Black Rose Part-01 ( season- 02)

0
2178

#Black_Rose
#season_02
#The_Dark_Prince_of_vampire_Kingdom♚
#Megh_La
#Part_01

কান ধরে দাঁড়িয়ে আছি এই ৩৫ মিনিট ধরে কড়া রোদের মধ্যে। তাও আবার কলেজে সবার সামনে।
ঘেমে নেয়ে গেছি। অবস্থা বেহাল আমার৷
দুই বেনি দু’পাশে খোলা খোলা অবস্থা।
পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হইছে৷
আদ্রিয়ান ভাইয়া তাও বলছে না তোর শাস্তি শেষ৷
দুঃখে কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।
ভাইয়া এমন কেন করে।
তাও শুধু শুধু৷ একটা বানান এ শুধু( ঁ) মিস গেছে তার জন্য এতে বড়ো শাস্তি হয়তো কোন কলেজে কেউ পায় নি৷
ভাইয়া ঠিক আমার থেকে একটু দুরে দাঁড়িয়ে আছে গাছের ছায়াতে।
–ভাইয়া আর পাছি না প্লিজ।
আমার অনুরোধ তার কান পর্যন্ত পৌঁছালো কি না আল্লাহই জানে৷
ভাইয়া এসে আমার সামনে দাঁড়ায়৷
এতে ভয় আমার দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
আমাকে ভয় পেতে দেখে বললেন,
–এক বারে ড্রাইভার নিয়ে বাসায় জাবি৷ যদি দেখেছি কোথায়ও থামতে তোর এক দিন কি আমার এক দিন৷
কথা গুলো বলেই চলে গেল৷
আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না।
আমি দৌড়ে গাড়িতে গিয়ে বাসায় চলে আসলাম৷
বাসায় এসে কাউকে কিছু না বলেই উপরে চলে গেলাম৷
রুমে গিয়ে দরজা দিয়ে কাঁদতে থাকি৷
কাল থেকে এভাবে নাজেহাল করছে আমাকে ভাইয়া। শুধু আমার সাথে এটা করে৷
–আদ্রিজা মা কি হলো তোর দরজা খোল(মেঘ)
–মাম্মাম একটু ঘুমবো এখন না প্লিজ৷
–তোর কিছু হয় নি তো মা (তোবা)
–না টুপি কিছু হয় নি(আমি আমার ফুপিকে টুপি বলি)
–আচ্ছা মেঘ চল তাহলে ও একটু ঘুমাক।
–বুঝলাম না আপু কিছু হলো না তো৷
–না আদ্রিয়ান তো ছিলো ওর কাছেই জিঙ্গেস করলে হয়।
–দুইটা বছরে মেয়েটা আমার কেমন নরম হয়ে গেছে রে তোবা৷
–চিন্তা করিস না মেঘ সব ঠিক হয়ে যাবে৷
চল নিচে৷
মেঘ তোবা নিচে চলে যায়৷
এদিকে,

রুমের ভেতর আমি কাঁদছি আর ভাবছি আগের দিন গুলোর কথা,
ভাইয়াকে সত্যি আমি অনেক ভালোবাসি ছোট থেকেই৷
৩ বছর আগে ভাইয়ার বিদেশ জাবার কথা শুনে আমি সব থেকে বেশি কেঁদেছিলাম কিন্তু উনি আমাকে বুঝালেন কাঁদিস না সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি তো ফিরে আসবো।
ওনার ফেরার অপেক্ষা করতাম রোজ৷
প্রথম ১ বছর সব ঠিক ছিলো কিন্তু পরে হটাৎ একটা কার এক্সিডেন্ট হয় আমার ২ বছর কোমায় ছিলাম৷
কোমা থেকে ফিরার পর সব থেকে প্রথম ভাইয়াকে দেখতে চেয়েছিলাম৷
কিন্তু পাই নি উনি তখনো বিদেশ৷
তার পর হাজার বার চেস্টা করেছি একটু কথা বলার কিন্তু পারি নি৷
বাবা আমাকে নিজের জীবন আবর শুরু করতে বলেন৷
কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়৷
২বছর কোমায় থাকায় রেকোবার করতে একটু সময় লাগে৷ আবার ইন্টার থেকে শুরু করি৷ কারন ইন্টারে থাকা অবস্থায় আমার এই এক্সিডেন্ট হয়।
২দিন আগে টুপি বললো ভাইয়া দেশে আসবে৷
সব থেকে বেশি খুশি আমি হলাম৷
কিন্তু ভাইয়া দেশে এসে পুরাই চেঞ্জ৷
আমার সাথে একটা কথা বলেন নি।
আর তো আর এই কাজ করলেন আজ৷
আজ কলেজ যেতে শুনতে পাই নতুন প্রফেসর আসবে৷
নতুন প্রফেসর যে সয়ং আদ্রিয়ান ভাই তা জানতাম না৷
কষ্ট হচ্ছে খুব৷
আমি যে এতে অসুস্থ ছিলাম তা জানতে চায় নি এক বার এখন কেমন আছি৷
পুরাই চেঞ্জ হয়ে গেছে।
আগের ভাইয়া আর নেই৷


রাতে,
সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে,
–মেঘ আমার পিচ্চি কই (আমান)
–জানি না সকালে কলেজ থেকে এসে ঘুমিয়েছে আর ওঠে নি৷
–শরীর খারাপ নাকি (আহম্মেদ)
–জানি না ভাইয়া বললো ঘুমাবে৷
–আচ্ছা এতো চিন্তা করো না আমি খাইয়ে দিবো৷ (তোবা)
–তার আর দরকার নেই আমি চলে এসেছি৷
–আদ্রিজা সোনা আমার এদিকে এসো পাপা টুপার কাছে বসো।
আমি ওনাদের মাঝের চেয়ারে বসলাম৷
–কি হইছে মমোনি৷
–কিছু না পাপা আসলে আজ একটু ক্লান্ত ছিলাম ঘুম পাচ্ছিলো।
(ভালো তো তাকেই বাসি ওনাকে নিয়ে কিছু বলতে পারবো না৷ টুপা অনেক রেগে যাবে৷ । ছোট কালে টুপার কাছে আমাকে নিয়ে অনেক মার খাইছে)
–আচ্ছা খেয়ে নেও৷
–তোবা আদ্রিয়ান কই (আমান)
–ভাইয়া ওর খাবার ঘরে দিছি অনেক জার্নি করছে তার উপর এখানে এসেই প্রথম জয়েন হইছে কালেজে তাই এজটু ক্লান্ত।
–ওহ ওকে৷
আমরা সবাই মিলে খাবার শেষ করে রুমে চলে এলাম৷

আমি সারা দিন ঘুমোইছি তাই ঘুম আসছিলো না৷
পড়তে বসে পড়তে পড়তে ঠিক রাত ১ টার দিকে ঘুমোয় আমি।
মাঝ রাতে হটাৎ কিছু শীতল অনুভূতি হতে৷
আমার চোখ খুলি৷
চোখ খুলতে,
চলবে,