#আপনিময়?তুমি [ An unexpected crazy love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Meher ]
Part:05……
ইহান: আপনি শুধু আমার আনহা। জানেন সেই ছোটবেলা থেকে পাগল ছিলাম কিন্তু তখন ফিলিংটা বুঝতে পারিনি। কিন্তু আপনি যখন আমাকে ছেড়ে গেলেন। আমি আপনাকে ভোলার বদলে আপনাকে আকড়ে ধরে বাচতে চেয়েছি। যা করেছি সবটা আপনার জন্য আনহা….. আমি যে আপনাকে পাগলের মত চাই….. কিন্তু আপনি তা কোনোদিন বুঝতে পারেনি। তাই আমি আপনাকেই কারো কাছে আসতে দিতে চাইনি……
যদিও আপনি এটা গ্রহন করবেন না। কিন্তু আমার কিছু করার নেই আমি বাধ্য….,
,
,
,
,
,আনহা কাজ শেষ করে গোসল করে এসে আয়নার সামনে নিজের শাড়ি ঠিক করেছিল। যদিও আনহা শাড়ি পরতে চায়নি কারন ও পারে না। কিন্তু শাড়ি ছাড়া কিছু খুজেও পেল না তাই বাধ্য হয়ে ওঠাই পড়ল।কিন্তু শাড়ির আগা মাথা কিছুই বুঝছে না
তখনি ইহান আসে…. আনহাকে এভাবে দেখে ইহানের মাথাটাই ব্লক করে….. তখনি আনহার চোখ ইহানের দিকে যায়…..
আনহা: এই তোর মাথায় কমন ন্সেস নেই ঘরে ডুকতে দরজা নক করতে হয়???
ইহান: আজব তো আমার ঘরে আমি এসেছি। আমার মাথায় এইটুকু ন্সেস ঘর আমার তাই আসতেই পারি। কিন্তু আপনার নেই যে ড্রেস ঠিক করার সময় দরজা লক করতে হয়…..
আনহা: ইয়ে…. মানে….
ইহান: থাক আর বলতে হবেনা। আপনি পড়ুন ….
আনহা: পড়ুন মানে??? তোর সামনে পরমু নাকি…
ইহান: সেটা জানিনা কিন্তু আমি আমার রুম থেকে যাচ্ছি না। [ বিছানায় শুয়ে পরে ]
আনহা বাধ্য হয়ে বাথরুমে গেল। এটা দেখে ইহান একটু হেশে টিভি অন করে দেখতে থাকে…..
৩০ মিনিট পর……. আনহা বেড়িয়ে আসে।কিন্তু শাড়ি কই প্রথম যেভাবে পড়েছিল তার চেয়ে খারাপ অবস্থা আর আনহা ঘেমে একসাথ…… ইহান জানত এটাই হবে। কিন্তু আনহা এতটা চেষ্টা করবে জানত না। আনহা ইহানের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
ইহান: হেল্প লাগবে… [ গম্ভীর গলায় ]
আনহা: হুমম…..
ইহান বাকা হেশে আনহার কাছে গিয়ে শাড়ি ঠিক করে দেয়…..
আনহা: কি ব্যাপার বলত ভার্রসিটির প্রোগ্রামে তো শাড়ি ঠিক করতে ১ ঘন্টা লেগেছিল কিন্তু আজ কিহল???
ইহান: আমি ভালো স্টুডেন্ট তো…. সেদিন আপনার শাড়ি ঠিক করার হেল্প করতে যাওয়ার পর ইউটিউব দেখে শিখে নিয়েছি….
আনহা: কেনো??
ইহান: যাতে ভবিষ্যতে প্রব্লেম না হয়। মানে ভবিষ্যতে কোনো মেয়ে হেল্প চাইলে হেল্প করতে পারি….. ???
আনহা: মানে… আমার সাথে মশকরা হচ্ছে টিচারের সাথে…..
ইহান তখনি আনহার আচলটা জড়িয়ে কাছে নিয়ে আচলে একটা প্যাচ দিয়ে বলে….
ইহান: আপনি এখন তো আমার বউ তাহলে আপনার সাথে মশকরা না করে কার সাথে করব…..
,
আনহা: আল্লাহ….. ??? ওই তুই ধুর হো…. [ ইহানের কাছ থেকে সরে ] সালা পোলা তো পোলাই হয় সেটা যেই হোক… ?? আর এসব শাড়ি পরাইয়া হেল্প করার আইডিয়া বাদ দে….
ইহান: দেখা যাক…. [ তখনি জানতাম ভবিষ্যতে আমার শাড়ি পরার নিয়মটা কাজে লাগবে। তাই শিখে নিয়েছি। কারন আপনি ভার্রসিটিতে যা করেছিলেন তারপর আপনাকে শেখানোর চেয়ে নিজে শেখাটা বেশি বেটার মনে হয়েছে…. ]
….
তখনি ইহানের চোখ আনহার আধ ভেজা চুলে আটকে যায়। আনহা চুল আচরাচ্ছিল। ইহান গিয়ে একদম আনহার গা গেশে দাঁড়ায় আনহার চুলের ঘ্রান ওর নাকে আসে….
আনহা: এই ছেলেটার হয় কি….. ওই কি করছিস তুই….
ইহান: আপনার চুল থেকে সুন্দর ঘ্রান আসছে…. তাই…
আনহা ভ্রু কুচকে তাকায়….
আনহা: এটা চুলের না শ্যাম্পুর ঘ্রান….
ইহান: ইয়ে মানে… [ মাথা চুলকে ] আচ্ছা কি শ্যাম্পু….
আনহা: যেটা তুই দিস। মানে তোর টাই ইউস করেছি। আমারটা খুজে পাইনি…. [ একটু সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে ]
ইহান: ওওও আচ্ছা [ আর একটি মিনিট ওয়েট করল না বেড়িয়ে এলো রুম থেকে যেন বাঘের গুহা থেকে বেড়ল ]
,
,,,
,
,
,
,কিছুক্ষন পর আবার ইহান রুমে যায়…. আনহা টিভি দেখছিল টিভিতে স্কুল নিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছিল…..
আনহা: আসলেই তুই ছোটবেলায় অনেক ভদ্র ছিলি এখন কেমন হয়ে গেছিস… কেমন কেমন কথা কস…..
ইহান:…… [ আর আপনি দিন দিন আরো বেশি অবুঝ হচ্ছেন। নাহলে এটা বুঝতে পারছেন না আমি এখন আপনার হাসবেন্ড। কিন্তু আপনার কাছে এখনো সেই স্টুডেন্ট…. নিজের বউয়ের সাথেই মজা করেছি অন্য মেয়ের সাথে তো করিনি খারাপ কি??? ]
আনহা: কিরে কি ভাবছিস…???
ইহান: ভাবছি কি ভাবে কিভাবে আমি আপনার স্টুডেন্ট হয়ে গেলাম তাইনা আনহা…..
আনহা: সে আর বলতে????……
,
,
,
,
,
,
,
,
,
অতিতে……………
আনহা ৮ম শ্রেনিতে আর ইহান ৩য় শ্রেনিতে উঠার পর আনহার পরার চাপ প্রচুর বেড়ে যায়। কিন্তু ইহান দিন দিন পড়ালেখার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছিল। শুধু আনহার জন্য বায়না করত। আনহা যেন ওর দরকারী কোনো জিনিস যা ছাড়া ও থাকতে পারে না। আর ইহানের বাবা-মা চেয়েও ইহানকে নিজেদের কথা শোনাতে পারেনি। কারন ততদিনে তাদের শান্ত শিষ্ট ছেলেটা অনেকটা জেদি হয়ে উঠেছিল। ও শুধু আনহা ছাড়া কিছুই বুঝত না। ইহান ওর প্রাইভেট টিউটরের কাছে পরতে চাইতো না। তাই বাধ্য হয়েই ছেলের এই অবস্তা দেখে ওর মা-বাবা আনহাকে ডেকে পাঠায়।
আনহাকে ইহানের বাড়িতে ডেকে পাঠালে স্কুল থেকে আনহাকে ইহানের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। কারন সেই স্কুলের ট্রাস্টি ইহানের বাবা……..
আনহা ইহানের বাড়িতে আসে। বাড়িটা বেশ বড় আর গোছানো। এরকম বাড়ি হয়ত আনহা আগে দেখেনি…… তাই চোখ বুলিয়ে চারপাশটা দেখে নেয়।
আনহা: বাহহহ আমার পিচ্চিটা এই বাড়িতে থাকে…. আর ও কিনা আমার বাড়ি যেতে চায়…. ??? আমার এরকম বাড়ি থাকলে সারাদিন ঘরে বসেই ব্যাডমিন্টন খেলতাম???
তখনি সিড়ি দিয়ে কাউকে নামতে দেখে….. হ্যা একজন মহিলা নামছে। দেখতে বেশ সুন্দরী, স্টাইলিশ আর একটু রাগী বলে মনে হল আনহার কাছে। কেন জানি মহিলাটাকে দেখে আনহার ”’আলিফ লায়লার”‘ মালেকা হামিদা বলে মনে হল। যে তার তালিব থেকে তায়েবাকে আলাদা করতে চায়। কিন্তু কেন মনে হচ্ছে বুঝতে পারছে না আনহা…… ও বেশ ভয় পায়…… ওনাকে দেখে সোফায় বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায় আনহা…..
মহিলাটা এসে আনহাকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। তারপর মহিলাটা পায়ের উপর পা তুলে সোফায় বসে। টেবিলে থাকা গ্রিন টির কাপে একটা সিপ বলল…..
মহিলা: তুমি তারমানে আনহা….. [ চায়ের কাপ রেখে মোবাইল হাতে নিয়ে ]
আনহা: জি…. [ মাথা নাড়িয়ে ]
মহিলা: বসো…..
আনহা কিছু না বলে বসে পড়ে। কারন ওর অনেক ভয় লাগছিল.…..
মহিলা:তুমি জান আমি কে???
আনহা মাথা নেড়ে না বলল….
মহিলা: আমি ইহানের মা….
আনহা:…… [ ভয়ে চুপসে গেছে ]
মা: জানত আমি কোনদিন ইহানকে কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলতে দেখিনি। তুমি একমাত্র যার সাথে ও মিশে। শুধু মিশে না আনহা বলতে ও পাগল…..[ ভারী কন্ঠে ]
আনহা:……..
মা: এর কোনো কারন আছে আনহা…. [ বেশ ঝাঝালো কন্ঠে….
আনহা:…… [ কান্না করবে এমন অবস্তা ]
মা: তুমি জান কেন তোমাকে আসতে বলেছি…..
আনহা: না.হহ..হহহহ [ মাথা নিচু করে ]
তখনি ইহান আসে….. আনহাকে দেখে এসেই আনহাকে জড়িয়ে ধরে। আনহার পেট পর্যন্ত পরে ইহান……
ইহান: আপনি এসেছেন আনহা। আমি আপনাকে আর যেতে দিব না। আপনাকে আমার কাছে রেখে দেব…. ইয়েয়ে…..
আনহা: ইহান থামো। ওনার সাথে কথা বলছি…. [ ইহানকে থামিয়ে ]
মা: ভালোই কন্ট্রোল করতে শিখেছ ওকে.. যাই হোক তোমার জন্য একটা জব অফার আছে……
আনহা: জব মানে….. আমি কি জব করব??? [ বেশ অবাক হয়ে ]
মা: তোমাকে ইহানকে পরাতে হবে। তার জন্য তোমাকে একটা ভারী এমাউন্টও প্রেমেন্ট করা হবে…..
আনহা: কিন্তু আমি…..
মা: আমি জানি তুমি ছোট। আমি আমার ছেলের জন্য বেষ্টটা চাই। ওর জন্য আমি অনেক বেশি এমাউন্ট দিয়ে টিচার রাখা। কিন্তু ওর এক কথা তোমার কাছে ছাড়া পরবে না। যদিও তোমাকে ওর টিচার হিসেবে রাখার ইচ্ছে নাই। কিন্তু ইহানের জিদের কাছে হার মানতে হলো….. এখন তুমি কি বলো…….
আনহা কি বলবে বুঝতে পারছে না।
ইহান: প্লিজ আনহা রাজি হয়ে জান না। প্লিজ প্লিজ….. [ আনহার হাত ধরে ঝাকিয়ে ]
মা: দেখ আমি শুনেছি তুমি স্টুডেন্ট হিসেবে ভালো তাই তোমাকে পরাতে বলছি… তারমানে এই নয় আর কোনো টিচার থাকবে মা। তুমি শুধু ১ ঘন্টা তোমার মত পরাবে। আর স্যাররাই ওকে পরাবে। আমি শুধু ইহানের জিদ রাখার জন্য বলছি……..
আনহা: আচ্ছা…… [ মাথা নেড়ে ]
মা: ওকে…. এর জন্য তোমায় ভালো এমাউন্ট দেওয়া হবে আগেই বলেছি…..
ইহান: Thank you…. আম্মু… [ মাকে জড়িয়ে ধরে ]
মা: আমার ইহান বাবাই যা চেয়েছে তাই দিয়েছি এখন থেকে মাম্মার কথা শুনবে তাই না……
ইহান: ওকে মাম্মাম…….
মা: এইত আমার গুড বয়…. [ ইহানকে চুমু দিয়ে ] আমি আমার ইহানের সব ইচ্ছে পুরন করব। সব দেব যা আমার ইহানের চাই…..
আনহা: তাহলে আমি কি এখন থেকে পরাব।
মা: হুমম…. ইহান যাও তোমার নতুন মিসকে নিজের রুম দেখাও….
ইহান: চলুন আনহা [ আনহাকে টেনে নিয়ে রুমে যায় ]
মা: যাক ছেলেটাকে শান্ত করতে পারলাম। মেয়েটা যদি ওকে শান্ত রাখতে পারে তাহলে আমিও শান্তিতে কাজ করতে পারব…….
,
,
,
,
,,
,,
,
,ইহান: এইটা আমার ঘর…. [ একটা বিশাল রুমে নিয়ে ]
আনহা: এ.… ই পিচ্চি তুই কার সাথে থাকিস???
ইহান: একা একা…
আনহা: আমার ছোট্ট রুমে একা থাকতে পারিনা আর তুই এখানে…. [ চারদিক ঘুরে ]
ইহান: আসুন আগে…… [ তারপর ইহান আনহাকে নিজের সবজিনিস দেখায় ]
আনহা: দেখলি পিচ্চি তোর জন্য আমাকে আজ টিচার হতে হল। সে যাই হোক তাতে কি আমার আর হাত খরচ চাইতে হবে না
[ আনহা একটু বেশি self dependent ]
ইহান: আচ্ছা চলুন…..
আনহা যেতে নিলেই পিছলে পরে যায়….
আনহা: ওমা গেলাম গো….. [ কোমরে হাত দিয়ে ]
এইটা দেখে ইহান হেশে কুটি কুটি……..
ইহান: আপনি আমার চেয়েও ছোট….
আনহা: পিচ্চির বাচ্চা…. তোকে আজকে??? [ উঠতে গিয়ে পরে যায় ]
ইহান: আপনি আমার চেয়েও বেইবি???
আনহা: আমি বেবি নই???
ইহান: তাহলে কি বুড়ি…. ??? আপনি আজ থেকে… বুড়ি……[ আনহার গাল টেনে ]
আনহা: নাহহহ????
ইহান: না আপনি বুড়ি….??? আচ্ছা না আপনি কুকি…… [ বিস্কিটের নাম ] আপনি কুকি…. কুকি কুকি…..
আনহা: নাহহহ????
ইহান: আপনি কি বেইবি নাকি…. তাহলে কাদছেন কেন??? দেখেন আমি বড় তাই কাদি না???
আনহা: ওরে বড় রে এখনো নাক দিয়ে ঠান্ডা লাগলে…. ছ্যা…..
ইহান: দেখুন ঠান্ডা লাগলে সেটা সবার হয় [ কিছুটা লজ্জিত হয়ে ]
আনহা: হয়েছে বড় মানুষ এবার পরতে আসেন।
,
,
,
,,
,
,
,
,
,
এভাবে আনহা হয়ে উঠে ইহানের টিচার। দুজনেই পড়ালেখা করতে থাকে ভালোভাবেই। কিন্তু ইহান কখনো আনহার পড়া পারত না।
আর তাই আনহা ওকে শাস্তি দিত। কখনো কান ধরে দাড় করিয়ে রাখত। বা কখনো কান টেনে দিত। কখনো আবার মারত। কিন্তু ইহানের সবটাই ভালো লাগত। এসব ওর কাছে খেলা মনে হত….
একদিন আনহা ইহানকে প্রচুর মারে কারন ও যা দিয়েছিল কিছুই করেনি। খুব রেগে ছিল আনহা। কিন্তু পড়ানোর শেষে টেবিল থেকে খাতা পরে যায়। আনহা খাতাটা খুলে দেখে আনহা এতোদিন যা দিয়েছে ইহান সব করেছে কিন্তু আনহাকে দেখায়নি। ইহানকে জিজ্ঞেস করেছিল কিন্তু ও সেদিন শুধু হেসেছিল……,
,
,
,
,
,,
,
,,
এভাবেই আনহার হয়ে উঠেছিল ইহানের টিচার। এভাবেই আনহার JSC পরিক্ষা শেষ হয়। বেশ ভালো নম্বর পায়।
এভাবে আরো একবছর চলে যায়। ইহান এখন ক্লাস ফাইভে আর আনহা ক্লাস 10…. কিন্তু তখনি ঘটে বিপত্তি। ইহান আর আনহার জীবন থেকে চলে যাওয়ার সময় আসে……
কারন আনহার বাবার চাকরি ট্রান্সফার হয়ে যায়। যার কারনে ওদের সবকিছু সিফট করতে হয় চট্টগ্রাম…… আর এজন্য আনহার স্কুল সিফট করে ওখানে নিয়ে নেওয়া হয়। আর সবকিছু ওখনেই ঠিক করা হয়।
ইহান এটা শুনে প্রায় পাগল প্রায় হয়ে গিয়েছিল। আর তখন ইহানের বয়স কেবল ১০। আগের চেয়ে বড় হলেও চাইলে কিছু করতে পারেনি সেদিন ইহান…… যাওয়ার দিন…….
ইহান: আনহা প্লিজ যাবেন না। [ আনহাকে জড়িয়ে কান্না করে ]
আনহা: আমিও যেতে চাইনা পিচ্চি কিন্তু কি করব বল। আমি যে নিরুপায়। তাই বাধ্য হয়ে চলে যেতে হচ্ছে.।।।। [ নিজেও কান্না করে ]
ইহান: আমি জানিনা আনহা। আপনি শুধু আমার সাথে থাকবেন…….
আনহা: পারব না রে পিচ্চি….. এইনে এটা তোর জন্য.।।।[ হাতে বানানো একটা বেসলেট দিয়ে ]
ইহান ওটা নেয়……
ইহান: আপনি তার মানে যাবেন আনহা….
আনহা:…….
ইহান: ঠিক আছে…. আর কোনোদিন আসতে হবে না আনহা। আপনি খুব পচা। [ বেসলেট ফেলে দেয় যার জন্য ওটা ভেঙে যায়। তারপর দৌড়ে ইহান চলে যায়। ]
আনহা: ইহান….. [ কিন্তু ফিরল না ]
আনহা: সরি ইহান ভালো থাকিস……
তারপর চলে যায় আনহা…….. ইহানের ছোট্ট দুনিয়ার মায়া কাটিয়ে। তারপর আনহা চেয়েও ইহানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনা। একসময় নতুন পরিবেশ মানুষ সবকিছু পেয়ে আনহা ইহানকে ভুলতে শুরু করে….. ইহানের কথা মনে পরলেও ততটা মিস করত না। মায়াটা কাটিয়ে উঠেছিল কয়েকবছরে…….
আর ইহান……….. আনহা ইহানের সবটা ছিল । আনহা যাওয়ার পর………,
Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr