আপনিময়?তুমি Part-03

0
2244

#আপনিময়?তুমি [ An unexpected crazy love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Meherjan ]
Part: 03…….

এবার আনহা সহ্য করতে পারে না। ধম বন্ধ হয়ে আসছে আনহার। তাই খুব জোরে চিতকার করে উঠে। পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে। আশেপাশের দেখতেই দেখে ও ইহানের রুমে বেডের উপর শুয়ে আছে। কিন্তু ও তো দোলনায়….. তাহলে কি ইহান …. কিন্তু কই ইহান…. আনহা

আনহা গিয়ে লাইট জালাতে দেখে ইহান সোফায় শুয়ে আছে। আর কানে হেডফোন লাগানো…

আনহা: ওও তারমানে এইজন্য ও আমার চিতকার শোনেনি যাক ভালোই হলো। নাইলে ওকে কি বলতাম। কিন্তু এটা যদি আবার হয় তবে……

তখনি আনহার নিজের দিকে চোখ যায় ওর শরীরে কোনো অনামেন্ট নেই। শুধু শাড়িটা রয়েছে। কিন্তু তাহলে গহনাগুলো গেলো কই। কে খুলল। আনহা তো খুলেনি তাহলে কি ইহান….

আয়নার সামনে দাড়াতেই কেপে উঠে আনহা। বরাবরের মতই হয়েছে কয়েকটা জায়গা লাল হয়ে গেছে আনহার। এর আগে অনেকবার হয়েছে কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না। এখানে তো ইহান আছে তাহলে কিভাবে হল বুঝতে পারছে না। কারন ঘুমের ঘোরে বা অন্যকোনো কারনে বিগত ৪ বছর যাবত এটা হয়ে আসছে। কিন্তু এতটা কখনো হয়নি আনহার সাথে…..

আনহার এবার খুব ভয় লাগে…..

আনহা: ইহান…. ইহান…..[ আলত সুরে হালকা ধাক্কে ইহানকে ডাকতে থাকে ]

ইহান: কি হয়েছে আপনার এভাবে আমাকে ডাকছেন কেন…..??? তাও এত রাতে….

আনহা: তুমি….

ইহান: হুমম আপনার অনামেন্ট গুলো আমি খুলেছি। আসলে আপনার ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছিল তাই……

আনহা: আসলে আমি বলতে চাচ্ছি তুমি কি আমার সাথে থাকবে…

ইহান: মানে… [ অবাক হয়ে ] আপনি তো বললেন আমাকে নিয়ে সংসার করবেন না
তাহলে.

আনহা: সালার স্টুডেন্ট এর বাচ্চা পড়া বুঝাইতাছি নাকি তুই সমাজ আর বিজ্ঞানের পার্থক্য বুঝোস না। এখন এটাও বুঝামু আমার ভয় করতাসে…. তাই বলছি…..

ইহান: থাক আর বুঝাতে হবে না। আমি যথেষ্ট ভালো স্টুডেন্ট অল্প কথায় বুঝি। চলুন…..

আনহা: গাধা একটা….. সে নাকি ভালো স্টুডেন্ট…..

ইহান: আচ্ছা চলুন…[ তোমার সাথে কথা বলাই বেকার ]

তারপর আনহা গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল… ইহান বিছানায় যেতেই…

আনহা: এই তুই এখানে উঠবি না।

ইহান: তাহলে…

আনহা: ওইযে চেয়ার ওটা এনে আমার এখানে বসে থাক। আমি তোর চিচার আমার কথা তোকে শুনতে হবে…..

ইহান: হুমম… [ বাকা হেশে ]

তারপর আনহা ঘুমিয়ে পরে। আর ইহান ওর মাথার পাশে বসে ওর চুলে বিলি কেটে আনহার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।

ইহান: এই দিনটার জন্য আমি কত বছর অপেক্ষা করেছি। আমি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি শুধু আপনার সাথে এই দিনটা ভেবেছি আনহা…. এভাবে আমার রুমে আপনাকে বউ বেশে আমার এতটা কাছে দেখতে পাবো এইটাই একটা স্বপ্ন আমার জন্য। আর সেইটা আপনি সত্যি করে দিলেন….. আমার #আপনিময়?তুমি….
হয়ে…. i love u anha… ভালোবাসি আপনাকে…….খুব বেশি……. [ বাকিটা রাত আনহাকে দেখতে দেখতে কাটিয়ে দেয় ]

,
,
,
,
,
,
,

,সকালে….

ইহান: আনহা… আনহা…. আনহা শুনছেন আপনি…. [ আলত ভাবে আনহাকে ধাক্কা দেয় ]

[ ধড়ফড় করে ঘুম থেকে উঠে…

আনহা: এই কি হয়েছে মা..??? ??

ইহান: মা না স্টুডেন্ট আপনার।

আনহা: ওই কি হইছে সকাল সকাল গাধার মত ডাকিস কেন??? ???

ইহান: মানে….

আনহা: সরি ওটা মোরগ হবে….

ইহান: ওওও… [ মুচকি হেশে ] আচ্ছা চলুন…

আনহা চারপাশে তাকিয়ে দেখে অন্ধকার হয়ে রয়েছে। ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখে কেবল ৫টা বাজে….

আনহা: আচ্ছা এই এখন আমি উঠে কি করব..

ইহান: নামাজ পরবেন…

আনহা: ওওও…

ইহান: চলুন….

আনহা:..…..

ইহান: আচ্ছা আপনি নিজেকে আমার টিচার বলেন। অথচ আপনার স্টুডেন্ট আপনাকে নামাজ পরতে বলছে আর আপনি অজুহাত দ্রখাচ্ছেন৷ টিচারকে দেখে স্টুডেন্ট শিখে। আমি আপনাকে দেখে……

আনহা: থাক বুঝতে পেরেছি। আর জল ঘোলা করে লাভ নেই। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি……

ইহান: আচ্ছা……

আনহা: হায় আল্লাহ সবাই টিচার বিয়ে করে না সারাজিবন স্টুডেন্ট হয়ে থাকতে হয়। আর আমি স্টুডেন্ট বিয়ে করে ???

ইহান: আপনাকে কোন কথায় কি করাতে হয় আমি ভালো করেই জানি… [ বাকা হেশে ] আপনাকে এবার গাধা থেকে আমি মানুষ বানাব….

তারপর আনহা ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে ইহান তৈরি হয়ে বসে আসে…..

আনহা: তুই থাকলে কিভাবে নামাজ পরব। ছেলে মেয়ে থাকলে নামাজ হয় নাকি।

ইহান: আমি আপনার হাসবেন্ড তাই একসাথে হলে সমস্যা নেই….

আনহা: লাইফটাই তেজপাতা ???

তারপর ওরা দুজন একসাথে নামাজ পরে নেয়। শেষে ইহান কুরআন তিলাওয়াত করে আনহা তা শুনতে শুনতে ওখানেই ঘুমিয়ে যায়। এটা দেখে ইহান আনহার কপালে চুমো একে দেয়……৷

তারপর আবার ডাকে…. এবার আনহা উঠে কেদেই দেয়… ???

আনহা: আমি খেলমু না..

ইহান: এখন খেলতে হবে না। আমরা অন্যদিন থেকে খেলব। আজ অনেক কাজ…

আনহা: মানে…

ইহান: ব্যাডমিন্টন আপনার প্রিয় খেলা…

আনহা: এই সত্যি তুই খেলবি???

ইহান: হুমম যদি আপনি নাস্তা বানান তো…

আনহা: সে না হয় বানালাম কিন্তু…..

ইহান: হুমম….

আনহা: Yeahhhh… তুই যা আমি আসছি. [ বলে রান্না ঘরে চলে গেল ]

তারপর নিজে হাতে ইহানের পছন্দের খাবার পাও-ভাজি বানালো… যদিও নিজের জন্যই বেশি…

ইহান খাবার নিয়ে বসে আছে ওদিকে আনহা নিজের মত খাচ্ছে….

আনহা: কিরে খা….

ইহান: ভালো লাগছে না।

আনহা: এই ছেলেটা সবসময় খাওয়া নিয়ে বায়না। আচ্ছা আমি খাইয়ে দি….

ইহান: কিন্তু….

আনহা: রাখ তোর কিন্তু….

[ তারপর ছোটবেলার মত আনহা ওকে খাইয়ে দিতে থাকে। আর ইহান ওকে দেখতে থাকে। ]

ইহান: [ এইজন্যই চাই আমি আপনাকে আনহা। ]

আনহা: পিচ্চি বর হলে যা হয়। কই ভাবতাম বর আমাকে খাওয়াবে তানা বরকে খাওয়াতে হচ্ছে……[ খাইয়ে চলে যায় ]

ইহান: এখন আমাকে খাওয়ান পরে আমি খাইয়ে দেব… [ বাকা হেশে ] ইসসস স্কুলের সেইদিন গুলো যদি শেষ না হত আনহা… সারাজীবন যদি আপনি ওভাবেই আমার সাথে থাকতেন তবে এসব কিছুই হত না…. [ এসব ভেবে ইহান অতীতে ডুবে যায় ]

,
,
,
,

,

,
,
,

, অতিতে……..

আনহার সাথে পরিচয় হবার পর আনহা ইহানের রুটিনে পরিনত হয়। যাকে ছাড়া ইহানের দিন ছিলোই না……. শুধু শুক্রবার ছাড়া

শুক্রবার স্কুল বন্ধ…. শনিবার স্কুলে গিয়ে..

আনহা: কিরে পিচ্চি কেমন আছিস…..

ইহান মাথা নেড়ে হ্যা বলল।

আনহা: চল তাইলে…

তারপর আনহা ইহানকে নিয়ে ফুচকা খেতে যায়। আনহা ঝাল পছন্দ করে তাই বেশি করে ঝাল দিয়ে ফুচকা নেয়। কিন্তু ইহান যে ঝাল খেতে পারে না তা ওর মাথায় আসে না
ইহান একটা ফুচকা খেয়ে ঝালে হাপাতে থাকে ছোট্ট একটা মানুষ কতটুকু ঝাল খেতে পারে।

আনহা: কি হয়েছে তোর পিচ্চি…..???

অন্তি: বোধহয় ওর ঝাল লেগেছে….

আনহা: ঝাল লেগেছে???

মাথা নাড়াইয়ে হা বলে…

আনহা: এই নে পানি খা [ পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে ]

ইহান ডকডক করে সব পানি খেয়ে নিল। ওখানে আনহার ক্লাসের অনেকে ছিল। আনহা সবার সাথে মিশে তাই সবাই ওকে পছন্দ করে। আর ইহান কথা বলতে পারে না এটা আনহা সবাইকে বলেছে…..

আনহা: আহারে বেচারা কথা বলতে পারলে ঝালের কথাও বলত… ???

অন্তি: তাই….

তখনি আনহা কিছু শুনতে পায়।

ইহান: আচ্ছা আপনি এতটা ঝাল কিভাবে খান……

আনহা সহ বাকি সবাই হা…. ????

অন্তি: অর্নি…. এই অর্নি কিছু শুনলি তুই….

আনহা:……….

অন্তি আনহার দিকে তাকাতেই দেখে ও রোবটের মত দাঁড়িয়ে আছে ফুচকার প্লেট হাতে আর মুখে নিয়ে…..

অন্তি: অর্নি……. [ হালকা টাচ করে ]

আনহার হাত থেকে সব ফুচকা পরে যায়। আর মুখ থেকেও… তারপর কাদো কাদো মুখ নিয়ে ইহানের দিকে তাকায়…. ইহান একটু ভয় পেয়ে যায়……

আনহা: অন্তি…. ???

অন্তি: কি????

আনহা: ????? ধোকা….. আমার সাথে ধোকা হয়েছে….. আমি কাউকে ক্ষমা করব না। ???? [ হাত পা ছড়িয়ে কাদতে থাকে…. ]

ইহান: আপনারো কি ঝাল লেগেছে??? [ প্রায় কান্না করে দিয়ে ]

আনহা: নাহহ…. ???

ইহান: তাহলে…..

আনহা: ঝাল লাগেনি Heart টা ব্লক মারতাসে….

ইহান: ডক্টর আংকেলকে ডাকব….

আনহা: থাক ভাই তুই যে মুখ ফুটে বলেছিস তাতেই হবে….???

ইহান ওর কান্না দেখে নিজেই কেদে দেয়…

ইহান: কি হয়েছে আপনার কাদছেন কেন???

আনহা: আচ্ছা কয়েকমাস ধরে তুই আমার সাথে ছিলি কিন্তু কথা বলতি না কেন???

ইহান: আপনি তো কিছু জিজ্ঞেস করেননি। তাই আমিও কিছু বলেনি…. আজ জিজ্ঞেস করলেন তাই…..

এবার ওর কথা শুনে আনহা বুকে হাত দেয়।

আনহা: অন্তি বইন পানি দে….. পানি দে…. দয়া করে একটু পানি দে…..

অন্তি আনহাকে পানি দেয়। আনহা পুরো পানিটা খেয়ে নেয়। এবার রেগে ইহানের দিকে তাকায়…. ইহান ভয়ে চুপসে গেছে….

আনহা: ওই আইনস্টাইনের বংশধর…. আমি জিজ্ঞেস করিনি বলে তুই কথা বলিস নাই…. ???

ইহান: আনুস্টান আংকেলকে আমি চিনি না। বাপি অনার কথা আমাকে বলেনি???[ ভ্যা ভ্যা করে কেদে দেয় ]

আনহা: ভাই তুই থাম . … তুই যা। অন্তি ওকে ওর গাড়িতে দিয়ে আয় নাইলে আমি কিন্তু আর বাঁঁচমু না। ???

ইহান: আপনি….

আনহা: তুই যাবি…. ???

[ তারপর অন্তি আনহার কথায় ইহানে গাড়িতে দিয়ে আসে। আর ইহানের অবুঝের মত চলে যায়। ও বুঝতেই পারে না আনহা রাগ করল কেন???

অন্তি: তুই ২- ৩ মাস ওর সাথে কথা বললি আর ও কথা বলতে পারে কিনা জানিস না। ???

আনহা: বলিস না দোস্ত বলিস না। [ বুকে হাত দিয়ে ] আমার মাথা ঘুরছে। এরকম ছেলেও হয় তাইলে… আইনস্টাইনের ওই কাহিনি মনে আছে…..

অন্তি: কোনটা…..

আনহা: ওইযে…..

আইনস্টাইন ছোটবেলায় তুলনামূলকভাবে অনেক দেরিতে কথা বলতে শেখেন। তাঁর বাবা মা এ ব্যাপারে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। একদিন রাতে খাবার টেবিলে বসে সকলে খাচ্ছেন, এমন সময় বালক আইনস্টাইন চিৎকার করে বললেন, ‘এই স্যুপটা বড্ড গরম।’
তাঁর বাবা-মা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ছেলের মুখে প্রথম কথা শুনে বাবা-মা বেশ অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগে তুমি কথা বলো নি কেন?’
উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ এর আগে তো সব ঠিকই ছিল। স্যুপ কখনো গরম ছিল না।’

অন্তি: তুই যেরকম তুই জানিস ও সেরকম গল্প…. ????

আনহা: অন্তি….. [ গাল ফুলিয়ে ]

অন্তি: তা নয়ত কি??? তুই ভাব তুই একটা এলিয়েন, পরিস ও এলিয়েনদের জিবনী, আর তোর কপালে জুটেছে একটা এলিয়েন????

আনহা: জুটেছে মানে ওকে কি আমি বিয়ে করছি নাকি….

অন্তি: করতেও পারিস কে বলতে পারে???

আনহা: চুপ করবি তুই খালি বাজে কথা???

অন্তি: তো কি বলব বল?? তুই তো এখনও ওই ছেলেটার জানিস না । কি নাম ওর??? অথচ ওর সাথেই থাকিস…..

আনহা: ধুর চল…..
,
,
,,
,
,
,
,
,
,
,পরেরদিন স্কুলে টিফিন টাইমে…. আনহা একটা রাগী মুড নিয়ে ইহানের কাছে যায়….

ইহান: আপনি কি আমার উপর রেগে আছে???

আনহা: নারে পিচ্চি রেগে নেই। যাই হোক তোর নামটা কি বলত….

ইহান: আমার নাম ইহান আহমেদ অয়ন। সবাই অয়ন বলে….

আনহা: আমি ইহান বলেই ডাকব ওইটাই সুন্দর লাগে…

ইহান: আপনার নাম.….

আনহা: আমি আনহা মাহমুদ অর্নি… অর্নি বলে ডাকে৷৷

ইহান: ও- ও ওননি…..

আনহা: অর্নি.……

ইহান: আপনার এই নামটা ভালো না। আমি আপনাকে আনহা বলে ডাকি …ওইটা ভালো লাগে… ইহান আর আনহা???। আমাদের নামে মিল আছে… তাই না।

আনহা: আচ্ছা। ???। ওই দারা নাম বলবি মানে আমাকে আপু বলবি। বড় না তোর আমি???

ইহান: আপনি তো আমার বোন নন…

আনহা: আমি তোর বড় তাই….

ইহান: কিন্তু আপনি তো বোন নন…

আনহা: আরে জালা বলবি….

ইহান: কিন্তু আপনি তো…..

আনহা: বুঝছি তোর বোন না… তোর যা মন চায় ডাকিস……

ইহান: কিন্তু ডাকব কি???

আনহা: তুই কিন্তু. … ??? আচ্ছা তোর যা ইচ্ছে….

ইহান: আমি আপনাকে শুধু আপনি বলে ডাকব..…

আনহা: যদিও কেমন জেনো তবুও ডাকিস…… তা পরিস কোন ক্লাসে….

ইহান: ক্লাস 2…

আনহা: দেখে তো মনে হয় না। বয়স কত???

ইহান: আমি জানি না… আম্মু বলেছে ৭…

আনহা: বুঝছি বয়স মতে বারিস নি। আম্মুকে বলবি কমপ্লেন খাওয়াতে….

ইহান: আচ্ছা….. [ মাথা নিচু করে ] আপনি কোন ক্লাস….

আনহা: class 7…..আচ্ছা যাই…. টিফিন শেষ……,
,
,

এভাবেই আরো কতগুলো দিন কেটে যায়।

হঠাৎ একদিন স্কুলে আসলে আনহার মাথা ঘুরে যায়। কারন ওর ক্লাসের একটা ছেলে আনহাকে প্রপোজ করে…. তাও আবার ইহানের সামনে…..

আনহা কিছু বলতে যাবে তখনি….
?????????????,
,