#Mr_সাইকো_লাভার
#লাবিবা_ওয়াহিদ
“পার্ট ৪০”(শেষাংশ)
——————————
পলক চমকে উঠলো ফারানকে দেখে সাথে নিশাও। ফারান রক্তচক্ষু নিয়ে পলকের দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফারানের পিছে আদ্র, আদন এবং আফনাদও এসে দাঁড়ালো। পলক ওদের দেখে আরও অবাক হলো।ফারান নিরবতা ভেঙে বলে,
“কি মাই সো কল্ড কাজিন ব্রাদার? অবাক হলে আমাকে দেখে? কিন্তু এখানে অবাক হওয়ার কি আছে বুঝলাম না তো? ওহ সরি সরি আমি তো ভুলেই গেছিলাম তুই আমায় হিপনোটাইজ করেছিলি তা থেকে কি করে বেরোলাম সেটাই তোর অবাক হওয়ার কারণ। কি মিস্টার পলক আমি কি কিছু ভুল বললাম?”
ফারানের কথা শুনে নিশা অবাক হয়ে পলকের দিকে তাকায়। যেই পলকের চোখের দিকে তাকাতে নিবে ওমনি ফারান বলে উঠে,” নো নিশা ভুলেও ওর চোখের দিকে তাকিয়ো না ওর চোখই ওর মেইন অস্ত্র ও তোমাকেও হিপনোটাইজ করে ফেলতে পারে।”
ফারানের কথা শুনে নিশা সাথে সাথে পলকের সামনে থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয় এবিং ফারানের কাছে চলে আসে। পলকের চারদিকে ফারানের গার্ড ঘিরে ধরে। পলক পকেট থেকে ফোন বের করে কাকে যেনো কল করলো কিন্তু কেউ রিসিভ করলো না। ফারান গেসে বলে,”কাকে ফোন করছিস তুই? যাদের ফোন করছিস তাদের মেরে অলরেডি ডাস্টবিনে ফেলে আসা হয়েছে। জানিস তো ফারাম কখনো কাচা কাজ করে না। এবার দেখ তোর কি হাল করি।”
পলম- দেখ ফারান তুই কিন্তু ভুল করছিস তুই জানিসও না আমি কতোটা ভয়ংকর।
ফারান- তোর অস্ত্র যে তোর চোখ সেটা আমরা বেশ ভালো জানি তাই এতো ভয়ংকরও না। তবে জানিস কি দিনে ৩-৪ টা করে খুন করি দেহকে কুচিকুচি করেও কেটেছি এখন তুই বল ভয়ংকর টা কে তুই না আমি?
ফারানের এমন কথায় পলক ভিয়ে একটা শুকনো ঢোক গিলে। এখান থেকে যে পালাবে তারও কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না সে। ফারান আস্তে আস্তে পলকের দিকে এগোচ্ছে তাও এক বড় ধারালো ছুড়ি নিয়ে যেটা রক্তে চকচক করছে। তা দেখে ভয়ে পলক পেছোতে থাকে। পেছোতে পেছোতে ফারানের দুই গার্ডের সাথে ধাক্কা খায় আর তার সাথে সাথেই গার্ড দুজন পলক কে ধরে ফেলে। পলক ফারানের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য অনেক আকুতি মিনুতি করে।
পলক- ফারান আমার ভুল হয়েছে আমায় ক্ষমা করে দে দেখ না আমি না তোর ভাই হই তুই কিভাবে আমাকে মারতে পারিস বল না একবার আমার বাবা মায়ের কথা তো ভাব।?
ফারান তাচ্ছিল্যের একটা হাসি দিয়ে বলে,”ভাই আর তুই? ভাইয়ের মর্যাদা সম্পর্কে কি তুই জানিস ভাইয়ের পবিত্র বন্ধন? না জানিস না তুই৷ তোকে ছোট থেকেই নিজের ভাই ভাবতাম নিজের চেয়েও বেশি বিশ্বাস করতাম আর তুই এভাবে তার প্রতিদান দিলি? সবার চোখে আমায় খারাপ করলি? জানিস যখন শুনলাম আমি নিশার সাথে অনেক মিসবিহেভ করেছি তখন বেশ কষ্ট লেগেছিলো কিন্তু তার চেয়েও বেশি আঘাত পেয়েছি তখন যখন শুনেছি তুই এসব নিজে আমাকে বাধ্য হয়ে করিয়েছিস? এভাবে আমার সাথে প্রতারণা করলি ছিহ। ভাবতেই ঘেন্না হচ্ছে এতোদিন এক কালসাপ কে বিশ্বাস করে এসেছি। আসলেই সবাই ঠিকই বলে কাউকে বেশি বিশ্বাস করতে নেই নইলে পড়ে এতো বড় ধাক্কা খাবে যেই ধাক্কায় নিজে কোথায় চলে যাও কেউ টের পাবে না। আমার অবস্তবা টা জানিস ঠিক এমনই। কিন্তু এখন আর নয় তোকে তো…
বলেই সেই ধারালো বড় ছুড়ি টা দিয়ে পলকের ঘাড় থেকে মাথা টা আলাদা করে দিলো৷ নিশা এমন ভয়ংকর মৃত্যু সহ্য করতে না পেরে অন্যদিকে ফিরে গেলো চোখ বুজে। আদ্র রা চুপচাপ দেখছে ফারানের হিংস্রতা। মাথা টা আলাদা হতেই ঘাড়ের এক রগ দিয়ে গলাকাটা মুরগীর ন্যয় রক্ত ঝর্ণার কতো বেরোচ্ছে আর পলকের দেহটা ছটফট করছে।। ফারান ভয়ংকর দৃষ্টিতে পলকের মাথাটার দিকে তাকিয়ে রইলো।চোখ দিয়ে বিন্দু বিন্দু জল গড়িয়ে পড়ছে।
ফারান- এভাবে যদি বিশ্বাসঘাতকতা না করতি হয়তো আজ তুই এভাবে মরতি না কিন্তু তোর লোভ লালসা আজ তোর এভাবেই মৃত্যু ডেকে এনেছে।
বলেই ফারান চোখ বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস নেয় তারপর ছুড়ি টা ফেলে গার্ডদের ইশারা দেয় যেনো তারা পলকের বডি টা নর্দমায় ফেলে এবং জায়গা টা ক্লিন করে দেয়। সবাই তাই করে। ফারান নিশা এবং আদ্রদের নিয়ে নিজের রুমে চলে আসে তারপর সে ওয়াশরুমে গিয়ে একটা লম্বা শাওয়ার নিয়ে বের হয়।
নিশার মনের খচখচানিটা যেনো যাচ্ছেই না সবার দিকে কেমন প্রশ্নবোধক চাহনিতে তাকাচ্ছে কিন্তু কেউই নিশাকে কিছুই বলছে না সবাই চুপ মেরে আছে। নিরবতা ভেঙে ফারান বলে,”রিদি আসছে না যে?”
আদন- তখন ফোন দিয়েছি বলেছে কাছাকাছিই আছে।
নিশা- এখানে কি হচ্ছে আমি সব টা জানতে চাচ্ছি কিন্তু সবাই এভাবে আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন?
ফারান- রিদি আসুক বলবো সবটা।
নিশা- এখন বললে কি হয়?
রিদি- আমি এসে পড়েছি।
বলেই রিদি রুমে ঢুকে নিশার পাশে এসে বসলো। তখনই আদ্র বলা শুরু করে,
আদ্র- আমিই নাহিয় শুরু করি…শোনো!!
– ফারানের এমন অবস্থায় আমরা রিদিকে পলকের আশেপাশে রাখার প্লেন করি সেটা তো তুমি জানোই তো একদিন রিদি পলককে নিয়ে একটা ক্লাবে যায় এবং পলকের জুসে ড্রাগস মিশিয়ে দেয়। এটা পলকের উপরে কাজ করে এবং সে মাতাল হয়ে উলটা পালটা বকাবকি করে।
রিদি- পরের টা আমি বলছি।
সেদিন,,,
– আচ্ছা আপনি এমন ফারান ফারান কেন করছেন বলুন তো?
– কজ ফারান ইজ মাই এনিমি…ইয়াহ আই জাস্ট হেট হিম কজ ও সবসময় আমার থেকে বেশি পেয়েছে তাইতো….
– তাইতো? তাইতো কি?
পলক শয়তানি হাসি দিয়ে বলে,”ওকে হিপ্নোটাইস করেছি। জানো আমি অস্ট্রেলিয়ায় এই হিপনোটাইজ নিয়ে প্রচুর লেখাপড়া করেছি শুধুমাত্র ওকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এন্ড আই এম সাকসেসফুল!
বলেই “ইয়েএএএএ” করে উঠলো। রিদি শুনে একদম অবাক হয়ে যায় এটা ভেবে যে ফারান কালো জাদুর স্বীকার হয়েছে আর পলকই তাকে এসব করেছে। রিদি যেনো একে একে সব হিসাব মিলাতে সক্ষম হলো তারপর আবার বলে,”কি করে হিপনোটাইজ করলে?”
– প্রথমদিন ফারানকে এক জায়গায় গেছিলাম সেখানে দুজনে বাজি রাখলাম কে কতোক্ষণ চোখে চোখ রেখে থাকতে পারে। ফারান সেদিন রাজি হয় এবং আমার চোখের দিকে একজনর তকাইয়ে থাকে তখনই ওকে হিপনোটাইজ করি এবং আমার কথামতো কাজ করাচ্ছি সিম্পল।
– আচ্ছা ফারানের সেন্স ফেরাতে কি লাগে?
– বেশি কিছু না শুধু স্টিলের বাজা শব্দ। এতেই সব কাজ হয়ে যায়।
বলেই পাগলের মতো হাসতে হাসতে টেবিলে মাথা রেখে আবিজাবি বকর বকর করতে ঘুমিয়ে পড়ে।
এখন”
তো সেদিনের কথা আদ্র ভাইয়াকে সবটা জানাউ তারপর ভাইয়া যা করার করে।
আদন- হুম দেন আমরা দেশের বাইরে থেকে একজন নামকরা সাইক্লোজিস আনাই যেনো খুব কেয়ারফুলি চেকআপ করে আমাদের কথামতো সেই এতোদিন ফারানের চেকআপ করে এবং ফারানকে সুস্থ করে।
ফারান- আমি যখন একদম স্বাভাবিক হই তখনই সবাই আমায় সবটা খুলে বলে আমার আচরণ বিহেভ সবটা। তারপর আমরা আবার প্লেন করি এবং আমাদের লোকদের পলকের সব লোকেদের পিছে লাগাই। সবাই সময় সুযোগ বুঝে ওদের মেরে দেয় আর তাদের নাটেরগুরু কে আমার ক্ষতম করার কথা ছিলো এবং তাই হলো।
নিশা- তার মানে পলক তখন তার লোকদের কল করেছিলো?
ফারান- হুম।
নিশা- বেশ হয়েছে আরও বিশ্বাস করেন বাইরের মানুষদের। আপনার ভুলের জন্য আমরা কতো ভুগেছি জানেন। না তা জানবেন কি করে আপনি তো আপনার পরাণের ওই পলইক্কাকে নিয়েই সারাদিন থাকতেন।
এমন অনেক বকরবকর করতে থাকে নিশা। ফারান আদ্র, আদন, আফনাদ এবিং রিদিকে চোখের ইশারায় রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। তারাও বুঝতে পারে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না তাই সবাইই আস্তে আস্তে কেটে পড়ে এবং দরজা লক করে দিয়ে চলে যায়৷ এদিকে নিশা গালাগালিতে এতোটা ব্যস্ত যে তার কোনোদিকে খেয়াল নেই। ফারান আস্তে করে নিশার পাশে বসে নিশাকে একটা কিস করলো ৩সেকেন্ডে আবার ছেড়ে দিলো। নিশা একদম চুপ হয়ে পাথরের মতো বসে থাকলো আর ভাবতে লাগলো কি হলো? সবকিছু এতো দ্রুত ঘটলো যে নিশা কিছুই বুঝতে পারলো না। নিশার অবস্থা দেখে ফারান মুচকি হেসে নিশার কানের সামনে মুখ এনে বলে,” বেশি বকরবকর করলে এটাই হবে। তুমি যদি না থামো এটাই হবে তোমার থামানোর ওষুধ! তবে আমার কোনো আপত্তি নেই যতো ইচ্ছা বকবক করো আমিও নাহয় সাথে…”
ফারানের কথায় নিশা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো এবং দু হাত দিয়ে ফারানিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলে,”লুচু অসভ্য একটা!”
ফারান- তোমারই ফারজুর আব্বু।(টেডি স্মাইল দিয়ে)
নিশা- আপনি জানলেন কি করে যে আমি….(অবাক হয়ে)
ফারান- উমমম….
বলেই বালিশের নিচে থেকে ফোন টা নিয়ে সেদিনের নওমি আর নিশার কথোপকথনের রেকর্ড টা শুনালো। নিশার তো মন চাচ্ছে লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে।
ফারান- ফোনের রেকর্ড অন করা ছিলো তাই সবটাই জানি হুম।
নিশা কিছু বলে না চুপ হয়ে আছে। ফারান দুস্টুমি সুরে বলে,”তা এনে দেই তোমার ফারজু কে?”
নিশা প্রথমে কথাটা বুঝতে না পারলেও পরে ঠিকই বুঝতে পারে। ফারানকে একটা চিমটি দিয়ে নিশা বেলকনিতে চলে গেলো আর ফারান বিসে হাসতে লাগলো।
৫ বছর পর,,
অপারেশন থিয়েটারের সামনে এদিক সেদিক পায়চারি করছে ফারান। ভেতর থেকে নিশা আত্মনাৎ স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে ফারান কিন্তু কিছুই করতে পারছে না। আদ্র, আদন এবং আফনাদ শান্তনা দিচ্ছে ফারানকে কিন্তু ফারান কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না বারবার ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অদ্রি নিজের ছেলের কান্না থামাচ্ছে আর রিদি নিজের বাবুকে আর আনিলা চুপচাপ দাঁড়িয়ে। সবাই চিন্তিত নিশাকে নিয়ে,
ও হ্যাঁ আনিলা এবং রিদির দুজনেরই তাদের পার্টনারদের সাথেই বিয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৪মাস হলো অদ্রির কোল আলো করে একটা রাজকন্যা এসেছে আর রিদির ৪মাস হলো ছেলে হয়েছে। আনিলা সবে মাত্র এক সপ্তাহ আগে জেনেছে যে তার কোলও আলো করে একজন আসবে।
হঠাৎ নিশার চিৎকার বন্ধ হয়ে যায়। ফারান ভয় পেয়ে গেলো এবং অপারেশন থিয়েটার এর দরজা ধাক্কাতে লাগে। এমন সময় বাচ্চার কান্না শুনতে পেলো ফারান। সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলতে লাগে। থিয়েটার এর দরজা খুলে ইয়াসা এবং মাইশা বেরিয়ে আসে এবং হাসি মুখ বলে,”কংগ্রেস আমার নাতি হয়েছে।”
ইয়াসার কথায় আদ্র সহ সবাই হেসে দিলো শুধু ফারান বাদে। উত্তেজিত কন্ঠে বলে উঠে,”মাম্মা নিশা কেমন আছে?”
মাইশা- হুম বেশ ভালো আছে আসো দেখে যাও মা মেয়েকে।
মাইশা বলতে দেরি কিন্তু ফারানের ভেতরে যেতে দেরি নেই। ইয়াসা হেসে মাইশাকে বলে,”দেখ আমার ছেলে কেমন পাগল তোর মেয়ের জন্য।”
মাইশা- ৫ বছর ধরে তো দেখেই চলেছি আর কতো দেখবো?
অদ্রি- আরে আন্টি এখনো পিকচার অনেক বাকি।
অদ্রির কথায় সবাই হেসে দিলো। ফারান এসে দেখে এক নার্স নিশার পাশে দাঁড়িয়ে নিশাকে বেবি দেখাচ্ছে আর নিশা চোখের পানি ঝেড়ে বাবুর হাত ধরে আছে। বাবু কেঁদেই যাচ্ছে। নিশা বলতেই নার্স মুচকি হেসে নিশার কোলে তার ছোট্ট ডল টাকে নিশার হাতে দিলো। এখনো কেঁদেই যাচ্ছে বাবু হাত পা ছাড়িয়ে। ফারান রি সুখের মুহূর্তে এক পা এক পা করে নিশার দিকে যেতে থাকে। নিশা বাবুর ডান হাতটা নিজের হাতে দিয়ে চুম্বন করলো। নিশা সামনে তাকাতেই দেখলো ফারান এসেছে। এতে নিশা হাসলো। ফারান চুপচাপ নিশার পাশে বসে বাবুর দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ক্ষণিক সময় বাদে বাবুর মাথায় হাত বুলালো এবং তার কপালে চুম্বন করলো। তারপর নিশার গালে হাত রেখে বলে,”থ্যাংক নিশা আজ জানোনা আমি কতোটা খুশি। তুমি আমাকে একটা রাজকন্যা উপহার দিয়েছো।”
নিশা ফারানের হাতে হাত রেখে বলে,”সবটাই আল্লাহর রহমতে রয়েছে আর উনিই আমাদের এই কন্যাসন্তান দান করেছেন। বুঝলে আমার ফারজুর আব্বু?”
ফারান নিমিষেই হেসে দেয়। বেচে থাকুক তাদের ভালোবাসা এবং পরিবার।❤️
সমাপ্ত🖤
(গল্পটার সুন্দর্য কতোটা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি সেটা আমার অজানা তাই আপনাকে মতামত জানতে চাচ্ছি যে কতোটা ভালো লেগেছে আপনাদের এই গল্প। জানি খারাপ হয়েছে কারণ আমার লেখার হাত খুবই কাচা এবং আমি গুছিয়ে লিখতে পারিনা।ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। অবশ্যই অবশ্যই সকলের কাছে মতামত চাইছি আশা করছি কেউ আমায় নিরাশ করবেন না ধন্যবাদ❤️)