পরিণয় পর্ব- ১৯/শেষ পর্ব

0
1977

#পরিণয়
#লেখিকা- শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব- ১৯/শেষ পর্ব

কিন্তু হুট করে আজকেই পল্লবীর পেটে ব্যথা অনুভব করছে। বার বার উঠ বস করতেছে পল্লবী। কী করবে বুঝতে পারছে না। রাত বাজে তিনটে এ সময় কাউকে না পারছে ডাক দিতে না পারছে সহ্য করছে। কতক্ষণ পর পর হাঁটতেছে, বসতেছে। অস্থির অস্থির লাগছে তার। এভাবেই পার করল তিন ঘন্টা। বাইরে আজানের ধ্বনি শুনা যাচ্ছে। পল্লবী এবার নিরার রুমের সামনে গিয়ে দরজায় কড়া নাড়ল। দরজায় কড়া নাড়ার সাথে সাথে আতিক আর নিরা বের হলো। পল্লবীর মুখ দেখেই আতিক পল্লবীর হাতে ধরে বলল

– কী রে পল্লবী তোর কী হয়েছে? মুখ এরকম শুকিয়ে আছে কেন? তোর কী কষ্ট হচ্ছে?

পাশ থেকে নিরা আতিককে বলে উঠল

– তুমি পাশের রুমে গিয়ে মা কে ডাক দাও। পল্লবীকে হাসপতালে নিয়ে যেতে হবে। অবস্থা তো ভালো ঠেঁকছে না। আর আনায়নাকে কোলে নিও। নাহয় আনায়না উঠলে খাট থেকে পড়ে যাবে।

আতিক নিরার কথা শুনে তাড়াহুড়ো করে নুর জাহান বেগমের রুমে গিয়ে তাকে ডাক দিয়ে আনায়নাকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা করলো। গাড়ি ফোন দেওয়ার আধ ঘন্টা পর গাড়ি আসলো। পল্লবীকে তাড়াতাড়ি করে গাড়িতে নিয়ে হাসপতালে নিয়ে গেল। সাদেক সাহেব আর আশালতাকে পল্লবীর অবস্থার কথা জানাতেই তারা চলে আসলো সময় মতো।

এদিকে পল্লবীর অবস্থা তেমন ভালো না। ডাক্তার এসে বলল

– ইমারজেন্সি সিজার করা লাগবে। উনার স্বামী কোথায়?

কথাটা জিজ্ঞেস করতেই সবার মুখটা চুপসে গেল। আতিক হালকা গলায় বলল

– কেন?

– একটা সিগনেচার লাগবে।

– আমি ওর বড় ভাই আমি সিগনেচার দিলে হবে না?

ডাক্তার মাথা নাড়িয়ে জবাব দিল

– হ্যাঁ হবে। দয়াকরে একটু এদিকে এসে সিগনেচার করে যান।

বলেই ডাক্তার এগুতে লাগল। আতিক ডাক্তারের পেছন পেছন যেতে লাগল। তারপর সকল কাগজ পত্রে সিগনেচার করে বাইরে অপেক্ষা করতে লাগল। সকাল নয়টা দশ বাজে তখন। ডাক্তার এসে আতিককে একটা বাচ্চা কোলে দিল। বাচ্চাটা ওয়াও ওয়াও করে কাঁদছিল। বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে আতিকের মনটা সিক্ত হলো। আতিকের দিকে তাকিয়ে ডাক্তার বলল

– কনগ্রাচুলেশন এই যে আপনার বোনের একটা মেয়ে বেবি হয়েছে। মা আর মেয়ে দুজনেই ভালো আছে।

করিডোরে বসে থাকা নিরা,সাদেক আশালতা, নুরজাহান বেগম সবাই যেন একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। সবাই একসাথে বলে উঠল

– আলহামদুলিল্লাহ। আমরা কী পল্লবীকে এখন দেখতে পারব?

– এখন রোগীকে দেখা যাবে না। তবে একটু পর দেখতে পারবেন। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

বলেই ডাক্তার চলে গেল। নিরা নুর জাহান বেগমের কোলে আনায়নাকে দিয়ে বাচ্চাটাকে আতিকের কোল থেকে নিয়ে সিক্ত নয়নে তাকিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে ফেলল। সন্তান হারা মায়ের কোলে যখন সদ্য জন্ম নেওয়া কোনো বাচ্চা আসে তখন সেটা যে কতটা শান্তির অনুভূতি দেয় সেটা নিরার চোখ মুখ দেখেই যেন বুঝা যাচ্ছিল। নিরা বাচ্চাটাকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে চোখটা বন্ধ করে রাখল।

হাসপাতালে খুশির বন্যা বইতে লাগল পল্লবীর বাচ্চার আগমনে। কী নাম রাখবে, কী করবে, কতশত প্রশ্ন,কতশত আবেগ হাসপাতালের করিডোরে প্রতিধ্বনি তুলছিল। এমন সময় সাহিলের আগমন ঘটল। সাহিলকে দেখেই সবাই চুপসে গেল। কিছুটা বিস্ময় নিয়ে সাহিলের দিকে তাকাল। সাহিল এসেই আতিক কে বলল

– আমি খুঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি এ বাচ্চাটা আমার আর পল্লবীর। বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় ডিভোর্স হয় না। তার মানে আমার সাথে পল্লবীর ডিভোর্স হয়নি। আমি রুশিকে ডিভোর্স দিয়ে পল্লবীর কাছে ফিরে এসেছি। আমি আমার বাচ্চা আর পল্লবীকে আমার কাছে নিয়ে যেতে চাই।

বলেই নিরার দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল

– বাচ্চাটাকে আমার কোলে দেন ভাবী।

নিরা বুঝতে পারছিল না বাচ্চাটাকে সাহিলের কোলে দিবে কী না। বেশ সংকোচ নিয়ে সাহিলের দিকে বাচ্চাটা এগিয়ে দিতে গেলে আশালতা নিরাকে আটকে দিয়ে বলল

– ভাবী বাচ্চাটাকে এখনি সাহিল ভাইয়ের কোলে দিও না। পল্লবী আসুক। এ বাচ্চাটা সাহিল আর পল্লবীর না। বরং এ বাচ্চাটা শুধু পল্লবীর। এ বাচ্চাটা নিয়ে পল্লবী অনেক সংগ্রাম করেছে। পল্লবী এসে যা সিদ্ধান্ত নেয় তাই হবে। এখন এ বাচ্চাটার দায়িত্ব আমাদের এখানে সাহিল ভাইয়ের কোনো দায়িত্ব নেই।

নিরা আশালতার কথা শুনে বাচ্চাটাকে সাহিলের কোলে দিতে সাহস পেল না। সাদেক সাহেব ও পাশ থেকে বলে উঠল।

– পল্লবীর বাচ্চা পল্লবী বলবে কাকে দেবে। এ পর্যন্ত পল্লবীর খু্ঁজ নিয়েছেন কত বার সাহিল সাহেব? এতদিন পর বাচ্চা হলো আর আজকে আপনার পিতৃত্ব জেগে উঠল। দয়াকরে এখন যান। পল্লবী সুস্থ হলে আপনি আসবেন। তখন পল্লবী যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই হবে।

সাহিল সবার কথা শুনে চুপসে গেল। নরম গলায় বলল

– আমি ভুল করেছি আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দেন। পল্লবীর সাথে একটু কথা বলে চলে যাব।

নুরজাহান বেগম সাহিলের কাছে এসে গালে একটা কষিয়ে চড় দিয়ে বলল

– আমার মেয়েটা যখন তোমার পায়ে পড়ে কেঁদেছিল তখন কোথায় ছিলে? ডিভোর্সের আগে যখন হাজারবার তোমার কাছে সংসার টিকানোর কথা বলেছিল তখন কোথায় ছিলে? যখন আমার মেয়েটার বাচ্চাটাকে নিয়ে মানুষ যা তা বলেছে তখন কোথায় ছিলে? যখন আমার মেয়েটা নিজের খাবার জুটানোর জন্য গার্মেন্টসে গিয়ে চাকুরি করেছে তখন কোথায় ছিলে? এত কিছুর পর কোন মুখে পল্লবীর সাথে কথা বলতে চাচ্ছ? তুমি এখান থেকে বিদায় হও। হাসপাতালে আর কোনো ঝামেলা দেখতে পারব না। পল্লবী সুস্থ হওয়ার পর পল্লবী তোমাকে ক্ষমা করে তোমাকে মেনে নিবে কী না সেটা তার ব্যাপার। তবে এখন তুমি এখান থেকে যাও।

নুরজাহান বেগমের কড়া জবাবে সাহিল চুপ হয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গেল। সাহিল বের হওয়ার পরেই পরিস্থিতি শান্ত হলো। পল্লবীকে খানিকক্ষণ পর কেবিনে দেওয়া হলো। পল্লবী কেবিনে আসার পর সবটা শুনে একটু চুপ হয়ে গেল। তেমন কোনো উত্তর না দিয়ে বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে বাচ্চাটার গালে একটু চুমু একে বলল

– কে কী নাম রেখেছ বলো।

সাদেক সাহেব বলে উঠল

– আমি তো অনেক আগেই আনায়নার নামের সাথে মিল রেখে বাচ্চাটার নাম মনে মনে আলায়না রেখেছিলাম। এবার তোমরাও কিছু রেখে থাকলে বলো। তারপর সব নাম কাগজে লিখে লটারি দিয়ে যার নাম আসবে সেটাই রাখা হবে।

সাদেক সাহেবের কথা শুনে সবাই এক সুরে বলে উঠল

– এ নামেই তো সুন্দর। পল্লবীর পছন্দ হলেই হলো।

পল্লবী হালকা হেসে বলল

– এটাই তো সুন্দর নাম পছন্দ কেন হবে না।

তিনদিন পল্লবী হাসপাতালে থাকার পর আলায়না আর আনায়নাকে নিয়ে আজকে বাসায় ফিরল। বাসায় ফেরার পর পল্লবীর ফোনে কল আসলো। পল্লবী কল ধরতেই সাহিলের মা বলে উঠল

– পল্লবী তোমার আর সাহিলের ডিভোর্স টা তো হয়নি। তুমি আবার চলে এসো। সাহিল তো রুশিকে ডিভোর্স দিয়েছে। এখন আমরা একটা ভাড়া বাসায় উঠেছি। তুমি দয়াকরে সাহিলকে ক্ষমা করে দাও। আমদের ও ক্ষমা করে দাও।

পল্লবী হালকা সুরে বলল

– আমি সময় হলে সিদ্ধান্ত জানাব। আমাকে সময় দিন।

বলেই কলটা কেটে দিল। এদিকে সাহিল অনেকবার কল দিল পল্লবীকে কিন্তু পল্লবী আর সাহিলের কল ধরে নি। এভাবে এক মাস পার করল। এখন একটু সুস্থ পল্লবী।

নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে পল্লবী আজকে বের হওয়ার জন্য তৈরী হলো। সে সাহিলের সাথে দেখা করবে। বাসার সবাইকে বলে রওনা হলো। আতিক সাথে যেতে চাইলেও পল্লবী নিয়ে গেল না। সাহিলকে বলল রেস্টুরেন্টে আসতে। সাহিলও পল্লবীর কথা মতো রেস্টুরেন্টে গেল। রেস্টুরেন্টে যেতেই পল্লবী একটা টেবিলে বসে সাহিলের দিকে একটা কাগজ এগিয়ে দিয়ে বলল

– আনায়নাকে আর আলায়নাকে নিয়ে বসায় আসার পর এডভোকেট জান্নাত জেসিকে বলে কাগজটা প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। শুধু শারিরীক অসুস্থতার জন্য তোমার সাথে দেখা করতে পারিনি। আজকে সুস্থ তাই দেখা করতে আসলাম।

সাহিল কাগজটা হাতে নিয়ে বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করল

– এটা কিসের কাগজ?

পল্লবী শক্ত গলায় জবাব দিল

– এটা ডিভোর্স ব্যপার। আগের ডিভোর্স টা যেহেতু হয়নি। তাই এখন আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে কাগজ দিলাম। বাকিটা তোমার ইচ্ছা। তোমার সাথে এক দন্ড ও থাকার ইচ্ছা আমার নেই। কারণ কী জানো? কারণটা হলো আমি যখন তোমার পায়ে পড়ে কাঁদতাম তখন তো তুমি আমার মায়া কান্নায় গলো নি। তখন কই ছিল তোমার মায়া,মমতা? আমার মেয়েটাকে যখন রুশির জন্য ছুড়ে দিয়েছিলে তখন কোথায় ছিল তোমার পিতৃত্ব? আজকে রুশি তোমাকে ছুরে মেরেছে বলে আমার কাছে ফিরে এসেছ। কিন্তু যখন দীর্ঘ এক বছর সংসার টিকানোর জন্য তোমার পা ধরে কাঁদতাম তখন তোমার বিবেকবোধ কোথায় ছিল? অনেক ভেবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমার পায়ের মাটি শক্ত করতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তোমার সাথে নিজেকে জড়ালেও তোমার প্রতি আমার সে ভালোবাসা আসবে না। তাই তোমার সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিজের শক্ত মাটিটাকে কর্দমাক্ত করতে পারব না। তুমি আমাকে একবার ছাড়তে পেরেছ বারবার পারবে।

সাহিল কাগজটা হাতে নিয়ে চুপ হয়ে বসে থাকল কিছুক্ষণ তারপর বলল

– বাচ্চার পরিচয়ের জন্য হলেও আমাকে মেনে নাও।

পল্লবী হালকা হেসে বলল

– আনায়না আর আলায়নাকে বড় করতে আমার পরিচয়েই যথেষ্ট। যাইহোক সময় মতো সাইন করে পাঠিয়ে দিও। ভালো থেকো।

বলেই পল্লবী বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। তারপর হনহন করে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাসায় চলে আসলো।বাসায় আসার পর সবাই পল্লবীকে জিজ্ঞেস করলো কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পল্লবী সোজাসাপটা বলে দিল

– যে জায়গায় বিচ্ছেদ আগেই হয়েছে সে জায়গায় নতুন করে মিলন হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমার সন্তান বড় হবে আমার পরিচয়ে। আমার দুই মেয়েকে আমি সেভাবেই বড় করব যেভাবে বড় হলে তাকে কারও কাছে নির্ভর হতে হবে না। আমার জীবনে থাকা সকল ব্যর্থতা তাদের দিয়ে পূর্ন করব।

বলেই পল্লবী শুয়ে থাকা আনায়না আর আলায়নার পাশে শুয়ে তাদের কপালে চুমু একে দিল।

তিনমাস পর সাহিল আর পল্লবীর ডিভোর্স অবশেষে কার্যকর হলো। পল্লবী আর পিছু ফিরে তাকায়নি। আলায়না,আনায়না,নিরা, আতিক আর নুরজাহান বেগমকে নিয়ে বেশ শান্তিতেই দিন পার করছে।

এভাবেই কেটে গেল তিনটা বছর। সাহিলের আর খুঁজ পাওয়া যায়নি। লোক মুখে শুনেছে সাহিল তার পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে গেছে। তার চাকুরিটাও অনিয়মের জন্য চলে যায়। এরপর সাহিলের সাথে আর পল্লবীর দেখা হয়নি। কেউ কারও খবর ও জানে না। পল্লবীর মন থেকেও সাহিলের নামটা মুছে গেছে। আর রুশি মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছে।

আজকে আনায়নার বয়স পাঁচ এ পড়ল। স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় চলে এসেছে। পল্লবী আনায়নাকে নিয়ে স্কুলে গেল। স্কুলে ফর্ম পূরণ করার সময় পল্লবীর মনটা আজকে একটু কেঁপে উঠল। কারণ পিতার নাম পূরণ করতে গিয়ে পল্লবীর হাতটা বেশ কাঁপছে। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে পল্লবী ফর্মটা পূরণ করল।

বাসায় আসলো আনায়নাকে নিয়ে। বসায় আসতেই আলায়না গুটি গুটি পায়ে হেঁটে এসে বলল

– মা আমাল জন্য চককেট এনেছো?

পল্লবী ব্যাগ থেকে একটা চকলেট বের করে বলল

– তুমি আর আপু ভাগ করে খাও কেমন?

আলায়না মাথা নাড়ল।

এদিকে পল্লবী জানালার পাশে বসে পুরনো অতীতে আবার ডুবে গেল। চোখের কোণে হালকা পানি আসলো পল্লবীর। আনায়না পল্লবীর পাশে এসে পল্লবীর চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল

– মা কাঁদছো কেন তুমি?

আনায়নার আলতু স্পর্শে পল্লবী নিজেকে সামলে নিয়ে আনায়নাকে বুকে জড়িয়ে নিল। পল্লবীর সমস্ত কষ্ট যেন চলে গল। এর মধ্যেই আলায়না পল্লবীর কাছে এসে বলল

– আমালে নাও মা।

পল্লবী আনায়নার সাথে আলায়নাকেও বুকে জড়িয়ে ধরে বলল

এই তো আমার সুখের স্পন্দন। ভালোবাসার নীড়। ভালোবাসার আলতো ছোয়া। তোদের নিয়ে সারাটা জীবন পার করে দিতে চাই। তোরা যে আমার ভালোবাসার চাতক পাখি।

কখনও মধুর ভালোবাসাও বিষাক্ত হয়ে যায়। কখনও বিষাক্ত ভালোবাসাও মধুর হয়ে যায়। ভালোবাসা যখন #পরিণয়ে রূপ নেয় তখন সেটা পুরোপুরি স্বার্থক হয় না। স্বার্থক হয় ঠিক তখন যখন একে অপরের হাত ধরে সারাটা জীবন পার করে দেওয়া যায়। ভালোবাসা ছোট্র একটা শব্দ তবে এর অর্থ ব্যাপক। এর বৈচিত্রতা একেক সময় একেক রকম। এই ভালোবাসায় কারও জীবন পূর্ণ করে তুলে। আবার এ ভালোবাসায় কারও জীবন নরকে ফেলে। ভালোবাসা এমন একটা শব্দ যেখানে ইতিবাচক নেতিবাচক দুটো দিকেই রয়েই। সময়ের ব্যবধান মানুষের পরিবর্তনে সেটা শুধু রূপ বদলায়।

সমাপ্ত