Arranged Marraige part-17+18

0
423

Ayesha Anjum
#ArrangedMarraige

পর্ব-17+18

সায়েম: ছোটমনি ভাইয়াকে গরম পানি করে দে
আমি: দুপুর বেলা তো গোসল করেই বের হয়ে ছিল।।
সায়েম: বিকালে মাঠে ক্রিকেট খেলেছে শরীরে ধুলা বালি গামে একাকার তুই পানি দিয়ে আয়।।

আমি এক বালতি গরম পানি নিয়ে বাথরুমে রেখে আসলাম।। ও গোসল শেষ করে নিচে এসে বাচ্চাদের সাথে খেলতে বসেছে 2 টাই আমার চাচাতো ভাই আর একটা চাচাতো বোন।। সব গুলোর বয়স 4থেকে 7এর মধ্যে হবে

ফাহাদ: আজকে তোমাদের নিয়ে একটা খেলা খেলব যে উইন হবে তাকে 3টা ডেইরি মিল্ক দিব।।

বাচ্চারা খুশিতে নাচতে শুরু করছে।।

আমি ফারিয়া ওদের খেলা দেখছি

ফাহাদ: শাইয়ান তোমার ক্রিকেট আছে?
আবিদ: আমার আছে
ফাহাদ: নিয়ে আসো

আবিদ ব্যাট বল নিয়ে এসেছে।।

ফাহাদ: আমি সবাইকে 5টা করে বল করবো যে 5টা বল মারতে পারবা সে ফার্স্ট যে 3টা করবা সে সেকেন্ড, যে 1টা করবা সে দুধভাত। ওকে খেলা থেকে বাদ দিয়া হবে

ফার্স্ট শাইয়ান ব্যাট নিল, ফাহাদ 5বার বল করায় শাইয়ান 4বল মারতে পারলো, পর পর আবিদ ও 4টা করে মুতাসি পারেনি।।

ফাহাদ: এখন সেমিফাইনাল হবে।। এখন হবে লুডু খেলা পরে হবে দাবা খেলা।। যে লুডু খেলায় জিতবে সে মহিলাদের খেলা খেলে জিতেছে, যে দাবা খেলায় জিতবে সে পুরুষের খেলা খেলে জিতবে।। আর যে 2টা জিতবে সে চাম্পিয়ন।।

ওর এমন কথা শুনে আমি ফারিয়া 2জনেই ফিক করে হেসে দিলাম। ফারিয়া হাসতে হাসতে আমার উপর পরে গেছে।।

মুতাসি: আমাকে লেবে না?
ফাহাদ: না তুমি তো লাড্ডু গুড্ডু তাই তোমাকে নেয়া যাবেনা।। তুমি তোমার আপুদের সাথে বসো।।

ওদের খেলা শুরু হলো ফাহাদের ফোনে লুডু প্লে করলো, খাদিজা এসে চিপস ভাজা রেখে গেছে।। ফাহাদ একটা একটা করে খাচ্ছে আর খুব মনোযোগ দিয়ে ওদের খেলা দেখছে, আমি আড় চোখে তাকে দেখছি।।

লুডু খেলা শেষ আবিদ জিতেছে এখন দাবা খেলা শুরু করেছে।। ফাহাদ আগেই ওদের 2জনকে বুঝিয়ে দিয়েছে কোনটা কিভাবে নিয়া লাগবে।।

অনেক দাল বাজি চাল বাজির ফলে শাইয়ান জিতেছে।। ওর আর কোনদিকে খেয়াল নেই, ও বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে চিৎকার করে বলছে আমি পুরুষের খেলা জিতছি আবিদ মহিলাদের খেলায়, ওর কথা শুনে বাকি সবাই হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।।

ফাহাদ ওর পকেট থেকে সবাইকে 3টা করে ডেইরি মিল্ক দিল, সবাই সবার মত ঘরে চলে গেল।।

ফাহাদ: আয়েশা
আমি: হে
ফাহাদ: এক কাপ দুধ চা করে, আর বই নিয়ে রুমে আসো।।

ও ওর মত উপরে চলে গেল।।

আমি চা খুব ভালো করে বানাতে পারি।। আমি আইসিটি বই নিয়ে ওর সামনে যাবনা, না জানি কোনটা কিভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ধরে ওর সামনে এখনই ডুবে গেলে শেষ, বলবে গাঁধী বউ। তাই বুদ্ধি করে যুক্তিবিদ্যা বই নিয়ে গেসি।।

আমি ওর সামনে চা টা রাখলাম আর বই টা ওর থেকে একটু দূরে রেখে আমি দাড়িয়ে আছি।।

ফাহাদ: (চায়ের কাপ নিতে নিতে বললো) দাড়িয়েই পড়বে?
আমি বসলাম।।
ফাহাদ: যুক্তিবিদ্যা আনলে যে? আমি তো বলেছিলাম আমি আইসিটি পড়াবো।।
আমি: আনিনি
ফাহাদ: ঠিক আছে। কোনটা বুঝ না বল
আমি: (কিছুই তো বুঝিনা) আমি কার্যকারণ এর অধ্যায় টা ওকে দেখলাম
ফাহাদ: ও আমাকে কার্য করণের নীতি বুঝাচ্ছে।। আচ্ছা বলো তো আমরা যা করি তার পিছনে কারণ থাকে?
আমি: অবশ্যই থাকে কারণ আমরা যা করি তা সব কিছু কোনো না কোনো কারণ থাকে
ফাহাদ: তুমি শিওর?
আমি: 100%

ফাহাদ আমার দিকে ঝুঁকে আমার গালে কিস করলো।।

আমি কি হলো এখনও বুঝে উঠতে পারছিনা

ফাহাদ: এর পিছনে কারণ আছে?
আমি: কি করলেন এটা?
ফাহাদ: সব কিছুর পিছনে অনেক সময় কারণ নাও থাকতে পারে, আর তুমি যে ভুল এটার এই এক্সাম্পল দেখালাম
আমি: তাই বলে এইভাবে?
ফাহাদ: (ও একেবারে আমার মুখের কাছে এসে) তো আরো কিছু আশা করছিলে?
আমি: (ওকে ধাক্কা দিয়ে ওর জায়গায় বসিয়ে দিয়েছি) এইসব পড়ান আপনি? আমি পড়বো না আপনার কাছে
ফাহাদ: আমি শশুর আব্বাকে বলে আসি নাকি?

বাহ বাহ আগে মা ব্লাকমেইল করত এখন নতুন আরেকজন যোগ হলেন। এই দুঃখ আমি কই রাখি।।

আমি পড়ায় মন দিলাম, ও আমাকে যেইগুলো তে সমস্যা ঐগুলা ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছে।। 10 টা বেজে গেছে

খাদিজা রুমে ঢুকলো
খাদিজা: আপু, ভাইয়া তোমাদের আম্মু ডাকছে খাবার জন্য
ফাহাদ: যাও তুমি আমরা আসছি
খাদিজা চলে গেল।। ও উঠতে উঠতে বললো আজ থাক কাল আবার। আমিও বন্ধ করে ওর পাশে দারালাম।।

ফাহাদ: দাড়াও একটু
আমি: কি?
ফাহাদ: ওর ব্যাগ থেকে একটা শপিং ব্যাগ বের করলো
আমি: কি এখানে?
ফাহাদ: খুলে দেখ

আমি শপিং ব্যাগ থেকে খুলে দেখি একটা কালো শাড়ি

আমি: শাড়ি কার জন্য?
ফাহাদ: যাকে দিয়েছি তার জন্য
আমি: কি করবো?
ফাহাদ: আমাকে পরাবে
আমি: মানে? এটা কেমন কথা?
ফাহাদ: তো আর কি বলবো, তুমাকে দিলাম এখন জিজ্ঞেস করেছ কি করবে
আমি: জিজ্ঞেস করে না জানি কত বড় অপরাধ করলাম।।
ফাহাদ: পরে আমাকে দেখাবে হইসে?
আমি: এখন?
ফাহাদ: না ম্যাডাম খাওয়া শেষ করে যখন উপরে আসবে তখন।।
আমি: পারবো না
ফাহাদ: পারা লাগবে, ও আমার হাত থেকে শাড়িটা নিয়ে আবার ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখলো।।

আমি আগে আগে নামছি ও পিছনে

ফাহাদ: আচ্ছা শুনো
আমি: বলেন
ফাহাদ: শাড়ি পরলে আর কি কি লাগেনা ওইসব না আনি নি, আনিনি বলতে আমি বুঝতে পারিনি।
আমি: কি লাগে?
ফাহাদ: ব্লাউজ টাইপ কিছু
আমি: (আমি ওর দিকে ঘুরে বললাম) আপনার কি লজ্জা সরম কিছু নেই?
ফাহাদ: এমন কি বললাম?

আমি এইসব আর এখন বুঝাতে পারবো না, তাই ওকে রেখেই নেমে গেসি।।

চলবে

#Ayesha
#ArrangedMarraige

পর্ব-18

ফাহাদ: আচ্ছা শুনো
আমি: বলেন
ফাহাদ: শাড়ি পরলে আর কি কি লাগেনা ওইসব না আনি নি, আনিনি বলতে আমি বুঝতে পারিনি।
আমি: কি লাগে?
ফাহাদ: ব্লাউজ টাইপ কিছু
আমি: (আমি ওর দিকে ঘুরে বললাম) আপনার কি লজ্জা সরম কিছু নেই?
ফাহাদ: এমন কি বললাম?

আমি এইসব আর এখন বুঝাতে পারবো না, তাই ওকে রেখেই নেমে গেসি।।

আম্মু খাদিজা 2জনে টেবিলে খাবার এনে রাখছে।। আমি খাদিজার হাত থেকে ডাল এর বোল টা নিতে চাইলাম মুখ ঘুরিয়ে চলে গেল। আমার কি মা তো বলতে পারবে না আমি কাজে ফাঁকি দেই।। আমিও সুন্দর করে টেবিলে বসে কলা খাচ্ছি।।

খাদিজা: তুমি ও মেহমান এসেছ তাইনা? যাও হাতে মেহেদি দিয়ে বসে থাকো
আমি: আমি করলে তুই শিখবি কি করে? আমি একটু আরাম করায় তুই এই গুলো শিখতে পারলি
খাদিজা: কিছুই তো পারো না চাপা টা ছাড়া
আমি: বেয়াদব মেয়ে বড় বোনের সাথে কি ধরনের কথা বলিস? মা কে ডাকবো?
খাদিজা: কাজের সময় কম কথা বলবে, তুমি ইদানিং বেশি কথা শিখেছ।।
আমি: মাআআআআ

খাদিজা চুপ করে চলে গেল।।

ফাহাদ, বাবা, ফারিয়া এসে টেবিলে বসছে। আমরা বাড়িতে না থাকায় এখানে তেমন কিছুই নেই। একটা টেবিলে 4জনে বসে খাওয়া যায় এমন ডাইনিং টেবিল।। আমি আর ফাহাদ সামনা সামনি মুখ করা, ফাহাদের পাশে বাবা আমার পাশে ফারিয়া।। আহা কি শান্তি লাগছে খাদিজা সার্ফ করছে, আমি একটু পর পর বলছি খাদিজা বাবাকে ভাজি দাও, ফারিয়াকে রোস্ট দাও, আর আমার প্রতি মায়া হলে আমাকেও দিও।। খাদিজা বেচারি না পারছে বলতে না পারছে এখান থেকে যেতে।। আর ফাহাদ টাও কেমন করে তাকিয়ে আছে যেন ও বুঝতে পারছে আমি খাদিজার সাথে জিদ করে এমন করছি।। আমি মুখ বেঁকিয়ে আমার খাবারে মন দিলাম।।

হটাৎ মনে হলো পায়ে কিছু লাগছে।। আমাদের এখানে আবার বিড়াল এর অভাব নেই, খামচি দিলে শেষ, আমি এমনি এইসব ভয় পাই।। এখন মনে হচ্ছে কেউ পা দিয়ে আমার পায়ে স্লাইড করছে।। আমি ফাহাদের দিকে তাকালাম দেখি ও মনোযোগ দিয়ে খাচ্ছে। তাহলে কে? বাবা? ছি ছি আমি টেবিলের নিচে একটু ঝুঁকে দেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু তার আগেই বাবা

বাবা: কি ব্যাপার এমন করছো কেন? তোমার ভাত তো যেমন ছিল তেমনি
আমি: এইতো খাচ্ছি।।
বাবা: ঠিক করে খাও

আবার পায়ে পা লাগাচ্ছে।। বাবা ও যাচ্ছেনা কে এমন করছে? ফাহাদ তো খাচ্ছে, বাবা তো অসম্ভব, তাহলে ফারিয়া?

আমি ফারিয়ার দিকে হিস হিস করছি, ও চোখ দিয়ে ইশারা করে কি বললো, আমি ওকে বুঝাতে চাইলাম নিচে কি করছে, কিন্ত ও বুঝতে পারেনি।
এর মধ্যে বাবার খাবার শেষ বাবা উঠে চলে গেল।।

ফারিয়া: কি বুঝালে কিছুই তো বুঝিনি
আমি: পায়ে স্লাইড করছ কেন?
ফারিয়া: আমি?
ফাহাদ আমার এমন প্রশ্নের জন্য মুটেও প্রস্তুত ছিল না কেমন অসহায় মুখ নিয়ে তাকিয়ে আছে।।
আমি: কি? আপনি এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? আপনাকে বলিনি
ফারিয়া: ভাবী আমি তো কিছু করিনি
আমি: তাহলে কে? অনেক্ষন কে জানি এমন করলো
ফাহাদ এইবার মাথায় হাত দিয়ে নিচ দিকে তাকিয়ে আছে, ফারিয়া বেসিনে চলে গেল।।

ফাহাদ: আমার কপালে খুব দুঃখ আছে বুঝতেই পারছি
আমি: মানে?
ফাহাদ: খা পিচ্ছি তোকে অনেক কিছু শিখাতে হবে
আমি: আপনি আমাকে তুই বললেন?
ফাহাদ: খাও বাচ্চা ভুল করছি আমি।।

ফাহাদ উপরে চলে গেল, আমাকে ইশারা করে বললো তারাতারি উপরে আসতে, আমি আমার মত টিভি দেখছি ফারিয়াকে নিয়ে।। কাল দাদার মৃত্যুবার্ষিকী একটা মাদ্রাসার সব ছাত্র খাওয়ানো হবে, তাই সবাই শুয়ে পরছে সকাল সকাল উঠা লাগবে বলে।।

আমি খাদিজা, ফারিয়াকে নিয়ে উপরে চলে আসলাম।। ওদের শুয়ে দিলাম।। ফাহাদ এসে 2 বার ডেকে গেল তার বিছানা ঠিক করে দেবার জন্য, আমি ভালো করেই বুঝেছি কি জন্য ডেকেছে, 12টা বাজে যাইনি ওর রুমে, খাদিজা, ফারিয়া ঘুমিয়ে গেছে।। ফাহাদ মেসেজ করছে

ফাহাদ: আসবে না?
ফাহাদ: দেখ, না আসলে কিন্ত আমি এসে ওদের সামনে কোলে তুলে নিয়ে আসবো
ফাহাদ: 2মিনিট টাইম দিলাম না আসলে বুঝতেই পারছ।।

আমি তাও যাইনি।। একটু পর দরজা খুলার আওয়াজ পেলাম, আমি আমার মত ঘুমের ভান করে আছি।। হটাৎ মনে হলো কেউ কোলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।। আলোর মধ্যে আসতেই তার মুখ দেখতে পারলাম।।

আমি: কি করছেন আপনি?
ফাহাদ: বউ চুরি করছি
আমি: আমি ঘুমাবো
ফাহাদ: আজ আমার সাথে ঘুমাবে
আমি: মরে গেলেও না
ফাহাদ: কথা রাখ নি তার শাস্তি
আমি: নামান
ফাহাদ: ওজন কত
আমি: এইতো 45
ফাহাদ: মেয়েরা মনে করে তারা মিথ্যে বললে ছেলেরা ধরতে পারবেনা
আমি: উকিলদের কাজই অবিশ্বাস করা
ফাহাদ: 52
আমি: কি?
ফাহাদ: তোমার ওজন
আমি: মুটেও না
ফাহাদ: আমাদের বাসায় গেলে প্রমাণ দেখিয়ে দিব।।

ও আমাকে নামালো,

ফাহাদ: উফফ বাবা হাত ব্যাথা হয়ে গেল মুটকি
আমি: নিয়েছিলেন কেন কোলে? আমি বলছিলাম?
ফাহাদ আমার কথার উত্তর না দিয়ে শাড়িটা বের করে আমার হাতে দিল
ফাহাদ: পরে নাও
আমি: বলছিলাম তো পারবো না
ফাহাদ: কি আনতে বলছিলাম এনেছ?
আমি: না
ফাহাদ আমার দিকে এগোচ্ছে আমি পিছাতে পিছাতে বিছানায় বসে গেলাম, ও বিছানার মাথায় হাত রেখে আমার দিকে ঝুঁকে
ফাহাদ: পরবে না?
আমি: ভয়ে ভয়ে বলছি না
ফাহাদ: (আরো কিছুটা ঝুঁকে) পরবে না?
আমি: যাচ্ছি যাচ্ছি।।
ও সরে দাড়ালো আমি ওকে ধাক্কা দিয়ে ওর কাছ থেকে কিছুটা দূরে এসে দাড়ালাম, একটুখনে মনে হচ্ছিল আজরাইল সামনে ছিল।। আমি আলমারি খুলে চাচীর একটা ব্লাউজ আর পেটিকোট বের করলাম।। ওর হাত থেকে শাড়িটা নিলাম।।

আমি: বারান্দায় যান
ফাহাদ: তুমি ওয়াশ রুম যাও
আমি: ওয়াশ রুমে শাড়ি কি করে পড়বো?

ও বারান্দায় চলে গেল আমি হালকা করে দরজা টা লাগিয়ে নিলাম।।

আমি শাড়ি অনেক ভালই পড়তে পারি, আমার বোন রা আমার কাছ থেকে শাড়ি পরে যায়।।

5মিনিটে শাড়িটা পরে নিলাম, পুরো শাড়িটা কালো, পিউর জর্জেট এর উপর।। ব্লাউজ টা পিঠ পর্যন্ত খালি আমার কিছুটা আনেজি লাগছে, হাত কনুই পর্যন্ত। শাড়ির কুচি থেকে শুরু করে আঁচল পর্যন্ত কালো সিকোয়েন্স ওয়ার্ক করা, আর কালো স্টনে পুরো শাড়িটা ফুটে ওঠেছে।। রোদের আলো তে হীরা হীরা লাগত।। আমি শাড়ির আঁচল টা ছেড়ে রাখলাম।।

আমি দরজা খুলে দিতেই ফাহাদ রুমে আসলো আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।।

ওর কোনো সাড়া শব্দ নেই আমি ওর দিকে তাকালাম, ও 2টা হাত বুক পর্যন্ত ভাজ করে বাম হাতে গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে।। আমার ওকে দেখেই লজ্জা লাগছে, আমি পিছন ঘুরতে চাইলাম কিন্তু তার আগেই সে আমার ডান হাত ধরে টেনে ওর কাছে নিয়ে গেল।। আমি ছাড়ার জন্য ছট্ফট করছি, ও আমার ডান হাত টা উল্টা করে পিছনে কোমরে নিয়ে ধরে ওর আরও কাছে নিয়ে আসলো।।
আমার বুকের ভিতর কেমন জানি করছে, ও ওর হাত দিয়ে আমার চুল থেকে মাথার বেন্ট টা খুলে ফেললো, চুল থেকে বেন্ট খুলতেই এক গাধা চুল আমার ডান পাশে পরলো আর বাকি গুলো পিছনে।।

ফাহাদ: এত লম্বা চুল তোমার?
আমি: হুমম
ফাহাদ: (ও আমার পিছনে যেয়ে আমার চুল নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেল) মাশাআল্লাহ

আমার আম্মুর খালামনির চুল একদম স্ট্রেট, আমার গুলো ও তাই কোমর ছাড়িয়ে পরে, রোদের মধ্যে গেলে চিক চিক করতে থাকে, আমার চুলের জন্য আমি স্কুলে ফেমাস ছিলাম, কত প্রশংসাই না পেয়েছি এখনও পেতাম যদি হিজাব না পড়তাম।।

ও আমার চুল গুলো পিছন থেকে সামনে নিয়ে ঘাড়ে কিস করলো, কানে লীগ করছে, হালকা করে বাইট করছে, আমি কিছুই বলতে পারছি না, হাত পা চলক হীন হয়ে যাচ্ছে।। আমি ওর দিকে ঘুরে ওকে জড়িয়ে ধরলাম, ও আমার গলায় মুখ দিতেই ওর খুঁচা খুঁচা দাঁড়ি গুলো গলায় লাগছে আমি ওর মাথার নিচে চুল খামচে ধরি, ও আসতে আসতে করে কোলে তুলে নিল।

আমি: আমি তো মুটকি কোলে নিচ্ছেন কেন?
ফাহাদ: আমার বউ আমি মুটকি বলবো শুটকি বলবো তাতে কার বাপের কি?
আমি: বউ হইনি এখনও, কালো মুটকি মেয়ে বিয়ে করা লাগবে না।।
ফাহাদ: কে বললো কালো? নাম টা বল একবার জিব ছিড়ে দিব
আমি: দেখি নিজের জিব টা ছিরেন
ফাহাদ: আমি কালো বলেছি?
আমি: প্রথমদিনই তো বলেছেন, আমি সুন্দরী না জ্বিন পরি আমায় ধরবে না।।
ফাহাদ: পরীরা পরীদের কিভাবে ধরে?
আমি: আপনি খুব চালাক
ফাহাদ: আল্লাহ যদি একটু তোমাকে দিত
আমি: আমার টাই ভুলে আপনাকে 2বার দিয়ে দিয়েছে।।
ফাহাদ: তাই হবে হয়ত। আচ্ছা তুমি এত বোকা কেন?
আমি: কেন কি করেছি?
ফাহাদ: তখন পায়ে স্লাইড করার কথা ফারিয়ার সামনে বলতে লজ্জা করেনি?
আমি: তো কি করবো? কে জানি পায়ে কি করছিল, আপনি তো খাচ্ছিলেন তাই আপনাকে বলিনি, একজন আর যাই হোক এক সাথে 2টা কাজ করতে পারেনা, তাই ভেবেছিলাম ফারিয়া
ফাহাদ: তোমার বাবার কথা ভাবো নি?
আমি: ভেবেছিলাম তো কিন্ত বাবা তো এমন করবে না

ফাহাদ আমাকে কোল থেকে নামিয়ে ফ্লোরে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছে।।

আমি ভাবছি এমন কি বললাম, আমিও ওর পাশে বসলাম

ফাহাদ: কি জন্য পিচ্ছি, বাচ্চা বলি বুঝলি?
আমি: আবার তুই বললেন?
ফাহাদ: বোন কবে বড় হবি তুই? 12ক্লাস শেষ করে ফেললি তাও কিছু শিখলি না।
আমি: এইবার কিন্ত অপমান করছেন।।
ফাহাদ: (ও আমার সামনে এসে আমার মাথার পিছনে হাত দিয়ে ওর মুখের সামনে নিয়ে) তোর পায়ে আমি স্লাইড করছিলাম বুঝলি?
আমি: আপনিই?
ফাহাদ: হে আমি
আমি: ছি
ফাহাদ: কিসের ছি?
আমি: আপনি আসলেই বেহায়া, কেউ এইভাবে সবার সামনে এমন করে
ফাহাদ: তাহলে এখন রুমে আছি এখন তো অসুবিধে নেই
আমি: ছি ছি ফাহাদ ছি
ফাহাদ: এইগুলো তো খুব বুঝিস ভালোবাসি বুঝিস না?
উঠে দাড়ালাম, আমার সাথে সেও উঠলো।। ও আগের মত আমার হাত টান দিয়ে আবার পিছনে উল্টা করে ধরলো, আমি ডান হাত উল্টা করে ধরায় ব্যাথা পাচ্ছিলাম তাও ওকে কিছু বলিনি, ও আস্তে আস্তে আমার ঠোঁটের কাছে আসছে আমি চোখ বন্ধ করে ফেলেছি। ও হাত টা আরো শক্ত করে চেপে ধরেছে, আমি এইবার সহ্য করতে না পেরে ব্যাথায় কেদে দিলাম।। ও আমার চোখের পানি দেখে আমার হাত ছেড়ে দিল

ও ভাবছে কিস করতে চাওয়ায় আমি কেদে দিসি।।

ফাহাদ: মাথা নিচু করে বললো,, সরি আমি বুঝতে পারিনি
আমি কেদেই যাচ্ছি
ফাহাদ: সরি আয়েশা, আই অ্যাম রিয়েলি সরি
আমি: হাতে (আমি হাত ধরে বিছানায় বসে পড়ি)
ফাহাদ: কি হয়েছে হাতে? ( ও আমার সামনে আমার হাঁটু ধরে বসে)
আমি: ব্যাথা
ফাহাদ: আয়েশা সরি আমি, আমি বুঝতে পারিনি এত জোরে লাগবে, প্লিজ কেদো না, আয়েশা প্লিজ ডোন্ট ক্রাই
আমি: (কেদে কেদে বলছি) ফাহাদ শান্ত হোন আমি হাতে আগেই ব্যাথা পেয়েছিলাম।।
ফাহাদ: তুমি আমার দোষ ডাকতে মিথ্যা বলছো আমি জানি।
আমি: না ফাহাদ ওইদিন বলেছিলাম না মাঠে খেলা দেখব তখনই একজনের সাথে ধাক্কা লেগে ব্যাথা পাই।।
ফাহাদ: কিইই? এতদিন হয়ে গেল, তুমি এতদিন কেন বলনি? কতদিন হয়ে গেল আজ তুমি আমাকে বলছ? আমাকে মানুষ মনে হয় না? না তোমার কিছু জানার অধিকার আমার নেই
আমি: আমি আসলে তেমন কিছু ভাবিনি।।
ফাহাদ: তাহলে কেন বলনি? বল?
আমি: সরি
ফাহাদ: সরি মায় ফুট।।

আমি: (বুঝতে পারছি ও রেগে গিয়েছে) আমি ওর কাঁধে থেকে হাত আস্তে করে ওর গালে হাত দিয়ে আবার সরি বললাম । তাও আগের মতই আমি ওর মুখ আমার দিকে ঘুরিয়ে ওর কপাল থেকে চুল গুলো সরিয়ে ওর কপালে কিস করলাম।।

ফাহাদ: খুব ব্যাথা করছে?
আমি: কমে গিয়েছে
ফাহাদ।: আমার সাথে একদম মিথ্যা বলবে না
আমি: সত্যি কমে গেছে
ফাহাদ: আমি কালকেই তোমাকে ময়মনসিংহ নিয়ে ভাল ডক্টর দেখাবো, আর যে এমন টা করেছে তাকে ফেলে তো আমি খুন করে ফেলব।।
আমি: এত কেন রেগে যাচ্ছেন?

ও আমার থেকে উঠে যেয়ে ওয়ালের সাথে ওর বাম হাত জোড়ে ঘুষি দিল।। আমি ওর হাত ধরে দেখি হাত লাল হয়ে গেছে।।

আমি: কি সব পাগলামি করছেন?
ও মুখ ঘুরিয়ে নিল।। আমি ওর সামনে দাঁড়ালাম।। ওর পায়ের উপর আমার পা ভর করে ওর সমান হয়ে ওর গলা জড়িয়ে ধরলাম।।

ফাহাদ আমার শাড়ির ভিতর থেকে পেটে হাত রাখতেই আমার শরীরে কাটা দিয়ে উঠলো, কোমর জড়িয়ে ধরে আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে আসতে করে বললো
ফাহাদ: ক্যান আই?

আমি: ওর গলা আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ওর বুকে মাথা লুকালাম।। ও বুঝতে পেরে আমার থুতনি ধরে মুখ ওর সামনে ধরলো, ও আমার ঠোঁটের দিকে আস্তে করে আসছে আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম।

কিছুক্ষন পর ও আমায় কোলে তুলে নিল, আমায় বিছানায় শুয়ে দিয়েছে আর সে আমার উপর, আমি লজ্জায় চোখ তুলে তাকাতে পারছিলাম না।। ও আমার ঘাড়ের কাছে নাক ঘষছে, আমি ওর চুল মুঠি করে ধরে আছি।। ও গলায় একটু জোরেই বাইট করলো আমি ব্যাথায় আউচ করে উঠলাম

ফাহাদ: কি
আমি: কামর দিচ্ছেন কেন?
ফাহাদ: এটাকে লাভ বাইট বলে
আমি: ব্যাথা পাই তো

ও ওর কপালের সাথে আমার কপাল লাগিয়ে 2জনেই চোখ বন্ধ করে আছি।।

চলবে