Black Rose Part-01 ( Season 03)

0
2236

#Black_Rose?
#The_Dark_king_of_my_kingfom♚
#Season_03
#Lamiya_Rahaman_Meghla
#Part_01

বেডে ঘুমন্ত মেঘর সামনে আমান বসে আছে সে না চাইতেও এই মেয়েটির সামনে তাকে বসে থাকতে হচ্ছে।
মেয়েটি খুবই মায়াবি৷ মেয়েটির নাম মেঘ হলেও আমান কিন্তু জানে না মেয়টির আসল নাম কি?
অদ্ভুত টান অনুভব হবার মতো৷
মেয়েটির মাথায় ব্যান্ডেজ৷
আমান এগুলা দেখে কালকের কথা মনে করছে,
–মা একে কোথা থেকে নিয়ে এসেছো?বলা নেই কওয়া নেই কই থেকে এই মেয়েকে তুমি নিয়ে এসেছো৷
–আমান বাবা এমন বলিস না রাস্তায় বিরাট এক গাড়ি এক্সিডেন্ট হয় মেয়েটা মারা যাবে ওকে হসপিটালে ভর্তি করতে হবে।
–কি জানি সব উদারতা আল্লাহ তায়ালা তোমায় দিছে।
–তুই দেখ ওর মুখের দিকে কি মায়াবি৷
আমান এক ঝকল মেয়েটির দিকে তাকায়।
আমানের মা আর আমান মিলে অচেনা মেয়েটাকে হসপিটালে নিয়ে আসে৷
সেখানে ডক্টর ইমারজেন্সি চিকিৎসা দেন৷
হসপিটালের বেঞ্চে বসে অচেনা মেয়েটির জন্য দুয়া করছেন “চাঁদনি খান ” উনি চিনে না মেয়েটিকে কিন্তু এই টুকু সময়ে তার মায়া হয়ে গেছে মেয়েটার উপর৷

চলুন মেয়েটার গল্পটা আপনাদের বলি,
কিছু সময় আগে,
–হ্যালো মেঘ তুই কই?
–আকাশ আমি না জ্যামে বসে আছি।
কি করবো বল এদিকে বাবার ঔষধ গুলো জলদি নিতে হবে৷ ময়মনসিংহ এ পৌঁছাতে আমার অনেকটা সময় লাগবে রে।
বাবা কেমন আছে?
–তুই চিন্তা করিস না আঙ্কেল ঠিক আছে তুই একটু জলদি আসার চেষ্টা কর৷
–হুম করছি তো কিন্তু এই জ্যাম ফার্মেসির কাছে চলে আসছি৷
–আচ্ছা তুই হাঁটা শুরু কর৷
–তা ঠিক বলছিস৷
এই মামা এই নেও টাকা আমি হেঁটে যাবো।
আচ্ছা আকাশ পরে কথা হবে।
–না না তুই কলে থাক তুই কলে না থাকলে আমার ভয় হবে।
–উফ তুইও না৷
–কই তুই এইতো দোকানে পৌঁছালাম এখন ঔষধ নিছি।
–গুড জলদি গাড়িতে ওঠ।
–হ্যা রে বাবা৷
মেঘ রোড ক্রস করবে এমন সময়,
–মেঘ,
মেঘ আাকশের কথাটা শুনতে গিয়ে হটাৎ একটা বিকট শব্দ,
–মেঘ এই মেঘ কি হলো মেঘ৷
ওপাশ থেকে লাইনটা কেটে গেছে৷
এদিকে মেঘকে পেছন থেকে একটি গাড়ি তীব্র বেগে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ৬ হাত দুরে নিয়ে ফেলেছে৷
মাথাটা সোজা রোডে পড়েছে সাথে সাথে রক্তে রক্তে মেঘের পুরো শরীর ভরে গেছে।
মেঘ ছুটে ব্যাস্ত রাস্তায় পরে৷
তখনি আমান আর তার মা বের হইছে।
আমানের মা মেঘকে ওভাবে দেখে দৌড়ে আসেন৷
যেহেতু আমানের মা আসেন তাই কেউ আসেন না কারন তাদের কাছে যাবার সাহস কারোর নাই৷
পরের টুকু আপনারা সবাই জানেন।


২ঘন্টা পর,
ডক্টর বেরিয় এলেন।
ডক্টর কে দেখে আমানের আম্মু উঠে দাঁড়ালেন।
–ডক্টর কি অবস্থা মেয়েটার৷
–ম্যাম মেয়েটার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাওয়া তে ওনার মেমোরি লস এর চান্স ১০০%।
–কিছুই কি মনে থাকবে না৷
–সরি ম্যাম কিছুই হয়তোবা মনে থাকবে না৷
–রিকোভার করতে কতো সময় লাগবে৷
–৭২ ঘন্টার মধ্যে সেন্স না আসলে কোমায় যেতে পারে৷
–কি বলছেম এগুলা৷
–আমরা ডক্টর মানুষ কিছু লুকিয়ে লাভ নেই৷
–আল্লাহ সুস্থ করো৷
–কি হয় মেয়েটা আপনার৷
–মেয়ে হয়।
–কিন্তু ম্যাম আগেতো দেখি নি৷
–এখন দেখুন৷
ডক্টর চলে গেল।
–what ravish মা তুমি ওই মেয়েটাকে মেয়ে উপাধি দিলে৷ (আমান)
–হ্যা দিলাম কি হইছে৷
–মা তুমি ওই মেয়েটাকে৷
whatever যা ইচ্ছে করো তুমি৷


পরের দিন সকালে,
মেঘের সেন্স আসে৷
চাঁদনি খান সারাটা রাত মেঘের জন্য হসপিটালে কাটিয়েছে আমান মাকে একা না ছাড়তে মায়ের সাথে থাকে৷
–ম্যাম পেসেন্ট এর সেন্স আসছে৷
–ওহ আল্লাহ ধন্যবাদ।
চাঁদনি খান ভেতরে প্রবেশ করে।
মেয়েটার মাথায় ব্যান্ডেজ৷
মায়াবি সে কেমন একটা মায়া কাজ করছে৷
–কেমন আছো মা (মেঘের কাছে গিয়ে)
–কে আপনি৷ ।
–তোমার ফুপি৷
–মানে আমি কে
–মা তুমি আমার ভাই এর মেয়ে তোমার মা বাবা মারা গেছে আমার কাছে তুমি থাকো আমি তোমার ফুপি কাল তোমার অনেক বড়ো একটা এক্সিডেন্ট হয়৷
–কিন্তু আমি আপনাকে চিনতে পারছি না কেন৷
উফ কিছু মনে আসছে না কেন।
–মাথায় জোর দিও না মা এমনি সময় মনে আসবে চিন্তা করো না৷
–কিন্তু।
–ম্যাম পেসেন্ট এর ঔষধ এর সময় হয়ে গেছে।
–হুম তুমি থাকো মা আমি আবার আসবো।
চাঁদনি খান বাইরে চলে আসে,
–মা এবার তো বাসায় চলো৷ ।
–হুম চল ।
ওরা বাসায় চলে আসে,
কিছু সময় পর চাঁদনি খান আবার হসপিটালে এসে আমানকে মেঘের সামনে বসিয়ে কোথাও একটা যায়।
চলবে,