গোধূলি বেলায় প্রেম পর্ব-১০

0
4122

#গোধূলি_বেলায়_প্রেম
#ফাবিহা_নওশীন

|পর্ব-১০|

পার্লারে বসে আছে রীতি।দিয়ার চোখের মেকাপ করায় ব্যস্ত।রীতিকে এক প্রকার জোর করেই দিয়া পার্লারে নিয়ে এসেছে।রীতির চুল বাধা হচ্ছে।তাতে ছোট ছোট ফুল গুজে দিচ্ছে।রীতির বসে থাকতে থাকতে পা কোমড় ব্যথা হয়ে যাচ্ছে।মনে মনে দিয়াকে হাজারো গালি দিচ্ছে আর কিছুক্ষণ পর পর দিয়ার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিচ্ছে।সেসব দেখে দিয়া মুচকি মুচকি হাসছে।
সাজ শেষ করে রীতি আয়নায় নিজেকে দেখতেই চমকে উঠলো।নিজেকে নিজেই চিনতে পারছেনা।কি সুন্দর লাগছে।মনে হচ্ছে আজ ওর ই বিয়ে।রীতি চোখ বড়বড় করে নিজেকে দেখছে।

.

জুইয়ের সাথে সবাই পিকচার তুলছে।বিল্ডিংয়ের সবার পিক সাদিব তুলে দিচ্ছে।সাদিব ব্ল্যাক কালার স্যুট পড়েছে।
দিয়া আর রীতি দুজনেই একসাথে দাড়িয়ে আছে।
দিয়া রীতিকে বলছে,
—-“রীতি আপু সাদিব ভাইকে কত হ্যান্ডসাম লাগছে।আমি আজ উনার উপর ফিদা হয়ে যাচ্ছি।মাই গড কত কিউট।উফফ,কি যে লাগছে না।”

রীতি দিয়ার কথা শুনে দিয়ার দিকে বড়বড় চোখ করে তাকালো।দিয়ার কথা শুনে রীতির এত সুন্দর মুখ নিমিষেই কালো হয়ে গেলো।
রীতি দিয়াকে খুব পছন্দ করলেও এই মুহুর্তে রীতির মনে হচ্ছে দিয়ার চেয়ে বিরক্তিকর মেয়ে যেনো আর কেউ নেই।
রিয়াকে আস্ত লুচু মেয়ে মনে হচ্ছে।
দিয়া আবারো কিছু বলতে যাবে তখনই রীতি বললো,
—-“আমার ক্ষুধা পেয়েছে।”

—-“আরে কি বলো?এখনো জুই আপুর সাথে কোনো পিকচার নেই নি।খেতে গেলে সাজ নষ্ট হয়ে যাবে।আগে চলো সেল্ফি তুলে নেই।”

—-“তুমি যাও আমি…..”
রীতি বলতে গিয়েও থেমে গেলো।দিয়াকে একা সাদিবের কাছে যেতে দেওয়া যাবেনা।রীতির মনের জেলাসি তরতর করে বেড়ে যাচ্ছে।রাজপুত্রের কাছে এই মেয়েকে যেতে দেওয়া যাবেনা।”

তারপর রীতিও দিয়ার সাথে গেলো।রীতি দিয়াকে পিকচার তুলতে দিয়ে জুইয়ের কাছে বসে রইলো।ওর এসবে ইন্টারেস্ট নেই।সাদিব দিয়ার বিভিন্ন স্টাইলে পিকচার তুলে দিচ্ছে।আর রীতি চেয়ে চেয়ে দেখছে।
তারপর সবার জোরাজোরিতে রীতিও বাধ্য হলো নিজের পিকচার তুলতে।কিন্তু রীতির অস্বস্তি হচ্ছে।সাদিব নিজের ক্যামেরা দিয়ে পিকচার নিচ্ছে।রীতির বারবার সাদিবের সাথে চোখাচোখি হয়ে যাচ্ছে।কোনো স্টাইল নিতে পারছেনা লজ্জায়।রীতির পিকচার নেওয়া শেষে সাদিব রীতির পারমিশন ছাড়াই ফোন বের করে কয়েকটা সেল্ফি তুলে নিলো।রীতিও কিছু বললো না।

.

রীতি ছলছল চোখে বসে আছে।ওর গলা আটকে আসছে।চোখের পানিটা বাধ মানতে চাইছেনা।কন্ট্রোল করতে পারছেনা।রীতি বারবার চোখ বড় করে পানি আটকে নিচ্ছে।ঠোঁট কেপে উঠছে।একটু কাদতে পারলে ভালো হতো কিন্তু দিয়ার সামনে সেটা সম্ভব না।
দিয়া সবটা বুঝতে পারছে।
রীতির কাধে হাত রেখে বললো,
—-“এই জন্যই তোমাকে বলতে চাইনি।”

রীতি মেঝেতে দৃষ্টি রেখে বললো,
—-“এখানে আমার দোষটা কোথায়?”

—-“সাবিহা কিছুই বুঝতে চাইছেনা।মনে হচ্ছে রিজভী ওকে ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে।তেরে পেয়ার নে হো যাও দেওয়ানা টাইপ।আমি ভাবতে পারিনি ও এসব বলবে।আমি ওর কথা শুনে জাস্ট স্পিচ লেস।”

~ফ্ল্যাশব্যাক~
বিয়ের অনুষ্ঠানেও সাবিহা রীতির সাথে কথা বলে নি।তাই দিয়া সাবিহাকে জিজ্ঞেস করেছে কি হয়েছে।তারপর সাবিহা দিয়াকে সব বলে দেয় রীতি রিজভীকে নিয়ে কি বলেছে।দিয়া যদিও সব জানে তবুও সব শুনে বলে,
—-“তাতে কি হয়েছে?তাই বলে আপুর সঙ্গে কথা বলবিনা।আপুর কোথাও ভুল হয়ে থাকলে সেটা তোর ক্লিয়ার করা উচিত।”

তারপর সাবিহা বললো,
—-“তুমি জানো রিজভীকে সবটা বলার পর ও কি বলেছে?ও বলেছে আমি ওকে ভালোবাসি না।ভালোবাসলে ট্রাস্ট করতাম।আমি নাকি ওকে ট্রাস্ট না করে রীতি আপুকে ট্রাস্ট করেছি।রীতি আপুকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।আর এ জন্য ও আমার সাথে রাগ করে দুদিন কথা বলে নি।তুমি জানো আমি কি অবস্থায় ছিলাম?কিভাবে আমার প্রতিটি মুহূর্ত কেটেছে?কতটা কষ্ট হচ্ছিলো?
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওকে বুঝাতে পারিনি।রিজভী বলছে আমি যদি ওকে ট্রাস্ট করতাম তাহলে রীতি আপুর কথা শুনে যাচাই করার জন্য ওকে এসব জিজ্ঞেস করতাম না।দুই দিন হাজার চেষ্টা করেও আমি ওর সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।আর এ সব রীতি আপুর জন্য হয়েছে। আমি কেদে কেটে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম।তারপর রিজভী আমাকে ক্ষমা করে দেয়।তবে শর্ত দেয় যে মেয়ে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য দায়ী তার সাথে যেনো আমি সম্পর্ক না রাখি।তাই আমি রীতি আপুর সাথে কথা বলিনা।আর বলতেও চাই না।আমি খুব ভালো আছি।ভালো থাকতে চাই।”

দিয়া সবটা রীতিকে জানায়।আর এসব শুনে রীতি শকড় এবং প্রচন্ডভাবে কষ্ট পায়।রীতি নিজের দোষটা খোজে পাচ্ছেনা।সাবিহাকে নিজের বোন মনে করতো।আর ওর ভালো ভেবেই কথাগুলো বলেছিলো কিন্তু তাতে ও নিজেই অপরাধী হয়ে গেলো।

.

জুইয়ের শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য সবাই একে একে রেডি হয়ে নিচে নামছে।সাদিব আজো ক্যামেরা নিয়ে রেডি।ক্যামেরা দিয়ে বাচ্চাদের পিকচার তুলে দিচ্ছে।দিয়া আর সাবিহা সিড়ি বেয়ে নামছে।
সাদিব ওদের দেখে বললো,
—-“কিরে তোদের আরেকজন সঙ্গী কই?”

দিয়া সোজা উত্তর দিলো,
—-“রীতি আপুর কথা বলছো?তার মুড অফ তাই তাই যাবেনা।”

সাদিব বিচলিত হয়ে বললো,
—-“মুড অফ?মুড কেনো অফ?”

—–“জানিনা।”(জেনেও কিছু বললো না।)

—-“ঠিক আছে চলো আমি দেখছি।”

দিয়া বললো,
—-“বাদ দিন আপু যাবেনা।সকাল থেকে ট্রাই করেছি।”

—-“আমাদের এতো কাছের একজনের বিয়ে আর রীতি যাবেনা?আমি চাই সবাই মিলে অনুষ্ঠান উপভোগ করুক।একজন মন খারাপ করে বসে থাকবে আর বাকিরা আনন্দ করে বেড়াবে তা হবেনা।”
সাদিব দিয়ার সাথে গেলো রীতিকে মানাতে।

দিয়া রীতিকে কিছু একটা বলে ডেকে নিয়ে এলো দোতলার সিড়িতে।
রীতি দিয়ার সাথে এসে সাদিবকে দেখে অবাক হয়ে গেলো।তারপর দিয়ার দিকে চেয়ে রইলো উত্তরের আশায়।
সাদিব রীতিকে একবার দেখে নিলো।রীতির চোখ-মুখ শুকনো লাগছে।মনে হচ্ছে কেদেছে।রীতির এমন বিষন্নতায় ঘেরা চেহারা দেখে সাদিব বুকে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করলো।
সাদিব রীতির সামনে গিয়ে দাড়ালো তারপর বললো,
—-“যাবেনা কেনো?সবাই যাচ্ছে।তুমিও যাবে।যাও রেডি হয়ে এসো।”

রীতি সৌজন্যতার হাসি হেসে বললো,
—-“আসলে আমার ভালো লাগছে না।আমাদের ফ্যামিলি থেকে রিমন আর বাবা যাচ্ছে।সমস্যা নেই।আপনারা ইঞ্জয় করুন।”

সাদিব রীতিকে যেভাবেই হোক নিয়ে যাবে।
—-“দেখো রীতি তুমি কয়েকমাস হয়েছে এসেছো তাই আমাকে চিনোনি,আমাকে ভালো করে জানতে পারোনি।ওরা জানে,আমি এমন একজন মানুষ যে কিনা সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চায়।একা আমি কখনো ভালো থাকতে চাইনা।আমি যেমন আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নিতে চাই তেমনি সবার বিষন্নতা,দুঃখ,মন খারাপ সব কিছু ভাগ করে নিতে চাই।আমি সবাইকে নিয়ে ইঞ্জয় করতে চাই।এই বিল্ডিংয়ের সবাই আমার ফ্যামিলি,আমার আপনজন।অন্য সবার মতো এখন তুমিও আমার খুশির একটা পার্ট।তুমি যদি না যাও,মন খারাপ করে বসে থাকো তাহলে কিভাবে হবে বলো?প্লিজ চলো।অন্তত আমার কথা ভেবে।”
শেষের কথাটা সাদিব অনেকটা আবেগ মিশিয়ে বললো।
যা রীতির উপেক্ষা করার ক্ষমতা নেই।রীতি সাদিবের চোখের দিকে চেয়ে সেই কথার গভীরতা বুঝার চেষ্টা করছে আর সাদিব রীতির চোখে রীতির উত্তর খোজার চেষ্টা করছে।

রীতি,দিয়া আর সাদিব এক সাথে এক গাড়িতে যাচ্ছে।রীতি পারেনি সাদিবকে উপেক্ষা করতে।রীতির জন্য ওদের যাওয়ায় দেরি হয়ে যাবে তাই সাদিব সবাইকে চলে যেতে বলেছে।ও রীতিকে নিয়ে পরে আসবে।আর রীতির জন্য দিয়াও রয়ে গেছে।
ওরা তিনজন অবশেষে জুইয়ের শ্বশুর বাড়ি পৌছে গেলো।

দিয়া আর রীতি এক সাথে আছে।রীতির মনে হচ্ছে কেউ ওকে ফলো করছে।কিন্তু কাউকে খোজে পাচ্ছেনা।রীতি দিয়ার হাত শক্ত করে ধরে আছে।দিয়াকে কিছু বুঝতে দিচ্ছেনা।

সাবিহা রীতি আর দিয়ার কাছে এসে বললো,
—-“আসবেই যখন তাহলে ড্রামা করার কি দরকার ছিলো?”

রীতি সাবিহার কথা শুনে হতবিহ্বল হয়ে পড়লো।এই মেয়ে ওকে খুচা মেরে কথা বলছে।সেখানে অনেক মানুষ ছিলো,কারো নাম উল্লেখ না করলেও কথাটা রীতিকে বলছে বুঝাই যাচ্ছে।
রীতি সাবিহার কথার জবাব দিলোনা।দিয়া কিছু গেলে দিয়ার হাত শক্ত করে চেপে ধরে মানা করে কিছু বলতে।কেননা সেখানে অনেক মানুষ ছিলো।

রীতি সাবিহাকে একা পেয়ে বললো,
—-“সাবিহা তোমার সমস্যাটা কই?তুমি আমার সাথে এমন ব্যবহার কেনো করছো?”

—-“দেখো রীতি আপু আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাইনা।প্লিজ আমার সাথে কথা বলোনা।তোমার জন্য আমাকে অনেক সাফার করতে হয়েছে।”

—-“ঠিক আছে বলবোনা।তোমার প্রব্লেম হলো বলবোনা।বাট প্লিজ আমার সাথে এমন ব্যবহার করোনা।”

সাদিব দূর থেকে ওদের কথা বলতে দেখছে।সাদিব ওদের দিকে আসছে।সাবিহা ভাইকে আসতে দেখে রীতিকে বললো,
—-“ভাইয়া যেনো রিজভীর ব্যাপারে কিছু না জানে।তাহলে তোমার আমার যে সম্পর্ক আছে সেটাও থাকবেনা।আর এসব বলেও কিছু হবেনা।ভাইয়া বিশ্বাস করবেনা।”

সাদিব ওদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো,
—-“গার্লস কোনো সমস্যা?”

সাবিহা দ্রুত বললো,
—-“না ভাইয়া কোনো সমস্যা নেই।”

সাদিব রীতির দিকে একবার চেয়ে আরেকবার সাবিহার দিকে তাকালো।কেনো যেনো আশ্বস্ত হতে পারছেনা।

রীতি আর দিয়া কিছুক্ষণ পরে সাদিবকে বলে বাড়িতে চলে এলো রীতির বাবার সাথে।
সাদিবের মন কেমন জানি করছে।তাই ও সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাড়িতে চলে এলো।

রীতির মনে হচ্ছে কেউ ওকে ফলো করছে।তাই বাবাকে বলে দিয়ার সাথে কথা আছে।তারপর দিয়াকে সবটা খোলে বললো।কিন্তু দিয়ার তেমন ফিলিংস হচ্ছে না।রীতি নিজের মনের ভুল ভেবে দিয়াকে বায় দিয়ে নিজেদের ফ্ল্যাটে ঢুকতে যাবে তখনই রিজভীকে দেখতে পায়।
রিজভী দুহাত ভাজ করে দাড়িয়ে আছে।কেউ ফিরেনি তাই পুরো বিল্ডিংয়ে সুনসান নীরবতা।
রীতি রিজভীকে একদমই আশা করে নি।
রিজভী রীতির সামনে এসে দাড়ায়।রীতির খুব ভয় লাগছে।
—-“এই মেয়ে তোমার সমস্যা কি?আমার সাবিহার পেছনে এভাবে পড়ে আছো কেনো?”

রীতি ভয়ে উত্তর দিতে পারছেনা।
তারপর ভয়ে ভয়ে বললো,
—-“মানে?”

—-“মানে বুঝতে পারছোনা?আমার নামে উল্টো পাল্টা কথা বলে তোমার হয়নি?সাবিহার ব্রেইন ওয়াশ করার একদম চেষ্টা করবেনা।তাহলে তুমি আমার ভয়ংকর রুপ দেখবে।”

রীতি ক্ষেপে গিয়ে বললো,
—-“আমাকে হুমকি দিচ্ছেন?”

রিজভী চোখ মুখ লাল করে বললো,
—-“ধরে নে তাই।আমার পেছনে লাগলে তোর কি হাল করবো ভাবতেও পারবিনা।আমি সাবিহার জন্য সব করতে পারি।সব।সো বি কেয়ারফুল আর দূরে থাকবি।”

রীতি রিজভীর মুখে তুই তুকারি শুনে ভরকে গেলো।ছেলেটা ওকে এই ভাষায় হুমকি দিচ্ছে? সাবিহার জন্য সব করতে পারবে?এতো ভালোবাসা?এই রকম অসভ্য ছেলেরা ভালোবাসতে জানে?

—-“আপনার সাহস দেখে আমি অবাক না হয়ে পারছিনা আমার ফ্ল্যাটের সামনে দাড়িয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দিচ্ছেন? ”

রিজভী বাকা হাসি দিলো।
—-“এতো কিছুই না,আমি কি কি করতে পারি তার কোনো ধারণা তোমার নেই।”

রীতি আংগুল তুলে চোখে আগুন নিয়ে কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়।সাদিব সিড়িতে দাড়িয়ে আছে অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে।সম্পূর্ণ দৃষ্টি রিজভীর দিকে।
সাদিব সম্পূর্ণ কথা না শুনলেও এটুকু বুঝতে পারছে রীতিকে ও আজেবাজে কিছু বলছে।
সাদিব এসে রিজভীর কলার চেপে ধরলো।রিজভী এর জন্য একদম প্রস্তুত ছিলো না।
সাদিব রিজভীকে বললো,
—-“কে তুই?এখানে ঢুকার সাহস কোথায় পেয়েছিস?আমার বাড়িতে ঢুকে তুই মেয়েদের সঙ্গে অসভ্যতা করছিস?তোর এতবড় কলিজা?”

রীতি এসব দেখে আতকে উঠে বললো,
—-“সাদিব ওকে ছেড়ে দিন।উনি আমার সাথে কোনো অসভ্য করে নি।”

সাদিব রীতির দিকে চেয়ে রিজভীকে ছেড়ে দিয়ে বললো,
—-“আউট”

রিজভী তাড়াতাড়ি চলে গেলো।রিজভী যেতেই সাদিব রীতিকে জিজ্ঞেস করলো,
—-“কে এই ছেলে? এখানে কি করছে?”

রীতি মাথা নিচু করে চুপ করে দাড়িয়ে আছে।সাদিবকে কি বলবে সবটা না বলবে না?
রীতি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে।সাবিহা ওকে বলতে নিষেধ করার পরেও রিজভীর ব্যাপারে বলবে?সাদিব বিশ্বাস করবে?

চলবে….