ব্ল্যাকমেইকার চাচাতো বোন যখন বউ পর্ব-০৩

0
1946

গল্প: ব্ল্যাকমেইকার চাচাতো বোন যখন বউ

লেখক:ইমরান (পিচ্চি)

পর্ব: 03
(২য় পর্বের পর থেকে শুরু)

ধুর আর ভাল্লাগে না।

মোবাইল আর মানি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাজারের উদ্যেশে।

পেটে খুধা তাই ভাল্লাগে না ঢুকে পড়লাম খাবার‌ খেতে।

খাবার খেয়ে বিল দিতে গিয়ে মানি ব্যাগে একাটা কাগজ পেলাম,কাগজে লেখা আছে।

কালো‌ পান্জাবী‌ টা পড়ে আমাকে নিয়ে যা।

আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না এটা নিধির লেখা।

আসতে আসতে দুপুর 2:30 টা বেজে গেছে।

নিধির নানুর বাড়ির সবাই আমাকে চিনে তাই সবার সাথে‌ কুশল বিনিময়‌ করে নিধির কাছে গেলাম গিয়ে দেখি সে তানহা (নিধির মামাতো বোন)‌এর সাথে কথা বলতাছে..

আমি: তানহা কেমন আছো ?

তানহা:ভালো তুমি কেমন আছো ?

আমি:আমিও ভালো আছি..

তারপর নিধিকে বললাম চল বাড়ি চল তোর জন্য আজকে আমাকে খেতে দেয়নি।

আমার কথা শুনে তারা দুজনে হাসাহাসি শুরু করে দিয়ে।

হাসাহাসি শেষ হলে এবার চলেন বাড়ি যায়।

নিধি: না আমি যাবো না..

আমি:কেন ?

নিধি:এমনিই

তানহা:ভাবি কি কালকে চলে যাবেন ?

আমি: না আজকে চলে যাবো নিয়ে..

নিধি: আমি যাবো না.

আমি: কিন্ত কেন যাবি না সেটা বল?

নিধি: তানহা তুই মামির‌ কাছে যা..
তানহা: আচ্ছা..

তানহা যাওয়ার পর আমি বললাম..

আমি: আচ্ছা নিধি তানহা তোরে ভাবি বললো কেন?

নিধি:কারন তানহার ভাই তুই ( বলেই জরিয়ে দরলাম)

আমি:আচ্ছা বাড়ি যাবি না কেন সেটা বল.

নিধি: ছাদে এসে প্রপোজ কর তাহলেই‌ বলবো..
আমি: আচ্ছা চল..

নিধি: হুম তবে এবার আমি কোনো ব্ল্যাকমেইল‌ করবো না…

তুই যদি নিজে থেকে ভালোবাসিস তাহলে বল আর না বাসলে বলিস না.

ছাদে এসে বললাম নিধি তুই হয়তো জানিস না তোকে আমি কত আগে থেকে‌ ভালোবাসি।

হয়তো বলা হয়নি তবে তোকে আমি অনেক ভালোবাসি।ভালোবাসি তোর পাগলামু গুলোকে।

ভালোবাসি তোর অধিকার খাটানোকে।আর সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার ব্ল্যাকমেইলার চাচাতো বোনকে…

নিধি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে তারপর জরিয়ে ধরে বললো…

নিধি:আমিও তোকে অনেক ভালোবাসি।

একমাত্র তুই আমার পাগলামু গুলিকে উপভোগ করিস আর সবাই‌ বিরক্ত হয় তোকে আমি হারাতে চায় না অনেক ভালোবাসে ফেলছি তোকে..??

আমি: তোকে যে প্রপোজ করলাম আমার গিফট কই..( কিস নেওয়ার ধান্দা আরকি কিন্ত নিধি আমাকে নিরাশ করে দিয়ে বললো)

নিধি:ধর তোর ষ্পেশাল গিফট…?
আরে ভাই কি কমু সামনে একটা ফুল ধরিয়ে বলতাছে..

নিধি:আমি জানি তুই‌ এতো তাড়াতাড়ি সিগারেট ছাড়তে পারবি না তাই সিগারেট ছেড়ে এটা ধরবি আবার এটাও ছেড়ে দিবি বুঝছো বাবু..

আমি: দোয়া করি তোর মতো জিএফ‌ যেন সবার কপালে জুটে..??

নিধি:বেশি কথা না বলে খেয়ে দেখ এটা কি ফ্লেভার..

আমি: ধরে টান দিয়ে বললাম এটা তো‌ অরেন্জ ফ্লেভার..

নিধি:তাই আমার কাছে দে আমি দেখি কি ফ্লেভার..

আমি:নে দেখ তারপর নিধি ধরে একটান দিয়ে ধোয়া মুখে থাকা অবস্থায় আমাকে টেনে নিয়ে চার ঠোট এক করে দিল.

কি আর বলবো অরেন্জ ফ্লেভার আর ঠোট এক অসাধারন সাধ ছিল যা সবসময় খেতে মন চায়।
দুই মিনিট পর ছাড়ল।

ছেড়ে দিয়ে লজ্জা পেয়ে মুচকি হেসে আবার জরিয়ে ধরল।তুই আবার লজ্জা ও পাস ??…..

নিধি: তোর কি মনে হয়..

আমি: আমার মনে হয় তুই সবি পারিস

নিধি: হুম আমি সবি পারি শুধু তুই পাশে থাকলেই‌ হবে…

আমি:আচ্ছা তুই না করে আমরা তুমি বললে কি হয় ?

নিধি:না একদম না তাহলে সবাই বুঝে যাবে..

আমি:একদিন তো সবাই জানবেই তখন কি হবে‌.

নিধি: তখন কারটা তখন দেখা যাবে..

আমি: হুম এখন তো আমাকে ছাড় কেউ‌এসে দেখে ফেলবে.

নিধি: কারন হলো ‌কালকে আমরা ঘুরতে যাবো..

আমি:বাড়ি থেকেও ঘুরতে যেতে পারতাম আমরা.

নিধি:বাড়ি থেকে যদি যাইতাম তাহলে বিকালে গিয়ে বিকেলেই আসতে হতো এখন দেখ কালকে আমরা সকালে রওনা দিবো সারাদিন ঘুরবো সন্ধ্যা বেলা বাড়ি রওনা দিবো…

আমি:বাহ নিধি তোর মাথায় অনেক বুদ্ধি এগুলা নিয়ে রাতে ঘুমাস কেমনে.‌

নিধি:এই‌ তুই কি আমারে নিয়ে মজা করছিস..
আমি:হুম..

নিধি: এই তুই কি বললি..

আমি: যা সত্যি তাই বললাম..

নিধি: তবেরে

এই বলে মারতেছে ওমা বাচাও আমারে আসলে মাইরের ব্যাথা পাওয়ার চেয়ে বেশি মজা লাগতাছে তাও এক্টিং চালু‌ রাখলাম..

কিন্ত মনে হয়‌ এক্টু বেশী এক্টিং করে ফেলছি তখন নিধি মার্শাল আর্ট থেকে শিখা একটি টিপস অনুসারে মেরে‌ দিল একটা তলপেটে।

আমি একহাত দিয়ে নাক চেপে দিয়ে অন্য হাতে দিয়ে পেটে চাপ দিয়ে হাটু ভেঙে বসে পড়লাম আর নিধি বললো..

চলবে……..