#Black_Rose?
#Season_03
#The_Dark_king_of_my_kingdom♚
#Part_04
#Lamiya_Rahaman_Meghla
গাড়িটা এসে থামলো ভার্সিটির থেকে কিছুটা দুরে এখান থেকে ভার্সিটি দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু এখানে থামানোর কারন টা বুঝলাম না।
–একটা কথা কান খুলে শুনে নেও ভার্সিটি তে আমি তোমার প্রফেসর তা ছাড়া অন্য কিছু নই তুমি আমাকে চেনো না আমি তোমাকে চিনি না চুপচাপ নিজের পড়ালেখা করবা৷
আর হ্যা এই কথা গুলো যেন মা জানতে না পারে বি কেয়ার ফুল।
আমি মথা নিচু করে উত্তর দিলাম,
–জি।
–নামো।
আমি নেমে পরলাম।
হাঁটা ধরলাম সামনের দিকে,
–আচ্ছা আমি কি এতোটাই খারাপ। আমাকে কি এতোটাই বাজে মনে যে উনি এমন ব্যাবহার করেন৷ কেন কেউ জদি এটা জানতে পারে উনি আমার ফুপাতো ভাই তাহলে কি সমস্যা ।
হয়তো আগে থেকেই এমন৷ ফুপি তো বলেছে আমি এই ভার্সিটিতে পড়াশুনা করতাম তাহলে আমাকে কেউ ওনার কাজিন বলে হয়তো চিনেই না।
মনে মনে এগুলা ভাবছি আর হাঁটছি কিন্তু যাচ্ছি কই৷
আমি তো কিছুই চিনি না৷
আজ একটু চিনিয়ে দিলে কি হতো।
আচ্ছা ওই মেয়েটার কাছে শুনি।
আমার সামনে থাকা একটি মেয়ের কাছে হেঁটে গেলাম,
–আসসালামু আলাইকুম।
–ওলাইকুমাসলাম।
–আপু আপনি কি অনার্স ১ম বর্ষের ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট এর ক্লাস রুমটা কোথায় বলতে পারবেন।
— তুমি ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট এ।
–জি৷
–আমিও তো৷ আমি কেয়া।
–আমি মেঘ।
–সুন্দর নাম৷
–তোমার টাও৷ আচ্ছা তুমি কি আমার মতো নতুন।
–হ্যা নতুন তবে ১ দিন আসছিলাম৷
–ওহ আচ্ছা চলো ক্লাসে৷
আমি আর কেয়া ক্লাসে চলে গেলাম৷
ক্লাসের সামনে থাকা একটা বেঞ্চ এ বসে পরলাম৷
স্যার এখনো আসে নি৷
–আচ্ছা মেঘ তোমার বাসায় কে কে আছেন?
–আমি ফুপি আর ফুপাতো ভাই৷
–মানে,
–মানে ফুপি বলেন আমার মা বাবা আমাকে অনেক ছোট রেখে মারা গেছেন ?।
–ও সরি৷
–ইট’স ওকে।
–এই মেয়ে কলেজে আসো কি গল্প করতে।
হটাৎ আমানের কন্ঠ শুনে আমি কেঁপে উঠি।
দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি রাগি চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
–স্যান্ড আপ৷ (রেগে)
আমি উঠে দাঁড়ায়।
উনি ভেতরে এসে আমার সামনা সমানি দাঁড়ায়।
–তুমি ক্লাসে আসো পারিবারিক গল্প করতে। আমার ক্লাসে এসব চলবে না নেক্সট টাইম এই ভুল করলে তোমায় বের করে দিবো আমি৷
–(আমি কি ওনার কথা বলেছি যে এমন করলো৷ আমি কি এমন বলেছি যে এতো রেগে গেছে মনে, মনে )
আমান সামনের দিকে এগোতে আমি বসে পরতে গেলাম৷
–এই মেয়ে বসতে বলেছি তোমাকে।
এবার আসহায় চোখ নিয়ে মেঘ তাকিয়ে পরলো আমানের দিকে।
–বসতে বলি নি পুরোটা ক্লাস দাঁড়িয়ে কাটাবে।
এবার মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে সত্যি অনেক বেশি করতেছে লোকটা৷
কিছু না বলতে পেরে চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম৷
পুরো ক্লাসে দাঁড়িয়ে ছিলাম তবে একটা বিষয় খেয়াল করলাম সবাই কেমন হা করে তাকিয়ে ছিলো আমনের দিকে যেটা দেখে আমার একটু রাগ বোধ হচ্ছিল কিন্তু কেন৷ এই হনুমান কে ছিড়ে খেয়ে ফেল্লেই বা আমার কি হুহ৷
আমান ক্লাস থেকে চলে যেতে কেয়া আমার হাত ধরে আমাকে বসিয়ে দেয়।
–স্যার কে আগে যে-দিন এসেছিলাম এতো রাগি দেখি নি৷
–বাদ দেও।
–তুমি না তুই বলবা ওকে৷
–আচ্ছা।
–তোর পায়ে ব্যাথা হচ্ছে না৷
–হুম ঠিক হয়ে যাবে।
–হুম।
বাকি ক্লাস গুলো করে আমি আর কেয়া হাঁটছিলাম। বাসার উদ্দেশ্যে,
–আচ্ছা মেঘ তোকে একটা কথা বলি৷
–হুম বল৷
–আজ ফুচকা খাবি বাইরে থেকে।
–না ফুপির বারন আছে।
–কেন?
–আমার এগুলাতে সমস্যা আছে আমার একটা এক্সিডেন্ট হয় কিছু দিন আগে।
–ও আল্লাহ।
–হুম৷
–আচ্ছা বাসায় চল তাহলে।
–তুই যা আমার ভাই আসবে। ।
–শিওর।
–হুম।
কেয়া চলে গেল।
আমি তো কিছুই চিনি না উনি না নিতে আসলে কি করে যাবো। কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু আমানের কোন দেখা নেই৷ এমন কেন৷
উফ আল্লাহ এই জল্লাদ টা জদি না আসে তবে আমি কি করবো৷
ভেবেই কান্না পাচ্ছে।
–এই মেয়ে কলেজে নতুন৷
হটাৎ পেছন থেকে কোন ছেলের কন্ঠ শুনতে পাই আমি৷ কিন্তু পেছনে ফিরি না৷
–কি হলো বোবা নাকি কথা বলতে জানো না৷
এবার আমার সামনে এসে,
–আমি যা-ই হই আপনার কি৷ ।
–আমার কি মানে ভদ্র ভাবে একটা প্রশ্ন করেছি আর তুমি বেয়াদবি করছো৷
–হ্যা নতুন আর কিছু।
–তা তুমি তো দেখি সেই লেভেলের,
–ওতো দেখি সেই লেভেলের কি।
হটাৎ আমান আমার সামনে এসে হাত ভাজ করে বললো।
–কিছু না স্যার সরি।
–কেন এখন বলতে সমস্যা কি।
–সরি স্যার ভুল হয়ে গেছে।
ছেলেটা দৌড়ে দেয়।
আমান হটাৎ আমার হাত ধরে টানতে থাকে।
আজব এমন করছে কেন আমাকে টেনে গাড়িতে বসিয়ে ফুল স্প্রিডে গাড়ি চালাতে শুরু করে৷
এতো রাগের মানে কি,
চলবে,