#টর্চার
#Apis_indica(Suraiya_sattar_Urme)
#Part_15
.
.
(বর্তমান)
।
-আমু আই লাইক, আই লাভ ইউ।। আমি জানি তুমি আমাকে ভয় পাও সহ্য করতে পারো না মায় বিশ্বাস করো আমি জানি না কখন কিভাবে আমি তোমাকে লাভ করে ফেলসি।। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি।। চিৎকার করে বলতে লাগলো।(আয়মান)
।
-আমুর চোখে থেকে দু ফোটা জল গড়িয়ে পরলো।। আমু চোখে হাত দিয়ে পানি দেখে কিছুটা অবাক।। কেন তার চোখে থেকে পানি পরছে সে বুঝতে পারছে না।। তার উপর আয়মানের এমন কথা শুনে বুকের বাম পাশে ধুকধুক শব্দ বেরে গেল।। আমু বুকের বাম পাশে হাত দিয়ে আয়মানকে যেই বলতে লাগলো,,
-আমি কি,,,,,
-আমুকে কিছু বলতে না দিয়ে আয়মান আমুকে জড়িয়ে ধরলো।। আমু যেন শকড খেল।।
আমু অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আর ভাবচ্ছে এখানে আসার পর থেকেই আয়মান কেমন বদলে গেছে আগের মতো কোনো টর্চারি করছে না।।আগে তার করা স্পর্শ গুলো কাটার মত লাগতো বাট আজ তার কাছে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে।।। আমু ধীরে ধীরে আয়মানের উপর ভর ছেড়ে দিলো।। আয়মানও তাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।।
।
-তখন গাড়িতে করে আয়মান আর এহসান একটি লেকের ধারে নিয়ে আসে,, এখানে তারা আজ েনুহা আর আমুকে প্রপোজ করবে বলে,,
।
– খুব শক তোর না ওই পোলার সাথে নাচার দাড়া তুই। একবার ধরতে পারি তোকে কামড়িয়ে তোর গাল লাল করে দেব।। (এহসান)
– দৌড়াতে দৌড়াতে গাছের পিছে গিয়ে দাড়ালো নুহা।।
-দেখ জানু ওটা ডান্স ছিল তাই করেছি প্লিজ কানে হাত দিয়ে সরি মাফ করে দেও।।(নুহা)
-মাফ করবো না হুম দাড়া গাছের এদিক ওদিক ছুটেতে ছুটতে ধরে ফেলে নুহাকে এখন কই যাবা জানু বলেই গালে জোড়ে কামর দিয়ে দিল।।(এহসান)
– আহহহ করে চিৎকার করে উঠলো নুহা।। প্লিজ ছোড়ো লাগছে।। (নুহা)
-ছেড়ে দিয়ে লাগবেইতো হু নুহাকে ছেড়ে অন্য দিকে ঘুড়ে দাড়িয়ে অভিমানের সুরে বলতে লাগে আমি কিছু করলেই তোমার লাগে আমি প্রপোজ করলে জ্ঞান হারাও আর ওই যে ওই রানা তার সাথে তো খুব ভাব হুুুুহহহহ।। (এহসান)
।
-নুহা কানে ধরে এক হাটুতে ভর দিয়ে মাটিতে বসে বলতে লাগলো,,
-সরি জানু আর হবে না।বলে তার বাম হাতটি এগিয়ে দিয়ে লাগে যা কাল পারোনি তা না হয় আজ করে দেও একটি কিউটি স্মাইল দিয়ে।(নুহা)
-নুহাকে এমন কিউটি স্মাইল দিতে দেখে এহসান আর রাগ করতে পারলো না মুহুর্থে তার রাগ উধাও।।
-এহসান নুহাকে মাটি থেকে তুলে সে নিজে এক হাটু গেড়ে বসলো।।
-উইল ইউ মেরিমি ?(এহসান)
-নুহা খুশিতে আত্মহারা হয়ে সে আবার পরে যেতে নিলো,, সাথে সাথে এহসান বলে উঠে,,
-এখন বেহুশ হলে কিন্তু আমি অন্য কাউকে আমার ধরনী বানিয়ে ফেলবো গুমরা মুখে(এহসান)
– এই না না আমি ঠিক আছি হবো না জানু হবো না বেহুশ বলে তার বাম হাত এগিয়ে দিল।। আর এহসান নুহাকে আংটিটা পড়িয়ে দিল।।।
।
আজ এহসান আর আয়মানের ভালোবাসার রং লাগানোর জন্য চাঁদের আলো যেন পিছিয়ে নেই।।
।
আজ আকাশের তারকারাজি গুলো যেন তাদের খুনসুটি ভালোবাসার সাক্ষী দিয়ে যাচ্ছে,,,,,
।
কিন্তু এখনো আয়মানের মনে সংশয় আমু কি তাকে আদো ভালোবাসতে পারবে,, নাকি তার কাছে তার ভালোবাসা পাওয়ার আশাটা সারাজীবন রয়ে যাবে।। থাকনা যদি ভালো না বাসে,, আমি তাকে সারা জিবন আগলে রাখাবো।।। আমাকে ভালবাসাতে চেষ্টা করাবো তবে এবার রাগ জেদ কিছু দিয়ে না ভালোবাসা দিয়ে চেষ্টা করবো,,,,,,।।
।
।
(অতীত)
।
।
-আমু আর নুহা পার্টি থেকে এসে,,, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যায়।। সকালে ভার্সিটিতে যেতে হবে তাই।। পরশুদিন থেকে পরীক্ষা শুরু তাদের।।
– খুব সকালে রেডি হয়ে বেড় হয়ে যায় আমু ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।। নুহা আসবে এহসানের সাথে তাই আর কাবাবে হাড্ডি হতে চায় না সে তাই চলে আসা।।
– কলেজের গেট দিয়ে ঢুকতেই সবাই আমুকে কেমনভাবে দেখে যাচ্ছে আমু তাদের দিক তাকালেই চোখ ফিরিয়ে ফেলছে তারা।। আমু আর কোনো কিছু না ভেবে নোটিশ বোর্ডের দিক চলে গেল।। কারন পরীক্ষার রুটিং ওখানেই টানানো হবে।। নোটিশ বোর্ড দেখে আমার চোখ ছানাবড়া।। হায় হায় এ সব কি।। আয়মান আর আমার কালকের পিক নোটিশ বোর্ডে তাও খুব বাজে তোলা।। এ জন্যই আজ সবাই আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে,,,(আমায়রা)
-আমু তাড়াতাড়ি পিক গুলো নোটিশ বোর্ড থেকে তুলে ছিড়ে ফেললো।। আশেপাশে এমন আরো কটা দেখে আমু পাগলের মতো ছিড়তে লাগলো।।
আর কাঁদতে লাগলো।।
-নুহা আর এহসান মাএ কলেজের গেট দিয়ে ঢুকলো।। আমুর এমন পাগল পাগল অবস্থা দেখে দৌড়ে নুহা আমুর কাছে চলে যায় গিয়ে এই সব দেখে আমুকে কান্না থামাতে লাগলো।।
-এহসান এসব দেখে আয়মানকে সাথে সাথে কল দেয় আয়মানও হাজির হয়ে যায় চট জলদি।।
– আমু আয়মানকে দেখে যেন তার রাগ সপ্তম আসমানে।। কারন আজ তার জন্য তার বাবা মার এতো বছরে সম্মান মাটিতে মিশে গেল।। তার মেয়েকে একজন কল গার্ল বলে আখ্যাত করানো হয়েছে।। আমু তার রাগ কন্ট্রোল না করতে পেরে আবার সবার সামনে থাপর মেরে দেয়।।।
– আমুর এমন কাজে আয়মান তার হাতের মুঠো শক্ত করে দাড়িয়ে আছে।। আর আমু ইচ্ছামতো আজ মন খুলে তাকে ঝাড়তে লাগলো,,
।
চলবে,,