Black Rose Part-02 (Season 02)

0
1744

#Black_Rose
#The_Dark_Prince_of_vampire_kingdom♚
#Megh_La
#Part_02

চোখ খুলতে কাউকে পেলাম না।
কিন্তু আমি স্পষ্ট ফিল করেছি কোন শীতল স্পর্শ।
এতো না ভেবে একটু পানি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি৷।

সকালে,
মিষ্টি রোদে ঘুম ভাঙে,
মা বাইরে নক করছে,
আমি জলদি গিয়ে দরজা খুলে দেয়৷
–কিরে মাথা ব্যাথা কমছে কফি নিয়ে এলাম। (মেঘ)
–ধন্যবাদ মা এসো।
মাকে নিয়ে ঘরে এলাম।
মা আমার বিছানা গুছিয়ে দিচ্ছে।
এমন সময় একটা কথা মবে পড়লো,
–আচ্ছা মা আদ্রিয়ান ভাই আমার কতো বড়ো।
–৬ মাস কেন?
–না তাহলে উনি আমাদের কলেজের প্রফেসর হয় কি করে৷ জদিও দু বছর আমি পিছিয়ে৷
–আদ্রিয়ান দেশে আসার মুল করন হলো এটা৷
তোদের কলেজের জায়গা টা তোর বাবার নমে।
তোর বাবা এমনি এমনি লিখে দিছে তার কোন টাকা দিতে পারি নি ওরা বিধায় আদ্রিয়ানের লিখা পড়া পুরোটা শেষ না করে প্রফেসর করতে চায়৷
যাতে বেতন কিছু বাড়িয়ে দিয়ে যতোটা সম্ভব দেনা কম করতে পারে।
–ওহ আচ্ছা।
–হুম জদিও তোর বাবা চায় নি এক প্রকার যের করেই হলো৷
এখন আপাতত কলেজের সব থেকে পাওয়ার ফুল প্রফেসর তোর আদ্রিয়ান ভাইয়া।
আচ্ছা এগুলা শেষ তোমার বাবা অফিস যাবে আমি গেলাম।
আম্মু চলে গেল৷
জানার তো অনেক কিছু ছিলো কিন্তু প্রশ্ন তো বার হয় না।
জদি ভাইয়া সব থেকে পাওয়ার ফুল মানুষটা হয় তবে আমার আর রক্ষা নাই৷ ইহা মুই বুঝিয়া লইলাম ?

মেঘেদের ঘরে,
আমান হটাৎ করে মেঘকে জড়িয়ে ধরে,
–কি হচ্ছে কি৷
–রোমান্স
–ধুর বাচ্চা রা আছে তো।
–এখানে আছে নাকি।
–বাসায় আছে তো নাকি৷
–উফ তুমিও না৷
–আমান আমার না মেয়েটাকে নিয়ে ভয় হয়৷
–আমারো হয়।
আমার জন্য ওর vampire হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ও হলো মানুষ।
আর সেদিন তো তুমিও বেঁচে গেলে।
আল্লাহ আমাকে দুটো নেয়ামত দিলো।
–হুম।
–আমাদের মেয়েটা আজো জানে না আমি vampire।
–কখনে না জানাই ভালো।
ছাড়ো কাজ আছে।
–আমি তুমি কি সারা জীবন থাকবো৷
আমার জাবার পর এ দ্বায়িত্ব আমি কাকে দিবো৷
–এতো চিন্তা করো না অবশ্যই কেউ না কেউ আছে তোমার এই দায়িত্ব নেবার মতো৷
–সেটা জেন হয়।

এতে বড়ো গুরু দায়িত্ব নেবার জন্য আসলে কে আছে।
সেটাই দেখার পালা।।


–আদ্রিজা মা খেয়ে নেও কলেজ জাবা না৷ (তোবা)
(বিঃদ্রঃ কাল তোবাকে খালামনির জায়গায় ফুপি বলে ফেলছি৷ আমি আমার ফুপিকে টুপি আর খালামনিকে মনি ডাকি৷ তাই তোবা আজ থেকে আদ্রিজার মনি)
–হ্যা মনি আসছি।
আমি নিচে এসে দেখি সবাই আছে।
আজ বড্ড দাদুর কথা মনে পড়ছে।
দাদু মারা গেছে আজ ১০ বছর হলো৷
আমাকে অনেক আদর করতো৷
খাবার টেবিলে সবাই আছে আদ্রিয়ান ভাইয়াও৷ ওনাকে দেখে কেন জানি না ভয়ের জায়গায় ভালো লাগা কাজ করছে।
ব্লাক সার্ট, হাতে ঘড়ি, চুল গুলা উপরের দিকে দেওয়া৷ অসাধারণ।
নাহ কি ভাবছি এগুলা৷
–কিরে বস।
আম্মুর কথায় বসে পড়লাম৷
সবাই খাবার খাচ্ছে আমি মাঝে মাঝে আদ্রিয়ান ভাইয়াকে একটু করে দেখছি। বেটা খেয়ে চলেছে।
খাওয়া শেষে,
–আদ্রিয়ান বাবা একি কলেজে যাও তোমরা তাহলে আদ্রিজাকে সাথে করে নিয়ে যাও৷ (আহম্মেদ)
–ঠিক আছে বাবা।
বাহ রাক্ষস টা মেনে নিলো না জানি এতে আবার কোন টর্চার লুকিয়ে আছে,

(শুধু আদ্রিজা নয় আজ বাংলাদেশের এমন অনেক আদ্রিজা নিরবে পুরুষ নির্যাতন সয়ে যাচ্ছে।
আদ্রিজা শুধু একটা গল্প। যেখানে হয়তে লুকিয়ে আছে অনেক কারন৷
কিন্তু আসল জীবনের গল্পে কোন আদ্রিজা বেঁচে থাকার মনোবল পাচ্ছে না৷
নরী সে তো ভোগের বস্তু নয়৷
তুমি চাইছো ভোগ করতে কোরেছো তার পর ছেড়ে দিলে৷
কেন গো ওরা মেয়ে ওরা কি মানুষ নয়।
আরে লজ্জা লাগে না মেয়ের বয়সি বাচ্চাকে ধর্ষণ করতে৷
কোথায় সেই গর্জন বাংলাদেশ।
নারীকে বাঁচাও।
আর দয়া করে আর কোন নিরিহ নারীর চিৎকার শুনার দূরভাগ্য দিও না৷
#Stop_Rape
#We_want_Justice)

গাড়িতে বসে আছি আমি আর আদ্রিয়ান ভাইয়া৷
মিষ্টি একটা স্মেল আসছে।
বাইরের দিকে তাকিয়ে সেটা ফিল করছি আমি৷
অনেকটা পথ চলে আসছি৷
খেয়াল করি নাই বাতাসে আমার খোলা চুল গুলো ভাইয়ার মুখে গিয়ে পড়ছে৷
জলদি করে ওগুলা সরিয়ে নিয়ে বেঁধে ফেলি৷
অবাক কান্ড এমন একটা কাজ হয়ে গেল ভাইয়া কিছু বললো না।
মনে হচ্ছে কিছু হয় নি৷

সারাটা রাস্তা নিরবাতা বিরাজমান ছিলো৷
পৌঁছে গেলাম কলেজে।
আমি গাড়ি থেকে নামতে দেখি আমার কিছু বান্ধবী এগিয়ে এলো৷
তেমন কারোর সাথে মিসি না আমি একটা মেয়ে ছাড়া। রুহি তার নাম। আমার বেস্টু।
এদের সাথে প্রয়োজন হলে কথা বলি নাইলে না৷
কিন্তু ওদের মধ্যে রুহি নাই। ওরা আমার কাছে এসেছে ভালাম কিছু বলবে।
ও মা আমাকে অবাক করে ওদের প্রথম প্রশ্ন হলো,
–আদ্রিয়ান ভাইয়ার গাড়িতে তুই কি করে রে। উনি তোর কি হয়৷
–আমাদের সাথে একটু পরিচয় করিয়ে দিবি৷
এদের কথা শুনে রাগে আমার মুখ লাল হয়ে গেল।
কোন উত্তর না দিয়ে ক্লাস রুমে চলে এলাম।
–কি মজার কথা রে।
আদ্রিয়ান আমার জামাই লাগে তাকাবি না হুহ।
–কি বির বির করছিস রে। (রুহি)
–কই কিছু না তো৷ তুই কখন এলি এই মাত্র।
–আচ্ছা শুনছিস নাকি নতুন টিচারের ক্লাস নাকি এখন হবে৷
–মানে।
–মানে ওই একটা কম বয়সি৷
–বুঝেছি রুহি আর বলতে হবে না।
(আমার ব্যান্ড বেজেছে)
ভাবতে ভাবতে ক্লাসে ডুকলেন আদ্রিয়ান।
আজ আমার রক্ষা নাই।
চলবে,