#তুই__আমার
#লেখাঃ সাফিয়া_জান্নাত_মুন
#পর্ব ১৬
———
কাব্য মেঘার দিকে এগিয়ে আসছে আর গাড়ি টা মেঘার দিকে।
কাব্য কে ওভার টেক করে গাড়ি টা দ্রুত গতিতে এগিয়ে এসে ঠিক মেঘার সামনে দারালো মেঘা ভ্যাবাচেকা খেয়ে পিছুয়ে যেতে কিছুই লোক মেঘা কে টেনে গাড়িতে তুললো এতো লোকের সাথে স্বাভাবিক ভাবে মেঘা শক্তিতে পেড়ে উঠবে না।
মেঘার মুখ কেউ একজন শক্ত করে চেপে ধরেছে
মেঘা এক ধ্যনে কাব্যর দিকে তাকিয়ে আছে কাব্য দৌড় আসছে তার দিকে কিন্তু কাব্য পৌঁছনোর আগে লোক গুলো মেঘাকে তুলে নিয়ে চলে গেলো।
কাব্য গাড়িটার পিছে ছুটে চলেছে আর মেঘা কাব্যর দিকে তাকিয়ে আছে। কাব্য এর থেকে গাড়িটা অনেক দূরে চলে যেতে সে বুঝে গেলো সে আর পেড়ে উঠবে না কাব্য দৌড়ে তার গাড়ির কাছে গেলো সেখান থেকে গাড়ি টা নিয়ে আসতে আগের গাড়ি টা অনেক দূর প্রায় নাগালের বাহিরে চলে গেছে। কাব্য পাগলের মতো গাড়ি চলাচ্ছে কিন্তু কিছুইতেই সেই গাড়ি টাকে ধরতে পারলো না।
কাব্যর পাগল পাগল অবস্থা কোনো কিছুই সে ভেবে পাচ্ছে না। কাব্যর গাড়িস সামনে একটা বাচ্চা আসতে কাব্য গাড়ি টা করে ব্রেক কষলো খুব স্পিডে আসায় কাব্যর মাথা স্ট্রিং এর সাথে লাগলো। বেশখানি কেটে রক্ত টপটপ করে পড়তে লাগলো।
কাব্য স্থির হয়ে বসে রইলো আশেপাশে মানুষ অনেক মন্তব্য অনেক কথা বলছে কিন্তু কাব্যর কোনো কথায় কানে আসছে না তার মাথায় শুধু ভাসছে মেঘার কথা।
সে মেঘা কে কি বাঁচাতে পারবে? কে বা কারা মেঘার ক্ষতি করতে চায় সব বের করতে হবে কাব্য কে সব সব।
কাব্য নিজের মাথা টা ঠাণ্ডা করলো আর ভাবতে লাগলো কি করা যায়।
কাব্য নিজের ফোন টা হাতে নিয়ে রনিকে ফোন দিলো।
!
!
!
!
এই লোকটা সেইদিন অনুষ্ঠানের ক্যান্ডেলা টা লাগয়েছিলো ভাই।
রনি কথায় কাব্য লোকটার দিকে তাকালো। কাব্যর চোখ মুখে স্পষ্ট রাগ। কপালের কিছুইটা অংশ কেটে গেছে তাতে রক্ত জমাট বেধে আছে।
কাব্যকে দেখে লোকটা রীতিমতো ভয়ে থরথর কাঁপছে।
কাব্য রনির হাত থেকে রিভেলবার টা বের করে লোকটির কপালে থাক করলো,,
দেখ তুই যদি সত্য টা বলিস তো বেঁচে যাবি আর যদি না বলিস তো তোর কোনো দরকার আমার নেই যখন দরকার নেই তো তুই বেঁচে থেকে কি করবি।
তাই সোজা সোজা বল?
আমি কিছুই জানি না ভাই আমায় ছেরে দেন ভাই। (লোকটি)
আমি লাস্টবারের মতো বলবো তুই ভেবে দেখে।
লোকটি কাব্যর কথায় ভয় পেয়ে বললো বলছি বলছি।
কাব্য উদ্বেগজনক ভাবে সবটা শুনলো। রাগে জ্বলজ্বল করছে কাব্য হাত দিয়ে কিছুই একটা ইশরা করতে রনি মাথা নারিয়ে হ্যা সূচক জবাব দিলো।
রনি কাউকে উঠানোর জন্য ফোনে তার লোকদের সাথে কথা বলছে।
আধা ঘণ্টা পর _________
রনি একটা লোককে ধরে নিয়ে এসে কাব্যর সামনে হাজির করলো, তাকে হাত পা বেধে রাখা হয়েছে।
কাব্য চিৎকার করে বললো
তোর সাহস কি করে হয়?? আমার মেঘাকে মারতে চাস।
আমি জানতাম না ভাই সে আপনার বউ আর আপনি এতো পাওয়ার ফুল লোক আমায় ছারে দিন।
তুই কেনো মেঘা কে মারতে চেয়েছিস??
আমি তাকে মারতে চাইনি আপনি জানেন এই জাহিদ টাকার জন্য খুন করে।
তোকে কে টাকা দিয়েছিলো মেঘাকে মারার জন্য??
একজন মহিলা আমায় ফোন দিয়ে মেঘা কে মারার কন্টাক্ট টা দিয়েছিলো আর সে ফোনে টাকা পাঠিয়েছিলো।
তোর ফোনে ওই মহিলার নাম্বার আছে?
জ্বী ভাই।
আমায় দেখা.
জাহিদের ফোনে কাব্য নাম্বার টা দেখে আর কিছুই বলতে পারছে না তার হাত হালকা হালকা কাঁপতে শুরু করলো।
কাব্য দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।
কাব্য গাড়ি খুব স্পিডে চালিয়ে বাসায় আসলো।
বাসায় এসে কাব্য সোজা উপরে চলে গেলো আর কাপা কাপা পায়ে
তার বাবার রুমে গেলো।
মিসেস পুতুল চৌধুরী নিজের আলমারিতে শাড়ী গহনা গুচ্ছিয়ে রাখছিলেন।
কাব্য কে দরজায় দারিয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে এসে বললেন,
কাব্য তোর মাথায় কি হয়েছে??
মা
হ্যা বল কি হয়েছে??
মেঘা কই মা??
মেঘা কই আমি কিভাবে বলবো??
মা জাহিদ কে??
কাব্যর কথায় রীতিমতো পুতুল চৌধুরী ঘামতে লাগলো।
কাব্য শান্ত গলায় বললো,, মেঘা তোমার কি ক্ষতি করেছে মা??
পুতুল চৌধুরী হাউমাউ করে কান্না করে উঠলো,
বিছানায় বসে বিছানার চাঁদর খামচে ধরে বললো,
মেঘার মা কে আমি পছন্দ করতাম না আর তার মেয়ে মেঘাকে আমার একদম সহ্য হয়নি। যখন দেখলাম মেঘার জন্য তোর বাবা আমার কথা শুনছেন না তখন মেঘার প্রতি আমার ঘৃনার মাত্রা বেরো গেলো মেঘার মতো মেয়ে আমার বাড়ির বউ হবে এটা ভাবতে আমি মেনে নিতে পারিনি ওকে ও আমার স্বামী আমার ছেলে সব কিছুই কেড়ে নিতে চাইতে তা চোখের সামনে দেখে আমি কিভাবে মেনে নেই।
আমায় মা বললো তুই রাস্তা থেকে কাঁটা তুলে ফেলে দে। তখন আমি ভাবলাম কাটা কে দুনিয়া থেকে বিদায় করতে হবে তাই প্রথমে আমি জাহিদ কে ফোন দিয়ে মেঘাকে মারার কন্টাক্ট দেই ও যখন মেঘাকে মারতে ব্যাথ হয় তখন আমি নিজে ওর দুধে বিষ মিশিয়ে দেই তখন ও তুই কে বাঁচিয়ে নিস ওর প্রতি আমার রাগ বেশি বেড়ে যায় ওই মেয়েটাকে তুই বিয়ে করার পর আমার উপর চিৎকার করেছিস আমায় ভুল বুঝেছি তার জন্য ওকে আবার মারতে চাই ফ্রিজের মেইন তারে টা হালকা কেটে দেই।
কিন্তু যখন দেখলাম মেঘার কিছুই করতে যেয়ে তোর ক্ষতি হচ্ছে আমি আর কিছুই করিনি বিশ্বাস কর কাব্য।
কাব্য তাচ্ছিল্য হাসি হেসে বললো, মা তুমি কখনো মা হয়ে উঠতে পারলে না। আমার ভাবতে ঘৃণা হচ্ছে যে তুমি আমার মা তোমার পেট থেকে আমার জন্ম।
বলে কাব্য বললো অফিসার,
দুইজন পুলিশ ইনেস্পেক্টার আর দুইজন লেডি কন্সটেবল রুমে ঢুকলেন।
মিসেস পুতুল চৌধুরী অবাক হয়ে কাব্যর দিকে তাকালো কাব্য সেইদিকে ভ্রু ক্ষেপ না করে বললো,
অফিসার এতক্ষণ আপনারা সব রেকর্ড করে নিয়েছেন তো?? এনাকে প্লিজ নিয়ে যান আমার চোখের সামনে থেকে নিয়ে যান।
পুলিশ পুতুল চৌধুরী কে নিয়ে গেলো।
বাড়ির সবাই অবাক সব কিছুই জানার পর আয়েশা বেগম মাথা নিচু করে কিছুই বলছেন না আর নানী লেজ গুটিয়ে আগেই পালিয়েছে।
!
!
!
কাব্য ভাবতে ভাবতে বাহিরে আসলো কে এখন মেঘা কে কিন্ডন্যাপ করতে পারে মায়ের উদ্দেশ্য ছিলো মেঘা কে মেরে ফেলা মা ওকে কিন্ডন্যাপ করবে না তাহলে কে??
!
!
এসব ভাবতে ভাবতে কাব্য নিজের গাড়িটার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো
কেউ একজন কাব্যর মাথায় পিছোন দিক থেকে বাড়ি মারলো। কাব্য অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো।
!
!
!
!
মেঘার হাত পা চেয়ারের হাতলের সাথে বেধে রাখা হয়েছে মেঘার মুখ টা শক্ত করে বাধা।
মেঘার সামনে টেবিলে কিছুই পেপার রাখা আছে।
একজন মোটাসোটা টাইপের বেটো লোক মেঘার মাথায় বন্ধুক তাক করে আছে আর বলছে কাগজ টায় সাইন করার জন্য,,,,,
চলবে______________
[ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ]