#গোধূলি_বিকেলে_তুমি_আমি❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ২৫
________________
‘ তুমি কি কিছু বললে ভাইয়া?’
আচমকাই আরুর মুখে এমন কথা শুনে হকচকিয়ে উঠলো অভ্র। তক্ষৎনাত নিজের ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে বললো সে,
‘ হুম হ্যাঁ কবে বিয়ে আদ্রিজার? ছেলে কি করে? নাম কি?’
‘ ওতো কিছু জানি না ভাইয়া। তবে ছেলের নাম আদনান। এতটুকু জানি।’
‘ ওহ! আদ্রিজা রাজি বিয়েতে?’
উওরে আরু খানিকটা বিস্ময় ভরা কন্ঠ নিয়ে বললো,
‘ হয়তো রাজি না।’
‘ তাহলে কেন করছে বিয়েটা।’
‘ কি জানি।’
অভ্র আর কিছু বললো না কিছুক্ষন চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে মাকে উদ্দেশ্য করে বললো সে,
‘ আমি রুমে গেলাম মা আমার জন্য এককাপ ব্ল্যাক কফি বানিয়ে পাঠিয়ে দিও?’
উওরে আদ্রিজার মাও বেশি না ভেবে বললো,
‘ ঠিক আছে যা তুই আমি নিয়ে আসছি।’
‘ ঠিক আছে।’
এতটুকু বলে আর দাঁড়ালো না অভ্র। চলে গেল নিজ রুমের উদ্দেশ্য। কেন যেন আদ্রিজার বিয়ের কথাটা শুনে তাঁর ভালো লাগছে না। এতটা খারাপ লাগা যেন লাবন্যের যাওয়ার কথা শুনেও হয় নি অভ্রের। আপসেট ছিল ঠিকই কিন্তু আদ্রিজার বিষয়টায় শুধু আপসেট নয় অন্যরকম কিছু একটা ফিল হচ্ছে অভ্রের। যেন কিছু একটা নেই নেই এমন। অভ্র বুঝলো না হুট করে তাঁর এমন কেন লাগছে? হয়তো এমনি। এমনটা ভেবে চলে গেল অভ্র সিঁড়ি বেয়ে উপরে।’
____
নিকষ কালো অন্ধকারে ঘেরা চারপাশ। আকাশটা যেন নিস্তব্ধ পুরো তারা নেই কোনো। চাঁদ উঠেছে ঠিকই কিন্তু মেঘের কারনে প্রায় অদৃশ্যমান সেটা। আর এসবের মাঝেই জানালার ধারে চুপ বসে আছে আদ্রিজা। চারপাশে বাতাস বইছে খানিকক্ষণ পর পর, বাতাসে আদ্রিজার অবাধ্য চুলগুলো উড়ে চলছে খুব। বাতাসে হাল্কা শীত শীতও লাগছে আদ্রিজার। দুপুরে ভার্সিটি থেকে ফিরে অনেকক্ষন সাওয়ার নিয়েছিল সে। হয়তো এই কারনেই, দুপুর থেকেই শরীরটা তেমন ভালো লাগছিল না আদ্রিজার। জীবনটাকে এই মুহূর্তে খুবই অগোছালো আর এলেমেলো লাগছে তাঁর। ভিতর থেকে আপনাআপনি এক দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে আসলো আদ্রিজার।’
এরই মাঝে আদ্রিজার রুমে প্রবেশ করলো আদ্রিজার মা। খানিকটা হতভম্ব হয়ে ফোনটা কান থেকে সরিয়ে বলে উঠলেন উনি,
‘ আদ্রিজা তোর খালামনি ফোন করেছে কথা বলবি?’
উওরে আদ্রিজা নীরব কন্ঠে বললো,
‘ আমার শরীরটা ভালো লাগছে না মা পরে কথা বলি।’
‘ একটুখানি বল,,
মায়ের অনুরোধটা এবার আর ফেলতে পারলো না আদ্রিজা। ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও ফোনটা তুললো সে। বললো,
‘ হ্যালো?’
আদ্রিজার ‘হ্যালো’ শুনে অপরপ্রান্তে থাকা আদ্রিজার খালামনি বলে উঠল,
‘ কি রে কেমন আছিস শুনলাম নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এবার তবে শশুর বাড়ি যাচ্ছিস।’
খালামনির কথার শুনে আদ্রিজা কি বলবে ঠিক বুঝতে পারছে না। তাই প্রসঙ্গ পাল্টাতে বললো,
‘ এই টপিক ছাড়া অন্য কিছু বলার থাকলে বলো খালামনি।’
আদ্রিজার কথা শুনে মুখের হাসিটা উবে গেল খালামনির। খানিকটা চিন্তিত মাখা মুখ নিয়ে বললেন উনি,
‘ কি হয়েছে তোর,গলাটাও যেন কেমন লাগছে? ঠিক আছিস তো?’
খানিকটা বিব্রত হলো আদ্রিজা। তবে বেশি না ভেবেই বললো,
‘ আসলে শরীরটা ভালো লাগছে না খালামনি তাই আর কি।’
‘ কেন কি হয়েছে?’
‘ এমনি ভালো লাগছে না, শরীরটা গরম গরম লাগছে সাথে মাথা যন্ত্রনাও করছে একটু।’
‘ ওহ একটা কাজ কর তাড়াতাড়ি কিছু খেয়ে ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়। ঠিক হয়ে যাবে।’
উওরে আদ্রিজাও নিশ্চুপ গলায় বললো,
‘ ঠিক আছে খালামনি।’
‘ হুম আপুর কাছে দে এখন?’
খালামনির কথা শুনে আদ্রিজাও ফোনটা তাঁর মায়ের কাছে এগিয়ে দিল। আদ্রিজার মাও সেটাকে নিয়ে রুম থেকে বের হতে হতে বললো,
‘ হুম বল? তুই চিন্তা করিস না আমি আদ্রিজা ঔষধ খাইয়ে দিবো নে,
বলেই ফোনে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে যায় আদ্রিজার মা। মা বের হতেই আদ্রিজা পুনরায় তাকালো আকাশ পানে। আকাশে মেঘ ডাকছে হয়তো বৃষ্টি হবে।’
____
পরের দিন।’
সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিল অভ্র। কাল রাতে তার যেন ঘুমই আসছিল না,কেন ঘুম আসছিল না এটাই যেন বুঝতে পারে নি অভ্র। ঘুম আসে প্রায় শেষ রাতের দিকে। তাই তো এখনও গভীর ঘুমে মগ্ন অভ্র। হঠাৎই বিকট শব্দে ফোনটা বেজে উঠল অভ্রের। ফোনের শব্দেই আচমকা ঘুমটা ভেঙে যায় অভ্রের। সাঁতরে ফোনটা বের করতে নেয় অভ্র। কিন্তু ঘুমের চক্করে আর খুঁজে পায় না সেটা। ফোনটা কেটে যায়। ফোনটা কেটে যেতে সেটাকে আর খুঁজলো না অভ্র। পুনরায় বালিশ চাপরে ঘুমিয়ে পড়লো সে।’
এরই মাঝে আচমকা গায়ের ওপর কিছু একটা উঠতেই অভ্র চমকে উঠলো। ঘুমটা ভেঙে গেল পুরোপুরি। চোখ খুলে তাকাতেই বিছানার উপর আদ্রিজার বিড়াল ছানাটাকে দেখে চরম অবাক হলো অভ্র। হতভম্ব হয়ে বললো সে,
‘ এটা এখানে কি করে এলো? তবে কি ব্ল্যাকবেরি এসেছে এখান?’
এরই মাঝে আবারও আদ্রিজার পায়ের সেই পায়েলের শব্দটা কানে ভেসে আসলো অভ্রের কানে। খুব কাছ থেকেই শব্দটা আসছে কানে। অভ্র খানিকটা অবাক হয়ে তাকালো তাঁর রুমের দরজার সামনে।’
এরই মাঝে ওয়াইট জর্জেট থ্রি-পিচ, সিম্পল সাজ, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা আর পুরনো সেই সেইম হেয়ার স্টাইল এক সাইডে বেনুনী করা অবস্থায় দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো আদ্রিজা। কতক্ষণ আগেই এখানে এসেছে আদ্রিজা তাঁর বিড়াল ছানাকে নিয়ে। কিন্তু এসেই যে ওই বদমাশ বিড়ালটা আজও অভ্রের রুমে এসে হানা দিবে এটা ভাবে নি আদ্রিজা। চরমভাবে লজ্জিত হয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো আদ্রিজা অভ্রের রুমের দরজা সামনে। ভিতরে যাবে কি যাবে না ঠিক বুঝতে পারছে না সে। আজ ভার্সিটি যাই নি কেউ। আর বাড়িতে ভালো লাগছিল আদ্রিজার তাই বিড়ালটাকে নিয়ে এখানে এসেছিল সে।’
অন্যদিকে,
আদ্রিজার অবস্থাটা বুঝতে পেরে অভ্র নিজেই বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। গায়ে পরনে ছিল তার ওয়াইট টিশার্ট আর এস কালার ট্রাউজার। চুলগুলো পুরোই এলেমেলো। অভ্র শুরুতে তাঁর মাথার চুলগুলোতে হাত দিয়ে একটু ঠিক করলো তারপর বিছানার উপর থেকে বিড়াল ছানাটাকে কোলে তুলে নিয়ে আদ্রিজার দিকে এগিয়ে গেল সে। অভ্রের কাজের পুরোটা সময়ই শুধু অবাক চোখে তাকিয়ে ছিল আদ্রিজা অভ্রের দিকে। অতঃপর অভ্রকে নিজের দিকে আসতে দেখে দৃষ্টি সরিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো আদ্রিজা চুপচাপ। এরই মাঝে অভ্র এগিয়ে এসে বললো তাঁকে,
‘ আজও কিন্তু তুমি আর তোমার বিড়াল ছানা আমার কাঁচা ঘুমটা ভাঙিয়ে দিলে।’
অভ্রের কথা শুনে লজ্জিত আদ্রিজা আরো লজ্জা পেল। নিশ্চুপ কন্ঠ নিয়ে বললো,
‘ আই এম সরি।’
অভ্র আদ্রিজার সরির বিনিময়ে কিছু না বলে প্রসঙ্গ পাল্টে বললো,
‘ শুনলাম বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে নাকি?’
অভ্রের কথা শুনে খানিকটা অবাক হয়েই বললো আদ্রিজা,
‘ আপনিও শুনে নিয়েছেন?’
‘ না শোনার মতো বিষয় কি এটা।’
‘ হুম সেটাও ঠিক। আপনার দাওয়াত রইলো আসবেন অবশ্যই।’
আদ্রিজার কথা শুনে অভ্র খানিকটা বিস্মিত কন্ঠ নিয়ে বললো,
‘ তোমার বিয়েতে আমি গিয়ে কি করবো?’
উওরে অভ্রের কাছ থেকে বিড়াল ছানাটাকে নিয়ে গিয়ে বললো আদ্রিজা,
‘ কেন সবাই যা করে তাই করবেন। আপনি এলে আমি খুব খুশি হবো অবশ্যই আসবেন কিন্তু।’
এতটুকু বলে বিড়াল ছানাটাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গেল আদ্রিজা আর যাওয়ার আগে আবারও বললো সে,
‘ অবশ্যই আসবেন বিয়েতে আপনি এলে আমার সত্যিই খুব ভালো লাগবে।’
বলেই আর না দাঁড়িয়ে তক্ষৎনাত এগিয়ে গেল আদ্রিজা আরুর রুমের উদ্দেশ্যে। আর অভ্র কিছুক্ষন চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো স্তব্ধ হয়ে। যেন আদ্রিজার কথাটা মাথার উপর দিয়ে গেল তাঁর।’
___
আজ বিকেলেই লাবন্যের আমেরিকা যাওয়ার ফ্লাইট। বর্তমানে তারই তোড়জোড় চলছে বাড়িতে। লাবণ্যের বাবা মাও যাচ্ছে লাবণ্যের সাথে। চর তারই গোছগাছ চলছে এখন, লাবণ্য তাঁর রুমের বিছানার উপর বসে আছে চুপচাপ কারন অভ্র তাঁর ফোন তুলছে না। লাবণ্য বুঝতে পারছে না অভ্র কি তাঁর চিঠিটা পড়ে নি এখনও। পড়লে তো নিশ্চয়ই এতক্ষণে ফোন করতো তাঁকে। লাবণ্য বুঝে না এই ছেলেটা এমন ক্যান এক তো নিজে জেচে কিছু বলতে পারছে না তাঁরওপর সে চিঠি লিখে জানালো তাও কাজ হচ্ছে না। কি করছে এই অভ্রের বাচ্চা কে জানে। লাবণ্য আবারও ফোন লাগালো অভ্রের নাম্বারে কিন্তু এবারও ফোন তুললো না অভ্র। কারন অভ্র তখন ওয়াশরুমে ছিল।’
অভ্র এবারও ফোন না তোলাতে খানিকটা বিরক্ত হয়ে ফোনটা ফেলে রাখলো বিছানায়। হতাশ হয়ে বললো লাবণ্য,
‘ তুই কোথায় অভ্র তুই কি এখনো আমার চিঠিটা পড়িস নি?’ নাকি তোর দিক দিয়ে আমার করা ভাবনাগুলোই ভুল। ভালো কি বাসিস না আমায়?’
___
‘ মা, আমার ব্রেকফাস্ট কোথায়? তোমায় স্যান্ডউইচ দিতে বলেছিলাম এখনও আনলে না কেন?’
খানিকটা বিরক্তির স্বরে কথাটা বলে উঠল অভ্র তাঁর মাকে। অফিস যেতে দেরি হচ্ছে তাঁর। আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে অভ্রের। আজ যে এতটা লেট করে ঘুমটা ভাঙবে এটা বুঝতেই পারে নি অভ্র। ভাগ্যিস আদ্রিজার বিড়াল গিয়েছিল তাঁর রুমে না হলে তো হয়েছিল। যদিও প্রথমে একটা ফোন আসাতে ঘুমটা হালকা হয়েছিল অভ্রের। ‘ফোন এসেছিল’ কথাটা মাথায় আসতেই টেবিলের উপর থেকে ফোনটা দেখলো অভ্র। ভুলেই গিয়েছিল বিষয়টা সে। এরই মাঝে হাতে স্যান্ডউইচের প্লেটটা এনে রাখলো আদ্রিজা অভ্রের সামনে। তারপর বললো,
‘ আপনার স্যান্ডউইচ?’
হুট করেই আদ্রিজার ভয়েস কানে আসতেই হকচকিয়ে উঠলো অভ্র। পাশ ফিরে তাকিয়ে সত্যি সত্যিই আদ্রিজাকে দেখে অবাক হয়ে বললো অভ্র,
‘ তুমি?’
‘ হুম আমি আসলে আন্টি রান্না ঘরে খুব ব্যস্ত আর আরু নিজের রুমে আছে। তাই আন্টি বললো আমি যেন এটা আপনায় এনে দেই। যাই হোক আপনি খেয়ে নিন।’
বলেই স্যান্ডউইচটা পাশে রাখলো আদ্রিজা। সাথে ফলের জুসটাও এগিয়ে দিল সে অভ্রের দিকে। এই কাজটা অভ্রের মাই করতে বলেছিল তাকে। আজ অভ্রদের বাড়ির কাজের লোকটা আসে নি যার দরুন অভ্রের মাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে রান্নায়। অভ্রের বাবাও খানিকক্ষন আগে খেয়ে বের হলেন। অভ্রের বেকফ্রাস্ট আরো আগেই তৈরি করে ছিল অভ্রের মা। কিন্তু অভ্র দেরি করে আসায় পুরো ঠান্ডা হয়ে গেছিল সব। যার দরুন নতুন করে আবার তৈরি করতে হলো অভ্রের মাকে।’
অতঃপর অভ্র বেশি না ভেবে চটজলদি ব্রেকফাস্ট সেরে গায়ের কোটটা নিয়ে চলে গেল বাহিরে। আর আদ্রিজা শুধু তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন অভ্রের যাওয়ার পানে।’
#চলবে….
#গোধূলি_বিকেলে_তুমি_আমি❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ২৬
________________
এয়ারপোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে লাবণ্য তুষারসহ লাবণ্যের আরো কিছু ফ্রেন্ড। এঁরা সবাই লাবণ্যকে এগিয়ে দিতে এসেছে। কারন লাবণ্য সবাইকেই বলেছে তাঁর আমেরিকা যাওয়ার কথা। মুলত লাবণ্য আমেরিকা যাচ্ছে তাঁর এক কাজিনের বিয়ে উপলক্ষে কিন্তু এদের বলেছে মিথ্যে কথা। এর পিছনেও কারন আছে লাবণ্য ভেবেছিল একেবারে যাওয়ার কথা বললে হয়তো অভ্র কিছু বলবে তাঁকে। কিন্তু এই অভ্রের বাচ্চার তো কোনো খবরই নেই। আধও চিঠিটা পড়েছে কি না কে জানে। লাবণ্য তাঁর বন্ধুদের সাথে কথা বলছে আর এদিক সেদিক তাকাচ্ছে অভ্র কি আসবে না আজ। হঠাৎই তুষার বলে উঠল লাবণ্যকে,
‘ এভাবে চলে না গেলেও পারতি?’
উওরে লাবণ্য বলে উঠল,
‘ থাকলে কি হতো শুনি।’
‘ কি হতো মানে অভ্র তোকে কিছু বলে নি।’
তুষারের কথা শুনে লাবণ্য অবাক হয়ে বললো,
‘ কি বলবে,
‘ কেন সেদিন অভ্র অফিসে বসে কিছু বলে নি তোকে,
‘ কই কিছু বলে নি তো উল্টো কি এক কাজ আছে বলে হতভম্ব হয়ে বেরিয়ে গেল।’
লাবণ্যের কথা শুনে তুষার ভীষণ অবাক হলো। তাঁর মানে অভ্রটা সেদিনও কিছু বলতে পারে নি। কিছু দিনের জন্য তুষার ঢাকার বাহিরে গেছিল একটা জরুরি কাজে। সারাদিন ব্যস্ত থাকায় সেদিনের পর আর অভ্রের সাথে যোগাযোগ হয় নি তাঁর। কাল রাতেই ফিরেছে ঢাকায় এরই মাঝে লাবণ্যের যাওয়ার সংবাদ শুনে দৌড়ে আসলো এখানে। সে ভেবেছিল অভ্রকে হয়তো রিজেক্ট করে দিয়েছে লাবণ্য কিন্তু এখন তো শুনছে অভ্র নাকি কিছু বলেই নি লাবণ্যকে। তুষার বুঝতে পেরেছে অভ্রের ধারা কিচ্ছু হবে যা বলার তাঁকেই বলতে হবে। তুষার কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠল লাবণ্যকে,
‘ আমি অভ্রের ব্যাপারে তোকে কিছু বলতে চাই লাবণ্য?’
হুট করে তুষারের মুখে অভ্রের বিষয়ের কথা শুনে লাবণ্য বেশ অবাক হয়ে আগ্রহের সাথে বলে উঠল তুষারকে,
‘ কি কথা বল,
উওরে তুষার বেশি সময় না নিয়েই বলতে নিলো,
‘ কথাটা অভ্রই তোকে বলতো লাবণ্য, সেই অনেকদিন থেকেই কথাটা বলতে চেয়ে ছিল ও কিন্তু এক্সাইটিং এর ঠ্যালায় কিছুই বলতে পারছিল না তাই আজ আমিই তোকে সব বলছি শোন,
তুষারের কথায় আরো আগ্রহ বাড়লো লাবণ্যের কোনোভাবে অভ্র তাঁকে ভালোবাসে এমন কিছু বলবে না তো তুষার। লাবণ্য বেশ আগ্রহ নিয়ে তুষারের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ কথাটা কি সেটা তো বল,
‘ হুম বলছি কথাটা হলো অভ্র তোকে ভা…
তুষার আরও কিছু বলবে এরই মাঝে সেখানে গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হলো অভ্র। অভ্র এসেছে জিনিসটা দেখেই খুশি হলো লাবণ্য। তুষারও থেমে গেল অভ্রকে দেখে। আর কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলো না সে কারন লাবণ্য অভ্রকে দেখেই এগিয়ে গেছে সামনে তুষারের কথা না শুনে।’
লাবণ্য যেতেই অভ্র গাড়ি থেকে বের হলো। অভ্রকে গাড়ি থেকে বের হতে দেখেই অভিমানী গলায় বললো লাবণ্য,
‘ এত সময় লাগে আর একটু দেরি হলেই তো আমি চলে যেতাম।’
লাবণ্যের কথা শুনে অভ্র দু’কানে হাত দিয়ে বললো,
‘ সরি রে অফিসে একটু কাজ ছিল।’
‘ যাক বাদ দে আমার খামটা খুলে ছিলি?’
লাবণ্যের কথা শুনে বিস্মিত হলো অভ্র। কারন সে খামটার কথা একদমই ভুলে গিয়েছিল। সেদিন লাবণ্য যাওয়ার পরই খামটা খুলতে নিয়ে ছিল অভ্র। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই একটা ফোন আসায় আর ফোনটা অফিস কানেক্টেড জরুরি হওয়ায় খামটা ড্রয়ারে রেখে কথা বলতে বলতে রুম থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল অভ্র। তারপর আর খামের কথা মনে ছিল না তাঁর। খামের কথা মনে পড়লো তাঁর মাত্র লাবণ্যের কথা শুনে। অভ্র খানিকটা বিষন্ন মাখা কন্ঠ নিয়ে বললো,
‘ সরি লাবণ্য, খামটার কথা ভুলে গেছিলাম আমি। তবে তুই চিন্তা করিস না আমি কালই অফিসে গিয়ে খামটা দেখে নিবো।’
অভ্রের কথা শুনে মুহুর্তের মধ্যে লাবণ্যের হাসিমাখা মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল। এতক্ষণে বুঝলো লাবণ্য অভ্র কেন তাঁকে ফোন করে নি। লাবণ্য হতাশ হলো, প্রচন্ড বেগে হতাশ হলো নিরাশ হয়ে বললো,
‘ তুই খামটা খুললি না কেন অভ্র?’
‘ কেন কি এমন আছে ওই খামে।’
‘ তোর মাথা আছে বুদ্ধু, তোর ধারা কিচ্ছু হবে না, ইডিয়েট একটা। আমায় যেতে হবে তা না হলে, বান্দর কোথাকার।’
বলেই রাগে হন হন করে চলে গেল লাবণ্য। প্রচন্ড রাগ হচ্ছে তাঁর। এই যুগে বোধহয় তাঁর আর অভ্রের মনের কথা জানা হবে না।’
লাবণ্যের কথা সাথে লাবণ্যকে হন হনিয়ে যেতে দেখে হতভাগ হলো অভ্র। তক্ষৎনাত এগিয়ে যেতে যেতে বললো সে,
‘ আরে তুই রাগ করলি নাকি লাবণ্য?’
উওরে পিছন ঘুরে বললো লাবণ্য,
‘ তোর মাথা করেছি।’
বলেই রাগ নিয়ে এগিয়ে চলে গেল লাবণ্য এয়ারপোর্টের ভিতরে। একদমই সময় নেই কিছুক্ষনের মধ্যেই তাঁর প্লেন ছাড়বে। এখন এই অভ্রকে কিছু বোঝাতে গেলে তাঁর ফ্লাইট মিস হবে। তাঁর চেয়ে ফিরেই এসেই বলবে সব। আর তাছাড়া চিঠি তো আছেই অভ্র ঠিক তাঁর ফিরে আসার মাঝে পড়ে নিবে চিঠিটা। অতঃপর লাবণ্য আর না দাঁড়িয়ে চলে গেল তাড়াতাড়ি। বাবা মা আগেই উঠে পড়েছে প্লেনে। এখন শুধু সেই বাকি।’
লাবণ্য যেতেই অভ্র তুষারের সামনে পর্যন্ত এগিয়ে এসে বললো,
‘ যা চলে গেল।’
অভ্রের কথা শুনে এবার তুষারের রাগ হলো। রাগ নিয়েই বললো সে,
‘ যাবে না তো কি করবে এখন তুই বসে বসে ললিপপ খা।’
‘ আরে রাগ করছিস কেন?’
‘ রাগ করবো কেন তোকে তো ফুলের মালা পড়িয়ে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। বাপ রে বাপ সেই কবে থেকে ভালোবাসা প্রকাশ করার কথা হচ্ছে। ভালোবাসা প্রকাশ করতে করতে লাবণ্য আমেরিকা চলে গেল অথচ শালা তুই এখনো পারলি না ভালোবাসি বলতে। আর বলা লাগবে না তুই আঙুল চোষ এখন। লাবণ্য আর ফিরবে না।’
উওরে তুষারের গলা জড়িয়ে ধরে গাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বললো অভ্র,
‘ আরে রাগ করছিস কেন আর লাবণ্য ফিরবে না এটা কে বলেছে তোকে লাবণ্য কিছুদিনের মধ্যে ফিরবে আবার। ওর ওই প্রবাসী একটা কাজিন আছে না তাঁর বিয়েতে গেছে বিয়ে শেষ হলেই আবার ফিরবে।’
অভ্রের কথা শুনে তুষার অবাক হয়ে বললো,
‘ কি! কিন্তু লাবণ্য যে বললো ও আমেরিকার এক ভার্সিটিতে টিচার হওয়ার সুযেগ পেয়েছে।’
‘ ওগুলো মিথ্যে কথা তবে পুরোটা যে মিথ্যে এটা বললে ভুল হবে সুযোগ পেয়েছিল ঠিকই কিন্তু ও কাজটা করবে না বলেছে।’
‘ কি তাহলে আমাদের মিথ্যে বললো কেন।’
‘ সেটা তো আমিও জানি না। কাল বিকেলে কথা হয়েছিল আঙ্কেল আন্টির সাথে তখনই ওনারা বললো এসব।’
‘ ওহ,
‘ হুম। ও ফিরে এলেই এইবার পাক্কা ওকে ভালোবাসার কথা বলেই ছাড়বো আমি।’
অভ্রের কথা শুনে ভ্রু-জোড়া কুঁচকে বললো তুষার,
‘ তুই তো ভাই কথাই কইস না। তবে এইবার তুই না বললে আমিই বলমু বলে দিলাম।’
উওরে অভ্রও বলে উঠল,
‘ ঠিক আছে বলিস।’
এরই মাঝে আকাশ পথ বেয়ে ছুঁটে চললো বিশাল এক প্লেন তুষার অভ্র দেখলো সেটা। অতঃপর লাবণ্য চলে গেল বিমানে করে তাঁর গন্তব্যের দিকে। আর তুষার অভ্রের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ তোর ধারা কিচ্ছু হবে না, কিচ্ছু না।’
বলেই গিয়ে বসলো সে অভ্রের গাড়িতে। আজ বাড়ি যাবে না তুষার অভ্রের সাথে অভ্রদের বাড়িতে যাবে সে। তুষারের কথা শুনে হাল্কা হেঁসে বললো অভ্র,
‘ এবার না হলে তুই তো আছিস ভাই আমার হয়ে বলে দিস।’
তুষার শুনেছে অভ্রের কথা। তবে আপাতত কিছু বললো না রাগ হচ্ছে তাঁর, ভীষণ রাগ অভ্রের ওপর। এত সময় লাগে নাকি ভালোবাসি বলতে।
‘ কে জানে অভ্রের ভাগ্যে লাবণ্য আধও আছে কি না?’
ভাবলো তুষার। কেন যেন অদ্ভুত লাগছে আজ।’
অন্যদিকে অভ্র সে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন আকাশ পথে। ভালো লাগছে নাকি খারাপ লাগছে এটাই যেন বুঝচ্ছে না সে।’
____
আজ আদ্রিজার বিয়ে। পুরো বাড়ি জুড়েই ধুম পড়ে গেছে বিয়ের। আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সবাই এসেছে বিয়েতে, বাচ্চারা দৌড়াচ্ছে, সাউন্ড বক্স বাজছে, ছেলেরা নাচছে একবার দল বেঁধে আবার নাচছে মেয়েরা। আদ্রিজারা খুব বেশি উঁচু পর্যায়ে মানুষ নয়। মধ্যবিত্তের মাঝেই খানিকটা সার্মথ্যবান। আদ্রিজাই একমাত্র মেয়ে তাঁর বাবা মার। তাই তো এতটা ধুমধাম করে বিয়ে দিচ্ছে মেয়ের।’
বর্তমানে,,
আয়নার সামনে বসে আছে আদ্রিজা। জীবনে আজ প্রথম এতটা গর্জিয়াস করে সেজেছে সে পার্লার থেকে মেয়ে আনা হয়েছে আদ্রিজার জন্য। গর্জিয়াস গোল্ডেন কালার ভাড়ি লেহেঙ্গা পড়ানো হয়েছে আদ্রিজাকে, চুলগুলো খোলা, হাতে ভাড়ি চুড়ি, গলায় ভাড়ি নেকলেস, মাথায় টিকলি, মুখে ভাড়ি সাজ, দু’হাতে মেহেন্দির লাল রঙা রঙে রাঙিত আদ্রিজা। আজ আদ্রিজা চোখে চশমা পড়ে নি, লেন্স লাগিয়েছে চোখে। আয়নার সামনে তাকিয়ে নিজেই নিজেকে দেখে মুগ্ধ হয়েছে আদ্রিজা। তাঁকে যে মেকাপে পুরোই অন্যরকম লাগছে আজ। কিন্তু তারপরও কোথাও যেন বুক চাপা কষ্ট ভেসে আসছে তাঁর ভিতর। এই মুহূর্তে আদ্রিজার কষ্ট হওয়ার দুটো কারন এক শ্রাবণের ধোঁকা আর দুই নিজের বাবা মাকে ছেড়ে চলে যাওয়া জিনিস দুটো মাথায় আসতেই কষ্ট হচ্ছে আদ্রিজার ভীষণ কষ্ট। চিৎকার দিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে তাঁর। কিন্তু কাঁদতেও যেন কষ্ট হচ্ছে আদ্রিজার। এ ক’দিনে তো কম কাঁদে নি সে। এরই মাঝে সেখানে এগিয়ে আসলো আদ্রিজার বন্ধুমহলের শরীফ,সিফাত, তুলি, বুশরা, আশিক শুধু আরু নেই। আশিক তো ভিতরে ঢুকেই বলে উঠল,
‘ চারদিকে মানুষের হুল্লোড়, ছেলেমেয়ে নাচে সঙ্গে সাউন্ড বক্স বাজে,
আজ আমাদের আদ্রিজা আফা সেজেছে বিয়ের সাজে।’
হুট করেই আশিকের ভয়েস পেতেই পিছন ঘুরে তাকালো আদ্রিজা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বন্ধুমহলের সবাই পুরো হা হয়ে তাকিয়ে রইলো আদ্রিজার মুখের দিকে। তাঁরা যেন চিনতেই পারলো না এটাই তাদের নিরিবিলি আফা আদ্রিজা। তুলি তো অবাক হয়ে বললো,
‘ আরে বাস তোকে কি লাগছে রে আদ্রিজা চোখ সরানোই তো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে?’
তুলির কথা শুনে শুঁকনো হাসলো আদ্রিজা। তারপর বললো,
‘ এত দেরি করে কেন এলি তোরা?’
উওরে বুশরা এগিয়ে এসে বললো তাঁকে,
‘ আর বলিস না এই সব হয়েছে শরীফ, সিফাত আর আশিকের জন্য কি আকার সেজেছে জিজ্ঞেস কর। যেখানে আমাদের সাজা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করবে ওরা তা না উল্টো আমরা ওদের সাজা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম জানিস।’
বুশরা কথা শুনে শরীফ বললো,
‘ আরে বুজোস না কেন বিয়ে বাড়ি এসেছি সুন্দর সুন্দর মেয়ে পটাতে হবে না। তাই সাজগাজের একটা ব্যাপার আছে না।’
‘ তাই বলে এতক্ষণ, (তুলি)
তুলির কথা শুনে সিফাত বললো,
‘ এতক্ষণ কোথায় মাত্র আধ ঘন্টা।’
‘ আধ ঘন্টা কম বুঝি? (বুশরা)
বুশরার কথা শুনে এবার আশিক বললো,
‘ তুমি কি বুঝবা আমরা ন্যাচারাল সেজেছি কি না।’
‘ ওরে আমার ন্যাচারাল সুন্দর রে (তুলি)
এই নিয়ে তর্কাতর্কি বেঁধে গেল সবার মাঝে। আদ্রিজা তর্কাতর্কি সামলাতে বলে উঠল,
‘ তোরা এসেছিস আরু আসে নি?’
‘ আরু আসছে ওদের সাথে আঙ্কেল আন্টিও আসছে।’ ( বুশরা)
বুশরার কথা শুনে এতটুকুই বললো আদ্রিজা,
‘ ওহ।’
হঠাৎই তুলি বলে উঠল,
‘ শুনেছি অভ্র ভাইয়াও নাকি আসছে।’
তুলির কথা শুনে এক্সাইটিং হয়ে বললো বুশরা,
‘ সত্যি। ওনারে যে কি ভালো লাগে আমার, কত্তো কিউট আর সুন্দর।’
বুশরা কথা শুনে শরীফ বললো,
‘ বেশি কিউট কিউট কইরো না নিচে কিন্তু আন্টি আছে আমি যাইয়া সব বলমু কিন্তু।’
শরীফের কথা শুনে বুশরা বললো,
‘ সাহস থাকলে বল যাইয়া তোরও মায় আসছে এখানে তুই যে মেয়ে পটাইতে আইছো তাও আমি বইলা দিমু।’
এরই মাঝে সেখানে এসে হাজির হলো আরু। সবার সামনে এগিয়ে এসে বললো,
‘ খুব বেশি লেট করে ফেলেছি কি?’
আরুর ভয়েস কানে আসতেই আশিক বলে উঠল,
‘ একদমই না,
‘ তুই থাম তো।’
বলেই আরুর এগিয়ে আসলো আদ্রিজার দিকে। আদ্রিজাকে দেখে সেও মুগ্ধ হয়েছে খুব। দৌড়ে এসে আদ্রিজাকে জড়িয়ে ধরে বললো সে,
‘ ওরে দোস্ত তোরে কি সুন্দর লাগছে রে ইস আমার আরেকটা ভাই থাকলে তোকেই আমি আমার ভাবি বানিয়ে নিতাম। ইস মিস হয়ে গেল।’
আরুর কথা শুনে হাসলো আদ্রিজা। তারপর বললো,
‘ আঙ্কেল আন্টিও এসেছে তোর সাথে?’
‘ আব্বু আসে নি আমি, মা আর ভাইয়া এসেছে।’
আরুর কথা শেষ হতেই বুশরা বলে উঠল,
‘ অভ্র ভাইয়া সত্যি সত্যিই এসেছে আরু?’
উওরে আরুও বলে উঠল,
‘ হুম খুব বেশি জোর করা লাগে নি বুঝলি একবার বলতেই রাজি হয়ে যায়। এমনিতে তো বিয়ে বাড়ি যেতে চায় না কিন্তু আজ কেন যেন একবার বলাতেই এসেছে। অবশ্য মা একটু জোড় করেছিল। তবে আমি একবার বলাতেই রাজি হয়ে যায়।’
আদ্রিজা শুনলো তবে কিছু বললো না। আদ্রিজা ভিতর থেকে ভীষণ খুশি হয়েছে অভ্র এসেছে বলে।’
হঠাৎই বুশরা ওরা বলে উঠল,
‘ চল একটু নিচে যাই বরপক্ষরা এলো কি না দেখে আসি?’
বুশরার কথায় বাকিরাও সায় দিল। অতঃপর আদ্রিজাকে রেখেই চলে গেল শরীফ,সিফাত, তুলি, বুশরা, আশিক আর আরু। আরু প্রথমে যেতে না চাইলেও পরক্ষণেই সবার জোড়াজুড়িতে রাজি হয় সে।’
সবাই যেতেই পুনরায় আয়নার দিকে ঘুরে তাকালো আদ্রিজা। এরই মাঝে পিছন থেকে বলে উঠল অভ্র,
‘ মিস ব্ল্যাকবেরি।’
#চলবে….
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। আর গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে। সবাই একটু ধৈর্য ধরো কিন্তু গল্পের শীঘ্রই ধামাকা দিচ্ছি]
#TanjiL_Mim♥️