Black Rose Part-15 (Season 03)

0
1380

#Black_Rose?
#season_03
#The_Dark_king_of_my_kingdom♚
#Lamiya_Rahaman_Meghla
#Part_15

আকাশ মেঘকে নিয়ে একটা বন্ধ ঘরে আটকে দেয়৷
বাইরে পাহারা বসিয়ে দেয়।
কিন্তু এখন মেঘের দরকার ডক্টর ট্রিটমেন্ট।
,
এদিকে,
আমান মেঘের বাসায় এসে সবটা শুনে প্রচুর রেগে গেছে।
–আন্টি চিন্তা করবেন না আমি মেঘকে নিয়ে আসবো।
–বাবা
–কাঁদবেন না এক দম না।
রোজ খেয়াল রাখো সবার।
আমান বেরোবে এমন সময় তার ফোনে ফোন এলো,
–হ্যালো।
–মি.আমান চাঁদনি খান হসপিটালে মাইনাল স্টোক করছে জলদি আসুন আপনি৷
এটা শোনার পর আমানের হাত থেকে ফোনটা পরে গেল৷
এখন সে কোথায় যাবে।
–বাবা কি হইছে।
–মা স্টোক করছে।
–কি বলো।
–আমি কোথায় যাবো এখন।
–বাবা মাথা ঠান্ডা করো আমি যাবো তোমার মায়ের কাছে তুমি যা-ও মেঘের কাছে৷ (মেঘের বাবা)
–হ্যা তাই ভালো হবে আমিও আজ বাসায় যাবো না (রুথি)
–বাবা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
–বাবা ধন্যবাদ দেবার কিছুই হয় নি।

তার পর যে যার গন্তব্য রওনা দেয়।
কিন্তু আমন মেঘকে খুঁজবে কই কোথায় গেছে কি কিছুই মাথায় আসছে না৷
মেঘের লেকট এর কথা মনেই ছিলো না আমানের তখন মনে পড়তে সোজা
পুলিশ ইনফর্ম করে।


–মেঘ আজ তুই আমার হবি দেখ আমি সব নিয়ে এসেছি সব তুই বৌ সাজবি আমাদের বিয়ে হবে।
মেঘের এখনো সেন্স আসে নি।
–তুই চিন্তা করিস না তোকে কোন কষ্ট পেতে দিবো না।
লাল একটা ওড়না জড়িয়ে দেয় মেঘকে আর কিছু গয়না৷
তাকে উঠিয়ে এনে বসায়।
–কাজি সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করুন৷
–কিন্তু এভাবে কনে সেন্স না থাকলে কি ভাবে বিয়ে হবে।
–তোকে যা বলছি তুই তাই কর কোন প্রশ্ন না৷
–জি৷
কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করে।
সাইন করার সময়
–সমস্যা নেই আমি হাত ধরে করিয়ে দিচ্ছি৷
সাইন করতে কলম ধরতেই
হটাৎ পেছন থেকে গুলির শব্দ।
আকাশ পেছনে ফিরে দেখতে পায়
ফুল ব্লাক সুট পরে একটা ছেলে হাতে রিভলবার দাঁড়িয়ে পেছনে অনেক গুলো ছেলে।
–মি.আকাশ আমাদের দেখা হয়ে গেল তবে৷
–কে তুই।
–আপনি যার স্ত্রী কে তুলে নিয়ে এসেছেন৷
–আমান খান
–বুদ্ধি আছে আপনার কিন্তু আফসোস এগুলা খাটানোর মতো আর কোন সুযোগ পবেন না আপনি।
আকাশের পাল্টা উত্তর দেবার আগে পেছন থেকে পুলিশ এসে তাকে আটক করলো৷
আমান মেঘের কাছে গিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে৷
–কিছু সময়ের জন্য ভেবেছিলাম তোমায় হারিয়ে ফেলবো৷
কিছু সময় পর মেঘকে নিয়ে বেরিয়ে পরে হসপিটালের উদ্দেশ্যে,
মেঘকে চেকাপ করতে পাঠানো হয়৷
তখনি মেঘের বাবা ফোন আসে,
–হ্যালো বাবা মা,
–আল্লাহর রহামতে তোমার মা সুস্থ আছেন কালকে বাসায় যেতে পারবেন৷ মেঘ মা
–নিয়ে এসেছি হসপিটালে সবাইকে বলে দিছি।
–চিন্তা করো না আমার মেয়েটা ঠিক হয়ে যাবে৷
–জি আল্লাহ হাফেজ।
এদিকে,
ডক্টর বেরিয়ে এলো,
–মি.আমান ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেন্স না আসলে আমরা কিছু বলতে পারছি না আপনার স্ত্রী কোমায় যেতে পারে৷
–ডক্টর আমার স্ত্রী কে আমার যে কোন মূল্যে চাই৷
–দেখুন আমরা বুঝতে পারছি নিজেদের সমস্ত চেষ্টা করছি কিন্তু উনার ব্রেইন প্রচুর চাপ পড়েছে। আল্লাহ ছাড়া উপায় নেই ওনাকে ডাকুন৷
এরি মধ্যে মেঘের আম্মু রোজ আর রুথি চলে আসে,
–আমার মেয়ে কই৷
–ভেতরে৷
–ডক্টর কি বলছে
–বললেন,
২৪ ঘন্টার মধ্যে সেন্স না আসলে কোমায় চলে যেতে পারে৷
–কি বলছো বাবা৷ আমার আল্লাহ আমার সাথে এমন করতে পারে না৷
–মা আপুনি ঠিক হয়ে যাবে চিন্তা করো না মা প্লিজ কেঁদো না৷


সব কেমন এলোমেলো হয়ে গেল।
রোজের জীবনে তার বিয়েটা অভিশাপ হয়ে গেল৷
মেঘের অবস্থা সিরিয়াস হয়ে গেল।
আমান এলোমেলো হয়ে থাকলো।
আকাশ জেলে থাকলো৷
কোন কিছুই সঠিক হলো না৷
সব গুলো জীবন এলোমেলো পথে হাঁটছে।
অপেক্ষা শুধু একটা সুন্দর দিনের৷
কিন্তু আদোও কি সেই দিন আসবে।
সেই উত্তর কারোর যানা নেই।
চলবে,