#দুই_পৃথিবী
#লেখিকা- রিতু
#পর্ব-২
আফসান কিছুটা অপ্রস্তুত বোধ করে বোধ করে বললো
-আমি তো একবারো বলি নি যে আপনাকে চিনতে পারছি নাহ।আমি বলছি আপনি আমার কাছে কি মনে করে এলেন?
-সব সময় দরকারেই কারো কাছে আসতে হয় এটা তো জানা ছিল নাহ।
আফসান কি বলবে ভেবে না পেয়ে চুপ করে রইলো।স্নেহা কিছুক্ষণ উত্তরের অপেক্ষা করে উত্তর না পেয়ে বললো
-আমি অবশ্য দরকারেই এসেছি।আমি আমার একটা প্রোট্রেট করাতে চাই আপনাকে দিয়ে।
আফসান জয়ের একটা হাসি দিল।হাসিটা দেখে স্নেহার মনে হলো সে বিশ্বকাপ জয় করে ঘরে ফিরেছে।
আবারো আফসানের উত্তর না পেয়ে স্নেহা বললো
-কি?করে দিবেন না?
-আমার কাজই ছবি আঁকা।আর আপনার মতো কেউ যদি…
আফসানকে কথা শেষ করতে না দিয়েই স্নেহা উঠে পড়লো।আফসান এর মনে হচ্ছে তার অতি প্রিয়জন তাকে ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাচ্ছে।কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে তার।সে কিছু না ভেবেই বলে ফেললো
-এখনি উঠছেন?আর এক কফি খেয়ে যান।
স্নেহা হালকা হেসে বললো
-এখন দুপুর ২.৩০ এর মতো বাজে।এই সময় কফি খাওয়ার মতো ইচ্ছা আর আমার নেই।তবুও আপনি যদি বলেন আর কিছুক্ষণ বসতে পারি।কিন্তু কফি নাহ।
আফসান লজ্জিত ভঙ্গিতে বললো
-সরি,আসলে খেয়াল ছিল না একদম।
-সমস্যা নেই।একটা প্রশ্ন করি?
-সিউর।
-আপনি আমাকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন?
-এর আগের বছর পহেলা বৈশাখ এর দিনে প্রথম দেখেছিলাম টি এস সির সামনে।আপনি চুড়ি কিনে হাতে চুড়ি পড়ছলেন।
স্নেহার মনে পড়ে গেল সেদিনের কথা।সে সেদিন লাল টকটকে রঙের একটি সুতি শাড়ি পড়েছিল।শাড়ি টার পাড় ছিল হালকা সোনালি সুতোই কাজ করা।চুল টা ছেড়ে দিয়ে চোখে গাঢ় করে কাজল,কপালে লাল টিপ,ঠোঁটে হালকা করে লাল লিপস্টিক আর একটা ঝুমকো পড়ে বেরিয়ে ছিল।কিন্তু চুড়ি পড়তে একদম ভুলে গিয়েছিল সে।তাই টি এস সির সামনে থেকে মুহিব ভাই তাকে চুড়ি কিনে দিয়েছিল।আর কাল যে প্রোট্রেট টা দেখেছিল সেটিও ছিল অবিকল সেদিনের সাজের মতোই।একদম মাথায় আসে নি তার।দিনে দিনে সে কি মনভূলা হয়ে যাচ্ছে!!
এদিকে আফসান একটু থেমে আবার বলতে শুরু করলো
-তখন আপনাকে দেখে কেন যেন আমার মনে হচ্ছিল আপনাকে আমার ক্যানভাসে আঁকলে দারুণ লাগবে।তাই আপনার পিছু নিলাম।আপনি চুড়ি কেনার পর গেলেন ঢাকা ইউনিভারসিটির চারুকলা বিভাগে।সেখানে একটা ছেলের সাথে কিছুক্ষণ বসে ছেলেন।
-হ্যা।আমার খালাতো ভাই ছিল আমার সাথে।
-অহ।তারপর আপনি একটি গাছ ধরে দাঁড়ালেন।ছবি উঠানোর জন্য।মনে পড়ে?
-জ্বি
-আপনার ভাই ছবি গুলো তুলছিল।আর আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন পোছ দিচ্ছিলেন।
স্নেহার অস্বস্তি লাগছে।ছবি ওঠা একটা পারসোলান ব্যাপার।আর সেই সময় টাই সবাই নিজের মনে একেক ভাবে পোছ দিয়ে দিয়ে ছবি ওঠে।যেটা সে আর ক্যামেরা ম্যান ছাড়া কেউ দেখলে কেমন যেন বিরক্ত লাগে।আর এই লোকটি চুপিচুপি এই কাজ গুলোই করেছে।অসহ্যকর ব্যাপার একটা।
-আর আপনার একটা পোছ আমার এতো বেশি ভাল লেগে গিয়েছিল যা বোঝানোর মতো না।আপনার ভাই ছবিটা ক্যাপচার করে নিয়ে ছিল তার ক্যামেরায়।আর আমি নিয়েছিলাম আমার মনে।
বলেই হালকা হাসলো আফসান।
স্নেহা উঠে দাঁড়িয়ে বললো
-আজ আসি।সব কথা এক সাথে শুনলে পরে কথা বলার মতো কোন টপিক থাকবে নাহ।
-সেটাও।
-আমি আপনাকে ফেসবুকে এড করবো।দয়া করে..
স্নেহার কথা শেষ না হতেই আফসান বললো
-অবশ্যয় করবো।
স্নেহা বাড়িতে গিয়েই ঢুকে পড়লো শাওয়ার নিতে।সারাদিন রোদে রোদে ঘুরে গাঁ কেমন যেন ঘিনঘিন করছে।১ ঘন্টা শাওয়ার নেওয়ার পর বের হলো সে।চুল টা মুছেই গেল ডাইনিং এ।ক্ষুধায় তার পেট থেকে চো চো শব্দ আসছে।
ময়নার মা আজ রান্না করেছে ইলিশ মাছ।ইলিশ মাছ খুব একটা পছন্দ না স্নেহার।তবুও সে খুব আরাম করে অনেকটা ভাত খেল।তারপর রুমে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লো।ঠিক সে সময় ফোন টা বেজে উঠলো তার।মুহিব ভাই ফোন করেছে।
তার খালাত ভাই মুহিব।বড় খালার ছেলে।মা চলে যাবার পর থেকে বড় খালাই তাকে মায়ের আদর দিয়েছে।কখনো মা নেই এমন টা মনে করতে দেই নি।মুহিব ভাই ঢাকা ইউনিভারসিটি থেকে ম্যাথ নিয়ে পড়ছে।পড়া নাকি শেষ হওয়া হওয়া ভাব।আসলে নিজে থেকে স্নেহা কখনো কিছু জিজ্ঞেস করে না তাকে।মুহিব ভাই যে তাকে পছন্দ করে এটি স্নেহা জানে।এমনকি খালাও ওকে তার ছেলের বউ করে নিতে চায় সেটিও জানে সে।সব জেনেও স্নেহা এমন একটা ভাব করে যেন এ জগৎ সম্পর্কে কিছুই বোঝে না সে।
৪ বার রিং হবার পর ৫ম বারে ধরলো স্নেহা।
-হ্যালো স্নেহা?
-জ্বি স্নেহা
-আজ কে ফ্রি আছিস?
-ফ্রি না থাকলেই কি বা থাকলেই কি আজ আমি বের হবো নাহ।
-প্লিজ একটু বের হ নাহ!
-সম্ভব না মুহিব ভাই।
-প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
-না না না না না।
-আমি তোর জন্য অপেক্ষা করবো।
কিছু না বলেই ফোন কেটে দিল স্নেহা।সে যতোই না করুক না কেন মুহিব জানে স্নেহা ঠিকই আসবে।
বিকাল ৫.৩০ এর মাঝেই স্নেহা এসে উপস্থিত হলো ধানমন্ডি লেকে।মুহিবের খুব প্রিয় জায়গা এটা।প্রায় বিকেলেই সে স্নেহা কে ফোন দিয়ে আসতে বলে এখানে।প্রতি বারই স্নেহা আসবে না বলেও ঠিকই এসে উপস্থিত হয়।আজও এসেছে সে।
কটকটে হলুদ রঙ এর সিলকের পাঞ্জাবি,চোখে সানগ্লাস পড়ে দাঁড়িয়ে আছে এক ২৬ বছর বয়সি এক লোক।মাথা ভর্তি চুল গুলো আগোছালো কোঁকড়ানো।চোখ দুটো গোল ছোট ছোট,ঠোঁট বেশ পুরু।চওড়া কাধ,সব কিছু মিলিয়েও অন্য কিছু আকর্ষণ তার মাঝে আছে।
স্নেহা লোকটির কাছে এসে দাঁড়িয়ে বললো
-মুহিব ভাই তোমাকে এই হলুদ পাঞ্জাবি তে কতো টা বিশ্রি লাগছে তুমি জান?
মুহিব সানগ্লাস টা চোখ থেকে নামিয়ে বললো
-কোন দিন টায় আমায় তোর কাছে ভাললাগছে?
স্নেহা সে কথার উত্তর না দিয়ে ফোন বের করে তার প্রোট্রেট টা মুহিব কে দেখালো।মুহিব ও ঠিক ওর আর বাবার মতো কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলো।স্নেহা ফোন টা নিয়ে আগের বারের পহেলা বৈশাখের ঠিক ঔ ছবি টা ও বের করে মুহিব কে দেখালো।সে আফসান এর বাসা থেকে ফেরার সময় রিক্সায় বসে অনেকক্ষণ গ্যালারি ঘাটার পর এই ছবি টি পেয়েছে।
মুহিবকে ছবি টি দেখিয়ে স্নেহা বললো
-দেখেছ?একই ছবি।অথচ কত তফাৎ!
মুহিব ছবির দিকে তাকিয়েই বললো
-হুম
-আমার কাছে আঁকানো টাই ভালো লেগেছে।মনে হচ্ছে জীবন্ত আমি ই দাঁড়িয়ে আছি।ঠিক না?
-হুম।
-তোমার কোনটা ভালো লেগেছে?
-হুম
-হুম কি?যাই হোক লোকটার তারিফ করলেও কম হবে।জানো তাকে আমি বলে এসেছি আমার আরো একটা প্রোট্রেট করতে।
এবার মুহিব স্নেহার দিকে তাকিয়ে বললো
-কেন?
-কেন আবার!আমি নিজের মতো করে পোছ দিব আর সে তার মনের ক্যানভাসে আমার ছবি আঁকবে।
বলেই হেসে গড়িয়ে পড়লো স্নেহা।সব সময় স্নেহার হাসি মুহিব কে খুব টাইনলেও আজকের এই হাসি টা বিরক্ত লাগলো।
ভ্রু কুঁচকে মুহিব স্নেহা কে বললো
-ঠাট্টা করবি না।আমার একদম ভালো লাগে নাহ।
স্নেহা মুহিবের এই চেহারা দেখে হাসি থামানো পরিবর্তে দ্বিগুন বাড়িয়ে দিল।
রাতে আনিস সাহেব খেতে বসে বিরক্ত ভঙ্গিতে বললো
-ময়নার মা,,তুমি এই গুলো কি রেঁধেছ?
ময়নার মা তাদের বাড়ি তে কাজ করে।স্নেহার জন্ম হবার পড়েই আনিস সাহেব তাকে নিয়ে এসেছিল স্নেহার দেখাশোনার কাজে।এখনো সে এ বাড়িতে রয়েই গেছে।
ময়নার মা নিচু গলায় জবাব দিল
-খারাপ হইছে ভাইজান?
-তুমি যাও আমার চোখের সামনে থেকে।স্নেহা ওকে যেতে বল।
স্নেহা এতোক্ষণ চুপচাপ বসে খাচ্ছিল।এবার খাওয়া বাদ দিয়ে সে ময়নার মার দিক তাকিয়ে বললো
-তুমি যাও
ময়নার মা কিছু না বলেই চলে গেল রান্না ঘরে।সে এই বাড়িতে আছে ২০ বছরের মতো হলো।স্বামী সন্তান কে ফালাইয়া রেখে সে পড়ে আছে এখানে।ময়নার বিয়ে হলো এর আগের বছর।তখন আনিস সাহেব তার মেয়ের বিয়েতে গিয়ে একটা টিভি কিনা দিয়ে আসছে তার মেয়েরে।মাঝে মাঝে বকা ঝকা করলেও অন্তরের দিক থেকে অনেক ভালো সে।তাই তার কথা শুনে মনে কষ্ট পায় না ময়নার মা।
রাতে স্নেহা ঘুমাবে এমন সময় তার মনে হলো সে বিকালে আফসান কে এড করেছিল ফেসবুকে।এক্সেপ্ট করেছে কিনা জানতে ফেসবুকে ঢুকলো স্নেহা।হ্যা এক্সেপ্ট করেছে।আর আফসান কে অনলাইনে ও দেখাচ্ছে।সে ম্যাসেজ দিবে কিনা ভাবতে ভাবতে দিয়েই ফেললো ম্যাসেজ।
Sneha Sarkar-Hi?
ঠিক তখনি রিপ্লাই এল তার।যেন এতক্ষণ স্নেহার ম্যাসেজের অপেক্ষায় ছিল সে।
Afsaan Abir-কি করছেন?
Sneha Sarkar-কিছু না।আপনি??
অন্য কেউ হলে স্নেহা নিশ্চিত রিপ্লাই করতো ‘হাডুডু খেলছি।আসেন খেলবেন??’এত রাতে কি করা যায় সেটাও কি এরা জানে না!
আবিরের রিপ্লাই এসেছে।
Afsaan Abir-রঙ নিয়ে বসে আছি।একটা জিনিশ আকার চেষ্টা করছি।?
Sneha Sarkar-কি আকছেন?
Afsaan abir-তেমন কিছু নাহ।
Sneha Sarkar-থাক,বলতে না চাইলে বলতে হবে নাহ?
Afsaan Abir-রাগ করবেন না প্লিজ?।
Sneha Sarkar-?
Afsaan Abir-আমি আবার বন্দুক দেখে ভয় পাই।একটা ডাইলোগ আছে না?
‘পেয়ার সে ডার নেহি লাগতা,,পার বান্দুক সে লাগতি হেয়’?
Sneha Sakar-?সালমান ফ্যান?
Afsan Abir-ইয়েস?আমার বস সে।বডি দেখে বোঝো নি??
Sneha Sarkar-বুঝেছি।তার মানে আপনি সবাইকে বডি দেখিয়ে বেড়ান??
Afsaan Abir-মোটেও না।আমি তো তখন মাত্র ফ্রেশ হয়ে বের হইছিলাম?।
Sneha Sarkar-??
btw চিমটি?
Afsaan Abir-লাগলো তোহ?।চিমটি কেন?
Sneha Sarkar-উই আর সালমান ফ্যান?
Afsaan Abir-হাহাহা?আচ্ছা থাক।আমার ছবি আকার মুড এসে গেছে
Sneha Sarkar-ছবি আঁকতে আবার মুড ও লাগে নাকি!?
Afsaan Abir-জ্বি ম্যাডাম।শুভ রাত।বিদায়?
Senha Sarkar-গুড নাইট?
ফোন টা চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো স্নেহা।ঘুম ভাঙল তার বাবার ডাকে।উঠেই স্নেহা ফোন হাতে নিয়ে ম্যাসেনজারে ঢুকলো।afsaan abir was active 5 hours ago লিখাটা আগে দেখলো সে।এখন বাজে ৮ টা।রাত ৩ টার দিক লোকটা ফেসবুকে কি করছিল!আচ্ছা লোকটার জন্য তার এমন লাগছে কেন!সে কি লোকটা কে পছন্দ করে!অবশ্য পছন্দ হতেই পারে।পছন্দ হওয়া খারাপ কিছু নাহ।লোকটিকে যে কোন মেয়ে দেখেই পছন্দ করবে।।
প্রতিদিনের অভ্যাস মতই চা নিয়ে বারান্দায় এল স্নেহা।কাপ বাবার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো
-কাল মা ফোন করেছিল বাবা।
আনিস সাহেব হালকা নড়ে চড়ে বসে বললো
-অহ
-হ্যা।
-কি বললো?
-আমার সাথে ২ মিনিট কথা বলতে চায়।বড় খালা নাকি নাম্বার টা দিয়েছে।বড় খালার ও কাজ নেই।এমনি নাম্বার টা কেন দিতে হবে!
-সে তোর মায়ের বোন।বোন চেয়েছে তাই দিয়ে দিয়েছে।
-চাইলেই দিতে হবে কেন!
আনিস সাহেব তার চশমা টা খুলে মুছতে মুছতে বললো
-সেটাও।তো কি কথা হলো?
-আমাকে বললো ‘আমি তোর মা’।আমি বললাম ‘মা টা আবার কি,আমি মা নামের কাউকে চিনি না’।তারপর সে বললো ‘স্নেহা আমার উপর আর রাগ করে থাকিস নাহ’।আমি বললাম ‘আমি অচেনা কারোর উপর রাগ করে থাকি না।আর আমি অচেনা কারো সাথে কথাও বলি না’।তারপর সে বললো ‘আমার কিছু করার ছিল নারে।তোর বাবা আমাকে সুখ দেয় নি।’আমি তখন বললাম ‘আপনি কে বে!আমার বাবা কে নিয়ে কথা বলার সাহস আপনাকে কে দিল!সব ফালতুর দল।আর কখনো ফোন দিয়ে বিরক্ত করবেন নাহ’।বলেই কেটে দিয়ে নাম্বার ব্লক লিস্টে রাখলাম।
আনিস সাহেব চা খেতে খেতে কঠিন স্বরে বললেন
-এভাবে কথা বলে একদম ঠিক করিস নি।এখনি ফোন দিয়ে সরি বল।
-আমার রাগ উঠে গিয়েছিল বাবা।সে কেন তোমার নামে বাজে কথা বলবে!
-বাজে কথা কই বললো?তাকে হয়তো আমি আসোলেই সুখ দেই নি।যা সরি বলে আয়।
-সরি বাবা।আমি এ কাজ টা কখনোই করবো নাহ।
বলেই রুমে চলে এল স্নেহা।রাগে তার হাত পা কাঁপছে।তার এত ভাল একটা বাবা কে তার মা এভাবে কষ্ট দিতে পারলো!!নিজে কে ভাবে কি মহিলা টা!
কিছুক্ষণ বসে রইলো স্নেহা বিছানায়।সে আজ কলেজে যাবে নাহ।তার মন টা আজ অস্বাভাবিক খারাপ।বাবা বাইরে চলে গেছে অনেকক্ষণ হলো।স্নেহা ফোন টা হাতে নিয়ে ডাটা অন করতেই এল দু টো ম্যাসেজ।
প্রথম ম্যাসেজ
Akramul Islam-ki bapar?kobe jaben lunch a??
দ্বিতীয় ম্যাসেজ
Afsaan Abir-আজ বিকেলে সময় হবে কি আমার সাথে দেখা করার?
প্রথম ম্যাসেজ টা দেখে স্নেহার যতোটা না মেজাজ খারাপ হয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাসেজ দেখে তার ১০ গুণ মেজাজ ভালো হয়ে গেল।সে আলমারির কাছে এগিয়ে গেল।অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর ঠিক হল আজ নীল শাড়িটা পড়ে দেখা করতে যাবে সে আফসান সাহেবের সাথে।এটা কি বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে নাকি!হলে হবে।তবুও আজ সে নীল শাড়িটা পড়েই সুন্দর করে সেজে উপস্থিত হয়ে আফসান কে বলবে “আপনার হাত টা ধরতে পারি একটু”আর আফসান কি বলবে!হয়ত বলবে “একটু কেন!সারাজীবন এর জন্যই কি ধরা যায় না এই হাত টি?”
ভাবতেই স্নেহার গাল লজ্জায় লাল হয়ে গেল।ছি!কি সব ভাবছে সে এগুলো!
(চলবে)