#অন্তরালে_তুমি
#Part_03
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
.
?
— আই জাস্ট হেট ইউ। তোকে আমি নিজের বউ হিসাবে মানি না। আর না কখনো মানবো।
ইহানের কথা শেষ হতে আরিহা ইহানের দিকে তাকায় আর ঠোঁট প্রসারিত করে এক রহস্যময় হাসি দেয়। আর শান্ত গলায় বলে উঠে,
— এভরিওয়ান প্লিজ ক্লোস ইউর আইস।
সবাই এইবার চুপচাপ চোখ বন্ধ করে নেয়। আরিহা এইবার ইহানের কাছে গিয়ে ওর শার্টের কলারটি ধরে এর মুখটা টেনে ওর সামনে নিয়ে আসে আর ওর গালে হাল্কা করে ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে দূরে সরে যায়। আরামসে পায়ের উপর পা তুলে সোফায় গিয়ে বসে। তারপর শক্ত গলায় বলে,
— নাও ওপেন ইউর আইস। তো একটু আগে এইখানে কি হয়েছিল তা কি কেউ জানেন বা দেখেছেন?
সবাই এইবার মাথা নাড়ায়। যার অর্থ, ” না তারা কিছু দেখে নি আর না তারা কিছু জানে। ”
আরিহা এইবার মুচকি হেসে বলে,
— এইখানে কি আদো কোন ইন্টারভিউ হয়েছিল বা আমি নামক কাউরো বাসায় কি এসেছিলেন?
এইবারও সবাই মাথা নাড়ায়। যার অর্থ এই যে, ” তারা এইখানে আসেই নি।”
— সো ইউ গাইস ক্যান লিভ নাও। আর সন্ধ্যায় একদম ঠিক ৭ টা বাজে আপনারা অফিসার্স ক্লাবে চলে আসবেন। সেখানেই হবে আসল ইন্টারভিউ। গোট ইট!
সবাই এবার একত্রে বলে উঠে,
— ইয়েস ম্যাম।
— এখন আপনারা আসতে পারেন।
সবাই এইবার একে একে চলে যায়। ইহান এতক্ষণ মূর্তির ন্যায় দাড়িয়ে ছিল। সবকিছু যেন ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিল। সে শুধু ড্যাব ড্যাব করে আরিহার দিকে তাকিয়ে আছে। আরিহা এইবার মুচকি হেসে বলে,
— তুমি বার বার কেন ভুলে যাও তোমার থেকেও বেশি আমি তোমাকে জানি। তোমার শিরা উপশিরার সাথে পরিচিত আমি। সকালে তোমার হাব-ভাব দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম তোমার মনে ঠিক কি চলছে আর তুমি কি চাও।
তাই তো এই রিপোর্টারদের কিছু টাকা দিয়ে এইখানে টাইম ওয়েস্ট করার জন্য এনেছিলাম। কিন্তু চিন্তা নেই এরা কোন নিউজই বাইরে দিবা না কেন না এরা আমার কেনা। শুধুমাত্র আমার একমাত্র বরের ইচ্ছাটা পূরণের জন্য এত কিছু করা।
— ইউউ!! চেঁচিয়ে।
— আই নো আ’ম মাচ বিউটিফুল। নতুন করে বলতে হবে না। অহ হ্যাঁ! সন্ধ্যায় আজ আমাদের রিসেপশন। এইটা অবশ্য বর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু এইটা আমিই অনুষ্ঠিত করছি।
আজকে রাতে সকলের সামনে ফাইলানি এনাউন্সড করা হবে যে উই আর অফিশিয়ালি মেরিড। আজকের পার্টিতে কিন্তু সবাই থাকবে। সবাই মানে সবাই। তাই এখনকার মত স্টুপিডিটি করো না। কেন না এতে আমার নাম না বরং তোমার নামই নষ্ট হবে।
নিজেকে যদি এক অত্যাচারী স্বামী হিসাবে পরিচিতি অখ্যাত না করতে চাও তাহলে ভালো মত থেকো। বাঁকা হেসে।
— নিজেকে অনেক স্মার্ট ভাবো তাই না?
— ভাবার কি আছে? আমি যে স্মার্ট তা আমার অজানা নয়। আর হ্যাঁ এখন নিজের কাজে যাও। বাসায় বসে থাকলে টাকা আসবে না। নিজের ভালো মত লাইফ লিড করতে হলে টাকা আবশ্যক। আর এমনেও কাজ কামাই দেওয়া আমি পছন্দ করি না। সো নিজের স্টুডিওতে যাও।
আমি আমার অফিস গেলাম বায়। বিকেলের আগে বাসায় এসে পড়ো। আর কোন চালাকি না। ভুলে যেও না তোমার বোনের উপর কিন্তু আমার গার্ডরা চব্বিশ ঘণ্টা কড়া নজর রাখছে।
এই বলে আরিহা রুম থেকে বেগ আর গাড়ির চাবি নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে চলে যায়। ইহান এইবার রাগে ফুসতে থাকে।
— জাস্ট রিডিকুলাস!!
এই বলে সামনে থাকা টি-টেবিলে সে স্বজোরে ধাক্কা দেয় আর সোফায় মাথা চেঁপে বসে থাকে।
.
?
.
ল্যাপটপে মুখ গুঁজে বসে আছে আরিহা। আপ কামিং ফ্যাশন শোয়ের জন্য কিছু এক্সক্লুসিভ ডিজাইন সিলেক্ট করছে সে। কিছুক্ষণের মধ্যে পিওন এসে ওর পাশে পড়া থাকা ফাইলগুলো নিয়ে চলে যায়। সে যেমন নীরবে এসেছিল ঠিক সেই নীরতা বঝিয়ে রেখেই চলে যায়।
বেশ কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে দুইজন রমনী এসে হাজির হয়। তারা মুখে এক শয়তানি হাসি নিয়ে পা টিপে টিপে আরিহার দিকে অগ্রসর হয়। যেই না ওকে চমকে দিতে যাবে তখনই আরিহা বলে উঠে,
— ফ্রিজজ!!
দুইজনই এইবার ভূত দেখার মত চমকে উঠে। আর সর্তক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ঠোঁটের কোনে কেবলা মার্কা হাসি ঝুলিয়ে নেয়। আরিহা এইবার ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে দুইজনের দিকে তাকায়। দুইজনেই আরিহার দিকে কেবলা মার্কা হাসি উপহার দিচ্ছে। আরিহা এইবার নিজের ইজি চেয়ারে হেলান নিয়ে শান্ত গলায় বলে,
— মুভ!!
মুভ বলার সাথে সাথে দুইজনই হামলে পড়ে আরিহার উপর। দুইজনে দুইসাইড দিয়ে জড়িয়ে ধরে আর বলে উঠে,
— উই মিসড ইউ।
আরিহা এইবার একরাশ বিরক্তি নিয়ে ওদের দিকে তাকায়। তারপর ওদের নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,
— ন্যাকা করবি না তো তোরা। আমি কি মরে ভূত হয়ে গিয়েছিলাম নাকি যে আমাকে মিসড করেছিলি? নাকি সন্নাসী হয়ে দূর এভারেস্টের শীর্ষে গিয়ে ঘাপটি মেরে বসে ছিলাম?
তখন ডান পাশে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটি মুখ ফুলিয়ে বলে উঠে,
— তোর কাছে কি আমাদের ফিলিংসের কোন দাম নেই তাই না? এই প্রথম তোকে ছাড়া এব্রোট গিয়েছিলাম আমরা। তাহলে তোকে মিস করাটা কি স্বাভাবিক না?
আরিহার এইবার সেই মেয়েটির দিকে তাকায়। পড়নে তার একটা লং পিংক কালারের টপস আর ব্লু জিন্স। গলায় একটা পিংক এন্ড পার্পেল সেডের স্কার্ফ ঝুলানো। লেয়ার কাটা চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া। মুখটা ফুলিয়ে আছে। শ্যামলা হওয়ার ফলে এই অভিমানী চেহারাটাতেও জানি অসংখ্য মায়া এসে ভর করেছে। একদম নজরকাঁড়া। পুষ্পের স্নিগ্ধতার মত। নামের সাথে মেয়েটার আচরণ একদম মিলে। পুষ্পিতা!
আরিহা এইবার শান্ত দৃষ্টিতে পুষ্পিতার দিকে তাকায় আর বলে,
— একদম ঠিক পুষ্পি। আমার কাছে ফিলংসের দাম নেই কিন্তু তোদের দাম ঠিকই আছে।
তখন বাম পাশে অবস্থিত মেয়েটি বলে উঠে,
— তাহলে তো ফিলিংসও থাকার কথা। কেন না যে মানুষের দাম আছে তার ফিলিংসের দাম আছে।
আরিহা সেই মেয়েটির দিকে তাকায়। পড়নে তার লাল লং কামিজ আর জিন্স। গলায় লাল কালারের একটি স্কার্ফ ঝুলানো। চুল গুলো উঁচু করে ঝুঁটি করা। চোখে চিকন ফ্রেমের সিলভার কালারের একটি চশমা। হলদে ফর্সা হওয়ায় চশমাটা চেহারার সাথে একদম মানানসই। কিন্তু চোখে মুখে তার বিভ্রান্তিকর দৃষ্টিভঙ্গি। নীরা নামটির সাথে মেয়েটার স্বভাব একদম মিলে না। যাকে একদম স্রোতস্বিনী মত হওয়ার কথা সে নাকি সবসময় সে বিভ্রান্তির মধ্যেই থাকে।
আরিহা এইবার উঠে দাড়ায়। তারপর ধীর তার আউট ফিট কালেকশনের দিকে গিয়ে দাড়ায়। সেখান থেকে একটা ব্ল্যাক কালারের স্কার্ফ বের করে নীরার সামনে দাড়ায়।
ওর গলা থেকে লাল স্কার্ফটা খুলে ব্ল্যাক কালারের স্কার্ফটা ভালোভাবে ঝুলিয়ে দিয়ে বলে,
— নাও পার্ফেক্ট! জানিস জীবনটাও এই কালার মেচিং এর খেলার মত। কখনো একই রঙের ব্যবহারের চেয়ে ভিন্ন ধরনের রঙের ফলে আসল সৌন্দর্যটা বেড়িয়ে আসে। আর জিনিসটি দ্বিতীয়বার দেখার নতুন দিক বেরিয়ে আসে।
নীরা এইবার আবারও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যায়। সে বোকাবোকা চোখে আরিহার দিকে তাকিয়ে বলে,
— এইটা কি আমার প্রশ্নের উত্তর? কিন্তু উত্তরটা কেমন যেন বেমানান লাগছে।
আরিহা এইবার হো হো করে হেসে নীরার মাথায় একটা চাপড় মারে। তারপর বলে,
— এইটা পুষ্পির প্রশ্নের উত্তর ছিল। ও বললো না এই প্রথম ও আমায় ছেড়ে এই প্রথম বাইরে কোথাও গিয়েছে তাই ওকে বুঝানোর জন্যই এই কালার মেচিং এর কথাটা দিয়ে বুঝালাম। বুঝলি!
আর রইলো তোর প্রশ্নের উত্তরটা। সেটা আমি না বললেও তোর বুঝার কথা। কিন্তু তাও আমি বলছি,
ফোর মি ফিলিংস আর ভেলুলেস। এর কখনোই কোন দাম হয় না। কেন না ফিলিংস শুধু একটা মানুষকে দূর্বল করে আর কিছুই না। কিন্তু একটা মানুষের দাম জানা মানে হচ্ছে সেই মানুষের কদর করতে জানা। এইটি কখনো তোমায় দূর্বল করে না বরং সর্বদা তোমায় সম্মানের অংশিদার বানায়। তুমি যদি মানুষের কদরই করতে না যানো তাহলে তোমার সেই ফিলিংস দিয়ে লাভ কি? ফিলিংস ক্ষণস্থায়ী যা সময়ের সাথে ফুরিয়ে আসে। কিন্তু একটা মানুষের দাম বা ইমপোর্টেন্স কখনো কমে আসে না। তো বলতে গেলে ফিলিংসের দামের চেয়ে মানুষের দাম বেশি।
পুষ্পিতা এইবার স্মিত হেসে বলে,
— তোর কাছে সব কিছুরই এক্সপ্লেনেশন আছে তাই না? কিন্তু এই এক্সপ্লিনেশন একদিক দিয়ে যুক্তিসংগত হলেও এইগুলা হার্টলেস এক্সপ্লিনেশন।
মানুষ আবেগপ্রবণ জীব। তাদের কাছে এই আবেগ ওর এই ফিলিংস গুলোই বেশি মেটার করে বুঝলি। যেমনটা আমার আর নীরার বেলায়। কিন্তু তো আর আমাদের মত না সো তোর কাছে এইগুলা ইউসলেস, ভেলুলেস।
আরিহা এইবার বিরক্তিকর একটা ভাব নিয়ে বলে,
— স্টোপ দিস মেলোড্রামা পুষ্পি। এমন তো নয় যে তুই আজ নতুন করে আমায় জানছিস বা নতুন করে চিনছিস। বোথ অফ ইউ গাইস নো মি ভেরি ওয়েললি দ্যাট হাও আই এম। এখন ন্যাকা সাজিস না তো।
বন্ধুত্ব তোরা স্বেচ্ছায় করেছিলি আমি তোদের জোর করি নি নিজের বন্ধু হওয়ার জন্য। তাই এখন এইসব বলে লাভ কি?
নীরা বেশ বুঝতে পারে আরিহা রেগে যাচ্ছে আর যদি আরিহা একবার রেগে যায় তাহলে তুলকালাম কান্ড ঘটে যাবে। তাই সে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বলে উঠে,
— শেক ইট অফ গাইস। মেটার এইখানেই ক্লোস। ডিয়ার পুষ্পি এইসব বাদ দিয়ে মেইন কথাতে আয়। আমাদের আরিহা বেবি যে বিয়ে করে বসে আছে তার কি ভুলে গিয়েছিস?
পুষ্পি এইবার জিহ্বাতে এক কামর দিয়ে বলে,
— একদম ভুলেই গিয়েছিলাম। তা আরিহা বেবি ঘটনা কি হা? যার কাউরো প্রতি ফিলিংস নামক সফটওয়্যার কাজই করে যে প্রেমে পড়ে বিয়েও করে ফেললো। হাও ইজ দ্যাট ইভেন পসিবেল? হাও! হাও!
আরিহা এইবার বিরক্তিকর দৃষ্টিতে পুষ্পির দিকে তাকায়।
.
?
.
কানে হেডফোন লাগিয়ে উচ্চস্বরে গান শুনছে ইহান। মূলত নিজেকে সামলিয়ে রাখার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করছে সে। পাশেই রাহুল, সোহেল, তীব্র ইহানের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে আছে।
প্রায় ১ ঘন্টা আগে ইহান স্টুডিওতে এসে কানে হেডফোন গুজে এইভাবেই বসে আছে। চোখে মুখে রাগান্বিত ভাব ফুটে উঠার ফলে কেউ আর ওকে কিছু বলার সাহস পায়নি। কিন্তু এখন আর ওরা দমে বসে থাকতে পারছে না যার ফলে রাহুল সাহস সংচয় করে ইহানকে ডেকে উঠে,
— ইহান! ইহান!!!
ইহান এইবার ভ্রুকুটি জোড়া করে একটা বিরক্তিকর ভাব নিয়ে রাহুলের দিকে তাকায়। রাহুলের পড়নে অতি সাধারণ একটি গেঞ্জি আর টাউজার। চুল গুলো কিছুটা অগোছালো।
ইহান এইবার সোহেল আর তীব্রর দিকে তাকায়। রাহুলের চেয়ে তুলনা মূলক ভাবে ভালোই। সোহেলের গায়ে একটা খয়েরি কালারের শার্ট আর পেন্ট। চুল গুলো ব্রাশ করা।
তীব্রর গায়ে হোয়াইট টি-শার্ট আর ব্লু জ্যাকেট। চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা। মোটামুটি ওদের গ্রুপের মধ্যে ইহান আর তীব্রই বেশি পরিপাটি হয়ে থাকে।
ইহান সকলের দিকে চোখ বুলিয়ে রাহুলের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকায়। কিছুটা বিরক্তিকর কণ্ঠে বলে উঠে,
— হোয়াট?
— এইভাবে থম মেরে বসে আছিস কেন? কিছু তো বল। কালকে এত বড় ঘটনা হয়ে গেল আর তুই এখনো নিরব।
তীব্র এইবার রাহুলের সাথে তাল মিলিয়ে বলে উঠে,
— আরিহার সাথে তুই যা করেছিস তা প্রতিশোধ নিতে কিন্তু আরিহা তোকে বিয়ে কেন করছে? প্রতিশোধ নিতে নাকি ওর অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে। সন্দেহ কণ্ঠে।
ইহান এইবার শান্ত দৃষ্টিতে বলে,
— জানি না ওর উদ্দেশ্য কি। ও কি চাচ্ছে আল্লাহ এই জানে। এক সময় মনে হয় ও সত্যি আমায় ভালবেসে এই বিয়েটা করেছে আবার অন্য সময় মনে হয় যে না ওর উদ্দেশ্য অন্য কিছু।
ভাই রে ভাই এই মাইয়াটা কোন গোলকধাঁধা থেকে কম না। ওকে বুঝা দূর্লভ।
রাহুল এইবার কিছু সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
— তাই বলে কি তুই পরাজয় মেনে নিয়েছিস?
রাহুলের কথা শুনে ইহান তেতে উঠে,
— একদম না। আরিহাকে আমি এত তারাতারি ছেড়ে দিব না।
সোহেল তখন কৌতূহল ভরা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,
— তোর কাছে কি কোন প্ল্যান আছে?
ইহান তখন বাঁকা হেসে বলে,
— ইয়াহ! তার আগে বল অর্পা কোথায়?
সোহেল তখন বলে উঠে,
— আজকের পার্টির জন্য কিছু জিনিস কিনতে গিয়েছে। ইউ নো না পার্টির কথা শুনলে গার্লসদের ফ্যান্টাসি কতটা বেরে যায়।
রাহুল তখন সোহেলের পেটে গুতা মেরে বলে,
— আবে চুপ শালা। সবসময় অর্পার পিছে পড়িস কেন? যতসব থার্ডক্লাস মার্কা পোলাপাইন।
সাহেল কিছু বলতে যাবে তার আগেই তীব্র দুইজনকে চুপ করিয়ে দেয়। তা না হলে এখন ছোট খাটো রণক্ষেত্রের দামামা পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যাবে। তীব্র ওদের থেকে নিজের দৃষ্টি সরিয়ে বলে,
— তোর মাথায় ঠিক কি চলছে আগে বল তো।
ইহান বাঁকা হেসে বলে,
— আজকের পার্টিতেই ধামাকা হবে। আরিহা এইবার অনেক উড়ছে তাই তো। ও আজ আকাশ থেকে মুখের উপর পরবে।
রাহুল তখন উৎসুক চোখে ইহানের দিকে তাকিয়ে বলে,
— কিভাবে?
ইহান এইবার বাঁকা হেসে সব বলে। সবকিছু শুনে সকলেরই মুখ হা হয়ে যায়।
#চলবে