#Black_Rose?
#Season_03
#The_Dark_king_of_my_Kingdom♚
#Lamiya_Rahaman_Meghla
#Part_14
–বাবা আকাশ মেঘকে নিয়ে ঘটনা বড়ো।
–বলেন আন্টি,
–তবে শোন,
গোড়া থেকে সব খুলে বললো আকাশ কে
আকাশের মাথায় বিয়ের কথা শুনে বাজ পড়লো।
মেঘের বিয়ে হলো সত্যি সেই
#Black_Rose
বইটার মতো কোন আমান খানের সাথে কিন্তু কেন এমন হলো।
আকাশের ইচ্ছে হচ্ছে বই তে লিখা প্রতিটি অক্ষর মুছে দিতে৷
সত্যি সে মেঘকে হারিয়ে ফেললো।
রোজের মনে মেঘের বিয়ে কথাটা শুনে ভালো লাগলো৷
সবি ঠিক হবে হয় তো৷
রোজ তো জানতো আকাশ মেঘকে ভালোবাসে,
।
হসপিটালে,
–মেঘ তুই ঠিক আছিস।
–হুম দোস্ত আমার না কিছু হচ্ছে।
–দোস্ত এতো চিন্তা নিস না চল বাসায় চল।
–চল।
রুথি মেঘকে নিয়ে বাসায় চলে আসে,
–কিরে রুথি কি হইছে ওর (মেঘের আম্মু)
–উফ আম্মু এতো চিন্তা করো কেন কিছু হয় নি৷ (মেঘ)
মেঘের কন্ঠ শুনতে পেয়ে আকাশ ছুটে এলো,
–মেঘ
–আকাশ ছিলি কই তুই৷
–দোস্ত আমি
আকাশের চোখের কোনে চিক চিক করছে পানি।
কিছুই বলতে পারছে না৷ সত্যি হয়তো বড্ড বেশি ভালোবেসেছিলো মেঘকে৷
–কিরে কি হইাছে তোর৷
আকাশ কোন কথা বলেই মেঘকে হটাৎ জড়িয়ে ধরে৷
মেঘের অনেকটা অসস্তি ফিল হয় উপস্থিত সবাই অবাক৷
–আকাশ কি করছিস ছাড়।
আকাশ বুঝতে পারে সে কি করছে মোহ মায়ার কারনে ধরেছিলো৷
–সরি৷
–এমন করে দেখছিস যেন জনম জনম পর দেখছিস।
–মেঘ ভেতরে আয় খাবার খাবি৷
–আমার সুন্দরী কই৷
–আপুনি৷
রোজ দৌড়ে মেঘকে জড়িয়ে ধরে,
–আপুনি
–সোনা এভাবে কাঁদছিস কেন৷
–হোস্টেল থেকে তোকে মিস করছিলাম।
–তুই না হানিমুনে ছিলি আকাশের সাথে৷
–(আকাশ আর আমার সম্পর্কে মেঘ আপু জানে। জানলে ভালো রাস্তায় আকাশ আমাকে কড়া নির্দেশ দিছে আপুনি যাতে কিছু না জানতে পারে)
তার আগে হস্টেল ছিলাম না৷
–ওহ
–বিয়ে করলি আর আমি নেই কি করে হলো।
–তুই কি পাগল মেঘ কি সন বলছিস আমি বিয়ে করি নি৷
আকাশের কথায় সবাই অবাক৷
–মানে কি আম্মু
–বাবা আকাশ তুমি কি বলছো এগুলা৷
–যা সত্যি তাই বলছি আন্টি রোজকে চাপিয়ে দেওয়া হইছে আমার উপর এটাকে বিয়ে বলে না।
–আকাশ মুখ সামলে কথা বল রোজ আমার বোন।
–তো কি করবো বল এখানে সবার কথা শুনে আমার এটা মনে হচ্ছে যেন তুই ৬ মাস বাসায় ছিলি না এটা কেউ তোকে বলেই নি৷
–মানে কি আম্মু৷
–আকাশ বাবা তুই বেশি করছিস তোকে আমি সব বলেছি৷
(মেঘকে এভাবে সবটা বললে ওর ব্রেনে অনেকটা চাপ পড়তে পারে যার জন্য হয়তো সে আর কেন দিন কিছু মনে করতে পারবে না।
আর নয়তো রক্ত খরন হবে ব্রেনে যার ফলে সে কোমায় যেতে পারে
আর নয়তো এসব বলার কারনে তার স্মৃতি ফিরে আসতে পারে৷
আমান এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাই নি কারন ডক্টর বলেছে কোমায় চলে গেলে ফেরার কোন চান্স নেই
আকাশ সবটা যেনে এটা করছে যাতে মেঘের আর কিছুই কখনো মনে না আসে কিন্তু এতে বিপরীতে মেঘের জীবন মরন আছে সেটা সে বুঝতে চাইছে না)
–এই মেঘ তুই জানিস তোর এক্সিডেন্ট হয় ৬ মাস আগে আমান খান নামে কেউ পায় তোকে তোর কিছু মনে না থাকার সুজগ নিয়ে তোকে বিয়ে করে আর আবার তোর এক্সিডেন্টে সব ভুলে গেলে তোকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে।
আমান খান নামে কারোর সাথে বিয়ে হয় কথাটা কেমন মাথায় আঘাত করছে বার বার মেঘের।
কিছু বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে।
মাথায় হাত দিয়ে চেপে ধরেছে।
–তোর জাবার সুজগে রোজকে আমার ঘাড়ে তুলে দেয়৷
–মা আমার মাথায় প্রচুর পেইন হচ্ছে।
মেঘের আম্মু মেঘকে ধরে বসে৷
আকাশ শয়তানি হাসি দেয়৷
কাজ হচ্ছে৷
আকাশ আবার বলতে শুরু করে,
— হ্যাঁ আমান খান মনে কর তোর বর তো মনে আসছে না তোকে ছুঁড়ে ফেলেছে না রাস্তায় মনে থাকবে কি করে।
–মা চুপ করতে বলো আমার আর সইছে না৷
–হা হা সইবে কেন এখন সইবে না।
তো
–আকাশ আপনি চুপ করুন আপুনি ঠিক নেই দোহাই লাগি চুপ করুন৷
এদিকে আকাশ বলতে আছে
মেঘের মা রোজ রুথি কেউ থামাতে পারছে না মেঘের বাবা বাসায় নেই।
মেঘের অবস্থা খারাপ হতে হতে একটা সময় সেন্স হারায় মেঘ।
রুথি দ্রুত আমানকে ফোন করে সবার আড়ালে।
–ভাইয়া বাসায় আসুন জলদি৷
মেঘের অবস্থা ভালো নয়৷
এদিকে,
–আকাশ তুই চুপ কর আমার মেয়েটা রুথি আমানকে ফেন দে।
–কাউকে ফোন দিতে হবে না।
আমি সব ঠিক করছি মেঘকে নিয়ে চলে যাচ্ছি থাকুন৷
আকাশের কথায় মেঘের আম্মু সহ উপস্থিত সবাই অবাক।
তখনি কিছু ছেলে এসে মেঘের আম্মু রোজ আর রুথিকে ধরে উঠায়।
–আকাশ বাবা তুই কি করছিস আমার মেয়েকে নিয়ে কই যাচ্ছিস৷
–দুরে আন্টি অনেক দুরে যেখানে কোন আমান নেই৷
বলেই মেঘকে কোলে তুলে বাইরে এনে গাড়ি স্টার্ট করে।
এদিকে ভেতরে সবাই কে ছেলে গুলো অনেক টা সময় পরে ছেড়ে দেয়।
।
চলবে,