রঙীন ফানুস পর্ব-০৭

0
1528

#রঙীন ফানুস
#পর্ব-০৭
#আফরিন ইভা

—“নিজের সাথে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত চোখ খুলে পরী ভীষণ অবাক। এতো এতো অবাক যে নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ভাবতেই পারছে না এই ছেলে এভাবে অসভ্যতামী করবে.?
রাফির এই ঘৃণ্য কাজে পরীর অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো। গাঢ় থেকে রাফি কে সরাতে চেষ্টা করচে পরী ।
এ-তো এ-তো চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছে না।”

—-“পরী ভীষণ রকম ভয় পেয়ে গেলো।”

—-“রাফি ঝোঁকের মতো পরীর গাঢ়ে এমনভাবে লেপ্টে আছে যে, পরী ধাক্কা দেওয়া সত্বেও রাফি কে সরানো যাচ্ছে না।”

—“রাফি যেনো কোনো নেশায় আসক্ত হয়ে আছে।”

—“পরী রাফি বলে কয়েক বার ডাক দিলো।
রাফি, এই রাফি আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন?”

—“কিন্তু রাফির কোনো রকম সাড়া নেই।
পরী আর কোনো উপায় না পেয়ে হাতের কাছে ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে কাঁচের গ্লাস দিয়ে সজোরে বারি দিতে যাবে এমন সময় রাফি পরীর হাত ধরে ফেললো।”

—-“রাফি হু হু হাহাহা করে হেঁসে উঠলো।
একদম উদ্ভট হাসি।
রাফি এ-তো এ-তো হাসছে যে পরীর গায়ে যেনো জ্বালা ধরে গেলো।”

“পরী তুমি কি ভেবেছো, আমি তোমাকে ভাবি বলে মায়ের সমতুল্য মনে করবো?
হাহাহাহা! ”
“কিভাবে ভাবলে তুমি?”
তুমি হচ্ছো রূপবতী যার রূপে প্রতিটি পুরুষ মরে ছাঁই হতেও রাজি।
তোমার তপ্ত আগুনে ঝাপ দিতে যা যা করতে হয় সব পারবো পেয়ারি ভাবি জী।
আমার মনে হয় রাজ তোমার আগুনে ঝাপ দিয়েও তাঁর তৃষ্ণা মেটে না তাই না?
পরী প্লিজ তোমাকে আমি একটা বার হলেও পেতে চাই, তুমি একটা বার বলো রাজি।”

“কথাগুলো শুনে পরীর মাথায় রাগ উঠে গেলো।” ইচ্ছে করছে রাফির মুখে থুঃথুঃ ছিটিয়ে দিতে।
“রাজকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য —

—-“ছিহ। ”

—” আপনাকে আমি সেই প্রথম দিনই চিনতে পেরেছি রাফি। আপনার মতো পরপুরুষ কিভাবে বিবাহিত মেয়ের রুমে ঢুকে যেতে পারেন সেটা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। ”
“যতোবারই ভেবেছি আপনাকে চরিত্রহীন ছাড়া আর কিছুই মনে হয় নি।”

“পরীর কথায় রাফির মাথা ভীষণ গরম হয়ে গেলো।”

“তবুও রাফি নিজেকে শান্ত রেখে উত্তর দিলো, পরী আমি তোমার চোখে লম্পট,স্বৈরাচারী অনেক কিছুই হতে পারি। কিন্তু বিশ্বাস করো তোমাকে পাওয়ার আশায় আমি সেই কবে থেকে এক বুক স্বপ্ন দেখেছি। ”

“আমাকে নিয়ে স্বপ্ন?”
—“ছিহ।”

—“সত্যি হাঁসালেন বেশ। অন্যের স্ত্রী কে নিয়ে স্বপ্ন দেখা সেটা নিতান্তই পাপ।
আমার হাসবেন্ড রাজ আপনি কি ভুলে গেছেন? আপনি ভুললেও আমি ভুলিনি।
ভালো করে শুনে রাখুন রাজ চৌধুরী আমার অফুরন্ত ভালোবাসা।
যা চাইলেও আর কেউ পাবে না।”

“পরী তুমি এভাবে বলো না প্লিজ। আমি জানি তোমার আরো একবার বিয়ে হয়েছে। তোমার আগের হাজবেন্ড তোমাকে কেনো ছেড়ে দিয়েছে সেটা আমি জানি না জানতেও চাই না।
ঐ ব্যাটা এতোটাই বোকা, তোমার মতো ফুল পরী কে ছেড়ে দিয়েছে।
আমি হলে তোমাকে নিয়ে না খেয়ে গাছতলায় থাকতাম তবুও তোমাকে ছেড়ে দিতাম না।”

“রাজের কথাগুলো শুনে পরীর ভীষণ অস্থিরতা লাগতে শুরু করলো।”

রাজ আবার বলতে লাগলো, “তোমাকে পেতে দরকার হলে আমি তোমাকে বিয়ে করবো।”
তোমার একটা, দু’টো নয় হাজার বিয়ে হোক তবুও আমি রাজি তোমাকে বিয়ে করতে।
তোমাকে আমি পুরোপুরি ভাবেই পেতে চাই।”
“রাজ বড়োলোকের ছেলে হলে আমিও কম নয়।”
“আমিও বাহিরে স্যাটেল।”
“দরকার হলে তোমাকে নিয়ে ভিনদেশে পাড়ি দেবো। রাজ কখনো জানতেই পারবে না।”

“হা হা হা কি যে বলেন রাফি।
আপনি বললেন আর আমি রাজি হয়ে যাবো বুঝি?”
“এই ঘৃণ্য কথাটা বলতে একবারও কী
রাজের কথা মনে পড়লো না আপনার.?
রাজ আপনাকে কতটা আপন ভাবে আর আপনি দুমুখো সাপ হয়ে রাজের আশেপাশে ঘুরছেন ক্ষতি করার জন্য?
ভাবতেই আমার গা ঘুলিয়ে যাচ্ছে ।
রাজ যদি জানতে পারে আপনাকে আর আস্ত রাখবে না। ”

“রাফি ডেভিল হাসি ঝুলিয়ে পরী কে বললো,” কেউ জানবে না, কেউ দেখবে না তোমার আমার প্রেম লীলা। আর রাজ, সে তো খুবই তুচ্ছ। ও জানবেই বা কিভাবে?
আর ওতো তোমার প্রেমের অন্ধভক্ত তুমি যা বলবে তাই বিশ্বাস করবে।
আমি দেখেছি রাজ তোমার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে একদম ফিট্।”

“ওহ্ আপনি রাজের এই ভালবাসাটা কে কাজে লাগিয়ে আমাকে পাপ কাজে লিপ্ত করতে এসেছেন রাফি ?”

“পাপ, পাপ বলতে কি বুঝাতে চাইছো পরী । আমার ভালোবাসাটা কে পাপ বলছো। শুনো ভালোবেসে কোনো কিছু করলে তা পাপ হয়না।”

“পরী চিৎকার দিয়ে বললো, “ছিহ!”
আমি এসব লাগামহীন কথা আর শুনতে চাই না। মুখে লাগাম দিন, নয়তো এখুনি এই রুম প্রস্থান করুন।
আর আপনি কাকে ভালোবাসা বলছেন? ”

“ভালোবাসা?”

“ভালোবাসা একতরফা হয়না।
ভালোবাসা হয় দুটি মনের মিলনে, আর হ্যাঁ তা অবশ্য পবিত্র বন্ধন হতে হবে।
নয়তো এ প্রেম বৈধ নয়।
আর আমাদের ইসলামে অবৈধ প্রেম সম্পূর্ণ হারাম।
আর আপনি ভালোবাসবেন ভালো কথা কিন্তু সেটা আপনার স্ত্রী কে। ”

“আর ভালো-লাগা সেটা লাগতেই পারে, কিন্তু সেটা ধরাছোঁয়ার বাহিরে, পরী একনিমিষেই কতাগুলো বললো রাফি কে ”

“পরী কথাগুলো বললেও কথাগুলো যেনো রাফির কান পর্যন্ত পৌছায় নি। ”

“রাফি চিৎকার দিয়ে বললো, চুপ একদম চুপ।
তুই তো দেখছি বকবক করিস।
নো প্রবলেম তোর এই খই ফোটানো কেও এক্সেপ্ট করলাম।
তোর যাই খারাপ হোক না কেনো আমি সব মেনে নিবো।
আর শোন আমি এখন চলে যাচ্ছি কিন্তু বারবার যাবো না। পরের বার তোকে আমার সাথে নিয়েই যাবো এই বলে রাফি পরীর রুম প্রস্থান করলো।”
.
.
.

“পরী রাফির সামনে এতোক্ষণ শক্ত থাকলেও এখন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি।”

“খাটের বিছানার চাদর মুচড়ে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদতে লাগলো। পরীর আজ এতো এতো কান্না পাচ্ছে ইচ্ছে করছে রাজের গলা জড়িয়ে কাঁদতে।
লোকগুলো কিভাবে এতো টা ঘৃণ্য মনমানসিকতার হতে পারে আমি ভাবতেও পারছি না।
এই বিশারদ লোকগুলোর কারণে পরী স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যার্থ।
মায়ের মৃত্যুর পর একমাত্র দাদী ছিলো যাকে মনের বাসনাগুলো প্রকাশ করা যেতো।”
“কিন্তু এখন এই অবলীলায় পরী বলবেই বা কাকে।
কাউকে কিছু জানালে যদি সবাই পর করে দেয়?
এই ভেবেই পরী কাউকে কিছুই বলে না। ”

“পরী কাঁদছে ভীষণ কাঁদছে।”
“এমন সময় পরীর মাথায় শীতল স্পর্শের ছোঁয়া লাগলো।”
“পরী পেছনে তাকিয়ে দেখলো, এ যে স্বয়ং রাজ।”
“পরী আর কোনো দিক না ভেবে রাজের বুকে ঝাপিয়ে পড়লো।”

“রাজও অবলীলায় পরী কে জড়িয়ে ধরলো আষ্টেপৃষ্টে।”

“পরী কাঁদছে ভীষণ কাঁদছে, রাজের শার্ট খামছে ধরে।
রাজ পরীর কান্না দেখে সংক্রান্ত মনে পরীর কান্নার কারন খুঁজতে লাগলো।
রাজ ভেবেছে হয়তো বাবা কে ছেড়ে আসাতে পরীর মন খারাপ।
আর এই মন খারাপ থেকেই প্রচন্ড কান্না।”

“রাজ পরীর মুখে হাসি ফুটাতে চেষ্টা করতে লাগলো।”
“পরী এই পরী লক্ষীটি কি করছো?
নাকের জল আর চোখের জলে যেভাবে আমাকে ভাসাচ্ছ আমার তো ঠান্ডা লেগে যাবে।”
“পরী জানো শার্ট টা কতো শখের ?
তুমি যেভাবে ভেজাচ্ছ বন্যার জলে যে ভেসে যাবে আজ।”

“পরী এবার রাজ কে ছেড়ে দূরে দাঁড়ালো।
পরীর বিবেক পরী কে বার-বার জানান দিচ্ছে, এভাবে কাঁদলে রাজ নিশ্চয় পরী কে সন্দেহ করবে।”
” বহু কষ্টে নিজেকে সংযত রাখলো পরী।”

“রাজ পরীর কাছাকাছি গিয়ে পকেট থেকে রুমাল বের করে পরীর চোখের পানি অত্যন্ত নিপুনভাবে মুছিয়ে দিলো।”
“কাঁদছো কেনো পরী?”
“আমি আছি না বলো?”
“বাবার জন্য বুঝি মন খারাপ করছে?
চিন্তা করো না আমি শীঘ্রই তোমাকে নিয়ে বাবার বাসায় আবার ঘুরে আসবো।”

“পরী যেনো হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো।
রাজ যে কিছু বুঝতে পারেনি সেটাই অনেক।”
“কারণ পরী চায় না রাফির ব্যাপার টা রাজ জানুক।”
“একটি বার যদি জানতে পারে রাফি পরীর উপর কুনজর দিয়েছে, তাহলে তো হলোই।”
“পরী মনে মনে নিজেকে শক্ত রাখতে চেষ্টা করলো, মনে মনে পণ করলো রাফির কথা কিছুতেই রাজকে বুঝতে দিবে না।
পরী চায় না পরীর মতো অভাগিনী কে নিয়ে কোনো রকম অশান্তি হোক।”

“পরী রাজের দিকে তাকিয়ে শীতল চাহনিতে তাকিয়ে রইলো।রাজ যে খুব ভালো মনের মানুষ পরী এ কয়েক দিনে বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছে।
রাজ কে যতোই দেখছে ততই মুগ্ধ হচ্ছে।”

“বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর রাজ কোমল স্বরে পরী কে বলতে লাগলো,
পরী কে কী মন খারাপ করা মানায় বলো?”
“পরী থাকবে সবসময় হাসিখুশি মুক্ত বিহঙ্গের মতো।
যাকে হাজার চেষ্টায় কোনো দুঃখ ছুঁতে পারবে না।”
” তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো, আমি খাবার নিয়ে আসছি বলে রাজ চলে গেলো।”
.
.
.
“পরী রাজের যাওয়ার পানে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো।
পরী ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালো। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের মুখপানে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো_”
“এই রূপের প্রেমে পরতে চায় অনেকেই,
কেউ তো জানে না, এই রূপের পেছনে আছে বিরহ।বিরহের আগুনে যে ঝাপ দিবে সেই মরে যাবে ঝাপটিয়ে।”

“রাজ পেছন থেকে পরী কে জড়িয়ে ধরলো।”

“রাজের স্পর্শ পরীর চিরচেনা, পরী খুব স্বাভাবিক ভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো। পরী মুগ্ধ হয়ে অনুভব করছে।
রাজ আস্তে আস্তে পরীর ঠোঁটের কাছে আসতে লাগলো।”

” রাজ যতো কাছে আসছে পরীর হৃদয় যেনো প্রজাপতির মতো উড়ছে।
পরীর ইচ্ছে করছে খুব খুব ইচ্ছে করছে ভালোবাসা গুলো রঙীন ফানুসে উড়িয়ে দিতে।”
“হঠাৎ রাজের ছোঁয়া মিলিয়ে গেলো।
পরী চোখ খুলে তাকিয়ে দেখলো রাজ বারান্দা থেকে রুমে প্রবেশ করছে।”

“পরী কিছুই বুঝতে পারছে না।
রাজ কী সত্যি পরীর কাছে এসেছিলো?
না-কি সব ভ্রান্ত স্বপ্ন ছিল।”

“পরী কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রাজ শীতল চাহনিতে তাকিয়ে বলতে লাগলো,”পরী এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন?”
“খাবার নিয়ে এসেছি খেতে আসো।
পরী এখনো রাজের কোমল স্পর্শগুলো অনুভব করছে কিন্তু মানতে পারছে না এটা নিছকই স্বপ্ন ছিল।”
“অবুঝ মন নিয়ে রাজের কাছে এসে বসলো।”
“রাজ ভাত মাখিয়ে পরীর মুখে সযত্নে এগিয়ে ধরলো।”

“পরীর চোখ তা দেখে ছলছল করতে লাগলো। পরীর জীবনে পুরুষ এসেছিলো ঠিক, কিন্তু এমন মহাপুরুষের দেখা পরী কখনো পায়নি।”
“আনন্দে পরীর মন আজ আত্মহারা।
পরম আনন্দে পরী ভাত মুখে পুড়ে নিলো।
রাজের হাতের মাখা ভাত যেনো অমৃত।
পরীও নিজের হাতে রাজ কে খাইয়ে দিতে লাগলো।”
“রাজ খাওয়ার মাঝখানে পরীর হাতে হালকা কামড় বসিয়ে দিচ্ছে।”

“পরী আহ বলে চিৎকার দিলো।”

“সরি পরী আমি বুঝতে পারি নি আসলে তোমার হাতের মাখা ভাত এতোটাই সুস্বাদু, কোনটা খাবার আর কোনটা হাত বোঝবার অবকাশ নেই।”

” অভিমানী চোখে তাকালো পরী।”

“খাওয়া শেষে রাজ পরীর আঙুলগুলো চুষতে লাগলো।”

“রাজের স্পর্শে পরীর পুরো শরীর হীম হয়ে আসছে।
পরী আর সহ্য করতে না পেরে উঠে দৌড় দিলো। এক দৌড়ে নিচে এসে শাশুড়ির কাছে গেলো।
শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, কিছু লাগবে কি-না?
অনেক সময় ধরে গল্প করলো পরী।
অনেক রাত হলো এবার যে উপরে যেতে হবেই। কি করবে পরী এই ভয়ে গাঁয়ের লোমশ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
ক্ষণে ক্ষণে রাজের ভালোবাসায় যেনো আটকে যাচ্ছে পরীর মন।”

“আর এ দিকে রাজ বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পরীর সাথের কাটানো মুহূর্তগুলো ভাবছে।”
“রাজ পরী কে খুব খুব ভালোবাসে।
রাজ মনে মনে পরী কে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো-”

“পরী তুমি আছো আমার হৃদয়মাঝে
তুমি সৃষ্টি আমার পাঁজরের হাড়ে
ভুলিতে বলিলেও পারবোনা ভুলিতে
যতই থাকো আমার আড়ালে।”

“পরী তুমি যে আমার কতো চেনা তুমি জানো না, তোমাকে আমি দূর থেকেই ভালোবাসবো।”

“পরী অস্হির মনে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছে, আর বুকের ধুকধুকানি বাড়ছে।”

“হঠাৎ পরী কে কেউ টান দিলো, পরী টাল সামলাতে না পেরে পরে গেলো।
পরী আহ বলে চিৎকার দিতে যাবে তখুনি কেউ পরীর মুখ চেপে ধরলো।”

চলবে—–