা দুটো কী সুন্দর!সব সৌন্দর্য সবার দেখার রাইট নেই।দ্রুত নামাজ পড়ো।’
জিন্স চেঞ্জ করে প্লাজু আর কামিজ পরে ওজু করে এশার নামাজ আদায় করে বসে আছি।রোমান্টক হওয়া মেডিসিন টা এইবার উনাকে দিতে হবে।উনি বিছানায় ল্যাপটপ নিয়ে বসে কিছু করছেন।আমি প্যাকেট টা উনার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম, ‘নিন এটা আপনার জন্য?’
উনি সন্দিহান ভাবে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার জন্য?
‘হ্যাঁ ‘
‘কী এটা?’
‘মেডিসিন।’
‘কিসের?’
‘এতো প্রশ্ন করেন কেন?বি ষ নেই ওতে।কোনো কথা না বলে খেয়ে ফেলুন।’
‘বাট কী?’
‘খুলেই দেখুন।’
উনি প্যাকেট খুলতে খুলতে বললেন, ‘কী মেডিসিন?’
‘রোমান্টিক হওয়া।
উনি ভ্রু কুঁচকে কেমন বিশ্রী ভাবে তাকিয়ে বললেন,
‘হোয়াট?’
জিহ্বায় কা ম ড় দিয়ে বললাম,উফ!বলেই ফেললাম!এত স্টুপিড আমি!এরই মাঝে উনার প্যাকেট খোলা শেষ।উনি একবার মেডিসিন এর দিকে তাকাচ্ছেন একবার আমার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন।ভ্রু কুঁচকে বললেন,
‘কী এসব?আর তুমি আমাকে এসব খেতে বলছো।’
‘কেনো কী আছে?’
‘তুমি আমাকে ক** খেতে বলছো?’বলেই আমার দিকে ধরলেন।
ক অক্ষর উচ্চারণ করে পুরাটা পড়লেন না।আমার দিকে মেলে ধরতেই আমার চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেল।ক তে কী হয় আমার আর বুঝতে বাকি রইল না।ওহ মাই গড!আমি ভেবেছিলাম ছেলে মানুষ ওরা হয়তো জানে এমন কিছু আছে নয়তো ফানি কিছু আছে।ওরা উলটা পালটা করবে জানতাম তাই বলে এই বিশ্রী কান্ড!
কী অদ্ভুত ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন উনি!আমি বার বার ঢোক গিলছি।কী বলব এখন!উনাকে কিনা এসব জন্মনিরোধ পদ্ধতির উপকরণ খেতে বললাম।আরো একটি বাঁশ খাওয়ার গল্প বন্ধুরা শুনিয়ে ছাড়ল আমাকে।

চলবে?

#একটি_নির্জন_প্রহর_চাই
২৮
#WriterঃMousumi_Akter.
পৃথিবীতে বন্ধুজাতির মতো জাত শ* ত্রু আর দ্বিতীয়টি নেই।এরা থাকলে আপনার আর বাঁশের অভাব হবেনা।আপনি নিজেই একটা আস্ত বাঁশ বাগানের মালিক হয়ে যাবেন।যেমন টা আজ আমার সাথে হলো।এমন একটা বাজে সিসুয়েশনে দাঁড়িয়ে আছি সেটা বলার মতো নয়।উনি অদ্ভুত ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।আমি তাকানোর সাহস টুকুও পাচ্ছিনা।তাকালেই দেখছি উনি তাকিয়েই আছেন।এমন লজ্জকর মুহূর্তে কী করা উচিত সেটাও বুঝতে পারছিনা! কোনো মানুষ যেন এমন লজ্জায় না পড়ে বরের সামনে।বর যদি হয় আবার শিক্ষক! ইয়া মাবুদ আমাকে তুলে নাও!উনি এবার বুকে হাত বেঁধে আরও একটু সোজা হয়ে দাঁড়ালেন।দৃষ্টি আমার দিকে স্থির রেখেই ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘ এগুলো কোন ধরণের মেডিসিন?’ উনার চোখে মুখে প্রশ্ন নাকি বিস্ময় ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা!উনি কী রেগে আছেন নাকি অবাক হয়েছেন সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।তবে থমথমে ভাবেই প্রশ্নটা করলেন।উনাকে দেওয়ার মত কোনো উত্তর ই আমার কাছে নেই।মিনিট খানিক চুপ রইলাম।আমাকে চুপ থাকতে দেখে আবারও প্রশ্ন করলেন,
‘হোয়াট হ্যাপেন্ড?আনসার মি!এসব কী ছিল।আর এসব-কে মেডিসিন বলে? তুমি এটা আমাকে খাওয়াতে নিয়ে এসেছ?
‘স’সরি, আমি বুঝতে পারিনি।’
‘কী বুঝতে পারোনি?’
‘কিছুক্ষণ আগে যেটা হলো।’
‘আমার অর্ধেক বয়স পার হতে গেল এখনো এসব জিনিস ছুঁয়ে দেখলাম না আর তুমি এইটুকু একটা মেয়ে এসব জিনিস কিনে এনেছ দোকানে গিয়ে।’
‘ইয়ে মানে স্যার।’
‘কী বলেছিলে দোকানে গিয়ে?’
‘কী কী বলব?’
‘কী বলে এসব কিনেছ?’
‘দেখুন এই টপিকস চেঞ্জ করুন।’
‘নো চেঞ্জ।এই টপিকসে আজ সারারাত ক্লাস চলবে।দোকানদারকে গিয়ে কী বলেছিলে বলো?তোমার হাজবেন্ডকে এটা খাওয়াতে চাও?’
‘না এসব বলিনি।’
‘এটা কী খাওয়ার জিনিস যে আমাকে খেতে বললে।’
‘খাওয়ার জিনিস না কীসের জিনিস আমি কি জানতাম নাকি!’
‘এটা খেতে হয় না-কী করতে হয় তুমি জানোনা?’
‘না।’ ঠাস করে একটা মিথ্যা বলে দিলাম জানিনা।জানি বললেও মহা বিপদ।জানিনা বলে এই কথায় স্ট্রং থাকতে হবে।
‘আসলেই জানোনা?’
‘না স্যার আসলেই জানিনা।’
‘ওপস ভেরি স্যাড!আমার ওয়াইফ এত গুরুত্বপূর্ণ একটা সাব্জেক্ট জানেনা!আজ আমি তোমাকে এই সাব্জেক্ট টা পড়াব।’
কথাটা কর্নকুহরে প্রবেশ করতেই খেলাম আরেক ধাক্কা।উনি আমাকে এসব শেখাবেন মানে!আমি যে মিথ্যা বলছি উনি বুঝে গিয়েছেন!না হলে উনার মতো মানুষ তো এসব নিয়ে কথা বলার লোক নন।মিথ্যা বলে লাভ নেই।কোনো উপায় না পেয়ে বললাম,
‘আমি জানি এগুলা কী,আর কী করতে হয়।আমি মিথ্যা বলেছি যে জানিনা।’
‘আচ্ছা। বাকি সত্যি টাও বলে দাও।এসব পেয়েছ কোথায়?’
‘ফ্রেন্ডরা দিয়েছে।’
‘কেন দিয়েছে?’
‘আপনার ছবি দেখতে চেয়েছিল।আমাদের কাপল ছবি।আমার কাছে আপনার পিকচার নেই।তাই আমি বলেছি আমার বর খুব আনরোমান্টিক উনি ছবি তুলতে পছন্দ করেন না।একদম রোমান্টিক নন। তখন ওরা বলল এটা নিয়ে জামাইকে দিবি, খবরদার খুলে দেখবি না।জামাই-এর কসম দে।আমি জিজ্ঞেস করলাম যে এতে কী আছে?ওরা বলল, রোমান্টিক হওয়া মেডিসিন।’
‘আমার কসম দিয়েছ বলে খুলে দেখনি?’
‘হুম।’
‘কেন?’
‘কসম না রাখলে যদি আপনার কিছু হয় তখন।’
‘হলেও বা তোমার কী?কিছু যায় আসে?’
‘দেখুন এত কিছু বলতে পারব না।’
‘ওকে ফাইন।তো তোমার ফোনে পিকচার নেই এইজন্য আমি আনরোমান্টিক।পিকচার তোমার ফোনে নেই হিসাব অনুযায়ী তুমি আনরোমান্টিক।তোমার সাথে যার বিয়ে হয়েছে তুমি কখনো সেই ভাবে আগ্রহ প্রকাশ করোনি পিকচার তুলতে।তোমার মাঝে সেইসব কোনো ফিলিংস আসেনি তাই পিকচার তোলোনি।আসবেই বা কী করে চাঁদের পাশে কালা মানিক কি মানায়!আমার ফোনে তো তোমার অসংখ্য পিকচার আছে।দেখতে চাও?’
বলেই উনি বিয়ের প্রথম দিন থেকে এ পর্যন্ত অসংখ্য পিকচার দেখালেন।ওহ মাই গড! এত এত ছবি কবে কখন তুললেন!আমার তো মনে হয় উনি কখনো তাকাননি আমার দিকে।কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে উনি চব্বিশ ঘন্টা আমাকেই দেখেছেন।আমার খাওয়ার সময়ের ছবি,ঘুমন্ত ছবি,খিলখিল করে হাসছি সেই ছবি,রাগি মুডে তাকিয়েছি সেই ছবি,শাড়ি,জিন্স, প্লাজু, সেদিন বৃষ্টিতে ভেজা পিকচার।সব কেমন জীবন্ত লাগছে দেখতে।লোকটা ভালো ফটোগ্রাফারও বটে!সারাজীবন ভং চং দিয়ে কত সেল্ফি তুললাম।অথচ এমন সুন্দর আমাকে কখনো দেখায়নি।আমি চুপচুপ দেখে যাচ্ছি।মানুষটা আড়ালে গোপনে আমাকে এইভাবে দেখেন।আবার ও মনের মাঝে প্রেম শিহরণ বয়ে গেল।উনি ফোন অফ করে বিছানায় ফেলে দিয়ে বললেন, ‘দেখি বাকি গিফট গুলা খুলে দেখি।’
বলেই সব প্যাকেট গুলা খুলতে শুরু করলেন।
বড় দুইটা প্যাকেট থেকে বেরিয়ে এলো,
বদনা, বালতি,মগ, ঝা**ড়ু, আরও কিছু হাবিজাবি জিনিস। তার মাঝে ইয়া বড় একটা চিঠি লেখা।
‘তোর বর যে এমন আনরোমান্টিক হবে ভাবতেই পারিনি।আমরা ভাবতাম তোর ক্রাশ রোশান স্যারের সাথে বিয়ে হলে তোর কী হবে! কারণ স্যার তো গম্ভীর মানুষ;উনার দ্বারা প্রেম ভালবাসা রোমান্স এসব কিছুই হবেনা।এখন তো দেখছি তোর ক্রাশ আমাদের রোশান স্যার মনে হয় এর থেকে বেশি রোমান্টিক। বদনা টা দিস আর বলিস তার স্পেশাল শালামহল গিফট করেছে।আমাদের দেওয়া মেডিসিন টা খেয়ে তোকে স্পেশাল চুমু দিতে বলিস।ওটা খেতে হবে নাকি কী করতে হবে এটাও যদি না বোঝে তাহলে আমাদের চ্যাটিং প্যানেলে এড কইরা দেস ওপেনলি বুঝাইয়া দেব।তাও যদি না বোঝে বুঝতে হবে ওই শা**লা**র অন্য সমস্যা আছে।তার চিকিৎসার প্রয়োজন।তোর বংশের বাতি জ্বালানোর জন্য এটা জরুরি।

উনি চিঠিটা পড়ে পুনঃরায় এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।ওরা তো আর জানেনা আমার জামাই কেডা।জানলে ভুলেও এসব লিখত না।আজ একই দিনে এতকিছু হওয়ার ছিল আমার সাথে।হাই আল্লাহ!বাঁচাও আমায়!এখন কী হবে আমার!ওরা না হয় মজা করেছে কিন্তু এই ভদ্রলোক তো গম্ভীর মানুষ উনি কি মজা টজা বুঝবেন!কী অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে!এখনি গি**লে ফেলবেন মনে হচ্ছে আমাকে।আমাকে আজ রাতের মতো এ-ঘর ছেড়ে গা**য়ে**ব হতে হবে।উনার ওই দৃষ্টির সামনে ভস্ম হয়ে যেতে হবে না-হলে।আমি আস্তে করে উঠে দাঁড়িয়ে পেছনের দিকে পা বাড়াচ্ছি।আমাকে পেছনে সরতে দেখে উনি ও এক দু’পা এগিয়ে আমার কাছাকাছে এগোচ্ছেন।উনার ভাব সাব মোটেও ভালো নয়।এখন যদি এই বন্ধু জাতিকে পেতাম কু* চি কু* চি করে ফেলতাম।উনি ক্রমশ এগোচ্ছেন আমার দিকে উনার এগোনতে বুকের মাঝে ধুকপুক আওয়াজ বেড়েই চলেছে আমার।কেমন দুড়ুম দুড়ুম শব্দ হচ্ছে।হৃৎস্পন্দনের গতি বেড়েই চলেছে।পেছনে যেতে যেতে দরজায় গিয়ে ঠেকে গেলাম।আর সাথে সাথে কেঁপেও উঠলাম।উনিও আমার কাছাকাছি চলে এসছেন।একদম কাছাকাছি মিশে দাঁড়ালেন আমার সাথে।আমার পায়ের সাথে উনার পা মিশে গিয়েছে।দরজা ফাঁকা করে বাইরে বের হব, পেছন দিয়ে দরজায় হাত দিতেই উনি আমার হাত চেপে ধরলেন। আবারও কাঁপে উঠলাম ।ওনার ওই বড়ো হাতের মুঠোয় আমার ছোট্ট হাতটা পুরোপুরি দখলে চলে গেল উনার।ভয়ে বুকের মাঝে থরথর করে কাঁপছে।হঠাৎ বলে উঠলেন,
‘কোথায় পালাচ্ছ?দূরে থাকলে কাছে টানার চেষ্টা করো।কাছে আসলেই পালানোর চেষ্টা করো।তোমার পালানোর দিন শেষ। ‘
কী সাংঘাতিক কন্ঠে কথাগুলো বললেন!হৃদয়ের মাঝে কী যে এক শিহরণ বয়ে গেল টের ও পেলাম না!কী ছিল ওই কথার মাঝে বুঝতেও পারলাম না।উনি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকেই অন্য হাতে দরজায় সিটকিনি লাগিয়ে দিলেন।এবার আরো বেশি ধুক করে উঠল বুক, সিটকিনির শব্দে লাফিয়ে উঠলাম খানিক টা।উনি দরজায় হাত ঠেকিয়ে ভ্রু উঁচিয়ে ঝুঁকে দাঁড়ালেন আমার দিকে।ভয় আর জড়তা দুটোই আমার মধ্য বিরাজমান।উনার আর আমার মধ্য একটুও দূরত্ব নেই।কেবলই মিশে আছেন আমার সাথে।কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে মুখে পড়ে থাকা এক গোছা চুল কানের নিচে গুজে দিলেন।আরও একটু ঝুঁকে ডান গাল দিয়ে আমার বাম গালে স্পর্শ করে আবার সোজা হলেন।আমার সমস্ত শরীর অবশ হয়ে এসছে।উনার হঠাৎ এমন আচরণ আমাকে অন্য জগৎ-এ হারিয়ে ফেলেছে।কিছুই বলতে পারছি না শুধুই তাকিয়ে আছি উনার দিকে। উনি এবার আঙুল দিয়ে বাম গালে স্লাইড করে বললেন,
‘আমি আনরোমান্টিক?’কি নেশাভরা কন্ঠে বললেন।মাতাল করা কিছু আছে এই কন্ঠে।আবার ও হৃদয় আহত হলো, আরেক ধাপ এগিয়ে গেল উনার প্রতি উইকনেস।এই মানুষটার কন্ঠেও যাদু।এত যাদু সামান্য একটা কথাতেই!আমি হারিয়ে গেলাম কোথায়!উনার কথায় কী বলব কিছুই বুঝতে পারছি না!
উনি আবার প্রশ্ন করলেন, ‘ আমাকে এতটাই আনরোমান্টিক লাগে?দূর্ভাগ্যক্রমে তুমি আমার কলেজের স্টুডেন্ট না-হলে এতদিনে বুঝে যেতে কেমন আনরোমান্টিক।তবে আজ তোমাকে এটা না বোঝালেই নয়।স্কুল আর কলেজে জব করলেই তাদের আনরোমান্টিক ভাবার কারণ নেই।রোমান্টিক ছেলেদের ও দূর্ভাগ্যক্রমে স্কুল কলেজে জব হয়ে যায়।’
‘কী কী বোঝাতে চাইছে?’
উনি উপর দিকে তাকিয়ে লাইট অফ করে দিলেন।সাথে সাথে রুম নিকশ কালো অন্ধকারে ছেঁয়ে গেল।ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভ* য় টা আরও প্রবল হলো।উনি কী করতে চাইছেন!হঠাৎ শরীর কেমন শিরশির করে উঠল।উনার ওষ্ঠের স্পর্শ কানে লাগল।নিমিষেই কেমন ঠান্ডা অনুভূত হলো সমস্ত শরীরে।সমস্ত লোমকূপ দাঁড়িয়ে গেল। ফিসফিস করে বললেন,
‘পুরুষ মানুষ এমনি প্রচুর রোমান্টিক হয় তার প্রেয়সীর কাছে।তাকে রোমান্টিক হতে এত বাধ্য করতে নেই।পরে সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে।পারবে সামলাতে?’
‘কী সামলাব?’
‘এই-যে আমি প্রতিনিয়ত নিজেকে কন্ট্রোল রাখার চেষ্টা করি আর তুমি আমাকে খোঁচাতে থাকো।এর পরিণতি কী জানো?’
‘না আমি কিছুই জানিনা।আমার ভ**য় করছে লাইট অন করুন।’
‘কীসের ভ**য় আমি থাকতে?নাকি আমাকেই ভ**য় পাচ্ছ?’
‘না তা নয়।’
হাত দিয়ে হাতড়ে উনার বুকে হাত রাখলাম।ভ**য়ে গেঞ্জি খামচে ধরলাম।
উনি আবার প্রশ্ন করলেন,
‘তাহলে কীসের ভ**য়?’কিছু বলতে যাব তখন-ই কোমরে উনার হাতের স্পর্শ লাগল।তড়িৎ বেগে শিউরে উঠলাম।তার চেয়ে বেশি শিউরে উঠলাম গালে উনার ওষ্ঠ ডুবিয়ে দেওয়াতে।ভ**য় কেটে গিয়ে কেমন অদ্ভুত এক অনুভূতি হলো যা ভালো লাগার,ভালোবাসার।কোথায় যেন একটা হারিয়ে যাচ্ছি,ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কোথাও।কেমন লজ্জাও অনুভব করছি!ভীষণ লজ্জা!ভাগ্যিস উনার মুখে দেখা যাচ্ছেনা।তাহলে লজ্জায় হার্টফেল করতাম।
এরই মাঝে ডিম লাইট অন করে দিলেন।ডিম লাইটের মিহি আলো চোখে পড়তেই দেখি আমার মুখের সামনে উনি।একবার তাকিয়েই চোখ সরিয়ে নিলাম আমি।উনার চোখে কোনো থমথমে ভাব নেই আছে এক শীতল চাহনি।
আস্তে করে বললেন, ‘ লজ্জা পাবে বলেই লাইট অফ করে রেখেছিলাম।আরিয়ান ঠিক -ই বলেছিল মেয়েটা চঞ্চল;প্রেমে পড়ার জন্য হাজার টা কারণ আছে!’

আরিয়ানের নাম শুনেই বুকের মাঝে ধুক করে উঠল।উনি আরিয়ান ভাই-এর পরিচিত।
চলবে,,,?